নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পুরো নাম মুহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম রনি, জন্ম- যশোর, পৈত্রিক নিবাস- ঝিনাইদহ। পড়ালেখা করছি বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এ। ঠিকানা- https://www.facebook.com/nasirul.rony

এন ইসলাম রনি

এন ইসলাম রনি › বিস্তারিত পোস্টঃ

আয়না

১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১:২২

আয়নাটার অবশ্যই কিছু একটা রহস্য আছে। এটা শুরু হয়েছে ঠিক কবে বলতে পারবো না। তবে মাস তিনেক আগের একটা ঘটনা স্পষ্ট মনে আছে। সেদিন সকালে ব্রাশ করতে যেয়ে বেসিনের আয়না দেখে চমকে উঠলাম গালের একপাশ কেটে রক্ত পড়ছে অথচ মুখে হাত দিয়ে দেখি কিছু না। গোসলখানায় থাকায় আয়নাটা পানির দাগে ঝাঁপসা হয়ে আছে তাই গুরুত্ব দিলাম না। আয়নাটা হাত দিয়ে পরিস্কার করে দেখলাম কাটাদাগটাগ কিছু নেই, সব ঠিক। কিন্তু কিছুক্ষণ পর সেভ করার সময় গালটা বিশ্রীভাবে কেটে গেলো। ঠিক যেভাবে কাটাটা আয়নাতে চোখে পড়েছিলো। পুরোটা ডেজাভু বলে চালিয়ে দিলাম।
সবকিছু ভালোই যাচ্ছিলো। নিজেকে নিয়ে কেন যেন আত্মতৃপ্তিতে ভুগছিলাম, ফটফটে একটা ভাব….. যেন উড়ে চলেছি। অফিসে এক কলিগ একদিন জিঙ্গাস করলো অসুস্থ নাকি? আমি বেশ অবাক হলাম এমনিতে আমি কম কথা বলি আর এজন্য সবার সাথে আমার একটা দূরত্ব থেকে যায় তাই হঠাৎ এমনভাবে কুশল জানতে চাওয়া বেশ অবাকই করার মতো। তাছাড়া গত এক বছরে অসুস্থ হবার মত কোন ঘটনা ঘটেনি, এমন কি সামান্য জ্বরও না। কিন্তু কয়েক দিনের ভেতর কম করে দশ জনের কাছ থেকে এমন প্রশ্ন এলো। আমি হাসি মুখে উত্তর দিলাম -না।
দুদিন আগে এক পুরনো বন্ধুর সাথে দেখা সে তো রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করলো হঠাৎ নাকি বুড়ো হয়েগেছি! এখনি বিয়ে না করলে নাকি কপালে বউ বলে কিছু আর জুটবে না। ব্যাচারা, নিজে বিয়ের পর ফুলে ফেপে বেলুন হয়ে গেছে হাঁটলে ভুঁড়ি চলে আধ হাত আগে আর সেই কিনা বলে বুড়ো! আসলে বিবাহিত মানুষগুলোর স্বভাবই লেজ কাঁটা শেয়ালের মত, সব সময় কাঁচি নিয়ে ঘোরে, অন্যের লেজ কাঁটা না পর্যন্ত এদের শান্তি নেই। এইসব নিয়ে উল্টো ওকে পঁচালাম। কিন্তু আমি তখনো জানতাম না কি একটা দুঃস্বপ্ন আমার জন্য অপেক্ষা করছে।
অনেক দিন পর দেখাহওয়ায় সেদিন ওর সাথে রেস্টুডেন্টে কিছু সেলফি তুলেছিলাম যে কাজ টা আমি খুব কমই করি। কি মনে করে আজ তা ফেসবুকে শেয়ার দিতে যেয়ে ইলেকট্রিক শক এর মতো খেলাম। ছবিতে এটা কে? কাঁচাপাক চুল, মুখের চামড়ায় ভাঁজ, কম করে চল্লিশের উপরে বয়সের এক জন কিংবা তারও বেশি। ছবিতে এটা যে আমি তা যদিও স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। ঘরে কোন আয়না না থাকায় দ্রুত ওয়াশরুমে গেলাম। বেসিনের আয়নাতে যে প্রতিবিম্ব সেখানে যেন বয়স আরোএকটু কমে গেছে ঠিক যেমনটি দশ বছর আগে কলেজ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার সময় ছিলো! আয়নাতে নিখুঁত মসৃণ একটা মুখ, আমার মুখ! যার ঠোঁটের কোণে বাঁকা একটা হাসির ক্ষীণ রেখা ক্রমশ প্রশস্ত হচ্ছে। কিন্তু আমি জানি আমি মোটেও হাসছি না।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:০০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: চমৎকার উপস্থাপন ।

২| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:১০

রাজীব নুর বলেছেন: আয়না অবশ্যই রহস্যময়।
মধ্যরাত্রে কখন একা আয়নার দিকে তাকাবেন। রহস্য আপনি নিজেই অনুভব করতে পারবেন।

৩| ১৪ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৪৯

অজ্ঞ বালক বলেছেন: জটিল অণুগল্প। জোস।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.