নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে জানাটা আদো সম্ভব হয়ে উঠে নি। জানার ইচ্ছাও নেই। আমি যা সেটা নিজেরই। তবে অন্যকে জানায় মজা আছে।

নুর রাজু

আমি এই শহরের অন্ধকার বাড়ির জীবিত প্রানী।

নুর রাজু › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষ কেনো যুদ্ধ করে!

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৩৫

বিগ ব্যাং নামক একটা বিষ্ফোরনের মাধ্যমে সৃষ্ট এই পৃথিবীর আদি লগ্ন হতেই পৃথিবীতে বসবাসরত সকল প্রানীই যুদ্ধে লিপ্ত থাকে। ডাইনাসরের যুগে ডাইনাসরের বিভিন্ন প্রজাতী একে অপরের সাথে যুদ্ধ করত। একইভাবে পরবর্তীতে পৃথিবীর সকল প্রানিই দখলদারীত্ব কিংবা রক্ষনশীলতা বজায় রাখতে যুদ্ধ করেছে। মানুষ এখনো যুদ্ধ করে কারন মানুষের মধ্যে যে পশুসুলভ প্রবৃত্তি রয়েছে সেই তারনাতেই। মানুষ আসলে এখনো পশুই রয়ে গ্যাছে তাইতো আমাদের সমাজ প্রকৃতপক্ষে যুদ্ধ সমর্থবাদী সমাজ। আদি কালে যখন মানুষের ভাষা ছিলনা তখনো যুদ্ধ ছিলো। মানুষ যখন সমাজবদ্ধ হয়নি তখনো খাদ্য, বাসস্থান, যৌনতা প্রভৃতির জন্য রক্তক্ষয়ী হয়ে উঠতো। সেই পশুত্বই মানুষ জিইয়ে রাখছে যুগের পর যুগ। আমাদের পৃথিবীর সকল সংস্কৃতি, জাতীয়তাবাদ, ভাষা, সমাজব্যবস্থা, ধর্ম কিংবা রাষ্ট্র সবকিছুর পেছনেই রয়েছে যুদ্ধের ইতিহাস। মানুষ যুগে যুগে যত আধুনিক হয়েছে পাশাপাশি আধুনিক হয়েছে তাদের যুদ্ধাব্যবস্থা। আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র যোগ হচ্ছে মানুষ মারার এক বিভৎস মিছিলে যেখানে প্রতিনিয়তই যোগ দিচ্ছে নতুন নতুন সব তত্ব। তবে বর্তমান বিশ্বের সকল যুদ্ধের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কারন হচ্ছে ক্ষমতায়ন। পশ্চিমা দেশগুলো তাদের আধিপত্য বিস্তারের জন্য সামরিক , রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক যুদ্ধ চালিয়ে থাকে। পাশাপাশি ইন্টারনেটের এই যুগে সাইবার যুদ্ধও বেশ প্রভাব ফেলছে পৃথিবীজুড়ে।
মানুষ যখন সামাজিক ভাবে বসবাস যোগ্য পৃথিবী গড়ে তুলতে চেয়েছিলো বা ইতিহাসে পাওয়া নগরায়ন শুরু যেই গ্রিক সমাজব্যবস্থা থেকে। সেই প্রাচীন গ্রীসের ট্রয় নগরেই খৃষ্টপূর্ব ১১৯৪ সালে শুরু হয় ট্রয় যুদ্ধ বা ট্রোজান যুদ্ধ। ক্ষমতা দখলের জন্য কথিত দেব দেবীদের মধ্যে সংগঠিত হয় এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ যা পরবর্তী দশ বছর পর্যন্ত চলমান থাকে। গোটা ট্রয় নগরী ধ্বংসের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘঠে এই যুদ্ধের।
ধর্মীয় ইতিহাসের অনেক যুদ্ধের কথা বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে উল্ল্যেখ করা আছে । যেমন ইসলাম ধর্মে বদর যুদ্ধ। ৬২৩-৬২৪ খ্রিষ্টাব্দে মদিনার মুহাম্মদ পন্থী মুসলিম এবং মক্কার কুরাইশদের মধ্যে এই যুদ্ধ সংগঠিত হয়। যদিও ৬২৪ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ই মার্চ কেই বদর যুদ্ধের দিন হিসাবে গন্য করা হয় কিন্তু ৬২৩ থেকে ৬২৪ খ্রিষ্টাব্দ পুর্যন্ত বেশ কয়েকটি খন্ডযুদ্ধ সংগঠিত হয়। হতাহত হয় উভয় পক্ষের একাধিক মানুষ।
সনাতন ধর্মের পুথি-পুড়ান, ধর্মগ্রন্থ কিংবা গবেষণাপত্রে বিভিন্ন যুদ্ধের বিষদ বর্ননা পাওয়া যায়। রামায়ন কিংবা মহাভারতের মতন গ্রন্থে অনেক যুদ্ধের বর্ননা পাওয়া যায়। যেখানে অনেক বিভৎস আক্রমন ও নারকীয় হত্যাকান্ডের কাহিনী ও পক্ষে-বিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপিত হয়েছে।
যদিও বৌদ্ধ ধর্মালম্বিরা নিজেদের অহিংস্র ও যুদ্ধের বিপক্ষ হিসেবে দাবি করলেও বর্তমান সময়ে বৌদ্ধ অধ্যুষিত দেশ মায়ানমারে ভিন্ন ধর্ম ও ভিন্ন মতের মানুষেরা কি ধরনের বর্বর ও অমানবিক আচরনের শিকার হচ্ছে তা পুরো পৃথিবীবাসি দেখেছে।
এছাড়াও ধর্মের বিভিন্ন ব্যাখ্যা কিংবা অপব্যখ্যা অন্তস্থ করে যুদ্ধের দামামা বেজে চলছে যুগের পর যুগ। যাতে প্রান হারাচ্ছে অসংখ্য মানুষ ও পাশাপাশি অন্যর রক্তে হাত রাঙিয়ে নিজের ভেতরের মনুষ্যত্ব হত্যা করছে আরো অনেক মানুষ। এছাড়া পৃথিবী জুড়ে রয়েছে যুদ্ধের ছড়াছড়ি । দেশে-দেশে যুদ্ধ, অঞ্চলে-অঞ্চলে যুদ্ধ, গ্রামে-গ্রামে যুদ্ধ, দলে-দলে যুদ্ধ, বংশে-বংশে যুদ্ধ , মানুষে-মানুষে এমনকি পশুর সঙ্গেও যুদ্ধে লিপ্ত হচ্ছে মানুষ ।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:২৪

সোবুজ বলেছেন: মানুষ যখন পশুত্বকে বাদ দিয়ে মানবিক মানুষ হতে পারবে,রাষ্ট,জাতিয়তা ও ধর্ম যখন থাকবেনা তখন যুদ্ধ বন্ধ হবে। এটি একটি ধারনা এবং লম্বা যাত্রা।যব বেশি মানুষ এই জন্য কাজ করবে যাত্রা তত সংক্ষিপ্ত হবে।

২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: মানুষ সেরা হতে গিয়ে যুদ্ধ করে।
মানুষ ক্ষমতা দেখানোর জন্য যুদ্ধ করে।
মানুষ হিংসাত্মক মনোভাব থেকে যুদ্ধ করে।
মানুষের মধ্যে যখন শয়তান ভর করে তখন মানুষ যুদ্ধ করে।

৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৩৫

নতুন বলেছেন: জ্ঞানের অভাবের জন্যই মানুষ যুদ্ধ মারামারি করে।

জ্ঞান থাকলে বুঝতো যে যুদ্ধ করে কি লাভ ক্ষতি হবে তারচেয়ে আলোচনা করে সমাধান করতো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.