নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

।হই আমি বীর অথবা হই আমি ধীর,আমি শুধু বাংলাদেশের নয়,আমি সমগ্র পৃথিরীর ।।হই আমি বীর অথবা হই আমি ধীর,আমি শুধু বাংলাদেশের নয়,আমি সমগ্র পৃথিরীর ।

মো: নিজাম গাজী

আমি ঐ সৃষ্টিকর্তারই সৃষ্টি,আমি তারই বান্দা, আমি শুধু বাংলাদেশের নয় আমি সমগ্র পৃথিবীর বাসিন্দা। গাজী পরিবারে আমি জন্মগ্রহন করেছি বলে আমি শুধু গাজী পরিবারের নয়, আমার জন্ম এই পৃথিবীর সর্বময়। শুধুমাত্র সোনাখালী গ্রামে আমার জন্ম নয়, আমার জন্ম পৃথিবীর সর্বময়। এই গ্রাম এই দেশের নয় আমি শুধুমাত্র, আমি এই সারা দুনিয়ারই ছাত্র। শুধুমাত্র একটি মহল্লায় আমার আগমন নয়, আমার আগমন বিশ্বময়। হই আমি ধীর হই আমি মহাবীর, আমি শুধু বাংলাদেশের নয় আমি সমগ্র পৃথিবীর।

মো: নিজাম গাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

হরতালে বেতাল

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১:১৮

হরতাল! শব্দটি শুনলে কেমন যেন আঁতকে উঠতে হয় । হরতাল মানেই বেতাল । বাংলাদেশের হরতাল,মনে হয় যেন এক ভয়াবহ দাজ্জাল । এই দাজ্জাল রুপী হরতাল এখন পর্যন্ত কেড়ে নিয়েছে অনেক মানুষের প্রান । হরতাল শব্দটির মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায় আগুন,ভাংচুর,খুনসহ আরো অনের বিশৃঙ্খলা । পবিত্র সংবিধানে কী এই ভয়াবহ হিংস্র মানুষ হত্যার হরতালের কথা বলা হয়েছে?নাহ,পবিত্র সংবিধান তা বলতে পারে না । গনতন্ত্র টিকিয়ে রাখার জন্য হরতাল অপরিহার্য । কিণ্তু এই ভয়াবহ হিংস্র মানুষ হত্যার দাজ্জাল রুপী হরতাল কখনও গনতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখতে পারে না । বরং আরো এই জঘন্য হরতাল গনতন্ত্রকে ধ্বংষ করে দেয় । দেশের সর্বোচ্চ আইন সংবিধানে যে হরতালের কথা বলা হয়েছে,সে হরতালের মূল উদ্যেশ্য ও মূল কথা হল গনতন্ত্রকে সুসংহত করার জন্য ও জনগনের পূর্ন অধিকার ও মর্যাদা বা নির্দিষ্ট কোনো দাবি দাওয়া বা কোনো আইনকে পরিবর্তন,পরিমার্জন বা সংশোধনের জন্য শান্তিপূর্ন ভাবে সাময়ীক সময়ের জন্য সুশৃঙ্খলভাবে মানব বন্ধন,সাময়ীক অবরোধ বা শান্তিপূর্নভাবে সমাবেশ ও মিছিল মিটিং ইত্যাদি করে সরকারের উপর কিছুটা চাপ সৃষ্টি করা অথবা সরকারকে শান্তিপূর্নভাবে কিছু প্রস্তাবনা পেশ করা । কিণ্তু আমাদের দেশের কতিপয় রাজনৈতিক দলগুলো তাদের নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য সেই শান্তিপূর্ন হরতালকে,আগুন,ভাংচুর ও মানুষ হত্যাসহ নাণান ধরনের বিশৃঙ্খলায় পরিনত করে । জামায়াত-বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো শান্তিপূর্ন হরতালের নির্দেশ দিয়ে,দেশের মানুষকে যে অশান্তিপুর্ন,ভয়াবহ,নিকৃষ্ট ও জঘন্য হরতাল উপহার দেয়,তার মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায় সংবিধান বহির্ভুত খুন,আগুন,ভাংচুরসহ বিভিন্য ধরনের অন্যায়,অপরাধ,বিশৃঙ্খলা ও অশান্তি । আর এই সব হরতালে জনগনকে পরতে হয় বেতালে । এইসব রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে আমার প্রশ্ন খুন,ভাংচূর,আগুন,বিশৃঙ্খলা যদি শান্তিপূর্ন হরতাল হয়ে থাকে,তাহলে অশান্তিপূর্ন হরতালের রুপগূলো কেমন?এইসব রাজনৈতিক দলগুলো সংবিধান বহির্ভুত ও মানবতা বিরোধী হরতাল দিয়ে,দেশকে ৮ম তম নরকে পরিনত করতে চায় । এ বছর বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরিক্ষায় শিক্ষার্থীদের রেকর্ডসংখ্যক অকৃতকার্য হওয়ার পিছনে এই সব দলগুলো সবচেয়ে বেশি দায়ী । এইসব রাজনৈতিক দলগুলো শিক্ষার সবচেয়ে বড় দুশমন । যখনই পরীক্ষা শুরু হয়,তখনই পূর্ন শক্তি নিয়ে হরতালের আবির্ভাব ঘটে । পিএসসি,জেএসএসি,এসএসসি,এইচএসসি,ডিগ্রী,অনার্স এমনকি ভর্তি পরীক্ষাসহ দেশের সকল পাবলিক পরীক্ষার সময় এইসব শিক্ষার দুশমনরা শিক্ষাকে ধ্বংষ করার জন্য,হরতাল দিয়ে শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক মনোবল সম্পূর্ন ধ্বংষ করে দেয় । বুঝিনা এরা শিক্ষার প্রতি এত ক্ষীপ্ত কেনো?বাংলাদেশে বিদ্যমান অর্থনৈতিক সমস্যার পিছনে ও এই সংবিধান বহির্ভূত হরতাল অন্যতম দায়ী । কারন একদিনের হরতালে কোটি কোটি টাকা লোকসান হয় । জনজীবন অতিষ্ঠ ও স্থবীর হয়ে পরে । সাধারন মানুষদের না খেয়ে থাকতে হয় । হরতালে শুরু হয় এক চরম বেতাল । অনেক মায়ের কোল খালি করে দেয় এই সংবিধান বহির্ভূত হরতাল । আসলে এইসব রাজনৈতিক দলের নেতারা হচ্ছেন নিরব ঘাতক (সাইলেন্ট কিলার) । এদের বিরুদ্ধে সংবিধান অবমাননার মামলা হওয়া উচিৎ । পবিত্র ইসলাম ধর্মানুযায়ী বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হত্যার চেয়েও জঘন্য । আর এরাতো দেশে হরতাল দিয়ে ভয়াবহ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে থাকে,তাই এদেরকে হত্যাকারী ও বলা যায় । প্রতক্ষভাবে এরা খুনি না হলেও পরোক্ষভাবে এরা খুনি(হত্যাকারী) । হরতাল শেষে এইসব রাজনৈতিক দলের মূখোপাত্রগন সংবাদ সম্মেলন করে বলে থাকেন যে,তারা নাকি সারাদেশে শান্তিপূর্নভাবে হরতাল পালন করেছেন । বাহ! দারুন! এসব রাজনৈতিক দলগুলোর নিকট হতে শান্তির নতুন এক সংজ্ঞা পেলাম । আর তা হল-খুন আগুন,ভাংচুর,রেললাইন উপড়ে ফেলা ও সকল ধরনের বিশৃঙ্খলাকে শান্তি বলা হয়! তাই নয় কী?এইসব রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের কাছ থেকে,অশান্তির সংজ্ঞাটা আমার বড় জানতে ইচ্ছা করতেছে । মানুষ হত্যা করা যদি শান্তি হয়,তাহলে অশান্তি কী?অশান্তির দেখাটা কী এই দুনিয়ায় পাওয়া যাবে,না পরকালে নরক বা জাহান্নামে গিয়ে অশান্তির দেখা মিলবে?এই সব নেতাদের শান্তির সংজ্ঞা অনুযায়ী আমার যা মনে হয়,নরক বা জাহান্নামেও অশান্তির দেখা মেলা বড় কষ্টসাধ্য হবে । মানুষ হত্যা করা যদি শান্তিপূর্ন হরতাল হয়ে থাকে,তাহলে অশান্তিপূর্ন হরতালটা কেমন হবে?সেই অশান্তিপূর্ন হরতালের রুপ,গন্ধ,স্বাদ ও ধরন কেমন হবে?সেই অশান্তিপূর্ন হরতালে আপনারা (নেতাগন) একজন লোককে কী একবার হত্যা করবেন,না বারবার?আমার যা মনে হয় অশান্তির দেখা পাওয়া এই দুনিয়ায় সম্ভব নয়,কারন মানুষ হত্যা করা যদি শান্তি হয়ে থাকে,তাহলে আমরা কী করে এই দুনিয়ায় অশান্তির দেখা পাই?এরা নাকী আবার ইসলাম ধর্মকে রক্ষা করে! আমি ধিক্কার জানাই এইসব অশান্তির সংজ্ঞা না জানা ইসলামের দুশমন নিরব ঘাতকদের । হরতালকে বন্ধ করার জন্য নতুন আইন করার তো কোনো দরকার নেই । কারন হরতালের জন্য তো নির্দিষ্ট আইন সংবিধানে রয়েছে । হরতালের দিনে আমরা যেসব সংবিধান বহির্ভূত কান্ড দেখি,সেগুলো হরতালের আওতাভূক্ত হিসাবে বিবেচনা করা তো চরম ভুল । কারন সংবিধানে খুন,ভাংচুর,আগুন,বিশৃঙ্খলা ইত্যাদি হরতালের আওতাভূক্ত নয় । হরতালের দিনে সকল প্রকার অন্যায় ও অপরাধ দেশের অন্যসব দিনের ন্যয় স্বাভাবিক অন্যায় ও অপরাধ হিসেবেই বিবেচিত হবে,এবং দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ীই এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে । সরকারের প্রতি আমার অনুরোধ,হরতালের দিনে সংবিধান বহির্ভূত কোনো প্রকার অপ্রীতিকর র্ঘটনা ঘটলে,তার বিরুদ্ধে যেন সরকার দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহন করে । দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করার দায়িত্ব সরকারের,তাই হরতালের দিনে কোনো অপরাধী পাড় পেয়ে গেলে তার সম্পূর্ন দায়ভার সরকারেরই নিতে হবে । তাই দয়া করে আইন অনুযায়ী সকল অন্যায়কে প্রতিহত করুন । মূলত হরতালে বেতাল চাইনা আমরা শান্তি চাই । সংবিধান বহির্ভূত মানুষ হত্যার এই হরতালের বিরুদ্ধে সরকারসহ দেশের সকল জনতাকে আমি সোচ্চার হওয়ার আহ্ববান জানাচ্ছি । আমাদের এই সোনার বাংলাদেশ থেকে যেন সকল প্রকার অন্যায় ও অপশক্তি ধ্বংষ হয়ে সত্যিকার শান্তি ও আইনের শাসন বাস্তবায়িত হয়ে,সংবিধান বহির্ভূত মানুষ হত্যার হরতাল বন্ধ হয়-এই প্রত্যাশা আমাদের।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:৪৮

খেলাঘর বলেছেন:

এগুলো হরতাল নয়, পলাশীর যুদ্ধ

২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১:০৪

মো: নিজাম গাজী বলেছেন: YOU ARE RIGHT DEAR.THANKS A LOT.

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.