নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

।হই আমি বীর অথবা হই আমি ধীর,আমি শুধু বাংলাদেশের নয়,আমি সমগ্র পৃথিরীর ।।হই আমি বীর অথবা হই আমি ধীর,আমি শুধু বাংলাদেশের নয়,আমি সমগ্র পৃথিরীর ।

মো: নিজাম গাজী

আমি ঐ সৃষ্টিকর্তারই সৃষ্টি,আমি তারই বান্দা, আমি শুধু বাংলাদেশের নয় আমি সমগ্র পৃথিবীর বাসিন্দা। গাজী পরিবারে আমি জন্মগ্রহন করেছি বলে আমি শুধু গাজী পরিবারের নয়, আমার জন্ম এই পৃথিবীর সর্বময়। শুধুমাত্র সোনাখালী গ্রামে আমার জন্ম নয়, আমার জন্ম পৃথিবীর সর্বময়। এই গ্রাম এই দেশের নয় আমি শুধুমাত্র, আমি এই সারা দুনিয়ারই ছাত্র। শুধুমাত্র একটি মহল্লায় আমার আগমন নয়, আমার আগমন বিশ্বময়। হই আমি ধীর হই আমি মহাবীর, আমি শুধু বাংলাদেশের নয় আমি সমগ্র পৃথিবীর।

মো: নিজাম গাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মানে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে শুধুমাত্র ধর্মগ্রন্থ নামে নতুন কোর্স খোলা উচিত ।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৪০


বাংলাদেশে মুসলমানগন সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও বাংলাদেশের নীতিতে অসাম্প্রদায়িকতা পরিলক্ষিত । যেটি একটি দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সহায়ক । গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও এটি ইতিবাচক । অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মানের ক্ষেত্রে বর্তমান সরকার সত্যিই প্রশংসার দাবিদার । কিন্তু অতি দুঃখজনক হলেও সত্য যে বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রে যথেষ্ট সাম্প্রদায়িকতা পরিলক্ষিত । যেটি মনুষত্য বিকাশ ও মানবতার জন্য হুমকীস্বরুপ । কেননা আমরা যে যে ধর্মেরই অনুসারী হইনা কেনো আমাদের প্রত্যেকের প্রত্যেকটি ধর্ম সম্পর্কে জানা একান্তই আবশ্যক । আমি মুসলমান তাই আমি শুধুমাত্র ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে জানি কিন্তু অন্যসব ধর্ম সম্পর্কে কিছুই জানিনা তাহলে কি করে আমি আমাকে শিক্ষিত হিসেবে দাবি করি? এটি আমাকে খুবই প্রশ্নবিদ্ধ করে । ইসলামধর্ম+হিন্দুধর্ম+বৌদ্ধধর্ম+খ্রীষ্টানধর্ম=ধর্মগ্রন্থ চাই । কারন সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই । আজ আমাদের দেশের শিক্ষিত সমাজের যদি প্রত্যেক ধর্ম সম্পর্কে সঠিক ধারনা থাকতো তাহলে এদেশে কখনও ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি,হানাহানি,মারামারি,কাটাকাটি হতনা । আমাদের দেশের শিক্ষার্থীগন যদি সবধর্ম সম্পর্কে জ্ঞানার্জন না করতে পারে তাহলে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ কিভাবে গড়া সম্ভব? তাই বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে সকল ধর্মের সমন্বয়ে শুধুমাত্র ধর্মগ্রন্থ নামে আলাদা একটি কোর্স খোলা উচত । শতকরা ১০০ শতাংশ মানুষই ঐ ধর্মের অনুসারী হয় যে ধর্মের অনুসারী তার মা,বাবা অথবা তার পূর্বপুরুষগন থাকে । অবশ্যই অনেকে বিভিন্ন কারনে অথবা তার স্বেচ্ছায় ধর্মান্তরিত হয়,যেটি ব্যতিক্রম । একজন মুসলমানের নিকট তার ইসলাম ধর্মের দৃষ্টিকোন থেকে তার ইসলাম ধর্ম যেমন সত্য ও পবিত্র অনুরপ একজন হিন্দু,বৌদ্ধ,খ্রিষ্টানের নিকটও তাদের স্বস্ব ধর্মের দৃষ্টিকোন থেকে তাদের স্বস্ব ধর্মও সত্য ও পবিত্র । যেটি আমাদের মানবধর্মের অর্থাৎ মনুষত্যের দৃষ্টিকোন থেকে বোঝা উচিত । আমার ধর্ম আমার নিকট আর অপরের ধর্ম অপরের নিকট । প্রত্যেক ধর্মেই শান্তির কথা বলা হয়েছে । পৃথিবীর কোনো ধর্মে অশান্তির কথা বলা হয়নি । অশান্তি দাঙ্গামা,হাঙ্গামা মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হওয়ার অন্যতম কারন হচ্ছে নিজ ধর্ম সম্পর্কে অধিক জানা এবং অন্য ধর্ম সম্পর্কে কিঞ্চিত জানা । আর এই জানা এবং অজানাই সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করার মূল হাতিয়ার । কে মুসলমান,হিন্দু বৌদ্ধ,খ্রিষ্টান তা বিবেচ্য নয়,কেননা সবারই সমান সম্মান । কেননা আমরা সবাই মানুষ । আমি আমার ধর্ম পালন করবো শন্তিপূর্নভাবে অন্যরাও অন্যদের ধর্ম পালন করবে শান্তিপূর্নভাবে । আর এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষিত করে গড়ে তোলার জণ্য বিশ্ববিদ্যালয়েসমূহে ধর্মগ্রন্থ কোর্স খোলা একান্তই আবশ্যক বলে আমি মনে করি । আমি নির্দিষ্ট একটি ধর্মের অনুসারী হলেও আমার প্রত্যেকটি ধর্ম সম্পর্কে জানার অধিকার রয়েছে । কেননা আমি যদি প্রত্যেক ধর্ম সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে পারি তাহলে প্রত্যেক ধর্মের প্রতি আমার শ্রদ্ধাবোধ বেড়ে যাবে । আমরা অন্যসব ধর্ম সম্পর্কে সঠিকভাবে জানিনা বলে আমরা সেসব ধর্ম সম্পর্কে কটুক্তি করি । মনে রাখতে হবে আমরা যে যে ধর্মেরই অনুসারী হইনা কেনো আসরা প্রত্যেকেই মানুষ । আর মানুষ হিসেবে আমাদের প্রত্যেক ধর্ম সম্পর্কে জানা একান্তই আবশ্যক । তাই বাংলাদেশ সরকারের প্রতি অনুরোধ রইল বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সব ধর্মের সমন্বয়ে ধর্মগ্রন্হ নামে নতুন কোর্স প্রবর্তন করার । আর এটি ভবিষ্যতে কাজে লাগবে । কেননা ভবিষ্যতে প্রাথমিক,মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে উক্ত বিষয় সম্পর্কে পড়ানোর প্রয়োজন হতে পারে । প্রত্যেক মানুষ সকল পবিত্র ধর্ম সম্পর্কে সঠিকভাবে জেনে শুনে সুখে শান্তিতে বসবাস করুক এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলুক- সেটাই প্রত্যাশা করি ।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৪৬

বিজন রয় বলেছেন: দেখা যাক ধর্ম মানুষকে কোথায় নিয়ে যায়।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:১৭

মো: নিজাম গাজী বলেছেন: dekha jak.thanks dear..

২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:১০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

আপনি কি অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর "জাতীয় শিক্ষা নীতি প্রনয়ন কমিটি" সম্পর্কে জেনেছেন?


শিক্ষার প্রয়োজন ব্যবহারিক ও সৃজনশীলতার আলোকে। সেটাই মূল লক্ষ্য হওয়া কি উচিত নয়। নৈতিকতা ও মুল্যবোধ অভাব দূর করতে সমাজের শুদ্ধাচার অভিযান দরকার।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:১৬

মো: নিজাম গাজী বলেছেন: You Are Right Dear..

৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:১৮

কুহুক বলেছেন: একদম ঠিক বলছেন

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:২৩

মো: নিজাম গাজী বলেছেন: Thanks Dear Writer..

৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:১৯

কুহুক বলেছেন: ইসলামধর্ম+হিন্দুধর্ম+বৌদ্ধধর্ম+খ্রীষ্টানধর্ম=ধর্মগ্রন্থ চাই

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:২৪

মো: নিজাম গাজী বলেছেন: Thanks Dear Writer..

৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৯

জাহিদ অনিক বলেছেন: একমত নই । সাংবিধানিকভাবে এদেশ অসাম্প্রদায়িক হলেও বিগত কয়েক বছর ও বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ আর অসাম্প্রদায়িক নেই । আপনার উল্লেখিত প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে কোন সুফলের মুখ দেখি না । উন্নত বিশ্বের যেসব দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা অনেকটা নেই বললেই চলে সেসব দেশে কয়টা ভার্সিটি / কলেজের ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করেছে ?
এদেশ থেকে সাম্প্রদায়িক মারামারি উঠে যেতে প্রয়োজন আরো এক-দেড়শ বছর । যতদিন না নৈতিকতা মানুষের মধ্য জাগ্রত হচ্ছে।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৭

মো: নিজাম গাজী বলেছেন: Thanks Dear Writer..

৬| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৬

অন্তু নীল বলেছেন:
ভালো লিখেছেন।

তবে ধর্মকে নিয়ে অসাম্প্রদায়ীক হওয়া এই দেশে মনেহয় সম্ভব নয়। কারণ হাতে গোনা কিছু সংখ্যক ছেলে মেয়েরাই এই বিষয়ে পড়ার সুযোগ পাবে।

এর চেয়ে বরং অসাম্প্রদায়ীকতার বিজটা পরিবার থেকেই রোপোন করতে হবে। কারণ ধর্মে সাম্প্রদায়ীকতার ভুতটা ছোটো বেলাতেই ঢোকানো ময় মাথায়। স্লো পয়োযনিং এর মত কাজও করে।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৩

মো: নিজাম গাজী বলেছেন: Thanks Dear Writer..

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.