নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের কালপুরুষ কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহর ষোড়শ মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি

১৯ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৩




ষাটের দশকের অন্যতম প্রধান কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহর ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আজ। ২০০১ সালের ১৯ মার্চ ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। এ উপলক্ষে বরিশালের বাবুগঞ্জে কবির নিজ গ্রাম বাহেরচরে কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ স্মৃতি পাঠাগারের উদ্যোগে ঢাকায় কবির আত্মীয়স্বজন ও পরিবারের পক্ষ থেকে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহর ১৯৩৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বরিশালের বাবুগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। কবির শৈশব-কৈশোর কেটেছে পিতার কর্মস্থল বিভিন্ন মহকুমা ও জেলা শহরে। তবে ছুটিতে, বিশেষ করে গরমের ছুটিতে প্রায়ই যেতেন গ্রামের বাড়ি বাহেরচরে। সেখানে বাড়ির উঠানে ভাইবোন আর গ্রামের ছেলেমেয়েদের নিয়ে মেতে উঠতেন নাটক, গান, কবিতা আবৃত্তিতে। কিশোর বয়স থেকেই তার কবিতা লেখা শুরু।

ইংরেজি সাহিত্যে একজন মেধাবী ছাত্র আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ এম এ পরীক্ষার ফল বেরুনোর আগেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান। কিন্তু তখনকার ধারা অনুসারে এবং বিশেষ করে পরিবারের আগ্রহে তিনি পাকিস্তান সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন।

এরপর দক্ষ প্রশাসক হিসেবে মহকুমা ও জেলা পর্যায় অতিক্রম করে সরকারের সচিব, টেকনোক্রেট মন্ত্রী হিসেবে এদেশের কৃষি ব্যবস্থাপনার অবকাঠামো গড়ে তোলেন তিনি। ঢাকার খামার বাড়ী, কৃষি গবেষণার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বরিশালের রহমতপুরের কৃষি ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন ইনস্টিটিউট ও প্রতিষ্ঠান তার স্বাক্ষর বহন করছে।

আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ পঞ্চাশ দশকের অন্যতম কবি হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। তাঁর কবিতায় আবহমান বাংলার অকৃত্রিম ছবি পাওয়া যায়। তাঁর কবিতার সূচনা ভাষা আন্দোলনকে (১৯৫২) কেন্দ্র করে এবং বিকাশ ঘটে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন এবং স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশের সামগ্রিক জনজীবনের আশা-নিরাশা এবং স্বপ্ন-বাস্তবতাকে কেন্দ্র করে। কাব্য রচনার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি একুশে পদক ও বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৭৯) লাভ করেন। তিনি ‘পদাবলি’ নামে কবিদের একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। সংগঠনটি আশির দশকে দর্শনীর বিনিময়ে কবিতা সন্ধ্যার আয়োজন করত।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৯

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের কালপুরুষ কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহর ষোড়শ মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

১৯ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
যথাযথ দায়িত্ব পালন করার জন্য।
শুভেচ্ছা জানবেন

২| ১৯ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫১

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: “কুমড়ো ফুলে ফুলে
নুয়ে পড়েছে লতাটা,
সজেন ডাঁটায়
ভরে গেছে গাছটা,
আর আমি
ডালের বড়ি শুকিয়ে রেখেছি।
খোকা, তুই কবে আসবি?
কবে ছুটি?”
চিঠিটা তার পকেটে ছিল
ছেঁড়া আর রক্তে ভেজা।

“মাগো ওরা বলে
সবার কথা কেড়ে নেবে।
তোমার কোলে শুয়ে
গল্প শুনতে দেবে না।
বলো, মা
তাই কি হয়?
তাইতো আমার দেরি হচ্ছে।
তোমার জন্যে
কথার ঝুড়ি নিয়ে
তবেই না বাড়ী ফিরবো।
লক্ষ্মী মা,
রাগ করো না,
মাত্রতো আর কটা দিন।”

“পাগল ছেলে”,
মা পড়ে আর হাসে,
“তোর ওপরে রাগ করতে পারি!”
নারকেলের চিড়ে কোটে,
উড়কি ধানের মুড়কি ভাজে,
এটা-সেটা
আরো কতো কি!
তার খোকা যে বাড়ি ফিরবে
ক্লান্ত খোকা।

কুমড়ো ফুল
শুকিয়ে গেছে,
ঝরে পড়েছে ডাঁটা,
পুঁই লতাটা নেতানো
“খোকা এলি?”
ঝাপ্সা চোখে মা তাকায়
উঠানে উঠানে
যেখানে খোকার শব
শকুনীরা ব্যবচ্ছেদ করে।

এখন
মার চোখে চৈত্রের রোদ
পুড়িয়ে দেয় শকুনীদের।
তারপর
দাওয়ায় বসে
মা আবার ধান ভানে,
বিন্নি ধানের খই ভাজে,
খোকা তার
কখন আসে কখন আসে!

এখন
মার চোখে শিশির-ভোর
স্নেহের রোদে ভিটে ভরেচ

১৯ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আহা !! কি চমৎকার কবিতার প্রতিটি ছত্র, শব্দ।
ধন্যবাদ তারেক মাহমুদ ভাই

৩| ১৯ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫২

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: কি দারুণ কবিতা লিখতেন আমাদের প্রিয় এই কবি।অনেক ভালবাসা নিবেন নুরু ভাই।

২০ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:২১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ আবারো তারেক ভাই
সাথে থাকার জন্য শুভেচ্ছা জানবেন

৪| ১৯ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৫৭

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: নুরু ভাই চালিয়ে যান।

২০ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:২২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
চালাচ্ছিতো !!

৫| ১৯ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৫৮

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: ওনার কোন বইটি সংগ্রহ করলে ভালো হয়?

২০ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:২৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কবির প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থঃ
সাতনরী হার (১৯৫৫), কখনো রং কখনো সুর (১৯৭০), কমলের চোখ (১৯৭৪), আমি কিংবদন্তীর কথা বলছি (১৯৮১), সহিষ্ণু প্রতীক্ষা (১৯৮২), প্রেমের কবিতা (১৯৮২), বৃষ্টি ও সাহসী পুরুষের জন্য প্রার্থনা (১৯৮৩), আমার সময় (১৯৮৭), নির্বাচিত কবিতা (১৯৯১), আমার সকল কথা (১৯৯৩), মসৃণ কৃষ্ণ গোলাপ প্রভৃতি।
আমার মতে প্রতিটি গ্রন্থই সংগ্রহে রাখার মতো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.