নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এন জে শাওন

আমি মানুষ, আমি মুসলিম, আমি বাংলাদশি, আমি বাঙালি । সব মিলেই আমি।

এন জে শাওন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুত্রবিসর্জনে অভিনব নিয়ম ও ধর্মীয় এবং সাম্প্রদায়িক সমস্যা

০৬ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:০৩

আমাদের সরকার, সরকার বলতে ধর্ম মন্ত্রনালয় রাস্তারপাশে মুত্রত্যাগ বন্ধ করতে এক অভিনব পদ্ধতি আবিষ্কার করেছে, তারা দাবি করেছে এই পদ্ধতি অনেক কাজে দিচ্ছে, এমনকি তারা ভিডিও ও আপলোড করেছে। আসলেই পদ্ধতি টা দিয়ে অনেকাংশ এই নির্লজ্জ কাজ বন্ধ করা সম্ভব। এইবার আসেন পদ্ধতি টা বলি, তারা ঠিক করেছে প্রত্যেক ওয়ালে আরবি লেখা দিবে, আর বাংলাদেশের মানুষ যেহেতু আরবিকে সম্মান করে তাই তারা এখানে এই বিসর্জনের কাজ টি করবেনা। তারা আরো বলেছে ওখানে লিখে দিবে টয়লেট কোথায়। এটা ভাল হলেও, প্রথম টা নিয়ে আমার সংশয় আছে। এতে একজন মুসলিম হিসেবে অপমানিত ও বাঙালী হিসেবে আমরা অসাম্প্রদায়িক হতে পারবনা। আমার বিবেচনায় নিচে কিছু সমস্যা তুলে ধরলাম।
১) এতে আরবি কে অসম্মান করা হবে। আমাদের মাদ্রাসার পোলাপাইন গুলা যখন পরীক্ষা দিতে যায় অনেক পোলাপাইন আরবি নকল করে, তারা আন্ডারগার্মেন্টস এ নকল রাখতেও দিধা করেনা। এখন তারা মাদ্রাসা এর ছাত্র হয়েও যখন আরবি এর এই অপমান করতে পারলনা, তখন প্রবলবেগে থাকা দিনে নামাজ না পড়া একটা লোক সম্মান করবে???
২)এখন এন্টি-মুসলিম রা কিছু হলেই ওই লেখার গায়ে প্রস্রাব করবে। তারপর মুসলিমরা তার বিচারের জন্য রাস্তায় নামবে, কেন এত ভেজাল বাড়াইতে চান?? দেশে কি ভেজাল কম হইয়া গেসে।
৩) আরবি লেখার একটা হরফের জন্যও অর্থের অনেক পরিবর্তন হয়।বাংলাদেশে যে গনহারে দেয়ালে পোস্টার লাগায় লেখার উপর পোস্টার পড়বেই, তখন কি এর অর্থটা মন্ত্রনালয়ের কআছে ফোন করে জিজ্ঞেস করব?? আর পোস্টারে চলিতেছে,,,, **** অভিনীত,,, তার উপর অর্ধনগ্ন ছবি। তখন মুসলিম হিসেবে আপনি মেনে নিবেন???
৪) বাঙালি একটা অসাম্প্রদায়িক জাতি। এখানে প্রায় ১১% অমুসলিম। তার মানে প্রায় ২ কোটি এর মত অমুসলিম। তারা কি আরবি রে সম্মান করে। নাকি তারা রাস্তার পাশে প্রস্রাব করেনা। এখন সরকার আরবিরে লেখা দেওয়াতে হিন্দুরা যদি দাবি করে সংস্কৃত ভাষায় লিখতে হবে। তখন আরবি এর পাশে সংস্কৃত, কোনটার সম্মান থাকবে? আর সসরকার এক ধর্ম এর দিবেত অন্য ধর্ম কি দোষ করেছে? সং্খ্যা লঘু বলে।
৫)আরবি এর অর্থ বুঝে এই রকম লোক বাংলাদেশে খুবই কম,হাজারে একজন,, তো দেয়ালে কি লিখবে তা সবাই বুজবে কিভাবে?? তারা কি সুরা লিখবে নাকি অন্যকিছু তা বুঝার ক্ষমতা হাজারে একজনের ওনেই। আর বাংলা ভাষায় যেরকম গালি আছে আরবিতেও তো গালি আছে,,,
আচ্ছা মানলাম তাদের এই পদ্ধতি কাজে দিবে। তাইলে আমি আরও কিছু প্রস্তাব দেই।
টাকার মাঝে আরবি লেখা হোক তাইলে আর চুরি,ডাকাতি,ঘুষ নিবেনা মানুষ। বিভিন্ন ফাইল পত্রে ও লেখা হোক তাইলে আর ওগুলাতে দুর্নীতি করবেনা।।
@আপনাদের ও মনে যদি অন্য কোন সমস্যা আসে তাইলে কমেন্টে জানান,প্রস্তাবনা আসলেই জানিয়েন।@
[মোবাইল দিয়ে লেখার কারনে কিছু বানান ভুল থাকতে পারে আশা করি ক্ষমা করবেন। ]
লেখকের ফেসবুক একাউন্ট
http://facebook.com/nj.shawon.7

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:৫০

এন জে শাওন বলেছেন: প্রথম লেখার কারনে অনেক নিয়মে ভুল আছে। আশা করি পরের পোস্ট এ অনেকটাই ঠিকভয়ে যাবে।

২| ০৭ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:২৭

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন:
দ্বিমত প্রকাশ করলাম। এইটা একটা অভিনব উদ্যোগ। সফল হয় নাকি দেখতে অসুবিধা কই?

০৭ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:৩৪

এন জে শাওন বলেছেন: সফল তো হবেই। তয় তাইতো কিছু প্রস্তাব ওরাখছি।

৩| ০৭ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:৩৯

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: গনহারে সবকিছুতে করা যাবেনা। তাইলে গা সওয়া হইয়া যাবে। কোনকিছুতেই কামে দিবেনা। আগে একটারেই দ্যাখেন।

৪| ০৭ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:৪১

এন জে শাওন বলেছেন: হুম দেখি।

৫| ০৮ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১:০৪

শাশ্বত স্বপন বলেছেন: অজ্ঞ মানুষের দেশে ধর্মকে দিয়ে কী না করানো যায়।

তবে শহরে যে পরিমাণ মসজিদ আছে, তার একশ ভাগের একভাগও শৌচাগার নেই। একটা পুরুষ মসজিদের টয়লেটে সহজেই যেতে পারে, কিন্তু একটা নারী ? সম্ববত, ইসলাম একটি মাত্র ধর্ম, যে ধর্মের উপাসনালয়ে নারী-পুরুষ একসাথে যেতে পারে না। তবে কোন কোন মসজিদে নারীরা আলাদাভাবে নামাজ আদায় করে।

১০ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:২৩

এন জে শাওন বলেছেন: হুম ইসলাম ই একমাত্র ধর্ম যেখানে নারী পুরুষ একসাথে যেতে পারেনা। কারন নারী পুরুষ একসাথে যখন পুজা তে যায় তখন ভীড়ের ভিতরে যা হয় তা যেন না হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.