নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নগরবালক এর রোজনামচা

নগরবালক

উড়তে চাই, অনেক উপরে, ভোকাট্টা ঘুড়ীর মত, অনেক উপরে.।.।.।.।।

নগরবালক › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেরোসিনের রং ও চাউলচোর

১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:৩২

কেরোসিন একসময় বাংলার ঘরে ঘরে খুব দরকারী কমোডিটি ছিল, হারিকেন ছিল কমন বস্তু। রাত হলে কারেন্ট থাকবেনা এটা ছিল খুবই নরমাল ব্যাপার। ঘন্টার পর ঘন্টা কারেন্ট নাই। মোমবাতি খুবই খরচান্ত ব্যাপার ছিল, কারন এক মোমবাতিতে এক লোডশেডিং যায় না। তাই দরকার হারিকেন।
যে সময়ের কথা বলছি সে সময় চার্জ লাইট ছিল বড়লোকদের জিনিশ। যাদের নানা, মামা, চাচা, বাবা মিডলইস্ট থাকে তারা একটা চার্জলাইট নিয়ে আসতো দেশে। লালরংগের, ছোট ছোট টিউব লাইট।

হারিকেনের অত্যবশ্যকিয় উপাদান হল কেরোসিন। বাসায় আলাদা একটা দড়ি লাগানো ময়লা বোতল থাকতো কেরোসিনের জন্য। বাংলাদেশের তুলনায় ইন্ডিয়ায় কেরোসিনের দাম বেশী, তাই বাংলাদেশের কেরোসিন ইন্ডিয়ায় পাচার হতো খুব। তাই সরকার সিদ্ধান্ত নিল যে কেরোসিনে রং করে দিতে হবে।
হঠাৎ একদিন খেয়াল করলাম কেরোসিন হয়ে গেছে নীল। সুন্দর কালার। চোরাকারবারিদের মাথায় হাত।

এত কথা বলার কারন হলো সরকারী ত্রান চুরী হচ্ছে। চাল ডাল আলু ত্রানের মাল খাচ্ছে চেয়ারম্যান আর মেম্বার। খোলা বাজারে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে বস্তা বস্তা ত্রানের চাল। যারা ভাগ্যবান তারা হয়তোবা পাচকেজির জায়গাতে এককেজি পাচ্ছেন।
তাই আমার উপদেশ হচ্ছে ত্রানের চাল ডাল আলু এসব রং করে দেয়া হোক। বাজারে যেনো এই চাল দেখলেই বোঝা যায় এসব চুরির মাল। লাল, হলুদ, নীল, বেগুনী যেকোন ফুডগ্রেড কালার।তাহলে হয়তোবা গরীবদের হাতে কিছু হলেও ত্রান যাবে।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


কেরোসিন মার্কা বুদ্ধি

১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৩৫

নগরবালক বলেছেন: মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ

২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:৪১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ক্ষয় হোক চোরদের

৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৪৮

সাইন বোর্ড বলেছেন: শুভ নববর্ষ ।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৩৫

নগরবালক বলেছেন: আপনাকেও নূতন বছরের শুভেচ্ছা

৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৪৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এই সময়েও যারা চুরি করে, তাদের হৃদয়ই কালো হয়ে গেছে

কোন রংয়েই তাদের ঠেকাতো পারবেনা সত্যের রং ছাড়া!
হৃদয় জাগ্রত হলেই কেবল সম্ভব-
আর দলান্ধতা ছেড়ে যদি সঠিক দৃস্টান্ত মূলক বিচার করতে পারে- তবেই কেউ চুরির কথা স্বপ্নেও ভাববে না।

করবে টা কে?
শর্ষের ভেতরেই যে ভুত!!!

১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৩৬

নগরবালক বলেছেন: সত্যের রং কি?? জনাব

৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:২২

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশে চুরী হবে। এটা কেউ বন্ধ করতে পারবে না।
ত্রানের জিনিস গুলো কেরাসিনের মতো রঙ করে দেওয়া বুদ্ধিমান হবে না।
যে বস্তা গুলোতে ত্রান সামগ্রী আছে সেগুলো তো এমনিতেই অনেক কিছু লেখা আছে। শেখ সিনার ছবি আছে।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৩৭

নগরবালক বলেছেন: সবাই যখন সমান হয়ে যাবে, ধনী গরীবে যখন ভেদাভেদ থাকবেনা,তখনই চুরী রোধ করা সম্ভব।সকল জনগনের বেসিক নিড পূরন হলেই আর চুরী হবে না।

৬| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৩৪

ক্ষুদ্র খাদেম বলেছেন: লিবিয়া তে শুনেছিলাম সরকারি গাড়ির জন্যে আলাদা করে বরাদ্দ করা কালার আছে, সাধারণ জনগণের জন্যে ঐ কালারের গাড়ি ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয়। এর পেছনে কারণ ছিল নাকি, অফিস টাইমের বাইরে সরকারি গাড়ি রাস্তায় দেখা গেলে, জনগণ তা রিপোর্ট করে। আমাদের ও এইরকম অভিনব কিছু বের করতে হবে /:)

৭| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:০৮

মা.হাসান বলেছেন: কিছু তথ্য গত ভুল আছে। কেরোসিন-ডিজেল-পেট্রোলের পাচারের মূল কারণ ছিলো এই যে ভারতে ওপেন মার্কেট হিসেবে তেলের দাম ওঠা নাম করতো, বাংলাদেশে সে সময় অনেক বেশি সাবসিডি দেয়া হতো। পাচার রোধে দাম বাড়ানো বা সরকারি ভাষায় আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সমন্বয় করা হয়।

রঙ যোগ করার কারণ আলাদা। অসাধু ব্যবসায়ীরা বেশি লাভের আশায় পেট্রোলের সাথে কেরোসিন ভেজাল মেশাতেন। এতে গাড়ির ইঞ্জিনের বড় ক্ষতি হয়। এই ভেজাল রোধে সরকার বিভিন্ন তেলে বিভিন্ন রঙ যোগ করে।

তবে আপনার আইডিয়া খুব ভালো। সরকার প্রধানও এরকম একটা ভালো নির্দেশ দিয়েছেন। সকল ত্রানের বস্তায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছবি সহ লিখতে হবে- মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর উপহার। গ্রেট পিপল থিঙক অ্যালাইক।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৪০

নগরবালক বলেছেন: জ্বী, আপনার ইনফরমেশনই সঠিক, তখন আমার হাফপ্যান্ট পড়া বয়স, এত জটিল করে জানতাম না। পাড়ার বড় ভাইদের থেকে যা শুনেছিলাম। তা কিছু কিছু মনে আছে,বিষয়টা পরিস্কার করে বুঝিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ

৮| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৮:১০

নগরবালক বলেছেন: ঘটনা কি, এত রিপ্লাই দিলাম সব মন্ত্যব্য হয়ে গেল কিভাবে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.