নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বরাবরের মতো প্রাথমিকে পাসের হারে বরিশাল শীর্ষে। পাশের হার ৯৬.২২ জেএসসিতে ৯৬.৩২

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৮


প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলে বরিশাল জেলা দেশ সেরা হয়েছে বলে এক ঘোষণায় জানিয়েছে সরকার। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় দেশের সাত বিভাগের মধ্যে পাশের হার বিবেচনায় শীর্ষে রয়েছে বরিশাল। এ বিভাগের ৯৬ দশমিক ২২ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। ৩০ ডিসেম্বর শনিবার চলতি বছরের প্রাথমিক ও এবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়। গণভবনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে এই ফলাফল হস্তান্তর করেন। পিইসিতে বরিশাল বিভাগের ৬ জেলার মোট ১ লাখ ৬১ হাজার ১৭২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে ৩ হাজার ৫০৯ জন ছেলে এবং ৫ হাজার ৪৩৮ জন মেয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে। পাশের হার ও জিপিএ-৫ পাওয়ার দিক থেকে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে রয়েছে।দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় প্রথম স্থান দখল করে নিয়েছে গোপালগঞ্জ জেলা। জেলাটি থেকে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই জেলায় পাসের হার অন্যান্য জেলার পাসের হারের তুলনায় সবচেয়ে বেশি।সবচেয়ে কম পাসের হার ঝালকাঠিতে। এই জেলায় পাস করেছে ৮৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ শিক্ষার্থী।বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের তথ্যমতে, পিইসিতে বরিশাল বিভাগের মধ্যে এবারও সবার শীর্ষে রয়েছে পিরোজপুর জেলা। এ জেলার পাশের হার ৯৮ দশমিক ২৮। গত বছর এ জেলার পাশের হার ছিল ৯৯ দশমিক ৪৩। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বরগুনার পাশের হার ৯৮ দশমিক ১০, তৃতীয় স্থানে থাকা বরিশাল জেলার পাশের হার ৯৭ দশমিক ১৭, চতুর্থ স্থানে থাকা ভোলার পাশের হার ৯৬ দশমিক ৭২, পঞ্চম স্থানে থাকা পটুয়াখালী জেলার পাশের হার ৯৪ দশমিক ৮২ এবং সবার শেষে থাকা ঝালকাঠির পাশের হার ৮৭ দশমিক ৮৮। বরিশাল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবু জাফর মো. সালেহ্ জানান, পিইসিতে বরিশাল জেলায় মোট ৪৮ হাজার ৭১২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪৭ হাজার ৫৯ জন সব বিষয়ে অংশগ্রহণ করে। ৪৫ হাজার ৭২৮ জন কৃতকার্য শিক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ হাজার ৩৫৩। এর মধ্যে ২ হাজার ১১৬ জন মেয়ে এবং ১ হাজার ২৩৭ ছেলে জিপিএ-৫ পেয়েছে। জিপিএ-৫ প্রাপ্তির পাশাপাশি পাশের হারেও মেয়েরা এগিয়ে রয়েছে। ৯৭ দশমিক ৬৬ ভাগ মেয়ে ও ৯৬ দশমিক ৫৯ ভাগ ছেলে পাস করেছে।

অপদিকে বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীন জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় পাসের হার ৯৬.৩২ শতাংশ। এতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮ হাজার ৪৩১ জন। গত বছর বরিশাল বোর্ডে জেএসসি'তে পাশের হার ছিল ৯৭.৩৮ ভাগ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১৫ হাজার ৫৭০ জন। গতকাল শনিবার দুপুর ১টায় বরিশাল বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. আনোয়ারুল আজিম আনুষ্ঠানিকভাবে জেএসসি পরীক্ষার পরিসংখ্যানগত ফল ঘোষণা করেন। ঘোষিত ফলাফল পর্যালোচনায় দেখা যায়, বরিশাল বোর্ডের অধীন বিভাগের ৬ জেলার ১ হাজার ৭০৪টি স্কুলের ১ লাখ ২২ হাজার ১২৪জন জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ফরম পূরণ করে। এদের মধ্যে ১ লাখ ১৮ হাজার ৩৯৭ জন শিক্ষার্থী ১৭২টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেয়। তাদের মধ্যে ৫৫ হাজার ৭১৮ জন ছাত্র এবং ৬২ হাজার ৬৭৯ জন ছাত্রী। মোট ১ লাখ ১৮ হাজার ৩৯৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১ লাখ ১৪ হাজার ৩৫ জন বিভিন্ন গ্রেডে পাশ করে। বোর্ডে মোট পাশের হার ৯৬.৩২ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮ হাজার ৪৩১ জন।

ঘোষিত ফল অনুযায়ী এবার বরিশাল বোর্ডে মেয়েদের (৯৭.০১ ভাগ) চেয়ে ছেলেরা (৯৫.৫৩ ভাগ) পিছিয়ে। এবার গণিতে কিছুটা ফল খারাপ হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। বরিশাল বোর্ডের অধীন বিভাগের ৬ জেলার মধ্যে জেএসসি পরীক্ষায় ভোলা জেলা সবচেয়ে এগিয়ে। ভোলায় ১৯ হাজার ১৩ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করেছে ১৮ হাজার ৬২৯ জন। পাশের হার ৯৭.৯৮ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৩৮৭ জন। বোর্ডে দ্বিতীয় স্থান অধিকারী বরগুনা জেলায় ১৩ হাজার ৫৮৮ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করেছে ১৩ হাজার ২৯৩ জন। বরগুনা জেলায় পাশের হার ৯৭.৮৩ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৫৯ জন। তৃতীয় স্থান অধিকারী বরিশাল জেলায় ৩৮ হাজার ৫৩১ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৩৭ হাজার ৫২৪ জন। পাশের হার ৯৭.৩৯ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ হাজার ৪৩৯ জন। ঝালকাঠী জেলায় পাশের হার সব চেয়ে কম ৮৭.৬৫ শতাংশ। ঝালকাঠী থেকে ১০ হাজার ৫৬৭ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৯ হাজার ২৬২ জন পাশ করেছে। এই জেলায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৭৭ জন। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক ফলাফলে বরিশাল জেলা এগিয়ে রয়েছে।

সম্পাদনাঃ নূর মোহাম্মদ নূরু

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: এত এত পাশ করে লাভ কি?
চাকরি পাবে?

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
চাকরি নয়
জীবন চলার প্রথম ধাপের সফলতা
জীবনকে পরিপূর্ণ করার ইঙ্গিত বহন করে।

২| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৯

মিঃ সালাউদদীন বলেছেন: সফলতার জন্য স্বাগতম সবাইকে !

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জন্য
শুভ কামনা করার জন্য।

৩| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৭

জাহিদ অনিক বলেছেন:

শুভেচ্ছা সবাইকে।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে জাহিদ অনিক
কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য।

৪| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৭

আমার আব্বা বলেছেন: ১০০% হলেও সমস্যা নাই । ৭ খন্ড রামায়ন পড়ে সীতা রামের মা । সীতা রামের বউ বুঝতে পানি নাই ।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:০৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
যে বোঝে সে ৯ তেই বোঝে
আর যে না বোঝে সে ৯০তে ও না!!
ব্যাপার না, সবাইকে বুঝতে হবে এমন
দিব্যিতো দেওয়া হয় না্ই।

৫| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৪৬

আমার আব্বা বলেছেন: অকালে সকাল হলে ৯ তেই শেষ হয়, আর দিব্যিতো দিতেই হয় মহাশয় ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.