নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

।হই আমি বীর অথবা হই আমি ধীর,আমি শুধু বাংলাদেশের নয়,আমি সমগ্র পৃথিরীর ।।হই আমি বীর অথবা হই আমি ধীর,আমি শুধু বাংলাদেশের নয়,আমি সমগ্র পৃথিরীর ।

মো: নিজাম গাজী

আমি ঐ সৃষ্টিকর্তারই সৃষ্টি,আমি তারই বান্দা, আমি শুধু বাংলাদেশের নয় আমি সমগ্র পৃথিবীর বাসিন্দা। গাজী পরিবারে আমি জন্মগ্রহন করেছি বলে আমি শুধু গাজী পরিবারের নয়, আমার জন্ম এই পৃথিবীর সর্বময়। শুধুমাত্র সোনাখালী গ্রামে আমার জন্ম নয়, আমার জন্ম পৃথিবীর সর্বময়। এই গ্রাম এই দেশের নয় আমি শুধুমাত্র, আমি এই সারা দুনিয়ারই ছাত্র। শুধুমাত্র একটি মহল্লায় আমার আগমন নয়, আমার আগমন বিশ্বময়। হই আমি ধীর হই আমি মহাবীর, আমি শুধু বাংলাদেশের নয় আমি সমগ্র পৃথিবীর।

মো: নিজাম গাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেন এই অত্যাচার?

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:২০

অত্যাচারের ভয়াবহতা ও
হিস্রতা দেখে আর চুপ
করে থাকতে পারলাম না । ভাঙ্গা
এই মোবাইলটা হচ্ছে,এই অধমের
সবচেয়ে বড় কলম এবং কাগজ ।
পৃথীবি সৃষ্টির
শুরু হতে এই পর্যন্ত নারীগন এখনও
পিছিয়ে রয়েছে,এখন ও
তারা অবহেলীত ।
তবে নারীগন এখন যথেষ্ট এগোচ্ছে ।
নারীগন আরও এগিয়ে যাক
এটি আমার
প্রত্যাশা । বর্তমান আমাদের এই
বাংলাদেশে পুরুষদের তুলনায়
নারীগন
অতিরিক্ত সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন ।
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক
নিয়োগ
পরীক্ষায় একজন নারী মাত্র
এসএসসি পাশ করেই আবেদন
করতে পারে,অথছ একজন
পুরুষ এইচএসসি পাশ করে ও আবেদন
করতে পারে না,যদি না তার
শিক্ষাসনদ(সি ইন
এড) না থাকে । এটা কী পুরুষদের উপর
অতিরিক্ত অত্যাচার হয়ে গেল
না?বাংলাদেশে এমন এমন প্রাথমিক
বিদ্যালয় রয়েছে,যেখানে একজন
পিয়ন এইচএসসি
পাশ,অথছ ঐ একই বিদ্যালয়ের কোন এক
সহকারী শিক্ষকা মাত্র এসএসসি/
দাখিল পাশ
। তাহলে শিক্ষাটার মূল্য রইল কই?
নারী জাগরনের অগ্রদূত বেগম
রোকেয়া
সাখাওয়াতকে বলব
আপনি যে অর্ধাঙ্গের কথা বলেছেন
সেটা কী এই?নারী ও পুরুষ
যদি সমান সত্তা হয়েই
থাকে,তাহলে তাদের মধ্যে এত বড়
পার্থক্য কেন?একেই কী
অর্ধাঙ্গ বলা হয়?
এখানে পুরুষগন
কী অত্যাচারী পিতার অবহলীত
সন্তান হয়ে গেল না?কোনো পিতা
যদি তার পুত্রকে এক টাকা দেয়,আর
কন্যাকে যদি একশো টাকা দেয়,তাহলে পূত্র
কি কষ্ট পাবেনা?দয়া করে পুত্রকে কম
হলেও পন্ঞাশ টাকা দিন ।
এইচএসসি পাশে
পিওন আর
এসএসসি পাশে শিক্ষিকা,এই
কথাটা যদি আপনাদের বিস্বাশ
না হয়,তাহলে
আপনি আপনার আশেপাশের
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খোঁজ
নিয়ে দেখতে পারেন । আমার
কথার সত্যতা পেয়ে যাবেন ।
অথবা আপনি প্রাথমিক ও
গনশিক্ষা মন্ত্রনালয়ে ও
খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন ।
নারীগন পুরুষদের তুলনায় একটু সুযোগ
সুবিধা বেশি
পাক এটা আমি ও চাই । কারন নারীগন
পুরুষদের তুলনায় প্রাকৃতিক ভাবেই
শারীরীক ও মানষিকভাবে দুর্বল ।
নারীর ক্ষমতা ও সুযোগ
সুবিধা দেওয়া হোক তা
আমি চাই । কিন্তু অতিরিক্ত সুযোগ
সুবিধাতো আর মেনে নেওয়া যায়
না ।নারীদের
অতিরিক্ত সুযোগ সুবিধা দেওয়ার
ফলে আজ পুরুষগন অবহেলীত । বর্তমান
যুগটা
যেন আই এ্যম এ জাহেলীয়া যুগের
ঠীক উল্টোটা । সেকালে নারীগন
নির্যাতিত হত
আর এখন পুরুষগন নির্যাতিত হচ্ছে ।
নারীদেরকে এসএসসি পাশে শিক্ষিকা হওয়ার
সুযোগ
দেওয়া হলে পুরুষদেরকে এইচএসসি পাশে শিক্ষক
হওয়ার সুযোগ কী দেওয়া
যায় না ?
আমার খুব কষ্ট লাগে,যখন আমার ছোট
বোন মাত্র এসএসসি/সমমান পাশ
করে আমার
সামনে দিয়ে প্রাথমিক
বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা পদে পরীক্ষা দিতে যায়

আর আমি বা আমরা এইচএসসি পাশ
করেও সহকারী শিক্ষক
পদে পরীক্ষা দিতে পারিনা
। বেগম রোকেয়া আপনি আসুন
দেখে যান,আজ নারী আর পুরুষ সমান
হতে পারেনি,আজ
এদের মধ্যে অনেক তফাৎ । বন্ধ করুন এই
বৈষম্য । STOP IT. সংশোধন করুন ।
আমাদের এই বর্তমান যুগে নারী ও
পুরুষদের মধ্যে কার বেশী চাকুরীর
প্রয়োজন,নারীর না পুরুষের?একজন
নারী চাকুরী না করলে তাকে কেউ
বেকার বলে
না,তাকে কেউ ধিক্কার দেয় না ।
কারন নারীর সকল ভরন পোষনের
দায়ীত্ব তার
পিতার অথবা তার স্বামীর। এই
বর্তমান যুগে একজন পুরুষ
চাকুরী না করলে,তাকে
সবাই বেকার বলে,তাকে দুনিয়ার
সবাই ধীক্কার দেয় ।
তাছাড়া সাধারনত একজন
চাকুরীজীবি নারীর বিয়ে হয় একজন
চাকুরীজীবি পুরুষের সাথে ।
তাহলে কী তেলে
মাথায় তেল দেওয়া হলনা,আর
খালি মাথা থেকে তেল
চুষে নেওয়া হলনা?খালী মাথা
থেকে তেল চুষে নেওয়া বন্ধ করুন ।
কেন এই অত্যাতার,কেন এই বৈষম্য?
উত্তর
দিন । আজ উত্তর দেওয়ার কেউ নেই
বলেই আমি কলম ধরেছি । হোক আমার
সে কলম
ভাঙ্গা,তবুও আমি এই বৈষম্য দূর
করতে চাই । STOP IT.
সরকারী চাকুরীর বয়সসীমা ৩০ বছর
কেন?এর বয়স সীমা কী বাড়ানো যায়
না?৩২/৩৪
বছর বয়সে কী মানুষ কর্মক্ষম থাকে না?
আরে আমাদের অনার্স,মাষ্টার্স শেষ
করতে ইতো প্রায় ১০ বছর লেগে যায়।
কে দিবে ৩০ বছরের মধ্যে আমাদের
সরকারী
চাকুরীর নিশ্চয়তা?বাংলাদেশের
বেকারত্বের পিছনে সবচেয়ে বড়
কারন এটি । তাই
আপনারা(সরকার) যদি বাংলাদেশ
থেকে বেকার সমস্যা দূর
করতে চান,তাহলে অচীরেই
বয়সসীমা বৃদ্ধি করুন । ২টা বছর ও
যদি আপনারা বয়সসীমা বৃদ্ধি করে
দিন,তাহলে লক্ষ লক্ষ বেকারের
স্বপ্নের দ্বার উন্মোচিত হবে । এই সব
বেকারেরা খুঁজে পাবে এক
আলোকময় পথ । আর
আপনারা কী চাননা,এই সব
বেকারেরা
এক আলোকময় পথ খুঁজে পাক?
বাংলাদেশ থেকে বেকারত্ব ও
দরিদ্রতা দূরীকরনের
সবচেয়ে বড় হাতীয়ার
হচ্ছে সরকারী চাকুরীর বয়স
বৃদ্ধি করা । তাই অচিরেই
দেশের কল্যানে সরকারী চাকুরীর
বয়স বৃদ্ধি করুন । প্রশ্নপত্র ফাঁসের
ব্যপারে তেমন একটা কিছু
লিখতে চাইনা কারন
এটা নিয়ে অনেক গুনীজন এর আগে
অনেকবার লিখেছেন ।শুধুমাত্র এটুকুই
বলতে চাই যে,শিক্ষার মধ্যে একবার
দূর্নীতি প্রবেশ করলে,দেশের
প্রত্যেকটা স্থানেই দূর্নীতি প্রবেশ
করে । যে
দেশের শিক্ষাব্যবস্থা যতটা দূর্বল
সে দেশ ও ততটা দূর্বল ।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের ব্যপারে আমি আর
নতুন করে কী বলবো?যে দেশে বিগত
দিনে
বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রর্যন্ত
ফাঁস হয়েছে,সে দেশে অন্যান্ন
পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস
হওয়া নিতান্তই স্বাভাবিক
একটা ঘটনা । এক্ষেত্রে
অবাক হওয়ার কিছুই নেই । কোনো এক
খুনীকে যদি দেখি যে সে কোন এক
ব্যক্তিকে
চড় মেরছে,তাহলে সেখানে অবাক
হওয়ার কিছুই নেই,কারন
যে খুনী,সে যে কেউকে
একটা চড় মারতেই
পারে,এটা একেবারেই স্বাভাবিক
। তবু আমার মনে প্রশ্ন
জাগে,যে বিগত দুএক
বছরে যে ছেলেমেয়েরা এসএসসি ও
এইচএসসি পাশ করেছে,সেটা
তাদের মেধা অনুযায়ী ফলাফল
হয়ছে কিনা?মাছ চাষ
করা পুকুরে জাল নিক্ষেপ করলে
জালটা যেমন মাছ
ভর্তি হয়ে যায়,ঠীক তেমনি বর্তমান
ছেলেমেয়েরা পরীক্ষা
দিলেই জালভর্তি মাছের মত A+
পেয়ে যায় । যুগ ও সময়ের
তালে তালে শিক্ষার
মান বাড়বেই এটা স্বাভাবিক ।
শিক্ষার মান আরো বাড়ুক
সেটা আমি চাই । কিণ্তু
প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাধ্যমে শিক্ষার
মানটা বাড়া দেশ ও সকল শিক্ষিত
জাতীর
জন্য কলঙ্কজনক ।এখন সরকার তদন্ত
কমিটি গঠন
করে হয়তোবা অপরাধীদের শাষ্তি
দিতে পারবে । কিণ্তু সরকার
কী পারবে বিগত দিনের
পরীক্ষার্থীদের ফলাফল
মেধা অনুযায়ী বন্টন করতে ?
৫ বছর আগের এক শিক্ষার্থীর A+,আর
বর্তমান এক শিক্ষার্থীর A+ এর মধ্যে
কোনো পার্থক্য
আছে কিনা তা আমি জানিনা ।
পার্থক্য থাকার তো কোনো কথা
নয়,কারন দুটোইতো A+ । কিণ্তু
শিক্ষামন্ত্রীকে অনুরোধ
করবো যে,স্যার
দয়াকরে আপনি পাঁচ বছর আগের A+
প্রাপ্ত এক শিক্ষার্থীর আর বিগত দুএক
বছরের
A+ প্রাপ্ত এক শিক্ষার্থীর মধ্যে একটু
মেধা যাচাই করে দেখুন,যে A+ এর
মধ্যে কোনো পার্থক্য আছে কিনা?
যাহোক যা হওয়ার তা হয়ে গেছে ।
মানুষ মারা
যাবার পর তাকে শুচিকিৎসার জন্য
হাসপাতালে নেওয়ার ব্যর্থ
চেষ্টা না করে,সামনে যেন অনাকাঙ্খিক ভাবে কেউ
মারা না যায়,সে ব্যবস্থা করুন ।
ছোটদের সামান্য ভুল
হলেই তাদের শাষ্তি পেতে হয়,আর
বড়দের ভুল হলে তাদের
শাষ্তি পাওয়া তো দূরের
কথা,বরং তাদের
বিরুদ্ধে ছোটরা সত্য কথা বললেই
ছোটদের শাষ্তি পেতে হয় ।
তাই আমি ছোট মানুষ হয়ে আর
বেশী কথা বলতে চাইনা । শুধু
সরকারকে অনুরোধ
করবো যে,ভবিষ্যতে যেন একই ঘটনার
পূনরাবৃত্তি আর না ঘটে,তার জন্য
যথাযথ
ব্যবস্থা গ্রহন করুন ।
শিক্ষা নয়,বরং সুশিক্ষার আলোয়
আলোকিত হোক পুরো
পৃথীবি এই প্রত্যাশা আমাদের
সকলের ।
বর্তমান আমাদের দেশের জন্য অবশ্যই
সম্প্রচার নীতিমালার প্রয়োজন ।
কিণ্তু
সম্প্রচার নীতিমালার
নামে,সংবাদপত্রের কন্ঠ রোধ
করলে,তা কোনো ভাবেই মেনে
নেওয়া যাবে না । সংবাদপত্রের
স্বাধীনতা খর্ব করলে পুরো দেশ
পরাধীন হয়ে
যাবে । আমরা এমন এক সম্প্রচার
নীতিমালা চাই যেটা সকলের জন্য
গ্রহনযোগ্য ।
মনে রাখবেন সংবাদপত্রের কন্ঠ রোধ
করা,জন্মদাতা পিতার কন্ঠ রোধ
করার চেয়ে
ও অন্যায় । মানুষ তার পিতার
পরিচয়ে পরিচিত হয় । আর
আপনারা যারা দেশের
বর্তমান কর্নদ্বার
রয়েছেন,তারা সবাই
সারা বিশ্বে পরিচিত হয়েছেন
কিণ্তু এই
পিতারুপি সংবাদপত্রের কারনেই ।
আমাদের দেশে যদি সংবাদপত্র
না থাকতো,তাহলে
আপনাদের কিণ্তু কেউ চিনত না ।
পিতা ছাড়া সন্তান যেমন অচল,ঠীক
তেমনি
সংবাদপত্র ছাড়া আপনারা ও অচল ।
সংবাদপত্রের কন্ঠরোধ,রোধ
করতে গিয়ে,আমার
কন্ঠ যদি কেউ রোধ করে দেয়,তারপরও
আমি আমার ভাঙ্গা,ছেড়া কলম
কাগজ দিয়ে
আমার লেখা চালিয়ে যাবো ।
মনে রাখবেন সংবাদপত্রের কন্ঠ
যদি রোধ করা
হয়,তাহলে বাংলাদেশ কিণ্তু
দূর্নীতিতে আবারো চ্যাম্পিয়ন
হবে । দূর্নীতি
রোধ করার ক্ষেত্রে সংবাদপত্রই
একটি দেশের সবচেয়ে বড় হাতীয়ার

আমরা কী এমন একটি সম্প্রচার
নীতিমালা পেতে পারিনা,যেটি সকলের
কাছে
গ্রহনযোগ্য ও মঙ্গলজনক হবে?
যে নীতিমালায় কোনো নির্দিষ্ট
গোষ্ঠীর স্বার্থ
নয়,বরং সকলের স্বার্থ নিহীত
থাকবে?মনে রাখবেন
বাংলাদেশের সংবাদপত্রগুলো
যদি মাত্র দশদিন তাদের
সংবাদপত্রের সকল কার্যক্রম বন্ধ
করে দেয়,তাহলে দেশ
নিঃসন্দেহে অন্ধকারে ছেয়ে যাবে ।
তাই দয়া করে সম্প্রচার নীতিমালার
সকল
নেতীবাচক দিকগুলো দূর
করে আন্তর্জাতিক মানের
যুগোপোযোগী ও সবার জন্য
গ্রহনযোগ্য একটি আদর্শ সম্প্রচার
নীতিমালা তৈরী করুন । দরকার
হলে দেশের
বিশিষ্ট গুনীজন ও সম্পাদকমন্ডলীদের
পরামর্শ গ্রহন করুন । বন্ধ করুন সকল
ধরনের অত্যাচার ও বৈষম্য । সমান
অধিকার ও সমান
মর্যাদা নিয়ে সকলকে মাথা
উচু করে বাঁচতে দিন । আর নয়
অত্যাচার,আর নয় বৈষম্য । আমাদের এই
ধরনীতে
যেন সূখ ও শান্তি প্রতিষ্ঠীত হয় । সকল
অত্যাচার ও অন্ধকার মূছে গিয়ে,ঘুছে
গিয়ে এই ধরনী যেন আলোকিত হয়,এই
প্রত্যাশা- আমাদের সকলের ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.