নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

।হই আমি বীর অথবা হই আমি ধীর,আমি শুধু বাংলাদেশের নয়,আমি সমগ্র পৃথিরীর ।।হই আমি বীর অথবা হই আমি ধীর,আমি শুধু বাংলাদেশের নয়,আমি সমগ্র পৃথিরীর ।

মো: নিজাম গাজী

আমি ঐ সৃষ্টিকর্তারই সৃষ্টি,আমি তারই বান্দা, আমি শুধু বাংলাদেশের নয় আমি সমগ্র পৃথিবীর বাসিন্দা। গাজী পরিবারে আমি জন্মগ্রহন করেছি বলে আমি শুধু গাজী পরিবারের নয়, আমার জন্ম এই পৃথিবীর সর্বময়। শুধুমাত্র সোনাখালী গ্রামে আমার জন্ম নয়, আমার জন্ম পৃথিবীর সর্বময়। এই গ্রাম এই দেশের নয় আমি শুধুমাত্র, আমি এই সারা দুনিয়ারই ছাত্র। শুধুমাত্র একটি মহল্লায় আমার আগমন নয়, আমার আগমন বিশ্বময়। হই আমি ধীর হই আমি মহাবীর, আমি শুধু বাংলাদেশের নয় আমি সমগ্র পৃথিবীর।

মো: নিজাম গাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাল্যবিবাহ এবং সার্বিক দুর্নীতি নিরসনে বিবাহ আইন সংশোধন করা জরুরি।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:০০




বাংলাদেশের বিবাহ ব্যবস্থা অত্যন্ত নিম্নমানের। রাষ্ট্র তথা আদালতের স্বিকৃতি ছাড়া আমাদের দেশে হঠাৎ করে একজন নারী ও পুরুষ এক সাথে বসবাস করার সুযোগ পায়। বাংলাদেশের বর্তমান বিবাহ ব্যবস্থা দেখলে মনে হয় বিবাহ একটি ছেলেখেলা মাত্র। তাই বাংলাদেশের সার্বিক দুর্নীতি নিরসনে এবং রাষ্ট্র কর্তৃক স্বিকৃতি প্রদানে বিবাহ আইন সংশোধন করা জরুরি। নিম্নে সংক্ষেপে উক্ত বিবাহ আইনের কাঠামো তুলে ধরা হলোঃ-

১) বিবাহ করতে হলে প্রথমেই বর এবং কনেকে নিকটস্থ যেকোনো আদালতে জাতীয় পরিচয়পত্র এবং প্রয়োজনীয় সকল প্রকার কাগজপত্র সহ আদালতের দ্বারস্থ হতে হবে । আদালত বর এবং কনের জীবনের সকল কিছু যাচাই বাছাই করে তাহারা যদি বিবাহ করার উপযুক্ত হয় তাহলে তাদেরকে বিবাহ করার আদেশ প্রদান করিবে। এবং আদালত তাহারা বিবাহের উপযুক্ত বলে এই মর্মে একটি সনদপত্র প্রদান করিবে। ফলে তাহারা বিবাহ করার জন্য রাষ্ট্রীয় স্বিকৃতি পাইবে। এবং এরপরে তাহারা তাদের নিজ নিজ ধর্মানুযায়ী অন্যান্ন আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করিতে পারিবে।

২) বর এবং কনের উভয়ের সম্মতিক্রমে মেডিকেল পরিক্ষা করাতে হইবে। তবে এটি বাধ্যতামূলক নয়। এটি উক্ত বিবাহ আইনে ঐচ্ছিক বলে বিবেচিত হইবে।

২) আদালত তার দায়িত্বে বর এবং কনেকে তাদের স্বস্ব জাতীয় পরিচয়পত্রে বিবাহিত বলে অবশ্যই সংযোজন করিবে।

৩) বর অথবা কনের নামে কোনো প্রকার ফৌজদারি মামলা প্রকিয়াধীন থাকলে তিনি বা তাহারা ৬ মাসের জন্য বিবাহে অনুপযুক্ত বলে বিবেচিত হইবে। মামলা শেষ হওয়ার ৬ মাস পরে তিনি বা তাহারা বিবাহে উপযুক্ত বলে বিবেচিত হইবে।

৪) বর এবং কনের তাদের স্বস্ব জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকিলে তাহারা বিবাহে অনুপযুক্ত বলে বিবেচিত হইবে।

৫) আদালতের সনদপত্র ছাড়া কোনো প্রকার বিবাহ হয়ে থাকলে সেটি রাষ্ট্র বিরোধী এবং এটি আইনত দন্ডনীয় অপরাধ বলে বিবেচিত হইবে।

৬) অবশ্যই বর এবং কনের যাবতীয় তথ্যাদি তাদের নিজ নিজ জাতীয় পরিচয়পত্রে সংযোজন করিতে হইবে।

৭)প্রয়োজনে উপজেলা/থানা পর্যায়ে বিবাহ আদালত স্থাপন করা হইবে।

৮) অবিভাকদের উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক নহে।

উপকারিতাঃ-

১) কোনো সন্ত্রাস বিবাহ করতে পারবে না। ফলে দেশ থেকে দুর্নীতি নির্মূল হবে।

২) বাল্য বিবাহ এবং বহুবিবাহ একেবারে জিরোতে নেমে আসবে।

৩) কোনো বিবাহিত ব্যক্তি তাকে অবিবাহিত বলে দাবী করতে পারবে না। কেননা তার আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে তার জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে জেনে নেওয়া যাবে তার বৈবাহিক অবস্থা।

৪) মেয়েরা মিথ্যাবাদী ও হঠকারীদের কবল থেকে মুক্তি পাবে।

৫) যৌতুক প্রথা হ্রাস পাবে ।

৬) সর্বোপরি বর এবং কনে রাষ্ট্র কর্তৃক বৈধ স্বিকৃতি পাবে এবং দেশ থেকে দুর্নীতি নির্মূল হবে।

আমাদের প্রত্যেকের মনে রাখতে হবে যে,শুধুমাত্র সামাজিক ও ধর্মীয় স্বিকৃতি নয় বরং সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্র দ্বারা ও বিবাহে আইনানুগ স্বিকৃতি একান্ত প্রয়োজন । এমন একটি যুগোপযোগী বিবাহ আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশকে দূর্নীতিমূক্ত করে দেশ সত্যিকার ডিজিটাল বাংলাদেশে রুপান্তরিত হোক-সেটাই প্রত্যাশা করি।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৭

আবু আফিয়া বলেছেন: একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা আলোচনা করার জন্য লেখককে ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.