নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নগরবালক এর রোজনামচা

নগরবালক

উড়তে চাই, অনেক উপরে, ভোকাট্টা ঘুড়ীর মত, অনেক উপরে.।.।.।.।।

নগরবালক › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাইকো গল্প ১ঃ উড়ালপঙ্খি

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০২



পানিতে না নামলে যেমন সাতার শিখা যায়না , দুই তিনবার আছাড় না খাইলে যেমন হাটা শিখা যায়না , তেমনি উপর থেকে লাফ না দিলে উড়া শিখা যায় না। তাই আমি লাফ দিলাম দশ তলার উপর থেকে। ফুরফুরে হিলহিলে বাতাসে আমি প্রানপনে হাত পা ছুড়াছুড়ি করতে লাগলাম, যেভাবে আমি ছোটবেলায় সাতার শিখেছিলাম পানিতে। পাঁচ তলায় আসতে আসতেই আমি বুঝতে পারলাম মানুষের পক্ষে উড়া সম্ভব না। আমার ভাগ্য খুবই ভালো, নীচে পড়ে আমার মাথাটা যখন ফট্টাস করে ফেটে গেলো তখন আমি কিছুই টের পাই নি কারন তিনতলায় নামতে নামতেই আমার মৃত্যু হয়ে গেলো হার্ট এটাকে, প্রবল আতংকে। বাংগির মত ফেটে যাওয়া মাথার ঘিলু ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছিলো রাস্তায়। মস্তিস্কের যে জায়গাটায় প্রেমিকার জন্য ভালোবাসা ছিলো যে জায়গাটায় বাবা মা ভাই বোনের জন্য আদর স্নেহ মমতা ছিলো, অর্থাৎ ঘিলুর সবচ্যে বড় অংশটা!!!! সেটা মুখে নিয়ে দৌড় দিলো পাড়ার কুকুর ভুলু। যে কুকুর কে নিজের হাতে দোকান থেকে পাউরূটি কিনে খাইয়েছি সেই কুকুর আজকে আমার মগজ দিয়ে ভুড়িভোজ করবে হা হা হা !!! বাল্য শিক্ষা , আদব কায়দা যে জায়গাতে জমা ছিলো !!!! তা ভেসে গেলো নালা দিয়ে। চার বছর যে পড়াশুনা করে আমি পরিবেশ বিজ্ঞানী হয়েছিলাম তা ছিটকে পড়েছিলো রাস্তায়। কোন এক অস্টম শ্রেণী পাশ মন্ত্রীর বড় প্রাডো গারীর চাকার নিচে পিস্ট হয়ে থ্যাতলা হয়ে প্রথম দুই বছর লেগে রইলো চাকায় আর পরের দুই বছর রাস্তার আধা মাইল জুড়ে (অনেক লম্বা পড়াশুনা) । টের পেলাম আমি উড়তে পারছি, কাক হয়ে উড়ে যেতে লাগলাম দোজখের দিকে ( দীর্ঘশ্বাস!!!!!!!) আফসোস!!! বাংলাদেশের মানুশের বেহেশতে প্রবেশের অনুমতি নাই।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.