নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন! [email protected]

নূর আলম হিরণ

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!

নূর আলম হিরণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মিথ্যা তথ্য, বিদেশী ষড়যন্ত্র, আত্মঘাতী নীতি ,রহস্যজনক কারণে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:২৪

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে। কিন্তু বাংলাদেশের স্থানীয় বাজারে এর কোনো প্রভাব পড়েনি। সরকার দেশের অভ্যন্তরে তেলের দাম কমায়নি। ফলে জনগণকে বেশি দামেই তেল কিনতে হচ্ছে। তেলের দামের সঙ্গে বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনতেও বাধ্য করছে সরকার। ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো (রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল) চালু রাখতে সরকার রাষ্ট্রীয় অর্থ লোকসান দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ধরনের বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সঙ্গে সরকারের প্রভাবশালী লোকজন জড়িত। তাদের খুশি করতেই এসব করা হচ্ছে বলে পর্যবেক্ষক মহল মনে করছে। তাদের মতে, রেন্টাল ও কুইক রেন্টালের স্বার্থে ক্যাপটিভ পাওয়ার প্লান্ট বন্ধের ষড়যন্ত্র চলছে। যে কারণে ক্যাপটিভ পাওয়ারে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম দ্বিগুণ করা হয়েছে। অথচ রেন্টালগুলোকে হাজার হাজার কোটি টাকা গচ্চা দিয়ে জ্বালানি তেল সরবরাহ করে যাচ্ছে সরকার।
ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে সরকার শুল্ক ও ভ্যাটমুক্ত জ্বালানি তেল আমদানির অনুমতি দিয়েছে। শুল্ক ও ভ্যাটের পাশাপাশি ৯ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জও রেয়াত (সার্ভিস চার্জ) পাচ্ছে এসব প্রতিষ্ঠান। ফলে এদের এক লিটার ফার্নেস অয়েলের (বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত জ্বালানি) দাম পড়ছে ৩০ টাকা। অন্যদিকে সরকার সব ধরনের শুল্ক এবং ভ্যাট দিয়ে ফার্নেস অয়েল আমদানি করায় এক লিটারের দাম পড়ছে ৬২ টাকা। অর্থাৎ এক লিটার ফার্নেস অয়েলে সরকার ৩২ টাকা গচ্চা দিচ্ছে। রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো বছরে ৯ লাখ মেট্রিক টন ফার্নেস অয়েল আমদানি করছে। শুল্ক ও ভ্যাট এবং ৯ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ মওকুফ করায় সরকার ২ হাজার ৮৮০ কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ২০১৪ সালে ৬৪৮ কোটি ৮৫ লাখ ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপন্ন করেছে। সরকার গড়ে ১২ টাকা ৯৬ পয়সা দামে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ কিনে নিয়েছে। সরকার জনগণের কাছে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ ৫ টাকা ৬১ পয়সা হারে বিক্রি করেছে। এতে সরকারের কথিত ক্ষতি(?) হয়েছে ৫ হাজার ৯৫১ কোটি টাকা। ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে কম দামে ফার্নেস অয়েল আমদানির সুযোগ দেয়া, তাদের কাছ থেকে বেশি দামে বিদ্যুৎ কেনায় এক বছরেই ৮ হাজার ৮৩১ কোটি টাকা গচ্চা গেছে। সরকার নির্ধারিত দামে বিপিসি’র কাছ থেকে তেল নিয়ে যেসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদনে আছে, তাদের ক্ষেত্রে প্রতি লিটার তেলের দাম পড়ছে ৬২ টাকা। অথচ তাদের প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম পড়ছে ১৬-১৭ টাকা। এ হিসাবে ভাড়া বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রতি ইউনিটের দাম পড়ার কথা ৮ টাকার কম। কিন্তু সরকার তাদের কাছ থেকে গড়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ কিনছে ১২ টাকা ৯৬ পয়সায়। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমায় বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলো আরো কম মূল্যে আমদানি করছে। এতে তাদের উৎপাদন ব্যয় কমেছে অনেক। এক্ষেত্রে সরকার চাইলে তাদের সঙ্গে আলোচনা করে কমমূল্যে বিদ্যুৎ কিনতে পারে। কিন্তু এক্ষেত্রে তেমন কিছু হচ্ছে না। উল্টো জনগণের পকেট কাটার জন্যই বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে।
(সংগৃহীত)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৭

মামু১৩ বলেছেন: তেলের আমদানী ব্যয়টা আসলে কত, এটা নিয়ে সন্দেহ আছে। বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার পাচার হয়ে কোথায় যায়, কেন যায়, এটা সত্যিই সন্দেহজনক।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৮

নূর আলম হিরণ বলেছেন: হ্যাঁ এর সঠিক হিসাব কোন সরকারই দিতে চায় না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.