নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ইশপ নই

সাঈদ নওশাদ

কমিউনিস্ট সত্তা, ফাসিস্ত সত্তা, হিন্দু সত্তা, খ্রিস্টিয়ান সত্তা বলে কোনও সত্তার অস্তিত্ব আছে বলে আমি বিশ্বাস করি না। ধর্মীয় গোঁড়ামির কোনও একটা শাসনে সসাগরা পৃথিবী সর্বকালে শাসিত হবে, এ অবাস্তব কল্পনা। হিন্দু পারেনি, বৌদ্ধ পারেনি, খ্রিস্টিয়ান পারেনি, মুসলমান পারেনি, ফাসিস্ত পারেনি, নাৎসি পারেনি। কমিউনিস্টই বুঝি এর ব্যতিক্রম হবে?

সাঈদ নওশাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রাইভেট ভার্সিটির ছাত্র বলছি

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:০৪

আমি আমার ভার্সিটি, সাব্জেক্ট কিংবা পড়ালেখা নিয়ে এক প্রকার লজ্জাবোধ থেকেই কখনো স্টেটাস দেইনা। আমার বন্ধুরা সবাই খুব খুব ভালো পজিশনে কিন্তু আমি আমার পজিশন নিয়া কখনো এতোটা হতাশ না। কারন চার্লস ডারউইন সাহেব আরো ১৫০ বছর আগেই থিওরী দিয়ে গেছে যোগ্যতমের জয়ের!
সামান্য অযোগ্যতা নিয়েই বি ক্যাটাগরির একটা প্রাইভেট ভার্সিটিতে একটা ক্রেজ নিয়া খুব ভালো একটা সাব্জেক্টে ভর্তি হই। হই না ঠিক, করানো হয়! (তবে হয় শব্দটা ঠিক যাচ্ছেনা, আমারো ইচ্ছা ছিলো খানকটা কিন্তু বলার মুখ ছিলোনা) কারন ভর্তি পরীক্ষার সময়টায় আমি সামান্য হতাশ ছিলাম। (হ্যা, আপনি যে কারন ভাবছেন সেই কারনেই) বাসার সবাই ভাবতো আমি এতো জায়গায় এক্সাম দিয়েও চান্স পাইনি এই জন্য বোধহয়! মোটামোটি তড়িঘড়ি করেই একটা ভার্সিটিতে ভর্তি করে দিলো। হতাশা তো আর কাটলোনা! আমি যেই ফ্যামিলিতে থেকে বড় হই এই পর্যন্ত, আমার সেই ফ্যামিলিটা লোয়ার মিডল ক্লাস। লোয়ার মিডল ক্লাস ফ্যামিলি সেন্টিমেন্ট নামে একটা টার্ম আছে। বাবা মা ছেলেমেয়েদের থেকে একটু দূরে থাকে। আর ছেলে মেয়েরাও একটু দূরে! মেয়ের কিছু লাগলে হয়তো মার কান হয়ে বাবার কানে যায়, আর ছেলের কিছু লাগলে হয়তো বাবার কাছে টাকা চাইয়া বলে, "আব্বা কিছু টাকা দেন"!
সেই হতাশার সময়টায় আমি আমার বড় ভাইয়ার খুব সাপোর্ট পাই। কিন্তু লজ্জার সেই দেয়াল ভেঙ্গে কখনো বাবা কিংবা মার কাছে কখনো কিছু বলে উঠতে পারিনাই! অবশ্য সেই পরিস্থিতিও ছিলোনা! সেইখান থেকেই আমি প্রাইভেট ভার্সিটির ছাত্র!
আজকে মোটামোটি বাসায় আসলাম ১৫ ঘন্টার একটা ট্যুরের জন্য। আগের সপ্তায় আসা হইছিলো শুধু রাতে ঘুমানোর জন্য রাত ১১টায় পৌছাই সকাল ৭ টায় আবার ব্যাক করতে হইছে!
সেই মিডল ক্লাস ফ্যামিলিগুলায় বাবার সাথে ছেলের কথাই হয় টাকার জন্য! বাবাগুলো টাকা বাজার করা আর টাকা কামানোর মেশিন।
আমার সাথেও বছর খানেক যাবৎ বাবার সাথে সম্পর্কটা টাকা চাওয়ার ভেতর সীমাবদ্ধ হয়ে গিয়েছে। বাসা ছাড়বো, নতুন বাসার জন্য এডভান্স লাগবে বাবাকে এই কারনেই হয়তো প্রায় মাস দুয়েক পর ফোন দিয়েছিলাম। বাবা আধা ঘন্টার মাঝেই টাকা পাঠালো!
যেই কারনে পোষ্ট দেয়া, আজকে বাসায় আসছি, বাবার সাথে কথাও হইছে। যথারীতি টাকার ব্যপারেই!
৩১ তারিখ টাকা জমা দেয়ার লাস্ট ডেট, এই সময়ে জমা না দিতে পারলে ২০০ টাকা জরিমানা সহ পড়ে দেয়া যাবে। এই মুহুর্তে বাবা আমাকে এক সেমিস্টারের অর্ধেক টাকা দিলো। বিশাল বড় একটা এমাউন্ট! টাকাগুলো দেখে আমার বুকে একটা বালুর ট্রাক যাবার মতো একটা অনুভূতি হলো, বালুর ট্রাক গেলে হয়তো আমি মানুষটাকে আলাদা করা যাইতোনা। কিন্তু আমি নিজে দাড়াইয়া এই টাকাটা নিলাম।
কি যে কষ্টকর একটা অনুভূতি।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মতো ফুসফুস ভরে বাতাশ নিতে পারিনা। ক্লাস থেকে নেমেই হেল্পারের "মিরপুর দশেগারো বারো, মিরপুর দশেগারো বারো" শুনি! সব মানা যায়। কিন্তু ওই টাকাটা আমি কেমনে দিবো? আমি তো আর পারিনা।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:২৯

বাঁশ আর বাঁশ বলেছেন: সেইম অনুভূতি ভাই। বুকে আসেন।
তবে লেখাপড়া প্রায় শেষ। এখন একটু দম নিতে পারি। একটু মুখ তুলে তাকাতে পারি। আপনারো এ অবস্হা শীঘ্রই কেটে যাবে ইনশাআল্লাহ।

২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:৫৫

কালীদাস বলেছেন: কষ্টের দিন কাটবেই একসময়। ইনশাল্লাহ।

৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:০৬

আলিয়া নূর বলেছেন: তাড়াতাড়ি লেখাপড়া শেষ করুন এবং ভালো একটি চাকুরী লাভ করুন। তারপর কষ্টের দিন শেষ।

৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:৫৮

আবু জাকারিয়া ৮৮ বলেছেন: শুধু টাকার জন্য যোগাযোগ! বাবা বুঝতে পারে, প্রতিমাসে শুধু টাকার জন্য যোগাযোগ করা হলেও, মনের যোগাযোগ প্রতিমূহুর্তের। যা বাবা ছেলে কেউই প্রকাশ করতে পারেনা।

৫| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৭:৫৪

আলগা কপাল বলেছেন: খুব খারাপ লাগলো আপনার অবস্থা পড়ে। তবে এই দিন নিশ্চই থাকবে না। আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন, নিয়মিত লেখাপড়া করে ভালো একটা পজিশনে যাবার চেষ্টা করুন। রাত যত গভীর হয় প্রভাত তত নিকটে আসে।

৬| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:০৭

মারিয়া ফেরদৌসী বলেছেন: ছাত্র অবস্থায় এই অনুভূতি হওয়া খুব স্বাভাবিক । সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে যান,
চাকুরী করেন । তখন অনুভূতি পাল্টে যাবে। তখন অনুভূতি হবে এমন যে কত দিন বাবার তো আর টাকা দেয়ার দরকার হয়না। আমি বড় হয়ে গিয়েছি।

৭| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:১৮

মো: হাসানূর রহমান রিজভী বলেছেন: আমার ছোট ভাইকে আমি বলেছিলাম,চান্স পাসনি অসুবিধা নেই একটা ন্যাশনাল ইউনি তে ভর্তি হয়ে যা।যে পারে সে সবখানেই পারে।কিন্তু ভর্তি হল না।প্রাইভেটেই পড়ছে।

৮| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৩৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: মহা প্যারা

৯| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৩৫

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: মহা প্যারা

১০| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৩৫

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: মহা প্যারা

১১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৮

সুমন কর বলেছেন: আগে, ভালো একটি ফলাফল নিয়ে সেখান থেকে বের হয়ে আসুন। তারপর ভালো একটি চাকুরী.......

১২| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৪৩

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: যাদের পিতার টাকার প্রতি এমন দরদ থাকে, তারাই সফলকাম হবে...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.