নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পুরো নাম মুহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম রনি, জন্ম- যশোর, পৈত্রিক নিবাস- ঝিনাইদহ। পড়ালেখা করছি বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এ। ঠিকানা- https://www.facebook.com/nasirul.rony

এন ইসলাম রনি

এন ইসলাম রনি › বিস্তারিত পোস্টঃ

অ-কবিতার স্তুপ থেকে-১৭

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:০৫

১।
অনুতপ্ত অন্ধকারে পোড়ে নির্ভয় অতীত
যেখানে অনুভূতিরা শূন্য ভীষণ,
অন্ধ মন চাইছে সে শূন্যতা খাঁমচে ধরার সাহস..
চাইছে.. চাপা শব্দ রা বিদ্রোহ করুক
প্রচলিত বাক্যদের ভীড় ভেঙে
অশ্রুরা অভেদ্য হোক বুলেটের মতো-
কোন সহানুভূতি জাগাতে নয়,
বিস্ফোরকের বিস্ময়ের জন্মসুখে মুক্ত
হোক অব্যক্ত হৃদয়..
জানি যথেষ্ট শব্দ নেই ফেরার
নির্বাক আত্মসমর্পণের পেছনের গল্পে শব্দ রা
এই হিম শিশিরের মত ই নীরব,
শিশিরের বোবা কন্ঠে পুড়ছে সময়।


২।
তন্দ্রাহীন নিঃশব্দ স্রোতে ভেসে যায় সব -অতীত বর্তমান,
মাঝে বিপুল শূন্যতায় ছলাৎ শব্দ তোলে নিঃসঙ্গ বৈঠা..!
আমারো কি এতোটা যাবার কথা ছিল?
এতোটা দূরে বিলীয়মান জ্যোৎস্নায়
মৃত পাহাড় ডিঙিয়ে নক্ষত্র আকাশের তলে?
বৃষ্টির দুপুরে তুফানের রঙে আমার কেন অবেলায় রাত হয়ে যায় !


৩।
আমার হয়না ছোঁয়া তোমার স্বপ্নে দেখা দ্বীপ,
শুনি সেখানে নিত্য সূর্যের আসা যাওয়া
প্রহর জোড়া সাদা গাঙচিলেদের সভা
বালুতটে হাজার ঢেউ এর ভীড়,
আমার এক সাগর খুঁজে যাওয়া নদীর সাথে মিল,
নদীর কাছে নীল সাগরের অযুত কোটি ঋণ
নদীর তবু দ্বীপের কাছে এগিয়ে যাওয়া মানা,
নদীর এক সমর্পণেই ব্যস্ত নিশিদিন।


৪।
শেষ বিকেলে যখন গোধূলী হারিয়েছে আলো
তখনো মেয়েটি ছেলেটির পাশে সূর্যালোকিত,
সেই বিকেল থেকে ছেলে টি আমার পরম শত্রু,
যদিও আমি নাম জানিনা তার, মনেও নেই দুজনার কারো মুখ,
পেছনে দাঁড়িয়ে হাসে চুরি যাওয়া এইসব আবেগি অসুখ।


৫।
রাত গুলো শেষ হয়ে যাচ্ছে গভীর হবার অপেক্ষায়।
তবু আমরা কেউ সেখানে প্রবেশ করছি না। পেড়িয়ে যাচ্ছি অদৃশ্য সাঁকো বেয়ে!!
মুছে যাচ্ছে দীর্ঘ রাতের দীর্ঘ আকাশ
হারাচ্ছে একটা একটা করে নক্ষত্র
মহাকাশ ভেঙ্গে আলাদা হয়ে যাচ্ছে আকাশ নীল প্রাচীলে,
একটু পর আবার ব্যস্ত দিনের শুরু, আমরা যেখানে হারিয়ে যাচ্ছি


৬।
ভুল গল্পে, ভীষণ ভুল সময়ে
তুমি এক নিঃশব্দ স্বপ্ন
নৈঃশব্দের মেদুর বিছানায়,
স্বভয়ে রিপুকরা মনগভীরে সজল ফ্লাওয়ার ভ্যাজ,
জীবন প্রাচীরে অলক্ষ্যে বেড়ে ওঠা অপ্রতিরোধ্য অশ্বত্থ।


৭।
যে বনের কথা ভুলে গেছে তাবৎ পৃথিবী
যে অরণ্যের নাম হয়েছে বিস্মরণ
আজ রাতে সেই বন তোমাকে পাঠালাম..
সব গল্পই হয়তো বলা হয় না,
সব জ্যোৎস্নাও যেমন দেখে না মানুষ।
প্রচুর উল্লেখযোগ্য ঘটনা একসাথে ঘটে গেলে কথায় কিছুই উল্লেখ করতে ইচ্ছে করে না।
তাই এই অরণ্যে পাতার হাহাকার
পালকের গন্ধে বিলে রেখে গেলাম রাতের কোরাস….


৮।***
জাগরিতস্বপ্নের ভেতর দিয়ে তোমাকে চাওয়ার কাল
পেরিয়ে এসেছি,
পেরিয়ে এসেছি সংগোপন চাহনীর।
আজ যদি চাই তোমার চুল, হাতের আদল, ঠোঁট
আর পুরোটা অবয়বকে বারবার চোখে গেঁথে রাখা,
সে কিশোরী বুক আজো ধরফর করে,
ছায়ার ভেতর পর্দার আড়ালে
আজও কড়া নাড়ে ভয় অভ্যাসের ভণিতায়,
সেও জানে প্রিয়, কোন মুখ আর গাঢ় দাগ কাটে না এসময়!

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:০৯

বিজন রয় বলেছেন: ভাল লেগেছে।
++++

২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম।

৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:০৭

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:



চমৎকার কবিতাদল! শতদল হয়ে সরোবরে ফুটেছে। প্লাস+

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.