নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ইশপ নই

সাঈদ নওশাদ

কমিউনিস্ট সত্তা, ফাসিস্ত সত্তা, হিন্দু সত্তা, খ্রিস্টিয়ান সত্তা বলে কোনও সত্তার অস্তিত্ব আছে বলে আমি বিশ্বাস করি না। ধর্মীয় গোঁড়ামির কোনও একটা শাসনে সসাগরা পৃথিবী সর্বকালে শাসিত হবে, এ অবাস্তব কল্পনা। হিন্দু পারেনি, বৌদ্ধ পারেনি, খ্রিস্টিয়ান পারেনি, মুসলমান পারেনি, ফাসিস্ত পারেনি, নাৎসি পারেনি। কমিউনিস্টই বুঝি এর ব্যতিক্রম হবে?

সাঈদ নওশাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাহাড়ে ধর্মীয় আগ্রাসন ( মুসলিম পর্ব শেষে খ্রিস্টান পর্ব)

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৫১

পৃথিবীতে বিশ্বাস ও ধর্মজ্ঞান এর সূচনা ঘটে অ্যানিমিজম বাংলায় বললে প্রকৃতি পূজা থেকে। এই সর্বপ্রাণবাদ বা প্রকৃতিপূজার ধারনা এতোটাই প্রাচীন পুরাতন প্রস্তর যুগেও এর প্রমান পাওয়া যায়। তার অর্থ দাঁড়ায়, মানুষ কৃষি কাজ শেখার আগে, কলোনাইজ সোসাইটি সিস্টেম থেকেও প্রাচীন বিশ্বাস এই সর্বপ্রাণবাদ। বিলুপ্ত এই বিশ্বাস এখন টিকে আছে কিছু জাতিগোষ্ঠীর মাধ্যমে। বাংলাদেশেও এদের কিছু গোষ্ঠী বাস করে!

আমি নৃবিজ্ঞানের ছাত্র নই। কিন্তু মানুষের ধর্ম, বিশ্বাস, বিবর্তন, দর্শন, প্রকৃতি, পরিবেশ, অভিযোজন, শিল্প, সংস্কৃতি, সমাজ, অর্থনীতি, রাজনীতি এবং এদের ক্রমবর্ধমান বিবর্তনের প্রতি আগ্রহ আছে। বিশ্বায়নের যুগে মানুষের নিজেদের মত ও দর্শন পরিবর্তন হয় সময়ের চাইতেও দ্রুত৷ সেটেলারদের দৌরাত্ম্য আর বিশ্বায়নের ক্যান্সারেও নিজেদের আইডেন্টিটি অক্ষুন্ন রেখে টিকে আছে কিছু সম্প্রদায়, ম্রো বা মুরং সেসব গোষ্ঠী একটা যারা এখনো এই পুরোনো অ্যানিমিজমের চর্চা করে!

অ্যানিমিজম বা প্রকৃতিবাদ কি? অ্যানিমিজম হলো এমন একটা বিশ্বাস যেখানে সকল ননহিউম্যান এক্সিস্ট্যান্সকে সপ্রাণ ভাবা হয়। মোদ্দা কথা একজন অ্যানিমিস্ট বিশ্বাস করে গাছ, লতা, পাথর, পানি, মাটি, পাহাড়, ঝিড়ি সকলের আলাদা আত্মা আছে, প্রাণ আছে। এ আত্মার আলাদা নামও থাকে। তবে ঈশ্বরের কোন কন্সেপ্ট সাধারনত এনিমিজমে থাকে না। তবে অনেকে বিশ্বাস করে এই সব আত্মা কারো অধীনস্থ। সাহায্য প্রার্থনা করে কোন নির্দিষ্ট আত্মার কাছে। ক্ষতি থেকে বেঁচে থাকতে পূজা করে। অ্যানিমিজম আসলে একটা একক বা ঐক্যবদ্ধ বিশ্বাস ব্যবস্থা না, এটি একটা বৈচিত্র্যময় এবং গতিশীল বিশ্বাস যেটা সংস্কৃতি এবং প্রেক্ষাপট জুড়ে পরিবর্তিত হয়।

ম্রোদের প্রতি আমার আগ্রহ আছে। দেশের সবচেয়ে দূর্গম পরিবেশে প্রকৃতির সাথে খাপ খাইয়ে নিজেদের মতো করে এডাপটেশন, স্কিল ডেভোলাপমেন্ট অভিভূতকর। নিজেদের কাপড় বোনার জন্য সূতা থেকে কাপড়, টারশিয়ারি যুগের অনুর্বর পাহাড়ি জমিতে হাড় ভাঙ্গুনি জুম চাষ, আর শিকার করে নিজেদের পুরো জীবন ক্ষয় করে ফেলে। শুধু সার্ভাইভাল ইন্সটিন্ক্ট নিয়ে জীবন পার করে দেয়াটাই গহীনের একমাত্র কাব্য। তীব্র খাদ্যাভাব, পানির অভাবের মাঝেও তারা কখনো বিনা কারনে কোন হত্যা করেনা৷ তারা জানে এই পাহাড়, জঙ্গল, ঝিরি কাল না থাকলে তাদের অস্তিত্ব সংকট দেখা দিবে। প্রাণ প্রকৃতির প্রতি এই অসীম সম্মান, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসাই তাদের প্রতি আমার আগ্রহ বাড়িয়েছে।



শেষ বান্দরবান ভ্রমনে এক পাড়ায় মানুষের হাতে একটা মোবাইলের মতো যন্ত্র দেখি৷ ছবির যন্ত্রটাই। বেশ কাজের ও দরকারী। টর্চ লাইট, সাথে এফ এম রেডিও। চার্য দেয়ার জন্য বিদ্যুৎও লাগেনা। পুরোটাই সোলার পাওয়ারড! কিন্তু এতোকিছুর মাঝে যেইটা আমাকে ভাবিয়েছে সেটা হলো এর ভেতর রয়েছে গস্পেল। বাইবেলের নিউ টেস্টামেন্ট আর কিছু ক্রিশ্চিয়ান ওয়াজ মাহফিল!

কোন এক মিশনারির ফাদার তাদের কাছে এই যন্ত্র তুলে দিয়ে গেছে। তাদের শত বছরের পালিত ধর্ম বিশ্বাস এখন কয়েক বছরেই বদলে যাবে৷ পাড়ায় স্কুলের আগে গীর্জা বসবে। "চিয়াছৎ প্লায়" বদলে "ক্রিসমাস" হয়ে যাবে। পোষাক পরিচ্ছেদ, খাদ্যাভ্যাস সব কিছুতেই আস্তে আস্তে পালটে যাবে। এতোদিন যারা প্রকৃতিতে একটা অংশ হিসেবেই বাস কতো ক্রমশ আরোও শক্তিশালী হয়ে উঠবে৷ যেই ভালোবাসায় নিজেদের বিশ্বাসে টিকিয়ে রেখেছিলো আমাদের এই সংরক্ষিত বনাঞ্চল। আরেকটা বিশ্বাসই ধ্বংস করে দিবে এই বন।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:২২

কামাল১৮ বলেছেন: মানুষ সব কিছু করে তার প্রয়োজন থেকে।আমাদের প্রয়োজনে আমরা কতুকিছু ধ্বংস করেছি,তাদের প্রয়োজনে তারা কিছু ধ্বংস করবে।আবার নতুন কিছ গড়ে তুলবে।এমনি করেই চলছে বিশ্ব।

০১ লা মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৫৪

সাঈদ নওশাদ বলেছেন: আমাদের প্রয়োজনে? শুধু ধর্মের প্রবেশ এই পাহাড়টা নষ্ট করে দিতে পারে। প্রয়োজনটা আমাদের?

২| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ ভোর ৪:৪৮

আলামিন১০৪ বলেছেন: প্রকৃতি পুজার ধারনা প্রস্তর যুগে যে ছিল তার রেফারেন্সগুলো দিন।
[link|https://www.thoughtco.com/thmb/Pw5z1LLa6jHlfom7D3VzPMqm6vw=/150

০১ লা মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:০০

সাঈদ নওশাদ বলেছেন: লিংক এটাচ করতে সমস্যা হচ্ছে৷ একটু খোঁজাখুঁজি করলেই পাবেন। স্টাডি ডট কম নামে একটা সাইটে পলিলিথিলিক রিলিজিওন নিয়ে অসাধারন আর্টিকেল আছে। পড়ে দেখতে পারেন।

৩| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:১৯

কামাল১৮ বলেছেন: দেশটাকি শুধু আপনাদের নাকি তাদেরও?তারাই পাহাড়ের ভূমিপুত্র।

০১ লা মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:০১

সাঈদ নওশাদ বলেছেন: আমাকে আর আপনাকেই দেখলেন। দেশটা তো এই রিজার্ভ ফরেস্টে থাকা পশুপাখিরও!

৪| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: মোবাইলটা বড় অদ্ভুত।

০১ লা মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:০৩

সাঈদ নওশাদ বলেছেন: সোলার পাওয়ার্ড মোবাইল! আমার বেশ ভালোই লাগছে। প্রথম পলকে বাটন ফোন ভাবসিলাম।

৫| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:০৮

আরইউ বলেছেন:



সাঈদ,
ক্রিশ্চিয়ান মিশনারি যতটুকু জানি অনেক আগ থেকেই চিটাগং হিল ট্রাক্টস এলাকায় একটিভ; সম্ভবত কলোনিয়াল এরা থেকেই।
লেখাটা ভালো লেগেছে।
শুভেচ্ছা!

০১ লা মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৭

সাঈদ নওশাদ বলেছেন: আগে থেকেই তো, নয়তো এই মঙ্গোলোয়েড আদিবাসিরা কখনোই খ্রিস্টান ছিলোনা। কিন্তু এতো দূর্গমেও কিভাবে তারা কাজ চালাচ্ছে এইটাই অবাক করছে। বুদ্ধিস্টরা কনভার্ট করার আগেই খ্রিস্টানদের প্রবেশ!
সাইল্যান্স (২০১৬) দেখসিলেন?

৬| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:৪০

অপু তানভীর বলেছেন: বলা যায় প্রতিটা ধর্মই একই ভাবে তো ধর্ম প্রচার করে আসছে সৃষ্টির শুরু থেকে । ছলে বলে কৌশলে কিংবা পেশী শক্তি প্রয়োগে।

পাহাড়ে বেশ কয়েকবার গিয়েছি । অনেক পাড়াতেই এখন চার্চ রয়েছে।
এই তো দশদিন আগেও একপাড়াতে ছিলাম । সেখানকার মানুষদের ভেতরে প্রকৃতিপুজার মানুষ ছিল । তবে তাদের হাতেও স্মার্ট ফোন ছিল। সোলার দিয়ে চার্জ হয় ।

০১ লা মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২০

সাঈদ নওশাদ বলেছেন: আদিবাসিদের মাঝে ম্রোরাই হয়তো এই ট্রান্সফরমেশন থেকে দূরে ছিলো যেহেতু তারা দূর্গম অঞ্চলেই বাস করে। তাদের হাতেও এই ধর্মীয় আগ্রাসন আসলে গোটা সংরক্ষিত বনাঞ্চলকে হুমকিতে ফেলবে এইটাই আমার কন্সার্ন। আমার লেখাতে সম্ভবত আমি বুঝাতে পারিনি।

প্রতিটা ধর্মই আসলে এইধরনের আক্রমণাত্মক প্রচারে বিশ্বাস করে না। খ্রিস্টান আর মুসলিমদের ভেতর এর চর্চা বেশি। অন্যরা কনভার্ট করায় বিশ্বাসী না কিংবা তাদের ধর্মেও কনভার্ট হওয়া যাবেনা।

৭| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১

নিমো বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন। যে কোন পরিবেশের নিজস্ব পরিমন্ডলে আবির্ভূত বিশ্বাস সেটাকে টিকিয়ে রাখবে, নইলে বিপদ। বনভূমিতে নিশ্চয়ই মরুভূমির বা সমূদ্র পাড়ের বিশ্বাসে কাজ হবে না।

০২ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:১৩

সাঈদ নওশাদ বলেছেন: একদম তাই। একেক জায়গার মানুষের বিশ্বাস গড়ে উঠার পেছনেও পরিবেশ পরিমন্ডলের ভুমিকা আছে। আমিও তাই ভাবি। বাস্তুতন্ত্র শুধু প্রানীর শারিরীক বৈশিষ্ট্য দিয়েই নিয়ন্ত্রিত নয়। বিশ্বাসও এর একটা উপাদান।

৮| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৪

অর্ক বলেছেন: লেখাটা পড়লাম। ভালো লাগলো। আগেও আপনার এরকম লেখা পড়েছিলাম। মন্তব্যও করেছিলাম। ওদের মাঝে খ্রিস্ট ধর্ম গ্রহণের স্বাভাবিক স্বতস্ফুর্ত এক প্রবণতা চলে আসছে। আপনি মানতে চান না সম্ভবত। ভারতেও দেখা যায়। ওখানে বৌদ্ধ হিন্দু থেকেও খ্রিস্ট ধর্ম গ্রহণ করতে দেখা যায় এমন আদিবাসী উপজাতিদের। ওদের মাঝে আধুনিক শিক্ষা নেয়া নগরসভ্যতায় স্বাদ পাওয়া শিক্ষিতদের মাঝেই এ প্রবণতা প্রবল। তারাই বরং পরবর্তীতে ব্যাপকভাবে স্বজাতিদের মাঝে ধর্মকে ছড়িয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্বাভাবিক স্বতঃস্ফূর্ত সিদ্ধান্ত। ধর্মান্তরের প্রাথমিক কাজটা মিশনারিরা সারলেও, পরবর্তীতে বিরাট সাফল্য এসেছে তাদের লোকজনদের মাধ্যমেই। এখানে এভাবে অল্প হলেও ইসলাম ধর্মও কিন্তু এসেছে। তবে তাদের স্বাভাবিক টেন্ডেন্সি হলো, খ্রিস্ট ধর্মে দীক্ষিত হওয়া। আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত অগ্রসরমান বিরাট সংখ্যক নাগরিক খ্রিস্টান হয়েছে। প্রচুর উদাহরণ পাবেন।

ব্যাপারটা কিন্তু ভালোই। ধর্ম তাদের জীবনে ভালো পরিবর্তনও এনেছে নিঃসন্দেহে। এটা আসলে বিরাট আলোচনার বিষয়। অনেক বড়ো হয়ে যাবে মন্তব্য। সময়ও লাগবে প্রচুর। আমি পৃথিবীর প্রত্যেকটি মানুষের সমান সুখী জীবনের আশা করি। আধুনিক সভ্য উন্নত সংগঠিত সুখী জীবনের স্বাদ পাক সবাই একইভাবে। ধর্ম যে বিরাট শুভ পরিবর্তন এনেছে তাদের জীবনে এটা অনস্বীকার্য। এমনকি প্রাচীন বিশ্বাস নিয়েও অনেকে আধুনিক ধর্মের চর্চা করে থাকে। অসুবিধা কোথায়? শুধু প্রকৃয়াটা যেন স্বচ্ছ ও স্বতঃস্ফূর্ত হয়। জানি না কতোটুকু গুছিয়ে বলতে পারলাম। অনুকূল সময়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত লেখার ইচ্ছে আছে।

ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা থাকলো। (দয়া করে আগের মন্তব্য মুছে দিন। কিছু ভুল আছে ওতে।)

০২ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:১৭

সাঈদ নওশাদ বলেছেন: আগের লেখাটা দারিদ্র্যতা কিভাবে কনভার্ট করছে অন্য ধর্মে। জোয়াকিন থেকে রফিকুল নামে ত্রিপুরা ছেলের ঘটনা বলেছিলাম। এই কনভার্সন এর আলাপ অনেক লম্বা। সমস্যাটা হলো একেক জায়গার মানুষের বিশ্বাস গড়ে উঠার পেছনেও পরিবেশ পরিমন্ডলের ভুমিকা আছে। আমিও তাই ভাবি। বাস্তুতন্ত্র শুধু প্রানীর শারিরীক বৈশিষ্ট্য দিয়েই নিয়ন্ত্রিত নয়। বিশ্বাসও এর একটা উপাদান। এর কোন একটার নড়াচড়া পুরো সিস্টেম ভেঙ্গে দিতে পারে বলে আমি মনে করি।

৯| ০২ রা মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:২৭

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার এই পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো । এই আগ্রাসনের বিষয়টি নিয়ে লিখে আমাদের ভাববার সুযোগ করে দিয়েছেন।
ম্রোদের সম্পর্কে আমার তেমন জানাশোনা নেই। তাদের বিষয়ে আপনার আগ্রহ ভালো লাগলো এবং আমার মাঝেও আগ্রহ তৈরি করলো।

মানুষ এখন পরিবেশের মত বিষয়গুলো নিয়ে সচেতন হচ্ছে। আমার ধারণা এই যে অ্যানিমিজম বা প্রকৃতিবাদের বিষয়গুলো আধুনিক পরিভাষার ভিতর দিয়ে পরিবেশবাদ (environmentalism) হয়ে ফিরে আসছে, আসবে।

০৩ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:১৩

সাঈদ নওশাদ বলেছেন: অ্যানিমিজম অনেকটা ধর্মের আদি রুপ। আর এনভায়রনমেন্টালিজম আমার কাছে অনেকটা বৈজ্ঞানিক মনে হয়। দ্বন্দ্ব আছে। তবে উপসংহার একই।
মানুষ এখনো সচেতন না, মাঝে নিজেই উদ্যোগ নিয়েছিলাম জিরো সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক লাইফ কাটাবো। প্লাস্টিক এখন এভাবে ঢুকে আছে এইটা থেকে বাঁচার উপায় নেই। আমি দেখিনা আইন প্রয়োগ করা ছাড়া৷

সম্ভব হলে ম্রোদের সাথে কিছুদিন থেকে আসেন। এদের স্ট্রিং এতো সুন্দর করে এখনো নেচারের সাথে কানেক্কটেড অবাক করা। তবে ক্যাপিটালিজম সেখানেও আস্তে আস্তে প্রবেশ করছে। পুরো প্রিমেটিভ লাইফস্টাইল থেকে ক্যাপিটালিস্ট জাম্প! ⬆️

১০| ০৩ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ১:০৪

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ধর্মীয় আগ্রাসন সর্বত্র

০৫ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:১৪

সাঈদ নওশাদ বলেছেন: তবুও কিছু ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়ার কন্সেপ্ট নাই। নয়তো আসলে কোথায় যেয়ে যেতো সব কিছু চিন্তা করা যায়?

১১| ০৩ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ১:৫৭

আরইউ বলেছেন:




লেখক বলেছেন: আগে থেকেই তো, নয়তো এই মঙ্গোলোয়েড আদিবাসিরা কখনোই খ্রিস্টান ছিলোনা। কিন্তু এতো দূর্গমেও কিভাবে তারা কাজ চালাচ্ছে এইটাই অবাক করছে। বুদ্ধিস্টরা কনভার্ট করার আগেই খ্রিস্টানদের প্রবেশ!
সাইল্যান্স (২০১৬) দেখসিলেন?


ক্রিশ্চিয়ান মিশন এবং তাদের লোকজন কিন্তু বেশ এগ্রেসিভ ধর্ম প্রচারে। উন্নত দেশে আমি দেখেছি ইউনিতে কীভাবে চায়না/ কোরিয়া থেকে আসা ছেলেমেয়েদের খুব চতুরতার সাথে ক্রিশ্চিয়ান ধর্মের দিকে প্রভাবিত করা হয়। খুব ধীর, ভদ্র, কিন্তু কার্যকর উপায়। দূর্গম এলাকায় কাজ চালানোতে আমি আসলে খুব একটা অবাক হইনা— এদের ফান্ডের অভাব নেই। যদি কমিটেড লোক আর পর্যাপ্ত অর্থ থাকে তাহলে দূর্গম এলাকায় কাজ চালানো কঠিন নয়। বাট কমিটমেন্টটা খুব জরুরী।

সাইল্যান্স দেখেছি। স্করসিসির অন্যতম দূর্দান্ত কাজ!

০৫ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

সাঈদ নওশাদ বলেছেন: ইউরোপের মিশনারিদের নিয়ে এক্কটা লেখা পড়ছিলাম। তারা আসলে কি পরিমান টাকা খরচ করতে পারে চিন্তার বাইরে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.