নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন দার্শনিক, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবী ডক্টর গোবিন্দ চন্দ্র দেব এর ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি

২৬ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৩২


চিন্তাচেতনায় মহান দার্শনিক সক্রেটিসের ভাবশিষ্য ডক্টর গোবিন্দ চন্দ্র দেব। যিনি ডক্টর জিসি দেব নামে সমধিক পরিচিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শনবিদ্যার অধ্যাপক ডক্টর গোবিন্দ চন্দ্র দেব ছিলেন সহজ-সরল, আত্মভোলা ও ভীষণ সাদাসিধে একজন মানুষ। শিক্ষকতাকালীন সময়ে তাঁর আশ-পাশের সবাই তাঁকে নিয়ে মুগ্ধ ছিল। ইংরেজি বা বাংলায় সমানে স্বতঃস্ফূর্ত বক্তৃতা দিতেন। কখনো এক ভাষার সঙ্গে অন্য ভাষা মেশাতেন না। তিনি বুদ্ধের জন্মবার্ষিকীতে যেমন অনর্গল বক্তৃতায় পারদর্শী ছিলেন। তেমনি পারদর্শী ছিলেন মুহম্মদ (স) এর জন্মবার্ষীকি তেও । তিনি মনে করতেন যে কোন ধর্মীয় স্থানে যাওয়ার অধিকার যে কারো আছে। নিজেকে মানুষ হিসেবেই তিনি মেলে ধরেছিলেন, কোন ধর্মের ডালে আটকা পরেন নি তিনি। তাঁর এরকম উদার মানসিকতা সত্যিই প্রশংসনীয়। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন চিরকুমার। চিরকুমার হলেও, দু'টি ছেলে-মেয়ে কে দত্তক নিয়ে তিনি পালন করেছেন। পোষ্যদের দুজন দু' ধর্মের হলেও, তিনি তাঁদেরকে শিখিয়েছেন তাঁর ভেতরে পুষে রাখা অমর সে বাণী 'সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই'। এ মানুষটি সর্বাগ্রে নিজেকে মনে করতেন তিনি একজন মানুষ। নিজের ভেতর পোষণ করতেন এ মতবাদ। আজ নির্লোভ, সাদাসিধে আ্ত্মভোলা এই মানুষটির মৃত্যুবার্ষিকীঅ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশী বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়কে ধবংস করার একটি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে পাকিস্তানী সৈন্যরা ক্ষণজন্মা মনিষী , আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন দার্শনিক ডক্টর গোবিন্দ চন্দ্র দেবকে ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চের প্রথম প্রহরে হত্যা করেছিল। স্বাধীনতা দিবসের প্রথম প্রহরের শহীদ ডক্টর গোবিন্দ চন্দ্র দেব এর মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

গোবিন্দ চন্দ্র দেব ১৯০৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি তদানিন্তন ব্রিটিশ ভারতের আসাম প্রদেশের পঞ্চখণ্ড পরগনার (বর্তমানে বাংলাদেশের সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলা) গ্রাম লাউতাতে জন্মগ্রহণ করেন। তার প্রকৃত নাম গোবিন্দচন্দ্র দেব পুরকায়স্থ। দেবের পূর্বপুরুষ ছিলেন ভারতের গুজরাটের বাসিন্দা এবং কুলীন। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় উত্থান পতনের কারণে তাঁর জনৈক পূর্বপুরুষ পঞ্চম শতকে গুজরাটের আদিনিবাস ত্যাগ করে সিলেটে চলে আসেন এবং এখানেই স্থায়িভাবে বসবাস শুরু করেন। পিতার মৃত্যুর পর জি,সি দেব স্থানীয় মিশনারীদের তত্ত্বাবধানে বড় হন। জি,সি দেব তার শৈশবেই মেধাবী ছাত্র হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি ১৯২৫ সালে বিয়ানীবাজার উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে প্রথম বিভাগে এন্ট্রাস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। কোলকাতার রিপন কলেজ থেকে তিনি ১৯২৭ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি ১৯২৯ সালে সংস্কৃত কলেজ থেকে ব্যাচেলর অব আর্টস এবং ১৯৩১ সালে কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শন শাস্ত্রে মার্স্টাস সম্পন্ন করেন। জিসি দেব ১৯৪৪ সালে কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তার পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন।

(চিরকুমার জিসি দত্তের দু' ধর্মের দত্তক নেওয়া দু'টি পুত্র-কন্যা)
ডক্টর গোবিন্দ চন্দ্র দেব কোলকাতা রিপন কলেজের শিক্ষক হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। ২য় মহাযুদ্ধকালীন সময়ে রিপন কলেজ কোলকাতা থেকে দিনাজপুর স্থানান্তরিত হলে তিনিও কর্মসূত্রে দিনাজপুর আসেন। কিন্তু যুদ্ধ শেষে রিপন কলেজ পুনরায় কোলকাতায় স্থানান্তরের সময় তিনি দিনাজপুরে থেকে যাবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন এবং সুরেন্দ্রনাথ কলেজের (বর্তমানে দিনাজপুর সরকারি কলেজ) প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ হিসেব যোগদান করেন। পরবর্তীতে ১৯৫৩ সালের জুলাইয়ে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি পূর্বতন ঢাকা হলের (বর্তমান- শহীদুল্লাহ হল) হাউস টিউটর হিসেবে ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত দ্বায়িত্ব পালন করেন, পরবর্তীতে একই বছর তিনি জগন্নাথ হলের প্রভোস্টের দ্বায়িত্ব পান। এর পরে ১৯৬৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের চেয়্যায়ম্যানের দ্বায়িত্বভার গ্রহণ করেন এবং ১৯৬৭ সালে প্রফেসর পদে পদান্নতি লাভ করেন। ড. দেব ১৯৬০ থেকে আমৃত্যু পাকিস্তান দর্শন সমিতির নির্বাচিত সম্পাদকের দ্বায়িত্ব পালন করে গেছেন। উল্লেখ্য ১৯৬৫ সালের পাকভারত যুদ্ধের সময় তাঁকে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। ষাটের দশকের শেষের দিকে ড. দেব পেনসেলভেনিয়ার wilkes-Barre কলেজে শিক্ষকতা করেন। স্বল্প সময়ের মধ্যেই তিনি সেখানে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন এবং সেখানে তার গুণমুগ্ধরা তার মানবিক দর্শন প্রচারের লক্ষ্যে The Govinda Dev Foundation for World Brotherhood প্রতিষ্ঠা করে।

ডক্টর গোবিন্দ চন্দ্র দেবের প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা মোট নয়টি, যার মধ্যে দুইটি বাংলায় এবং সাতটি ইংরেজিতে ৷জীবদ্দশায় প্রকাশিত বইগুলো হচ্ছেঃ আইডিয়ালিজম অ্যান্ড প্রগ্রেস (১৯৫২), আইডিয়ালিজম: এ নিউ ডিফেন্স অ্যান্ড এ নিউ এ্যাপলিকেশন (১৯৫৮), আমার জীবনদর্শন (১৩৬৭), এ্যাসপিরেশন অব দি কমন ম্যান (১৯৬৩), দি ফিলোসফি অব বিবেকানন্দ অ্যান্ড দি ফিউচার অব ম্যান (১৯৬৩), তত্ত্ববিদ্যাসার (১৯৬৬), বুদ্ধ: দি হিউম্যানিস্ট (১৯৬৯)।. গ্রন্থগুলো তাঁর জীবিতকালেই প্রকাশিত হয়। দি প্যারাবুলস অব দি ইস্ট (১৯৮৪) এবং মাই আমেরিকান এক্সপিরিয়েন্স (১৯৯৩) নামক গ্রন্থদুটি তাঁর মরণোত্তর প্রকাশনা।এছাড়া দেশি-বিদেশি পত্রিকায় ইংরেজি ও বাংলায় দেবের প্রায় শতাধিক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। দর্শনে বিশিষ্ট অবদানের জন্য ১৯৬৭ সালে দেবকে সম্মানসূচক ‘দর্শন সাগর’ উপাধিতে ভূষিত করে। একই বছর তাঁর মানবতাবাদী দর্শন প্রচারের জন্য আমেরিকায় ‘দি গোবিন্দ দেব ফাউন্ডেশন ফর ওয়ার্ল্ড ব্রাদারহুড’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। মানবকল্যাণ সাধনায়, সত্য, সুন্দর ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায়, মানুষের মুক্তির লক্ষ্যে, সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য এবং অসাম্প্রদায়িক ও মানবতাবাদী দর্শন প্রচারের জন্য চিরকুমার ডক্টর গোবিন্দ চন্দ্র দেব তাঁর সব সম্পত্তি ও অর্থ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে দান করেন। যা দ্বারা পরবর্তীতে ১৯৮০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন কেন্দ্র (DCPS) প্রতিষ্ঠিত হয়।
মানবতাবাদী ব্যক্তিত্ব ড. গোবিন্দ চন্দ্র দেব দেশের স্বার্থে, দেশের মানুষের স্বার্থে যুক্তরাষ্ট্রে নিরাপদ জীবন ছেড়ে ১৯৭১ সালে দেশে ফিরে আসেন। পাকিস্তানে নিজ জীবন বিপন্ন হতে পারে জেনেও তিনি দেশত্যাগ করেননি; এমনকি ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গেও তিনি একাত্মতা ঘোষণা করেন এবং জীবন উৎসর্গ করেন দেশ মাতৃকার জন্য। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ পাকবাহিনী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ভবনে তাঁকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের গণকবরে তাঁর মরদেহ সমাহিত করা হয়। ১৯৮৬ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার তাঁকে মরণোত্তর ‘একুশে পদক’ এবং ২০০৮ সালে 'স্বাধীনতা পুরস্কার ২০০৮' (মরণোত্তর) প্রদান করে। আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী ডক্টর গোবিন্দ চন্দ্র দেব এর ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী। আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন মানবতাবাদী দার্শনিক শহীদ অধ্যাপক ড. গোবিন্দ চন্দ্র দেবের মৃত্যুবার্ষিকীতে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৫৫

হাফিজ রাহমান বলেছেন: নূরু ভাই ! শহীদ একটি ইসলামিক পারিভাষিক শব্দ। এর মর্মার্থ অর্থও সুনির্দিষ্ট। সুতরাং শহীদ হতে হলে নিরেট মুসলিম হওয়া আবশ্যক। ড. জিসি দেব হয়তো ভালো মানুষ ছিলেন; কিন্তু মুসলিম ছিলেন না। সুতরাং সে কখনো শহীদ হতে পারেন না। ধর্মীয় পরিভাষাগুলোকে তার নিয়ম মেনেই ব্যবহার করতে হয়। এটি একটি সর্বস্বীকৃত বিষয়।

২৮ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমি আপনার সাথে তর্কে যেতে চাইনা,
কে শহীদ আর কে গাজী তা বিচারের ভার আমার নয়।
তবে বাংলাদেশের বিজ্ঞজনেরা নিহত বুদ্ধিজীবীদের শহীদের
মর্যাদা দিয়েছেন এবং আমরা তা মেনে নিয়েছি। নিচের পত্রিকার
কাটিংটির প্রতি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। মানা না মানা আপনার ব্যাপার।

২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৭:৫৩

হাফিজ রাহমান বলেছেন: ১৯৭১ মুক্তি ভাই ! এ্যঙ্গেলে কথা বলার প্রয়োজন নেই। ডাইরেক্টলিই কথা বলুন। আপনি শহীদ বলে যাদের বিকৃত নাম উল্লেখ করেছেন তাদের প্রতি আমার সামান্যতম দুর্বলতা নেই। হয়তো ভেবেছিলেন তাদেরকে ব্যঙ্গাত্মকভাবে উপস্থাপন করা হলে আমাকে একটু খোঁচা দেয়া যাবে। আপনার ভাবনাটা হয়তো পূরণ হলো না। সত্যিই যদি শহীদ বললে ড. জিসি দেবের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয় তাহলে আপনি এ ক্ষেত্রে অগ্রগামীদের একজন হলেন। আপনি বলেছেন, 'মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবী ডক্টর গোবিন্দ চন্দ্র দেব কোন নিরেট শহীদ নন।' তাহলে রিজাল্ট কি দাঁড়ালো ? দেখুন এখানে তাকে ছোটো করতে কোনো কথা বলা হচ্ছে না। তার যোগ্যতা ও জ্ঞানগরীমা নিয়েও কোনো কথা বলছি না। নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে বিষয়টি একটু ভেবে দেখুন। প্রয়োজনে এ বিষয়ে বিস্তৃত অধ্যয়ন করুন। সম্ভবত বেঁচে থাকলে মরণোত্তর ধর্মীয় এ উপাধিকে তিনিও মেনে নিতেন না।

৩| ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

৪| ২৯ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৫০

হাফিজ রাহমান বলেছেন: ভাইজান ! বিষয়টাকে এতোটা সহজ করে দেখলে তো হয় না। একজনে একটা ভুল কথা বলবে আর আপনি সেটা মেনে নিবেন ? ‌‌'বাংলাদেশের বিজ্ঞজনেরা নিহত বুদ্ধিজীবীদের শহীদের মর্যাদা দিয়েছেন এবং আমরা তা মেনে নিয়েছি।' ভাই ! যে কেউ যে কাউকে শহীদের মর্যাদা দিতে পারে না। কে শহীদ হবে ? কাকে শহীদ বলা যাবে ? এ বিষয়াষয় নিয়ে ধর্মীয় গ্রন্থাদিতে সুবিস্তর আলোচনা রয়েছে। কোনো মানুষ কাউকে শহীদের মর্যাদা দিতে পারে না। শহীদের মর্যাদা আল্লাহপ্রদত্ত। শহীদের ব্যকরণ অনুসারে মৃত্যুবরণ করলেই সে আল্লাহর পক্ষ থেকে শহীদের মর্যাদা পাবে। ভুল সেটা ভুলই। পত্রিকার কাটিং দিয়ে ভুল শুদ্ধ করা যাবে না। পত্রিকায় যারা লিখেছেন ভুল লিখেছেন। ভাই ! এ বিষয়টি নিয়ে আরো অধ্যয়েনর চেষ্টা করুন। তবু শুদ্ধটা জানুন। সময় দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.