নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে এখনো চিনতে পারিনি। চেনার চেষ্টায় আছি।

দুখু বাঙাল

মোর এক হাতে রবে সবুজ পতাকা এক হাতে কোরআন। বাংলাদেশি মুসলিম আমি বাঙালী মুসলমান।

দুখু বাঙাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন মিথ্যুক আর চরিত্রহীন মানুষ কখনও শিক্ষক হতে পারে না! :-@

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৩

ঢাবির মনোবিজ্ঞান বিভাগের কোর্স শিক্ষক কুলাঙ্গার আজিজুর রহমান হয়ত এখনও জানেন না যে পেছন থেকে এক ছাত্র সেদিনের ক্লাশ রুমের সকল ঘটনা মোবাইলে ভিডিও করেছিলো। এবং সেই ভিডিও এখন ইউটিউবে! তাই তার প্রত্যেকটা মিথ্যা
কথা তাকে আরো ঘৃণিতই করে তুলছে।

এই মিথ্যূকটা বলে যে সেই মেয়েকে নাকি বোরকা পড়ার কারনে নয় বরং বে-আদবী করার কারনে ক্লাশ থেকে বের করে দেয়া
হয়েছে! তাহলে বিগত পাঁচদিন ধরে সেই মেয়ের
এ্যাটেন্ডেন্স কেন দেয়া হয়নি?? ক্লাশে উপস্থিত
থেকেও কেন মেয়েটির উপস্থিতি রেকর্ড হয়নি??

এইসব জ্ঞানপাপীরা কাকের মত চোখ বুঝে পায়খানা করে মনে করে কেউ দেখে নাই! অথচ কেবল যে সে-ই দেখেনি এটা হয়ত কল্পনাও করে না।

এই নির্লজ্জ আযিযুর গত বছরও এমন কাজ করেছিলো.. বোরকা পড়ার অপরাধে (!) ক্লাশ থেকে একটা মেয়েকে বের করে
দিয়েছিলো এই জানোয়ারটা।

ক্লাশে অনেকগুলো মেয়ে সেদিন প্রতিবাদ করেছে দেখে বেশ ভালো লাগলো..
গলাবাজী ছাড়া শিক্ষক নামের ঐ অসভ্যটার যৌক্তিক ভাবে করার কিছু ছিলো না দেখে আরো ভালো লেগেছে।
এবার কোথাও রাস্তার মাঝে একজন জিন্স আর টপস পড়া মেয়ের হাতে একটা চড় লাগায়া দিতে পারলে এই অসভ্যটার পাক্কা শিক্ষা হতো...
নাহ! প্রশাসন, বিশ্ববিদ্যালয়
কর্তৃপক্ষ, যৌক্তিক আদালত, বিবেকের কাঠগড়া এসবের কাছে বিচার চেয়ে লাভ নেই কারন এদেশে এখন বিচারব্যাবস্থাটা অনেকটাই সার্কাস মঞ্চ! যে চালাচ্ছে তার মত করেই চলছে. বাস্তবতা বা
যৌক্তিকতার ছিটেফোঁটাও নাই এখন। তাই বিচার এমনই হওয়া উচিত।

এরা আসলে শিক্ষক না বরং এরা হলো চরিত্রহীন নষ্ট মানুষ এক একটা।
--- ক্লাশ রুমে পড়ানো রেখে মেয়েদের বুকের দিকে তাঁকায়া কুকুরের মত জিহ্বা টপকায় এরা!
--- 'কিরে, হোমওয়ার্ক করেছিস' বলে মেয়েটার বগলের কাছাকাছি হাত পৌছে দেয়া চরিত্রহীন এরাই।
--- লোলুপ দৃষ্টিতে মেয়েদের দিকে তাঁকিয়ে থেকে অশ্লীল ইশারা দেয়া
অসভ্য এরাই।
--- ঘুরে ফিরে ক্লাশের সুন্দরী মেয়েটার পাশে এসে বারবার দাড়িয়ে তার বুকের দিকে তাঁকিয়ে থাকা নির্লজ্জ এরাই।

দিনশেষে এরাই হয় পরিমল আর পান্না মাষ্টার..

এজন্যই হিযাবে এদের চুলকানী, মেয়েদের প্রোটেক্টেবল পোষাক দেখলে এদের মাথা গরম হয়ে যায়! এরা চায় নগ্নতায় সয়লাব হয়েযাওয়া মেয়েদের.. এরপর পরিমল আর পান্না
মাষ্টারদের মত ভিডিও ইতিহাস এরাই তৈরি করতে চায়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো শ্লোগাণ হলো 'শিক্ষাই আলো' কিন্তু এমন দু একটা অসভ্যের কারনে
শিক্ষাটা অন্ধকারে রুপ নিচ্ছে.. তাই এদের লাগাম টেনে ধরা এখন সময়ের দাবি।

একবার হয়ত ভূল হতে পারে কিন্তু এই আজিজুর রহমান বারবারই এমনটা
করছে.. বোরকা পড়া মেয়েদের ক্লাশে অপমান-অপদস্থ করা তার নিত্যাকার অভ্যাস..
তাই সে হয়ত প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইবে নয়ত এদেরকে যেখানেই পাওয়া যাবে প্রকাশ্যে জুতাপেটা
করা হবে কারন এরা আসলে শিক্ষকতার আড়ালে অসভ্যতামীর প্রচার প্রসার চালিয়ে সমাজকে ধ্বংশ করে দেয়ার পায়তারা চালাচ্ছে।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৬

খন্দকার আঃ মোমিন বলেছেন: দিনশেষে এরাই হয় পরিমল আর পান্না মাষ্টার..

২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:০০

Safin বলেছেন: ইউটিউব ভিডিওটার লিংক দেবেন, প্লিজ!

৩| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:০৩

মহা সমন্বয় বলেছেন: এটা অন্যায়।

৪| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৩১

সদালাপি বলেছেন: বোরকা পড়া একজন নারীর মৌলিক অধিকার । এই অধিকার নিয়ে যারা প্রশ্ন তোলে তারা এই সমাজের কীট জাদের কাজ হচ্ছে সমাজে নংরামি ছড়ানো

৫| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৪১

যোগী বলেছেন:
ক্লাশের ভিডিওটা কই? সেই শিক্ষককে গালা গালী করার আগে আমরা সেই ছাত্রীর পোশাক দেখতে চাই।

৬| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৭

যোগী বলেছেন: এই দুই জন ঢাবি সাইকোলোজি ডপার্টমেন্টে দুই জন বোরখা পরা নারী শিক্ষক। সম্ভবত আজিজুর রহমানের ছাত্রী ছিলেন। কই তাদের কে তো কেও বোরখা পরতে নিষেধ করে নি?
এই দুই জন ঢাবি সাইকোলোজি ডপার্টমেন্টে দুই জন বোরখা পরা নারী শিক্ষক। সম্ভবত আজিজুর রহমানের ছাত্রী ছিলেন। কই তাদের কে তো কেও বোরখা পরতে নিষেধ করে নি?

৭| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪২

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই হিজাব বিরোধী শিক্ষকে

৮| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৩৮

যোগী বলেছেন:
হা হা হা উপরের ভিডিওতে দেখলাম একজন পুরুষের পোশাক পরা আল্ট্রা মডার্ন মেয়ে প্রফেসরের সাথে তর্ক করছে মুখ ঢাকা বোরখার ব্যাপারে। খুব সম্ভবত তার উদ্দেশ্য প্রফেসর কে অপদস্ত করা।

দেখলাম প্রফেসরের আপত্তি মুখ ঢাকা নিয়ে বোরখা পরা নিয়ে নয়। তার আপত্তিটা খুবই যুক্তি যুক্ত। মুখ ঢেকে সম্পূর্ন অপরিচিত হয়ে যাওয়া কখনোই ইসলামের বিধান না।
কেও মুখ ঢেকে ক্লাশে আসলে একজন প্রফেসর বুঝবে কী ভাবে যে সেটা তার সত্যই ছাত্রী, ছাত্রীর মা বোন বা অন্য কোন ছদ্দবেশী সন্ত্রাসী না?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.