নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ইশপ নই

সাঈদ নওশাদ

কমিউনিস্ট সত্তা, ফাসিস্ত সত্তা, হিন্দু সত্তা, খ্রিস্টিয়ান সত্তা বলে কোনও সত্তার অস্তিত্ব আছে বলে আমি বিশ্বাস করি না। ধর্মীয় গোঁড়ামির কোনও একটা শাসনে সসাগরা পৃথিবী সর্বকালে শাসিত হবে, এ অবাস্তব কল্পনা। হিন্দু পারেনি, বৌদ্ধ পারেনি, খ্রিস্টিয়ান পারেনি, মুসলমান পারেনি, ফাসিস্ত পারেনি, নাৎসি পারেনি। কমিউনিস্টই বুঝি এর ব্যতিক্রম হবে?

সাঈদ নওশাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি কেনো খুনী নই

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৫৯

প্রথমেই বলে রাখি লিখাটা কিঞ্চিৎ সামাজিক প্রেক্ষাপটে অসামঞ্জস্যপূর্ন, এই লেখা থেকে কেউ উদ্বুদ্ধ হলে লেখক দায়ী নয় । এখানে কাউকে কোনকিছুতে বাধ্য করা হচ্ছে না। বরং লেখাটি পড়ে ভুলে গেলেই কৃতজ্ঞ থাকবো।

সম্প্রতি আত্মহত্যা নিয়ে বেশ শোরগোল, ঢাবির কয়েকজন আত্মহত্যার পর ভিকারুননিসা স্কুলের এক বালিকার আত্মহত্যা পুরো দেশকে একসাথে স্তব্ধ করে দিয়েছে। প্রায়ই শুনি অমুক জায়গায় অমুকের আত্মহত্যা। জানার ইচ্ছা জাগলো কেনো মানুষ আত্মহত্যা করে। উইকিপিডীয়া সহো আরো কয়েকটি বেশ কয়েকজায়গায় পেলাম এর প্রধান কারন মানসিক সমস্যা। মানতে কষ্ট হলো। বিজ্ঞানীরা হতাশাকেও অনেকসময় মানসিক সমস্যা বলে তাতেই আমার অমত। মানুষ সবসময় হাসিখুসি থাকবে, দাঁত কেলাইয়া মনের সুখে ম্যাচের কাঠি দিয়ে কান চুলকাবে এইটা চাওয়া খুবিই অস্বাভাবিক। কেউ ব্যথিত থাকতেই পারে, ভেতরে পুরে খাক হয়ে যাওয়া হৃদয় নিয়ে হাসিমুখে আপনাকে উত্তর দিবে , "জ্বী ভালো আছি, আপনি ভালো?" এইটা ভাবাই বরং অমানবিক।
প্রত্যেক মানুষের নিজস্ব চিন্তা চেতনা থাকবে, থাকাটাই স্বাভাবিক। কেউ যদি তার জীবনে আর কোন আশা খুঁজে না পায়, কেউ যদি ভাবে তার আর কোন সূর্যদয় দেখার কোন ইচ্ছা নেই, তবে এই সামাজিক দেহকে খাবার পানি দিয়ে লালন পালনে আমি কোন মানে খুঁজে পাই না। সব সমস্যার সমাধান থাকবে এমন কোন কথা নেই। আপনার দেহের বাইরে বড় আপনি বিদ্যমান। দেহটা কেবল একটা সমাজের উপকরন মাত্র। আপনি ভুল পৃথিবীতে জন্মগ্রহন করতে পারেন, আপনার মনে হতেই পারে যেই পৃথিবীতে আপনি আছেন তা আপনার জন্য না। কোন ছোট ঘটনাও আপনার এই বোধদয়ের উপকরন হতে পারে। আপনার মনের মৃত্যু দেহের মৃত্যুর আগেই ঘটতে পারে। সেখানে আপনার অধিকারই আছে বলাযায়!
কেন আমি অধিকার বললাম? আপনার নিজের দেহের মালিক কে? অবশ্যই আপনি। এখনো যদি না বুঝেন তবে একটা সুঁই হাতে নিন, ফুটিয়ে দিন আপনার হাতের তালুতে। কি ভাবছেন? আপনি ছাড়াও আরো শ'খানেক মানুষ চিৎকার করে উঠবে? আপনার প্রিয় মানুষটাই তো জানলো না! তবে আপনি কেন আপনার দেহের সাথে আত্মার বিচ্ছেদে অন্যের আপত্তি থাকবে? কেনো আপনাকে জীবনের সাথে লড়াই করতেই হবে? লড়াই করেই বা কয়জন সফল হয়? পৃথিবীতে কয়জন বিলগেটস আছে? কয়জন রুপারড মুরদোচ?
কে কি করবে, কিভাবে সে নিজের জীবন পরিচালনা করবে তা একান্তই তার ব্যক্তিগত অধিকার। এইখানে অন্য কারো বলার অধিকার নেই। তারা হয়তো আপনার সামাজিক অস্তীত্বকে খুঁজে ফিরবে। "আপনাকে" না।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:৪৫

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: কে কি করবে, কিভাবে সে নিজের জীবন পরিচালনা করবে তা একান্তই তার ব্যক্তিগত অধিকার।
........................................................ এই ব্যক্তিগত অধিকার কখনো সখনো যুক্তি মানে না

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৮

সাঈদ নওশাদ বলেছেন: এইটাই আমার কথা ছিলো। কেনো মানুষ এই অধিকারে হস্তক্ষেপ করবে?

২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো লিখেছেন।
আসলে দেশ সমাজ এবং সম্পর্ক গুলো সব বদলে গেছে।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৮

সাঈদ নওশাদ বলেছেন: বদলে যাবে এইটাই স্বাভাবিক, কিন্তু আমার দেশটা উলটো দিকে বদলাচ্ছে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.