নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে এখনো চিনতে পারিনি। চেনার চেষ্টায় আছি।

দুখু বাঙাল

মোর এক হাতে রবে সবুজ পতাকা এক হাতে কোরআন। বাংলাদেশি মুসলিম আমি বাঙালী মুসলমান।

দুখু বাঙাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভিন্ন মাত্রাঃ প্রফাইলে প্যারিস সাপোর্ট ও ইসলামী চেতনা।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১২

প্রথমে ভাবছিলাম এল জি বি টি -র রংধনুর রং হয়ত পরিবর্তন হয়েছে ! আগে ছিলো সাত/আট রং এখন হইছে তিন রং!

এমনটা ভাবার যথেষ্ট কারন আছে, মার্ক জুকারবার্গকেই প্রথম দেখেছিলাম ফেসবুকে সমকামিতার পক্ষে রং পরিবর্তনীয় প্রোফাইল পিক
আপলোডাইতে! ব্যাপক খুশি ছিলো বেচারা তখন! এখন সন্ত্রাসের বিপরিতে
প্রতিবাদে ফ্রান্সের পতাকার রংয়ে দাত ক্যালানো ছবি আপলোডানোর প্রতিবাদ দেখে কিছুটা খেই হারানো অবস্থা দাড়ায়! আবেগে
ভাসায়ালাই নিজেকে.

ফ্রান্সের প্যারিসে হামলার ঘটনায় ১৩৩+ জন নিহতের খবরে অবশ্যই কষ্ট লাগছে ! কিন্তু,
আজ পর্যন্ত আইএস জিনিসটাকেই তো বুঝতে পারলাম না! এটা কি আসলেই কোন প্রোডাক্ট নাকি শুভংকরের ফাঁকি সেটা বুঝতে পারলে তখন না হয় হামলার ঘটনার
সাথে 'ইসলামিক' শব্দটা যোগ করা না করার কথা চিন্তা করা যাবে!

আমরা গত কয়েক দিন আগেও দেখেছিলাম, বাংলাদেশে খুনের দায় আইএস স্বিকার করছে
সারা বিশ্বের সকল খুনের দায় ঘুরে ফিরে আইএস কেন স্বিকার করছে সেটা এই ছোট মস্তিস্ক কিছুতেই
বুঝে উঠতে পারছে না!

বিশ্ব মোড়লদের রসদ এখন খুব একটা নাই! সন্ত্রাসের ধুয়া তুলে, ধ্বংসাত্বক অস্ত্র
রাখার মনগড়া দাবি তুলে ইরাক আফগান ধ্বংশ করে, ইরাক আফগানের লাখো লাখো মানুষকে হত্যা করে, জনগনের দাবি আদায়ের নামে লিবিয়া, তিউনিসিয়া,
সিরিয়াকে তছনছ করে সাম্রাজ্যবাদীরা মুসলমানদের মেরুদন্ড ভাংতে না পেরেই কি আইএস নামের শুভংকরের ফাঁকি দিচ্ছে কিনা সেটা খুব ভাবছি আজকাল!

যদি এক যোগে প্রতিবাদ করতেই হয় তবে শুরু থেকে আরম্ভ হওয়াটা কি যুক্তির দাবি নয় ?? যুক্তি কি তখন একথা বলে না যে, প্রথমে আফগানের
পতাকায় নিজেকে লাগিয়ে প্রতিবাদ করা উচিত কারন সেখানে ১৩৩ জনের কয়েক লক্ষ গুন মানুষকে আমেরিকা আর
ফ্রান্স সহ তাদের ন্যাটো জোট নির্বিচারে হত্যা
করেছে!

মানবতা কি তখন দাবি তুলে না যে, প্যারিসের ঘটনার প্রতিবাদ জানানোর
আগে ইরাকের পতাকায় নিজেকে জড়িয়ে প্রতিবাদ জানানো উচিত কারন ইরাকে লখো মানুষকে
নির্বিচারে হত্যা করেছে আমেরিকা ফ্রান্সের ন্যাটো
জোট!

সুস্থ বিবেক কি আগে মিয়ানমারে জলন্ত আগুনে দগ্ধ হওয়া মানুষগুলোর পক্ষে প্রতিবাদ জানাতে
উদ্ভুদ্ধ করে না ?
বিবেক কি তখন দাবি
তুলে না! আগে আফিয়া সিদ্দিকীর প্রতি হওয়া অবিচারের প্রতিবাদ জানাতে !

খুঁজলে বিশ্বব্যাপী গত ৫০ বছরে আমেরিকা, ফ্রান্স আর তাদের ন্যাটো জোট যত মানুষকে হত্যা করেছে বলে তথ্য পাওয়া যাবে তাতে এসব বিচ্ছিন্ন
মৃত্যুগুলো গৌণ থেকে গৌণ হয়ে যাবে এটাই বাস্তবতা! কিন্তু!
সেসবের কোন প্রতিবাদ হয়নি! কেউ নিজেদের ছবিকে ঐ রক্ত লালে রঙ্গীন করে প্রতিবাদও
জানায়নি! কারন,
তারা ছিলো মুসলমান! আর বর্তমান বিশ্বে মুসলমানদের মানবাধিকার থাকতেও নেই!
এবারও দেখবেন, এই ১৩৩+ জনের বিপরিতে ফ্রান্সে কয়েকশ গুন ১৩৩+ জন মুসলমানকে হত্যা করা হবে! তখন কোন প্রতিবাদ হবে না!
শুরু অলরেডি হয়ে গেছে ঘটনার ১২ ঘন্টা পেরোনোর আগেই বেশ কিছু মুসলিম শিবিরে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে
পরিকল্পনা-কারীদের দোসরেরা.

তাই আমিও চোখ কান বন্ধ করে চুপ থাকলাম! চেয়েছিলাম আমিও প্রতিবাদে অংশ নিতে কিন্তু ঐ ফ্রান্সের পতাকায় ন্যাটো কর্তৃক আফগানের
ধর্ষিতা মায়ের আর্তচিত্কারের ধ্বনি শুনতে পাচ্ছি! শুনতে পাচ্ছি ন্যাটোর ভারি ভারি অস্ত্রের আঘাতে অসহায় ভাবে নিহত হয়ে যাওয়া বা পঙ্গু হয়ে যাওয়া শিশুর
আর্তচিতকার! দেখতে পাচ্ছি এই পতাকার পুজকেরা আমার প্রিয় নবী (সঃ) কে নিয়ে তৈরি করা
সেই ব্যাঙ্গাত্মক কার্টুন প্রকাশ করার পৈশাচিক মুহুর্তগুলো! তাই,
মানুষ হিসেবে প্যারিসের ঐ
খুনগুলোকে ঘৃণা করলেও আমার জাতিপ্রেমে তাদের রংয়ে নিজেকে রাঙ্গাতে পারলাম না বলে দুঃখিত! কারন তাদের কালারফুল
পতাকায় আমার জাতির রক্ত লেগে আছে!! আর তারা আজও হায়েনার মত
চিড়েফেঁড়ে খেতে চাচ্ছে আমার জাতিকে !!

পুনশ্চ:- যদি রাঙ্গাতেই হয়
তবে ফিলিস্তিন, আফগান, ইরাকের পতাকাতেই রঙিন হতে পারে মুসলমানরা! ফ্রান্সের পতাকায় নয় !!

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৪

খোলা মনের কথা বলেছেন: সহমত ব্রাদার

২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৪

বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: এখন ব্যাপারটা এমন হয়েছে যে, ফেসবুকের সাথে না চললে সেকুলার কিংবা আধুনিক হওয়া যাচ্ছে না। তাই ফেসবুক যা দেখায় আমরা তাই দেখি, আর ফেসবুকের রঙে নিজেকে রাঙ্গায়। আমরা মায়ন্মার দেখি না, আমরা ফিলিস্তিন দেখি না শুধুই ফেসবুক দেখি।

৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৫

আহলান বলেছেন: আমরা যেকোন সন্ত্রাসবাদের বিরোধী .... যার যার মতো সে সে ভালো থাকুক ... এটাই আমাদের কামনা।

৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪০

পিচ্চি হুজুর বলেছেন: কেউ একজন লিখেছিলেন বেশ কিছু মাস আগে, যে ইতিহাসের অন্যতম বড় কিলিং শুরু হতে যাচ্ছে। তাই বোধহয় হবে; আই এস এল এর স্লীপার সেল এর সদস্যরা সাধারণ মানুষদের সাথে মিশে গিয়েছে এই ইস্যু তুলে শুরু হবে রিফিউজি নিধন। খারাপ লাগে, যে এদের জন্য কেউ প্রো পিক চেইঞ্জ করবে না, এদের কথা কেউ বলবে ও না।

৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৮

মুহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া বলেছেন: মানবতাবাদ হয়ে গেছে একপেশে। শুধুমাত্র পশ্চিমা Smart citizen এর দাবিদার।

মধ্যপ্রাচ্য বা ইউরোপ যেখানেই হামলা হোক না কেন, Western dominating foreign policy এর কারনে ভুক্তভোগী হয়ে প্রান হারাচ্ছে "সাধারন আমজনতা", যারা চায় সুন্দরমত পৃথিবিতে বাচতে।

৬| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪০

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আইএসে সব ইউরোপ আর আমেরিকার লোকে ভর্তি বোধহয় না?
আর ফেসবুক তো আমেরিকার না? তারা নিজেরটাই দেখবে| আপনার যেহেতু ইরাক ইরানের পতাকা পছন্দের, তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে ওদের কোন ওয়েবসাইট ব্যবহার করছেন না কেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.