নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এন জে শাওন

আমি মানুষ, আমি মুসলিম, আমি বাংলাদশি, আমি বাঙালি । সব মিলেই আমি।

এন জে শাওন › বিস্তারিত পোস্টঃ

পৃথিবীর সবচেয়ে অসুন্দর মহিলা লিজ্জি ভেলাসকুয়েজ : একটা অদম্য মানবী ও অনুপ্রেরণার গল্প

১৫ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:০৭


গুগলে পৃথিবীর সবচেয়ে অসুন্দর মহিলা লিকে সার্চ দিলে যে নাম টি আসবে তা হল
লিজ্জি ভেলাসকুয়েজ। ২৫ বছর
বয়সী এই নারীর জন্ম ১৯৮৯ সালে আমেরিকার টেক্সাসে। জন্মের
পর থেকেই দুরারোগ্য ব্যাধিতে
আক্রান্ত লিজ্জি। যে ব্যাধিতে
তার দেহের ওজন বাড়েনা কখনই। বর্তমানে জানামতে মাত্র ৩ জন রোগী ই এই রোগে আক্রান্ত।
মাত্র ৬৫ পাউন্ড ওজনের
অধিকারী তিনি। জন্মের সময় ও ছিলেন মাত্র ১২৫২ গ্রাম ওজনের।

এক চোখে অন্ধ
এই লিজ্জির কপালে জুড়েছে
দুনিয়ার সবচেয়ে কুৎসিত মহিলার
খেতাব।
তার বয়স তখন ১৭ বছর। ইউটিউব
ঘাটাঘাটি করছিলেন লিজ্জি।
হঠাৎ চোখে পড়ল আপলোড করা
একটি ভিডিও। শিরোনাম,
“দুনিয়ার সবচেয়ে কুৎসিত
মহিলা।” আর সেখানে নিজেরই
ছবি। একজন কমেন্ট করল, “মাথায়
বন্দুক ঠেকিয়ে মরে যাও,
পৃথিবীকে মুক্ত কর।” দুচোখের
কোণে জল ছলছল করার কথা ছিল
লিজ্জির।
কিন্তু সেদিনটিই ছিল তার
জীবনের স্মরণীয় দিন। কেমন
একটা ক্ষোভ চেপে ধরল তাকে।
দুনিয়াকে দেখিয়ে দেবেন
তিনি। বিশ্বকে নতুন কিছু উপহার
দিতে দারুণ সব প্ল্যান নিয়ে
অগ্রসর হতে থাকলেন তিনি।
ডিসেম্বর ৫, ২০১৩। ‘টেড
টক’ (আইডিয়া শেয়ারের জন্য
ছোট বক্তব্য,যেখানে মানুষ নিজের দুখ প্রকাশ করে) এ কথা বললেন তিনি।
অস্টিনে দেয়া তার ওই বক্তব্য
বিশ্বের বুকে আলোড়ন তুলল। তার সেই ভিডিও টি এখন পর্যন্ত প্রায় ৫.৯+ মিলিয়ন লোক দেখেছ। একজন
সেলিব্রিটি হিসেবে
আত্মপ্রকাশ করলেন লিজ্জি।
বক্তব্যে তিনি তার ১৭ বছরের
মাথায় ঘটা সেই কাহিনী
সবাইকে বললেন। ‘ আমি স্পেশাল,
আর তাই সবাই আমাকে অন্য
চোখে দেখে। এই বিশেষ অসুখ
আমার জন্য আশীর্বাদ।’
নিজের বাবা মাকে পৃথিবীর
শ্রেষ্ঠ বাবা মা হিসেবে আক্ষা
দেন এই সেলিব্রিটি। অন্য দুই
ভাইবোনের মতই সমান অধিকার
দিয়ে লিজ্জিকে বড় করেছেন
তার বাবা মা। মা রিতা
ভেলাসকুয়েজ বলেন, ডাক্তার
আমাকে বলে মেয়ের অসুখের
কথা। নির্ধারিত সময়ের ৪ সপ্তাহ
আগেই দুনিয়াতে আসে লিজ্জি।
তার অসুখের কথা শুনে আমি
কাঁদছিলাম। প্রথম কোলে পেয়ে
জড়িয়ে আদর করছিলাম তাকে।
বাবা বললেন, কিন্টার গার্ডেন
এর প্রথম দিন কেও খেলা
করছিলনা লিজ্জির সাথে। তাও
সে দেখিয়েছে অসাধারণ আচরণ। তিনি ও তার মা মিলে ২০১০ সালে প্রথম বই প্রকাশ করেন যার নাম " লিজ্জি বিউটিফুল:দ্যা লিজ্জি ভেলাসকুয়েজ স্টোরি। এরপর তিনি তরুন-তরুনীদের উজ্জীবিত করার জন্য আরো দুটি বই লিখেন। বইগুলো হচ্ছে 'বি বিউটিফুল, বি ইউ'(২০১২), চুজিং হ্যাপিনেস(২০১৪) যার প্রথমটা স্প্যানিশ ভাষায় ও অনুবাদিত হয়। তখনকার বেস্ট সেলার বই ছিল এটি।

লিজ্জি তার ডকুমেন্টারি ফিল্ম
‘দ্যা লিজ্জি প্রজেক্ট’ এর জন্য
খেটে যাচ্ছেন অবিরাম। তিনি বর্তমানে বিভিন্ন ব্যাক্তি ও সংস্থা থেকে ডোনেশান পাচ্ছেন যা তিনি জনসেবা মুলিক কাজে লাগাচ্ছেন। তার এই অর্থের পরিনান ১কোটি ডলারের ওপরে।
জীবনযুদ্ধে হার না মানা এই
সাহসী নারী আজ কোটি কোটি
তরুণের আদর্শ। ফেসবুক, টুইটার,
ইউটিউবে লাখ ফলোয়ার তার।
বিশ্বের বুকে এক দৃষ্টান্তের নাম
লিজ্জি!
সূত্র : ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম।
ঢাকাটাইমস
উইকিপিডিয়া।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:৪০

এন জে শাওন বলেছেন: সরি,প্রথমে লিংক ভুল দিছি, তাই ছবি যুক্ত হয়নি।

২| ১৫ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:২০

ঢংপাটি বলেছেন: জীবনযুদ্ধে হার না মানা এই
সাহসী নারী আজ কোটি কোটি
তরুণের আদর্শ।দারুন

১৫ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:২৫

এন জে শাওন বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য। তার অনুসরন করা আমাদের সবার উচিত।

৩| ১৬ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:৪৯

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ

১৬ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:১১

এন জে শাওন বলেছেন: পোস্টটা পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.