নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

সকলের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ জিল্লুর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা

০৮ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৭


বাংলাদেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতি ও আওয়ামীলীগের আদর্শে বিশ্বাসী রাজনীতিবীদ মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান। তিনি আওয়ামীলীগের একজন উঁচুস্তরের নেতা ছিলেন। তিনি ছিলেন বহু মানবিক গুণের অধিকারী। আওয়ামীলীগের নেতা হলেও তিনি ছিলেন সকলের নিকট গ্রহণযোগ্য ও শ্রদ্ধার পাত্র। শুধুমাত্র একটি উপাদানের জন্য তিনি সকলের শ্রদ্ধাভাজন হন নাই। তিনি তৃণমূল হতে কাজ করে উচ্চাসনে উপবেশন করেছিলেন। তিনি দেশ-জাতি ও তাঁর দলের জন্য ছিলেন ঝড়ের রাত্রে নির্ভিক-দক্ষ-দৃঢ়-নিষ্ঠাবান কুশল কাণ্ডারি। সততা, মেধা, পরিশ্রম, প্রজ্ঞা, স্বীয় আদর্শে অবিচলতা, পরমতসহিষ্ণুতা তিনি হয়েছিলেন আদর্শ রাজনীতিতে আইকন। সকলের রাষ্ট্রপতি ও আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ জিল্লুর রহমানের জন্মদিন আজ। ১৯২৯ সালের আজকের দিনে জিল্লুর রহমান কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরবে জন্মগ্রহণ করেন। আজ তার ৮৮তম জন্মবার্ষিকী। বাংলাদেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ জিল্লুর রহমানের জন্মদিনে আমাদের শুভেচ্ছা।

মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান ১৯২৯ সালের ৯ মার্চ কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরবের একটি অভিজাত বংশে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে ইতিহাসে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় হতে তিনি আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৪৬ সালে সিলেট রেফারেন্ডামে কর্মী হিসাবে তিনি যখন সিলেটে গিয়াছিলেন তখন তরুণ নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের সাখে তাঁর পরিচয় ঘটে। প্রথম সাক্ষাতে জিল্লুর রহমান বঙ্গবন্ধুর প্রতি অনুগত হয়ে পড়েন। বঙ্গবন্ধুর ও আওয়ামী লীগের প্রতি তাঁর নিষ্ঠা, ভালবাসা ও আনুগত্য এক মুহূর্তের জন্য চির ধরে নাই। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে এ যাবৎ দেশের সবকয়টি আন্দোলনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭০ সালে তিনি পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য (এমএনএ) নির্বাচিত হন। কিশোরগঞ্জ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছাড়াও জিল্লুর রহমান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যসহ বিভিন্ন সময় দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনসহ '৭৩, '৮৬, '৯৬ ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর-ভৈরব আসন থেকে জিল্লুর রহমান সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। '৯৬ এর আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে তিনি এলজিআরডি মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান সম্পদশালী ছিলেন। তবে ভোগের প্রাচুর্যে তিনি নিমগ্ন থাকেন নাই। অর্থ ও ক্ষমতা তাঁকে কোন দিন প্রলুব্ধ করতে পারে নাই। তিনি ছাত্রজীবন হতে রাজনীতির সাথে জড়িত হয়ে পড়েন। তাঁর স্ত্রী আইভি রহমানও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন রাজনীতিবিদ ছিলেন। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানী ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় জিল্লুর রহমান তার সহধর্মিনী ও মহিলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভানেত্রী আইভি রহমানকে হারান। পারিবারিক জীবনে তিনি এক পুত্র ও দুই কন্যার জনক।

বঙ্গবন্ধুর জীবৎকালে তিনি যেমন ছিলেন বঙ্গবন্ধুর একান্ত সহচর, তিরোধানের পরে বঙ্গবন্ধুর তনয়া শেখ হাসিনার কাছেও তিনি ঠিক তেমনি ছিলেন। জহুরি যেমন রত্ম চিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তেমনি এই মহাত্মাকে চিনেছিলেন। বিপদে বন্ধুর পরিচয় হয়, এই সুপ্রাচীন নীতিবাক্যের তিনি ছিলেন জ্বলন্ত উদাহরণ। ২০০৬ সালের ১১ জানুয়ারি ফখরুদ্দীন আহমদের তত্তাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নিলে যখন শেখ হাসিনা গ্রেফতার হন তার পর থেকেই জিল্লুর রহমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাল ধরেন। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট বিপুল ভোটে জয়লাভ করে। নবম জাতীয় সংসদে জিল্লুর রহমান সংসদ উপনেতা নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তাকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেন। তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২০০৯ সালে বাংলাদেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হন এবং ১২ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ শপথ গ্রহণের মাধ্যমে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতাম সংগঠক, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর, মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান গতবছর ২০ মার্চ সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে বিকেল চারটা ৪৭ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যুর মধ্যদিয়ে দায়িত্ব নেয়ার তিন বছরের মাথায় জীবনাবসান ঘটে দেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের। মৃত্যু কালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। তাঁর মৃত্যুতে স্পিকার, প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেত্রীর শোক প্রকাশ করেছিলেন এবং দেশে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছিলো। আগামী দিনের প্রজন্মের চেতনা, প্রেরণা, দেশ সেবার প্রতীক প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের আজ ৮৮তম জন্মবার্ষিকী। বহু মানবিক গুণের অধিকারী সকলের রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের জন্মদিনে আমাদের ফুলেল শুভেচ্ছা।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৭

হাফিজ বিন শামসী বলেছেন:
হে আল্লাহ, তুমি ওনাকে শান্তিতে রাখুন।

০৮ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবা শামসী ভাই
আপনার নেক দোয়া
আল্লাহর দরবারে কবুল হোক।
আমিন।

২| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


উনাকে কি সিংগাপুরে সাহিত করা হয়েছে?

০৮ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সাহিত মানে কি পণ্ডিত !!

৩| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৪

বারিধারা ২ বলেছেন: "যদি সুন্দরবনের সব গাছ কলম হয়ে যায়, আর বঙ্গোপসাগরের সব জল কালি হয়ে যায়, তারপরেও মহান নেত্রীর গুণাগুণ লিখে শেষ করা যাবেনা"

"আমার নেত্রী জীবনে কোনদিন মিথ্যা কথা বলেননি।"

এই ধরণের কিছু চামচামি মার্কা উক্তির জন্য প্রথম আলোর বিদ্রুপ ম্যাগাজিন আলপিন তার নাম দিয়েছিল তৈলুর রহমান।

১০ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:২৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
রাষ্ট্রপতি দলের বিপক্ষে কথা বলার সুযোগ কম পান।

৪| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



উনাকে কি সিংগাপুরে সমাহিত করা হয়েছে?

১০ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:২৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনি কি চাঁন্দের দেশে থাকেন ?
এলিয়েন আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে,
প্রবীণ রাজনীতিক, আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও
বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
তার প্রথম জানাজা হয় তার জন্মস্থান ভৈরবে। দ্বিতীয় জানাজা ঢাকার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ।
জানাযার নামাজ পরিচালনা করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মাওলানা মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন।

৫| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৫৯

আল ইফরান বলেছেন: আল্লাহ উনাকে বেহেশত নসীব করুন, আমীন।
শেখ হাসিনার পাশে উনার মত নির্বিষ মেরুদন্ডহীন নেতার বড্ড প্রয়োজন ছিল।

১০ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:২৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ ইফরান,
আপনার প্রার্থনা কবুল হোক
মহান আল্লাহর দরবারে। আমিন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.