নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সচরাচরীয় সাধারণতা.....

শব্দহীন জোছনা

যে জীবন ফড়িঙের, দোয়েলের -মানুষের সাথে তার হয় নাকো দেখা

শব্দহীন জোছনা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলা কবিতার সবচেয়ে জনপ্রিয় লাইনগুলো:-*/:) প্রত্যেক ব্লগার এবং পাঠকের যা অবশ্যই পড়া উচিত।

১০ ই মে, ২০১১ দুপুর ২:২২





একটি কবিতা বা একজন কবির অমর হওয়ার জন্য কবিতার গোটা বিশেক লাইন কিংবা কবির অনেকগুলো অনন্য কবিতার প্রয়োজন নেই B-) B-) বরং একটি-দুইটি লাইন, কবিতা সেই সাথে তার কবিকে দিতে পারে অমরত্ব। আর সেই রকম কিছু কবিতার লাইন একত্রে আনার দুঃসাহস এই পোস্টটি :-* আপনিও জানান আপনার সবচেয়ে প্রিয় কিছু কবিতার লাইন।





কবিতা সেই বিশুদ্ধ শিল্প যার ছোঁয়ায় আলোকিত হোক প্রত্যেক পাঠক।তবে প্রথমেই শুরু করা যাক আমাদের কিশোর কবি সুকান্তকে দিয়ে......







সুকান্ত ভট্টাচার্য বাংলা সাহিত্যের মার্কসবাদী ভাবধারায় বিশ্বাসী এবং প্রগতিশীল চেতনার অধিকারী তরুণ কবি।





প্রয়োজন নেই, কবিতার স্নিগ্ধতা-

কবিতা তোমায় দিলাম আজকে ছুটি,

ক্ষুদার রাজ্যে পৃথিবী-গদ্যময়ঃ

পূর্ণিমা-চাঁদ যেন ঝল্সানো রুটি।

হে মহাজীবন





যে শিশু ভুমিষ্ঠ হলো আজ রাত্রে

তার মুখে খবর পেলুম :

সে পেয়েছে ছাড়পত্র এক,

নতুন বিশ্বের দ্বারে তাই ব্যক্ত করে অধিকার

জন্মমাত্র সুতীব্র চিৎকারে ।

ছাড়পত্র





এসেছে নতুন শিশু, তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান,

জীর্ণ পৃথিবীতে ব্যর্থ, মৃত আর ধ্বংসস্তুপ-পিঠে

চলে যেতে হবে আমাদের ।



চলে যাব-তবু আজ যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ

প্রাণপনে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল,

এ বিশ্বকে এ-শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি--

নব জাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার ।

ছাড়পত্র









সাবাশ বাংলাদেশ,

এ পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়

জ্বলে পুড়ে মরে ছারখার

তবু মাথা নোয়াবার নয়।।

দুর্মর











অবাক পৃথিবী! অবাক করলে তুমি

জন্মেই দেখি ক্ষুব্ধ স্বদেশভূমি।

অনুভবন





তোমাকে ভেবেছি কতদিন,

কত শত্রুর পদক্ষেপ শোনার প্রতীক্ষার অবসরে,

কত গোলা ফাটার মুহূর্তে।

প্রিয়তমাসু







অবশেষে সব কাজ সেরে

আমার দেহের রক্তে নতুন শিশুকে

করে যাব আশীর্বাদ,

তারপর হবো ইতিহাস ।

ছাড়পত্র





=============================================









কাজী নজরুল ইসলাম অগ্নিবীণা হাতে তাঁর প্রবেশ,

ধূমকেতুর মতো তাঁর প্রকাশ






গাহি সাম্যের গান—

মানুষের চেয়ে কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান

মানুষ



সাম্যের গান--

যেখানে আসিয়া এক হয়ে গেছে সব বাধা-ব্যবধান

যেখানে মিশেছে হিন্দু-বৌদ্ধ-মুসলিম-ক্রীশ্চান ।

গাহি সাম্যের গান !মিথ্যা শুনিনি ভাই,

এই হৃদয়ের চেয়ে বড় কোনো মন্দির-কাবা নাই ।

সাম্যবাদী



বল বীর —

বল উন্নত মম শির,

শির নেহারি আমারি নত-শির ওই শিখর হিমাদ্রির X(( X((

বিদ্রোহী



বল বীর —

বল মহাবিশ্বের মহাকাশ ফাড়ি

চন্দ্র সূর্য গ্রহ তারা ছাড়ি

ভূলোক দ্যুলোক গোলক ভেদিয়া

খোদার আসন আরশ ছেদিয়া,

উঠিয়াছি চির-বিস্ময় আমি বিশ্ব-বিধাত্রীর !

মম ললাটে রুদ্র ভগবান জ্বলে রাজ-রাজটীকা দীপ্ত জয়শ্রীর !



বল বীর —

আমি চির উন্নত শির।

বিদ্রোহী







সাম্যের গান গাই-

আমার চক্ষে পুরুষ-রমণী কোনো ভেদাভেদ নাই!

বিশ্বে যা-কিছু মহান্ সৃষ্টি চির-কল্যাণকর,

অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর। নারী









আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে–

মোর মুখ হাসে মোর চোখ হাসে মোর টগবগিয়ে খুন হাসে

আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে।











যেদিন আমি হারিয়ে যাব, বুঝবে সেদিন বুঝবে,

অস্তপারের সন্ধ্যাতারায় আমার খবর পুছবে -

বুঝবে সেদিন বুঝবে!

ছবি আমার বুকে বেঁধে

পাগল হয়ে কেঁদে কেঁদে

ফিরবে মরু কানন গিরি,

সাগর আকাশ বাতাস চিরি'

যেদিন আমায় খুঁজবে -

বুঝবে সেদিন বুঝবে!

অভিশাপ







মহা বিদ্রোহী রণ ক্লান্ত

আমি সেই দিন হব শান্ত,

যবে উত্পীড়িতের ক্রন্দন-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না,

অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না

বিদ্রোহী রণ ক্লান্ত

আমি সেই দিন হব শান্ত।

বিদ্রোহী











আজকে আমার রুদ্ধ প্রাণের পল্বলে -

বান ডেকে ঐ জাগল জোয়ার দুয়ার – ভাঙা কল্লোলে।

আসল হাসি, আসল কাঁদন

মুক্তি এলো, আসল বাঁধন,

মুখ ফুটে আজ বুক ফাটে মোর তিক্ত দুখের সুখ আসে।

ঐ রিক্ত বুকের দুখ আসে -

আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে! =p~

আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে







চল চল চল!

ঊর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল

নিম্নে উতলা ধরণি তল,

অরুণ প্রাতের তরুণ দল

চল রে চল রে চল

চল চল চল।।

চল চল চল













=============================================







জীবনানন্দ দাশ রবীন্দ্র-পরবর্তী কালে বাংলা ভাষার প্রধান কবি হিসাবে তিনি সর্বসাধারণ্যে স্বীকৃত।







হাজার বছর ধ'রে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে

সিংহল সমুদ্র থেকে নিশীথের অন্ধকারে মালয় সাগরে

অনেক ঘুরেছি আমি; বিম্বিসার অশোকের ধূসর জগতে

সেখানে ছিলাম আমি; আরো দূর অন্ধকারে বিদর্ভ নগরে;

আমি ক্লান্তু প্রাণ এক, চারিদিকে জীবনের সমুদ্র সফেন,

আমারে দু-দন্ড শান্তি দিয়েছিল নাটোরের বনলতা সেন।

বনলতা সেন







আবার আসিব ফিরে ধানসিড়ির তীরে — এই বাংলায়

হয়তো মানুষ নয় — হয়তো বা শঙ্খচিল শালিখের বেশে;

হয়তো ভোরের কাক হয়ে এই কার্তিকের নবান্নের দেশে

কুয়াশার বুকে ভেসে একদিন আসিব এ কাঠাঁলছায়ায়;

আবার আসিব ফিরে









হায় চিল, সোনালী ডানার চিল, এই ভিজে মেঘের দুপুরে

তুমি আর কেঁদো নাকো উড়ে-উড়ে ধানসিঁড়ি নদীটির পাশে!

হায় চিল









অদ্ভুত আঁধার এক এসেছে এ-পৃথিবীতে আজ,

যারা অন্ধ সবচেয়ে বেশি আজ চোখে দ্যাখে তারা; :-B :-B

যাদের হৃদয়ে কোনো প্রেম নেই – প্রীতি নেই – করুণার আলোড়ন নেই

পৃথিবী অচল আজ তাদের সুপরামর্শ ছাড়া।

অদ্ভুত আঁধার এক









সুরঞ্জনা, অইখানে যেয়ো নাকো তুমি,

বোলো নাকো কথা অই যুবকের সাথে:

ফিরে এসো সুরঞ্জনা:

নক্ষত্রের রুপালি আগুন ভরা রাতে:



ফিরে এসো এই মাঠে, ঢেউয়ে:

ফিরে এসো হৃদয়ে আমার:

দূর থেকে দুরে-আরো দূরে

যুবকের সাথে তুমি যেয়ো নাকো আর।



কী কথা তাহার সাথে?-তার সাথে!

আকাশের আড়ালে আকাশে

মৃত্তিকার মতো তুমি আজ:

তার প্রেম ঘাস হয়ে আসে।



সুরঞ্জনা, 8-|

তোমার হৃদয় আজ ঘাস

বাতাসের ওপারে বাতাস-

আকাশের ওপারে আকাশ। আকাশ লীনা







শোনা গেল লাশকাটা ঘরে

নিয়ে গেছে তারে;

কাল রাতে - ফাল্গুনের রাতের আঁধারে

যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ

মরিবার হল তার সাধ ।

আট বছর আগে একদিন





বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ

খুঁজিতে যাই না আর :

বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি





=============================================





আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে , আমি চাই

কেউ একজন আমার জন্য অপেক্ষা করুক, |-)

শুধু ঘরের ভেতর থেকে দরোজা খুলে দেবার জন্য ।

বাইরে থেকে দরোজা খুলতে খুলতে আমি এখন ক্লান্ত ।

নির্মলেন্দু গুন



হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে...

মন বাড়িয়ে ছুঁই.....

দুইকে আমি এক করি না....

এক কে করি দুই...!!!!



হেমের মাঝে শুই না যবে...

প্রেমের মাঝে শুই...

তুই কেমন করে যাবি ????

পা বাড়ালেই পায়ের ছায়া....

আমাকেই তুই পাবি...!!!

যাত্রা ভঙ্গ( নির্মলেন্দু গুণ)





=============================================





ভয় নেই

আমি এমন ব্যবস্থা করবো যাতে সেনাবাহিনী

গোলাপের গুচ্ছ কাঁধে নিয়ে

মার্চপাস্ট করে চলে যাবে

এবং স্যালুট করবে

কেবল তোমাকে প্রিয়তমা।

তোমাকেঅভিবাদনপ্রিয়তমা(শহীদ কাদরী)





অস্বীকার করার উপায় নেই ওরা মানুষের মতো

দেখতে, এবং ওরা মানুষই X((

ওরা বাংলা মানুষ

এর চেয়ে ভয়াবহ কোনো কথা আমি আর শুনবো না কোনোদিন।

হন্তারকদের প্রতি (শহীদ কাদরী)





ভয় নেই আমি এমন ব্যবস্থা করবো মুদ্রাস্ফীতি কমে গিয়ে বেড়ে যাবে

শিল্পোত্তীর্ণ কবিতার সংখ্যা প্রতিদিন

আমি এমন ব্যবস্থা করবো গণরোষের বদলে

গণচুম্বনের ভয়ে

হন্তারকের হাত থেকে পড়ে যাবে ছুরি, প্রিয়তমা।

তোমাকে অভিবাদন প্রিয়তমা(শহীদ কাদরী)







=============================================







আবুল হাসান , যার কবিতাই তার নিজের সম্পর্কে কথা বলে



গোলাপের নীচে নিহত হে কবি কিশোর আমিও ভবঘুরেদের প্রধান

ছিলাম ।

জোৎস্নায় ফেরা জাগুয়ারা চাঁদ দাঁতে ফালা ফালা করেছে আমারও

প্রেমিক হৃদয় !

গোলাপের নীচে নিহত হে কবি কিশোর

আবুল হাসান








ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেপ সমস্ত কাগজ !

আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !

……………………………….

আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

সচ্চরিত্র ফুল আমি যত বাগানের মোড়ে লিখতে যাই, দেখি

কলম খুলে পড়ে যায় বিষ পিঁপড়ে, বিষের পুতুল !

আমারআমার হবে না, আমি বুঝে গেছি

(আবুল হাসান)






অতটুকু চায়নি বালিকা!

অত শোভা, অত স্বাধীনতা!

চেয়েছিল আরো কিছু কম,

………………………………….

একটি পুরুষ তাকে বলুক রমণী!

নিঃসঙ্গতা (আবুল হাসান)







লক্ষি বউটিকে

আমি আজ আর কোথাও দেখিনা,

হাটি হাটি শিশুটিকে

কোথাও দেখিনা,

কতগুলি রাজহাঁস দেখি

নরম শরীর ভরা রাজহাঁস দেখি,



কতগুলি মুখস্থ মানুষ দেখি, বউটিকে কোথাও দেখিনা

শিশুটিকে কোথাও দেখিনা !

উচ্চারণগুলি শোকের(আবুল হাসান)





=============================================





কেউ কথা রাখেনি, তেত্রিশ বছর কাটলো, কেউ কথা রাখেনি

ছেলেবেলায় এক বোষ্টুমী তার আগমনী গান হঠাৎ থামিয়ে বলেছিল

শুক্লা দ্বাদশীর দিন অন্তরাটুকু শুনিয়ে যাবে

তারপর কত চন্দ্রভূক অমাবস্যা চলে গেলো, কিন্তু সেই বোষ্টুমী

আর এলোনা

পঁচিশ বছর প্রতিক্ষায় আছি।:((

মামা বাড়ির মাঝি নাদের আলী বলেছিল, বড় হও দাদাঠাকুর

তোমাকে আমি তিন প্রহরের বিল দেখাতে নিয়ে যাবো

সেখানে পদ্মফুলের মাথায় সাপ আর ভ্রমর

খেলা করে!







নাদের আলী, আমি আর কত বড় হবো? আমার মাথা এ ঘরের ছাদ

ফুঁড়ে আকাশ স্পর্শ করলে তারপর তুমি আমায়

তিন প্রহরের বিল দেখাবে?

একটাও রয়্যাল গুলি কিনতে পারিনি কখনো

লাঠি-লজেন্স দেখিয়ে দেখিয়ে চুষেছে লস্করবাড়ির ছেলেরা

ভিখারীর মতন চৌধুরীদের গেটে দাঁড়িয়ে দেখেছি

ভিতরে রাস-উৎসব

অবিরল রঙের ধারার মধ্যে সুবর্ণ কঙ্কণ পরা ফর্সা রমণীরা

কত রকম আমোদে হেসেছে

আমার দিকে তারা ফিরেও চায়নি!







বাবা আমার কাঁধ ছুঁয়ে বলেছিলেন, দেখিস, একদিন, আমরাও…

বাবা এখন অন্ধ, আমাদের দেখা হয়নি কিছুই

সেই রয়্যাল গুলি, সেই লাঠি-লজেন্স, সেই রাস-উৎসব

আমায় কেউ ফিরিয়ে দেবেনা!

বুকের মধ্যে সুগন্ধি রুমাল রেখে বরুণা বলেছিল,

যেদিন আমায় সত্যিকারের ভালবাসবে

সেদিন আমার বুকেও এ-রকম আতরের গন্ধ হবে!

ভালোবাসার জন্য আমি হাতের মুঠেয়ে প্রাণ নিয়েছি

দূরন্ত ষাঁড়ের চোখে বেঁধেছি লাল কাপড়





বিশ্বসংসার তন্ন তন্ন করে খুঁজে এনেছি ১০৮টা নীল পদ্ম

তবু কথা রাখেনি বরুণা, এখন তার বুকে শুধুই মাংসের গন্ধ

এখনো সে যে-কোনো নারী।

কেউ কথা রাখেনি, তেত্রিশ বছর কাটল, কেউ কথা রাখে না!

"কেউ কথা রাখেনি"

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়






=============================================





আমার জীবন ভালোবাসাহীন গেলে

কলঙ্ক হবে কলঙ্ক হবে তোর,

খুব সামান্য হৃদয়ের ঋণ পেলে

বেদনাকে নিয়ে সচ্ছলতার ঘর

হৃদয়ের ঋণ (হেলাল হাফিজ)





=============================================











বাংলাদেশ ও আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি। বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ভাগে দুই বাংলায় তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব ও জনপ্রিয়তা প্রতিষ্ঠিত। তিনি একজন নাগরিক কবি ছিলেন







স্বাধীনতা তুমি,

রবিঠাকুরের অজর কবিতা, অবিনাশী গান।

স্বাধীনতা তুমি

কাজী নজরূল, ঝাঁকরা চুলের বাবরি দোলানো

মহান পুরূষ, সৃস্টিসুখের উল্লাসে কাঁপা

স্বাধীনতা তুমি(শামসুর রাহমানের)







তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা,

তোমাকে পাওয়ার জন্যে

আর কতবার ভাসতে হবে রক্তগঙ্গায় ?

আর কতবার দেখতে হবে খাণ্ডবদাহন ?

তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা

শামসুর রাহমান






একটি নতুন পৃথিবীর জন্ম হ’তে চলেছে –

সবাই অধীর প্রতীক্ষা করছে তোমার জন্যে, হে স্বাধীনতা।

পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে জলন্ত

ঘোষণার ধ্বনি-প্রতিধ্বনি তুলে,

মতুন নিশান উড়িয়ে, দামামা বাজিয়ে দিগ্বিদিক

এই বাংলায়

তোমাকেই আসতে হবে, হে স্বাধীনতা

তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা

শামসুর রাহমান








=============================================







আমি সম্ভবত খুব ছোট্ট কিছুর জন্য মারা যাবো

ছোট ঘাসফুলের জন্যে

একটি টলোমলো শিশিরবিন্দুর জন্যে

আমি হয়তো মারা যাবো চৈত্রের বাতাসে

উড়ে যাওয়া একটি পাঁপড়ির জন্যে

একফোঁটা বৃষ্টির জন্যে

............

আমি সম্ভবত খুব ছোট্ট কিছুর জন্যে মারা যাবো

খুব ছোট একটি স্বপ্নের জন্যে

খুব ছোট দুঃখের জন্যে

আমি হয়তো মারা যাবো কারো ঘুমের ভেতরে

একটি ছোটো দীর্ঘশ্বাসের জন্যে

একফোঁটা সৌন্দর্যের জন্যে।

আমি সম্ভবত খুব ছোট কিছুর জন্য

হুমায়ুন আজাদ








আমি জানি সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে।:P

কড়কড়ে রৌদ্র আর গোলগাল পূর্ণিমার চাঁদ

নদীরে পাগল করা ভাটিয়ালি খড়ের গম্বুজ

শ্রাবণের সব বৃষ্টি নষ্টদের অধিকারে যাবে।

রবীন্দ্রনাথের সব জ্যোৎস্না আর রবিশংকরের

সমস্ত আলাপ হৃদয়স্পন্দন গাথা ঠোঁটের আঙুর

ঘাইহরিণীর মাংসের চিৎকার মাঠের রাখাল

কাশবন একদিন নষ্টদের অধিকারে যাবে।

চলে যাবে সেই সব উপকথাঃ সৌন্দর্য-প্রতিভা-

মেধা; -এমনকি উন্মাদ ও নির্বোধদের প্রিয় অমরতা

নির্বাধ আর উন্মাদদের ভয়ানক কষ্ট দিয়ে

অত্যন্ত উল্লাসভরে নষ্টদের অধিকারে যাবে।

সবকিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে

হুমায়ুন আজাদ






============================================









পল্লীর আপন একজন কবি পল্লী কবি জসীমউদ্দীন। তিনি আধুনিক বাংলা কাব্যে এক নতুন আবহ সৃষ্টি করেন।কবি জসীমউদদীন জীবনকে উপলদ্ধি করেছেন জীবনের অস্থিমজ্জায় অনুসন্ধানী ডুবুরীর বেশে। হৃদয়কে আত্মস্থ করেছেন হৃদয় জমিনে আদর্শ চাষীর মতো চাষবাস করে। সমাজের অবহেলিত মানুষকে বিশ্লেষণ করেছেন নিজের জীবনের গাণিতিক ছন্দে।





এইখানে তোর দাদীর কবর ডালিম গাছের তলে,

তিরিশ বছর ভিজায়ে রেখেছি দুই নয়নের জলে।

কবর(জসীমউদ্দীন)



আজিকের রোদ ঘুমায়ে পড়িয়া ঘোলাট-মেঘের আড়ে,

কেয়া-বন পথে স্বপন বুনিছে ছল ছল জল-ধারে।

কাহার ঝিয়ারী কদম্ব-শাখে নিঝ্ঝুম নিরালায়,

ছোট ছোট রেণু খুলিয়া দেখিছে অস্ফুট কলিকায়!

পল্লী-বর্ষা(জসীমউদ্দীন)



আজিকে বাহিরে শুধু ক্রন্দন ছল ছল জলধারে,

বেণু-বনে বায়ু নাড়ে এলোকেশ, মন যেন চায় কারে।

পল্লীবর্ষা(জসীমউদ্দীন)





=============================================



রাত পোহাবার কত দেরি পাঞ্জেরি?

এখনো তোমার আসমান ভরা মেঘে?

সেতারা, হেলাল এখনো ওঠেনি জেগে?

তুমি মাস্তলে, আমি দাঁড় টানি ভুলে;

অসীম কুয়াশা জাগে শূন্যতা ঘেরি।

পাঞ্জেরি(ফররুখ আহমদ)





=============================================



অবনী বাড়ি আছো?

দুয়ার এঁটে ঘুমিয়ে আছে পাড়া

কেবল শুনি রাতের কড়ানাড়া

‘অবনী বাড়ি আছো?

অবনী বাড়ি আছো?

শক্তি চট্টোপাধ্যায়








=============================================



যে কোন একটা ফুলের নাম বল

- দুঃখ ।

- যে কোন একটা নদীর নাম বল

- বেদনা ।

- যে কোন একটা গাছের নাম বল

- দীর্ঘশ্বাস ।

- যে কোন একটা নক্ষত্রের নাম বল

- অশ্রু ।

- এবার আমি তোমার ভবিষ্যত বলে দিতে পারি ।

কথোপকথন (পুর্ণেন্দু পত্রীর)









=============================================







আজো আমি বাতাসে লাশের গন্ধ পাই

আজো আমি মাটিতে মৃত্যুর নগ্ননৃত্য দেখি,

ধর্ষিতার কাতর চিৎকার শুনি আজো আমি তন্দ্রার ভেতরে…

এ দেশ কি ভুলে গেছে সেই দুঃস্বপ্নের রাত, সেই রক্তাক্ত সময়

বাতাসে লাশের গন্ধ ভাসে

মাটিতে লেগে আছে রক্তের দাগ।

বাতাসে লাশের গন্ধ

রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ








=============================================





দৃশ্য থেকে দ্রষ্টা অব্দি ধারাবাহিকতা খেয়ে ফেলে

অবশেষে যথাক্রমে খাবো : গাছপালা, নদীনালা

গ্রামগঞ্জ, ফুটপাত, নর্দমার জলের প্রপাত

চলাচলকারী পথচারী, নিতম্ব প্রধান নারী

উড্ডীন পতাকাসহ খাদ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রীর গাড়ী

আমার ক্ষুধার কাছেই কিছুই ফেলনা নয় আজ

ভাত দে হারামজাদা

তা না হলে মানচিত্র খাব

ভাত দে হারামজাদা

রফিক আজাদ






=============================================





তেলের শিশি ভাঙল বলে

খুকুর পরে রাগ করো

তোমরা যে সব বুড়ো খোকা

বাঙলা ভেঙে ভাগ করো!

তার বেলা?

খুকু ও খোকা

(অন্নদাশঙ্কর রায়)






=============================================





আমি আমার পূর্বপুরুষের কথা বলছি।

তাঁর করতলে পলিমাটির সৌরভ ছিল

তাঁর পিঠে রক্তজবার মত ক্ষত ছিল

আমি কিংবদন্তির কথা বলছি

আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ








=============================================





আমি বাংলায় গান গাই।

আমি বাংলার গান গাই।

আমি আমার আমিকে চিরদিন এই বাংলায় খুজে পাই।

আমি বাংলায় দেখি স্বপ্ন।

আমি বাংলায় বাঁধি সুর।

আমি এই বাংলার মায়া ভরা পথে হেঁটেছি এতোটা দূর।

আমি বাংলায় গান গাই (প্রতুল মুখোপাধ্যায় )







=============================================





ধনধান্য পুষ্পভরা আমাদের এই বসুন্ধরা;

তাহার মাঝে আছে দেশ এক- সকল দেশের সেরা;

ওসে স্বপ্ন দিয়ে তৈরী সে দেশ স্মৃতি দিয়ে ঘেরা;

এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি,

সকল দেশের রাণী সে যে- আমার জন্মভূমি।

ধনধান্য পুষ্পভরা (দ্বিজেন্দ্রলাল রায়)





=============================================





অবশেষে কবিগুরুতে এসে বাংলা কবিতার পূর্ণতা........................







রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক







আজি হতে শতবর্ষ পরে

কে তুমি পড়িছ বসি আমার কবিতাখানি

কৌতূহলভরে—

আজি হতে শতবর্ষ পরে।

১৪০০ সাল







বহু দিন ধ'রে বহু ক্রোশ দূরে

বহু ব্যয় করি বহু দেশ ঘুরে

দেখিতে গিয়েছি পর্বতমালা,

দেখিতে গিয়েছি সিন্ধু।

দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া

ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া

একটি ধানের শিষের উপরে

একটি শিশিরবিন্দু।

স্ফুলিঙ্গ







প্রহরশেষের আলোয় রাঙা

সেদিন চৈত্রমাস,

তোমার চোখে দেখেছিলাম

আমার সর্বনাশ

চার অধ্যায়







নীল নবঘনে আষাঢ়গগনে

তিল ঠাঁই আর নাহি রে।

ওগো, আজ তোরা যাস নে ঘরের

বাহিরে।

বাদলের ধারা ঝরে ঝর-ঝর,

আউশের খেত জলে ভর-ভর,

কালী-মাখা মেঘে ও পারে আঁধার

ঘনিয়েছে দেখ্‌ চাহি রে।

ওগো, আজ তোরা যাস নে ঘরের

বাহিরে।







শুধু বিঘে দুই ছিল মোর ভুঁই আর সবই গেছে ঋণে।

বাবু বলিলেন, "বুঝেছ উপেন, এ জমি লইব কিনে।'

কহিলাম আমি, "তুমি ভূস্বামী, ভূমির অন্ত নাই।

চেয়ে দেখো মোর আছে বড়ো-জোর মরিবার মতো ঠাঁই।'

দুই বিঘা জমি





আজি এ প্রভাতে রবির কর

কেমনে পশিল প্রাণের পর,

কেমনে পশিল গুহার আঁধারে প্রভাতপাখির গান!

না জানি কেন রে এত দিন পরে জাগিয়া উঠিল প্রাণ।

জাগিয়া উঠেছে প্রাণ,

ওরে উথলি উঠেছে বারি,

ওরে প্রাণের বাসনা প্রাণের আবেগ রুধিয়া রাখিতে নারি

নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ













উৎসর্গ : বাংলা ব্লগের সকল কবি আর সেই সব ব্লগার এর প্রতি, যারা ব্লগে ঘোরাঘুরি করে কবিতা পড়ে এবং কমেন্ট করে বাংলা কবিতা এবং তার কবিদের নিরন্তর প্রেরণা যুগিয়ে যাচ্ছে।

মন্তব্য ৫৮০ টি রেটিং +২৯৮/-০

মন্তব্য (৫৮০) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই মে, ২০১১ দুপুর ২:২৫

qazi1414 বলেছেন: ধন্যবাদ !

১০ ই মে, ২০১১ দুপুর ২:৪৫

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ

২| ১০ ই মে, ২০১১ দুপুর ২:৩০

স্বপ্নকথন বলেছেন: সুন্দরররর........

১০ ই মে, ২০১১ দুপুর ২:৫২

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: আপনিও আপনার প্রিয় এবং সুন্দর কবিতার লাইনগুলো জানান।
ধন্যবাদ।

৩| ১০ ই মে, ২০১১ দুপুর ২:৩০

বৃষ্টি ভেজা সকাল ১১ বলেছেন: অসাধারন একটা পোষ্ট। বেশ ভাল লাগল।

১০ ই মে, ২০১১ দুপুর ২:৫৮

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: এই যে ভাল লাগল এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ বৃষ্টি ভেজা সকাল।

৪| ১০ ই মে, ২০১১ দুপুর ২:৩১

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: অসাধারন একটা পোস্ট । প্রিয়তে । আমার নেট একটু ঝামেলা করছে । ঠিক হলে আর কিছু লাইন জানাব । আভ সুকান্তের মত কবিতা নিয়ে আমার এক্তা লেখা আছে, দেখবেন

Click This Link

১০ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:০৮

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ তানিম।


আপনার প্রিয় লাইনগুলো জানার অপেক্ষায় রইলাম।
ও হ্যাঁ কবিতাটা দেখে আসলাম এবং ভাল লাগা জানিয়ে এলাম।

৫| ১০ ই মে, ২০১১ দুপুর ২:৩৪

শ।মসীর বলেছেন: ++++++++++++



অনেক ধন্যবাদ.........

১২ ই মে, ২০১১ রাত ১২:২৯

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: শামসীর আপনাকেও ধন্যবাদ।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১২ ভোর ৬:২২

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: সেখানে এখন শুধু চাঁদের বদলে তুমি ওঠো,
আর একটাই ওঠে সন্ধ্যাতারা,
সেও তুমি।
বইগুলো খুলে দেখি সব গ্রন’ জুড়ে শুধু
এই একটাই শব্দ তাতে লেখা
--- তোমাকে দেখার পর থেকে - মহাদেব সাহা

৬| ১০ ই মে, ২০১১ দুপুর ২:৩৭

নাজমুল ইসলাম মকবুল বলেছেন:
সত্যিই অসাধারন
আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ
এবং
কৃতজ্ঞতা
এমন
মুল্যবান পোস্টের জন্য

১১ ই মে, ২০১১ রাত ১২:০৭

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: মূল্যবান কিনা জানি না , তবে আপানদের ভাল লেগেসে যে এটাই বেশী মূল্যবান। ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে কৃতজ্ঞতা জানানোর জন্য। শুভকামনা।

৭| ১০ ই মে, ২০১১ দুপুর ২:৩৮

আমি ছড়াকার বলেছেন:
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। এমন কিছু পোস্ট হঠাৎ হঠাৎ আসে বলে সামুতে আসা স্বার্থক মনে হয়। ঝোলায় ভরলাম আর ভাল লাগা জানিয়ে গেলাম। :)

১০ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:২৮

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ছড়াকার আপনার কমেন্ট টা পড়ে খুবই ভাল লাগল । আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আর হ্যাঁ প্রিয় কিছু লাইন ........

৮| ১০ ই মে, ২০১১ দুপুর ২:৪৮

বুমবুম বলেছেন: ভালো হইচে:|

১১ ই মে, ২০১১ সকাল ৮:৩১

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: অনেক অনেক ধইন্যা...............

৯| ১০ ই মে, ২০১১ দুপুর ২:৪৯

ম.শরীফ বলেছেন: দারুন একটা পোষ্ট। প্রিয়তে রাখলাম।

১২ ই মে, ২০১১ রাত ১২:৩১

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার দেওয়া এই উৎসাহের জন্য।

১০| ১০ ই মে, ২০১১ দুপুর ২:৫১

কবির চৌধুরী বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটি পোস্ট দেয়ার জন্য।

১০ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:৩৪

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: কবির চৌধুরী আপনাকেও অশেষ ধন্যবাদ পোষ্টা দেখার জন্য সেই সাথে কমেন্ট করার জন্য।ভাল থাকবেন।

১১| ১০ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:০১

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
অসাধারণ পোস্ট।
এই পোস্টটি আরো লম্বা হলেও ভালোই লাগতো।
অনেক ধন্যবাদ থাকলো।

১০ ই মে, ২০১১ রাত ৯:১৭

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: জী ভাইয়া আমরও পোষ্টা আরও লম্বা , আরও সুন্দর সুন্দর কবিতা দেওয়ার ইচ্ছা ছিল, কিন্তু পোষ্টা বেশি লম্বা হয়ে যাচ্ছিল তাই আর পাঠকের বিরক্তির সৃষ্টি করলাম না।

তবে ব্যাপার না , আপনাদের শেয়ার করা কবিতার মাধম্যে হয়তোবা পোষ্টা হয়ে উঠতে পারে প্রানবন্ত।
ধন্যবাদ আপনাকে আর অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনাদের প্রতি।

১২| ১০ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:০৮

অনিমেষ হৃদয় বলেছেন: এক ধাক্কায় প্রিয়তে!

আমার আরো কিছু অসাধারণ পছন্দের চরণ আছে। যেমন, সুনীলের সত্যবদ্ধ অভিমান-

"এই হাত ছুঁয়েছে নীরার মুখ,
আমি কি এ হাতে কোন পাপ করতে পারি?"

সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের ঝর্ণা-

"ঝর্ণা! ঝর্ণা! সুন্দরী ঝর্ণা!
তরলিত চন্দ্রিকা! চন্দন-বর্ণা!
অঞ্চল সিঞ্চিত গৈরিকে স্বর্ণে,
গিরি-মল্লিকা দোলে কুন্তলে কর্ণে,
তনু ভরি' যৌবন, তাপসী অপর্ণা!
ঝর্ণা!"

রবী ঠাকুরের সোনার তরী-

"এতকাল নদীকূলে
যাহা লয়ে ছিনু ভুলে
সকলি দিলাম তুলে
থরে বিথরে-
এখন আমারে লহো করুণা করে।।
এপারেতে ছোটো খেত, আমি একেলা।।
ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই- ছোট সে তরী
আমারি সোনার ধানে গিয়েছে ভরে।"

নিদ্রিতা-

"মুখের পানে চাহিনু অনিমেষে,
বাজিল বুকে সুখের মতো ব্যথা।"

আবদুল হাকিমের বঙ্গভাষা-

"যেসব বঙ্গে জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী,
সেসব কাহার জন্ম নির্ণইয় ন-জানি।"

১০ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:১৯

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ অনিমেষ আপনার এই এত এত ভাল লাগা কবিতাগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

শুভকামনা রইল আপনার প্রতি।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১২ দুপুর ১:১৬

শব্দহীন জোছনা বলেছেন:
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত

১৩| ১০ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:১৩

নিভৃত নয়ন বলেছেন: priyote rekhe dilam,,,,,,,,,,,darun kaj koresen......
dhonnobad:)

১২ ই মে, ২০১১ রাত ১২:৩৫

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: নিভৃত নয়ন আপনাকেও ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন আর ভাল ভাল কবিতার সাথেই থাকবেন।

১৪| ১০ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:১৫

আকাশের তারাগুলি বলেছেন: পোষ্ট প্রিয়তে
খুব ভালো হয়েছে.............

১২ ই মে, ২০১১ রাত ১২:৩৭

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আকাশের তারা। আপনার কথায় অনেক অনুপ্রানিত বোধ করছি। ভাল থাকবেন আর আপনার প্রতি রইল কৃতজ্ঞতা।

১৫| ১০ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:২০

শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: চোখ বন্ধ করে প্রিয়তে।

১১ ই মে, ২০১১ রাত ১২:২৫

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: হায় হায় করছেন কি B-) B-) তাড়াতাড়ি চোখ খুলেন আর আপনার সবচেয়ে প্রিয় কবিতার লাইন লিখে ফেলেন

১৬| ১০ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:২০

শামীম শরীফ সুষম বলেছেন: +++++++++++++++++++

অনেক ধন্যবাদ

কবিতার প্রতি আপনার ভালোবাসায় মুগ্ধ হলাম

১১ ই মে, ২০১১ সকাল ৭:২১

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ শামীম শরীফ।

আসলে কবিতার প্রতি সবারই ভালবাসা আছে হয়তোবা প্রকাশ টা ভিন্ন। যে জাতির নজরু্‌ল, রবীন্দ্রনা্‌থ, জীবনানন্দ আছে সে জাতি যে কবিতা প্রেমিক হয়ে যায় ,হয়তোবা মনের অজান্তে, সে মুখে বলুক আর নাই বলু্‌ক,তা তার কাজে কাজে প্রকাশ পেয়ে যায়। ভাল থাকবেন আর অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার প্রতি।

১৭| ১০ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:২২

নষ্টছেলে বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

প্রিয়তে নিয়ে গেলাম।

৩১ শে জুলাই, ২০১১ ভোর ৫:৩৫

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ নষ্টছেলে প্রিয়তে নেওয়ার জন্য

১৮| ১০ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:২৮

মোস্তাক হাসান বলেছেন: ভালো লাগলো :#) :#)

১২ ই মে, ২০১১ রাত ১২:৩৯

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধইন্যা ......
:) :)

১৯| ১০ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:৪৯

চিন্তিত আছি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই প্রিয়তে রাখলাম আর থাকলে শেয়ার করুন

১২ ই মে, ২০১১ রাত ১২:৪৪

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ভাইজান আপনাকেও ধন্যবাদ ।

২০| ১০ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:৫২

মরহুম আসমান ফকির বলেছেন: আসাধারন পোষ্ট!!! প্লাসের সহিত সোজা প্রিয়তে। :)

নজরুলের মানুষ কবিতার এই লাইন গুলা মারাত্মক পছন্দের-

"ও' কারা কোরান, বেদ, বাইবেল চুম্বিছে মরি মরি
ও মুখ হইতে কেতাব-গ্রন্থ নাও জোর করে কেড়ে
যাহারা আনিল গ্রন্থ-কেতাব সেই মানুষেরে মেরে
পুজিছে গ্রন্থ ভন্ডের দল !--মুর্খরা সব শোনো
মানুষ এনেছে গ্রন্থ,--গ্রন্থ আনেনি মানুষ কোনো ।"

১০ ই মে, ২০১১ বিকাল ৪:৩১

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ আসমান ফকির ।

মুর্খরা সব শোনো
মানুষ এনেছে গ্রন্থ,--গ্রন্থ আনেনি মানুষ কোনো


আসলে এই সাহসী উচ্চারন হয়তোবা শুধুমাত্র নজরুলের পক্ষেই সম্ভব।

২১| ১০ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:৫৯

রাখালীয়া বলেছেন: +++
প্রিয়তে নিলাম......

১২ ই মে, ২০১১ রাত ১২:৪৯

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ রখালীয়া পিলাচ সহকারে প্রিয়তে নেওয়ার জন্য।
ভাল থাকবেন আর শুভকামনা রইল আপনার প্রতি।

২২| ১০ ই মে, ২০১১ বিকাল ৪:০৩

আঁধার রাত বলেছেন: মচতকার পোষ্ট

১২ ই মে, ২০১১ রাত ১২:৫০

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: :) :)

:-B :-B

২৩| ১০ ই মে, ২০১১ বিকাল ৪:০৮

মনিরাজ সরকার বলেছেন: ধন্যবাদ এবং প্রিয়তে

২৪| ১০ ই মে, ২০১১ বিকাল ৪:১৬

মনিরাজ সরকার বলেছেন: ধন্যবাদ এবং প্রিয়তে

১২ ই মে, ২০১১ রাত ১:০১

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ মনিরাজ সরকার

২৫| ১০ ই মে, ২০১১ বিকাল ৪:২৯

ফাইরুজ বলেছেন: চমত্‍কার পোস্ট।
জীবনানন্দ দাশের "উনিশশো চৌত্রিশের"কয়েকট লাইন আমার খুব প্রিয়।
আমি অত তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না,
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌছুবার সময় আছে।
পৌছে অনেকক্ষন বসে অপেক্ষা করবার অবসর আছে।
জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা অন্য সবাই এসে বহন করুক:আমি প্রয়োজন বোধ করিনা:
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

২৬| ১০ ই মে, ২০১১ বিকাল ৪:২৯

ফাইরুজ বলেছেন: চমত্‍কার পোস্ট।
জীবনানন্দ দাশের "উনিশশো চৌত্রিশের"কয়েকট লাইন আমার খুব প্রিয়।
আমি অত তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না,
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌছুবার সময় আছে।
পৌছে অনেকক্ষন বসে অপেক্ষা করবার অবসর আছে।
জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা অন্য সবাই এসে বহন করুক:আমি প্রয়োজন বোধ করিনা:
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

১০ ই মে, ২০১১ বিকাল ৪:৫২

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ জীবনানন্দের সুন্দুর কিছু লাইন আমদের সাথে শেয়ার করার জন্য । তবে এতগুলা রিপিট কমেন্ট দেইখা মাথা কেমুন যেন চক্কর দিতাছে।

যাই হোক । ভাল থাকবেন আর অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার প্রতি।

২৭| ১০ ই মে, ২০১১ বিকাল ৪:৫৮

আরিফইসলাম বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। এমন কিছু পোস্ট হঠাৎ হঠাৎ আসে বলে সামুতে আসা স্বার্থক মনে হয়। ঝোলায় ভরলাম আর ভাল লাগা জানিয়ে গেলাম।

১১ ই মে, ২০১১ সকাল ৯:২৪

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ঝোলায় ভরানো আর ভাল লাগা জানানো দুটোর জন্যই অশেষ কৃতজ্ঞতা আপনার প্রতি আরিফ ভাই।

নির্মল কবিতার বিশুধতায় শুধিত হোক আমাদের সকলের হৃদয়।

২৮| ১০ ই মে, ২০১১ বিকাল ৪:৫৯

ফাইরুজ বলেছেন: আমার কোন দোষ নাই নেট সমস্যার কারনে একটা কমেন্ট এত বার এসেছে।প্লীজ আপনি চাইলে একটা রেখে বাকীগুলো মুছে দিতে পারেন।জানিনা এই কমেন্ট টা কয় বার যাবে।

১০ ই মে, ২০১১ রাত ৯:১০

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: না আর একটাও রিপিট কমেন্ট আসেনি। একটা অতিরিক্ত রাখলাম নেট সমস্যার চিহ্ন স্বরূপ।

২৯| ১০ ই মে, ২০১১ বিকাল ৫:১৫

নিয়নের আলো বলেছেন: এক কথায় বলব অসাধারন।সব প্রিয় কবিতার প্রিয় লাইন গুলো এক সাথে দেখতে খুব ই ভাল লাগলো।ধন্যবাদ।
ভাল কথা আমার খুব প্রিয় একজন কবি দাউদ হায়দার এর কথা বলতে পারি।দেখেন তো লাইন গুলো ভাল লাগে কিনা --
সেই যে ছেড়েছি দেশ
প্রথম যৌবনে
ভুলেই গিয়েছি মাটির গন্ধ
জলের জীবন।

০৭ ই মার্চ, ২০১২ সকাল ১০:১০

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: এবার বলো আমার মনের কোণে
দেবে ধরা, ছলবে না।
আড়াল দিয়ে লুকিয়ে গেলে
চলবে না।
অমন আড়াল দিয়ে লুকিয়ে গেলে
..............রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

০২ রা মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪৫

শব্দহীন জোছনা বলেছেন:

দাউদ হায়দার

৩০| ১০ ই মে, ২০১১ বিকাল ৫:১৭

নিয়নের আলো বলেছেন: এক কথায় বলব অসাধারন।সব প্রিয় কবিতার প্রিয় লাইন গুলো এক সাথে দেখতে খুব ই ভাল লাগলো।ধন্যবাদ।
ভাল কথা আমার খুব প্রিয় একজন কবি দাউদ হায়দার এর কথা বলতে পারি।দেখেন তো লাইন গুলো ভাল লাগে কিনা --
সেই যে ছেড়েছি দেশ
প্রথম যৌবনে
ভুলেই গিয়েছি মাটির গন্ধ
জলের জীবন।

১১ ই মে, ২০১১ রাত ১:১৫

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: কবিতা টার লাইনটা অসম্ভভ রকমের সুন্দর।ঘরে ফেরার আকুতি কেন যেন নিজের মাঝেও প্রবল ভাবে বিরাজ করছে। কেন যেন ইচ্ছে করছে সেই শহরে সেই আপনজনদের সাথে দেখা করার এক প্রবল আকুতি। ঠিক যেন BALLAD OF A SOLDIER মুভি টার মত এই পথেও যেন গজিয়ে গেছে শিকড়।


নিয়নের আলো আপনার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা ।

৩১| ১০ ই মে, ২০১১ বিকাল ৫:১৯

গ্যাব্রিয়েল সুমন বলেছেন: আরেকটু সমৃদ্ধ করেন। দারুন হবে।

৩২| ১০ ই মে, ২০১১ বিকাল ৫:২০

গ্যাব্রিয়েল সুমন বলেছেন: আরেকটু সমৃদ্ধ করেন। দারুন হবে।

১০ ই মে, ২০১১ রাত ৯:২৪

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: জী ভাইয়া ধন্যবাদ আপনাকে।

তবে ভাইজান আমি ব্যাপক অলস । বেশী পরিশ্রম করবার মন চায় না :( :(

৩৩| ১০ ই মে, ২০১১ বিকাল ৫:৩১

আমিও মানুষ বলেছেন: সুন্দর...চলতে থাকুক।

১২ ই মে, ২০১১ রাত ১:০৪

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ...

তবে চলুক এ বাংলা কবিতার শব্দের চাকা...

=p~ =p~

৩৪| ১০ ই মে, ২০১১ বিকাল ৫:৪৫

আকাশগঙ্গা বলেছেন: মনে ভাবিলাম মোরে ভগবান রাখিবে না মোহগর্তে
তাই লিখে দিল বিশ্ব নিখিল দু বিঘার পরিবর্তে।।
<দুই বিধা জমি-রবিবাবু>


কুহেলী উত্তরে মাঘের সন্নাসী গিয়াছে চলিইয়া ধীরে।
তাহারেই মনে পড়ে ভুলিতে পারিনা কোণ মতে।।
(তাহারেই মনে পরে-সুফিয়া কামাল)

১১ ই মে, ২০১১ সকাল ১০:১৬

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ভাল লাগার কবিতার চরণগুলো আমাদের সাথে বিনিময় করার জন্য আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা ।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১২ দুপুর ১:২৯

শব্দহীন জোছনা বলেছেন:
সুফিয়া কামাল

৩৫| ১০ ই মে, ২০১১ বিকাল ৫:৪৯

মুক্ত সাইমন বলেছেন: ভালো লাগলো,আরো ভালো লাগলো সুকান্তকে দিয়ে শুরু করায়,অসাধারণ এই কবির আরো লাইন চাই।

১০ ই মে, ২০১১ রাত ১১:৫৮

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: মুক্ত সায়মন তোমাকে কবিতা ব্লগে দেখে খুব ভাল লাগসে। আর সুকান্ত আমারও খুব প্রিয় একজন কবি। আমি তো আমার কিছু প্রিয় সুকান্তের কবিতা দিয়েছিই এবার কিন্তু তোমার পালা।

৩৬| ১০ ই মে, ২০১১ বিকাল ৫:৫১

মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধূরী বলেছেন: বাংলা কবিতার সবচেয়ে জনপ্রিয় লাইনগুলো

হেডিং দেখে ঢুকে পড়লাম..........মনে করলাম বিশাল কালেকশন হবে কিন্তু মন ভরলো না পুরোটা। আরো কি যেন নেই এমন একটি জিজ্ঞাসা। তারপরও ধন্যবাদ বেশ বাছাই করা কিছু জনপ্রিয় কবিতার লাইন সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য। পোষ্টটি আরো বিশালতায় সমৃদ্ধ করলে ভাল হয়।
ধন্যবাদ :)

১০ ই মে, ২০১১ রাত ৮:৫৯

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ পোস্ট এ ঢুকার জন্য।
জী ভাইয়া আপনাদের কমেন্ট এ করা কবিতার সৌজন্যে হয়ে উঠতে পারে বিশাল কালেকশন B:-) B:-)

৩৭| ১১ ই মে, ২০১১ রাত ১২:৩৭

বোকা ছেলে বলেছেন: ধন্যবাদ এরকম একটি পোস্ট দেবার জন্য। কিন্তু আর সবার মতো আমারও মনে হচ্ছে কালেকশনটি আরো অনেক বড় হতে পারতো!

যেমন ধরুন সুকুমারের এই কয় লাইন দিয়ে..
রামগরুড়ের ছানা হাসতে তাদের মানা,
হাসির কথা শুনলে বলে,
"হাসব না-না, না-না!''



অথবা রবীন্দ্রনাথ...
যত বড়ো হোক ইন্দ্রধনু সে
সুদূর-আকাশে-আঁকা,
আমি ভালোবাসি মোর ধরণীর
প্রজাপতিটির পাখা।


যদিও স্বয়ং হুমায়ূন আহমেদ নিজেকে কবি পরিচয় দিতে নারাজ, তার এই দুই লাইন আমার ভীষণ প্রিয়...
দিতে পারো একশো ফানুস এনে?
আজন্ম সলজ্জ সাধ-
একদিন আকাশে কিছু ফানুস ওড়াই

১১ ই মে, ২০১১ রাত ১:০২

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: জী ভাইয়া ,আপনাদের সাথে আমিও একমত আসলেই কালেকশনটা ছোট হয়ে গেছে। কি করব বলুন বাংলা কবিতার বিশাল সম্রাজ্যের শুধুমাএ সিংহদ্বার খোলার চেষ্টাই করেছি মাত্র। আশা করেছি পাঠকরা ভাল বিখ্যাত কিছু লাইন পড়ে কবিতার প্রতি আরও বেশী আগ্রহী হবে। কবিতা এবং তার কবিদের সব কবিতা পড়ার প্রতি আগ্রহী হবে। আর এগিয়ে নিয়ে যাবে আজকের দিনের বাংলা কবিতাকে আর ছড়াবে সারা বিশ্বে বাংলা কবিতার সুবাতাস

আপনার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা আমাদের সাথে সুন্দর সন্দর কিছু কবিতা শেয়ার করার জন্য । শুভকামনা।

৩৮| ১১ ই মে, ২০১১ রাত ১:০৪

ean25 বলেছেন: আমার কাছে নজরুলের খালেদ কবিতার এই কিছু লাইন মারান্তক ভালো লাগে

বিশ্ব যখন এগিয়ে চলেছে আমরা তখনো বসে
বিবি তালাকের ফতোয়া খুজি ফেকা ও হাদীস চষে ।


আর্ও আছে

খালেদ খালেদ লুকাব না আজ কিছু,সত্য বলিব আজি,
ত্যাগী ও শহিদ হওয়া ছারা মোরা আর সব কিছু হতে রাজি!
রীশ-ই বুল্নদ,শেরওয়ানী চোগা,তসবি ও টুপি ছারা
পড়ে নাকো কিছু মুসলিম গাছ দাও ধরে যত নাড়া।

ভাই একটা কথা আপনি এই লাইনে শির নেহারি আমারি নত-শির ওই শিখর হিমাদ্রির X(( X(( ইমো দিলেন কেন?

১২ ই মে, ২০১১ দুপুর ২:৫৯

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে ।
আপনার কবিতাগুলো পোষ্ট টাকে প্রাণবন্ত করে তুলল।


;) ;) X(( X((

৩৯| ১১ ই মে, ২০১১ রাত ২:২০

প্যারাফিন বলেছেন: ভালো লাগলো,ধন্যবাদ এরকম একটি পোস্ট দেবার জন্য।

৪০| ১১ ই মে, ২০১১ রাত ২:২০

প্যারাফিন বলেছেন: ভালো লাগলো,ধন্যবাদ এরকম একটি পোস্ট দেবার জন্য।

১২ ই মে, ২০১১ সকাল ৯:১১

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: যান পিলাচের জন্য আপনারে দিলাম অনেক অনেক ধইন্যা পাতা...

৪১| ১১ ই মে, ২০১১ রাত ৩:০৯

কামরুল হাসান শািহ বলেছেন: প্রিয়তে

হেলাল হাফিজ এর আরও কয়েকটা দেওয়া যেত

"এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়"

"নিউটন বোমা বোঝ, মানুষ বোঝ না"

"আর না হলে যত্ন করে ভুলেই যেয়ো, আপত্তি নেই৷
গিয়ে থাকলে আমার গেছে, কার কী তাতে?
আমি না হয় ভালোবেসেই ভুল করেছি
ভুল করেছি,নষ্ট ফুলের পরাগ মেখে
পাঁচ দুপুরের নির্জনতা খুন করেছি, কী আসে যায়?

এক জীবনে কতোটা আর নষ্ট হবে,
এক মানবী কতোটা আর কষ্ট দেবে!"

"জলের আগুনে পুড়ে হয়েছি কমল,,,
কি দিয়ে মুছবো বলো আগুনের জল"

১১ ই মে, ২০১১ সকাল ৯:৪৮

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: আসলে হেলাল হাফিজ এর কবিতার মাঝে এক ধরণের মাদকতা আছে। কত সহজ সুন্দর ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ যা আসলেই দারুন।

ধন্যবাদ আপনাকে ।

০৩ রা মে, ২০১২ সকাল ১১:১২

শব্দহীন জোছনা বলেছেন:
হেলাল হাফিজ

৪২| ১১ ই মে, ২০১১ সকাল ১১:৫২

শেখ মিনহাজ হোসেন বলেছেন: সবচেয়ে প্রিয় কবিতা সুনীলের। এখানে আছে, "কেউ কথা রাখেনি"

জীবনানন্দ দাসও অসাধারণ। "সুরঞ্জনা, বনলতা সেন" এসব তো আছেই। এর বাইরে, "আবার আসিব ফিরে" যতবার পড়ি ততবার বাংলায় আবার ফিরে আসতে ইচ্ছে করে। শামসুর রাহমানের "আসাদের শার্ট", "স্বাধীনতা তুমি" রক্তে স্বাধীনতার দাক দেয়। আর রবীন্দ্রনাথের কথা তো না-ই বললাম।

১১ ই মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৪

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ভাইরে আপনার প্রতি অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা সুন্দর করে গুছিয়ে এত অসাধারন একটি মন্তব্যের জন্য।

আর সুনীল,জীবনানন্দ,রবীন্দ্রনাথ, শামসুর রাহমান,কবি বা কবিতার কথা আর কি বা বলব এটা যেন এক ভালবাসার মেলবন্ধন।

ভাল থাকবেন আর শুভকামনা রইল আপনার প্রতি ।

০৩ রা মে, ২০১২ রাত ৯:২৭

শব্দহীন জোছনা বলেছেন:
শামসুর রাহমান

৪৩| ১১ ই মে, ২০১১ দুপুর ২:১৯

অচেনা রাজ্যের রাজা বলেছেন: পোষ্ট সরাসরি প্রিয়তে

১১ ই মে, ২০১১ বিকাল ৫:৫০

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ অচেনা রাজ্যের রাজা ।

৪৪| ১১ ই মে, ২০১১ দুপুর ২:৫৬

জয় রাজ খান বলেছেন: এক কথায় অসাধারণ!! প্রিয়তে :)

১২ ই মে, ২০১১ সকাল ৯:১২

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ জয় রাজ খান ।

৪৫| ১১ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:০৫

নুরুল বলেছেন: প্রিয়তে :)

১২ ই মে, ২০১১ বিকাল ৫:১৪

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ =p~ =p~

৪৬| ১১ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:২৭

আমি তুমি আমরা বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। প্লাস এবং সরাসরি প্রিয়তে।

পোস্ট আপডেট করতে থাকুন।আরো সমৃদ্ধ হোক কবিতার সংগ্রহ।

অবাক হলাম সুকান্তের এই লাইঙ্গুলো আপনার পোস্টে না দেখেঃ

সাবাশ বাংলাদেশ
এ পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়
জ্বলে পুড়ে মরে ছাড়খার
তবু মাথা নোয়াবার নয়।


হেলাল হাফিজের "অবাক সূর্যোদয়" কবিতাটাও অসাধারণ।

আর ভাই আমার মনে হয় ''সুকুমার রায়" অবশ্যই এই পোস্টে আসা উচিত।

১১ ই মে, ২০১১ বিকাল ৫:৪৫

শব্দহীন জোছনা বলেছেন:
সুকান্তের এই লাইঙ্গুলো আসলে ভুলবশত এড়িয়ে গেছে। তবে ব্যাপার না আমার চোখ এড়িয়ে গেলেও আপনার চোখ এড়াতে পারেনি। ফলে এইতো কবিতাটা এড হয়ে গেল।

ধন্যবাদ আপনাকে আর রইল অশেষ কৃতজ্ঞতা।

৪৭| ১১ ই মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩১

মজার মানুষ বলেছেন: আদম হইতে শুরু ক'রে এই নজরুল তক্‌ সবে
কম-বেশী ক'রে পাপের ছুরিতে পুণ্য করেছে জবেহ!
বিশ্ব পাপস্থান
অর্ধেক এর ভগবান, আর অর্ধেক শয়তান্‌!


ধর্মান্ধরা শোনো,
অন্যের পাপ গনিবার আগে নিজেদের পাপ গোনো!

হেথা সবে সম পাপী,
আপন পাপের বাট্‌খারা দিয়ে অন্যের পাপ মাপি!



পাপ
কাজী নজরুল ইসলাম

১৩ ই মে, ২০১১ সকাল ৮:৪০

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ এবং আরেকটি কবিতা...

কবিতা তো কেঁদে ওঠে মানুষের যে কোনো অ-সুখে,
নষ্ট সময় এলে উঠানে দাঁড়িয়ে বলে,–
পথিক এ পথে নয়
‘ভালোবাসা এই পথে গেছে’।

আমার কবিতা আমি দিয়ে যাবো
আপনাকে, তোমাকে ও তোকে।
উৎসর্গ
হেলাল হাফিজ

৪৮| ১১ ই মে, ২০১১ রাত ৮:১৭

কপালপোড়া বলেছেন: সুন্দর কালেকশন। ধন্যবাদ এই পোস্টের জন্য। প্রিয়তে নিলাম।

১২ ই মে, ২০১১ রাত ১২:২৭

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

৪৯| ১২ ই মে, ২০১১ রাত ১:১২

গডব্রাদার বলেছেন: অনেক ভাল একটি কাজ করেছেন

১৩ ই মে, ২০১১ সকাল ৮:৪২

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ......

৫০| ১২ ই মে, ২০১১ রাত ১:৪১

কথক পলাশ বলেছেন: কোনটা ছেড়ে কোনটা লিখি?
আপনি তো আমার মাথা খারাপ করে দিলেন!

"মানুষের প্রাণে তবু অনন্ত ফাল্গুণী
তুমি যেন বলো আর, আমি যেন শুনি"
(চিরদিন-অমিয় চক্রবর্তী)

"অলস দেহটি মাটিতে বিছায়ে ঘুমাস সন্ধ্যা হলে,
সারা গাঁও আমি খুঁজিয়া ফিরিব, তোরই নাম বলে বলে।"
(নিমন্ত্রণ-জসীম উদ্দিন)

"ইঁদুরেরা চলে গেছে-আঁটির ভেতর থেকে চলে গেছে চাষা
শস্যের ক্ষেতের পাশে আজরাতে আমাদের জেগেছে পিপাসা।"
(অবসরের গান-জীবনানন্দ দাশ)

"পূর্ণিমাতেই পূর্ণ হলো তোমার মনের সাধ,
তুমি অথই জলে খুঁজেছিলে পূর্ণিমারই চাঁদ।"
(চন্দ্রাভিলাষী নারী-মাকিদ হায়দার)

"হোক ভুল হোক, মিথ্যে প্রবোধ
অভিলাষী মন চন্দ্রে না পাক
জোছনায় পাক সামান্য ঠাঁই-
কিছুটাতো চাই!"
(অভিমানের খেয়া-রুদ্র মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ)

"একটি কথার দ্বিধাথরথর চূড়ে
ভর করেছিল সাতটি অমরাবতী ;
একটি নিমেষে দাঁড়ালো সরণী জুড়ে,
থামিল কালের চিরচঞ্চল গতি ;"
(শ্বাশ্বতী-সুধীন্দ্রনাথ দত্ত)

"অতটা চায়নি বালিকা!
অত হৈ রৈ লোক, অত ভীড়, অত সমাগম!
চেয়েছিল আরো কিছু কম!
একটি জলের খনি
তাকে দিক তৃষ্ণা এখনি,
চেয়েছিল-
একটি পুরুষ তাকে বলুক রমণী!"
(নিঃসঙ্গতা-আবুল হাসান)

আরো কয়েক হাজার...
একজীবন লেগে যাবে লিখতে!

১২ ই মে, ২০১১ সকাল ৮:০০

শব্দহীন জোছনা বলেছেন:
আসলে বাংলা সাহিত্যের কবিতার ভাণ্ডার বিশাল ,সেইসাথে প্রিয় কবিতার প্রিয় লাইনগুলার সংখ্যাও আসলে কেন যেন অসীম বলে মনে হয়। আর তাইতো কবিতার মহাকাশ থেকে কিছু তারকার বাছাই করতে গেলে আসলেই কেমন যেন সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায়।



সুন্দর সুন্দর কিছু কবিতা আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন বলে কথক পলাশ আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতার শেষ নেই ।ভাল থাকবেন আর অনেক অনেক ধন্যবাদ ।

৫১| ১২ ই মে, ২০১১ রাত ১:৪৫

ত্রিনিত্রি বলেছেন: অসাধারন লিখতে কয়েক কোটি অ লাগবে! তাও হবে কিনা জানি না। এ জাতীয় পোস্ট গুলি কেন আলাদা করা থাকে না?
জানি ধন্যবাদ পাবার জন্য এত পরিশ্রম আপনি করেন নি, তারপরো অসংখ্য ধন্যবাদ। আমার বাড়ীর সিন্দুকে এটা না ভরে উপায় নেই!

অনেক ধন্যবাদ।

১৪ ই মে, ২০১১ রাত ৮:৫৯

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে একটা মন্তব্য লিখার জন্য। ভাল থাকবেন। আরেকটি কবিতা.........


সার্থবাহ, সার্থবাহ, ওইদিকে নীল
সমুদ্রের পরিবর্তে আটলাণ্টিক চার্টার নিখিল মরুভূমি!
বিলীন হয় না মায়ামৃগ - নিত্য দিকদর্শিন;
যা জেনেছে - যা শেখেনি -
সেই মহাশ্মশানের গর্ভাঙ্কে ধূপের মত জ্ব'লে
জাগে না কি হে জীবন - হে সাগর -
শকুন্ত-ক্রান্তির কলরোলে।
সূর্যতামসী
(সাতটি তারার তিমির, ১৯৪৮)
জীবনানন্দ দাশ

৫২| ১২ ই মে, ২০১১ রাত ২:৫৮

ধূসরধ্রুব বলেছেন: প্রিয়তে না নিয়ে পারলাম না :) :) :) :)

১৩ ই মে, ২০১১ সকাল ১১:০৪

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: কৃতজ্ঞতার সহিত ধন্যবাদ... 8-|

৫৩| ১২ ই মে, ২০১১ ভোর ৬:২৯

মরুর পাখি বলেছেন: চমৎকার প্রয়াস- একপোষ্টে সবাইকে মনে করিয়ে দেবার জন্য।
প্রথমদিকে ভেবেছিলাম আরও বৈচিত্রময় কিছু কারণ আপনার আগের লেখাগুলোই তা ভাবতে শিখিয়েছে। কি ভেবেছিলাম----------------

ভেবেছিলাম যারা শুধুমাত্র কয়েকলাইন লিখে জগতে বিখ্যাত হয়েছেন ওনাদেরকে নিয়ে লেখা--- যাদের হয়ত একটা বইও আছে কি নাই বা থাকলেও ঐ বইয়ের চেয়ে বিশেষ লাইনগুলিই তার বিখ্যাত হওয়ার কারণ।

যাইহোক আবারও হতাশ হইনি-- খুব ভাল লেগেছে। নতুন পোষ্টের অপেক্ষায় রইলাম।

১৩ ই মে, ২০১১ সকাল ১১:১৫

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: বাহ আপনার আইডিয়া তো খুবই চমৎকার।

আসলে বাংলা কবিতার বিশেষ কিছু লাইন একত্র করার চেষ্টা এই পোস্ট। যেন আমরা সেইসব কবির প্রতি আরও বেশী আগ্রহী হই এবং কবিদের বাকি আরও চমৎকার চমৎকার অথচ সেইভাবে আলোচিত নয় কবিতাগুলো পড়ি ।

ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি কমেন্ট এর জন্য। ভাল থাকবেন আর অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার প্রতি।

৫৪| ১২ ই মে, ২০১১ ভোর ৬:৪৭

রিয়েল ডেমোন বলেছেন: "মেনে রেখো মোরে, আমি বেঁচে থাকবো

তোমাদের মাঝে ,

অথবা কিশোরীর আধ ঘুমের স্বপনে"


___কবি শ্রী রিয়েল ডেমোন


আমি জানি একদিন আমার এই অবিস্বরণীয় পঙ্কিগুলো এমনি কোন এক ব্লগারের পোষ্টে শুভা পাবে। /:) হয়তো আমি থাকবনা সেদিন, কিন্তু সময় তার সাক্ষী হয়ে রবে :D :D

অনেক মূল্যবান একটি পোষ্ট। আপনার এই পোষ্ট প্ররিয়তে না নিয়ে উপায় নেই।

১২ ই মে, ২০১১ সকাল ৭:৪৪

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: রিয়েল ডেমোন আপনার কমেন্ট পড়ে ব্যাপক মজা পেলাম =p~

আপনার কবিতার শেষ চরণ টা কিন্তু সেইরাম হইসে"কিশোরীর আধ ঘুমের স্বপনে"

ধন্যবাদ আপনাকে।

৫৫| ১২ ই মে, ২০১১ সকাল ৮:৪২

রোবট ভিশন বলেছেন: কবিতা গুলো পড়ে আবার নতুন করে শিহরিত হইলাম...
কিভাবে যে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই...
আমার সিন্ধুকে এইটা কে রেখে দিলাম... অনেক অনেক প্রিয় কবিতার কিছু করে অংশ এখানে আছে... তাই কিভাবে এইগুলো ফেলে যাই বলেন?

১৩ ই মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪২

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ সিন্দুকে নিয়ে যাওয়ার জন্য এবং একই সাথে শিহরিত হওয়ার জন্য। আপনার জন্য নিচের কবিতাটি,

ঝাপসা চোখে মা তাকায়
উঠোনে, উঠোনে
যেখানে খোকার শব
শকুনিরা ব্যবচ্ছেদ করে।

এখন,
মা’র চোখে চৈত্রের রোদ
পুড়িয়ে দেয় শকুনিদের।
তারপর,
দাওয়ায় ব’সে
মা আবার ধান ভানে,
বিন্নি ধানের খই ভাজে,
খোকা তার
কখন আসে! কখন আসে!
মাগো, ওরা বলে – আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ

২৫ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ৯:২৪

শব্দহীন জোছনা বলেছেন:
আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ

৫৬| ১২ ই মে, ২০১১ সকাল ৯:২৮

শায়েরী বলেছেন: দারুন দারুন
+

১৩ ই মে, ২০১১ সকাল ১১:১৮

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ.........

৫৭| ১৩ ই মে, ২০১১ রাত ৯:০৮

জিসান শা ইকরাম বলেছেন: অনেক প্রিয় কবির কবিতা এক সাথে পড়ার সুযোগ পেলাম।ভালো লাগলো খুব।

১৪ ই মে, ২০১১ সকাল ৮:৫৩

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার জন্য আরেকটি কবিতা...

আমি কোনো আগন্তুক নই। এই
খর রৌদ্র জলজ বাতাস মেঘ ক্লান্ত বিকেলের
পাখিরা আমাকে চেনে
তারা জানে আমি কোনো অনাত্মীয় নই।
কার্তিকের ধানের মঞ্জরী সাক্ষী
সাক্ষী তার চিরোল পাতার
টলমল শিশির, সাক্ষী জ্যোৎস্নার চাদরে ঢাকা
নিশিন্দার ছায়া

আমি কোনো আগন্তুক নই
আহসান হাবীব

২৫ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ৯:২৮

শব্দহীন জোছনা বলেছেন:
আহসান হাবীব

৫৮| ১৪ ই মে, ২০১১ ভোর ৫:৪৯

স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: ভাল লাগল পোস্ট । ধন্যবাদ

১৪ ই মে, ২০১১ সকাল ৮:৫৫

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ হাসনাইন।

৫৯| ১৪ ই মে, ২০১১ রাত ৯:০৩

লিটল হামা বলেছেন: খুব ভালো পোস্ট। আপনার পরিশ্রমকে সাধুবাদ জানাই।

১৫ ই মে, ২০১১ সকাল ৮:১৭

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে । আসলে কবিতা ভাল লাগার একটি যায়গা পরিশ্রম না বরং আপনাদের সাথে কবিতাগুলো শেয়ার করতে পেরে ভালই লাগসে। আপনার জন্য আরেকটি কবিতা...


একবার নক্ষত্রের দিকে চাই — একবার প্রান্তরের দিকে
আমি অনিমিখে।

ধানের ক্ষেতের গন্ধ মুছে গেছে কবে
জীবনের থেকে যেন; প্রান্তরের মতন নীরবে
বিচ্ছিন্ন খড়ের বোঝা বুকে নিয়ে ঘুম পায় তার;
নক্ষত্রেরা বাতি জ্বেলে জ্বেলে — জ্বেলে — ‘নিভে গেলে — নিভে গেলে?’
বলে তারে জাগায় আবার;
নিরালোক
জীবনানন্দ দাশ

৬০| ১৬ ই মে, ২০১১ দুপুর ২:২২

ঘুমন্ত আমি বলেছেন: অসাধারন।সুন্দর কাজ।

১৭ ই মে, ২০১১ দুপুর ১২:০৯

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ এবং শুভকামনা এবং আরেকটি কবিতা...



মাঠে ঘাটে
লোক নেই,
খাঁ খাঁ করে রোদ্দুর।
পিপাসায়
পথিকের
ছাতি কাঁপে দুদ্দুর।
রোদ যেন
নয়, শুধু
গনগনে ফুলকি।
আগুনের
ঘোড়া যেন
ছুটে চলে দুলকি

ঝাঁঝ মাখা
হাওয়া এসে
ডালে দেয় ঝাপটা!
পাতা নড়ে
ফুল পড়ে
বাপরে কি দাপটা!

গ্রীষ্মের দুপুরে – ফজলুর রহমান

৬১| ১৭ ই মে, ২০১১ সকাল ৮:০২

একলা চাঁদ বলেছেন: কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া
তোমার চরণে দিব হৃদয় খুলিয়া।

চরণে ধরিয়া তব কহিব প্রকাশি
গোপনে তোমারে, সখা, কত ভালোবাসি।
ভেবেছিনু কোথা তুমি স্বর্গের দেবতা,
কেমনে তোমারে কব প্রণয়ের কথা।

ভেবেছিনু মনে মনে দূরে দূরে থাকি
চিরজন্ম সঙ্গোপনে পূজিব একাকি–
কেহ জানিবে না মোর গভীর প্রণয়,
কেহ দেখিবে না মোর অশ্রুবারিচয়।

আপনি আজিকে যবে শুধাইছ আসি,
কেমনে প্রকাশি কব কত ভালোবাসি।
(রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর )

এই কবিতাটাও সুন্দর । অন্যতমভাবে প্রথম ৪টা লাইন এবং শেষের দুইটা লাইন তো অসাধারন ।

এক ক্লিকেই প্রিয়তে :)

১৭ ই মে, ২০১১ সকাল ১১:৪০

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: হুম কবিতাটা আসলেই সুন্দর , ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি কবিতা শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর এর আরও কিছু লাইন...


আমার এই পথ-চাওয়াতেই আনন্দ।
খেলে যায় রৌদ্র ছায়া, বর্ষা আসে বসন্ত।।
কারা এই সমুখ দিয়ে আসে যায় খবর নিয়ে,
খুশি রই আপন মনে- বাতাস বহে সুমন্দ।
সারাদিন আঁখি মেলে দুয়ারে রব একা,
শুভখন হঠাৎ এলে তখনি পাব দেখা।
ততখন ক্ষণে ক্ষণে হাসি গাই আপন-মনে,
ততখন রহি রহি ভেসে আসে সুগন্ধ।
আমার এই পথ-চাওয়াতেই আনন্দ

৬২| ১৭ ই মে, ২০১১ সকাল ৯:০৯

shopnochora_007 বলেছেন: একটু বেশীই জোস.... :D

১৭ ই মে, ২০১১ দুপুর ১:০৯

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ স্বপ্ন চূড়া ...


হাত থেকে তার পড়ে যায় খসে
অবশ্য আধলা ধুলোয়।
চোখ ঠেলে খোলা অসাড় শূন্যে।
প্রাণ, তুমি আজো আছ ঐ দেহে,
আছ মুমূর্ষু দেশে।
১৩৫০ – অমিয় চক্রবর্তী

২৬ শে এপ্রিল, ২০১২ ভোর ৬:৩৭

শব্দহীন জোছনা বলেছেন:
অমিয় চক্রবর্তী

৬৩| ১৭ ই মে, ২০১১ দুপুর ২:৪৯

সৈয়দ ফয়সল রেজা বলেছেন:
সাবাশ বাংলাদেশ
এ পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়
জ্বলে পুড়ে মরে ছারখার
তবু মাথা নোয়াবার নয়।

অসাধারন একটা পোষ্ট।

১৭ ই মে, ২০১১ বিকাল ৪:৪৯

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সৈয়দ ফয়সল রেজা এই লাইনগুলা আসলেই অসম্ভব রকমের সুন্দর। আপনার জন্য আরও কিছু লাইন...

সারাটা বছর সূর্য এখানে বাঁধা
রোদে ঝলসায় মৌন পাহাড় কোনো,
অবাধ রোদ্রে তীব্র দহন ভরা
রৌদ্রে জ্বলুক তোমার আমার মনও।
সুকান্ত ভট্টাচার্য রৌদ্রের গান

৬৪| ১৭ ই মে, ২০১১ দুপুর ২:৫৮

আরুশা বলেছেন: অসাধারণ, মনে হয়না আর কিছু বাকি আছে ভাইয়া।

১৭ ই মে, ২০১১ বিকাল ৫:১১

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আরুশা ।

সমস্ত দিনের শেষে শিশিরের শব্দের মত
সন্ধ্যা আসে; ডানার রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলে চিল;
পৃথিবীর সব রঙ নিভে গেলে পান্ডুলিপি করে আয়োজন
তখন গল্পের তরে জোনাকির রঙে ঝিলমিল;
সব পাখি ঘরে আসে - সব নদী - ফুরায় এ জীবনের সব লেনদেন;
থাকে শুধু অন্ধকার, মুখোমুখি বসিবার বনলতা সেন।
বনলতা সেন
জীবনানন্দ দাশ

৬৫| ১৭ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:৩৭

অলস রাজা বলেছেন: সেই একই ভাঙা পথ
একই কালো মাটির আল ধরে গ্রামে ফেরা
আমি কতদিন পর গ্রামে ফিরছি।
হুলিয়া – নির্মলেন্দু গুন।

আমি নাহয় ভুল করেছি –নষ্ট ফুলের পরাগ মেখে
পাচ দুপুরের নির্জনতাখুন করেছি ,ভুল করেছি।
এক জীবনে কতটাই বা নষ্ট হবে
এক মানবী কতটাই আর কষ্ট দিবে।
-হেলাল হাফিজ

আমি এমন ব্যবস্থা করবো
সীমান্তের ট্রেন্সগুলো পাহাড়া দিবে
লাল নীল সোনালী মাছ ।
ভালবাসার চোরাচালান ছারা আর সব কিছু নিষিদ্ধ হয়ে যাবে প্রিয়তমা।

তোমাকে অভিবাদন প্রিয়তমা-শহীদ কাদরী।

মুখস্তো লেখলাম ভুল হতে পারে ।

১৭ ই মে, ২০১১ বিকাল ৫:২৫

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: বাহ খুবই ভাল লাগল এই যেনে যে আপনি এই কবিতা মুখস্ত লিখছেন। আর অশেষ কৃতজ্ঞতা আপনার প্রতি , এতসব সুন্দর কবিতার জন্য।

৬৬| ১৭ ই মে, ২০১১ রাত ৯:৫৩

অনিকেত বলেছেন: পৃথিবীর রাঙা রাজকন্যাদের মতো সে যে চলে গেছে রূপ নিয়ে দূরে ;
আবার তাহারে কেনো ডেকে আনো ? কে হায় হৃদয় খুড়ে
বেদনা জাগাতে ভালোবাসে ।
==হায় চিল, জীবনানন্দ দাস ।

অতন্দ্রিলা, ঘুমাওনি জানি
তাই চুপি চুপি গাঢ় রাতে শুয়ে বলি শোনো
সৌর তারা ছাওয়া এই বিছানায় রাত্রির মশারী কত দীর্ঘ
=== অতন্দ্রিলা, অমিয় চক্রবর্তী ।

২১ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৫:৪২

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ .........
.........ধন্যবাদ.........

৬৭| ২০ শে মে, ২০১১ সকাল ১১:২৭

অতি সাধারন বলেছেন: খুব ভাল লাগলো। সরাসরি প্রিয়তে।

২২ শে জুন, ২০১১ সকাল ১০:০৬

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ...


শোন্ মিলি!
দুঃখ তার বিষমাখা তীরে তোকে
বিঁধে বারংবার।
তবুও নিশ্চিত জানি, একদিন হবে তোর
সোনার সংসার।।
উঠোনে পড়বে এসে একফালি রোদ,
তার পাশে শিশু গুটিকয়
তাহাদের ধুলোমাখা হাতে-ধরা দেবে
পৃথিবীর সকল বিস্ময়।।


---------------সংসার
হুমায়ূন আহমেদ

৬৮| ২৯ শে মে, ২০১১ রাত ১১:৫৮

নিয়ম ভাঙার কারিগর বলেছেন: পাঠ্যবইয়ের কবিতার বাইরে অন্য কোন কবিতা কখনই পড়া হয় না।
কবিতার প্রতি আগ্রহও তেমন একটা নেই।
ব্লগে এসেও কবিতার পোস্টগুলো একপ্রকার এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টাই করি।


আপনার এই পোস্ট দিয়েই আমার কবিতা পড়া শুরু হোক। !:#P
পোস্ট প্রিয়তে। :)

২১ শে জুন, ২০১১ রাত ১০:৪০

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ নিয়ম ভাঙার কারিগর আপনার এই নিয়ম ভাঙ্গার জন্য। আশা করি কবিতা আপনাকে নিরাশ করবে না। ভাল থাকবেন ...

৬৯| ০৪ ঠা জুন, ২০১১ রাত ১২:১৩

আসকওয়ানমি বলেছেন: কল্পনার হাঁস সব — পৃথিবীর সব ধ্বনি সব রং মুছে গেল পর
উড়ুক উড়ুক তারা হৃদয়ের শব্দহীন জোছনার ভিতর

(জীবনানন্দ দাশ)

সোজা প্রিয়তে

২১ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৯

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: অশেষ কৃতজ্ঞতা...

৭০| ০৪ ঠা জুন, ২০১১ রাত ১২:১৪

পাহাড়ের কান্না বলেছেন: সরাসরি প্রিয়তে

২২ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১:২০

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ পাহাড়ের কান্না এবং আপনার জন্য আরেকটি কবিতা...


আজগুবি নয়, আজগুবি নয়,সত্যি কারের কথা _
ছায়ার সাথে কুস্তি করে গাত্রে হল ব্যাথা।
ছায়া ধারার ব্যবসা করি তাও জাননা বুঝি?
রোদের ছায়া, চাঁদের ছায়া, হরেক রকম পুঁজি!
শিশির ভেজা সদ্য ছায়া, সকাল বেলায় তাজা,
গ্রীষ্মকালে শুক্নো ছায়া ভীষণ রোদে ভাজা।
------------------ ছায়া বাজি -
সুকুমার রায়

২৬ শে এপ্রিল, ২০১২ সকাল ৭:০৩

শব্দহীন জোছনা বলেছেন:
সুকুমার রায়

৭১| ০৬ ই জুন, ২০১১ রাত ২:০৫

মানবিক ৩০ বলেছেন: হে বঙ্গ
ভান্ডারে তব বিবিধ রতন
ত ফেলে অবোধ আমি,অবহেলা করি-
কাটাইনু বহু দেশ সুখ পরি হরি.....
...................................মাইকেল মধূষূধণ

২২ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৯

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ...



কুমড়ো ফুল শুকিয়ে গেছে,
ঝরে পরেছে ডাঁটা,
পুঁই লতাটা নেতানো
খোকা এলি ?
ঝাপসা চোখে মা তাকায়
উঠানে উঠানে
যেখানে খোকার শব শকুনীরা ব্যবচ্ছেদ করে।
এখন মার চোখে চৈত্রের রোদ পুরিয়ে দেয় শকুনীদের।
-----------------------------------------------
মাগো, ওরা বলে –
আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ

৭২| ০৬ ই জুন, ২০১১ রাত ২:২৫

পুবের পাহাড় বলেছেন: প্রিয়তে..:)

২৩ শে জুন, ২০১১ সকাল ১০:৩৬

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ...

জোটে যদি মোটে একটি পয়সা
খাদ্য কিনিয়ো ক্ষুধার লাগি’
দুটি যদি জোটে অর্ধেকে তার
ফুল কিনে নিয়ো, হে অনুরাগী!
ফুলের ফসল –
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত

৭৩| ০৬ ই জুন, ২০১১ সকাল ৯:৫৯

কাশিফ বলেছেন: je kobi k valo lage na tar kobita tai sob theke valo laglo.........

২৩ শে জুন, ২০১১ সকাল ১১:২৮

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ভাই আসলে কবিতা এইরকমই ......... যা নিমিষেই ব্যক্তি, জাতি বা কালের উর্ধ্বে যেতে পারে তার আবেগ দিয়ে...আপনার জন্য আরেকটি কবিতা...

ভালোবাসা হচ্ছে এক প্রকার পাথর
দুজনে এক সাথে ছুঁয়ে দিলে
নড়ে চড়ে কথা বলে, আলো বিকীরণ করে
ছুঁয়ে না দিলে
আলো না জ্বললে
ভালোবাসা কেবলই পাথর

দেশপ্রেম কেবলই বরফ
মিছিলের উত্তাপে গলে
পাথর ও বরফ –
সমুদ্র গুপ্ত

৭৪| ০৬ ই জুন, ২০১১ রাত ৮:৪১

স্মৃতির নদীগুলো এলোমেলো... বলেছেন: খুব খুব ব্যাপক মাত্রায় অসাধারন। ধন্যবাদ আপনাকে

২৩ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১২:০২

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ...

অথচ জানেনা ওরা কেউ
গাছের পাতায়, ফুটপাতে
পাখির পালকে কিংবা নারীর দু'চোখে
পথের ধুলায়
বস্তির দুরন্ত ছেলেটার
হাতের মুঠোয়
সর্বদাই দেখি জ্বলে স্বাধীনতা নামক শব্দটি।
বন্দী শিবির থেকে
শামসুর রাহমান

৭৫| ১৩ ই জুন, ২০১১ রাত ৩:৫৮

আধাঁরি অপ্সরা বলেছেন: সেইরকম একটা কালেকশান! খালি দেখে গেলাম। পড়লাম না!!
প্রিয়তে নিয়া রাখলাম! টাইম কৈরা পড়বনি!
আপনাকে ধন্যবাদ!

০২ রা অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৬

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ...


শুধু একবার তোমাকে ছোঁব,
ঐ আনন্দে কেটে যাবে সহস্র জীবন।

শুধু একবার তোমাকে ছোঁব,
অহংকারে মুছে যাবে সকল দীনতা।

শুধু একবার তোমাকে ছোঁব,
শুধু একবার পেতে চাই অমৃত আস্বাদ।

শুধু একবার তোমাকে ছোঁব,
অমরত্ব বন্দি হবে হাতের মুঠোয়।

শুধু একবার তোমাকে ছোঁব,
তারপর হবো ইতিহাস।

আকাশসিরিজ
.............নির্মলেন্দু গুন

৭৬| ১৩ ই জুন, ২০১১ ভোর ৪:০৮

হ্যামেলিন এর বাঁশিওয়ালা বলেছেন: আমার প্রিয় হচ্ছেঃ

"আপনাকে বড় বলে বড় সেই নয়, লোকে যাকে বড় বলে বড় সেই হয়।"

"পারিব না একথাটি বলিও না আর, কেন পারিবে না তাহা ভাব একবার।"

২৩ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৫:৫২

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ...
হ্যামেলিন এর বাঁশিওয়ালার জন্য সুন্দুর আরকটি কবিতার কিছু লাইন...

আমি হয়তো মানুষ নই, মানুষগুলো অন্যরকম,
হাঁটতে পারে, বসতে পারে, এ-ঘর থেকে ও-ঘরে যায়,
মানুষগুলো অন্যরকম, সাপে কাটলে দৌড়ে পালায় ।
আমি হয়তো মানুষ নই, সারাটা দিন দাঁড়িয়ে থাকি,
গাছের মতো দাঁড়িয়ে থাকি।
সাপে কাটলে টের পাই না, সিনেমা দেখে গান গাই না,
অনেকদিন বরফমাখা জল খাই না ।
মানুষ
নির্মলেন্দু গুন

৭৭| ১৩ ই জুন, ২০১১ ভোর ৪:১৬

মিছিল বলেছেন: অনেক গুলো প্রিয় কবিতা একসঙ্গে পড়ে ভাল লাগল। আপনাকে ধন্যবাদ কবিতাগুলো একসঙ্গে পড়ার ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য। :) :) :) :)

২৪ শে জুন, ২০১১ সকাল ৯:০৬

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: রক্তচোখের আগুন মেখে ঝলসে যাওয়া আমার বছরগুলো
আজকে যখন হাতের মুঠোয় কণ্ঠনালীর খুন পিয়াসী ছুরি
কাজ কি তবে আগলে রেখে বুকের কাছে কেউটে সাপের ঝাপি
আমার হাতেই নিলাম আমার নির্ভরতার চাবি
তুমি আমার আকাশ থেকে সরাও তোমার ছায়া
তুমি বাংলা ছাড়ো

বাংলা ছাড়ো
(সিকান্দার আবু জাফর)

৭৮| ১৩ ই জুন, ২০১১ রাত ৮:২৯

মিন্ট বলেছেন: !:#P !:#P !:#P !:#P !:#P !:#P
আরও আশা করছি ...

২১ শে জুন, ২০১১ সকাল ৮:৩৬

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: B:-) B:-)

|-) |-) |-)

৭৯| ১৩ ই জুন, ২০১১ রাত ৯:৩৯

আধাঁরি অপ্সরা বলেছেন:
আবার এসে পুরো পোস্ট চেক করলাম!
অনেক অনেক ভালো লাগল নিজের অধিকাংশ প্রিয় কবিতার সংকলন দেখে!!
ব্লগারকে ধন্যবাদ!

২১ শে জুন, ২০১১ সকাল ৮:৩৪

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ আঁধারের অপ্সরা । প্রিয় এ কবিতার সংকলনগুলো আপনার ভাল লেগেসে জেনে, ভাল লাগার এই প্রকাশ ছুয়ে গেল আমাকেও। আপনার জন্য আরেকটি অসাধারন কবিতা...


সুচেতনা, তুমি এক দূরতর দ্বীপ
বিকেলের নক্ষত্রের কাছে;
সেইখানে দারুচিনি-বনানীর ফাঁকে
নির্জনতা আছে।
এই পৃথিবীর রণ রক্ত সফলতা
সত্য; তবু শেষ সত্য নয়
সুচেতনা
জীবনানন্দ দাশ

৮০| ১৫ ই জুন, ২০১১ রাত ২:০৪

বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন: আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে , আমি চাই
কেউ একজন আমার জন্য অপেক্ষা করুক,
শুধু ঘরের ভেতর থেকে দরোজা খুলে দেবার জন্য ।
বাইরে থেকে দরোজা খুলতে খুলতে আমি এখন ক্লান্ত ।
নির্মলেন্দু গুন

২৪ শে জুন, ২০১১ সকাল ১০:১৫

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ...

আজকে যখন খুঁড়তে গিয়ে নিজের কবরখানা
আপন খুলির কোদাল দেখে সর্বনাশা বজ্র দিয়ে গড়া
কাজ কি দ্বিধায় বিষন্নতায় বন্দী রেখে ঘৃনার অগ্নিগিরি
আমার বুকেই ফিরিয়ে নেব ক্ষীপ্ত বাঘের থাবা
তুমি আমার জল স্থলের মাদুর থেকে নামো
তুমি বাংলা ছাড়ো
বাংলা ছাড়ো
(সিকান্দার আবু জাফর)

৮১| ১৮ ই জুন, ২০১১ রাত ১০:২৪

অবধারিত বলেছেন: কবিতারা এমন ই। কখনো কখনো কিছু লাইন সবার। আবার, কখন যে কোন লাইনটা কার ভীষন ভালো লেগে যায়...

পোষ্ট প্রিয়তে।

২১ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১২:২৯

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: হুম কবিতার ভাল লাগা আসলেই যেন একটু অন্যরকম , প্রতিবার পড়ার যেন ভাল লাগার পরিমান আরও বেড়ে যায়...

৮২| ২১ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৪:১০

বিষন্ন একা বলেছেন:

২৪ শে জুন, ২০১১ রাত ৮:৩৯

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ...

এত বেশি কথা বলো কেন? চুপ করো
শব্দহীন হও
শষ্পমূলে ঘিরে রাখো আদরের সম্পূর্ণ মর্মর

চুপ করো, শব্দহীন হও
শঙ্খ ঘোষে

৮৩| ২১ শে জুন, ২০১১ রাত ১১:৫৩

সাজিদ. বলেছেন: আরো কিছু ভালো লাগা লাইন:



আমি চলে যাবো-তবু জীবন অগাধ
তোমারে রাখিবে ধরে সেইদিন পৃথিবীর পরে;
আমার সকল গান তবুও তোমারে লক্ষ্য করে।

-------নির্জন স্বাক্ষর--জীবনানন্দ দাস



আবার কুড়ি বছর পরে তার সাথে দেখা হয় যদি
আবার কিড়ু বছর পরে-

জীবন গিয়াছে চলে আমাদের কুড়ি কুড়ি বছরের পার,-
তখন আবার যদি দেখা হয় তোমার আমার!
তখন হয়ত মাঠে হামাগুড়ি দিয়ে পেচা নামে-
চোখের পাতার মতো নেমে চুপি কোথায় চিলের ডানা থামে-

সোনালি সোনালি চিল-শিশির শিকার করে নিয়ে গেছে তারে-
কুড়ি বছর পরে সেই কুয়াশায় পাই যদি হঠাৎ তোমারে।

--------------------কুড়ি বছর পরে--জীবনানন্দ দাস



কোনো কোনো প্রেম আছে প্রেমিককে খুনী হতে হয়;
যদি কেও ভালোবেসে খুনী হতে চান
তাই হয়ে যান
উৎকৃষ্ট সময় কিন্তু আজ বয়ে যায়।

এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়
এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়।

--------------নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়--হেলাল হাফিজ





ভালো লাগা কবিতা এতো বেশী,কিন্তু কিছুই এখন মনে করতে পারছিনা।

++

২২ শে জুন, ২০১১ সকাল ৮:২৮

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ভাই অশেষ কৃতজ্ঞতা আপনার প্রতি এত সুন্দর সুন্দর কবিতার জন্য। আর ভাই আপনার প্রপিক টা দেখে খুবই ভাল লাগল আর অসাধারণ THE GOOD,THE BAD AND THE UGLY মুভি টার কথা মনে পড়ে গেল। ভাল থাকবেন আর অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার প্রতি।

৮৪| ২২ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১:৪৫

সাইফ হাসনাত বলেছেন: বেশ সমৃদ্ধ পোষ্ট...

২২ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৯

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: অমলকান্তি

অমলকান্তি আমার বন্ধু,
ইস্কুলে আমরা একসঙ্গে পড়তাম।
রোজ দেরি করে ক্লাসে আসতো, পড়া পারত না,
শব্দরূপ জিজ্ঞেস করলে
এমন অবাক হয়ে জানলার দিকে তাকিয়ে থাকতো যে,
দেখে ভারী কষ্ট হত আমাদের।

আমরা কেউ মাষ্টার হতে চেয়েছিলাম, কেউ ডাক্তার, কেউ উকিল।
অমলকান্তি সে-সব কিছু হতে চায়নি।
সে রোদ্দুর হতে চেয়েছিল!
ক্ষান্তবর্ষণ কাক-ডাকা বিকেলের সেই লাজুক রোদ্দুর,
জাম আর জামরুলের পাতায়
যা নাকি অল্প-একটু হাসির মতন লেগে থাকে।

আমরা কেউ মাষ্টার হয়েছি, কেউ ডাক্তার, কেউ উকিল।
অমলকান্তি রোদ্দুর হতে পারেনি।
সে এখন অন্ধকার একটা ছাপাখানায় কাজ করে।
মাঝে মধ্যে আমার সঙ্গে দেখা করতে আসে;
চা খায়, এটা-ওটা গল্প করে, তারপর বলে, “উঠি তাহলে।”
আমি ওকে দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে আসি।

আমাদের মধ্যে যে এখন মাষ্টারি করে,
অনায়াসে সে ডাক্তার হতে পারত,
যে ডাক্তার হতে চেয়েছিল,
উকিল হলে তার এমন কিছু ক্ষতি হত না।
অথচ, সকলেরই ইচ্ছেপূরণ হল, এক অমলকান্তি ছাড়া।
অমলকান্তি রোদ্দুর হতে পারেনি।
সেই অমলকান্তি–রোদ্দুরের কথা ভাবতে-ভাবতে
ভাবতে-ভাবতে
যে একদিন রোদ্দুর হতে চেয়েছিল।

অমলকান্তি : যে রোদ্দুর হতে চেয়েছিল - নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর

৮৫| ২৩ শে জুন, ২০১১ দুপুর ২:১৫

জিসান শা ইকরাম বলেছেন:
বাপরে , খুবই খাটা খাটুনির পোষ্ট :)

২৪ শে জুন, ২০১১ সকাল ১০:৪৮

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ জিসান শা ইকরাম আপনার এই সহানুভূতির জন্য... তবে ব্যাপার না ভাল লাগার স্পর্শ নামক কবিতারা সব কষ্টকে ম্লান করে দিতে পারে আর কিছু সুন্দর কবিতার লাইনের একত্র সমাবেশ দিতে পারে ভাল লাগার আবেশ এবং কাজ করতে পারে সুন্দর রেফারেন্স হিসেবেও......

আপনার সৌজন্যে আরও সুন্দর কিছু কবিতার লাইন

দুরন্ত শিশুর হাতে ফড়িংযের ঘন শিহরন
মরনের সাথে লড়িয়াছে ।
চাঁদ ডুবে গেলে প্রধান আঁধারে তুমি অশ্বত্থের কাছে
এক গাছা দড়ি হাতে নিয়ে গিয়েছিলে তবু একা একা,
যে জীবন ফড়িংযের দোয়েলের - মানুষের সাথে তার হয় নাকো দেখা

আট বছর আগে একদিন
জীবনানন্দ দাশ

৮৬| ২৩ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০০

বৃষ্টিবেস্ট বলেছেন: অসাধারন পোস্ট।

২৪ শে জুন, ২০১১ রাত ৯:০৬

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ...

পূর্ণিমাতে পূর্ণ হলো
তোমার মনের সাধ
তুমি অথৈ জলে খুঁজেছিলে
পূর্নিমারই চাঁদ
চন্দ্রাভিলাষী নারী
(মাকিদ হায়দার)

৮৭| ২৪ শে জুন, ২০১১ রাত ১:৫১

সাজিদ. বলেছেন: ধন্যবাদ। The Good,The Bad,The Ugly আমারও খুব প্রিয় ছবি। গতকাল দেখলাম One Flew Over The Cuckoo's Nest. অসাধারণ একটা ফিল্ম। একটা মেন্টাল হাসপাতালের রোগীদের নিয়ে কাহিনী যে ছবির তা যে এতো চমৎকার হতে পারে না দেখলে বিস্বাস
করা কঠিন।

কবিতা নিয়ে আমার একটা পোস্ট ছিল।

প্রিয় কবিতারা...

প্রয়োজন নেই কবিতার স্নিগ্ধতা-
কবিতা তোমায় দিলেম আজকে ছুটি
ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়
পূণিমার চাঁদ যেনো ঝলসানো রুটি

২৪ শে জুন, ২০১১ রাত ১০:০২

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: কিছুদিন আগে আমার এক বন্ধু, আপনার দেখা One Flew Over The Cuckoo's Nest মুভিটা দিল সেই সাথে এই মুভিটা সম্পর্কে অসাধারণ কমেন্ট, কিন্তু স্লো মুভি ভেবে দেখি দেখি করেও দেখা হচ্ছিল না।তবে আপনার কমেন্ট পড়ার পর মনে হচ্ছে আর অগ্রাহ্য করা সম্ভব হবে না।


ও হ্যাঁ কবিতা গুলা পড়ে এলাম এবং কবিতাগুলা অনেক ভাল লেগেসে... ধন্যবাদ।

৮৮| ২৪ শে জুন, ২০১১ রাত ২:০৩

নষ্ট ছেলে বলেছেন:
হাত ধরে মোরে তুমি
লয়ে গেছ সৌন্দর্যের সে নন্দনভূমি
অমৃত-আলয়ে। সেথা আমি জ্যোতিষ্মান
অক্ষয়যৌবনময় দেবতাসমান,
সেথা মোর লাবণ্যের নাহি পরিসীমা।

(প্রেমের অভিষেক-রবীন্দনাথ ঠাকুর)

২৪ শে জুন, ২০১১ রাত ৯:৩২

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ......

এমনও দিনে তারে বলা যায়
এমনও ঘন-ঘোর বরিষায়
এমনও দিনে মন খোলা যায়
এমনও মেঘস্বরে বাদল ঝরঝরে
তপনও হীন ঘন তমসায়
এমনও দিনে তারে বলা যায়

সে কথা শুনিবেনা কেহ আর
নিভৃত নির্জন চারিধার
দু'জনে মুখোমুখি গভীর দুখে দুখী
আকাশে জল ঝরে অনিবার
জগতে কেহ যেন নাহি আর
এমনও দিনে তারে বলা যায়
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৮৯| ২৪ শে জুন, ২০১১ রাত ২:০৪

নষ্ট ছেলে বলেছেন:
হাত ধরে মোরে তুমি
লয়ে গেছ সৌন্দর্যের সে নন্দনভূমি
অমৃত-আলয়ে। সেথা আমি জ্যোতিষ্মান
অক্ষয়যৌবনময় দেবতাসমান,
সেথা মোর লাবণ্যের নাহি পরিসীমা।

(প্রেমের অভিষেক-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)

৯০| ২৪ শে জুন, ২০১১ রাত ২:১৯

আশিক মাসুম বলেছেন: যুদ্ধ মানেই শত্রু শত্রু খেলা
যুদ্ধ মানেই আমার প্রতি তোমার অবহেলা।

নির্মলেন্দু গুনের এই লাইন ২টা খুব ভালো লাগে

২৫ শে জুন, ২০১১ রাত ৯:২৭

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: লাইনগুলা আসলেই অসাধারণ...

যেদিন আমি হারিয়ে যাব, বুঝবে সেদিন বুঝবে,
অস্তপারের সন্ধ্যাতারায় আমার খবর পুছবে -
বুঝবে সেদিন বুঝবে!
ছবি আমার বুকে বেঁধে
পাগল হয়ে কেঁদে কেঁদে
ফিরবে মরু কানন গিরি,
সাগর আকাশ বাতাস চিরি'
যেদিন আমায় খুঁজবে -
বুঝবে সেদিন বুঝবে!
অভিশাপ
(কাজী নজরুল ইসলাম)

৯১| ২৪ শে জুন, ২০১১ সকাল ১০:৫৫

লাবণ্য ও মেঘমালা বলেছেন: ভালো লাগা লাইনগুলো আগেই বলা হয়ে গেছে :)
চমৎকার পোস্ট, এই উদ্যোগের জন্য ধন্যবাদ।

২৪ শে জুন, ২০১১ রাত ৯:৫৩

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ......
বৃষ্টি নিয়ে অসাধারণ কিছু লাইন...


বৃষ্টি মানে বুকের ভেতর ঘর্ষিত মাঠ
উলট পালট হালট টালট উপছে ওঠার ভরা কটাল
বৃষ্টি মানে শষ্য ক্ষেতে মিলন সুখে গর্ভধারণ
নিভৃতে তার মনের ভেতর গোলাপ ফোঁটার পরাগায়ন
বৃষ্টি মানে শুভ্র তনু উষ্ণ শীতল পূর্ণিমা চাঁদ
অষ্টপ্রহর পলক বিহীন দেখছি কেবল দেখছি কেবল
বৃষ্টি মানে টেনে টুনে একটি কাঁথায় সহমরণ
বৃষ্টি মানে নষ্ট পেঁচেক টেব গরিয়ে অথয় পুকুর দুঃখ বিলাস
কখনো বা দুঃখ ঝরে টাপুস টুপুস ভীষন গোপন
বৃষ্টি মানে সত্যি করে মন খারাপের প্রাচীন প্রহর
বৃষ্টি মানে
মোফাজ্জেল করিম

৯২| ২৪ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১২:০৫

মোঃ জুলকার নাঈন বলেছেন: কি ব্যাপার এই মহামুল্যবতি পোষ্ট আমি পড়েছিলাম কিন্তু নিজের কমেন্ট খুঁজে পেলাম না----
যাই হোক----

শব্দহীন জোছনা----
এতদিন ধরে পোষ্ট না দিয়ে কিভাবে আছেন--
নতুন কিছু দেন আপনার এইখানে সবসময় কতুন কিছু পাই-- জানা যায় অনেক কিছু।

ভাল থাকবেন।

২৫ শে জুন, ২০১১ সকাল ৮:২৫

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: আমিও ঠিক জানি না, শুরুর দিকে কি যেন সমস্যা হচ্ছিল,একই কমেন্ট এমনকি ৮-৯ বারও আসছিলও । যাই হোক এটা কোন ব্যাপার না, ভাল লাগার কবিতাগুলোতে চোখের পরশ বুলিয়েছেন এটাই তো বড় কথা।


জুলকার নাঈন ভাই বরাবরের মত আপনার কমেন্ট পড়ে অত্যান্ত অনুপ্রাণিত হলাম। জানিনা নুতুন কিছু জানাতে পারব কিনা তবে চেষ্টা করে যাব এবং আশা করি সে চেষ্টা হবে নিরন্তর...... আপনিও ভাল থাকবেন আর আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা............

৯৩| ২৪ শে জুন, ২০১১ রাত ১০:১৬

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: আমি পুরাই হতবাক । আপনি কি দেখবেন পোস্ট টা

Click This Link

২৪ শে জুন, ২০১১ রাত ১০:৪৯

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ভাইরে আমিও পুরাই অবাক হয়ে গেলাম , একেবারে Ctrl+A চাইপা নিজের নামে পোস্ট চালায়া দিছে।

হ্যাঁ এইরকম দেখছিলাম যে অনেকে সামুর অনেক পোস্ট, অনুমতি নিয়ে বা মূল লেখকের নাম উল্লেখ করে তার পার্সোনাল ব্লগ এ দিয়েছে এবং এটা অবশ্য খারাপ চোখে দেখার কিছু নাই। কিন্তু নিজ নামে চালালেই সমস্যা আর যত বিপত্তি। আরও হতবাক হইলাম, সামুর পোস্ট সামুতে কপি-পেস্ট দেখে। আর আমি ঠিক জানি না , এ ব্যাপারে সামুর নীতিমালা কি আর মোডারেটরা বা কি ভুমিকা নেয়।


তানিম ভাই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এই রকম একটা জিনিস চোখের সামনে তুলে ধরেছেন বলে...

৯৪| ২৬ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১:৩৫

ফলে পরিচয় বলেছেন: ওয়াও...................+++++। অনেক ভালো লেগেছে। প্রিয়তে রাখলাম।

২৯ শে জুন, ২০১১ ভোর ৬:৫১

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ এবং আপনার জন্য আরেকটি কবিতার কিছু লাইন...

তাকে কেন দুদিনেই এমন অচেনা মনে হয় !

সন্ধ্যায় পড়ার ঘরে একা বসতে ভয় পেত। নিজেই নিজের
ছায়া দেখে কেঁপে উঠত। কনিষ্ঠকে সঙ্গী পেলে তবেই নির্ভয়ে
বসত সে পড়ার ঘরে।

আমার সন্তান
যে আমার হাতের মুঠোয়
হাত রেখে তবে
নিশ্চিন্তে এ-পাড়া
ও-পাড়া ঘুরেছে, গেছে মেলায়
এবং নানা প্রশ্নে
ব্যতিব্যস্ত করেছে আমাকে
আজ
তাকে কেন দুদিনেই এমন অচেনা মনে হয় !
আমার সন্তান – আহসান হাবীব

৯৫| ০৮ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১১:৩৩

অবনি অনার্য বলেছেন: এটি একটি অসাধারণ উদ্যোগ আমি বলবো। সম্মানিত পাঠকগণ প্রত্যেকের প্রিয় কবিতা(গুলো)/কবিতার বিশেষ পংক্তিগুলো উদ্ধৃত করতে থাকলে, এটি সত্যিই একটি উপভোগ্য পোস্ট হবে। একইসাথে পাঠকদের রুচি সম্পর্কেও একটি স্বচ্ছ ধারণা পাওয়া সম্ভব হবে।
সময়স্বল্পতার দোহাই দিয়ে নিয়মিত হবার বাসনা থেকে বিরত হচ্ছি। তবু, চেষ্টা থাকবে প্রিয় কবিতা পোস্ট করবার। সমসাময়িক কবিদের কবিতার উপস্থিতি নগণ্যই থেকে গেলো।
এবার আমার কিছু প্রিয় কবিতা--

শুরু হোক আল মাহমুদকে দিয়ে---

সোনার দিনার নেই, দেন মোহর চেয়ো না হরিনী
যদি নাও , দিতে পারি কাবিনহীন হাত দুটি
আত্মবিক্রয়ের স্বর্ণ কোনকালে সঞ্চয় করিনি
আহত বিক্ষত করে চারদিকে চতুর ভ্রুকুটি ;

কিংবা

“তারপর তুলতে চাও কামের প্রসঙ্গ যদি নারী
খেতের আড়ালে এসে নগ্ন করো যৌবন জরদ
শস্যের সপক্ষে থেকে যতটুকু অনুরাগ পারি
তারো বেশী ঢেলে দেবো আন্তরিক রতির দরদ ।“

আরো আরো অনেক...

একদিন জন্মের প্রয়োজনে ছোট হয়েছিলাম
এখন মৃত্যুর প্রয়োজনে বড় হচ্ছি--- নির্মলেন্দু গুণ

বন্ধুত্ব মানে তুমি বিচ্ছেদের শর্ত মেনে নিলে-- আবু হাসান শাহরিয়ার

যদি ভালবাসা পাই আবার শুধরে নেব
জীবনের ভুলগুলি
যদি ভালবাসা পাই ব্যাপক দীর্ঘপথে
তুলে নেব ঝোলাঝুলি
যদি ভালবাসা পাই শীতের রাতের শেষে
মখমল দিন পাব
যদি ভালবাসা পাই পাহাড় ডিঙ্গাবো
আর সমুদ্র সাঁতরাবো
যদি ভালবাসা পাই আমার আকাশ হবে
দ্রুত শরতের নীল
যদি ভালবাসা পাই জীবনে আমিও পাব
মধ্য অন্তমিল।
(রফিক আজাদ)

একটি দিকের দুয়ার থাকুক খোলা
যেইদিক থেকে হারানো মানুষ আসে।
মাংস-কষার ঘ্রাণ পেয়ে পথভোলা
থামুক তোমার সরাইখানার পাশে।

আজও দেশে দেশে কত লোক অভিমানে
ঘর ছেড়ে একা কোথায় যে চলে যায়!
কী যাতনা বিষে..., কিংবা কীসের টানে
লোকগুলি আহা ঘরছাড়া হয়ে যায়!

এ-মধুদিবসে আকাশে বাতাসে জাগে
ঘর ছাড়বার একটানা প্ররোচনা।
হারিয়ে পড়তে নদী মাঠ বায়ু ডাকে
ঘরে ঘরে তাই গোপন উন্মাদনা।

জগতের যত সংসারছাড়া লোক
ঘুরে ফিরে শেষে সরাইখানায় স্থিত।
এ-স্নেহবর্ষে তুমি কি চাও যে, হোক
ঘরছাড়া ফের ঘরেই প্রতিষ্ঠিত?

হারানো মানুষ সেই কত কাল ধ’রে
স্বজনের ভয়ে দেশ থেকে দেশে ঘোরে।
স্বজনেরা তবু নানান বাহানা ক’রে
বৃথাই খুঁজছে কালে ও কালান্তরে!

স্বজন যখন খোঁজে উত্তরাপথে
হারানো তখন দাক্ষিণাত্যে যায়।
স্বজন যখন নিরাশাদ্বীপের পথে
হারানো খুঁজছে নতুন এক অধ্যায়।
(মাসুদ খান)

চোখের পাতার নিচেই রয়েছে শুয়ে
একাকী একটি তিল
নিরিবিলি, ছায়া ঢাকা।

আকাশের উঁচু পটভূমি থেকে নুয়ে
তা-ই দেখে নিলো চিল
দূরে, চুপচাপ, একা।

ফলে, স্থির পাখা দুটি চঞ্চল
কেঁপে ওঠে তার ছায়া পড়ে সোজা চোখে
কালো মনিটিকে ঘিরেছে পাপড়িদল
কান্নায় মেশা কাজলের রং আমিই দিয়েছি ওকে।
(ফিরোজ এহতেশাম)

যে আমাকে অস্বীকার করে
প্রথমত অকবি সে; দ্বিতীয়ত পরশ্রীকাতর

হয়তো সে মিডিয়াপালিত কোনও প্রাবন্ধিক; ভুলবাক্যে বুকরিভিউ করে
অথবা সে আসল কালপ্রিট, দ্যাখে বড়কাগজের লঘু সাহিত্য পাতাটি
নতুবা সে ছোট কোনও কাগজের পাতি সম্পাদক
নিজেকে জাহির করে নিজের কাগজে
কাগজে-কাগজে করে সখ্যবিনিময়

ওরা কেউ কবি নয়, ওদের পেছনে ঘুরে বহু প্রতিভাকে আমি নষ্ট হতে দেখি

যে-আমাকে কেবলই স্বীকার করে, বিতর্ক করে না
সে-ও কোনও কবি নয়, জেনো

যে আমাকে গ্রাহ্য করে, পাশাপাশি মধুর তর্কও
তারই মধ্যে আমি কিছু সম্ভাবনা দেখি
সে-ও কবি নয়

কে তাহলে?

অমিতসম্ভাব্য কবি ভালবাসে একার সন্ন্যাস।
(আবু হাসান শাহরিয়ার)

সব জানালার বাতি নিভে গেলে
একটি জানালা বাকি
থেকে যায়; আমি সেই জানালায়
তারাদের ছবি আঁকি
(আবু হাসান শাহরিয়ার)

কত্তোজনার কত্তোকিছুই হলো/
আমার না-হয় পানতাভাতত নুন/
কত্তো কীযে হবার কথাই ছিলো/
আমার না-হয় পাগলামীটাই গুণ--

রাত গাঢ় হয় গাঢ় হয় সন্দেহ/
দরজা খোলার আমার নাই কি কেহ?--


আরো অনেক অনেক অজস্র অগুণতি...কবিতা আমায় দেয়নি একটু ছুটি!!!

০৯ ই জুলাই, ২০১১ সকাল ৯:৫৬

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: অবনি অনার্য আপনার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা। আপনার প্রিয় কিছু কবিতা আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন বলে ধন্যবাদ এবং অনেক ধন্যবাদ।
যাই হোক আশা করি আপনি নিয়মিত কবিতার পোস্ট দিবেন ।আপনার সুরেই বলি কবিতা আমায় দেয়নি একটু ছুটি
। ভাল থাকবেন আর অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার প্রতি।

৯৬| ০৯ ই জুলাই, ২০১১ বিকাল ৫:১৬

আনিছ বাংলাদেশি বলেছেন: মা দিবসে লিখা আমার ছোট্ট একটি কবিতা আপনাদের জন্যে..

মা তোমায় ভালবাসি

তোমায় আমি ভালবাসি
তাই বারে বার তোমার কাছেই ফিরে আসি।
ভালবাসা কেন জানি এমনই
প্রিয়জনকে কাছে টানে যখন তখনই।
ভুলে যেতে চাইলেও ভোলা যায় না
তোমাকে তো ভোলার প্রশ্নই আসে না।
মা তোমাকে অনেক মিস করি
সবসময় কারণে-অকারণে শুধু কোমাকেই খুঁজি।

০৯ ই জুলাই, ২০১১ রাত ৮:৩৫

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ......

৯৭| ০৯ ই জুলাই, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২১

অবনি অনার্য বলেছেন: প্রিয় শব্দহীন জোছনা
কৃতিত্ব প্রধানত আপনার, ধন্যবাদ আপনারও প্রাপ্য। আরো আরো প্রিয় কবিতা পোস্ট করবার বাসনা আমারও। ভালো থাকবেন, খুব ভালো, প্লিজ।

০৯ ই জুলাই, ২০১১ রাত ৮:৪৮

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: আপনাকে আবারও ধন্যবাদ অবনি অনার্য । আপনার জন্য জীবনানন্দ দাশ এর আরেকটি কবিতা...


আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতো ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়?

৯৮| ১৪ ই জুলাই, ২০১১ দুপুর ২:২৯

রেজোওয়ানা বলেছেন: চমৎকার কালেকশন শব্দহীন জোছনা।

১৪ ই জুলাই, ২০১১ বিকাল ৩:০২

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ ।

ইহকাল ভুলে যারা পরকালে মত্ত হয়ে আছে
চলে যাক সব পরপারে বেহেস্তে তাদের
আমরা থাকবো এই পৃথিবীর মাটি জলে নীলে,
দ্বন্দ্বময় সভ্যতার গতিশীল স্রোতের ধারায়
আগামীর স্বপ্নে মুগ্ধ বুনে যাবো সমতার বীজ
রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

৯৯| ১৪ ই জুলাই, ২০১১ দুপুর ২:৩৯

সায়েম মুন বলেছেন: অসাধারণ একটা পোষ্ট। হাজার প্লাস। প্রিয়তে রেখে দিলাম। :)

১৪ ই জুলাই, ২০১১ রাত ৮:৪৪

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: হায় ! হায়! সায়েম মুন ভাই এখন কি হবে এত প্লাস রাখব কোথায় =p~
যাই হোক আপনার প্রতি রইল অশেষ কৃতজ্ঞতা । আর আপনার জন্য কবিগুরুর কালজয়ী কিছু শব্দমালা...

একটুকু রইলেম চুপ করে ;
তার পর বললেম ,
'রাতের সব তারাই আছে
দিনের আলোর গভীরে

১০০| ১৪ ই জুলাই, ২০১১ দুপুর ২:৫১

ৈজয় বলেছেন: মারাত্মক পোস্ট। প্রিয়তে নিতে বাধ্য হলাম।

১৪ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১০:০৩

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ ... ধন্যবাদ...


সমস্ত বঙ্গোপসারের উচ্ছ্বাস থেমে যায় যেন; 
মাইলের পর মাইল মৃত্তিকা নীরব হ‘য়ে থাকে৷ 
কে যেন বলে : 
আমি যদি সেই সব কপাট স্পর্শ করতে পারতাম 
তাহ‘লে এই রকম গভীর নিস্তব্ধ রাতে স্পর্শ করতাম গিয়ে৷
ধূসর ( জীবনানন্দ দাশ)  

১০১| ১৪ ই জুলাই, ২০১১ বিকাল ৩:১৭

হিবিজিবি বলেছেন: চমৎকার কালেকশন!! অনেক ভালো লেগেছে। প্রিয়তে রাখলাম।
ব্লগারকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।

১৪ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১০:২৪

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ আর বিশুদ্ধ কবিতার শুভেচ্ছা।
জীবনানন্দ দাশ এর আরও কিছু অদ্ভুদ সুন্দর লাইন...


কাউকে ভালোবেসেছিলাম জানি
তবুও ভালোবাসা,
দুপুরবেলার সূর্যে ভোরের শিশির
নেমে আসা,
........................
হায় বলিভূক, কখন ভেবেছিলে
মাটি ছেড়ে দূর আকাশের নীলে
ধূসর ডানার অগ্নি ছেড়ে দিলে
মিটে যাবে মায়াময়ী মাটির পিপাসা।
কাউকে ভালোবেসেছিলাম
জীবনানন্দ দাশ

১০২| ১৫ ই জুলাই, ২০১১ বিকাল ৪:৫৪

bakta বলেছেন: ""প্রিয়া কে আমার কেড়েছিস তোরা - ভেংগেছিস ঘরবাড়ি,
সে কথা কি আমি জীবনে মরণে কখনো ভুলিতে পারি।
আদিম হিংস্র- মানবিকতার যদি কেউ আমি হই -
স্বজন হারানো শ্মশানে তোদের চিতায় আমি তুলবো-ই ""


বলুন দেখি কার লেখা ?














১৫ ই জুলাই, ২০১১ রাত ৯:১৯

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: শোন্‌ ‌রে মজুতদার,
ফসল ফলানো মাটিতে রোপণ
করব তোকে এবার।
সুকান্ত ভট্টাচার্য
বোধন

ভুই পাইছি... :-& :-& :-& আরেকবার এমনতে quest করলে খেলতাম না।

সযত্ন মুখোশধরী ধনিকেরও বন্ধ আস্ফালন,
কাঁপে হৃৎযন্ত্র তার, চোখে মুখে চিহ্নিত মরণ।
বিপ্লব হয়েছে শুরু, পদানত জনতার ব্যগ্র গাত্রোত্থানে,
দেশে দেশে বিস্ফোরণ অতর্কিতে অগ্ন্যুৎপাত হানে।

১০৩| ১৫ ই জুলাই, ২০১১ রাত ৯:০৩

চিকন আলি বলেছেন: নজরুলের কবিতাগুলো পড়লে বড় অস্তির লাগে, রক্ত গরম হইয়া যায়.......। ব্লাড প্রেসার বেড়ে যাবার ভয়ে তার কবিতা পরা বাদ দিছি...... =p~ =p~ =p~ =p~

১৬ ই জুলাই, ২০১১ সকাল ১০:০২

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: হাহ! হাহ! কমেন্ট পড়ে ব্যাপক মজা পেলাম। নজরুল আমারও খুব প্রিয় একজন কবি এবং বিশ্ব সাহিত্যের-ই যে একজন অসাধারণ প্রতিভা তাও বলার অপেক্ষা রাখে না। আর ব্লাড প্রেসার কমাতে জীবনানন্দ পড়ুন =p~

তবু রোজ রাতে আমি চেয়ে দেখি, আহা,
থুর থুরে অন্ধ প্যাচা অশ্বথের ডালে বসে এসে,
চোখ পাল্টায়ে কয় : ‘বুড়ি চাদ গেছে বুঝি বেনোজলে ভেসে?

হে প্রগাঢ় পিতামহী আজো চমত্‍কার?
আমি ও তোমার মতো বুড়ো হবো_ বুড়ি চাদটারে আমি
ক’রে দেবো _ কালীদহে বেনোজলে পার;
আমরা দু’জনে মিলে শূন্য ক’রে চ’লে যাবো জীবনের প্রচুর ভাড়ার৷

বুড়ি চাদ
জীবনানন্দ দাশ

১০৪| ১৫ ই জুলাই, ২০১১ রাত ৯:৪২

ইমন কুমার দে বলেছেন: সুন্দর। রেগুলার আপডেট করবেন। আপনার পোস্টে রেগুলারই তাহলে ঢু মারা যাবে। :)

১৬ ই জুলাই, ২০১১ সকাল ৯:৪৯

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ ইমন কুমার দে।

তোমার দীর্ঘশ্বাসের নাম চন্ডীদাস
শতাব্দী কাঁপানো উল্লাসের নাম মধুসূদন
তোমার থরোথরো প্রেমের নাম রবীন্দ্রনাথ
বিজন অশ্রুবিন্দুর নাম জীবনানন্দ
তোমার বিদ্রোহের নাম নজরুল ইসলাম

বাঙলা ভাষা
হুমায়ুন আজাদ

১০৫| ১৭ ই জুলাই, ২০১১ সকাল ১১:১৮

ত্রাতুল বলেছেন:
সত্যি অসাধারণ একটা পোস্ট। আপনাকে অভিনন্দন এমন একটা উদ্যোগের জন্য।


ভাল থাকবেন। :)

১৭ ই জুলাই, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪৩

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ত্রাতুল। আপনিও ভাল থাকেবন আর আপনার জন্য রইল শুভেচ্ছা।


আমাকে বোলো না বন্ধু আর শুদ্ধ কবিতা লিখতে।
বয়ঃসন্ধি-সমাগতা খুঁতখুঁতে কোনো কুমারীর
ভয় ভাঙানো অথবা বদরাগী বিষণ্ন বৃদ্ধের
নিরামিষ রিরংসা মেটাতে আজ আর সাধ নেই।
সাধ নেই সময়ের ঘোলা জলে সাদা পাল তুলে
ভেসে যেতে সেই দেশে যে দেশকে রাঙাপুর বলে,
মড়ি ছেড়ে ওঠা কোনো শকুনের মতো পাখা মেলে
উড়ে যাব অলকায় দুপুরের কাঁচা সোনা রোদে,
কবিত্বের সেই বড়াই সাজে না আমার। ভালো তাই
লাগে না এখন আর মসৃণ শব্দের খেলা শুধু।
কোনো কাব্যরসিক বন্ধুর প্রতি
আবুল হাসান

১০৬| ১৭ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১০:৪৭

আন্ধা পোলা বলেছেন: চমৎকার পোস্ট প্রিয়তে নিলাম!
অনেক খাটছেন এইবার পারিশ্রমিক লন!

ধইন্যা! :-P :-P

১৮ ই জুলাই, ২০১১ সকাল ১০:৩৬

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: :) :)
ধন্যবাদ আন্ধা পোলা......
আপনার জন্য আরও কিছু অসাধারণ লাইন

আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে, আমি চাই
কেউ একজন ভেতর থেকে আমার ঘরের দরোজা
খুলে দিক। কেউ আমাকে কিছু খেতে বলুক।
কাম-বাসনার সঙ্গী না হোক, কেউ অন্তত আমাকে
জিজ্ঞেস করুকঃ “তোমার চোখ এতো লাল কেন?”
তোমার চোখ এতো লাল কেন ?
নির্মলেন্দু গুণ

১০৭| ০১ লা আগস্ট, ২০১১ সকাল ৯:০৩

মুরাদ-ইচছামানুষ বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।

০১ লা আগস্ট, ২০১১ রাত ১০:৫৪

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ ইচছামানুষ । আপনার জন্য আরও কিছু কালজয়ী লাইন...

স্বাধীনতা তুমি
বাগানের ঘর, কোকিলের গান,
বয়েসী বটের ঝিলিমিলি পাতা,
যেমন ইচ্ছে লেখার আমার কবিতার খাতা
শামসুর রাহমান
স্বাধীনতা তুমি

১০৮| ০১ লা আগস্ট, ২০১১ রাত ১১:৪৯

স্বাধীকার বলেছেন: অসাধারণ একটি পোস্ট। কোনো দিনই কবিতার চর্চা করিনি। কেবল পরিচয় ছিলো অনেক গুলো কবিতার সাথে, অনেক গুলো কবিতা আবৃত্তি শুনে।

যদি সম্ভব হয় তাহলে তুরস্কের নাজিম হিকমতের দু চারটি লাইন যদি এড করেন, ভালো লাগতো। ধন্যবাদ আপনাকে।

০২ রা আগস্ট, ২০১১ সকাল ১০:৪১

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই কষ্ট করে কবিতাগুলা দেখা এবং পড়ার জন্য। আপনার জন্য আরও কিছু লাইন...

যে বছর জেলে এলাম
একটা পেন্সিল ছিল
লিখে লিখে ক্ষইয়ে ফেলতে এক হাপ্তাও লাগেনি।
পেন্সিলকে জিজ্ঞেস করলে বলবে :
‘একটা গোটা জীবন।’
আমি বলব :
‘এমন আর কী, মোটে তো একটি সপ্তাহ।’
আমি জেলে যাবার পর – নাজিম হিকমত
অনুবাদ : সুভাষ মুখোপাধ্যায়

১০৯| ০৩ রা আগস্ট, ২০১১ দুপুর ২:২৯

বিশ্বজিত বিশ্বাস বলেছেন: অসাধারণ । খুব ভালো লাগল। খুব। যা ভাষা দিয়ে প্রকাশ করতে পারছি না। ধন্যবাদ।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১১ সকাল ১১:১৯

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: বিশ্বজিত বিশ্বাস ...ধন্যবাদ.....
তাহলে কবিতার ভাষায় হয়ে যাক অনুভূতির প্রকাশ =p~ =p~

চারি দিকে বেজে ওঠে অন্ধকার সমুদ্রের স্বর —
নতুন রাত্রির সাথে পৃথিবীর বিবাহের গান!
ফসল উঠিছে ফলে — রসে রসে ভরিছে শিকড়;
লক্ষ নক্ষত্রের সাথে কথা কয় পৃথিবীর প্রাণ।
সে কোন প্রথম ভোরে পৃথিবীতে ছিল যে সন্তান
অঙ্কুরের মতো আজ জেগেছে সে জীবনের বেগে!
আমার দেহের গন্ধ পাই তার শরীরের ঘ্রাণ —
সিন্ধুর ফেনার গন্ধ আমার শরীরে আছে লেগে!
পৃথিবী রয়েছে জেগে চক্ষু মেলে — তার সাথে সেও আছে জেগে!
জীবন
জীবনানন্দ দাশ

১১০| ০৭ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৩:০১

সাগর ঝিনেদা বলেছেন: লেখক কে ধন্যবাদ....আমি কবিতা কম পড়ি কিন্তু আজ কে এই পোষ্ট দেখে মনটা ভর গেলো ..................চালিয়ে যান....

০৮ ই আগস্ট, ২০১১ দুপুর ২:০৩

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ সাগর ঝিনেদা ।ভাল লাগা জুড়ে থাক সারাজীবন......
আপনার জন্য আরও সুন্দর কিছু লাইন

খানিক বাদে ঝড় উঠেছে, ঢেউ উঠেছে ফুলে,
বাবু দেখেন, নৌকোখানি ডুবল বুঝি দুলে !
মাঝিরে কন, “একি আপদ ! ওরে ও ভাই মাঝি,
ডুবল নাকি নৌকো এবার ? মরব নাকি আজি ?”
মাঝি শুধায়, “সাঁতার জানো ?” –মাথা নাড়েন বাবু,
মূর্খ মাঝি বলে, “মশাই, এখন কেন কাবু ?
বাঁচলে শেষে আমার কথা হিসেব করো পিছে,
তোমার দেখি জীবন খানা ষোল আনাই মিছে।

সুকুমার রায়
ষোল আনাই মিছে

১১১| ০৮ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ২:০৪

তানজীল ইসলাম বলেছেন: বাইজান,

রবি আংকেলের দুই বিঘা জমি তে আর ২ টা লাইন যোগ করে দিন.....

এ জগতে হায় সেই বেশি চায় আছে যার ভুরি ভুরি
রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙ্গালের ধণ চুরি।

০৯ ই আগস্ট, ২০১১ সকাল ৯:০৯

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: এই তো ভাই, আপনি লিখলেন আর তাতেই তা যোগ হয়ে গেল। ধন্যবাদ।
ঠিক আছে আপনার জন্য রবি আঙ্কেলের আরও কিছু লাইন...

আষাঢ়ে বাদল নামে, নদী ভর ভর
মাতিয়া ছুটিয়া চলে ধারা খরতর।
মহাবেগে কলকল কোলাহল ওঠে,
ঘোলা জলে পাকগুলি ঘুরে ঘুরে ছোটে।
দুই কূলে বনে বনে পড়ে যায় সাড়া,
বরষার উৎসবে জেগে ওঠে পাড়া।
আমাদের ছোট নদী
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১১২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১১ দুপুর ২:০৫

কবি রাজ বলেছেন: কবি রাজ হইয়া এই পোস্টখানি প্রিয়তে সংযুক্ত না করা নরক-গমন-উপযুক্ত পাপ হইবে।

পোস্ট ডাইনে বামে না তাকাইয়া প্রিয়তে। :)

১৯ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৯:০৮

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: এ যে কবিরাজ...... কবিতায় তবে খুজে পান স্বর্গের সুষমা।
ধন্যবাদ।


আমার আমি ধুয়ে মুছে
        তোমার মধ্যে যাবে ঘুচে,
        সত্য, তোমায় সত্য হব
            বাঁচব তবে -
        তোমার মধ্যে মরণ আমার
            মরবে কবে।
চিত্ত তোমায় নিত্য হবে
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
গীতাঞ্জলি

১১৩| ২০ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ১১:৫২

নিরুদ্দেশ বলেছেন: ধন্যবাদ।প্রিয়তে নিলাম।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:১৫

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ।

আমার কুঁড়েঘরে নেমেছে শীতকাল
তুষার জ’মে আছে ঘরের মেঝে জুড়ে বরফ প’ড়ে আছে
গভীর ঘন হয়ে পাশের নদী ভ’রে
বরফ ঠেলে আর তুষার ভেঙে আর দু-ঠোঁটে রোদ নিয়ে
আমার কুঁড়েঘরে এ-ঘন শীতে কেউ আসুক

আমার গ্রহ জুড়ে বিশাল মরুভূমি
সবুজ পাতা নেই সোনালি লতা নেই শিশির কণা নেই
ঘাসের শিখা নেই জলের রেখা নেই
আমার মরুভূর গোপন কোনো কোণে একটু নীল হয়ে
বাতাসে কেঁপে কেঁপে একটি শীষ আজ উঠুক
আমার কুঁড়েঘরে
হুমায়ুন আজাদ

১১৪| ২০ শে আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৩:২৭

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: দুর্দান্ত পোস্ট।প্রিয়তে রাখলাম।
তবে রবি ঠাকুরের '' শেষের কবিতা'' টি বাদ পড়েছে। এটিও খুব জনপ্রিয়--

'' তোমারে যা দিয়েছিনু তা তোমারি দান, গ্রহণ করেছ যত, ঋণী তত করেছ আমার''
কিংবা সব শেষের পংতি '' হে বন্ধু, বিদায়! ''

শুভকামনা রইল।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৩৯

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ... আর আপনার জন্য রবি ঠাকুরের আরও কিছু দুর্দান্ত লাইন

সে চিহ্ন যাবে মিলিয়ে
যে রাত্রে সকল চিহ্ন পরম অচিনের মধ্যে যায় মিশে।
হে উদাসীন পৃথিবী,
আমাকে সম্পূর্ণ ভোলবার আগে
তোমার নির্মম পদপ্রান্তে
আজ রেখে যাই আমার প্রণতি
পৃথিবী
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১১৫| ২৪ শে আগস্ট, ২০১১ ভোর ৪:২৯

অনন্যা দেব বলেছেন: ধন্যবাদ খুব ভালো লাগলো, প্রিয়তে রাখলাম।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:১৭

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ অনন্যা দেব ...

আমার বয়স আজ চল্লিশ বছর;
সে আজ নেই এ-পৃথিবীতে;
অথবা কুয়াশা ফেঁসে-ওপারে তাকালে
এ-রকম অঘ্রাণের শীতে

সে-সব রূপোলি মাছ জ্ব’লে ওঠে রোদে,
ঘাসের ঘ্রাণের মতো স্নিগ্ধ সব জল;
অনেক বছর ধ’রে মাছের ভিতরে হেসে খেলে
তবু সে তাদের চেয়ে এক তিল অধিক সরল;
সামান্য মানুষ
জীবনানন্দ দাশ

১১৬| ২৯ শে আগস্ট, ২০১১ দুপুর ২:৫৭

bakta বলেছেন: আতা গাছে তোতা পাখি

ডালিম গাছে মৌ ....

হীরে দাদার মড়মড়ে থান

ঠাকুর দাদার বৌ

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৪৬

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: এক গ্লাস অন্ধকার হাতে নিয়ে বসে আছি।
শূন্যতার দিকে চোখ, শূন্যতা চোখের ভেতরও--
এক গ্লাস অন্ধকার হাতে নিয়ে বসে আছি।
বিলুপ্ত বনস্পতির ছায়া, বিলুপ্ত হরিণ।
মৌসুমী পাখির ঝাঁক পালকের অন্তরালে
তুষারের গহন সৌরভ ব'য়ে আর আনে না এখন।


এক গ্লাস অন্ধকার হাতে
: রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ

১১৭| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৫৬

সাহস. বলেছেন: ধন্যবাদ। প্রিয়তে নিলাম।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৪৬

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ।

কী চাও আমার কাছে ?
-কিছু নয় । আমার দু'চোখে যদি ধুলো পড়ে
আঁচলের ভাপ দিয়ে মুছে দেবে ?


যা চেয়েছি যা পাবো না
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

১১৮| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:০০

অমিত ভূঁইয়া বলেছেন: অসম্ভব ভালো লেগেছে...
ভয়ংকর একটি পোস্ট আমাকে এমনভাবে আঁকড়ে ধরেছিল যে স্টোভে দেয়া চিকেন পুড়ে গেছে...সেই পোড়া চিকেন দিয়ে ভাত খেয়ে পুরোটা আবার পড়লা..প্রিয়তে রাখলাম :)

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ ভোর ৫:১৮

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ভাই এই সব ভয়ংকর সব পোস্ট আর তার কবিতা থেকে দূরে থাকাই বোধহয় ভাল ;) মাথায় জট পাকার সম্ভাবনা অনেক কমে যায় :P :P

তবে এই ভয়ংকর যাত্রায় আপনাকে স্বাগতম।ধন্যবাদ।

০১ লা অক্টোবর, ২০১১ রাত ১০:২৯

শব্দহীন জোছনা বলেছেন:
আমি যদি বাবা হতুম, বাবা হত খোকা,
না হলে তার নামতা,
মারতাম মাথায় টোকা।।
রোজ যদি হত রবিবার !
কি মজাটাই হত যে আমার !
কেবল ছুটি ! থাকত নাক নামতা লেখা জোকা !
থাকত না কো যুক্ত অক্ষর, অংকে ধরত পোকা ।।


আমি যদি বাবা হতাম, বাবা হত খোকা
...................................কাজী নজরুল ইসলাম

১১৯| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৪১

বিড়াল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

প্রিয়তে নিয়ে গেলাম।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:১৫

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ বিড়াল


আগুন বাতাস জলঃ আদিম দেবতারা তাদের সর্পিল পরিহাসে
তোমাকে দিল রূপ-
কী ভয়াবহ নির্জন রূপ তোমাকে দিলো তারা;
তোমার সংস্পর্শের মানুষদের রক্তে দিলো মাছির মতো কামনা।
জীবনানন্দ দাশ
আদিম দেবতারা

১২০| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:২০

মেঘপিয়নের খেরোখাতা বলেছেন: সরাসরি প্রিয়তে।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৪৯

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: মেঘপিয়নের খেরোখাতা ধন্যবাদ

আমি তোমাকে এত বেশি স্বপ্ন দেখেছি যে হয়তো
আমার পক্ষে আর জাগাই সম্ভব হবে না
আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঘুমোই, আমার শরীর সব
রকম জীবন ও ভালোবাসার জন্য উন্মুক্ত……
আমি তোমার ভুরু ছুঁতে পারি, ওষ্ঠ ছুঁতে পারি এত কম……
আমি তোমাকে এত বেশি স্বপ্ন দেখেছি, হেঁটেছি,
কথা বলেছি।
শুয়েছি তোমার ছায়ার সঙ্গে……

মূল কবিতা : রোবেয়ার দেনো
অনুবাদ: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

১২১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৩৮

লজ্জাবতী বলেছেন: ইশ!!!!!!!! কত পরে আমি দেখলাম

প্রিয়তে

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৮

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ব্যাপার না লজ্জাবতী এখন তো দেখলেন আর কমেন্ট করলেন এটাই তো বড় কথা। তবে পারলে প্রিয় লাইনটিও জানান।



তুমি ডাক দিলে
নষ্ঠ কষ্ঠ সব নিমিষেই ঝেড়ে মুছে
শব্দের অধিক দ্রুত গতিতে পৌছুবো
পরিণত প্রণয়ের উৎসমূল ছোঁব
পথে এতোটুকু দেরিও করবো না।
তুমি ডাক দিলে
সীমাহীন খাঁ খাঁ নিয়ে মরোদ্যান হবো,
তুমি রাজি হলে
যুগল আহলাদে এক মনোরম আশ্রম বানাবো।

তুমি ডাক দিলে
হেলাল হাফিজ

১২২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২০

াহবুব বাবুই বলেছেন: চমৎকার কাজ

প্রিয় প্রিয় এবং প্রিয়দের ভীড়
ভাল থাকুন :)

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:১৫

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: প্রিয় প্রিয় এবং প্রিয়দের ভীড়ে থাকার জন্য আপানেকেও ধন্যবাদ। আর আপনিও ভাল থাকুন।

শত শত মুখ হায় একাত্তর যশোর রোড যে কত কথা বলে,
এত মরা মুখ আধমরা পায়ে পূর্ব বাংলা কোলকাতা চলে।
সময় চলেছে রাজপথ ধরে যশোর রোডেতে মানুষ মিছিল,
সেপ্টেম্বর হায় একাত্তর, গরুগাড়ী কাদা রাস্তা পিছিল
লক্ষ মানুষ ভাত চেয়ে মরে, লক্ষ মানুষ শোকে ভেসে যায়,
ঘরহীন ভাসে শত শত লোক লক্ষ জননী পাগলের প্রায়।
রিফিউজি ঘরে খিদে পাওয়া শিশু, পেটগুলো সব ফুলে ফেঁপে ওঠে
এইটুকু শিশু এতবড় চোখ দিশেহারা মা কারকাছে ছোটে।

কবিতা: সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড
অ্যালেন গিন্সবার্গ কবিতার বাংলা অনুবাদ।

১২৩| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ২:০৯

শত রুপা বলেছেন:











কেন জানি মনে যদি ওঁর সাথে দেখা হোতো.....

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ ভোর ৬:৩৪

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: একদিন কোথাও যাব না, শূন্যস্থানে তুমি
কিম্বা অন্য কেউ বসে থেকে বাড়াবে বয়স।
একদিন তোমাকে শাসন করা অসম্ভব ভেবে
পূর্ণিমার রাত্রে মরে যাব।

একদিন সারাদিন কোথাও যাব না

পূর্ণিমার মধ্যে মৃত্যু
নির্মলেন্দু গুন

১২৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:২১

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: প্রিয়তে রাখলাম সাথে একটা ধন্যবাদ।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:০৭

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ।

ভালো মন্দ জেনে শুনে যদি এ-জীবন
কাটাতুম
তবে সে-জীবন ছিল শালিকের, দোয়েলের
বনবিড়ালের কিংবা মহাত্মা গান্ধীর
ইরি ধানে, ধানের পোকার যে-জীবন

যা চেয়েছি যা পাবো না
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

১২৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৩৯

রাশমী বলেছেন: অনেক ভাল লাগসে। প্রিয় তে নিয়ে রাখলাম!!

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:০৬

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ রাশমী ।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:১১

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: একের অসম্মান
নিখিল মানব-জাতির লজ্জা-সকলের অপমান!
মহা-মানবের মহা-বেদনার আজি মহা-উত্থান,
উর্ধ্বে হাসিছে ভগবান, নীচে কাঁপিতেছে শয়তান!

কুলি-মজুর
............কাজী নজরুল ইসলাম

১২৬| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ৮:১৮

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: এত দিন পরে পোস্ট টায় ঢুকেও অদ্ভুত একটা আনন্দ পেলাম । আমি একটা কমেন্ট করেছিলাম অনেক গুলো লাইন নিয়ে কিন্তু অসহ্য সামুর স্পিড সেটা খেয়ে দিল ।

আজ করি কেমন

রবীন্দ্রনাথ

সুন্দর তুমি এসছিলে আজ প্রাতে,
অরুণ বরণ পারিজাত লয়ে হাতে ।
নিদ্রিতপুরী পথিক ছিল না পথে,
একা চলি গেলে তোমার সোনার রথে-
বারেক থামিয়া মোর বাতায়ন পানে !
চেয়েছিলে তব করুন নয়ন পাতে ।

স্বপন আমার ভরেছিল কোন গন্ধে,
ঘরের আধার কেপেছিল কী আনন্দে !
ধূলায় লুটানো নিরব আমার বীণা,
বেজে উঠেছিল অনাহত কী আঘাতে ।

কতবার আমি ভেবেছিনু, ‘উঠি উঠি
আলস ত্যজিয়া পথে বাহিরাই ছুটি।’
উঠিনু যখন তখন গিয়েছ চলে-
দেখা বুঝি আর হল না তোমার সাথে ।

...............স্বপ্নে

এই কবিতাটা আমি আবৃত্তি করেছি কিন্তু - এখানে গেলে পাবেন

আরো কত আছে ।

ওগো পবনে গগনে সাগরে আজকে কি কল্লোল !
.................... দে দোল দোল ।
...........পশ্চাৎ হতে হা হা করে হাসি
...........মত্ত ঝটিকা ঠেলা দেয় আসি
...........যেন এ লক্ষ যক্ষ শিশুর অট্টরোল ।
...........আকাশে পাতালে পাগলে মাতালে হট্ট গোল ।
.....................দে দোল দোল ।

..........................ঝুলন


আজিকার কোন ফুল, বিহঙ্গের কোন গান
......আজিকার কোন রক্তরাগ
অনুরাগে সিক্ত করি, পারিব কি পাঠাইতে
......... তোমাদের করে ?
..............আজি হতে শতবর্ষ পরে ?

........১৪০০ সাল

একটা জিনিস খেয়াল করেছেন ? বেশির ভাগ শেয়ার জীবনানন্দ আর রবীন্দ্রনাথই হচ্ছে ।

সত্যি অসাধারণ আইডিয়া করেছেন ।

যদিও আরেকটু গোছালো হলে ভাল লাগত

১০ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ৯:৪৪

শব্দহীন জোছনা বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ তানিম ভাই ,কবিগুরুর সুন্দর কিছু কবিতা শেয়ার করার জন্য।


চে, তোমার মৃত্যু আমাকে অপরাধী করে দেয়-
আমি এখনও প্রস্তুত হতে পারি নি, আমার অনবরত
দেরি হয়ে যাচ্ছে
আমি এখনও সুড়ঙ্গের মধ্যে আধো-আলো ছায়ার দিকে রয়ে গেছি,
আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে
চে, তোমার মৃত্যু আমাকে অপরাধী করে দেয় !
চে ...তোমার মৃত্যু আমাকে অপরাধী করে দেয়
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়



তানিম ভাই , আপনার জন্য রবির আরেকটা কবিতার কিছু লাইন শেয়ার করলাম...
খোলো খোলো, হে আকাশ, স্তব্ধ তব নীল যবনিকা -
খুঁজে নিতে দাও সেই আনন্দের হারানো কণিকা।
কবে সে যে এসেছিল আমার হৃদয়ে যুগান্তরে
গোধূলিবেলার পান্থ জনশূন্য এ মোর প্রান্তরে
     লয়ে তার ভীরু দীপশিখা!
দিগন্তের কোন্ পারে চলে গেল আমার ক্ষণিকা।।

ক্ষণিকা

১২৭| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১২:৩৯

কাউসার আলম বলেছেন: অসাধারন।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।
অসাধারন

১৭ ই অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১:১১

শব্দহীন জোছনা বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য কাউসার আলম


আজ আসল ঊষা, সন্ধ্যা, দুপুর,
আসল নিকট, আসল সুদূর
আসল বাধা-বন্ধ-হারা ছন্দ-মাতন
পাগলা-গাজন-উচ্ছ্বাসে!
ঐ আসল আশিন শিউলি শিথিল
হাসল শিশির দুবঘাসে
আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে!
আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে
................নজরুল ইসলাম

১২৮| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১:২৯

বেসিক আলী বলেছেন: " আমার সকল ইচ্ছা সকল আবেগ ভালোবাসা
হাতের তালুতে নামে
দেবতার গান হয়ে যায়,
আমার দু'চোখে নাচে গ্রহ-তারা
যখন তামাশা করি হেলে দুলে
শষ্যক্ষেত্র স্বপ্ন হয় জোছনায়।
আমরাই সভ্যতার রাজমিস্ত্রি
বানাই নগর হাজার বন্দর গ্রাম
খাদ্য নিয়ে বাঁচি পরস্পর"
-আলাউদ্দিন-আল-আজাদ


তুই কি আমার দুঃখ হবি,
এই আমি এক উড়নচন্ডী আউলা বাউল
রুক্ষ চুলে পথের ধুলো
চোখের নিচে কালো ছায়া,
সেই খানে তুই রাত-বিরেতে
স্পর্শ দিবি।

তুই কি আমার দুঃখ হবি,
মধ্যরাতে বেজে উঠা
টেলিফোনের ধ্বনি হবি,
তুই কি আমার খাঁ খাঁ দুপুর
নির্জনতা ভেঙ্গে দিয়ে
ডাকপিয়নের মিষট হাতে
ক্রমাগত নড়তে থাকা
দরজাময় কড়া হবি?
একটি নীলাভ ইনভেলাপে
পুরে রাখা কেমন যেন বিষাদ হবি।


তুই কি আমার শূন্যবুকে
দীর্ঘশ্বাসের বকুল হবি,
নরম হাতের ছোঁয়া হবি
একটু খানি কষ্ট দিবি,
নিজের ঠোঁট কামড়ে ধরা রোদন হবি,
একটু খানি কষ্ট দিবি।

প্রতিক্ষার দীর্ঘ হলুদ বিকেল বেলায়
কথা দিয়েও না রাখা এক কথা হবি,
একটু খানি কষ্ট দিবি
তুইকি একা আমার হবি
তুই কি আমার একান্ত এক দুঃখ হবি?
-আনিসুল হক


ধলেশ্বরী নদী তীরে
পিসীদের গ্রাম
তীরে তমালের ঘন ছায়া
...............................................
...........................

ঘরেতে এলনা সেত
মনে তার নিত্য আসা-যাওয়া
পরনে ঢাকাই শাড়ি
কপালে সিঁদুর.......................
.............................
.......................................

এ গান যেখানে সত্য
অনন্ত গোধূলী লগ্নে,
সেই খানে বহে চলে ধলেশ্বরী
তীরে তমালের ঘন ছায়া
আঙ্গিনাতে যে আছে অপেক্ষা করে
তার পরনে ঢাকাই শাড়ি
কপালে সিঁদুর......... বাঁশী(রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)


আমরা দু'জন একটি গাঁয়ে থাকি
সে আমাদের একটিমাত্র সুখ
তাদের গাছে গায়যে দোয়েল পাখি
তাহার গানে আমার নাচে বুক ।

তাহার দু'টি পালন করা ভেড়া
চরে বেড়ায় মোদের বটমূলে,
যদি ভাঙ্গে আমার ক্ষেতের বেড়া
কোলের পরে নেই তাহারে তুলে ।

আমাদের এই গ্রামের নামটি খঞ্জনা
আমাদের এই নদীর নামটি অঞ্জনা
আমার নাম তো জানে গাঁয়ের পাঁচজনে
আমাদের সেই তাহার নামটি রঞ্জনা ।

দুইটি পাড়ায় বড়ই কাছাকাছি
মাঝখানে শুধু একটি মাঠের ফাঁক
তাদের বনের অনেক মধু-মাছি
মোদের বনে বাঁধে মধুর চাক।

তাদের ঘাটের পূজার জবা মালা
ভেসে আসে মোদের বাঁধা ঘাটে
তাদের পাড়ার কুসুম ফুলের ডালা
বেচতে আসে মোদের পাড়ার হাটে ।

আমাদের এই গ্রামের নামটি খঞ্জনা
আমাদের এই নদীর নামটি অঞ্জনা
আমার নাম তো জানে গাঁয়ের পাঁচজনে
আমাদের সেই তাহার নামটি রঞ্জনা ।

আমাদের এই গ্রামের গলি পরে
আমের বোলে ভরে আমের বন
তাদের ক্ষেতে যখন তিসি ধরে
মোদের ক্ষেত তখন ফোটে শন ।

তাদের ছাদে যখন উঠে তারা
আমার ছাদে দখিন হাওয়া ছোটে
তাদের বনে ঝরে শ্রাবণ-ধারা
আমার বনে কদম ফোটে ওঠে ।

আমাদের এই গ্রামের নামটি খঞ্জনা
আমাদের এই নদীর নামটি অঞ্জনা
আমার নাম তো জানে গাঁয়ের পাঁচজনে
আমাদের সেই তাহার নামটি রঞ্জনা ।

-এক গাঁয়ে (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)



কেউ কথা রাখে নি, তেত্রিশ বছর কাটলো, কেউ কথা রাখে নি
ছেলেবেলায় এক বোষ্টুমী তার আগমনী গান হঠাৎ থামিয়ে বলেছিলো
শুক্লা দ্বাদশীর দিন অন্তরাটুকু শুনিয়ে যাবে
তারপর কতো চন্দ্রভূক অমাবস্যা চলে গেলো,
কিন্তু সেই বোষ্টুমী আর এলোনা
পঁচিশ বছর প্রতীক্ষায় আছি।

মামাবাড়ির মাঝি নাদের আলী বলেছিলো, বড় হও দাদাঠাকুর
তোমাকে আমি তিনপ্রহরের বিল দেখাতে নিয়ে যাবো
সেখানে পদ্মফুলের মাথায় সাপ আর ভ্রমর
খেলা করে!
নাদের আলী, আমি আর কতো বড় হবো? আমার মাথা এ ঘরের ছাদ
ফুঁড়ে আকাশ স্পর্শ করলে তারপর তুমি আমায়
তিনপ্রহরের বিল দেখাবে?

একটাও রয়্যাল গুলি কিনতে পারি নি কখনো
লাঠি-লজেন্স দেখিয়ে দেখিয়ে চুষেছে লস্করবাড়ির ছেলেরা
ভিখারীর মতন চৌধুরীদের গেটে দাঁড়িয়ে দেখেছি
ভিতরে রাস-উৎসব
অবিরল রঙের ধারার মধ্যে সুবর্ণ কঙ্কণ পরা ফর্সা রমণীরা
কত রকম আমোদে হেসেছে
আমার দিকে তারা ফিরেও চায় নি!

বাবা আমার কাঁধ ছুঁয়ে বলেছিলেন, দেখিস, একদিন, আমরাও…
বাবা এখন অন্ধ, আমাদের দেখা হয়নি কিছুই
সেই রয়্যাল গুলি, সেই লাঠি-লজেন্স, সেই রাস-উৎসব
আমায় কেউ ফিরিয়ে দেবেনা!

বুকের মধ্যে সুগন্ধি রুমাল রেখে বরুণা বলেছিলো,
যেদিন আমায় সত্যিকারের ভালোবাসবে
সেদিন আমার বুকেও এ-রকম আতরের গন্ধ হবে!
ভালোবাসার জন্য আমি হাতের মুঠেয়ে প্রাণ নিয়েছি
দুরন্ত ষাড়ের চোখে বেঁধেছি লালকাপড়
বিশ্বসংসার তন্ন তন্ন করে খুঁজে এনেছি ১০৮টা নীলপদ্ম
তবু কথা রাখে নি বরুণা, এখন তার বুকে শুধুই মাংসের গন্ধ
এখনো সে যে-কোনো নারী।
কেউ কথা রাখে নি, তেত্রিশ বছর কাটলো, কেউ কথা রাখে না!

- কেউ কথা রাখে নি(সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়)


ভালো আছি ভালো থেকো
আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো.... রুদ্র


আরো অনেক অনেক আছে কোনটা থুইয়া যে কোন বলি ।
পোস্ট প্রিয়তে রাখলাম । পোস্ট দাতার জন্য নিরন্তর শুভকামনা :-)

২৫ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ৮:১৩

শব্দহীন জোছনা বলেছেন:
কবিতাগুলো খুব সুন্দর ... আপনার জন্যও রইল শুভকামনা।
তবে কেউ কথা রাখে নি(সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়) এই কবিতাটা মনে হয় পোস্টে দিয়েছিলাম।আর আনিসুল হক কবিতাটা আসলেই অনন্য। ধন্যবাদ।

সে-ও চলে যেতে পারে, যদি যায় তবে
কি হবে, কী হবে!
এই যে চোখের আলো, ব্যথাবেদনার
আগুনে রেখেছি তাকে জ্বেলে আমি, তার
দেখা পাওয়া যাবে, তাই! সে যদি আবার
চলে যায়, চোখভরা আলো নিয়ে তবে
কি হবে, কী হবে!

কবিতা: ভয়
কবি: নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী

১২৯| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১১ ভোর ৪:৩৪

সন্জু ৩০৭ বলেছেন: আমি তো ভেবেছিলাম এর শেষ পাব না,
আগে ভীষন খুশির সুনামি ধাক্কাটা সামলে নেই............
নয়তো হার্ট এটাক হতে পারে।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৩১

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: খুশীর সুনামির ধাক্কা যদি সত্যি সামলাতে পারেন তবে তাড়াতাড়ি পছন্দের কবিতা লিখে পাঠান জলদি।
বুদ্ধের ক্ষমার মূর্তি ভাঁড়ের মতন
ভ্যাবাচেকা খেয়ে প’ড়ে আছে, তাঁর
মাথার ওপরে
এক ডজন শকুন মৈত্রী মৈত্রী ক’রে
হয়তো বা উঠেছিলো কেঁদে।
(রিপোর্ট ১৯৭১-আসাদ চৌধুরী)

১৩০| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৩৭

ফয়জুল আলম বেলাল বলেছেন: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

কেউ কথা রাখে নি, তেত্রিশ বছর কাটলো, কেউ কথা রাখে নি
ছেলেবেলায় এক বোষ্টুমী তার আগমনী গান হঠাৎ থামিয়ে বলেছিলো
শুক্লা দ্বাদশীর দিন অন্তরাটুকু শুনিয়ে যাবে
তারপর কতো চন্দ্রভূক অমাবস্যা চলে গেলো,
কিন্তু সেই বোষ্টুমী আর এলোনা
পঁচিশ বছর প্রতীক্ষায় আছি।

মামাবাড়ির মাঝি নাদের আলী বলেছিলো, বড় হও দাদাঠাকুর
তোমাকে আমি তিনপ্রহরের বিল দেখাতে নিয়ে যাবো
সেখানে পদ্মফুলের মাথায় সাপ আর ভ্রমর
খেলা করে!
নাদের আলী, আমি আর কতো বড় হবো? আমার মাথা এ ঘরের ছাদ
ফুঁড়ে আকাশ স্পর্শ করলে তারপর তুমি আমায়
তিনপ্রহরের বিল দেখাবে?

একটাও রয়্যাল গুলি কিনতে পারি নি কখনো
লাঠি-লজেন্স দেখিয়ে দেখিয়ে চুষেছে লস্করবাড়ির ছেলেরা
ভিখারীর মতন চৌধুরীদের গেটে দাঁড়িয়ে দেখেছি
ভিতরে রাস-উৎসব
অবিরল রঙের ধারার মধ্যে সুবর্ণ কঙ্কণ পরা ফর্সা রমণীরা
কত রকম আমোদে হেসেছে
আমার দিকে তারা ফিরেও চায় নি!

বাবা আমার কাঁধ ছুঁয়ে বলেছিলেন, দেখিস, একদিন, আমরাও…
বাবা এখন অন্ধ, আমাদের দেখা হয়নি কিছুই
সেই রয়্যাল গুলি, সেই লাঠি-লজেন্স, সেই রাস-উৎসব
আমায় কেউ ফিরিয়ে দেবেনা!

বুকের মধ্যে সুগন্ধি রুমাল রেখে বরুণা বলেছিলো,
যেদিন আমায় সত্যিকারের ভালোবাসবে
সেদিন আমার বুকেও এ-রকম আতরের গন্ধ হবে!
ভালোবাসার জন্য আমি হাতের মুঠেয়ে প্রাণ নিয়েছি
দুরন্ত ষাড়ের চোখে বেঁধেছি লালকাপড়
বিশ্বসংসার তন্ন তন্ন করে খুঁজে এনেছি ১০৮টা নীলপদ্ম
তবু কথা রাখে নি বরুণা, এখন তার বুকে শুধুই মাংসের গন্ধ
এখনো সে যে-কোনো নারী।
কেউ কথা রাখে নি, তেত্রিশ বছর কাটলো, কেউ কথা রাখে না!

-সহমত

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৮:২৬

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: অথচ জানেনা ওরা কেউ
গাছের পাতায়, ফুটপাতে
পাখির পালকে কিংবা নারীর দু’চোখে
পথের ধুলায় বস্তির দুরন্ত ছেলেটার
হাতের মুঠোয় সর্বদাই দেখি জ্বলে স্বাধীনতা নামক শব্দটি ‎
(বন্দী শিবির থেকে-শামসুর রাহমান)

১৩১| ১০ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ২:৩৫

মোরশেদুল আজাদ পলাশ বলেছেন: অসাধারণ একটা উদ্যোগ।
জসীম উদ্দিনের আসমানী কবিতার কিছু লাইন যুক্ত করুন

++++++সহ প্রিয়তে।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৮:১৪

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ।তবে ভাই, আপনিই চেষ্টা করুন না জসীম উদ্দিনের আসমানী কবিতার কিছু লাইন যুক্ত করতে।
কথা ছিলো একটি পতাকা পেলে
আমাদের সব দুঃখ জমা দেবো যৌথ-খামারে,
সম্মিলিত বৈজ্ঞানিক চাষাবাদে সমান সুখের ভাগ
সকলেই নিয়ে যাবো নিজের সংসারে।
‎(একটি পতাকা পেলে-হেলাল হাফিজ)

১৩২| ১০ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৪৮

ইকরাম উল হক বলেছেন: অসাধারণ একটা উদ্যোগ।
-সহমত


সংগ্রেহে রাখলাম

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৮:১০

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ।
(যে তোমায় ছাড়ে ছাড়ুক-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)
যে তোমায় ছাড়ে ছাড়ুক,
আমি তোমায় ছাড়ব না মা!
আমি তোমার চরণ-
... মা গো, আমি তোমার চরণ করব শরণ,
আর কারো ধার ধারব না মা॥

১৩৩| ১০ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:০৭

নাহিন আজিম বলেছেন: এমনই কিছু খুঁজছিলাম। অনেক ধন্যবাদ।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:৪২

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: যে দিকেই তুই ফিরাবি বয়ান
সেই দিকে আমি ফিরাব নয়ান ,
যে দিকে চাহিবি আকাশে আমার
আঁধার মুরতি আঁকা ।
সকলি পড়িবে আমার আড়ালে ,
জগৎ পড়িবে ঢাকা ।
রাহুর প্রেম
......রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৩৪| ১১ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ২:২৪

নাহিন আজিম বলেছেন: নির্মলেন্দুর অঅঅঅঅসাধারন কবিতাটি হয়ত আপনার চোখ এড়িয়ে গেছে,

"তোমার উপেক্ষা তাকে ঠেলে দিয়েছে

চিতার শিখার বাইরে ।

তার মুখটা পুড়েছে বটে, কিন্তু হাত-পা

এখনো ঢের বাকি ।

পোড়াবেই যদি তবে এতো মায়া কেন?

... তাকে চিতার ভিতরে নিয়ে এসো,

তবেই না সে পুড়বে !

...কষ্ট হলে মাটি খুঁড়ে কবরও দিতে পারো "

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:৩৯

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: চোখ এড়িয়ে আর যাবে কোথায় এইত আপনার কল্যাণে এই পোস্টে এসে গেল।
–মিথ্যুক..।
–কেন?
–সেদিন আমার সর্বাঙ্গের শাড়ি ধরে টান মারনি?
– হতে পারে।
ভিখারিদের কি ডাকাত হতে ইচ্ছে করবে না একদিনও??
কথোপকথন ১১
...........পুর্ণেন্দু পত্রী

১৩৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪৭

সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: অনেক ভালো কথা লিখতে চেয়েছিলাম । এত্ত কমেন্ট !! মনে হচ্ছিলো আজ আর নিজের কমেন্ট দিতে পারবো না । অসাধারণ বললে কম হয় । ভালো ভালো কথা সব বলা শেষ ! আমি কি বলবো । প্রিয়তে নিলে কি বোঝানো হবে অনেক অনেক বেশি ভাল লেগেছে ? অনেক ভালো থাকবেন ।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:৩৩

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: আপনার ভাল লাগার এই আবেগ আর তার প্রকাশ সত্যি খুব ভাল লাগল ।ধন্যবাদ ।
কিংবা যে আকাশে
কাস্তের মতো বাঁকা চাঁদ
জেগে ওঠে, ডুবে যায় — তোমার প্রাণের সাধ
তাহাদের তরে!
যেখানে গাছের শাখা নড়ে
শীত রাতে — মড়ার হাতের শাদা হাড়ের মতন! —
যেইখানে বন
আদিম রাত্রির ঘ্রাণ
বুকে লয়ে অন্ধকারে গাহিতেছে গান!–
তুমি সেইখানে!
নিঃসঙ্গ বুকের গানে
নিশীথের বাতাসের মতো
একদিন এসেছিলে —
দিয়েছিলে এক রাত্রি দিতে পারে যত!
সহজ
...............জীবনানন্দ দাশ

১৩৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:৫০

হাফিজুর রহমান মাসুম বলেছেন: একেবারে হৃদয়ে তীর মেরেছেন। এমন পোস্ট আগে কেন চোখে পড়েনি!...সোজা প্রিয়তে..

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:১৫

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: দাদখানি চাল, মুসুরির ডাল, চিনি-পাতা দৈ,
দু’টা পাকা বেল, সরিষার তেল, ডিমভরা কৈ।
পথে হেঁটে চলি, মনে মনে বলি, পাছে হয় ভুল;
ভুল যদি হয়, মা তবে নিশ্চয়, ছিঁড়ে দেবে চুল।
কাজের ছেলে -(যোগিন্দ্রনাথ সরকার)

১৩৭| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:০৮

অচল স্বপ্ন বলেছেন: খুব ভালো লাগলো।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:২১

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ।
গগনে উঠিল রবি, লোহিত বরণ।
আলোক পাইয়া লোক, পুলকিত মন।।
শীতল বাতাস বয়, জুড়ায় শরীর।
পাতায় পাতায় পড়ে, নিশির শিশির।

১৩৮| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ৮:২২

টুকিঝা বলেছেন: অসাধারন সংকলন। এই পোস্টে প্রিয়তে না নিলে আমার লেখা লিখি সব বৃথা হয়ে যাবে, এবং বাংলার সব কবি কে অশ্রদ্ধা করা হবে।
আপনার নিরলস প্রচেষ্ঠার জন্য আপনাকে সাধুবাদ। অনেক কবিতাই না পরা ছিল, সেগুলো পড়ার সুযোগ করে দিয়ে মুগ্ধ করলেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:০০

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ।

পেটে তোমার পিলে হবে! কুড়ি-কুষ্টি মুখে!
হেই ভগবান! একটা পোকা যাস পেটে ওর ঢুকে!

১৩৯| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:৪৮

বন্ধুহারা বলেছেন: দারুন একটা পোষ্ট। প্রিয়তে রাখলাম।
পরে কাজে লাগবো।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:০৯

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: “বলত ওরে বুড়ো,
কেন এমন নীল দেখা যায় আকাশের ঐ চুড়ো?
বলত দেখি সূর্য চাঁদে গ্রহণ লাগে কেন?”

১৪০| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৪

হাসান ফেরদৌস বলেছেন: ভাল লাগার মত একটি পোষ্ট

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:০৬

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: হুম! ধন্যবাদ।

ভালো থেকো ফুল, মিষ্টি বকুল, ভালো থেকো।
... ভালো থেকো ধান, ভাটিয়ালি গান, ভালো থেকো
ভালো থেকো নাও, মধুমাখা গাঁও, ভালো থেকো।
ভালো থেকো মেলা, লাল ছেলেবেলা, ভালো থেকো।
ভালো থেকো, ভালো থেকো, ভালো থেকো।
শুভেচ্ছা –
...........হুমায়ুন আজাদ

১৪১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৮:০৫

শিপু ভাই বলেছেন: দারুন একটা পোষ্ট। প্রিয়তে রাখলাম।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:০৯

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ
দেওয়া-নেওয়া -সানাই

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর


বাদল দিনের প্রথম কদমফুল

আমায় করেছ দান,

আমি তো দিয়েছি ভরা শ্রাবণের

মেঘমল্লারগান।

সজল ছায়ার অন্ধকারে

ঢাকিয়া তারে

এনেছি সুরের শ্যামল খেতের

প্রথম সোনার ধান।

১৪২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৩১

ফজলুল করিম বলেছেন: দারুন একটা পোষ্ট।
প্রিয়তে রাখলাম।
যে কোন অবসরে বারবার পড়ার মত একটা পোষ্ট

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:৫৫

শব্দহীন জোছনা বলেছেন:
ধন্যবাদ । আশা করি পোষ্টা বারবার পড়তে খারাপ লাগবে না।

ভালোবাসলে নারীরা হয়ে যায় নরম নদী
পুরুষেরা জ্বলন্ত কাঠ।
সেইভাবেই মেঘ ছিল পাহাড়ের আলিঙ্গনের আগুনে
পাহাড় ছিলো মেঘের ঢেউ-জলে।
সেই গল্পটা
................ পূর্ণেন্দু পত্রী

১৪৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৮:২৯

সবজান্তা-সব জানে বলেছেন: অসাধারণ ছাড়া আর কি বলা যাই?

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৩৬

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: কেন কবিতা!
ঠেলে আসে হলদে পুঁজ, ছুটে আসে মরা রক্তের তুফান।
আকষ্মিক অগ্নি ঢেলে ধেয়ে আসে কালো বজ্রপাত।
যেহেতু কিছুই নেই করণীয়ব্যাধিরূপে বেড়ে ওঠা ছাড়া,
নিজেকে-ব্যাধিকে-যাদুরসায়নে রূপান্তরিতকরছি শিল্পে-
একরত্তি নিটোল মুক্তোয়!

১৪৪| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৮:২৯

সবজান্তা-সব জানে বলেছেন: অসাধারণ ছাড়া আর কি বলা যাই? হাসি

০১ লা জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৮:৩৯

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: কেন সুন্দর কবিতা।

আমাদের মাকে আমরা বলতাম তুমি, বাবাকে আপনি।
আমাদের মা গরিব প্রজার মত দাঁড়াতো বাবার সামনে,
কথা বলতে গিয়ে কখনোই কথা শেষ ক’রে উঠতে পারতোনা।
আমাদের মাকে বাবার সামনে এমন তুচ্ছ দেখাতো যে
মাকে আপনি বলার কথা আমাদের কোনোদিন মনেই হয়নি।
আমাদের মা /// হুমায়ুন আজাদ

১৪৫| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:৩৮

রোজেল০০৭ বলেছেন: সরাসরি প্রিয়তে।

আপনাকে ধন্যবাদ।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:৩৮

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

আবার কাহার সাথে ভালোবাসা হবে তার-আমি তা জানি না-
মৃত্যুরে কে মনে রাখে?-কীর্তিনাশা খুঁড়ে খুঁড়ে চলে বারো মাস
নতুন ডাঙার দিকে-পিছনের অবিরল মৃত চর বিনা
দিন তার কেটে যায়- শুকতারা নিভে গেলে কাঁদে কি আকাশ?
(জীবনানন্দ দাশ)

১৪৬| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:৪৯

সিনানথ্রোপাস বলেছেন: অসাধারন।
কবিতার পোস্ট এ কত মানুষের কমেন্ট।
ভালো একটা পোস্ট। আরও লিখুন।

আল মাহমুদের সোনালি কাবিনের একটা অংশ থাকলে ভালো হতো,
তারপরও ধন্যবাদ

২২ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৫১

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ আপনার সুন্দর কমেন্ট এর জন্য। আপনার প্রোফাইল পিক টা তো জটিল। সিনানথ্রোপাস এই নিকের অর্থ কি ?
আর আপনার জন্য

সোনার দিনার নেই, দেনমোহর চেয়না হরিণী
যদি নাও দিতে পারি কাবিনবিহীন হাত দুটি,
আত্মবিক্রয়ের স্বর্ন কোনোকালে সঞ্চয় করিনি
আহত বিক্ষত করে চারদিকে চতুর ভ্রুকুটি;
ভালবাসা দাও যদি আমি দেব আমার চুম্বন,
ছলনা জানিনা বলে আর কোনো ব্যাবসা শিখিনি
দেহ দিলে দেহ পাবে দেহের অধিক মূলধন
আমারতো নেই শখি, যেই পণ্যে অলংকার কিনি।
বিবসন হও যদি দেখতে পাবে আমাকে সরল
পৌরষ আবৃত করে জলপাই পাতাও থাকবেনা,
তুমি যদি খাও তবে আমাকেও দিও সেই ফল
জ্ঞানে ও অজ্ঞানে দোঁহে পরষ্পর হব চিরচেনা
পরাজিত নই নারী, পরাজিত হয়না কবিরা;
দারুণ আহত বটে আর্ত আজ শিরা- উপশিরা।

এ -তীর্থে আসবে যদি ধীরে অতি পা ফেল সুন্দরী,
মুকুন্দরামের রক্ত মিশে আছে এ মাটির গায়।
ছিন্ন তালপত্র ধরে এসো সেই গ্রন্থ পাঠ করি
কত অশ্রু লেগে আছে এই জীর্ণ তালের পাতায়।
কবির কামনা হয়ে আসবেকি হে বন্য বালিকা
অভাবের াজগর জেনো তবে আমার টোটেম,
সতেজ খুনের মত এঁকে দেব হিঙুলের টিকা।
সোনালী কাবিন – ১ – আল মাহমুদ

১৪৭| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:১২

বোকা বালিকা বলেছেন: অসম্ভব সুন্দ্র।আমার মত ফাঁকিবাজ ব্লগার দের জন্য লোভনীয় টোপ নিয়মিত হওার।।১০০++

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:০২

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: টোপটা কি আসলেই গিলেছেন ;)

তেপান্তরের পাথার পেরোই রূপকথার,
পথ ভুলে যাই দূর পারে সেই চুপকথার,
পারুলবনের চম্পারে মোর হয় জানা
মনে মনে।
সূর্য যখন অস্তে পড়ে ঢুলি
মেঘে মেঘে আকাশকুসুম তুলি।
রূপকথায়-সানাই
..........রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৪৮| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:২২

বোকা বালিকা বলেছেন: জীব্নানন্দ কি??আমাকে সে নিয়েছিল ডেকে...এ নদীর জল তোমার চোখের মত ম্লান বেতফল

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ৮:০৬

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ঠিক বুঝলাম না :| :|

বিষয় আশয় ? গরীব বেজায়-
কষ্টে- সৃষ্টে দিন চলে যায়।
মানুষ ত নয় ভাইগুলো তার
একটা পাগল একটা গোঁয়ার ;
আরেকটি সে তৈরি ছেলে,
জাল করে নোট গেছেন জেলে।
সৎ পাত্র
সুকুমার রায়

১৪৯| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:২২

বোকা বালিকা বলেছেন: জীব্নানন্দ কি??আমাকে সে নিয়েছিল ডেকে...এ নদীর জল তোমার চোখের মত ম্লান বেতফল

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:০০

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: আমরা বারবার জ্বলি, নিতান্ত অবহেলায়-
তা তো তোমরা জানোই !
কিন্তু তোমরা তো জানো না :
কবে আমরা জ্বলে উঠব-
সবাই-শেষবারের মতো ॥
দেশলাই কাঠি
.............সুকান্ত ভট্টাচার্য

১৫০| ০৭ ই মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫৫

আরিফআফতাব বলেছেন: "মেনে রেখো মোরে, আমি বেঁচে থাকবো তোমাদের মাঝে , অথবা কিশোরীর আধ ঘুমের স্বপনে"

৩০ শে মার্চ, ২০১২ রাত ১২:৫৭

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: স্বাধীনতার সুখ
......রজনীকান্ত সেন


বাবুই পাখিরে ডাকি, বলিছে চড়াই,
"কুঁড়ে ঘরে থাকি কর শিল্পের বড়াই,
আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকা পড়ে
তুমি কত কষ্ট পাও রোদ, বৃষ্টি, ঝড়ে।"

বাবুই হাসিয়া কহে, "সন্দেহ কি তায়?
কষ্ট পাই, তবু থাকি নিজের বাসায়।
পাকা হোক, তবু ভাই, পরের ও বাসা,
নিজ হাতে গড়া মোর কাঁচা ঘর, খাসা।"

০৪ ঠা জুলাই, ২০১২ রাত ১২:৫৩

শব্দহীন জোছনা বলেছেন:
রজনীকান্ত সেন

১৫১| ১৪ ই মার্চ, ২০১২ রাত ১১:০৬

মুহাম্মদ মোহেব্বুর রহমান বলেছেন:
লগইন করতে বাধ্য হলাম, শুধুই প্রিয়তে নিতে...
ফররুখ আর জসিমউদ্দীন নাই তাই শূণ্যতা মম চিত্তে..

১৫ ই মার্চ, ২০১২ সকাল ৮:১৭

শব্দহীন জোছনা বলেছেন:
ফররুখ আর জসিমউদ্দীন নাই এট কিন্তু ভাই ঠিক কথা না। হয়তবা মাত্র কয়েকটা চরণ তারপরেও কবর,পাঞ্জেরী, পল্লী -বর্ষা র মত কবিতার লাইন কিন্তু ঠিকই আছে। তবু আপানার সম্মানে আর কবিদের প্রতি আপনার ভালবাসার জন্য কবি ফররুখ আর জসিমউদ্দীন এর দুইটি কবিতার কিছু লাইন দিয়ে দিলাম...

সেখানে বিভ্রান্ত সেই মানুষের পৃথিবীতে আজ
আমি চলি জালিমের মৃত্যুবার্তা নিয়ে। সে মাটিতে
সব শৃঙ্খলিত মাঠে করি মুক্ত আলোক সম্পাত। (ফররুখ আহমদ)



আমার এ ঘর ভাঙিয়াছে যেবা আমি বাঁধি তার ঘর
আপন করিতে কাঁদিয়া বেড়াই যে মোরে করেছে পর।
যে মোরে করিল পথের বিবাগী;
পথে পথে আমি ফিরি তার লাগি;
দীঘল রজনী তার তরে জাগি ঘুম যে হরেছে মোর;
প্রতিদান
জসীম উদ্দীন

০৫ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:২০

শব্দহীন জোছনা বলেছেন:
ফররুখ আহমদ

১৫২| ১৫ ই মার্চ, ২০১২ সকাল ৮:৪৮

দুঃখ বিলাসি বলেছেন: এত সুন্দর একটা পোস্ট এতদিন পর চোখে পড়ল :(( :(( :((


এমনিতে কবিতা তেমন পড়িনা।

১৭৬ নাম্বার ভাল লাগা দিয়ে গেলাম আর আপনার পোস্ট আমার শোকেচে রেখে দিলাম।

১৫ ই মার্চ, ২০১২ দুপুর ২:৪৯

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ভাল লাগানোর জন্য ধইন্যা... ঠিক আছে আপানার জন্য ছোট্ট একটি ছড়া দিলাম

খেঁজুর পাতা হলদি
মেঘ নাম জলদি,
এক বিড়া পান
ঝুমঝুমাইয়া নাম।

আপনার কমেন্ট ভাল লাগছে । এজন্য আরকেটা ছড়া দিলাম

বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর
নদে এলো বান,
শিব ঠাকুরের বিয়ে হবে
তিন কন্যা দান।
এক কন্যা রাধেন বাড়েন
এক কন্যায় খান,
আরেক কন্যা না খেয়ে
বাপের বাড়ি যান।

১৫৩| ২৮ শে মার্চ, ২০১২ বিকাল ৩:২১

জলঝিরি বলেছেন: সব সুন্দর একসাথে পেয়ে খুব ভালো লাগল । :)
প্রিয়তে নিলাম ।ঃ)

শুভকামনা রইলো ।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ৯:১৩

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ জলঝিরি। মহাদেব সাহা হলে হয়তবা জলঝিরি নিয়েই কবিতা লিখে ফেলত :)

আমি কবিতা লিখবো তাই শূন্যতার নাম আকাশ
জলের বিস্তারের নাম সমুদ্র,
গাছপালা, জঙ্গলের নাম অরণ্য
জলরেখার ভালো নাম নদী;
আমার কবিতার জন্যে
............ মহাদেব সাহা

১৫৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১২ রাত ৮:৪৫

অভি৯১৭৫ বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো

০১ লা মে, ২০১২ রাত ২:২৬

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ ।

যে সবে বঙ্গেত জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী।
সে সব কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।।
দেশী ভাষা বিদ্যা যার মনে না জুয়ায়।
নিজ দেশ তেয়াগী কেন বিদেশ ন যায়।।
মাতা পিতামহ ক্রমে বঙ্গেত বসতি।
দেশী ভাষা উপদেশ মনে হিত অতি।।
বঙ্গবাণী
........আব্দুল হাকিম

১৫৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০১২ রাত ১০:৫৪

বাউন্ডুলে শিকু বলেছেন: সরাসরি প্রিয়তে নিলাম :) :) :)

০২ রা মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২০

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ বাউন্ডুলে ।
আপনার জন্য এই অসাধারণ লাইগুলা...

“দাঁড়াও পথিকবর, জন্ম যদি তব বঙ্গে!
তিষ্ঠ ক্ষণকাল!
এ সমাধি স্থলে
(জননীর কোলে শিশু লভয়ে
যেমতি বিরাম)মহীর পদে মহা নিদ্রাবৃত
দত্ত কূলদ্ভব কবি শ্রীমধুসূদন!”


মাইকেল মধুসূদন দত্ত

১৫৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০১২ রাত ১১:০৫

অনিক আহসান বলেছেন: এটাই সম্ভবত প্রথম আপনার কোন ব্লগ পড়লাম.।।আর প্সোরথম বারেই সোজা প্রিয়তে নিলাম

১২ ই এপ্রিল, ২০১২ সকাল ৮:২১

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ অনিক আহসান । আপনার কমেন্ট পড়ে খুব ভাল লাগল । আর আপনার জন্য রুদ্র মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ এর কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প থেকে কিছু লাইন...


তার শরীর ঘিরে থোকা থোকা কৃষ্ণচূড়ার মতো
ছড়িয়ে রয়েছে রক্ত, তাজা লাল রক্ত।
তার থ্যাতলানো একখানা হাত
পড়ে আছে এদেশের মানচিত্রের ওপর,
আর সে হাত থেকে ঝরে পড়ছে রক্তের দুর্বিনীত লাভা-

১৫৭| ১১ ই এপ্রিল, ২০১২ রাত ১১:১০

রুদ্রাক্ষী বলেছেন: তোমায় যা দিয়েছিনু তা তোমারি দান, গ্রহণ করেছ যত, ঋণী তত করেছ আমায় .হে বন্ধু বিদায়...।শেষের কবিতা।
খুব সুন্দর পোস্ট প্রিয়তে নিলাম এবং অবশ্যই পোস্টে প্লাস।

১২ ই এপ্রিল, ২০১২ সকাল ৮:৩৫

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ভাল লাগা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ রুদ্রাক্ষী । আর নিচের কবিতাটা পুরোটা না দিয়ে পারলাম না।


বাপজান আশা করি কুশলেই আছেন,
পরসমাচার এই যে,
সেদিন আপনি যে কান্ডটা করিলেন
তার জন্য এই পত্রটি না লিখিয়া পারিতেছিনা
দেখিতেছি যতই বয়স বাড়িতেছে, ততই আপনার কান্ড
একেবারেই লোপ পাইতেছে!

আপনি কি করিয়া সেদিন আমার ড্রইংরুমে,
অর্থাৎ বৈঠকখানায় বেমোক্কা ঢুকিয়া পড়িলেন,
বুঝিলাম না
সারাগায়ে ঘামের গন্ধ, ময়লা তেল চিপচিপে পান্ঞ্জাবী,
বগলে ছেঁড়া ছাতা, মাথায় চিতিপড়া কিস্তি টুপি,
যেনো আকবর বাদশার উর্নিশ আর কি!
হাতে মাটির হাড়ি, সর্বোপরি দু'পায়ের চামড়ার
কুচ কুচে কালো রং, বোধহয় লজ্জায় ঢাকিয়া ফেলিবার
আশায়, রাস্তার সবটুকু ধুলি মাখাইয়া
পা দু'টিকে মনে হইতেছিল চুনকাম করাইয়াছেন।
কি লজ্জা, আপনার ঐমূর্তি দেখিয়া আমার বন্ধুগন
এবং তাদের সুন্দরী স্ত্রীরা, বজ্রাহতের মতো তাকাইয়া রহিলো।
যেনো তাহারা চাক্ষুস ভুত দেখিতেছে
আর আমার অবস্হাটা একবার ভাবিয়া দেখুন,
মান, সম্মান, মর্যাদা সব জাহান্নামে গেল,
তাও-না হয়, আপনি যদি দয়া করিয়া একটু চুপ থাকিতেন
তবু একটা কথা ছিল!
তা-না আপনার আবার আহল্লাদে মুখ দিয়া
কথার ফোয়ারা ছুটিতে লাগিলোঃ
"বাবা কেমন আছো? বৌমা কোথায়?"
বলিহারে ভাগ্যিস সেই মুহুর্তে ও সেখানে ছিল না!
থাকিলে সে বেচারির হার্ট এটাক হইয়া যাইতো,
সে তো আবার হঠাৎ কোনো খারাপ দৃশ্য
মোটেই সহ্য করিতে পারেনা,
বড় কোমল হৃদয়ের মানুষ কিনা!
বাপজান তোমাকে সাবধান করিয়া দিতেছি
আর যাই করো, এইভাবে আমাকে ডুবাইয়ো না
টাকা-পয়সা লাগিলে চিঠি দিও পারিলে পাঠাইবো,
আর অতো টাকা পয়সাও যে কেন লাগে তোমাদের তাও বুঝিনা
তোমাদের আবার অতো খরচ কিসের
ক্লাবে যাওনা, পার্টি দাওনা
ইসুবগুল, আর চিরতার পানি ছাড়া
আরতো কোনো নেশাও করো না।

এইটুকু পড়িয়া দরিদ্র স্কুল মাস্টার
পিতা আনমনে বলিয়া উঠিলেনঃ
না, না ভুল বললিরে বাবা
নেশা একটা আছে, বড় পুরানো নেশা
কিছুতেই ছাড়িতে পারিনা সেই নেশা
তোর জন্মের পর থেকে সারাক্ষণ তোকে দেখার নেশা
কিছুতেই ছাড়িতে পারিনা বাপ, কিছুতেই ছাড়িতে পারিনা।।
নেশা - মোফাজ্জল করিম

১৫৮| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১২ সকাল ৯:১৮

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: আজ পহেলা বৈশাখ...... শুভ নববর্ষ......
সবাইকে জানাচ্ছি নববর্ষের শুভেচ্ছা।






এসো হে বৈশাখ এসো এসো
..............................রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

এসো, এসো, এসো হে বৈশাখ
তাপসনিশ্বাসবায়ে মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে,
বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক
যাক পুরাতন স্মৃতি, যাক ভুলে যাওয়া গীতি,
অশ্রুবাষ্প সুদূরে মিলাক।
মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা,
অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা
রসের আবেশরাশি শুষ্ক করি দাও আসি,
আনো আনো আনো তব প্রলয়ের শাঁখ
মায়ার কুজ্ঝটিজাল যাক দূরে যাক।

১৫৯| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১২ সকাল ৮:১৬

ছেড়া পলিথিন বলেছেন: মাঝে মাঝে আসবো। মাইন্ড করবেন না /:) /:)

২৭ শে এপ্রিল, ২০১২ দুপুর ১:০৬

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ব্যফুক মাইন্ড করব :P :P
প্রত্যক দিন আসতে হপে !:#P !:#P
অফ টপিকঃ আপনার নিক ছেড়া পলিথিন কেন? এর কি কোন কারন আছে


ওগো নিরূপম,
হে ঐশ্বর্যবান
তোমারে যা দিয়েছিনু সে তোমারই দান,
গ্রহণ করেছ যত ঋণী তত করেছ আমায়।
হে বন্ধু বিদায়।
...............শেষের কবিতা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৬০| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১২ সকাল ৮:৩৮

ছেড়া পলিথিন বলেছেন: বুকমার্ক আর প্রিয়তে ২ টাই করা B-)) B-))
যত পারেন সুন্দর সুন্দর কবিতার লাইন অ্যাড করেন :-B
আবারো আসলাম B-) । নামের পিছনে কারণ নাই।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৫:১২

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এই এত কিছু করার জন্য ।


বাঁ দিকের বুক পকেটটা সামলাতে সামলাতে
হায়! হায়! লোকটার ইহকাল পরকাল গেল!
অথচ আর একটু নীচে হাত দিলেই
সে পেতো আলাদ্বীনের আশ্চর্য প্রদীপ,
তার হৃদয়!
লোকটা জানলোই না!
লোকটা জানলই না – সুভাষ মুখোপাধ্যায়

১৬১| ০২ রা মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫৪

এবিসি১০ বলেছেন: অসাধারণ!

সরাসরি প্রিয়তে। :)

০৩ রা মে, ২০১২ সকাল ১১:০০

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ

হে ঐশ্বর্যবান,
তোমারে যা দিয়েছিনু সে তোমারি দান;
গ্রহণ করেছ যত ঋণী তত করেছ আমায়।
হে বন্ধু, বিদায়।

বিদায়
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৬২| ০৩ রা মে, ২০১২ সকাল ১১:৩৩

অতন্দ্র তওসিফ বলেছেন: আপনার পোস্টটা আমার নজরে কিভাবে পড়লো সেটা বলি। আমি জীবনানন্দের "অদ্ভুত আঁধার এক এসেছে..." পঙক্তিগুলো খুঁজছিলাম। গুগল মামাকে জিজ্ঞেস করলাম, সে আমাকে আপনার বাড়িতে এনে ল্যান্ড করালো।

০৩ রা মে, ২০১২ রাত ৯:১৪

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ল্যান্ড করার পর কি হল, কবিতাটা কি শেষ পর্যন্ত খুজে পেয়েছিলেন ?যেভাবে এলোমেলো করে পোষ্টা সাজানো যে, না খুঁজে পেলেও ঠিক দোষ দেওয়া যাবে না।


রূপোলি জল শুয়ে-শুয়ে স্বপ্ন দেখছে; সমস্ত আকাশ
নীলের স্রোতে ঝরে পড়ছে তার বুকের উপর
সূর্যের চুম্বনে।-এখানে জ্ব’লে উঠবে অপরূপ ইন্দ্রধণু
তোমার আর আমার রক্তের সমুদ্রকে ঘিরে
কখনো কি ভেবেছিলে?
..................চিল্কায় সকাল -বুদ্ধদেব বসু

১৬৩| ০৪ ঠা মে, ২০১২ রাত ২:২৬

অতন্দ্র তওসিফ বলেছেন: লল... :) একটু হারিয়ে গিয়েছিলাম, পরে ওয়ার্ডে নিয়ে সেখানে সার্চ করতে হয়েছে... আমার পয়েন্টটা ছিল যে গুগল মামা আমাকে আপনার লেখা রেফার করেছে। কেন করেছে সেটা অবশ্য আমি এসেই বুঝেছি... এত গুলো কমেন্ট, হিট আর এতজনের প্রিয়র তালিকায় আপনার এই পোস্ট যে রিভার্স লিঙ্কের কারণে এই পোস্টে থাকা যেকোন লাইন লিখে সার্চ দিলে আটাকে রেফার করতে বাধ্য... দারুণ একটা কাজ করেছেন আপনি...

০৪ ঠা মে, ২০১২ রাত ৯:০০

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: যাক! অনেক কষ্ট করে হলেও আপনার কাঙ্ক্ষিত কবিতাটা শেষ পর্যন্ত পেয়েছিলেন B-) অনেক ধ্যনবাদ আপনাকে আর অনেক অনেক শুভ কামনা রইল আপনার প্রতি। আপনার জন্য নিচের কবিতাটা...


মোদের গরব, মোদের আশা, আ মরি বাংলা ভাষা!
তোমার কোলে, তোমার বোলে, কতই শান্তি ভালবাসা!
কি যাদু বাংলা গানে!- গান গেয়ে দাঁড় মাঝি টানে,
এমন কোথা আর আছে গো!
.................................
তোমার চরণ-তীর্থে আজি, জগৎ করে যাওয়া-আসা
ওই ভাষাতেই প্রথম বোলে, ডাকনু মায়ে ‘মা’, ‘মা’ বলে;
ওই ভাষাতেই বলবো ‘হরি’, সাঙ্গ হলে কাঁদা-হাসা।।
মোদের গরব, মোদের আশা – অতুলপ্রসাদ সেন


অতুলপ্রসাদ সেন

১৬৪| ১৭ ই মে, ২০১২ সকাল ৭:২৭

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:

সেই সাথে প্রিয়তে

১৮ ই মে, ২০১২ ভোর ৫:৪৭

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ মোস্তফা কামাল

কবিতা বোঝে না এই বাংলার কেউ আর
দেশের অগণ্য চাষী, চাপরাশী
ডাক্তার উকিল মোক্তার
পুলিস দারোগা ছাত্র অধ্যাপক সব
কাব্যের ব্যাপারে নীরব!
অবুঝের সমীকরণ – আল মাহমুদ


আল মাহমুদ

১৬৫| ১৭ ই মে, ২০১২ সকাল ৯:৫৬

গোলাপি রাজকন্যা বলেছেন:
"এপারেতে কালো রং বিষ্টি পরে ঝম ঝম
ওপারেতে লঙ্কা গাছটি টুকটুক করে।"

কিংবা

কে বলেরে আমার গোপাল বোঁচা
সুখ সায়রের মাটি এনে নাক করেছি সোজা;
কে বলেরে গোপাল আমার কালো
পাটনা থেকে হলুদ এনে গা করেছি আলো'

আর শেষ আরেকটা

"ভাল মালা গাঁথে ভালো মালিয়ারে
বনমালি মেঘমালি কালিয়ারে"

বিদ্যাসুন্দর

২৫ শে মে, ২০১২ ভোর ৪:২৯

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: সুন্দর কিছু কবিতা শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ গোলাপের রাজকন্যা।
এবার আপনার জন্য বাংলা সাহিত্যের প্রথম নাগরিক কবির কিছু জনপ্রিয় লাইন

আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে।
.....................
নগর পুড়িলে কি দেবালয় এড়ায়।
.....................
মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন
..................
বড়র পিরীতি বালির বাঁধ,
ক্ষনে হাতে দড়ি ক্ষনেকে চাঁদ।
........................
অতি বড় বৃদ্ধ পতি সিদ্ধিতে নিপুণ,
কোন গুন নাই তার কপালে আগুন।
.....................
না রবে প্রাসাদ গুন নাহবে রসাল,
অতএব কহি ভাষা যাবনী মিশান।
অন্নদামঙ্গল কাব্য
ভারতচন্দ্রঁ রায়গুনাকর(বাংলা সাহিত্যের প্রথম নাগরিক কবি)

১৬৬| ১৮ ই মে, ২০১২ ভোর ৬:১৬

রাজীব বলেছেন: প্রিয়তে।

১৭ ই জুন, ২০১২ বিকাল ৩:৫৮

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব

বল দেখি এ জগতে মূর্খ বলি কারে,
নিজ কার্য নষ্ট করে, মূর্খ বলি তারে।
বল দেখি এ জগতে সাধু বলি কারে,
পরের যে ভাল করে, সাধু বলি তারে।
বল দেখি এ জগতে জ্ঞানী বলি কারে,
নিজ বোধ আছে যার জ্ঞানী বলি তারে।
কে?
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত



ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত

১৬৭| ২৫ শে মে, ২০১২ রাত ১২:১৪

টুকিঝা বলেছেন:
- কি করছো?
- ছবি আকঁছি।
- ওটা তো একটা বিন্দু।
... -তুমি ছুঁয়ে দিলেই বৃত্ত হবে। কেন্দ্র হবে তুমি। আর আমি হবো বৃত্তাবর্ত।
- কিন্তু আমি যে বৃত্তে আবদ্ধ হতে চাই না। আমি চাই অসীমের অধিকার।
- একটু অপেক্ষা করো। . . . এবার দেখো।
- ওটা কি? ওটা তো মেঘ।
- তুমি ছুঁয়ে দিলেই আকাশ হবে। তুমি হবে নি:সীম দিগন্ত। আর আমি হবো দিগন্তরেখা।
- কিন্তু সে তো অন্ধকার হলেই মিলিয়ে যাবে। আমি চিরন্তন হতে চাই।
- আচ্ছা, এবার দেখো।
- একি! এ তো জল।
- তুমি ছুঁয়ে দিলেই সাগর হবে। তিনভাগ জলের তুমি হবে জলকন্যা। আর আমি হবো জলাধার।
- আমার যে খন্ডিতে বিশ্বাস নেই। আমার দাবী সমগ্রের।
- একটু অপেক্ষা করো। এবার চোখ খোল।
- ওটা কি আঁকলে? ওটা তো একটা হৃদয়।
- হ্যাঁ, এটা হৃদয়। যেখানে তুমি আছো অসীম মমতায়, চিরন্তন ভালোবাসায়। এবার বলো আর কি চাই তোমার?
- সারাজীবন শুধু ওখানেই থাকতে চাই।

পুর্ণেন্দু পত্রী

নিজের ভাল লাগা টুকু জানালাম না কেন!
আর আমার পেটে পোকা ঢুকবে কেন?

২৫ শে মে, ২০১২ ভোর ৪:১৪

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: পুর্ণেন্দু পত্রীর কবিতাটা অসাধারণ। অনেক অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
পেটে পিলে কেন ঢুকবে সেটা নজরুল- ই ভাল জানে !:#P !:#P
নিজের ভাল লাগা টুকু জানালাম না কেন! (মানে বুঝলাম না!!)

পরথমে লিখিল পত্র চন্দ্রার গোচরে |
পুষ্পপাতে লেখে পত্র আড়াই অক্ষরে ||
পত্র লেখে জয়ানন্দ মনের যত কথা |
"নিতি নিতি তোলা ফুলে তোমার মালা গাঁথা ||

প্রেম-লিপি
.............চন্দ্রাবতী(বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা কবি)

১৬৮| ২৫ শে মে, ২০১২ ভোর ৬:০১

মুনসী১৬১২ বলেছেন: দুর্দান্ত----

আমি হক সকাল বেলার পাখি
সবার আগে কুসুম বাগে উঠব আমি জাগি------

ভোর হলো দোর খুলো খুকু মণি কই রে----


হিন্দু না ওরা মুসলিম --- জিজ্ঞাসে কোন জন
পাঞ্জেরী বলো -------ডুবিছে মানুষ সন্তান মোর মার


পড়বি পর মালির ঘাড়ে
বেটা ছিল গাচের আড়ে
----------নজরুল


ওই খানে তোর দাদীর কবর ডালিম গাছের তোল.........
তিরিশ বছর ভিজিয়ে রেখেছি দুই নয়নের জলে-------পল্লীকবি

পাঞ্জেরী রাত পোহাবার কত দেরী পাঞ্জেরী....


----বিষ্‌টি এল কাশ বনে
জাগল সাড়া ঘাস বনে,
বকের সারি কোথায় রে
লুকিয়ে গেল বাঁশ বনে।

নদীতে নাই খেয়া যে,
ডাকল দূরে দেয়া যে,
কোন সে বনের আড়ালে
ফুটল আবার কেয়া যে।---ফররুখ


সফদার ডাকতার মাথা ভরা টাক তার
ক্ষিদে পেলে পানি খায় চিবিয়ে-----------হোসনে আরা


আমার মায়ের সোনার নোলক হারিয়ে গেলো শেষে হেথায় খুঁজি হোথায় খুঁজি সারা বাংলাদেশে। নদীর কাছে গিয়েছিলাম, আছে তোমার কাছে ? -হাত দিওনা আমার শরীর ভরা বোয়াল মাছে।--আল মাহমুদ-----------------------------


কত শত শত লাইন





১০ ই জুন, ২০১২ রাত ১২:০৭

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ আর অশেষ কৃতজ্ঞতা আপনার প্রতি মুনসী , অসাধারণ কিছু লাইন আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।


হৃদয়ে বুদবুদ মত
উঠে চিন্তা শুভ্র কত,
মিশে যায় হৃদয়ের তলে,
পাছে লোকে কিছু বলে।
পাছে লোকে কিছু বলে
............কামিনী রায়


কামিনী রায়

১৬৯| ০৪ ঠা জুন, ২০১২ রাত ৯:১৩

সনেট০০৭ বলেছেন: ++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++

১৭ ই জুন, ২০১২ ভোর ৫:১৪

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ...

অমন করিয়া কেন বহিয়া না যায় রে
মানব জীবন?
অমনি চাঁদনি তলে, আমনি নীলাভ জলে
অমনি মধুর স্রোতে সংগীত মতন,
বহিয়া না যায় কেন মানব জীবন?
মেঘনা
নবীনচন্দ্র সেন



নবীনচন্দ্র সেন

১৭০| ২১ শে জুন, ২০১২ রাত ১২:৫০

ঘাষফুল বলেছেন: +++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++্

০৯ ই জুলাই, ২০১২ রাত ৯:৫২

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ ঘাষফুল...... আপনার নামটিতে এক ধরনের বাংলা মাটির গন্ধ আছে

বায়ুর ভিতর থেকে গ্রহণ করেছি আয়ু;
জানি, একদিন বায়ুতেই যাবো মিশে ।
তখন আমাকে যদি খোঁজ, যদি খোঁজ,
শুভ্র অভ্রবিন্দুবৎ তখন আমাকে পাবে
কম্পমান পদ্মের পাতায়, ঘাস-শীষে ।
মধুর ভিতর থেকে গ্রহণ করেছি আয়ু;
মৃত্যু হয়ে একদিন মিশে যাবো বিষে ।
...............এক ধরনের এপিটাফ
................নির্মলেন্দু গুণ



নির্মলেন্দু গুণ

১৭১| ০৩ রা জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩১

গাজী খায়রুল হাসান বলেছেন: জীবনানন্দের নির্জন স্বাক্ষর খানা কই?

আমার সকল গান তবুও তোমারে লক্ষ্য করে।

এই লাইন তো প্রায়ই প্রেমিক পুরুষ রা ব্যবহার করে।
পোস্ট খুবই সুন্দর হইছে বস।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১২ রাত ১২:৩৫

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: আসলে এত এত সুন্দর সুন্দর কবিতার ভিড়ে এই অনবদ্য লাইনগুলা চোখ এড়িয়ে গিয়েছিল । অনেক ধন্যবাদ খায়রুল হাসান দৃষ্টির সম্মুখে আনার জন্য ।


আমার বুকের ‘পরে সেই রাতে জমেছে যে শিশিরের জল,
তুমিও কি চেয়েছিলে শুধু তাই;
শুধু তার স্বাদ
তোমারে কি শান্তি দেবে?
আমি ঝ’রে যাবো – তবু জীবন অগাধ
তোমারে রাখিবে ধ’রে সেদিন পৃথিবীর ‘পরে,
- আমার সকল গান তবুও তোমারে লক্ষ্য করে।
.....................নির্জন স্বাক্ষর
.....................জীবনানন্দ দাশ

১৭২| ০৩ রা জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪০

নতুন বলেছেন: চমৎকার ... মাঝে মাঝে আসবো লাইন নিতে... কোট করতে.. :)

০৪ ঠা জুলাই, ২০১২ সকাল ১০:১২

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: তাহলে নতুন এই কথাই রইল, মাঝে মাঝে আসার আমন্ত্রণ রইল ...

নন্দলাল তো একদা একটা করিল ভীষণ পণ-
স্বদেশের তরে, যা করেই হোক, রাখিবেই সে জীবন।
সকলে বলিল, ‘আ-হা-হা কর কি, কর কি, নন্দলাল’ ?
নন্দ বলিল, ‘বসিয়া বসিয়া রহিব কি চিরকাল ?
আমি না করিলে কে করিবে আর উদ্ধার এই দেশ ?’
তখন সকলে বলিল- ‘বাহবা বাহবা বাহবা বেশ !’
.....................নন্দলাল
.....................দ্বিজেন্দ্রলাল রায়


দ্বিজেন্দ্রলাল রায়

১৭৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১২ রাত ১:১৭

অনিক আহসান বলেছেন: শুয়েছে ভোরের রোদ ধানের উপরে মাথা পেতে
অলস গেঁয়োর মতো এইখানে কার্তিকের ক্ষেতে
মাঠের ঘাসের গন্ধ বুকে তার — চোখে তার শিশিরের ঘ্রাণ,
তাহার আস্বাদ পেয়ে অবসাদে পেকে ওঠে ধান,
দেহের স্বাদের কথা কয় –
বিকালের আলো এসে (হয়তো বা) নষ্ট করে দেবে তার সাধের সময়!
চারি দিকে এখন সকাল –
রোদের নরম রঙ শিশুর গালের মতো লাল!
মাঠের ঘাসের পরে শৈশবের ঘ্রাণ –
পাড়াগাঁর পথে ক্ষান্ত উৎসবের পড়েছে আহ্বান!

চারি দিকে নুয়ে প’ড়ে ফলেছে ফসল,
তাদের স্তনের থেকে ফোঁটা ফোঁটা পড়িতেছে শিশিরের জল!
প্রচুর শস্যের গন্ধ থেকে থেকে আসিতেছে ভেসে
পেঁচা আর ইঁদুরের ঘ্রাণে ভরা আমাদের ভাঁড়ারের দেশে!
শরীর এলায়ে আসে এই খানে ফলন্ত ধানের মতো করে
যেই রোদ একবার এসে শুধু চলে যায় তাহার ঠোটের চুমো ধ’রে
আহ্লাদের অবসাদে ভরে আসে আমার শরীর,
চারি দিকে ছায়া — রোদ — ক্ষুদ — কুঁড়া — কার্তিকের ভিড়:
চোখের সকল ক্ষুধা মিটে যায় এই খানে, এখানে হতেছে স্নিগ্ধ কান,
পাড়াগাঁর গায় আজ লেগে আছে রূপাশালি ধান ভানা রূপসীর শরীরের ঘ্রাণ!
আমি সেই সুন্দরীরে দেখে লই — নুয়ে আছে নদীর এপারে
বিয়োবার দেরি না — রূপ ঝরে পড়ে তার –
শীত এসে নষ্ট করে দিয়ে যাবে তারে!

আজও তবুও ফুরায় নি বৎসরের নতুন বয়স,
মাঠে মাঠে ঝ’রে পড়ে কাঁচা রোদ, ভাড়ারের রস!

মাছির গানের মতো অনেক অলস শব্দ হয়
সকালবেলা রৌদ্রে; কুঁড়িমির আজিকে সময়।

গাছের ছায়ার তলে মদ লয়ে কোন্‌ ভাঁড় বেঁধেছিল ছড়া!
তার সব কবিতার শেষ পাতা হবে আজ পড়া;
ভুলে গিয়ে রাজ্য — জয় — সাম্রাজ্যের কথা
অনেক মাটির তলে যেই মদ ঢাকা ছিল তুলে লব তার শীতলতা;
ডেকে লব আইবুড় পাড়াগাঁর মেয়েদের সব –
মাঠের নিস্তেজ রোদের নাচ হবে –
শুরু হবে হেমন্তের নরম উৎসব।

হাতে হাত ধরে ধরে গোল হয়ে ঘুরে ঘুরে ঘুরে
কার্তিকের মিঠা রোদে আমাদের মুখ যাবে পুড়ে;
ফলন্ত ধানের গন্ধে — রঙে তার — স্বাদে তার ভরে যাবে আমাদের সকলের দেহ;
রাগ কেহ করিবে না — আমাদের দেখে হিংসা করিবে না কেহ।
আমাদের অবসর বেশি নয — ভালোবাসা আহ্লাদের অলস সময়
আমাদের সকলের আগে শেষ হয়
দূরের নদীর মতো সুর তুলে অন্য এক ঘ্রাণ — অবসাদ –
আমাদের ডেকে লয় — তুলে লয় আমাদের ক্লান্ত মাথা — অবসন্ন হাত।

তখন শস্যের গন্ধ ফুরায়ে গিয়েছে ক্ষেতে — রোদ গেছে পড়ে,
এসেছে বিকালবেলা তার শান্ত শাদা পথ ধরে;
তখন গিয়েছে থেমে অই কুঁড়ে গেঁয়োদের মাঠের রগড়
হেমন্ত বিয়ায়ে গেছে শেষ ঝরা মেয়ে তার শাদা মরা শেফালির
বিছানার পর;
মদের ফোঁটার শেষ হয়ে গেছে এ মাঠের মাটির ভিতর!
তখন সবুজ ঘাস হয়ে গেছে শাদা সব, হয়ে গেছে আকাশ ধবল,
চলে গেছে পাড়াগাঁর আইবুড়ো মেয়েদের দল!


পুরনো পেঁচারা সব কোটারের থেকে
এসেছে বাহির হয়ে অন্ধকার দেখে
মাঠের মুখের পরে
সবুজ ধানের নিচে — মাটির ভিতরে
ইঁদুরেরা চলে গেছে — আঁটির ভিতর থেকে চলে গেছে চাষা;
শস্যের ক্ষেতের পাশে আজ রাতে আমাদের জেগেছে পিপাসা!

ফলন্ত মঠের’ পরে আমরা খুঁজি না আজ মরণের স্থান,
প্রেম আর পিপাসার গান
আমরা গাহিয়া যাই পাড়াগাঁর ভাঁড়ের মতন!
ফসল — ধানের ফলে যাহাদের মন
ভরে উঠে উপেক্ষা করিয়া গেছে সাম্রাজ্যেরে, অবহেলা করে গেছে –
পৃথিবীর সব সিংহাসন –
আমাদের পাড়াগাঁর সেই সব ভাঁড় –
যুবরাজ রাজাদের হাড়ে আজ তাহাদের হাড়
মিশে গেছে অন্ধকারে অনেক মাটির নীচে পৃথিবীর তলে
কোটালের মতো তারা নিশ্বাসের জলে
ফুরায় নি তাদের সময়;
পৃথিবীর পুরোহিতদের মতো তারা করে নাই ভয়!
প্রণয়ীর মতো তারা ছেড়ে নি হৃদয়
ছড়া বেঁধে শহরের মেয়েদের নামে!
চাষাদের মতো তারা ক্লান্ত হয়ে কপালের ঘামে
কাটায় নি — কাটায় কি কাল।
অনেক মাটির নিচে তাদের কপাল
কোনো এক সম্রাটের সাথে
মিশিয়া রয়েছে আজ অন্ধকার রাতে!
যোদ্ধা — জয়ী — বিজয়ীর পাঁচ ফুট জমিনের কাছে –
পাশাপাশি –
জিতিয়া রয়েছে আজ তাদের খুলির অট্টহাসি!

অলস মাছির শব্দে ভরে থাকে সকালের বিষন্ন সময়
পৃথিবীর মায়াবীর নদীর পারের দেশ বলে মনে হয়;
সকল পড়ন্ত রোদ চারি দিকে ছুটি পেয়ে জমিতেছে এইখানে এসে,
গ্রীষ্মের সমুদ্র থেকে চোখের ঘুমের গান আসিতেছে ভেসে,
এখানে পালঙ্কে শুয়ে কাটিবে অনেক দিন জেগে থেকে ঘুমাবার
সাধ ভালোবেসে!

-অবসরে গান
জেবি দাশ

০৪ ঠা জুলাই, ২০১২ সকাল ৯:২২

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: এত শত বুঝি না, বুঝি খালি জীবনানন্দের কবিতায় মাদকতা আছে,
প্রকৃতির রূপের ঝিমধরা সৌন্দর্য আর মানবীয় বিষণ্ণতা...
অনিক আহসান কে ধন্যবাদ তার কবিতার জন্য। কবিতাটা আপনার অনেক প্রিয়, আমি কি ভুল বললাম...


পারিব না’ একথাটি বলিও না আর,
কেন পারিবে না তাহা ভাব একবার;
পাঁচজনে পারে যাহা,
তুমিও পারিবে তাহা,
পার কি না পার কর যতন আবার
একবার না পারিলে দেখ শতবার।
..................পারিব না
.................. কালীপ্রসন্ন ঘোষ

১৭৪| ০৮ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:২৯

আরজু পনি বলেছেন:

মাথা নষ্ট পোস্ট! অসাধারণ!
শেযার নিলাম :)

০৮ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৫:৪২

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: শেয়ার করার জন্য এবং কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ আরজুপনি।


চৈতে গিমা তিতা,
বৈশাখে নালিতা মিঠা,
জ্যৈষ্ঠে অমৃতফল আষাঢ়ে খৈ,
শায়নে দৈ।
ভাদরে তালের পিঠা,
আশ্বিনে শশা মিঠা,
কার্তিকে খৈলসার ঝোল,
অগ্রাণে ওল।
পৌষে কাঞ্ছি, মাঘে তেল,
ফাল্গুনে পাকা বেল।
.....................খনার বচন

১৭৫| ১০ ই জুলাই, ২০১২ সকাল ৯:১৮

জুন বলেছেন: রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের কর্ন কুন্তী সংবাদ কবিতার শেষ সেই অসাধারণ প্যারাটি। আমার অসম্ভব প্রিয় কটি লাইন।
যেখানে কুন্তী তার অবৈধ এবং জন্মলগ্নে পরিত্যাক্ত সন্তান কর্ন বর্তমানে বিরোধী পক্ষের বীর যোদ্ধাকে তার সন্তান পরিচয় দিয়ে ফিরিয়ে নিতে এসেছে যাতে কুন্তীর বৈধ সন্তানদের বিরুদ্ধে সে অস্ত্র না ধরে। কর্ন তার মা এর আহ্বান ফিরিয়ে দিয়েছিল এই বলে---

'মাতঃ করিয়ো না ভয়।
কহিলাম পান্ডবের হইবে বিজয়।
আজি এই রজনীর তিমিরফলকে
প্রত্যক্ষ্য করিনূপাঠ নক্ষত্র- আলোকে
ঘোর যুদ্ধফল। এই শান্ত স্তব্ধক্ষণে
অনন্ত আকাশ হতে পশিতেছে মনে
জয়হীন চেষ্টার সংগীত, আশাহীন
কর্মের উদ্যম--হেরিতেছি শান্তিময়
শুন্য পরিনাম। যে পক্ষের পরাজয়
সে পক্ষ ত্যাজিতে মোরে কোরো না আহ্বান।
জয়ী হোক,রাজা হোক পান্ডব সন্তান---
আমি রব নিস্ফলের হতাশের দলে।
জন্মরাত্রে ফেলে গেছ মোরে ধরাতলে
নামহীন, গৃহহীন। আজিও তেমনি
আমারে নির্মম চিত্তে তেয়াগো-জননী,
দীপ্তিহীন কীর্তিহীন পরাভব-'পরে
শুধু এই আশীর্বাদ দিয়ে যাও মোরে,
জয়লোভে যশোলোভে রাজ্যলোভে,অয়ি,
বীরের সদগতি হতে ভ্রষ্ট নাহি হই ।।

১০ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১০:২২

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: আমি রব নিস্ফলের হতাশের দলে...নির্মম চিত্ততা আসলে অনেক বেশী আবেদনয়। জন্মরাত্রে ফেলে গেছ মোরে ধরাতলে ---নামহীন, গৃহহীন, এটা কি মায়ের প্রতি এক ধরনের অভিযোগ না বিতৃষ্ণটা, তা ঠিক বুঝতে পারি না। জুনের প্রতি কৃতজ্ঞতা আর অসম্ভব রকমের ভাল লাগা এ জন্য যে, সে তার প্রিয় কিছু লাইন আমাদের সাথে শেয়ার করেছে।



রূপোলি জল শুয়ে-শুয়ে স্বপ্ন দেখছে; সমস্ত আকাশ
নীলের স্রোতে ঝরে পড়ছে তার বুকের উপর
সূর্যের চুম্বনে।-এখানে জ্ব’লে উঠবে অপরূপ ইন্দ্রধণু
তোমার আর আমার রক্তের সমুদ্রকে ঘিরে
কখনো কি ভেবেছিলে?
........................চিল্কায় সকাল
........................বুদ্ধদেব বসু




বুদ্ধদেব বসু

১৭৬| ১০ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১০:৪৩

জুন বলেছেন: মা এর প্রতি অভিমান শব্দহীন।পরিত্যাগ করেছিল জন্মমুহুর্তে। আপনি পাড়লে রবীন্দ্রনাথের সন্চয়িতা থেকে পুরো কর্ন কুন্তী সংবাদ কবিতাটি পড়তে পারেন। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের পটভুমির উপর লেখা। এটা আমি কয়েকটি অনুষ্ঠানে আবৃত্তি করেছি।অসাধারন কবিতা।
এক সূত পরিবার নদীর তীর থেকে কুড়িয়ে পেয়েছিল সদ্যোজাত কুন্তীর অবৈধ সন্তান কর্নকে।
তাই মা কুন্তী কর্নকে সিংহাসন ফিরিয়ে দেয়ার কথা বলায় বলেছে...

সিংহাসন! যে ফিরালো মাতৃস্নেহপাশ
তাহাকে দিতেছ মাতঃ, রাজ্যের আশ্বাস !
একদিন যে সম্পদে করিছ বন্চিত
সে আর ফিরায়ে দেয়া তব সাধ্যাতীত।
মাতা মোর, ভ্রাতা মোর, মোর রাজ্যকুল
এক মুহুর্তেই মাতঃ করেছ নির্মুল
মোর জন্মক্ষনে। সূতজননীরে ছলি
আজ যদি রাজ জননীরে মাতা বলি,
কুরুপতি কাছে বদ্ধ আছি যে বন্ধনে
ছিন্ন করে ধাই যদি রাজসিংহাসনে
তবে ধিক মোরে।

১১ ই জুলাই, ২০১২ সকাল ৮:২৮

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: আপনি আবৃত্তি করেছিলেন , বাহ! । শুনতে পেলে ভাল হত। কবিতা আবৃত্তি শুনতে সব সময়েই ভাল লাগে। আশা করি আমার পড়া পরবর্তী কবিতাটা হবে কর্ন কুন্তী সংবাদ ।


এ গান যেখানে সত্য
অনন্ত গোধুলিলগ্নে
সেইখানে
বহি চলে ধলেশ্বরী,
তীরে তমালের ঘন ছায়া---
আঙিনাতে
যে আছে অপেক্ষা ক'রে, তার
পরনে ঢাকাই শাড়ি, কপালে সিঁদুর॥
..................বাঁশি
.................. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৭৭| ১০ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১০:৪৫

জুন বলেছেন: ভালো কথা বুদ্ধদেব বসুর ...........চিল্কায় সকাল
এই চিল্কা হৃদ আমি ঘুরে এসেছি :)

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:০১

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: দুঃখিত জবাব আসলে অনেক দেরীতে দিয়ে ফেললাম। শুনে খুব ভালো লাগল যে চিল্কা হৃদ যায়গাটায় আপনি গিয়েছেন । আমার যাওয়া হয়নি কখনো, কেমন যায়গাটা আর আপনার কাছেই বা কেমন লেগেছে ...ভালো থাকবেন আর অনেক অনেক শুভ কামনা রইল জুনের জন্য...ভালো থাকবেন অনেক ভালো ... ধন্যবাদ...



পাতাল ফেড়ে নামব আমি
উঠব আমি আকাশ ফুঁড়ে,
বিশ্বজগৎ দেখব আমি
আপন হাতের মুঠোয় পুরে।
........................সংকল্প
............... কাজী নজরুল ইসলাম

১৭৮| ১৫ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১১:৩১

আমি বন্য বলেছেন: ভালোবাসা সে তো এক দুর্বার আকর্ষন,
এক তব করে চেতনার ধর্ষন।

অনেক ভাল লাগ্লো কবিতা কালেকশন

১৬ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:৫৪

শব্দহীন জোছনা বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ বন্য এই কবিতা কালেকশন এ চোখ বুলানোর জন্য। সময় করে পড়বেন আশা রাখি। আপনার জন্য শ্রদ্ধেয় হুমায়ুন কবির
এর কিছু দুর্দান্ত চরণ...

এখনো যে মেয়ে আসে নাই ফিরে- দুপুর যে বয়ে যায়।
ভরা জোয়ারের মেঘনার জল কূলে কূলে উছলায়।
নদীর কিনার জলে একাকার,
যেদিকে তাকাই অথই পাথা
.................................
ভরবেলা গেলো, ভাটা পড়ে আসে, আঁধার জমিছে আসি,
এখনো তবুও এলো না ফিরিয়া আমিনা সর্বনাশী।
...............মেঘনায় ঢল
...............হুমায়ুন কবির




হুমায়ুন কবির

১৭৯| ১৫ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১১:৫৮

ভবোঘুরে বলেছেন: নিউট্রন বোমা বোঝো
মানুষ বোঝো না।

হেলাল হাফিজ

১৬ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৫:০৯

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ ...

ভয় পেয়ো না, ভয় পেয়ো না, তোমায় আমি মারব না-
সত্যি বলছি কুস্তি ক’রে তোমার সঙ্গে পারব না।
মন্টা আমার বড্ড নরম, হাড়ে আমার রাগ্টি নেই,
তোমায় আমি চিবিয়ে খাব এমন আমার সাধ্যি নেই!
মাথায় আমার শিং দেখে ভাই ভয় পেয়েছ কতই না-
জানো না মোর মাথার ব্যারাম, কাউকে আমি গুঁতোই না?
..................ভয় পেয়ো না
..................সুকুমার রায়

১৮০| ১৬ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১:২১

আলআমিন মিরাজ বলেছেন: আপনার ব্লগে বেরাইতে আসলাম। আপনার এই পোস্ট তো বাংলা কবিতার একটি মিনি আরকাইব হয়ে যাচ্ছে। অনেক ভালো লাগলো। আচ্ছা ভিন্ন ভাষার কবিতা নিয়ে আপনার কোন চিন্তা ভাবনা আছে নাকি?? থাকলে তারাতারি কাজ শুরু করেন। জাতি এখন বাংলার বাইরের ভালো ভালো কবি ও কবিতা সাথে পরিচত হতে চায়।।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:৫৫

শব্দহীন জোছনা বলেছেন:
কন কি এখনও এই পোস্ট- টারে আপনার মিনি আর্কাইভ হয়ে যাচ্ছে বলতে হচ্ছে। আমার তো মনে হয় এখনই [ sb ] মিনি আর্কাইভ বলা যায় ।ভিন্ন ভাষার কবিতা নিয়ে আপাতত ইচ্ছা নাই।


[ sb ]আমি যদি বাবা হতুম, বাবা হত খোকা,
না হলে তার নামতা,
মারতাম মাথায় টোকা।।
রোজ যদি হত রবিবার !
কি মজাটাই হত যে আমার !
কেবল ছুটি ! থাকত নাক নামতা লেখা জোকা !
থাকত না কো যুক্ত অক্ষর, অংকে ধরত পোকা
.....................আমি যদি বাবা হতাম, বাবা হত খোকা
.....................কাজী নজরুল ইসলাম

১৮১| ১৯ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ১২:৪৩

গুহামানব বলেছেন: হুম

২৪ শে জুলাই, ২০১২ রাত ২:০৬

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: হুম


মৌ-লোভী যত মৌলবী আর ‘ মোল্‌-লা’রা ক’ন হাত নেড়ে’,
‘দেব-দেবী নাম মুখে আনে, সবে দাও পাজিটার জাত মেরে!
ফতোয়া দিলাম- কাফের কাজী ও,
যদিও শহীদ হইতে রাজী ও!
‘আমপারা’-পড়া হাম-বড়া মোরা এখনো বেড়াই ভাত মেরে!
হিন্দুরা ভাবে,‘ পার্শী-শব্দে কবিতা লেখে, ও পা’ত-নেড়ে!


..................'আমার কৈফিয়ত'
..................কাজী নজরুল ইসলাম

১৮২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:১৭

মওদুদ মোমেন মিঠু বলেছেন: দারুন সব কালেকশন

১৬ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৮

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ মোমেন মিঠু এই কালেকশন দেখার জন্য ।


সেই সুখ মাছের ভিতরে ছিল,
সেই সুখ মাংসের ভিতরে ছিল,
রাতের কপালে চাঁদ টিপ দিয়ে যেতো ছেলেবেলা
সেই সুখ চাঁদের ভিতরে ছিল,
সেই সুখ নারীর ভিতরে ছিল !
►►►সেই সুখ◄◄◄
…………..আবুল হাসান

১৮৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫২

নবীনা বলেছেন: কবিতা দেখলেই প্রেমে পড়ি বার বার.....খুব ভালো লাগলো পোস্টটা দেখে....:)

১৬ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪২

শব্দহীন জোছনা বলেছেন:
তাহলে তো বলতেই হয় এই পোস্ট-এ আপনি শ-খানেকবার প্রেমে পড়েছেন। আর যেহেতু আপনি বলেছেন বার বার তাহলে হাজারখানেক ও হতে পারে। তাই নয় কি?? !:#P !:#P


তুমি কি আমার জোছনা হবে?
যার মায়াজালে বিভোর হয়ে
নিজেকে সঁপে দেব সকল বাস্তবতা ভুলে ।

তুমি কি আমার কবর হবে?
যেখানে শান্তির শীতল বাতাসে
বয়ে যাবে আমার চিরনিদ্রার অফুরন্ত প্রহর ।
……………………….আকাঙ্খা
…………………….. আবুল হাসান

১৮৪| ১৩ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২৯

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন: প্রিয় পোষ্টে কমেন্ট দিয়ে গেলাম :)

১৬ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৩

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: স্বর্ণাকে ধন্যবাদ তার প্রিয় পোস্টে তার সৃতি রেখে যাওয়ার জন্য।

হে মহামানব, একবার এসো ফিরে
শুধু একবার চোখ মেলো এই গ্রাম নগরের ভিড়ে,
এখানে মৃত্যু হানা দেয় বারবার;
লোকচক্ষুর আড়ালে এখানে জমেছে অন্ধকার।
এই যে আকাশ, দিগন্ত, মাঠ স্বপ্নে সবুজ মাটি
নীরবে মৃত্যু গেড়েছে এখানে ঘাঁটি
................................................বোধন
....................................সুকান্ত ভট্টাচার্য

১৮৫| ১৩ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:১০

মাহমুদুল হাসান দোহা বলেছেন:
আমার এ ঘর ভাঙিয়াছে যেবা, আমি বাঁধি তার ঘর,
আপন করিতে কাঁদিয়া বেড়াই যে মোরে করেছে পর ।
যে মোরে করিল পথের বিবাগী,
পথে পথে আমি ফিরি তার লাগি;
দীঘল রজনী তার তরে জাগি ঘুম যে গিয়াছে মোর,
আমার এ ঘর ভাঙিয়াছে যেবা, আমি বাঁধি তার ঘর ।

আমার এ কূল ভাঙিয়াছে যেবা আমি তার কূল বাঁধি,
যে গেছে বুকেতে আঘাত হানিয়া তার লাগি আমি কাঁদি;
যে মোরে দিয়েছে বিষে ভরা বাণ,
আমি দেই তারে বুকভরা গান;
কাঁটা পেয়ে তারে ফুল করি দান সারাটি জনম ভর,
আপন করিতে কাঁদিয়া বেড়াই যে মোরে করেছে পর ।

মোর বুকে যেবা কবর বেঁধেছে আমি তার বুক ভরি,
রঙিন ফুলের সোহাগ-জড়ন ফুলমালঞ্চ ধরি ।
যে মুখে সে কহে নিঠুরিয়া বাণী,
আমি লয়ে সখি, তারি মুখখানি,
কত ঠাঁই হতে কত কি যে আনি সাজাই নিরন্তর,
আপন করিতে কাঁদিয়া বেড়াই যে মোরে করেছে পর ।

প্রতিদান
জসীমউদ্দীন

১৭ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:১০

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ দোহা জসীমউদ্দীন এর সুন্দর একটি কবিতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

এতো ঘামে, নিজেকে ধানের মতোই
সিদ্ধ করে, ফলাই সামান্য, যেনো একমুঠো, গরিব শস্য।
মূর্খ মানুষ, দূরে আছি, জানতে ইচ্ছে করে
দিনরাত লেফ-রাইট লেফ-রাইট করলে ক-মণ শস্য ফলে
এক গন্ডা জমিতে?
.......................................তৃতীয় বিশ্বের একজন চাষীর প্রশ্ন
...............................................................হুমায়ুন আজাদ

১৮৬| ১৪ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:৩৬

আমি বাঁধনহারা বলেছেন: অনেক প্রতিথযশা কবির কবিতা আপনার পোস্টে স্থান পাই নাই।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ভালো কথাসাহিত্যিক।হুমায়ুন আযাদ ভালো প্রবন্ধকার।
তাঁরা কেউ ই কালজয়ী কবি নয়।আমরা শুধু আলোতে যারা থাকে তাদেরই মূল্যায়ন করি।কিন্তু আঁধারে যাঁরা আলো জ্বেলেছিল তাঁদের কথা বলি না!
আপনি অনেক কষ্ট করেছেন।সেজন্য ধন্যবাদ!!!

১৬ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ৯:০৯

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ঠিকই বলেছেন , সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এবং হুমায়ুন আযাদ লেখক হিসেবেই পরিচিত, কবি হিসেবে তার ধারেকাছেও না। কিন্তু উনাদের যে কবিতাগুলো পোস্টে এবং পরবর্তীতে কমেন্টে এসছে, সেগুলা নিশ্চয় পড়ে থাকবেন। কবিতাগুলা যদি যদু -মদু ও লিখত তবুও সেগুলোকে ভালো কবিতা বলতে হত। তাই নয় কি??

অনেক প্রতিথযশা কবির কবিতা আপনার পোস্টে স্থান পাই নাই
ঠিক বলেছেন , পোস্ট দেয়ার সময় অনেক কবির কথা মনে পড়ে নাই অথবা কাঙ্খিত কবিতা পাই নাই। যা পরবর্তীতে কমেন্ট এ এড করার চেস্টা করেছি এবং এখনো চেস্টা করে যাচ্ছি। আপনি স্পেসিফিক কোন কবি বা কবিদের কথা বলেছেন, যদি তা বলতেন তাহলে বিশেষ সুবিধা হত (মানে আপনার ভাষায়, আঁধারে যাঁরা আলো জ্বেলেছিল সেই সব কবি )

যাই হোক... কমেন্ট করা এবং সেই সাথে সুচিন্তিত মতামত দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ



প্রভাতফেরীর মিছিল যাবে
ছড়াও ফুলের বন্যা
বিষাদগীতি গাইছে পথে
তিতুমীরের কন্যা
..................... একুশের কবিতা
..................... আল মাহমুদ


১৮৭| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৮:১০

শামীম আরা সনি বলেছেন: সুকান্তের সাবাশ বাংলাদশের বিখ্যাত ৪ টা লাইন দেন

১৬ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৮:২০

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: শামীম আরা সনি কবিতাটার নাম সম্ভবত দুর্মর। আর সেই চার লাইন

সাবাশ বাংলাদেশ,
এ পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়
জ্বলে পুড়ে মরে ছারখার
তবু মাথা নোয়াবার নয়।।
......................................................দুর্মর
.......................................।সুকান্ত ভট্টাচার্য

১৮৮| ১৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৮:১৬

শামীম আরা সনি বলেছেন: হুমায়ূন আজাদের মা নামে সম্ভবত একটা কবিতা আছে, আপনার কাছে থাকার কথা, প্লিজ থাকলে শেয়ার করবেন, কবিতাটা অনেকদিন আগে কোথাও পড়েছিলাম, অনেক খুজছি ওটা, কিন্তু পাচ্ছিনা...

১৭ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:২৯

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: হুমায়ূন আজাদের মা কবিতাটা আমারও অনেক পছন্দের। এই পোস্টেই কোন এক কমেন্ট এ কবিতাটার কয়েক লাইন দিয়েছিলাম, যাই হোক আপনার জন্য আবার দিলাম।



আমাদের মাকে আমরা বলতাম তুমি, বাবাকে আপনি।
আমাদের মা গরিব প্রজার মত দাঁড়াতো বাবার সামনে,
কথা বলতে গিয়ে কখনোই কথা শেষ ক’রে উঠতে পারতোনা।
আমাদের মাকে বাবার সামনে এমন তুচ্ছ দেখাতো যে
মাকে আপনি বলার কথা আমাদের কোনোদিন মনেই হয়নি।
আমাদের মা আমাদের থেকে বড় ছিলো, কিন্তু ছিলো আমাদের সমান।
আমাদের মা ছিলো আমাদের শ্রেনীর, আমাদের বর্ণের, আমাদের গোত্রের।
বাবা ছিলেন অনেকটা আল্লার মতো, তার জ্যোতি দেখলে আমরা সেজদা দিতাম
বাবা ছিলেন অনেকটা সিংহের মতো, তার গর্জনে আমরা কাঁপতে থাকতাম
বাবা ছিলেন অনেকটা আড়িয়াল বিলের প্রচন্ড চিলের মতো, তার ছায়া দেখলেই
মুরগির বাচ্চার মতো আমরা মায়ের ডানার নিচে লুকিয়ে পড়তাম।
ছায়া সরে গেলে আবার বের হয়ে আকাশ দেখতাম।
আমাদের মা ছিলো অশ্রুবিন্দু-দিনরাত টলমল করতো
আমাদের মা ছিলো বনফুলের পাপড়ি;-সারাদিন ঝরে ঝরে পড়তো,
আমাদের মা ছিলো ধানখেত-সোনা হয়ে দিকে দিকে বিছিয়ে থাকতো।
আমাদের মা ছিলো দুধভাত-তিন বেলা আমাদের পাতে ঘন হয়ে থাকতো।
আমাদের মা ছিলো ছোট্ট পুকুর-আমরা তাতে দিনরাত সাঁতার কাটতাম।
আমাদের মার কোনো ব্যক্তিগত জীবন ছিলো কিনা আমরা জানি না।
আমাদের মাকে আমি কখনো বাবার বাহুতে দেখি নি।
আমি জানি না মাকে জড়িয়ে ধরে বাবা কখনো চুমু খেয়েছেন কি না
চুমু খেলে মার ঠোঁট ওরকম শুকনো থাকতো না।
আমরা ছোট ছিলাম, কিন্তু বছর বছর আমরা বড় হতে থাকি,
আমাদের মা বড় ছিলো, কিন্তু বছর বছর মা ছোটো হতে থাকে।
ষষ্ঠ শ্রেনীতে পড়ার সময়ও আমি ভয় পেয়ে মাকে জড়িয়ে ধরতাম।
সপ্তম শ্রেনীতে ওঠার পর ভয় পেয়ে মা একদিন আমাকে জড়িয়ে ধরে।
আমাদের মা দিন দিন ছোটো হতে থাকে
আমাদের মা দিন দিন ভয় পেতে থাকে।
আমাদের মা আর বনফুলের পাপড়ি নয়, সারাদিন ঝরে ঝরে পড়েনা
আমাদের মা আর ধানখেত নয়, সোনা হয়ে বিছিয়ে থাকে না
আমাদের মা আর দুধভাত নয়, আমরা আর দুধভাত পছন্দ করিনা
আমাদের মা আর ছোট্ট পুকুর নয়, পুকুরে সাঁতার কাটতে আমরা কবে ভুলে গেছি।
কিন্তু আমাদের মা আজো অশ্রুবিন্দু, গ্রাম থেকে নগর পর্যন্ত
আমাদের মা আজো টলমল করে।
..........................................আমাদের মা
....................................... হুমায়ুন আজাদ

১৮৯| ১৬ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ৯:২৫

আলাপন বলেছেন: খুবই ভালো লেগেছে অজস্র প্লাস

১৭ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩৩

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: অজস্র প্লাস এর জন্য আলাপনকে অজস্র ধন্যবাদ


এ বোঝা টানার
দিন কবে শেষ হবে?
রাত শেষ হয়ে সূর্য উঠবে কবে?
ঘরেতে অভাব; পৃথিবীটা তাই মনে হয় কালো দোঁয়া,
পিঠেতে টাকার বোঝা, তবু এই টাকাকে যাবে না ছোঁয়া,
রাত নির্জন, পথে কত ভয়, তবুও রানার ছোটে,
দস্যুর ভয়, তারো চেয়ে ভয় কখন সূর্য ওঠে।
.......................................►►► রানার ◄◄◄
…………...............................সুকান্ত ভট্টাচার্য

১৯০| ১৬ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ৯:৫৩

কাব্য সৈনিক বলেছেন: পোষ্ট প্রিয়তে নিলাম অনেক সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন সে জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ । :) :)

১৭ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৬

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ কষ্ট করে কমেন্ট করার জন্য।


শানে বাধা ঘাট খেলো
সবুজের বনভূমি খেলো
উদাস আকাশ খেলো
কবিতার পান্ডুলিপি খেলো।
………………………………

রাখালের অনুপম বাঁশিটিকে খেলো,
মগড়ার তীরে বসে চাল ধোয়া হাতটিকে খেলো

স্বাধীনতা সব খেলো, মানুষের দুঃখ খেলো না।
.................................যেভাবে সে এলো
....................................হেলাল হাফিজ




হেলাল হাফিজ

১৯১| ২২ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:৪২

ফজলে রাব্বী চিৎকার বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো...

১৯২| ২২ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:৪৪

ফজলে রাব্বী চিৎকার বলেছেন: প্রিয় পোস্ট এর তালিকায় রেখে দিলাম...
:)

২৩ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ১০:২৬

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: প্রিয়তে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ফজলে রাব্বী... আশা করি সময় করে একসময় কবিতা গুলাও পড়ে দেখবেন।


তুমি হে সুন্দরীতমা নীলিমার দিকে তাকিয়ে বলতেই পারো
‘এই আকাশ আমার’
কিন্তু নীল আকাশ কোনো উত্তর দেবেনা।

সন্ধ্যেবেলা ক্যামেলিয়া হাতে নিয়ে বলতেই পারো,
‘ফুল তুই আমার’
তবু ফুল থাকবে নীরব নিজের সৌরভে আচ্ছন্ন হয়ে।

জ্যোত্স্না লুটিয়ে পড়লে তোমার ঘরে,
তোমার বলার অধিকার আছে, ‘এ জ্যোত্স্না আমার’
কিন্তু চাঁদিনী থাকবে নিরুত্তর।

মানুষ আমি, আমার চোখে চোখ রেখে
যদি বলো, ‘তুমি একান্ত আমার’, কী করে থাকবো নির্বাক ?
তারায় তারায় রটিয়ে দেবো, ‘আমি তোমার, তুমি আমার’।
........................উত্তর
........................শামসুর রাহমান

১৯৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৬:৩৮

শামীম আরা সনি বলেছেন: অনেকদিন পর আসলাম ধন্যবাদ জানাতে!
কবিতাটা দিতে পেরেছেন, খুব ভালো লাগলো, খুব বেশী।
প্রিয়তে নিয়ে গেলাম।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:১৪

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: আবার আসার জন্য ধন্যবাদ। প্রিয়তে নেওয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।



শহর আর সভ্যতার ময়লা স্রোত ভেঙে তুমি যখন চৌরাস্তায় এসে
ধরবে আমার হাত, তখন তোমার মনে হবে এ-শহর আর বিংশ শতাব্দীর
জীবন ও সভ্যতার নোংরা পানিতে একটি নীলিমা-ছোঁয়া মৃণালের শীর্ষে
তুমি ফুটে আছো এক নিষ্পাপ বিশুদ্ধ পদ্ম-
পবিত্র অজর।
.....................আমাকে ভালোবাসার পর
...........................হুমায়ুন আজাদ

১৯৪| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৮:০২

যে পাথর পাথর নয় সেও তো পাথর বলেছেন: বালিকারা বড়ো হয়, কেন বড়ো হয়?
-ফরহাদ মজহার

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:০২

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: এর উত্তর তো একেবারে সহজ , বালিকারা বড় হয় নারী হওয়ার জন্য।

তোমরা যখন শিখছো পড়া
মানুষ হওয়ার জন্য,
আমি না হয় পাখিই হবো,
পাখির মতো বন্য।
..................... পাখির মতো
..................... আল মাহমুদ

১৯৫| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:২৩

রাকিবুল৯০ বলেছেন: পোষ্টটা ১০ মে এর। আর আমি দেখলাম আজকে। অসাধারণ আপনার এই প্রচেষ্টা। হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪৯

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ রাকিবুল...
আশা করি কবিতাগুলা সময় করে পরেও দেখবেন।শুভকামনা।


তোমাকে পেতেই হবে শতকরা অন্তত নব্বই (বা নব্বইয়ের বেশি)
তোমাকে হতেই হবে একদম প্রথম
তার বদলে মাত্র পঁচাশি!
পাঁচটা নম্বর কম কেন? কেন কম?
এই জন্য আমি রোজ মুখে রক্ত তুলে খেটে আসি?
.................................টিউটোরিয়াল
.................................জয় গোস্বামী



জয় গোস্বামী[

১৯৬| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৮:০২

শুকনোপাতা০০৭ বলেছেন: দারুন একটা পোষ্ট...অনেক অনেক ধন্যবাদ

০২ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ৮:০৬

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ শুকনোপাতা।


এমন দিনে তারে বলা যায়
এমন ঘনঘোর বরিষায় -
এমন মেঘস্বরে বাদল-ঝরঝরে
তপনহীন ঘন তমসায়।।

সে কথা শুনিবে না কেহ আর,
নিভৃত নির্জন চারি ধার।
দুজনে মুখোমুখি গভীর দুখে দুখি,
আকাশে জল ঝরে অনিবার -
জগতে কেহ যেন নাহি আর।।
........................বর্ষার দিনে
........................ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৯৭| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: বাহ !!!

১৯৮| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: বাহ !!!

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৪৩

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ।
আপনার রাগ পোস্টে কবিতাটা দেখলাম। যদিও এই পোস্টে কোন কমেন্টে সম্ভবত দিয়েছিলাম । তারপরও আবার দিলাম।

আমি ডান হাত তুলি, পুরুষ পাঞ্জার দিকে
মনে মনে বলি,
যোগ্য হও, যোগ্য হয়ে ওঠো–
ছুঁয়ে দিই নীরার চিবুক
এই হাত ছুঁয়েছে নীরার মুখ
আমি কি এ হাতে আর কোনোদিন
পাপ করতে পারি ?

.....................সত্যবদ্ধ অভিমান
.....................সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়



সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

১৯৯| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:১৩

পক্তিমালা বলেছেন: খুব ভালো উদ্যোগ।অসীম ভালোলাগা জানালাম....
সাথে ধন্যবাদ এতটা পরিশ্রম করার জন্য।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:১৭

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ভালোলাগা জানানোর জন্য আমার তরফ থেকেও ভালোলাগা গ্রহন করুন। ধন্যবাদ


আমি সিদ্ধার্থের মত গৃহিত্যাগী জ্যোৎস্নার জন্য বসে আছি
যে জোসনা দেখা মাত্র গৃহের সমস্ত দরজা খুলে যাবে
ঘরের ভিতর ধুকে পড়বে বিস্তৃত প্রান্তর
প্রান্তরে হাঁটবো, হাঁটবো আর হাঁটবো,
পূর্নিমার চাঁদ স্থির হয়ে থাকবে আকাশে
চারদিক থেকে ডাকবে আয়, আয়, আয়।
................... গৃহত্যাগী জোসনা
.....................হুমায়ুন আহমেদ



হুমায়ুন আহমেদ

২০০| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:২৩

আবিদ ফয়সাল বলেছেন: অসাধারন পোষ্ট :)


আমার পছন্দের আরো কয়েকটি কবিতার লাইন দিয়ে দিলাম :

কবি বন্ধুরা হতাশ হইয়া মোর লেখা প'ড়ে শ্বাস ফেলে
বলে কেজো ক্রমে হচ্ছে অ-কেজো পিটিক্সের পাশ ঠেলে
পড়ে না'ক বই বয়ে গেছে ওটা
কেহ বলে বৌ এ গিলিয়াছে গোটা
কেহ বলে মাটি হল হয়ে মোটা জেলে বসে শুধু তাস খেলে
কেহ বলে তুই জেলে ছিলি ভালো, ফের যেন তুই যাস জেলে


- আমার কৈফিয়ত (কাজী নজরুল ইসলাম)


গাইতে বসে কন্ঠ ছিড়ে আসবে যখন কান্না
বলবে সবাই - 'সেই যে পথিক তার শেখানো গান না ?'
আসবে ভেঙে কান্না !
পড়বে মনে আমার সোহাগ
কন্ঠে তোমার কাঁদবে বেহাগ !
পড়বে মনে আমার ফাঁকি
অশ্রু-হারা কঠিন আঁখি
বেদনাতে চোখ বুজবে
বুঝবে সেদিন বুঝবে ।


- অভিশাপ (কাজী নজরুল ইসলাম)


প্রতি পূর্ণিমার মধ্যরাতে একবার আকাশের দিকে তাকাই
গৃহত্যাগী হবার মত জোছনা কি উঠেছে?
বালিকা ভুলানো জোছনা নয়।
যে জোছনায় বালিকারা ছাদের রেলিং ধরে ছুটাছুটি করতে করতে বলবে-
ও মাগো,কি সুন্দর চাঁদ।
নব দম্পতির জোছনাও নয়।
যে জোছনা দেখে স্বামী গাঢ় স্বরে স্ত্রীকে বলবেন-
দেখো দেখো চাঁদটা তোমার মুখের মতই সুন্দর।
কাজলা দিদির স্যাঁতস্যাতে জোছনা নয়।
যে জোছনা বাসি স্মৃতিপূর্ণ ডাস্টবিন উল্টে দেয় আকাশে।
কবির জোছনা নয়।যে জোছনা দেখে কবি বলবেন-
কি আশ্চর্য রূপার থালার মত চাঁদ।
আমি সিদ্ধার্থের মত
গৃহত্যাগী জোছনার জন্য বসে আছি।
যে জোছনা দেখা মাত্র গৃহের সমস্ত দরজা খুলে যাবে-
ঘরের ভিতর ঢুকে পড়বে বিস্তৃত প্রান্তর।
প্রান্তরে হাঁটব, হাঁটব আর হাঁটব-
পূর্ণিমার চাঁদ স্থির হয়ে থাকবে মধ্য আকাশে।
চারদিক থেকে বিবিধ কণ্ঠে ডাকবে-আয় আয় আয়।


- গৃহত্যাগী জোছনা (হুমায়ুন আহমেদ)

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৫২

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ... সুন্দর কিছু কবিতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আবিদ ফয়সাল । গৃহত্যাগী জোছনা আমারও খুব পছন্দের


উঁচা উঁচা পাবত তঁহি বসই সবরী বালী।
মোরঙ্গি পীচ্ছ পরহিণ সবরী গীবত গুঞ্জরী মালী।।
উমত সবরো পাগল শবরো মা কর গুলী গুহাডা তোহৌরি।
ণিঅ ঘরণী ণামে সহজ সুন্দারী।।
ণাণা তরুবর মৌলিল রে গঅণত লাগেলি ডালী।
একেলী সবরী এ বণ হিণ্ডই কর্ণ কুণ্ডলবজ্রধারী।।

( অর্থাৎ- উঁচু পর্বতে শবরী বালিকা বাস করে। তার মাথায় ময়ূরপুচ্ছ, গলায় গুঞ্জামালিকা। নানা তরু মুকুলিত হলো। তাদের শাখা-প্রশাখা আকাশে বিস্তৃত হলো। শবর-শবরীর প্রেমে পাগল হলো। কামনার রঙে তাদের হৃদয় রঙিন ও উদ্দাম। শয্যা পাতা হলো। শবর-শবরী প্রেমাবেশে রাত্রিযাপন করলো।)
....................................চর্যাপদ
....................................শবরপা



চর্যাপদ এর পাতা থেকে

২০১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৩৫

কাউসার রুশো বলেছেন: এই পোস্টকে অসাধারন বললেও কম বলা হবে

০১ লা অক্টোবর, ২০১২ সকাল ১০:০৭

শব্দহীন জোছনা বলেছেন:
ধন্যবাদ কাউসার রুশো আপনার মন্তব্যর জন্য। মুভির প্রতি আপনার অপরিসীম ভালোবাসা ব্লগের যে কেউ অকপটে স্বীকার করে নিবে, তেমনি কবিতার প্রতি ভালোবাসাও মুগ্ধ করল । ভালো থাকবেন। শুভ কামনা।


আম্মা বলেন, পড়রে সোনা
আব্বা বলেন, মন দে;
পাঠে আমার মন বসে না
কাঁঠালচাঁপার গন্ধে।

আমার কেবল ইচ্ছে জাগে
নদীর কাছে থাকতে,
বকুল ডালে লুকিয়ে থেকে
পাখির মতো ডাকতে
.....................পাখির মতো
.....................আল মাহমুদ

২০২| ০২ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ৮:৪৯

আেনায়ার এইচ ভূইয়া বলেছেন: এই পোস্ট এবং মন্তব্যগুলো অসাধারন। লেখককে অনেক ধন্যবাদ কারন তার পোস্টের কারনেই অসাধারন মন্তব্যগুলো এসেছে।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ৯:০৯

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ আনোয়ার ...আপনাদের মন্তব্যর কল্যাণেই পোষ্টা প্রতিনিয়ত সুগঠিত হয়ে উঠছে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।


ইচ্ছে ছিলো তোমার কাছে ঘুরতে-ঘুরতে যাবোই
আমার পুবের হাওয়া।
কিন্তু এখন যাবার কথায়
কলম খোঁজে অস্ত্র কোথায়
এবং এখন তোমার পাশে দাঁড়িয়ে-থাকা কুঞ্জলতায়
রক্তমাখা চাঁদ ঢেকেছে
আকুল চোখ ও মুখের মলিন
আজকে তোমার ভিতর-বাইরে বিষম যুদ্ধ পুবের হাওয়া।।
.....................ভিতর-বাইরে বিষম যুদ্ধ ।
.....................শক্তি চট্টোপাধ্যায়



শক্তি চট্টোপাধ্যায়

২০৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১০:৪৮

ফাহাদ চৌধুরী বলেছেন:

আমরা যাই নি ম'রে আজো-- তবু কেবলই দৃশ্যের জন্ম হয়:
মহীনের ঘোড়াগুলো ঘাস খায় কার্তিকের জ্যোৎস্নার প্রান্তরে;
প্রস্তরযুগের সব ঘোড়া যেনো-- এখনও ঘাসের লোভে চরে
পৃথিবীর কিমাকার ডাইনামোর 'পরে ।

...
..
.

এইসব নিওলিথ-- স্তব্ধতার জ্যোৎস্নাকে ছুঁয়ে।


ঘোড়া-জীবনানন্দ


====


কোথায় গিয়েছে আজ সেইসব পাখি, -- আর সেইসব ঘোড়া –
সেই শাদা দালানের নারী ?
বাব্লা ফুলের গন্ধে, সোনালি রোদের রঙ্গে ওড়া
সেইসব পাখি, আর সেইসব ঘোড়া
চ’লে গেছে আমাদের এ-পৃথিবী ছেড়ে;
হৃদয়, কোথায় বলো – কোথায় গিয়েছে আর সব!
অন্ধকারঃ মৃত নাসপাতিটির মতন নীরব।


-অগ্রন্থিত কবিতা : জীবনানন্দ দাশ

======

০৫ ই অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৭

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ।

“টালত মোর ঘর নাহি পরবেষী।
হাড়ীত ভাত নাঁহি নিতি আবেশী।


( অর্থাৎ- টিলার উপর আমার ঘর, কোনও প্রতিবেশী নেই। হাঁড়িতেও ভাত নেই, তবু নিত্য অতিথি আসে।)
....................চর্যাপদ
....................ঢেণ্ঢণের পদ

২০৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:১২

ফাহাদ চৌধুরী বলেছেন:


দারুন একটা পোষ্ট, ম্যান । অনেকেই কবিতা নিয়ে পোষ্ট দেয় তবে কলেবর এমন ইম্প্রেসিভ হয় না । :)


====





আলো — অন্ধকারে যাই — মাথার ভিতরে
স্বপ্ন নয়, কোন এক বোধ কাজ করে!
স্বপ্ন নয় — শান্তি নয় — ভালোবাসা নয়,
হৃদয়ের মাঝে এক বোধ জন্ম লয়!
আমি তারে পারি না এড়াতে
সে আমার হাত রাখে হাতে;
সব কাছ তুচ্ছ হয়, পন্ড মনে হয়,
সব চিন্তা — প্রার্থনার সকল সময়
শূন্য মনে হয়,
শূন্য মনে হয়!



বোধ – জীবনানন্দ দাশ


====


"আমাকে খোঁজ না তুমি বহুদিন - কতদিন আমিও তোমাকে খুঁজিনাকো;
এক নক্ষত্রের নিচে তবু - একই আলো পৃথিবীর পারে
আমরা দুজনে আছি; পৃথিবীর পুরনো পথের রেখা হয়ে যায় ক্ষয়,
প্রেম ধীরে মুছে যায়, নক্ষত্রেরও একদিন মরে যেতে হয়, হয় নাকি?"


-দুজন– জীবনানন্দ দাশ


====





জীবনানন্দ দাশের কবিতা নিয়ে সচলের সাম্প্রতিক দুটো পোষ্ট

প্রথম

দ্বিতীয়

====



নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়-হেলাল হাফিজ

এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়
এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়।

===

তোমাকেই চাই-হেলাল হাফিজ

আমি এখন অন্য মানুষ ভিন্ন ভাবে কথা বলি
কথার ভেতর অকথিত অনেক কথা জড়িয়ে ফেলি
এবং চলি পথ বেপথে যখন তখন।

আমি এখন ভিন্ন মানুষ অন্যভাবে কথা বলি
কথার ভেতর অনেক কথা লুকিয়ে ফেলি,
কথার সাথে আমার এখন তুমুল খেলা
উপযুক্ত সংযোজনে জীর্ণ-শীর্ণ শব্দমালা
ব্যঞ্জনা পায় আমার হাতে অবলীলায়,
ঠিক জানি না পারস্পরিক খেলাধূলায়
কখন কে যে কাকে খেলায়।

===



০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:২২

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: দুর্দান্ত... আপনার শেয়ার করা কবিতাগুলো পোষ্টাকে সত্যি দুর্দান্ত করে তুলছে। বোঝাই যাচ্ছে জীবনানন্দের বিশাল বড় ফ্যান আপনি। সচলের পোস্ট দুইটার লিঙ্কের জন্য বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।আর আপনার জন্য জীবনানন্দের আরো কিছু লাইন...


যদি আমি ঝরে যাই একদিন কার্তিকের নীল কুয়াশায়;
যখন ঝরিছে ধান বাংলার ক্ষেতে-ক্ষেতে ম্লান চোখ বুজে,
যখন চড়াই পাখি কাঁঠালীচাপাঁর নীড়ে ঠোঁট আছে গুজে,
যখন হলুদ পাতা মিশিতেছে খয়েরি পাতায়,
যখন পুকুরে হাঁস সোঁদা জলে শিশিরের গন্ধ শুধু পায়,
শামুক গুগলিগুলো পড়ে আছে শ্যাওলার মলিন সবুজে-
তখন আমারে যদি পাও নাকো লালশাক-ছাওয়া মাঠে খুঁজে,
ঠেস্‌ দিয়ে বসে আর থাকি নাকো যদি বুনো চালতার গায়ে,
...........................যদি আমি ঝরে যাইএকদিন
...........................জীবনানন্দ দাশ

২০৫| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৩:৪৯

িনর্বাক বলেছেন: দারুন

০৭ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৮:৫৬

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ।

করিতে পারিনা কাজ,
সদা ভয় - সদা লাজ,
সংশয়ে সংকল্প সদা টলে,
পাছে লোকে কিছু বলে।
►►►পাছে লোকে কিছু বলে◄◄◄
…………….কামিনী রায়

২০৬| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১০:২৪

জাহিদ ফারুকী বলেছেন: প্রিয়তে না নিয়ে কোন উপায় নেই। সত্যি অসাধারণ। একেকটা লাইন একেকটা আলোড়ন তৈরি করে হৃদয়ে। অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা রইল।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩৮

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: প্রিয়তে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ফারুকী।এই আলোড়ন আরো সমৃদ্ধ থেকে সমৃদ্ধতর হোক।

ছোট বোন পারুলের হাতে রেখে হাত,
সাতভাই চম্পার কেটে যায় রাত।
কখনও ঘোড়ায় চড়ে হাতে নিয়ে তীর,
ঘুরে আসি সেই দেশ চম্পাবতীর।
এই খানে আমাদের মানা কিছু নাই,
নিজেদের খুশি মত কাহিনী বানাই।
.....................রূপকথা
.....................আহসান হাবীব

২০৭| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১:৫৫

মঈনুদদীন বলেছেন: আমি নির্বাক, বিস্ময়ে হতবাক। এমন কিছুই হয়তো চাইছিলাম অনেক দিন হতে। কৃতজ্ঞতা জানবেন।

১৭ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৮:৪৫

শব্দহীন জোছনা বলেছেন:
তাহলে আর নয় গুটিয়ে এবার বাঁচুন চুটিয়ে B-) মানে কবিতাগুলা পড়ে দেখুন অবশ্যই কমেন্টসহ ;) আশা করি ভালো লাগবে। কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ।

সমুদ্র শেষ হ’লো,
আজ দুরন্ত অন্ধকার ডানা ঝাড়ে
উড়ন্ত পাখির মতো |
সমুদ্র শেষ হ’লো
গভীর বনে আর হরিণ নেই,
সবুজ পাখি গিয়েছে ম’রে,
আর পাহাড়ের ধূসর অন্ধকারে
দুরন্ত অন্ধকার ডানা ঝাড়ে
উড়ন্ত পাখির মতো |
সমুদ্র শেষ হ’লো,
চাঁদের আলোয়
........................স্বর্গ হ’তে বিদায়
........................ সমর সেন




সমর সেন

২০৮| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:৪৩

েজ আলম বলেছেন: প্রিয়তে রাখলাম।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৯:৪৫

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ


তোমাকে মিনতি করি কখনো আমাকে তুমি বাঙলাদেশের কথা তুলে কষ্ট দিয়ো না।
জানতে চেয়ো না তুমি নষ্ট ভ্রষ্ট ছাপ্পান্ন হাজার বর্গ
মাইলের কথা: তার রাজনীতি
অর্থনীতি, ধর্ম, পাপ, মিথ্যাচার, পালে পালে মনুষ্যম-লী
জীবনযাপন, হত্যা, ধর্ষণ
মধ্যযুগের দিকে অন্ধের মতোন যাত্রা সম্পর্কে প্রশ্ন
করে আমাকে পীড়ন কোরো না
...........................বাঙলাদেশের কথা
(আমরা কি এই বাঙলাদেশ চেয়েছিলাম)
...........................হুমায়ুন আজাদ

২০৯| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:৫৫

গাধা মানব বলেছেন: ++++++++++++

১৯ শে অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৩:০১

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: আরে বাপ্রে , এত্ত গুলা প্লাস :)

দ্রুত গমনে কি এত প্রয়োজন? একি প্রয়োজন নহে?
অন্তরে অন্তর, কিসে হবে স্থির, রহ রহ রহ, করি দরশন ওহে।।
প্রাণ যাবার সময়, কে বা কাতর না হয়?
অনায়াসে যায়, নাহি দেখ তায়।
দুঃখ অতিশয়, বরং কখন সহে
.....................দ্রুত গমনে কি এত প্রয়োজন
.....................রামনিধি গুপ্ত


বাংলা ভাষায় টপ্পা সংগীতের প্রচলনকারী। তাঁর গানগুলি ‘নিধুবাবুর টপ্পা’ নামে আজও জনপ্রিয়।

২১০| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ১২:০০

দূলভ বলেছেন: দারুন একটা পোষ্ট++++++++++++

১৯ শে অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:৪৭

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ।

মনে করো, যেন বিদেশ ঘুরে
মাকে নিয়ে যাচ্ছি অনেক দূরে।
তুমি যাচ্ছ পালকিতে, মা, চ’ড়ে
দরজা দুটো একটুকু ফাঁক ক’রে,
আমি যাচ্ছি রাঙা ঘোড়ার ‘পরে
টগবগিয়ে তোমার পাশে পাশে।
রাস্তা থেকে ঘোড়ার খুরে খুরে
রাঙা ধূলোয় মেঘ উড়িয়ে আসে
........................বীরপুরুষ
........................রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২১১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৯:৪০

হারানোপ্রেম বলেছেন: চরম েপাষ্ট

২০ শে অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৭

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ হারানোপ্রেম


তোমরা যারা ডোবা-বিল খেতখামারের লকলকে
ঘাসের মধ্যে ডুবে আছ,
তোমরা যারা গায়ে মাখ পাকা ধানের গন্ধ,
তাদের বলি, আমার জন্য রেখে দিয়ো
একফোঁটা অশ্রু।
........................রেখে দিয়ো
........................মহাদেব সাহা

২১২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:৫৬

সালমাহ্যাপী বলেছেন: আরে আজব এত্তত্ত সুন্দর পোস্ট আমার চোখ এড়িয়ে গেল কেন ??? আমারে এক হাজারটা মাইনাস X(


এই খানের অনেক কবিতা পড়ছিলাম আর অনেক স্মৃতি মনের কোনে উঁকি দিচ্ছিলো।পেছনের দিন গুলো কে অনেক মিস করছি :(

যাই হোক আপনার পোস্টে কয়েক লক্ষ প্লাস আর প্রিয়তে রাখলাম :)


৩১ শে অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ২:৫৭

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: আরে আজিব তো অনেক দিন আগেই এই কমেন্ট এর উত্তর দিয়েছিলাম এখন দেখি গায়েব হয়ে গেছে। বুঝলাম না কারণটা। মন্তব্য প্রকাশ বাটনে তো মাউস দিয়া কইশা ক্লিক করছিলাম তাইলে কেন এই রকম হল তা বুঝতে পারলাম না। যাই হোক সালমা অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি কমেন্ট এর জন্য। ভালো থাকবেন অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার প্রতি।


প্রতিবাদী দাসদাসী আত্মীয় স্বজন,
ভালোবাসি সবে কহ সুমিষ্ট বচন।
দিও না কাহারে দুখ,
অন্যে দান করি সুখ,
নিজেরে মানোগো সুখী, বালক সুজন।
..............................উপদেশ
..............................স্বর্ণকুমারী দেবী





স্বর্ণকুমারী দেবী

২১৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১২:১৩

ব্রিলিয়ান্ট বেকুব বলেছেন: মাঝে মাঝে লোভের বাতাসে কাত হয়ে পরলেও
আবার উঠে দাড়াই-
ভাবি দ্বিতীয় ভাংগনের প্ররোচণায়
কেন আমার পায়ের নিচে ভুমিকম্পের দুলুনি !
ভয় হয় যদি এবার তোমার শক্ত থুতনি থেকে
'না' এর বদলে সহসা 'হ্যা' বেরিয়ে আসে
তাহলেও বুঝি আমি ভেংগে গুড়িয়ে ধুলো
হয়ে ছড়িয়ে যাব।
আর আমার অস্তিত্বের রেণু- একটা ঝাপটা বাতাস হয়ে
তোমার চোখ দুটিকে ভিজিয়ে কাদা করে দেবে।


আল মাহমুদ
দ্বিতীয় ভাংগন

০১ লা নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:৩৪

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ ব্রিলিয়ান্ট...

বলত ওরে বুড়ো,
কেন এমন নীল দেখা যায় আকাশের ঐ চূড়ো?
বলত দেখি সূর্য চাঁদে গ্রহন লাগে কেন?”
বৃদ্ধ বলেন, “আমায় কেন লজ্জা দিছেন হেন?”
বাবু বলেন, “বলব কি আর বলব তোরে কি, তা,-
দেখছি এখন জীবনটা তোর বারো আনাই বৃথা।”
.....................জীবনের হিসাব
.....................সুকুমার রায়

২১৪| ০১ লা নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:৫১

নীলঞ্জন বলেছেন: সোজাসুজি প্রিয়তে।++++++++

শুভ কামনা।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১২ রাত ৮:৪৮

শব্দহীন জোছনা বলেছেন:
ধন্যবাদ এবং ধন্যবাদ নীলঞ্জন...


তরঙ্গে তরঙ্গে আজ যেই গীত বাজে,
সোনার স্বপন ভরা প্রভাতের মাঝে;
সেই গীতে ভরি গেছে হৃদয় আমার,
গগনে পবনে বহে সেই গীত ধার!
কি মোরে করেছ আজ! মনখানি মম,
শত শত তন্ত্রীভরা গীতযন্ত্র সম, —
পরশি তোমার করে কাঁপিয়া কাঁপিয়া,
গরবে গৌরবে আজ উঠিছে বাজিয়া।
..................তরঙ্গে তরঙ্গে আজ যেই গীত বাজে
.....................চিত্তরঞ্জন দাশ

২১৫| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:০৫

ৈহমনতী বলেছেন: অনেকদিন পর চোখে পড়ল।
যাই বলি না কেন।কম বলা হবে।
আমার সোকেসের জন্য নিয়ে গেলাম।
পিলাচ কিন্তুক আগেই দিসি। :D :D

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৩০

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: অনেক দিন পর হলেও চোখে পড়ার জন্য ধন্যবাদ। সোকেসে নিয়ে গেলেন ঠিক আছে কিন্তু মাঝে মাঝে ঝাড়া-টারা দিয়েন, নাইলে কিঙটুক ময়লা জমে যেতে পারে পিলাচ দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা।


মনে মনে আকাশেতে বেড়িয়ে
তারাদের এড়িয়ে
যেন কোথা যাবে ও।
তার পরে হাওয়া যেই নেমে যায়,
পাতা কাঁপা থেমে যায়,
ফেরে তার মনটি
যেই ভাবে, মা যে হয় মাটি তার
ভালো লাগে আরবার
পৃথিবীর কোণটি।
........................তালগাছ
........................ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২১৬| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৪৮

আমিনুর রহমান বলেছেন: অসাধারন একটি পোষ্ট।



আমি ও দিলাম একটি

এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়
এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়
মিছিলের সব হাত
কণ্ঠ
পা এক নয় ।
সেখানে সংসারী থাকে, সংসার বিরাগী থাকে,
কেউ আসে রাজপথে সাজাতে সংসার ।
কেউ আসে জ্বালিয়ে বা জ্বালাতে সংসার
শাশ্বত শান্তির যারা তারাও যুদ্ধে আসে
অবশ্য আসতে হয় মাঝে মধ্যে
অস্তিত্বের প্রগাঢ় আহ্বানে,
কেউ আবার যুদ্ধবাজ হয়ে যায় মোহরের প্রিয় প্রলোভনে
কোনো কোনো প্রেম আছে প্রেমিককে খুনী হতে হয় ।

যদি কেউ ভালোবেসে খুনী হতে চান
তাই হয়ে যান
উৎকৃষ্ট সময় কিন্তু আজ বয়ে যায় ।

এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়
এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময় ।


ভালো থাকবেন।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৯:২০

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ। অনেক ধন্যবাদ।



“নাচন্তি বাজিল গান্তি দেবী।
বুদ্ধ নাটক বিষমা হোই।।”

(অর্থাৎ- বজ্রযান নাচছেন, দেবী গাইছেন আর বুদ্ধনাটক অভিনীত হচ্ছে।)

.................................চর্যাপদ
.................................কাহ্নপাদ

২১৭| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৯:২৮

সব মনে থাকে বলেছেন: এতদিন দেখিনি,আজ দেখলাম......মোটামুটি সব গুলোই পড়া।অসাধারণ পোস্ট :) প্রিয়তে এড করলাম।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪৩

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: বাহ! নিকটা তো সুন্দর... সব মনে থাকে...

প্রিয়তে এড করার জন্য কৃতজ্ঞতা। আর কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ।


ওষ্ঠ বাড়িয়ে দাও গোলাপ ফোটাবো,
বঙ্কিম গ্রীবা মেলো ঝরনা ছোটাবো।
যুগল পাহাড়ে পাবো অমৃতের স্বাদ,
জ্ব’লে যাবে দুই ঠোঁটে একজোড়া চাঁদ।
সুন্দরীর নৌকো ঢুকাবো বঙ্গোপসাগরে,
অতলে ডুববো উত্তাল আশ্বিনের ঝড়ে।
শিউলির বোঁটা থেকে চুষে নেবো রস,
এখনো আমার প্রিয় আঠারো বয়স।
তোমার পুষ্পের কলি মধুমদগন্ধময়,
সেখানে বিন্দু বিন্দু জমে আমার হৃদয়।
.....................গোলাপ ফোটাবো
........................হুমায়ুন আজাদ

২১৮| ১২ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:৩৭

জ্যামিতিবক্স বলেছেন: অসাধারণ। অতি অতি অতি অসাধারণ। এরকম পোস্ট দেখলেও মন পবিত্র হয়।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১১:১০

শব্দহীন জোছনা বলেছেন:
পবিত্রতার সাথা গড়ে তুলুন সখ্য আর তার মাঝেই করুন বসবাস।আপনার জন্য শুভকামনা রইল।



দ্যুলোক-ভূলোক সবারে ছাড়িয়া
তোমারি চরণে পড়ি লুটাইয়া
তোমারি সকাশে যাচি হে শকতি
তোমারি করুণাকামী।
..................প্রার্থনা
..................গোলাম মোস্তফা




গোলাম মোস্তফা

২১৯| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১০:০৬

আমি রিয়াদ বলেছেন: Boss Shohid Kadrir Tomake Ovibadon Priyotoma kobita shompurno diyen kindly.....

২১ শে নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:৪১

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ঠিক আছে...দিলাম :)


ভয় নেই
আমি এমন ব্যবস্থা করবো যাতে সেনাবাহিনী
গোলাপের গুচ্ছ কাঁধে নিয়ে
মার্চপাস্ট করে চলে যাবে
এবং স্যালুট করবে
কেবল তোমাকে প্রিয়তমা।



ভয় নেই, আমি এমন ব্যবস্থা করবো
বন-বাদাড় ডিঙ্গিয়ে
কাঁটা-তার, ব্যারিকেড পার হয়ে, অনেক রণাঙ্গনের স্মৃতি নিয়ে
আর্মার্ড-কারগুলো এসে দাঁড়াবে
ভায়োলিন বোঝাই করে
কেবল তোমার দোরগোড়ায় প্রিয়তমা।



ভয় নেই, আমি এমন ব্যবস্থা করবো-
বি-৫২ আর মিগ-২১গুলো
মাথার ওপর গোঁ-গোঁ করবে
ভয় নেই, আমি এমন ব্যবস্থা করবো
চকোলেট, টফি আর লজেন্সগুলো
প্যারাট্রুপারদের মতো ঝরে পড়বে
কেবল তোমার উঠোনে প্রিয়তমা।



ভয় নেই…আমি এমন ব্যবস্থা করবো
একজন কবি কমান্ড করবেন বঙ্গোপসাগরের সবগুলো রণতরী
এবং আসন্ন নির্বাচনে সমরমন্ত্রীর সঙ্গে প্রতিযোগিতায়
সবগুলো গণভোট পাবেন একজন প্রেমিক, প্রিয়তমা!



সংঘর্ষের সব সম্ভাবনা, ঠিক জেনো, শেষ হবে যাবে-
আমি এমন ব্যবস্থা করবো, একজন গায়ক
অনায়াসে বিরোধীদলের অধিনায়ক হয়ে যাবেন
সীমান্তের ট্রেঞ্চগুলোয় পাহারা দেবে সারাটা বৎসর
লাল নীল সোনালি মাছি-
ভালোবাসার চোরাচালান ছাড়া সবকিছু নিষিদ্ধ হয়ে যাবে, প্রিয়তমা।



ভয় নেই আমি এমন ব্যবস্থা করবো মুদ্রাস্ফীতি কমে গিয়ে বেড়ে যাবে
শিল্পোত্তীর্ণ কবিতার সংখ্যা প্রতিদিন
আমি এমন ব্যবস্থা করবো গণরোষের বদলে
গণচুম্বনের ভয়ে
হন্তারকের হাত থেকে পড়ে যাবে ছুরি, প্রিয়তমা।



ভয় নেই,
আমি এমন ব্যবস্থা করবো
শীতের পার্কের ওপর বসন্তের সংগোপন আক্রমণের মতো
অ্যাকর্ডিয়ান বাজাতে-বাজাতে বিপ্লবীরা দাঁড়াবে শহরে,



ভয় নেই, আমি এমন ব্যবস্থা করবো
স্টেটব্যাংকে গিয়ে
গোলাপ কিম্বা চন্দ্রমল্লিকা ভাঙালে অন্তত চার লক্ষ টাকা পাওয়া যাবে
একটি বেলফুল দিলে চারটি কার্ডিগান।
ভয় নেই, ভয় নেই
ভয় নেই,
আমি এমন ব্যবস্থা করবো
নৌ, বিমান আর পদাতিক বাহিনী
কেবল তোমাকেই চতুর্দিক থেকে ঘিরে-ঘিরে
নিশিদিন অভিবাদন করবে, প্রিয়তমা।
.....................তোমাকে অভিবাদন প্রিয়তমা
.....................শহীদ কাদরী

২২০| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১২ ভোর ৪:২১

একজন আরমান বলেছেন:

অসাধারণ !!!

২৩ শে নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৪৭

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ আরমান।


ঝড়ের দিনে মামার দেশে
আম কুড়াতে সুখ
পাকা জামের শাখায় উঠি
রঙিন করি মুখ।
.....................মামার বাড়ি
.....................জসীম উদ্দিন

২২১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩৬

আমি তুমি আমরা বলেছেন: অভিনন্দন। আপনার এই পোস্টটা সামুর ইতিহাসে সর্বাধিক পঠিত পোস্টগুলোর একটি। এই পোস্টের ৪৭ নং লিংকে গিয়ে দেখে নিন

ধন্যবাদ :)

২৪ শে নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪৩

শব্দহীন জোছনা বলেছেন:
বলেন কি !! অবাক হলাম...... যাই দেখে আসি আর হ্যাঁ কমেন্ট করার জন্য বিশেষভাবে ধন্যবাদ।


কাঅ ণাবডহি খান্টি
মন কেডুয়াল।
সদগুরুবঅণে
ধর পতবাল। ।

অর্থাৎ- কায় [হইল] ছোট নৌকাখানি, মন [হইল] কেরোয়াল। সদ্গুরু-বচনে পতবাল (পাল) ধর।

.....................চর্যাপদের ৩৮তম পদ
.....................(অনুবাদ: সুকুমার সেন)



২২২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ১২:১২

নুর ফ্য়জুর রেজা বলেছেন: ++++

২৫ শে নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:১১

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ...


রবি মামা দেয় হামা
গায়ে রাঙা জামা ঐ,
দারোয়ান গায় গান
শোন ঐ, রামা হৈ!’
ত্যাজি নীড় করে ভিড়
ওড়ে পাখি আকাশে
এন্তার গান তার
ভাসে ভোর বাতাসে।
...............প্রভাতী
...............কাজী নজরুল ইসলাম

২২৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৫

জানতে চায় বলেছেন: ++++++

২৫ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ৮:১৫

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: পিলাচের জন্য ধন্যবাদ।


বাড়ীতে দরিদ্র জালা কষ্টের কাহিনী।
তাঁর ঘরে জন্ম নিলা চন্দ্রা অভাগিনী।।
দূরিতে দারিদ্র্যদুঃখ দেবীর আদেশ।
ভাসান গাহিতে স্বপ্নে দিলা উপদেশ।।
সুলোচনা মাতা বন্দি দ্বিজবংশী পিতা।
যাঁর কাছে শুনিয়াছি পুরাণের কথা।।
...........................রামায়ণ গাথা
...........................চন্দ্রাবতী

২২৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:০০

ব্রিলিয়ান্ট বেকুব বলেছেন: হয়ত তোমার পাব’ দেখা,
যেখানে ঐ নত আকাশ চুমছে বনের সবুজ রেখা।।

ঐ সুদূরের গাঁয়ের মাঠে,
আ’লের পথে বিজন ঘাটে;
হয়ত এসে মুচকি হেসে
ধ’রবে আমার হাতটি একা।।

ঐ নীলের ঐ গহন-পারে ঘোম্‌টা-হারা তোমার চাওয়া,
আনলে খবর গোপন দূতী দিক্‌পারের ঐ দখিনা হাওয়া।।
বনের ফাঁকে দুষ্টু তুমি
আসে- যাবে নয়্‌না চুমি’
সেই সে কথা লিখছে হেতা
দিগ্বলয়ের অরুণ-লেখা।


আশা – কাজী নজরুল ইসলাম

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:২০

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: কবিতার জন্য ধন্যবাদ ব্রিলিয়ান্ট...


সব প্রতিরোধ ভেঙে গেলে
কোনো সূচনা, প্রবাহ থাকবে না?
বলেছিলাম, বজ্র-ভরা দিনগুলো আবার ফিরে আসুক, স্রোতের
বিরুদ্ধে দাঁড়াতে চাই।
........................বলেছিলাম
........................দাউদ হায়দার

২২৫| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৩৫

শ্রাবণ জল বলেছেন: রাখলাম প্রিয় তে।

শুভ কামনা ভাল থাকার।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ৯:৪৪

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: বাহ! শ্রাবণ জল ......

নিক নেম টা তো সুন্দর......আপনিও ভালো থাকবেন......




দাঁড়াও ক্ষণেক! আমি অর্ণবের গানে,
পরিপূর্ণ শব্দহীন, অন্তরের তানে,
ছন্দাতীত ছন্দে আজি তোমারে গাঁথিব
অন্তর বিজনে আমি তোমারে বাঁধিব!
তুমি কি রবেনা সেথা, হে স্বপ্ন-অঞ্চলা!
ছন্দবদ্ধ, পরিপূর্ণ নিত্য অচঞ্চলা!
..................সাগর সঙ্গীত
..................দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ





দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ

২২৬| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ৭:১৫

মেঘকন্যা বলেছেন: আপনার এই পোস্ট টা তো পুরো আস্ত একটা "এন সাই ক্লো পি ডি য়া অব বাংলা কবিতা " অনেক অনেক ধন্যবাদ এত্ত চমৎকার একটা পোস্ট এর জন্য।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৩০

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ভালো বলেছেন তো "এন সাইক্লোপিডিয়া অব বাংলা কবিতা " ...... আপনাকেও ধন্যবাদ কমেন্ট করে উৎসাহ যোগানোর জন্য...



দীঘির জলে কার ছায়াগো?
তোমার নাকি আমার?
তোমার কি আর মন চায় না
এই কথাটা জানার?
..................দখিন হাওয়া
........................... হুমায়ুন আহমেদ

২২৭| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:০৩

রুহান রুহান বলেছেন: চরম... ++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:২৩

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: আপনার নিকটা দেখে জাফর স্যারের রুহান রুহান ক্যারেক্টার -টার কথা মনে পরে গেল। পিলাচের জন্য ধন্যবাদ...



ঐ দেখা যায় তাল গাছ
ঐ আমাদের গাঁ।
ঐ খানেতে বাস করে
কানা বগীর ছা।
ও বগী তুই খাস কি?
পানতা ভাত চাস কি?
পানতা আমি খাই না
পুঁটি মাছ পাই না
একটা যদি পাই
অমনি ধরে গাপুস গুপুস খাই।
.....................কানা বগীর ছা
.....................খান মুহাম্মদ মইনুদ্দীন

২২৮| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:১২

ফেরেশতা চেয়ে পুণ্যবান বলেছেন: যাতায়াত

কেউ জানে না আমার কেন এমন হলো।

কেন আমার দিন কাটে না রাত কাটে না
রাত কাটে তো ভোর দেখি না
কেন আমার হাতের মাঝে হাত থাকে না কেউ জানেনা।

নষ্ট রাখীর কষ্ট নিয়ে অতোটা পথ একলা এলাম
পেছন থেকে কেউ বলেনি করুণ পথিক
দুপুর রোদে গাছের নিচে একটু বসে জিরিয়ে নিও,
কেই বলেনি ভালো থেকো সুখেই থেকো
যুগল চোখে জলের ভাষায় আসার সময় কেউ বলেনি
মাথার কসম আবার এসো

জন্মাবধি ভেতরে এক রঙিন পাখি কেঁদেই গেলো
শুনলো না কেউ ধ্রুপদী ডাক,
চৈত্রাগুনে জ্বলে গেলো আমার বুকের গেরস্থালি
বললো না কেউ তরুন তাপস এই নে চারু শীতল কলস।

লন্ডভন্ড হয়ে গেলাম তবু এলাম।

ক্যাঙ্গারু তার শাবক নিয়ে যেমন করে বিপদ পেরোয়
আমিও ঠিক তেমনি করে সভ্যতা আর শুভ্রতাকে বুকে নিয়েই দুঃসময়ে এতোটা পথ একলা এলাম শুশ্রূষাহীন।

কেউ ডাকেনি তবু এলাম, বলতে এলাম ভালোবাসি।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৪২

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: কবিতাটা সুন্দর...


আমি কি গো জানি সখি কালসর্প বেশে।
এমনি করিয়া সীতায় ছলিবে রাক্ষসে।।
প্রণাম করিণু আমি পড়িয়া ভূতলে।
উড়িয়া গরুড় পক্ষী সর্প যেমন গেলে।।
রথেতে তুলিল মোরে দুষ্ট লঙ্কাপতি।
দেবগণে ডাকি কহি দুঃখের ভারতী।।

........................মেঘনাদবধ চতুর্থ সর্গ
........................চন্দ্রাবতী

২২৯| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:১৩

ফেরেশতা চেয়ে পুণ্যবান বলেছেন: যাতায়াত
হেলাল হাফিজ

কেউ জানে না আমার কেন এমন হলো।

কেন আমার দিন কাটে না রাত কাটে না
রাত কাটে তো ভোর দেখি না
কেন আমার হাতের মাঝে হাত থাকে না কেউ জানেনা।

নষ্ট রাখীর কষ্ট নিয়ে অতোটা পথ একলা এলাম
পেছন থেকে কেউ বলেনি করুণ পথিক
দুপুর রোদে গাছের নিচে একটু বসে জিরিয়ে নিও,
কেই বলেনি ভালো থেকো সুখেই থেকো
যুগল চোখে জলের ভাষায় আসার সময় কেউ বলেনি
মাথার কসম আবার এসো

জন্মাবধি ভেতরে এক রঙিন পাখি কেঁদেই গেলো
শুনলো না কেউ ধ্রুপদী ডাক,
চৈত্রাগুনে জ্বলে গেলো আমার বুকের গেরস্থালি
বললো না কেউ তরুন তাপস এই নে চারু শীতল কলস।

লন্ডভন্ড হয়ে গেলাম তবু এলাম।

ক্যাঙ্গারু তার শাবক নিয়ে যেমন করে বিপদ পেরোয়
আমিও ঠিক তেমনি করে সভ্যতা আর শুভ্রতাকে বুকে নিয়েই দুঃসময়ে এতোটা পথ একলা এলাম শুশ্রূষাহীন।

কেউ ডাকেনি তবু এলাম, বলতে এলাম ভালোবাসি।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৫৯

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: কেউ ডাকেনি তবু এলাম, বলতে এলাম ভালোবাসি...ধন্যবাদ...



কিছুটা বদলাতে হবে বাঁশী
কিছুটা বদলাতে হবে সুর
সাতটি ছিদ্রের সূর্য; সময়ের গাঢ় অন্তঃপুর
কিছুটা বদলাতে হবে
..................বদলে যাও, কিছুটা বদলাও
..................আবুল হাসান

২৩০| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:১৯

মিনেসোটা বলেছেন: প্রিয়তে

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৫০

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: প্রিয়তে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ মিনেসোটা...


আজিকে পাতিয়া কান,
শুনিছি তোমার গান,
হে অর্ণব! আলো ঘেরা প্রভাতের মাঝে
একি কথা! একি সুর!
প্রাণ মোর ভরপুর,
বুঝিতে পারিনা তবু কি জানি কি বাজে
তব গীত মুখরিত প্রভাতের মাঝে!
...........................আজিকে পাতিয়া কান
..............................চিত্তরঞ্জন দাশ

২৩১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১১:১৬

এম . এম ওবায়দুর রহমান বলেছেন: Click This Link

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৩

শব্দহীন জোছনা বলেছেন:
দুঃখিত এই ধরণের লিঙ্ক সর্বস্ব কমেন্ট ভালো লাগে না।বরং বিরক্তই লাগে বেশীরভাগ সময় ......

২৩২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৩৫

সবুজ মহান বলেছেন: আপ্নের এই পোস্ট চুরি করে এক চোট্টা সোনা ব্লগে দিছিল হেই পোস্ট আবার ষ্টীকিও হয়েছে

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:০৭

শব্দহীন জোছনা বলেছেন:
বাহ...সুন্দর করে নকল করেছে তো... আমি এখন পর্যন্ত এই পোস্টের যত গুলা চুরি দেখেছি এইটাই সবচেয়ে শিল্পসম্মত চুরি হয়েছে। শুধুমাত্র কমেন্ট বাদে পোস্ট দেখলে যে কেউ দ্বিধায় পড়ে যাবে কোনটা আসল পোস্ট...


আপনাকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ পোস্ট টি নজরে আনার জন্য। আসলে সোনা বলগের মডারেটর উপর একটু বিরক্ত বোধ হচ্ছে কারণ চোরের স্বভাব- ই হচ্ছে চুরি করা।সে স্বর্গে গেলেও চুরি করবে কিন্তু সমস্যা হচ্ছে মডারেটর পোষ্টা ষ্টীকি করে চোর এবং চৌর্যবৃত্তি-কেই উৎসাহিত করল



একদিন মদ হিসেবে ঢুকেছিলাম এক
জবরদস্ত মাতালের পেটে, একদিন সম্পূর্ণ
অন্যভাবে বেরিয়ে এসেছিলাম এক
রূপসীর শোকাশ্রুরুপে, আর তৎক্ষণাৎ
আহা উহু আহা উহু করতে করতে আমাকে
শুষে নিয়েছিল বহুমূল্য মসলিন
..................আজ যদি আমাকে জিগ্যেস করো
..............................জয় গোস্বামী




জয় গোস্বামী

২৩৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:০৫

ছোট্ট নিথী বলেছেন: :-/ :-/ :-/ :-/
প্রিয়তে!+++
8-| 8-| 8-| 8-| 8-|

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৫৭

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: প্রিয়তে নেওয়ার জন্য ছোট্ট নিথী কে অনেক অনেক ধন্যবাদ... আশা করি কবিতা গুলা ভালো লেগেছে।


হেসে বলে, ``আজ্ঞে সে কি? এতে আর গোল হবে কি?
নেড়াকে তো নিত্যি দেখি আপন চোখে পরিষ্কার---
আমাদেরি বেলতলা সে নেড়া সেথা খেলতে আসে
হরে দরে হয়তো মাসে নিদেন পক্ষে পঁচিশ বার।''
...........................নেড়া বেলতলায় যায় ক'বার?
.................................... সুকুমার রায়

২৩৪| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:০৬

ছোট্ট নিথী বলেছেন: :-/ :-/ :-/ :-/
প্রিয়তে!+++
8-| 8-| 8-| 8-| 8-|

২৩৫| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:০৭

ছোট্ট নিথী বলেছেন: :-/ :-/ :-/ :-/
প্রিয়তে!+++
8-| 8-| 8-| 8-| 8-|

২৩৬| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৪৯

মোনশেদ শুভ্র বলেছেন: বাংলা কবিতার এই রকম পোস্টর্টেম রিপোর্ট আর কোন দিন চোখে পরবে কিনা জানিনা।
লেখকের ধৈর্য্য এবং কবিতাপ্রীতি বাংলাকবিতার জন্য আশাজাগানিয়া।
ভাল থাকুন ।
কবিতাময় আপনার জীবন কাটুক সুখে।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৪৫

শব্দহীন জোছনা বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ মোনশেদ শুভ্র আপনার অত্যন্ত উৎসাহব্যাঞ্জক কমেন্ট এর জন্য। আসলে আপনাদের উৎসাহে পোষ্টা বিকশিত থেকে বিকশিত -তর হচ্ছে। আপনার কমেন্ট পড়ে মনটা ভালো হয়ে গেল।আপনাকে আবারও ধন্যবাদ জানাচ্ছি আর অনেক অনেক শুভ কামনা জানাচ্ছি । ভালো থাকবেন অনেক ভালো।



স্বর্ণ শতদল যুত মানসের জল
পান করি বহিবে হে সমীর শীতল।।
উড়াইয়ে দিও কল্পতরু স্থিত কেতু।
অনন্তর ঐরাবত প্রীতি বৃদ্ধি হেতু।।
নীলচেলী সমাসৌম্য শরীর তোমার।
ক্ষণকাল তার মুখে করিও বিস্তার।।
ছায়াশূন্য স্ফটিক সদৃশ গিরিবরে।
হে পয়োদ ! প্রবেশ করিও তার পরে।।
.....................রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়
..............................পূর্বমেঘ

২৩৭| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩২

ভুল-বালক বলেছেন: আগেই প্রিয়তে নিয়েছিলাম। আজকে সম্পূর্ণ পড়লাম। কি বলব! কবিতা নিয়ে এমন সুন্দর পোস্ট কখনো পাইনি।




'বালক জানে না তো পুষবে অনুরাগ
হৃদয়ে কতোদিন, কার বা চলা-পথে
ছড়াবে মুঠো-মুঠো বকুল ফুলগুলো;
কোথায় যেতে হবে, যাবে না কোন দিকে,
ব্যাপক হাঁটাহাঁটি করবে কোন পথে!

বালক জানলো না—মানুষ ম্লানমুখে
কেন যে তারা গোনে; পায়ের নীচে কার
কেন যে ফুল ঝরে, কতোটা ফুল ঝরে!
মানুষ ভুল পথে গিয়েছে কতো দূর,
বেপথু কাকে বলে বালক জানে না তা!

বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই—থাকে না, নিরুপায়—
যে আসে সে-ই জানে—ভুলের দামে কিনে
আনে সে প্রিয় ম্যাপ—পথিক ম্রিয়মাণ,
উল্টোরথে চ'ড়ে চলেছে মূল পথ!

বালক জানে না তো অর্থনীতি আর
মৌল রাজনীতি—উল্টো ক'রে ধরে
সঠিক পতাকাটি—পতাকা দশদিশে
যেনবা কম্পাস স্বদেশ ঠিক রাখে।
বালক জানে না সে বানানে ভুল ক'রে
উল্টাসিধা বোঝে : সঠিক পথজুড়ে
পথের সবখানে কাঁটার ব্যাপকতা!

বালক ভুল ক'রে পড়েছে ভুল বই,
পড়েনি ব্যাকরণ, পড়েনি মূল বই!

বালক জানে না তো সময় প্রতিকূল,
সাঁতার না শিখে সে সাগরে ঝাঁপ দ্যায়,
জলের চোরাস্রোত গোপনে ব'য়ে যায়,
বালক ভুল ক'রে নেমেছে ভুল জলে!

বালক জানে না তো জীবন থেকে তার
কতোটা অপচয় শিল্পে প্রয়োজন।
পাথর বেশ ভারী, বহনে অপারগ
বালোক বোঝে না তা—বালক সিসিফাস
পাহাড়ে উঠে যাবে, পাথর নেমে যাবে
পাথুরে পাদদেশে!—বিমূঢ়, বিস্মিত
বালক হতাশায় অর্তনাদ ক'রে
গড়িয়ে প'ড়ে যাবে অন্ধকার খাদে।


বালক জানে না তো সময় প্রতিকূল,
ফুলের নামে কতো কাঁটারা জেগে থাকে
পুরোটা পথজুড়ে, দীর্ঘ পথজুড়ে—
বালক জানে না তা, বালক জানে না তো!

বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।


>>>>>>রফিক আজাদ

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২৫

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ভুল বালক কে অনেক ধন্যবাদ প্রিয়তে নেওয়ার জন্য। সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন। আর রফিক আজাদ এর কবিতাটা সুন্দর। পুরো কবিতাটা পাঠকদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।



আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে
কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে?
মুখে হাসি বুকে বল, তেজে ভরা মন
‘মানুষ হইতে হবে’ – এই যার পণ৷
.................................আদর্শ ছেলে
...........................কুসুম কুমারী দাশ

২৩৮| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২০

মামদোভুত বলেছেন: বাংলা ব্লগের ইতিহাসে সবচেয়ে ফালতু এবং জঘন্য পোষ্ট! X( X( X( X( X( X( X( X( X(



মাঝে মাঝে পোষ্ট দেখে রেগে যাবার জন্য আর ফেবুতে দেবার জন্য প্রিয়তে নিলাম শুধু। ;)

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৩

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: মামদোভুত এর মনে হয় রাগবিলাস আছে ।
ঠিক এজন্যই মনে হয় বার রেগে যেতে চান ;) আর রাগের উৎস হিসেবে এই পোস্ট টা খারাপ না...তাই ফেবু-প্রিয়-টুইটার যেখানে খুশী সেখানে নেন আর যত খুশী তত রাগেন আর মেজাজ তিরিক্ষি করে রাখেন।আপনার রাগ আপনি রাগবেন, যা ইচ্ছা তাই দেখে রাগবেন B-)

নেন! আপনার রাগ আরও উস্কে দেওয়ার জন্য চর্যাপদ এর কিছু পদ দিয়া দিলাম (অনুবাদ ছাড়াই পড়িয়েন, দেখবেন রাগে একদম ফুঁসে উঠবেন :-B )



দুলি দুহি পিটা ধরণ ন জাই।
রুখের তেন্তুলি কুম্ভীরে খাঅ।।”

( অর্থাৎ- মাদী কাছিম দোহন করে দুধ পাত্রে রাখা যাচ্ছে না। গাছের তেঁতুল কুমিরে খাচ্ছে)
....................................কুক্কুরীপাদ
.......................................চর্যাপদ

২৩৯| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৩

হাসান মুহিব বলেছেন: আমার মনের মতো একটি পোস্ট পেলাম।। অসংখ্য ধন্যবাদ.।.।। Hats off to you

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৪১

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ হাসান মুহিব । বলেছেন, মনের মত পোস্ট পেয়েছেন, তাহলে কিন্তু এই পোস্টের সবগুলা কবিতার লাইন পড়া আপনার নৈতিক দায়িত্ব হয়ে পড়েছে। দায়িত্ব অবহেলা করবেন না কিন্তুক ;) B-)



আমাদের ছোট গ্রাম মায়ের সমান,
আলো দিয়ে, বায়ু দিয়ে বাঁচাইয়াছে প্রাণ৷
মাঠ ভরা ধান তার জল ভরা দিঘি,
চাঁদের কিরণ লেগে করে ঝিকিমিকি৷
...........................আমাদের গ্রাম
–........................ বন্দে আলী মিয়া





বন্দে আলী মিয়া

২৪০| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:১৭

রাইহান খাইরুল্লাহ বলেছেন: কবিতা আমার খুব পছন্দ।
ভালো লাগলো সংকলনটি।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:২৪

শব্দহীন জোছনা বলেছেন:
আপনার কবিতা প্রিয়তার কথা শুনে খুব ভালো লাগল। আশা করি পোস্টের সবগুলো কবিতা সময় করে পড়বেন। কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ।


কাত্ হয়ে কান ধ'রে দাঁড়া, জিভখানা উল্টিয়ে দেখা,
ভালো ক'রে বুঝে শুনে দেখি--- বিজ্ঞানে যেরকম লেখা।
মুণ্ডুতে `ম্যাগনেট' ফেলে, বাঁশ দিয়ে `রিফ্লেক্ট' ক'রে,
ইঁট দিয়ে `ভেলসিটি' ক'ষে দেখি মাথা ঘোরে কি না ঘোরে।
...........................বিজ্ঞান শিক্ষা
...........................সুকুমার রায়

২৪১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১৪

অপ্র্রকাশিত বলেছেন: প্রিয়তে...............
সাথে পিলাচ....... :(( :(( :(( :(( :(( :((

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৪২

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: প্লাস এন্ড প্রিয় উভয়টার জন্যই অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন। শুভাকামনা।



আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে,
বৈশাখ মাসে তার হাঁটুজল থাকে৷
পার হয়ে যায় গরু, পার হয় গাড়ি,
দুই ধার উঁচু তার, ঢালু তার পাড়ি৷
্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌আমাদের ছোট নদী
্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৪২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৮

শের শায়রী বলেছেন: ভাই সোজা প্রিয়তে। ভাল থাকবেন

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫৫

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: কমেন্ট করার জন্য ধ্যনবাদ শের শায়রী । আপনার পোস্ট গুলা অনেক ভালো লাগে। সবসময় কমেন্ট করা না হলেও নিয়মিত পড়া হয়। আশা করি নিয়মিত লিখবেন।


অরণ্যে কুসুম ফোটে যার ইচ্ছা-বলে;
নন্দন-কানন হতে যে সুজন আনে
পারিজাত কুসুমের রম্য পরিমলে;
মরুভূমে--- তুষ্ট হয়ে যাহার ধেয়ানে
বহে জলবতী নদী মৃদু কলকলে!
..............................কবি
..............................মাইকেল মধুসূদন দত্ত

২৪৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:১৫

htusar বলেছেন: নিউট্রন বোমা বোঝ , মানুষ বোঝ না

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৮

শব্দহীন জোছনা বলেছেন:

ধন্যবাদ।


যৌবনের আগমনে, জ্ঞানের প্রতিভা সনে,
বস্তুবোধ হইল তোমার।
পুস্তক করিয়া পাঠ, দেখিয়া ভবের নাট,
হিতাহিত করিছ বিচার।।
যে ভাষায় হয়ে প্রীত পরমেশ-গুণ-গীত
বৃদ্ধকালে গান কর মুখে।
মাতৃসম মাতৃভাষা পুরালে তোমার আশা
তুমি তার সেবা কর সুখে।।
.............................মাতৃভাষা
.............................ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত

২৪৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২৩

একান্ত কথা বলেছেন: আমার ব্লগার জীবনে দেখা এই টাই মনে হয় সেরা পোস্ট...অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটা পোষ্টের জন্য...

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:১২

শব্দহীন জোছনা বলেছেন:
অনেক অনেক ধন্যবাদ একান্ত কথা । আপনার ভালো লেগেছে জেনে, তার ভালো লাগা আমাকেও ছুঁয়ে গেল। আর আপনাকে আবারো ধন্যবাদ কষ্ট করে কমেন্ট করার জন্য। ভালো থাকবেন।



অনেক রঙের পাল আছে, মাঝি? বাদামী? সোনালী? লাল?
সবুজও? তা হলে সেটা দাও আজ, সোনালীটা দিয়ো কাল।
সবগুলো নদী দেখাবে কিন্তু। আগে চলো পদ্মায়,
দুপুরের রোদে রূপো ঝলমল সাদা জল উছলায়
শুয়ে’ শুয়ে’ – মোরা দেখিব আকাশ- আকাশ ম-স্ত বড়,
পৃথিবীর যত নীল রঙ- সব সেখানে করেছে জড়।
...........................নদী-স্বপ্ন –
..............................বুদ্ধদেব বসু



২৪৫| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১৫

হাইল্যান্ডার বয় বলেছেন: এতদিন পর পোষ্টটা পড়ল বলে নিজের উপরই রাগ হচ্ছে। চমৎকার পোষ্ট ভাই। পোষ্ট সোজা প্রিয়তে নিলাম।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:২৯

শব্দহীন জোছনা বলেছেন:
পোস্ট প্রিয়তে নেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ হাইল্যান্ডার বয়। আর আপনার রেসপন্স আমাকে মুগ্ধ করল। ভালো থাকবেন।শুভ কামনা।

২৪৬| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১৫

হাইল্যান্ডার বয় বলেছেন: এতদিন পর পোষ্টটা চোখে পড়ল বলে নিজের উপরই রাগ হচ্ছে। চমৎকার পোষ্ট ভাই। পোষ্ট সোজা প্রিয়তে নিলাম।

২৪৭| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২২

হাইল্যান্ডার বয় বলেছেন: আর এটা আপনার জন্য...........

সংঘর্ষের সব সম্ভাবনা, ঠিক জেনো, শেষ হবে যাবে-
আমি এমন ব্যবস্থা করবো, একজন গায়ক
অনায়াসে বিরোধীদলের অধিনায়ক হয়ে যাবেন,
সীমান্তের ট্রেঞ্চগুলোয় পাহারা দেবে সারাটা বৎসর
লাল নীল সোনালি মাছি-
ভালোবাসার চোরাচালান ছাড়া সবকিছু নিষিদ্ধ হয়ে যাবে, প্রিয়তমা।

শহীদ কাদরী।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫৪

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: কি সুন্দর উপমা, লাল নীল সোনালি মাছির ট্রেঞ্চ পাহাড়া দেওয়া,আর ভালোবাসার চোরাচালান ......


আর নিচের কবিতাটা আপনার জন্য


এমন অনেক দিন গেছে
আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় থেকেছি,
হেমন্তে পাতা-ঝরার শব্দ শুনবো ব’লে
নিঃশব্দে অপেক্ষা করেছি বনভূমিতে-
কোনো বন্ধুর জন্যে
কিংবা অন্য অনেকের জন্যে
হয়তো বা ভবিষ্যতেও অপেক্ষা করবো…
........................প্রতীক্ষা
........................রফিক আজাদ





রফিক আজাদ

২৪৮| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২০

বিপদেআছি বলেছেন: দারুন পোষ্ট।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:২৩

শব্দহীন জোছনা বলেছেন:
ধন্যবাদ ...


ওরে কোঠার ভিতর চোর-কুঠরি, ভোর হলে সে লুকাবে রে ৷৷
ষড় দর্শনে না পায় দরশন, আগম-নিগম তন্ত্রসারে ।
সে যে ভক্তিরসের রসিক, সদানন্দে বিরাজ করে পুরে ৷৷
সে ভাব লাগি পরম যোগী, যোগ করে যুগ-যুগান্তরে ।
হলে ভাবের উদয় লয় সে যেমন, লোহাকে চুম্বকে ধরে ৷৷
প্রসাদ বলে মাতৃভাবে আমি তত্ত্ব করি যাঁরে ।
সেটা চাতরে কি ভাঙব হাঁড়ি, বোঝ না রে মন ঠারে ঠোরে ৷৷
........................শ্রী শ্রী রাম কৃষ্ণ কথা মৃত
........................'শ্রীম' ছদ্মনামে( মহেন্দ্রনাথ গুপ্ত)






মহেন্দ্রনাথ গুপ্ত

২৪৯| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৪

নিরীহ জন বলেছেন: কী যে ভালো লাগলো রে ভাই!

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪৫

শব্দহীন জোছনা বলেছেন:
আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমারও খুব ভালো লাগল। কমেন্ট করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

দিন যায় ক্ষণ যায় সময় কাহারো নয় 
বেগে ধায় নাহি রহে স্থির, 
সহায় সম্পদ বল, সকলি ঘুচায় কাল 
আয়ু যেন শৈবালের নীর। 
সংসার সমরাঙ্গনে যুদ্ধ কর দৃঢ়পণে, 
ভয়ে ভীত হইও না মানব; 
কর যুদ্ধ বীর্যবান যায় যাবে যাক প্রাণ, 
মহিমাই জগতে দুর্লভ। 
মহাজ্ঞানী মহাজন, যে পথে ক'রে গমন 
হয়েছেন প্রাতঃস্মরণীয়, 
সে পথ লক্ষ্য ক'রে স্বীয় কীর্তি-ধ্বজা ধ'রে 
আমরাও হব বরণীয়।
........................জীবন সঙ্গীত
........................হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়

২৫০| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৪

নিরীহ জন বলেছেন: কী যে ভালো লাগলো রে ভাই!

২৫১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৪

ভুল উচ্ছাস বলেছেন: সব গুলো কবিতাই পড়া আছে আমার। :( :(


কি জানি কি হয়েছে ,তিন বছরের কবিতা ভীতি হারিয়ে যাচ্ছে কেন? কেমন জানি চেতনায় পরিবর্তন চলে আসছে। আজকে ধুলিমাখা সঞ্চয়িতা আবার বের করবো। পড়তেই হবে। আমার প্রথম এবং একমাত্র প্রেম।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২২

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: বাহ! ভালো তো। শুনে খুব ভালো লাগল যে আপনার সবগুলা কবিতা পড়া আছে।


কেন তিন বছরের কবিতা ভীতি সৃষ্টি হয়েছিল কেন? তবে যেহেতু ভীতিটা হারিয়ে যাচ্ছে আর চেতনায় পরিবর্তন আসছে এটাই অনুপ্রেনার এবং মূল কথা। ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।


ভেজা ঠোঁট দেখে যখন ভাবি
চুম্বনের এই বুঝি উৎকৃষ্ট সময়
ঠোঁটের কাছে ঠোঁট নিয়ে যেতেই দেখি
ঘৃণা যেন জমাট চাঁচের মতো
কঠিন জমেছে
...........................বিভ্রম
......................... সমুদ্র গুপ্ত


২৫২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৫

ইকবাল পারভেজ বলেছেন: পোস্টে ভাল লাগা জানিয়ে গেলাম।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৩৩

শব্দহীন জোছনা বলেছেন:
ভালো লাগানোর জন্য ধন্যবাদ ইকবাল পারভেজ।


“ভবণই গহণগম্ভীরা বেগেঁ বাহী।
দুআন্তে চিখিল মাঝেঁ ন ঠাহী।”

(, অর্থাৎ- ভবনদী গহন ও গম্ভীর অর্থাৎ প্রবল বেগে প্রবহমান। তার দুইতীর কর্দমাক্ত ও পিচ্ছিল।)
...............চাটিল
.....................চর্যাপদ

২৫৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫৯

আাল্পনা বলেছেন: অনেক সুন্দর আসাধারন, পূর্বে আমি এখানে প্রথম পাতায় সুযোগ পাইনি। তাই মন্তব্য করতে পারিনি। আবার অনেকদিন অনলাইন থেকে দূরে ছিলাম।

আমাকে কি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের "না পাঠানো চিঠি" কবিতাটির কোন লিঙ্ক দিয়ে সহযোগিতা করতে পারেন, যেখানে হুবহু কবিতাটি আছে।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:১৭

শব্দহীন জোছনা বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ আল্পনা ,সুযোগ পেয়েই কমেন্ট করার জন্য।দুঃখিত , সম্পূর্ণ কবিতার লিঙ্ক দিয়ে সাহায্য করতে পারছি না। তবে আবৃত্তি শুনে দেখতে পারেন, আশা করি ভালো লাগবে। আবারো কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।


Na Pathano Chithi by Sunil Gangopadhyay 

২৫৪| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:২৭

হাবিব কবি বলেছেন: কখনো কথা বলেনি
অথচ ভালবাসি
কখনো দেখিনি
অথচ চেয়ে আছি
বিশুদ্ধ পান-পিয়ালায়।

১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:২৯

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: এটা কার কবিতা ভাই! ঠিক চিনতে পারলাম না। যাই হোক , কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ।


অনন্ত অসীম প্রেমময় তুমি
বিচার দিনের স্বামী।
যত গুণগান হে চির মহান
তোমারি অন্তর্যামী।
.................................প্রার্থননা
.................................গোলাম মোস্তফা



২৫৫| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৩১

শুধুই মরীচিকা বলেছেন: কবিতা আমার তেমন ভালো লাগত না কখনই। কেমন জানি কাটখোট্টা টাইপের মনে হত, হতে পারে এটা আমার সামান্য কয়েকটা কবিতা পড়ার ফল। তবে কবি জসীম উদ্দীনের 'কবর' কবিতা পড়ার পর এ ধারণা মোটামুটি পাল্টে গেছে :)
সুন্দর কবিতার কালেকশন আপনার, শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২৮ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৩৭

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মরীচিকা আপনার সৎ মন্তব্যের জন্য। আসলে কবিতা মনে হয় বেশীর ভাগ মানুষের কাছেই কাটখোট্টা টাইপের মনে হয়, কিন্তু প্রায় সব মানুষের অন্তরে বিবকের মত কবিতার আবেশ এর বসবাস । আর এই পোস্ট আসলে তাদেরই জন্য, যারা কবিতা আসলে অতটা পছন্দ করে না। তাদের আগ্রহ সৃষ্টির জন্য কবিতার কিছু জনপ্রিয় লাইনের মহা সমাবেশ। আমি আপনাকে বলব, মন দিয়া পড়ার দরকার নাই খালি চোখ বুলিয়ে যান, আমি বিশ্বাস করি আপনার ভালো লাগবেই । শুধু পোস্ট না কমেন্ট এর কবিতা গুলাও সমান ভালো লাগার আবেশ আপনার মনে ছড়িয়ে দিবে আশা করি। ভালো থাকুন, কবর কবিতার আবেগ যেহেতু আপনাকে নাড়া দিয়েছে, বাকিগুলোও সময়ের ব্যাপার মাত্র। অনেক অনেক শুভ কামনা রইল আপনার প্রতি

আর নিচের লাইন গুলা আপনার জন্য ( আপনিই বলুন, এই লাইন গুলার আবেগ কি সত্যি এড়ানোর মত!)




আমি সম্ভবত খুব ছোট্ট কিছুর জন্য মারা যাবো
ছোট ঘাসফুলের জন্যে
একটি টলোমলো শিশিরবিন্দুর জন্যে
আমি হয়তো মারা যাবো
চৈত্রের বাতাসে
উড়ে যাওয়া একটি পাঁপড়ির জন্যে
একফোঁটা বৃষ্টির জন্যে

.......................................আমি সম্ভবত খুব ছোট কিছুর জন্য
..........................................হুমায়ুন আজাদ


২৫৬| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৫৩

জুনিয়র ফারুকী বলেছেন: অসাধারন । :)

০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৪৬

শব্দহীন জোছনা বলেছেন:
ধন্যবাদ।


যেন সময় এসেছে আজ,
ফুরালো মোর যা ছিল কাজ -
বাতাস আসে, হে মহারাজ,
তোমার গন্ধ মেখে।
..................আমার মিলন লাগি তুমি
..................রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৫৭| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৪০

কাউসার আলম বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম- আমি ৯০১ নাম্বার

২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:৩৭

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: বাহ! সুন্দর সিরিয়াল নম্বর তো। জানানোর জন্য ধন্যবাদ কাউসার আলম।


যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে,
বাইব না মোর খেয়াতরী এই ঘাটে,
চুকিয়ে দেব বেচা-কেনা, মিটিয়ে দেব লেনা-দেনা
বন্ধ হবে আনাগোনা এই হাটে -
আমায় তখন নাই বা মনে রাখলে,
তারার পানে চেয়ে চেয়ে নাই বা আমায় ডাকলে।।
...........................চির-আমি
...........................রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর



২৫৮| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:২৯

অচিন.... বলেছেন: আমিও হয়তো খুব ছোট্ট কিছুর জন্য মারা যাবো।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:২৩

শব্দহীন জোছনা বলেছেন:
কেন ভাই কি হয়েছে !

নিন, এই কবিতাটার ,মতো পাগল হয়ে নিন ...




সঙ্গে আছেই
রুপোর গুঁড়ো, উড়ন্ত নুন, হল্লা হাওয়ার মধ্যে, কাছে
সঙ্গে আছে
হয়নি পাগল
এই বাতাসে পাল্লা আগল
বন্ধ ক’রে
সঙ্গে আছে …
এক অসুখে দুজন অন্ধ !
আজ বাতাসের সঙ্গে ওঠে, সমুদ্র, তোর আমিষ গন্ধ ।

.....................এক অসুখে দুজন অন্ধ
........................শক্তি চট্টোপাধ্যায়


২৫৯| ০৩ রা মে, ২০১৩ রাত ১২:৪৮

কলম.বিডি বলেছেন: সবগুলো কবিতা পড়া। প্রিয়তে নিয়ে গেলাম।
আমার কবিতা বিষয়টা একটু ভয় ভয় লাগে আর খুব বাছাই করা ছাড়া সবার কবিতা পড়তে পারি না। কিভাবে যেন আমার প্রায় সব প্রিয় কবি আপনার লিস্টে চলে এসেছে। দারুণ !!

০৭ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:০৬

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: আহ! সামু ঠিক হয়ে গেছে। আবার পোস্ট পড়া এবং কমেন্ট করা যাচ্ছে।

আপনার মত ঠিক আমারও কবিতা একটু ভয় ভয় লাগে , তবে সেটা লিখতে। কলম চলে না , শুধু থেমে থেমে যায়। আপনার প্রিয় কবিতা গুলো লিস্টে আনতে পেরেছি যেনে খুব ভালো লাগল।কমেন্ট করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

বর্তমানের পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনায় নজরুলের কথায় আমারও বলতে ইচ্ছে করছে

ফাঁসির মঞ্চে যারা গেয়ে গেল জীবনের জয়গান,
আসি’ অলক্ষ্যে দাঁড়ায়েছে তারা, দিবে কোন বলিদান?
আজি পরীক্ষা জাতির অথবা জাতের করিবে ত্রান?
দুলিতেছে তরী, ফুলিতেছে জল, কান্ডারী হুঁশিয়ার!
...........................(কাজী নজরুল ইসলাম)
.................................কান্ডারী হুঁশিয়ার

২৬০| ১১ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:২৯

বটবৃক্ষ~ বলেছেন: আপনি কতো কবিতা জানেন!!!! খুব হিংসে হচ্ছে.।.।।
প্রিয়তে রেখে দিলাম মূল্যবান পোস্টখানি.....:)
ধন্যবাদ~~

১২ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:০০

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: নারে ভাই, কবিতা আসলেই আমি খুব কম জানি। জানেন-ই তো, দেখা যায় সবচেয়ে ভীতু মানুষ টাই সবচেয়ে সাহসী কাজটা করে ফেলে। এটাই ঠিক তেমনি একটা পোস্ট। বেশী কবিতা পড়ার লোভে ক্ষুদ্র একটা প্রয়াস।
আপনেরা কমেন্ট করেই, সমৃদ্ধ করে তুলছেন, প্রতিনিয়ত।

প্রিয়তে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।


তুমি কি আমার কবর হবে?
যেখানে শান্তির শীতল বাতাসে
বয়ে যাবে আমার চিরনিদ্রার অফুরন্ত প্রহর ।
..............................আকাঙ্খা
.......................................আবুল হাসান


২৬১| ১২ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:১১

মীর হোসন খন্দকার বলেছেন: বটবৃক্ষ~ বলেছেন: আপনি কতো কবিতা জানেন!!!! খুব হিংসে হচ্ছে.।.।

১২ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:১৩

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ৫১১. তে আপনার কমেন্ট এর জবাব B-))

দেবগণ-বাক্য হেন করিয়া শ্রবণ
হইলেন ক্রুদ্ধ শম্ভু শ্রীমধুসূদন।
ভ্রুকুটি-কুটিলানন অতীব ভীষণ
অকস্মাৎ তাঁহাদের হইল তখন।
........................মহিষাসুর-সৈন্য-বধ
...........................শ্যামাচরণ কবিরত্ন

১২ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:২২

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ।

২৬২| ১২ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:০৭

কালের কলস বলেছেন: তাহাদেরি শোষণের ত্রাস
করিয়াছে গ্রাস
প্রশান্তির ঘর,
যেথা মুখ গুঁজে আছে শীর্ণ শব ধরণীর’ পর!

হে জড় সভ্যতা!
মৃত-সভ্যতার দাস স্ফীতমেদ শোষক সমাজ!
মানুষের অভিশাপ নিয়ে যাও আজ;
তারপর আসিলে সময়
বিশ্বময়
তোমার শৃঙ্খলগত মাংসপিন্ডে পদাঘাত হানি’:
নিয়ে যাব জাহান্নাম দ্বার-প্রান্তে টানি’;
আজ এই উৎপীড়িত মৃত্যু-দীর্ণ নিখিলের অভিশাপ বও:
ধ্বংস হও
তুমি ধ্বংস হও।।
ফররুখ আহমদ(লাশ, তেরশো পঞ্চাশে)

রাখা যায় কি?

১৩ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩১

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: অবশ্যই রাখা যায়। তবে কবিতাটা কেমন জানিঅন্যরকম! কেমন যেন নর মাংসের গন্ধ। যাই হোক সবার সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।


আমি যেন সেই বাতিওয়ালা,
সে সন্ধ্যায় রাজপথে-পথে বাতি জ্বালিয়ে ফেরে
অথচ নিজের ঘরে নেই যার বাতি জ্বালার সামর্থ্য,
নিজের ঘরেই জমে থাকে দুঃসহ অন্ধকার।।
..............................প্রিয়তমাসু
.................................রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৬৩| ১২ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৪

কালের কলস বলেছেন: যদিও বোঝেনা কবি রাজাদের স্বপ্নের কি মানে,
কিন্তু এটাতো জানে, হত্যাই হত্যা ডেকে আনে।
-আল মাহমুদ (প্রাচীর থেকে কথা)

কবিতাতো ছেচল্লিশে বেড়ে ওঠা অসুখী কিশোর
ইস্কুল পলানো সভা, স্বাধীনতা, মিছিল, নিশান
চর্তদিকে হতবাক দাঙ্গার আগুনো
নিঃশ্ব হয়ে ফিরে আসা অগ্রজের কাতর বর্ণনা!
-আল মাহমুদ (কবিতা এমন)

২৬৪| ১৪ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:৫৫

কালের কলস বলেছেন: আজও আমি বাতাসে লাশের গন্ধ পাই! @ মন্তব্য ৫১৩

২৬৫| ০৪ ঠা জুন, ২০১৩ রাত ৯:০০

অ রণ্য বলেছেন: ভাল পোষ্ট

০৫ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:১৩

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: কেমন আছেন আপনি... আপনার কাক সিরিজ আসলে কোন বিশাল কবিতার অংশ? এটা নিয়ে কি আপনার কোন পরিকল্পনা আছে , নাকি শুধু মনের আনন্দে লিখে যাছেন। আর প্রধান প্রশ্নটা হচ্ছে কাক সিরিজ বলতে আসলে কি বোঝায়। প্রশ্নের উত্তরের জন্য আগাম ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।



আজও ছায়াখানি সেই জলের উপর শুয়ে আছে ।
মাঝে-মাঝে হাওয়া দেয়, মাঝে মাঝে ছায়া
কেঁপে ওঠে । কাছে
ঘরবাড়ি নেই, জনমনিষ্যির মমতা-মায়ার
চিহ্ন নেই । চতুর্দিকে মাঠ, শুধু মাঠ ।
মাঠের ভিতরে দিঘি, দিঘির ভিতরে ছায়া পড়ে ।
হাহা করে আকাশের জানালা-কপাট ।
মাঠ পাড়ি দিয়ে হাওয়া ছুটে যায় গ্রামে ও শহরে ।
.................................দিঘির ভিতরে ছায়া
.................................নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী


২৬৬| ০৭ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৫৫

লিন্কল্ন বলেছেন: অসাধারণ।

০৭ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৯

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ...


সঁপিয়া তোমার 'পরে নূতন মহিমা
অমর করেছে শিল্পী তোমার প্রতিমা।
কত বর্ণ, কত গন্ধ, ভূষণ কত-না -
সিন্ধু হতে মুক্তা আসে, খনি হতে সোনা,
বসন্তের বন হতে আসে পুষ্পভার,
চরণ রাঙাতে কীট দেয় প্রাণ তার।
.....................মানসী
..................রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৬৭| ০৭ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৩১

অ রণ্য বলেছেন: আপনি এত এভাবে উত্তর দিয়েছেন, এখানে না এলে খেয়াল-ই করতাম না। সম্ভবত মেইল বক্স চেক করেন নি, বহুকাল !!!!!

২৬৮| ০৭ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৩১

অ রণ্য বলেছেন: *** আপনি এভাবে উত্তর দিয়েছেন, এখানে না এলে খেয়াল-ই করতাম না। সম্ভবত মেইল বক্স চেক করেন নি, বহুকাল !!!!!

২৬৯| ০৭ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৩

অ রণ্য বলেছেন: কাক সিরিজ নিয়ে কথা বলা যাবে সামনের দিন গুলোতে...

২৭০| ০৭ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৫

অ রণ্য বলেছেন: পাখি নেই, তুমি নেই
নেই অভিশাপ
এমন সময়ে সুন্দর বড় আমার মৃত-কাক


প্রতিটি শিরার মাঝে আমারই খুন
বিচিত্র নেশায় ছোটে পায়ের তলায়
ঘুড়িহীন, সুতোহীন নাটাই মেলায়
হাতে হাতে শোভা পায় বিচিত্র সাপ

ধুকে ধুকে থেমে গেলে হৃদয়ের কল
ডানা মেলে হেসে ওঠে কাক-পরকাল

গাছহীন, ফুলহীন বিধাতার বন
হেসে খেলে ফল খায় রাম ও রাবণ

মেঘ নেই, জল নেই এমন আকাশ
কাকের মাংস হলো তোমার প্রসাদ

২৭১| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:১০

সোহাগ সকাল বলেছেন: অনেকদিন আগে পড়েছিলাম। মন্তব্য করা হয়নি। চমৎকার একটা পোস্ট!

১৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:০৩

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: মন্তব্য করার জন্য কৃতজ্ঞতা সোহাগ সকাল। ভালো থাকবেন।


মাটি হলে পাবে শস্য- বীজে
বাতাস হলে পাবে আমায় ঝড়ে !
মৃত্যু হলে বুঝবে আমি কি যে ,
ছিলেম তোমার সারাজীবন ধরে !
..................আসমানী প্রেম
........................নির্মলেন্দু গুণ

২৭২| ২৮ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:০৪

মোঃ জসীম মাদবর বলেছেন: অনেক দিন যাবৎ এমন কিছু খুছছিলাম। যাক পেয়েছি। ধন্যবাদ।

৩০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:১৪

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: কমেন্ট করার জন্য জসীম মাদবর আপনাকেও ধন্যবাদ ।


অস্থির পৃথিবী থেকে তুলে এনে ভালবাসার দু’হাতে
তোমাকে এখন আমার স্থিরতার পটে স্থাপন করে চলেছি ।
পৃথিবীর সব রূপসীরা আমার পাশে দাড়িয়ে দেখছে তোমাকে,
আমি তাদের ঈর্ষা দিচ্ছি কেননা তারা স্থিরতা পায় নি ।
আমি একটু পরেই শুয়ে পড়বো তোমার পাশে -
তারপর একটু করে প্রান্তর ভরে উঠবে ঘাষে ।
..................ভালোবাসার দিনে
..................সৈয়দ শামসুল হক


{"filesize_ok":true,"image_id":140054,"success":true}
.সৈয়দ শামসুল হক

০২ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৩৫

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: জানি না কেন , সামুর ডিফল্ট ইমেজ আপলোডার কাজ করছে না। তাই ইচ্ছা থাকা সত্তেও প্রিয় কবিদের ছবি আপলোড করতে পারছি না :(

২৭৩| ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪

ভাইটামিন বদি বলেছেন: চমতকার কালেকশান.....রেখে দিলাম আর ভাল লাগা তো রইলোই:)

০২ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৪৫

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: প্রিয়তে রাখা আর ভালো লাগা জানানো উভয়টার জন্য কৃতজ্ঞতা আর ধন্যবাদ। আপনার জন্য সুন্দর কিছু লাইন...


কোথা পিরামিড তলে, ঈসিসের বেদিকার মূলে,
কেউটের মতো নীলা যেইখানে ফণা তুলে উঠিয়াছে ফুলে,
কোন্ মনভুলানিয়া পথচাওয়া দুলালীর মনে
আমারে দেখেছে জোছনা-চোর চোখে-অলস নয়নে!
.....................অস্তচাঁদে
........................রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৭৪| ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫

ভাইটামিন বদি বলেছেন: চমতকার কালেকশান.....রেখে দিলাম আর ভাল লাগা তো রইলোই:)

২৭৫| ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৫৬

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: ++++++++++++

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৫০

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: এতগুলান পিলাচ্চ... !:#P !:#P


তোমার দীক্ষালহরী,
চলুক তোমার গতি –
স্রোতস্বতী – বেগবতী
বঙ্গের চিন্তার ধারা,
ঘুচুক চিত্তের কারা;
উদ্ধার উদ্ধার ওগো জীব দিয়া বঙ্গে,
কোথায় চলেছ তুমি হে পাবনী গঙ্গে?
..................হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
.................................গঙ্গা

২৭৬| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৪৫

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: অনেক ভাল লাগল। ধন্যবাদ ।

২৭৭| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪২

শহুরে কাউয়া বলেছেন: ;) সিরাম হইচে

১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৩০

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ কাউয়া, কিন্তু ভাই চোখ টিপ্পি দিলেন ক্যান ভাই :P

এখানে যারা প্রাণ দিয়েছে
রমনার উধ্বমুখী কৃষ্ণচূড়ার নিচে
যেখানে আগুনের ফুলকির মতো
এখানে ওখানে জ্বলছে রক্তের আলপনা,
সেখানে আমি কাঁদতে আসিনি।
........................কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবী নিয়ে এসেছি
.......................................মাহবুবুল আলম

২৭৮| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৯

বেকার সব ০০৭ বলেছেন: আমি বঞ্চিত ব্যথা পথবাসী চির গৃহহারা যত পথিকের,
আমি অবমানিতের মরম বেদনা, বিষ জ্বালা, চির লাঞ্ছিত বুকে গতি ফের
আমি অভিমানী চির ক্ষুব্ধ হিয়ার কাতরতা, ব্যথা সুনিবিড়,
চিত চুম্বন-চোর-কম্পন আমি থর-থর-থর প্রথম প্রকাশ কুমারীর !
আমি গোপন প্রিয়ার চকিত চাহনি, ছল করে দেখা অনুখন,
আমি চপল মেয়ের ভালবাসা তার কাকন চুড়ির কন-কন ।
...
মহা- বিদ্রোহী রণক্লান্ত
আমি সেই দিন হব শান্ত।
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দন-রোল আকাশে-বাতাসে ধ্বনিবে না,
অত্যাচারীর খড়ুগ কৃপাণ ভীম রণ, ভূমে রণিবে না-
বিদ্রোহী রণক্লান্ত
আমি সেই দিন হব শান্ত।
..........................
আমি চির বিদ্রোহী বীর –
বিশ্ব ছাড়ায়ে উঠিয়াছি একা চির উন্নত শির !

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৩

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আপনার চরন গুলাকে এই পোস্ট বরণ করে নিলাম ,আমরা এই পোস্টের পাঠকরা

২৭৯| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১২

সুস্মিতা গুপ্তা বলেছেন: অনেক জনপ্রিয় লাইনগুলি নিয়ে লেখাটি প্রিয়তে

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫১

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুস্মিতা আপনাকে।

তুই কি আমার শুন্য বুকে
দীর্ঘশ্বাসের বকুল হবি?
নরম হাতের ছোঁয়া হবি?
একটুখানি কষ্ট দিবি।
নিজের ঠোট কামড়ে ধরা রোদন হবি?
একটুখানি কষ্ট দিবি।
প্রতীক্ষার এই দীর্ঘ হলুদ বিকেল বেলায়
কথা দিয়েও না রাখা এক কথা হবি?
একটুখানি কষ্ট দিবি।
তুই কি একা আমার হবি?
তুই কি আমার একান্ত এক দুঃখ হবি?
........................তুই কি আমার দুঃখ হবি
..........................................আনিসুল হক

২৮০| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০৮

এস এম কায়েস বলেছেন: এমনই একটা পোষ্ট খুজছিলাম।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪০

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: খুঁজে তো পেলেন কিন্তু এবার কি দিবেন সেটা আগে বলেন B-)


আবার যখনই দেখা হবে, আমি প্রথম সুযোগেই
বলে দেব স্ট্রেটকাটঃ 'ভালোবাসি'।
....................................
এরকম উন্মোচনে যদি তুমি আনুরাগে মুর্ছা যেতে চাও
মূর্ছা যাবে,জাগাবো না,নিজের শরীর দিয়ে কফিন বানাবো।
...............আবার যখনই দেখা হবে
.................. নির্মলেন্দু গুণ


বিঃদ্রঃ সামুর ডিফল্ট ইমেজ আপলোডার কি আর এখন কাজ করে না ?

২৮১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৩

তাসজিদ বলেছেন: প্রিয় ব্লগার, আপনি কোথায় হারিয়ে গেলেন?

কতদিন পর আপনাকে দেখলাম।

সামু তে নেই, ফেসবুকেও নেই।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৪

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: অনেক দিন পরে এসে আপনাদের অনেকের আবেগ সত্যিকারের মন ছুঁয়ে গেল। আসলে একেবারে হারিয়ে যাই নি। দীর্ঘ শীত নিদ্রা বলতে পারেন। শীত কাল চলে গেলেই আবার ফিরে আসব। আর আশা করি সেসময় আপনাদের পাশে পাব। ভালো থাকবেন। অনেক অনেক শুভ কামনা রইল আপনার প্রতি।



আবার গাঙে আসবে জোয়ার, দুলবে তরী রঙ্গে,
সেই তরীতে হয়ত কেহ থাকবে তোমার সঙ্গে-
দুলবে তরী রঙ্গে,
প’ড়বে মনে সে কোন্ রাতে
এক তরীতে ছিলেম সাথে,
এমনি গাঙ ছিল জোয়ার,
নদীর দু’ধার এমনি আঁধার
তেমনি তরী ছুটবে-
...........................কাজী নজরুল ইসলাম

২৮২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৩

তাসজিদ বলেছেন: ফিরে আসুন ভাই, কিভাবে আপনাকে ভুলি।

যখন কেও আমার একটি লেখাও পড়তো না, তখন আপনি আমার প্রতিটি লেখাতে কমেন্ট করতেন।

ফিরে আসুন, নিয়মিত ভাবে।

শুভকামনা

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:১৪

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ইদানিং দেখি আপনার পোস্টের সংখ্যাও বেশ কমে গেছে। বিজি নাকি খুব।

আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে- এই বাংলায়
হয়তো মানুষ নয়- হয়তো বা শাঁখচিল শালিকের বেশে,
হয়তো ভোরের কাক হয়ে এই কার্তিকের নবান্নের দেশে
কুয়াশার বুকে ভেসে একদিন আসিব কাঁঠাল ছায়ায়
............আবার আসিব ফিরে
............জীবনানন্দ দাস

২৮৩| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৮

ফয়সাল হিমু বলেছেন: এটা আমার খুব প্রিয় একটা পোস্ট। আমি প্রায়ই এই পোস্টটাতে চোখ বুলাই। এতদিন সেফ ছিলাম না, তাই কমেন্ট করতে পারিনি। অসংখ্য ধন্যবাদ পোস্টের জন্য।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:২৪

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: হিমু আপনার প্রতি রইল অনেক অনেক শুভ কামনা এবং কৃতজ্ঞতা ।

যেখানেই যাই আমি সেখানেই রাত!

স্টেডিয়ামে খোলা আকাশের নিচে রেস্তোরাঁয়
অসীমা যেখানে তার অত নীল চোখের ভিতর
ধরেছে নিটোল দিন নিটোল দুপুর
সেখানে গেলেও তবু আমার কেবলই রাত
আমার কেবলই শুধু রাত হয়ে যায়!
..................অপরিচিতি
..................আবুল হাসান

২৮৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৫

লক্ষীপেঁচা বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট
ভাল লাগলো

"‍‍‍ভাত দিবার পারসনা ভাতার হবার চাস
কেমন মরদ তুই হারামজাদা?
নিত্য রাইতে কেন গতরে গতর চাস
পরান দিয়েই যদি পরান বাঁধা।"

-কাজী রোজি।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:২৯

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনার কবিতা পইরা ভয় পাইছি :)

সে আসে প্রত্যহ এই আলোকিত উজ্জ্বল শহরে, ইতিহাস
আরো সব কিংবদন্তী কথা কয় আমার স্মৃতিতে, সে আসে
দূর থেকে মনে হয় শ্যামল ছায়ায় ভরা যেন এক
হরিণীর চোখ, অথবা রোদের সুরভিমাখা হেমন্তের শিশির সকাল
সে আসে আমার কাছে নুয়ে পড়ে আমলকী বন;
..................স্মৃতি
..................মহাদেব সাহা

২৮৫| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৫৩

মঈনুদদীন বলেছেন: অদ্ভূত বোধ বুদবুদ করে ---- আল মাহমুদ

অসম্ভব ভালো লাগলো.... সব পেয়ে অনেক দিন পর পড়লাম। অনেক ++++++

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৩১

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মঈনুদদীন।

নাইটিংগেল আর শ্যামারা জানতো যদি
আমার কষ্ট কতোখানি-কতোদুর,
তাহলে তাদের গলায় উঠতো বেজে
আরো ব হু বেশী আনন্দদায়ক সুর ।
..................ফুলেরা জানতো যদি
..................হুমায়ুন আজাদ

২৮৬| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৯

ত্রিকালদর্শী বলেছেন: সেই বিকেল থেকে এখনো ভাললাগার ফল্গুধারা বইছে অবিরাম। ধন্যবাদ।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:০৪

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: আপনাদের এই রকম আবেগীয় কমেন্ট নিরন্তর জ্বালানী যুগিয়ে যায় নতুন করে পোস্ট লিখার জন্য। অনেক অনেক ভালো থাকবেন ত্রিকালদর্শী।


এলো বনান্তে পাগল বসন্ত।
বনে বনে মনে মনে রং সে ছড়ায় রে,চঞ্চল তরুণ দুরন্ত।
বাঁশীতে বাজায় সে বিধুর পরজ বসন্তের সুর,
পান্ডু-কপোলে জাগে রং নব অনুরাগে
রাঙা হল ধূসর দিগন্ত।।
কিশলয়ে-পর্ণে অশান্ত ওড়ে তা’র অঞ্চল প্রাস্ত।
পলাশ-কলিতে তা’র ফুল-ধনু লঘু-ভার,
ফুলে ফুলে হাসি অফুরন্ত।
এলো মেলো দখিনা মলয় রে প্রলাপ বকিছে বনময় রে।
অকারণ মন মাঝে বিরহের বেণু বাজে।
জেগে ওঠে বেদনা ঘুমন্ত।।
...............এলো বনান্তে পাগল বসন্ত
..................কাজী নজরুল ইসলাম

২৮৭| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:১১

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন:







গাহি সাম্যের গান—
মানুষের চেয়ে কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান

২৮৮| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৪৪

তাসজিদ বলেছেন: জব+পড়াশোনা= Feel mental

২৮৯| ১২ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১:৪৪

নাহিদ রুদ্রনীল বলেছেন: আমার মনে হয় কবিতা বোঝার একটু বয়স থাকে। ঐসময় পর থেকে মানুষ একটু আধটু কবিতার প্রতি আকৃষ্ট হয়। পোষ্ট খুব ভালো লাগো। ধন্যবাদ লেখককে এতো ধৈর্য্য নিয়ে লেখার জন্য।

২৯০| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:০৪

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ধন্যবাদ নাহিদ রুদ্রনীল

২৯১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৫১

সোজা কথা বলেছেন: অসাধারণ! খুবই ভালো লাগল।

২৯২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৮

সোজা কথা বলেছেন: অসাধারণ! অনেক ভালো লাগা।

২৯৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৯

সোজা কথা বলেছেন: অসাধারণ! অনেক ভালো লাগা।

২৯৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫২

সোজা কথা বলেছেন: অসাধারণ! অনেক ভালো লাগা।

২৯৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:১৭

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: যে লেখাগুলো পড়লে মন নেচে ওঠে;গান গেয়ে উঠতে ইচ্ছে করে,চোখে বুকে রং বেরঙের স্বপ্ন এসে জমা হয়,তা-ই কবিতা
-হুমায়ুন আজাদ

২৯৬| ২৮ শে মে, ২০১৪ সকাল ৯:০১

নািম সাকিব বলেছেন: what about Al Mahmud ?

১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৭:২০

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: What do you mean by Al Mahmud? Please explain.. i can not comprehend your point

২৯৭| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:২৫

তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: চমত্‍কার পোস্টের জন্য ধন্যবাদ :)

২৯৮| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:০৬

একলা ফড়িং বলেছেন: প্রিয় পোস্টে আবারও একবার ঘুরে গেলাম আজ, কেমন আছেন শব্দহীন জোছনা??

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫০

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ami valo asi.. apnar ki khobor foring?

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫১

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: ami valo asi.. apnar ki khoboro foring

২৯৯| ০২ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:০৫

সুকান্ত দাস অনির্বান বলেছেন: সব তথ্য একসাথে পাওয়া গেলো, খুবই ভালো হয়েছে :)

৩০০| ০২ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ১:০৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট ।
শুভেচ্ছা রইল

৩০১| ১৪ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৫০

নতুন নকিব বলেছেন:



দারুন! অসাধারন!

অন্তহীন শুভেচ্ছা শব্দহীন জোছনা।

৩০২| ০১ লা মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:৫৮

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: কবি তারা কোথায়; তারা-য় ?

৩০৩| ২১ শে মে, ২০২০ সকাল ৯:৫৩

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: I came along
I wrote a song for you
And all the things you do
And it was called "Yellow"

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.