নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন! [email protected]

নূর আলম হিরণ

ভাগ্যক্রমে আমি এই সুন্দর গ্রহের এক বাসিন্দা! তবে মাঝেমধ্যে নিজেকে এলিয়েন মনে হয়। তবে বুদ্ধিমান এলিয়েন না, কোন আজব গ্রহের বোকা এলিয়েন!

নূর আলম হিরণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মগের বাচ্চা গুলোর সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করা মানে সময় নষ্ট করা।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১২


রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য বাংলাদেশ সরকার মিয়ানমারের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করে আর কোন লাভ হবে না। মিয়ানমারের জেনারেলের বাচ্চাগুলি এসব দ্বিপাক্ষিক বৈঠক গুলিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। শুধু শুধু এসব বৈঠক করে কালক্ষেপন হচ্ছে,সমস্যা সমাধানের বাহিরে চলে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারের উচিত হবে মিয়ানমারের সাথে আর কোন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করে সমঝোতার চেষ্টা না করা। এখন থেকে বহুপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করা।

সর্বশেষ যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের কথা ছিল, সেখানে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ছিল চীনারা। এই পৃথিবীতে চীনারা ব্যবসা ছাড়া আর কোন কিছুই বুঝেনা, এরা সারা পৃথিবীতে গারবেজ বিক্রি করে ভরিয়ে ফেলেছে, এরা হন্য হয়ে সারা পৃথিবীতে ব্যবসায়িক বাজার খুঁজছে। এগুলোকে মানুষ বলা যায় না, এরা আধা মানুষ আধা রোবট।

চীনাদের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে বাংলাদেশের আর বিশ্বাস করা উচিত নয়। মায়ানমারের চীনা রাষ্ট্রদূত যখন বলেছে, তারা মায়ানমারের সাথে আছে; সেই হিসেবে বাংলাদেশের উচিত হবে চীনের সাথে সাথে বিশ্বের আরো প্রভাবশালী যেসব দেশ আছে তাদেরকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে চাওয়া।

এই রোহিঙ্গা বিতাড়নের পিছনে চীনাদের সবচেয়ে বড় ভূমিকা রয়েছে। আরাকানে চীনারা বিলিয়ন ডলার ইনভেস্টমেন্ট করেছে, এখানে তারা পোর্ট করছে, অপরিশোধিত তেলের পাইপলাইন বসিয়েছে, এর আশেপাশে অনেকগুলো শিল্পাঞ্চল গড়ে তুলেছে। তাই এদের কাছে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানের জন্য ধর্ণা দেওয়া খুব বেশি উপকারে আসবে না। এরা নিজেদের ব্যবসাকেই প্রাধান্য দিবে এবং চাইবে না রোহিঙ্গারা ফিরে আসুক তাদের ব্যবসায় ব্যাঘাত ঘটুক।

আপাতত বাংলাদেশের এখন যে জিনিসটা করা সবচেয়ে বেশি জরুরি সেটা হচ্ছে মায়ানমার সফরে যাওয়া। কোন দেশের সাথে কোন সমস্যা সমাধানের জন্য যখন দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হয় এবং সে সমস্যা সমাধানের যদি অগ্রগতি না হয়, তাহলে সেই চুক্তির আওতায় উভয় দেশ উভয় দেশে তাদের প্রতিনিধি দল পাঠাতে পারে।
এখন বাংলাদেশ সরকার রাখাইনে অতি শীঘ্রই একটি বিশেষ প্রতিনিধি দল পাঠাক। সেই প্রতিনিধি দল সেখানে গিয়ে ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ করবে, সেখান থেকে জানিয়ে দেবে এই হারামির বাচ্চা গুলো সেখানে রোহিঙ্গাদের থাকার মতো কোনো ব্যবস্থা করেনি। যুদ্ধবন্দীদের যেরকম ভাবে ক্যাম্পে আটকে রাখা হয় শুধুমাত্র সে রকম কিছু ব্যবস্থা করেছে। মগের বাচ্চা গুলো রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে কোনভাবেই আন্তরিক নয়।
এরপর সেই প্রতিনিধিদলের রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে চীন, আমেরিকা, রাশিয়া, ভারত এসব দেশকে দিয়ে কূটনৈতিক ভাবে চেষ্টা করা রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে জাতিসংঘে জরুরী কার্যকর পরিষদের বৈঠক আহ্বানের।
অন্যথায় যত দেরি করা হবে সমস্যা ততই নাগালের বাইরে চলে যাবে।

আরেকটা কাজ অতি দ্রুত করতে হবে, ক্যাম্পের ভিতর থেকে সব এনজিও ফেনজিওর লোক গুলোকে লাথি মেরে বের করতে হবে। ক্যাম্পের ভিতরে কৃত্রিম খাদ্য সংকট তৈরি করতে হবে, এতে জাতিসংঘের জরুরী কার্যকরী পরিষদ বৈঠকের আহ্বান এর ব্যাপারটি ত্বরান্বিত হবে।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৫

করুণাধারা বলেছেন: শিরোনাম পড়েই সহমত। লাইক।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৮

নূর আলম হিরণ বলেছেন: সমস্যা ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে।

২| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:



এটা ঠিক দ্বিপাক্ষিক নয়, জাতিসংঘের রিফিউজী সংস্হা আছে এর মাঝে; ২০১৭ সালে, আরসা ( রোহিংগা গেরিলা নামে হাউকাউ) যুক্ত থাকায় ইউরোপের কেহ আজো আগ্রহ দেখায়নি।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: জাতিসংঘের ১৯৯২ সাল থেকে আছে, না থাকার মত। গাজার মধ্যে হামাস থাকার পরেও অনেক দেশেই এই সমস্যা সমাধান করতে এগিয়ে এসেছে। সমাধান করতে পারে নাই সেটা অন্য ব্যাপার। আরসা যে সশস্ত্র সংগঠন এটা বিশ্ব সম্প্রদায়ের জন্য তেমন চিন্তার বিষয় নয়, এরা গুটিকয়েক সদস্য ইয়াবা, মাদক ব্যবসা করে সেই সুবাদে টুকটাক অস্ত্রশস্ত্র হাতে রাখে। রোহিঙ্গা ইস্যুটি বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা, তাই আমারতো মনে হয় সরকারের আন্তরিকতার দিক থেকেও সমস্যা আছে।

৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২২

জুন বলেছেন: চীন হলো গলা ধরে কান্দে তালোই পোটলা ছুতে দেয় না। যতই আমাদের সাবমেরিন কিনো আর মেট্রোরেল/ এক্সপ্রেসওয়ে বসানোর কাজ দাও কিন্ত রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে ফিরিয়ে আনা নৈব নৈব চ । ওইখানে তাদের বিরাট স্বার্থ যা আপনি উল্লেখ করেছেন।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: চীনারা রোহিঙ্গা সমস্যাটিকে বানরের রুটি ভাগাভাগির মত অবস্থা করতে চাইবে।

৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩২

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: সহমত। তারা জানে প্রাণভয়ে রোহিজ্ঞারা বার্মাতে ফিরতে চাইবে না। বার্মাও রোহিঙাদের পূর্ণ নিরাপত্তা দিয়ে নিতে চাইবে না।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫২

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এরা বাঙালিদের বুদ্ধির পরীক্ষা নিচ্ছে, লিস্ট মিস্ট হাবিজাবি দিয়ে ব্যস্ত করে রাখছে।

৫| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: রোহিঙ্গারা কিন্তু আমাদের দেশে থাকতে চায় না। তারা তাদের দেশে চলে যেতে চায়। তাদের ১০০% নিশ্চয়তা দিতে হবে মায়ান্মারে ফিরে গেলে কেউ তাদের হত্যা করবে না।

চীন কেন জানি বাংলাদেশোকে দেখতেই পারে না।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:১৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: তাদের নিরাপত্তা চাওয়াটা দোষের কিছু নয়, এটা যে কেউই চাইবে। বাংলাদেশের উচিত হবে এই জায়গাটায় সবচেয়ে বেশি ফোকাস করা। অতিসত্বর রাখাইনে একদল প্রতিনিধি প্রেরণ এর ব্যবস্থা করা, সেখান থেকে বিশ্বকে জানান দেওয়া এখানে নিরাপত্তা জনিত কারণে রোহিঙ্গারা আসতে পারছেনা। মায়ানমার সরকারও নিরাপত্তার ব্যাপারে কোন কাজ করছে না।

৬| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:০৫

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: মগরা বরাবরই অমানুষ। এর আগেও দুবার চুক্তি হয়েছিল, কাজ হয় নি। এবারও হয়তো হবে না। হলেও ১১লাখ লোক নেবেনা, নানা বাহানা শুরু করবে। শেষে মাথায় বাড়ি আমাদেরই

রোহিঙ্গাদের অন্য কোথাও(দেশের বাইরে) রাখা যায় কীনা, সরকার থেকে ভাবতে হবে

২৬ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:১৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এরকম অশিক্ষিত জাতিকে কেউ বোঝা হিসাবে নেবে না। এদেরকে না পাঠাতে পারলে এরা ক্যাম্পে মানবেতর জীবন যাপন করবে বিভিন্ন অপরাধের সাথে সংযুক্ত করবে নিজেদের এবং আমাদের মূল ধারার সাথে মিশে যেতে চাহিবে।

৭| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:০৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: নূর আলম হিরণ,



কিছুতেই কিছু হবেনা। এরা দৈত্যের মতো ঘাড়ে চেপে বসে থাকবেই।

সামনের দিনে রোহিঙ্গাদের সহিংসতা কমাতে আর তাদের বাড়তে না দিতে হলে এই মুহূর্ত থেকেই রোহিঙ্গাদের বাধ্যতামূলক বন্ধ্যাকরন করা ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই বাংলাদেশের।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:২০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: কালকে খবরে দেখলাম একটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্কুলের সংখ্যা দুইটি মাদ্রাসা মক্তব এর সংখ্যা উনচল্লিশটি। আমার এক পরিচিত বন্ধু সেখানে কয়দিন মেডিকেল সরকারি অফিসার হিসেবে ডিউটি করেছিল, সে বলেছিল রোহিঙ্গারা জন্মনিয়ন্ত্রণকারী ঔষধ ও কনডম ব্যবহার করতে চায় না। এদেরকে এগুলি দেওয়া হলে তারা সেগুলি ফেলে দেয়।

৮| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৩১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: রোহিঙ্গা নিয়ে আমাদের ভাবনার কিছুই নাই। আল্লাহর মাল আল্লাহ খাওয়াবেন।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৩:১০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আল্লাহ তাদের খাওয়াবে, বাংগালীদের উপোস রাখবে।

৯| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:২৫

নাসির ইয়ামান বলেছেন: @ঠাকুরমাহমুদ এক্কান কতা কইছেন!

২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৩:১২

নূর আলম হিরণ বলেছেন: রোহিঙ্গা আসার আগে ও পরে।

১০| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:৫২

আহমেদ জী এস বলেছেন: নূর আলম হিরণ,




কনডম আর পিল নয়। ওদেরকে বাধ্যতামূলক ভাবে ভেসেকটমী আর লাইগেশান করাতে হবে। এছাড়া আর কোন যাদু নেই।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৩:১৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এরা এদের দুই মাস পরের ভবিষ্যত নিয়েও উদ্বিগ্ন থাকে না মনে হচ্ছে! সব কিছু এরা আল্লাহর উপর ছেড়ে দিয়েছে।

১১| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৮:০৯

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক ময়দানে রোহিঙ্গা সমস্যার মতো যেকোনো সমস্যাতেই বাংলাদেশের একটি পাশে দাঁড়ানোর মতো কোনো প্রকৃত বন্ধু রাষ্ট্র আছে কি ? নূন্যতম একটি বন্ধু রাষ্ট্রের নাম কেউ বলতে পারবেন কি ?

২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৯:১৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আন্তরিক ভাবে এখন পর্যন্ত কোন রাষ্ট্র এগিয়ে আসেনি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.