নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এমন ছেলে কোথায় পাবে যেমনটা এই আমি হীরার টুকরা ছেলে তো নই হীরার চেয়েও দামী
১
ক্যাফেটেরিয়ার এক কোনে বসে বসে বিস্বাধ চা খাচ্ছে ফাহিম । চায়ের পানি স্বয়ং হিমালয় চুড়া থেকে আনা বরফখন্ডের মত ঠান্ডা । তার ভেতর একমন পরিমান চিনি ঢেলে যা হয় তাই এখন তার হাতে ।ক্লাসে ঝিমঝিম লাগছিলো বলে একটু চোখ বন্ধ করতেই স্যারের চোখে পড়ে গেল সে । আমাদের স্যারেরা হুমকার দেয় ইংরেজিতে । এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হলো না । হারামজাদা , বেরিয়ে যা আমার ক্লাস থেকে না বলে স্যারেরা বলেন গেট আউট অব মাই ক্লাস ।ছাত্ররাও বাংলা ভুলে তত্ক্ষনাত বলে সরি স্যার ।
আজকে স্যারের ক্লাসটা বেশ দীর্ঘ । দেড় ঘন্টা টানা ক্লাস । সুতরাং বসে থাকলেও শারমিনের দেখা অত সহজে পাওয়া যাবে না । স্যার যখন ঝাড়ি দিচ্ছিলো তখন মেয়েটা খিলখিল করে হাসছিলো । অবশ্য কারনে অকারনে হাসাটা ওর একটা রোগ । এ পর্যন্ত ফাহিম ওর যতগুলো ক্যারিকেচার এঁকেছে তার প্রায় বেশীরভাগই হাসিমুখী । তবে আজকের হাসিটা একটু ভিন্ন । একদম গেঁথে আছে ফাহিমের চোখে । একটা ক্যারিকেচার করে টাইমটা পাস করা যায় । ব্যাগ খুলে লাল ডায়েরীটা খুজতে লাগলো সে । দুইবার খুজেও যখন পেলো না তখন মনে পড়লো ডায়েরী বোধহয় ক্লাসেই ফেলে এসেছে । এরপর খাতা থেকে একটা পাতা ছিড়ে আঁকতে লাগলো । টোল পড়া গালে হাসি একটা বিশেষ কিছু ।
২
লাল ডায়েরীটা খুলে অবাক হয়ে গেল শারমিন । ডায়েরী ভর্তি ক্যারিকেচার । প্রথমে কতগুলো চোখ , এরপর চোখ ও নাক , এরপর টোল পড়া গাল ।কিছু কার্টুন , প্রতিটা কার্টুনের নিচে একটা করে ছড়া লেখা ।শারমিন খেয়াল করে দেখলো প্রতিটা পেইজে আলাদা আলাদা দিন উল্লেখ আছে । কোন কিছুই না ভেবে শুধু এক একটা পাতা দেখছে সে । মাঝামাঝি একটা পাতায় একটা ছবি ।কয়েকটা ছেলের জটলা । অনেক দুরে একটা মেয়ের চোখ । তাতে লেখা
মেয়ে তুমি এমন করে
দুর থেকে আর তাকিয়ো না
তোমার আমার এই ব্যবধান
পুরন করো রাখিয়ো না ।
তার কিছু পাতা পরে একটা ছড়া
বাড়বে যতই
তোমার আমার দুরত্ব
বুঝবে ততই
এই প্রেমিকের গুরুত্ব ।
তারিখটা খেয়াল করলো এবার সে । এটা লাস্ট ভেকেশানের প্রথম দিন । আস্তে আস্তে পাতা উল্টাতে থাকলো সে । শেষ দিকে আবছা একটা ক্যারিকেচার । চেহারাটা প্রায় ওর মতই ।ডায়েরীটা বেশ ভালোভাবেই দেখতে লাগলো শারমিন । এর প্রথম পাতায় লেখা
উত্সর্গ
বালিকাকে
৩
কাল প্রায় সারারাত
ঘুমায়নি ফাহিম । ক্যাফেটেরিয়া থেকে ফিরে এসে দেখে তার শখের লাল ডায়েরীটা নেই । চিন্তায় তার কপালে ভাঁজ । কোন বন্ধুর হাতে পড়লে সর্বনাশ হয়ে যাবে । কাউকে বলা হয়নি যে শারমিনকে তার ভালোলাগে । ঘটনা ঘটার আগেই অনেক রটনা রটে যাবে । খুব সকাল করেই ক্লাসের দিকে ছুটলো ফাহিম । যদি নিচে কোথাও পড়ে থাকে । যেভাবেই হোক ওটা পেতে হবে তাকে । এত শখের ক্যারিকেচারের খাতা , এভাবে হারিয়ে ফেলা যায় না । নিজের উপর বেশ বিরক্ত হচ্ছে সে । ক্লাসে এসে দেখে ফাঁকা রুম । বেঞ্চের নিচে অনেক খোঁজাখোজি করে না পেয়ে হতাশ হয়ে টেবিলে বসে পড়লো সে । তার সামনের টেবিলেই লাল কি যেন দেখলো । আরে এটাতো আমার ডায়েরী । তাকিয়ে দেখলো আশেপাশে কেউ আছে কিনা । এবার চোখ রাখলো ডায়েরীতে । যাক বাবা , অক্ষতই বলতে হবে । কেউ পাতা টাতা ছেড়েনী । কিন্তু গতকালতো এটা এখানে ছিলোনা । তবে কে রাখলো আজকে । তাও আবার এত সকালে । সে ডায়েরী খুললো । উত্সর্গপত্রে একটা লেখা দেখে সে অবাক হয়ে গেল ।নতুন লেখাসহ উত্সর্গপত্রে যা দাড়ালো তা হল
উত্সর্গ
বালিকাকে ।
বালিকা কে ?
হা করে লেখাটির দিকে তাকিয়ে থাকলো ফাহিম । ক্লাসের দরজায় দাড়িয়ে শারমিন বললো , কি কার্টুনিস্ট , বালিকা কে ?
ফাহিম শারমিনের দিকে তাকিয়ে মৃদু হাসলো । এরপর ব্যাগ থেকে বের করলো গতকাল আঁকা শারমিনের ক্যারিকেচার ।
শারমিন কিছুটা মুখ লুকিয়ে সলজ হাসি হাসলো । ফাহিম জানে , এমন হাসি অনেক মেয়ে জীবনে একবারও হাসতে পারে না ।
( ফরমায়েশী লেখা । ভালোমন্দ বিবেচ্য নহে । খসড়া তৈরী করলাম মাত্র । এক ছোটভাইয়ের জন্য লিখেছি তার ভালো লাগলেই বাকিটা লিখবো । এইসব লুতুপুতূ গল্প লিখতে একদমই ভাল্লাগেনা । )
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:২৭
নগর বালক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । ভালো থাকবেন । শুভকামনা রইলো
২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:০৩
আমিনুর রহমান বলেছেন:
সুন্দর ...
ভীষণ গোছানো লিখা।
ভালো থাকুন নিরন্তর।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:২৮
নগর বালক বলেছেন: ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো । ধন্যবাদ । ভালো থাকবেন
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:০৪
বুকের মধ্যে বায়ান্নটা মেহগনি কাঠের আলমারি বলেছেন:
শুধু ছোট ভাই না ...সবার ভালোলাগার মতোই লেখা ...
শুভকামনা...