নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ইশপ নই

সাঈদ নওশাদ

কমিউনিস্ট সত্তা, ফাসিস্ত সত্তা, হিন্দু সত্তা, খ্রিস্টিয়ান সত্তা বলে কোনও সত্তার অস্তিত্ব আছে বলে আমি বিশ্বাস করি না। ধর্মীয় গোঁড়ামির কোনও একটা শাসনে সসাগরা পৃথিবী সর্বকালে শাসিত হবে, এ অবাস্তব কল্পনা। হিন্দু পারেনি, বৌদ্ধ পারেনি, খ্রিস্টিয়ান পারেনি, মুসলমান পারেনি, ফাসিস্ত পারেনি, নাৎসি পারেনি। কমিউনিস্টই বুঝি এর ব্যতিক্রম হবে?

সাঈদ নওশাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দ্য গ্রেট হর্নবিলের সাথে প্রথম সাক্ষাত

২০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১:১৩



ভাই বারবার একটা কথা বলতেছিলো।
না তোমরা ভাগ্যবান। তোমরা ভাগ্যবান। এইটা রাজ ধনেশ। মানুষ ১০ বার দেখার জন্য এসেও দেখা পায়না। তোমরা প্রথমবারই দেখা পাইলা।

আমাদের ট্রেক এর মধ্যে একটা রিজার্ভ স্যাঞ্চুরি ছিলো৷ খুব ছোট এই ফরেস্টে ঢুকেই ভাই বলতেছিলো, আমি বনের গন্ধ পাচ্ছি। বনের গন্ধই আলাদা। বাইনোকুলার এ চোখ দিয়ে দিয়ে পাখি খুঁজছে। আমরাও আশপাশে পাখির শব্দে আগাচ্ছি। কিন্তু কোথাও গ্রেট হর্নবিল তো দেখলাম না। সজিব ভাই তবুও কয়েকটা লাইফার পেলো। আমাদের তো যা দেখি তাই লাইফার!
শরীর ক্লান্ত হয়ে বিকেলে বসে আছি। দূরে পাড়া দেখা যায়। নিচে ভ্যালি পার হয়ে পাড়ায় উঠতেও ৩০ মিনিট লাগবেনা। তাই একটু রেস্ট নিচ্ছি। আলো ডুবলেও খুব একটা কষ্ট হবেনা রাস্তা পেতে৷
এমন সময় পাহাড়ের ডান থেকে কক কক কক ডাক।
"এইটা রাজ ধনেশ, এইটা রাজ ধনেশ" সজিব ভাই বলতে বলতেই উনার ধনেশ দেখার গল্প বললেন। একটু পর দেখি বিশাল দুইটা পাখি হলুদ ইয়া লম্বা ঠোঁট সাদা কালো শরীর নিয়ে উড়ে গিয়ে বিশাল এক ক্যানোপির উপড় বসলো। একদম পাড়ার সাথে। এরিয়াল ডিস্টেন্স এ আমাদের থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার। বাইনোকুলার এ এক পলক দেখলাম এই মহা রাজ, রাজ ধনেশ৷ হলুদ গলা, কালো সাদা পালক। একটু আগেই এদের ডাক শুনেছিলাম। একজোড়া মুক্ত রাজ ধনেশ!

এই পাখির উপস্থিতি জানান দেয় এই বান্দরবান এখনো বেঁচে আছে। এই সময়েও সকালে ঘুম ভেঙ্গেছে পাশের বনের বানরের ডাকে। রাতে পূর্নিমার রাত ভারি করেছে বার্কিং ডিয়ারের ডাক....

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:৪০

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: কোথায় এটা?

২০ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:৪৩

সাঈদ নওশাদ বলেছেন: বান্দরবান এ নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় কোন এক ঝিড়িতে

২| ২০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:১২

শেরজা তপন বলেছেন: ধনেশের ছবি তোলা হয় নাই? টেলি লেন্সের ক্যামেরা ছিল না? কতবার গেলাম বান্দরবানে, কত পাহাড় জঙ্গল ঘুরলাম- রাজ ধনেশের দেখা পাইনি। আপনি ভাগ্যবান, তবে আরেকটু গুছিয়ে লিখুন।

২১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:১২

সাঈদ নওশাদ বলেছেন: আমরা ধনেশ দেখতে যাইনি৷ভাগ্যক্রমে দেখা পেয়েছি৷ আর আমরা চিনতাম না। অনেকে নাকি পাকড়া ধনেশ দেখে রাজধনেশ দেখার কথা বলে। আর আমরা ফটোগ্রাফি করতে যাইনি কেউ৷ শুধু সজিব ভাই এর ব্যাগে একটা ভাইনোকুলার ছিলো। এছাড়া মোবাইল ফোন। ছবি তোলা যায়নি। আর এইটাই তো ভাগ্য, অনেক পাহাড় জঙ্গল ঘুরেও দেখা পায়না। আমরা পেলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.