নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

নববর্ষে পান্তা ইলিশঃ বাঙ্গালীর আত্মঘাতি সংস্কৃতি

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:১৬


নববর্ষে পান্তা ইলিশঃ বাঙ্গালীর আত্মঘাতি সংস্কৃতি
ঢাকা, ১৪ এপ্রিল ২০৮, শনিবারঃ বাংলা নববর্ষ উৎযাপন উপলক্ষ্যে বছরের অন্যান্য দিনে যে ছেলেটি বা মেয়েটি ফাস্ট ফুডে মজে থাকে সেদিন তারা পান্তা খাওয়ার প্রতিযোগিতায় নামে। ওয়েস্টার্ন পোষাকে আগ্রহী যুবকরা পাজামা পাঞ্জাবী পরে আর যুবতীরা লাল সাদা বাসন্তী রঙ্গের শাড়ী পরে খোপায় ফুল গেথে পরিবেশটাকে রাঙিয়ে তোলে। সবত্রই একটা সাজ সাজ রব, উৎসবের আমেজ। পহেলা বৈশাখ এলে আমরা একদিনের জন্য বাঙ্গালী সাজার চেষ্টা করি। অথচ সরা বছর ভীনদেশী সংস্কৃতি আর অনুষ্ঠান নিয়ে মত্ত থেকে নিজেদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, আর সংস্কৃতিকে ভুলে থাকি। আধুনিক নববর্ষ পালনের তত্ত্ব তালাশ করতে গিয়ে জানা যায়। ১৯১৭ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশদের বিজয় কামনা করে সে বছর পহেলা বৈশাখে হোম কীর্ত্তণ ও পূজার আয়োজন করা হয়েছিল। এরপরে ১৯৮৩ সালে একই ভাবে ভাল কিছু উদ্যোগ নেয়া হয় নববর্ষ পালনের জন্য। দ্বিজাতি তত্বের ভিত্তিতে গঠিত পাকিস্তানের দুই প্রদেশের সংস্কৃতি আলাদা। পশ্চিম পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠি মনে করতো পূর্ব পাকিস্তানের সংস্কৃতি ভারত থেকে আমদানী করা। অর্থাৎ তারা সংস্কৃতির নামে যা পালণ করে তা ভারতীয় সংস্কৃতি। তাই পাকিস্তানে সংস্কৃতির শুদ্ধি অভিযানে পাকিস্তানে রবীন্দ্রনাথের গান কবিতা নিষিদ্ধ করে। রবীন্দ্রনাথের কবিতা ও গান প্রকাশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারীর প্রতিবাদে ১৯৬৫ সালে ( ১৩৭৫ বঙ্গাব্দে) ছায়ানট নামের একটি সংগঠন রমনা পার্কে পহেলা বৈশাখ বর্ষবরণ উৎসব পালনের আয়োজন করে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এসো হে বৈশাখ, এসো , এসো, গানের মাধ্যমে তারা স্বাগত জানাতে শুরু করে নতুন বছরকে। তবে যতদুর জানা যায় ১৯৬৭ সালের আগে ঘটা করে পহেলা বৈশাখ পালন করা হয়নি। পরবর্তীতে রমনার বটমূলে ছায়ানটের আয়োজনে বর্ষবরন এগিয়ে যায় আরো এক ধাপ। বিস্তৃত হতে শুরু করে ছায়ানট নামের সংগঠনটি। যা এখন বাংলাদেশের সংস্কৃতির ক্ষেত্রে একটি মহিরূহে পরিণত হয়েছে। ১৯৭২ সালের পর থেকে রমনা বটমূলে বর্ষবরণ জাতীয় উৎসবের স্বীকৃতি পায়। ১৯৮০ সালে বৈশাখী মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমে এক ধাপ বাড়তি ছোঁয়া পায় বাংলা নববর্ষ বরণের অনুষ্ঠান। ছড়িয়ে পড়ে সবার অন্তরে অন্তরে। জাতীয় এই উৎসবটি এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অসাম্প্রদায়িক উৎসবে পরিণত হয়েছে। এদিনে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই বাংলা বছরের প্রথম দিনকে বরণের আনন্দে থাকে মাতোয়ারা।

আশির দশকে ঢাকা শহরের মধ্যবিত্ত শ্রেণী এক অদ্ভুত ব্যাপার শুরু করে দেয়। শুরুটা হলো দেশের সবচেয়ে প্রগতিশীল এলাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশেই। এদিন সম্পূর্ণ ভাবেই বাঙালিয়ানা জাহির করতে ব্যাস্ত ঢাকা শহরের মধ্যবিত্ত শ্রেণী রমনার লেকের পাড়েই বসে পড়েন ইলিশ পান্তা খেতে। গ্রামের মানুষ পান্তা খেতো, একসময় শহরের মানুষও খেতো সীমিত পর্যায়ে যখন ফ্রিজের সহজ লভ্যতা ছিলোনা। এখন গ্রামে পান্তার প্রচলন থাকলেও, শহরে একদমই নেই। শহরে কেবল পহেলা বৈশাখে ফিরে আসে যেটা সত্যিকারের পান্তা না। পহেলা বৈশাখে গরম ভাতে পানি ঢেলে পান্তা নাম দিয়ে পশরা সাজায় দোকানিরা। বর্ষবরণের অন্যতম অনুসঙ্গ হল পান্তা-ইলিশ। যেন এই পান্তা-ইলিশ না হলে আর পহেলা বৈশাখের কোন আমেজই থাকে না। কিন্তু পান্তার সাথে এই ইলিশের যোগসূত্র খুব বেশী দিনের নয়। এটাকে একটা ফিউশন বলা যেতে পারে। শহরের মধবিত্ত শ্রেণীর অতি পছন্দের ইলিশের সাথে গ্রামের গরীব কৃষক শ্রেণীর পান্তার ফিউশন। এবং তারা ধীরে ধীরে এ ব্যাপারটা জনপ্রিয়ও করে ফেলে। হুজুগে বাঙ্গালী বলে একটা কথা আছে, সে কথাটা খুব বেশি মিথ্যাও যে নয় তার প্রমাণ এই পান্তা ইলিশের ব্যাপারটাও। নববর্ষে মানুষ পান্তা ইলিশ খাচ্ছে এটা বাঙ্গালী জাতীর একটি ক্ষুদ্র অংশের সংস্কৃতি। হয়তো পান্তা ইলিশ আমাদের সংস্কৃতির অংশ হয়ে গেছে কিন্ত ঐতিহ্য নয়। হাজার বছর ধরে এ অঞ্চলে যা আছে, আর যা ধরে রেখেছি তা হচ্ছে বাঙ্গালীর ঐতিহ্য। সে হিসেবে ইলিশ আমাদের সংস্কৃতিতে প্রভাব রাখলেও ঐতিহ্যে নয়। আর যা আমাদের ঐতি্হ্যে নাই তা বাঙ্গালীর সংস্কৃতি নয় বরং পান্তা ইলিশ আমাদের অপসংস্কৃতি। যারা এই পান্তা ইলিশের বাঙ্গালী তারা কি কখনো স্বাদ নিয়েছেন পান্তা আর কাচা মরিচের! বাঙ্গালীরা পান্তার সাথে কাঁচা অথবা পোড়া মরিচ সাথে একটি পেয়াজ সহযোগে সকালে উদর পূর্তি করে কাজে বের হতেন। এটাই চিরাচরিত বাঙ্গালীদের খাদ্যাভ্যাস ও ঐতিহ্য। যদি বাঙ্গালীর ঐতিহ্য আর সংস্কৃতির ধারক বাহক হতে চাও, তা হলে পান্তা ভাত আর কাঁচা লঙ্কা সহযোগে বাঙ্গালীত্ব জাহির করো। মিছা মিছি এর সাথে ইলিশ বেচারার জীবন নিয়ে টানা টানি কেন?

একদিনে মুষ্টিমেয় কতিপয়দের বাঙ্গালীয়ানা প্রমানা করার জন্য শত হাজার টন ইলিশের আত্মাহুতি দিতে হয় সে হিসাব কি করে দেখেছো তোমরা? শুধু নববর্ষের পান্তা ইলিশ ভোক্তাদের উদর পূর্তির জন্য জানুয়ারি থেকেই মজুদ করা হয় সম্ভাবনাময় এই রূপালী ইলিশ। সাথে চলে জাটকা নিধন। মার্চ মাসে কয়েক হাজার টন জাটকা আটকের খবর প্রকাশিত হয় প্রতিকার পাতায়। যা যা পরিণত বয়সে কোটি বাঙ্গালীর রসনার স্বাদ পরিপুর্ণ করতে পারতো। বাংলাদেশ থেকে ৬০০ গ্রাম থেকে এক কেজি ওজনের ইলিশের রপ্তানিমূল্য কেজিপ্রতি ৫০০ টাকা। এক থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশের কেজিপ্রতি মূল্য ৭০০ টাকা এবং দেড় কেজির বেশি ওজনের ইলিশের কেজিপ্রতি মূল্য ১০০০ টাকার মতো যা সরকার নির্ধারিত। অথচ এই নববর্ষকে উপলক্ষ্য করে কোথাও কোথাও এক জোড়া ইলিশ ১০ থেকে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়! ভাবতে অবাক লাগে কারা এই ইলিশের ক্রেতা !! তাদের আয়ের উৎস কি? ননসেন্স রাইমের” প্রবর্তক সুকুমার রায়কে তখন খুব মনে পড়ে। তার মাথাতেও এমন নানা প্রশ্ন ঠোকর মারতো। “মাথায় কত প্রশ্ন আসে, দিচ্ছে না কেউ জবাব তার - সবাই বলে, ”মিথ্যে বাজে বকিসনে আর খবরদার!” আমিও তাই তাই চুপ করে থাকি ধমক খেয়ে। তবে চুপ করে থাকলেও মনে মনে হিসেব নিকেশ করতে দোষ নাই। সেজন্য হিসেবের খাতায় অংক মিলাবার চেষ্টা করি। নববর্ষে পান্তা-্ইলিশের প্রচলন উঠিয়ে দেওয়া গেলে সম্ভাবনাময় ইলিশ গুলো জাটকা অবস্থায় অকালে মারা পড়তো না, যাতে করে লক্ষ লক্ষ টন ইলিশের স্বাদ যেমন নিতে পারতো কোটি বাঙ্গালী তেমনি দেশের রিজার্ভ ভেপে ফুলে উঠতে পারতো পরিণত ইলিশের চক চকে উদরের মতো। যারা প্রশস্ত কপাল নিয়ে ধরণীতে আছো তাদের ইলিশ খেতে বারণ করার মতো দুঃসাহস আমার নাই, তবে কিঞ্চিত অনুকম্পা প্রত্যাশা করি। বাঙ্গালী তার বাঙ্গালিয়ানা জাহিরক করবে এটা গর্বের ও গৌরবের। তবে একদিনের লোক দোখানো বাঙ্গালী না হয়ে মনে প্রাণে সারা জীবনের তরে বাঙ্গালী হয়ে ধারক ও বাহক হন বাঙ্গালীর ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির। পরিহার করুন আত্মঘাতি সংস্কৃতির চর্চা। এই পহেলা বৈশাখে আমাদের শপথ হোক শুধু মাত্র একদিনের বাঙ্গালী সাঁজার চেষ্টা না করে বরং আমরা সারা বছরই বাঙ্গালী থাকবো। বাংলা সংস্কৃতির চর্চা করবো।
তাই এবারের নববর্ষে পান্তা ইলিশের পরিবর্তে বাঙ্গা্লীর চিরায়ত ঐতিহ্য পান্তা-কাঁচা মরিচ সহযোগে শুরু করুন নববর্ষ উৎযাপন। তাতে যেমন বাঁচবে আমাদের সংস্কৃতি তেমনি বাঁচবে বেচার ইলিশ !!

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৩০

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: সহমত।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:১৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সহমত প্রকাশের জন্য
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৩১

সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন:
মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা
অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।

"শুভ নববর্ষ"

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:২০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
তাপসনিশ্বাসবায়ে
মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে,
বৎসরের আবর্জনা
দূর হয়ে যাক
যাক পুরাতন স্মৃতি,
যাক ভুলে যাওয়া গীতি,
অশ্রুবাষ্প সুদূরে মিলাক।

৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৩৩

ইমরান আশফাক বলেছেন: ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করে গেছেন আমাদের প্রিয় নবী। তিনি বলেছেন যে পূর্বে বহু জাতী ধ্বংস হয়ে গেছে এই ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করার কারনে। নিজের বিচারবুদ্ধ্বি খাটিয়ে নিজের করনীয় ঠিক করে পারিবারিকভাবে উৎসব পালন করতে পারেন। অথবা এ থেকে বিরত থাকতে পারেন।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:২৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

১লা বৈশাখ উৎযাপন নিয়ে মানুষের এত বাড়াবাড়িরকমের বাড়াবাড়ি কেন?
বাড়াবাড়ি কখনোই মঙ্গল বয়ে আনেনা,
আমাদের প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) তাঁর বিদায় হজের ভাষণে বলেছেন, "যতক্ষণ পর্যন্ত শুনে রেখো, অন্ধকারযুগের সব কুসংস্কার, সব অন্ধবিশ্বাস এবং সব ধরনের অনাচার আজ আমার পায়ের নিচে দাফন করা হলো। বর্বর যুগের শোণিত-প্রতিশোধ প্রথা আজ থেকে রহিত করা হলো"

৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৩৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:


পানতা নিয়ে থাকলে বসে
ইলিশ মাছের আশায়,
একটা ইলিশ পথ ভুলে কী
ঢুঁকবে আমার বাসায়?
কেষ্ট বলে, শুনছো কথা!
বলে কী মোর দুলায়,
এই বাজারে ইলিশ নিয়া
কেমনে মাথা ঘামায়?
থালায় নিয়ে রাখছি পুঁটি
উদযাপনের আশায়,
লও সবে বৈশাখী মোর
রাঙা নিমন্ত্রণের খাতায়,
খেজুর পাতার আসন পেতে
বসবো সবাই দাওয়ায়,
করবো ভাগ মহা আনন্দে
পুঁটি-পান্তার থালায়।।

................শুভ নববর্ষ।
...................আমার ব্লগে স্বাগতম।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:২৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বাহ কাওসার ভাই
নতুন বছরকে নিয়ে খুব
সুন্দর একটি ছড়া উপহার দিলেন!
ভালো লাগলো, আশা করি সকলেরই
।ভালো লাগবে।

৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৫৫

শাহিন বিন রফিক বলেছেন:

এত সুন্দর লেখার জন্য মিষ্ঠি ছাড়া কি বা দেওয়ার থাকে।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:২৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনার চমৎকার মিষ্টির জন্য অস্রংখ্য ধন্যবাদ।
সামুর সকল ব্লগার, লেখক ও পাঠকদের জন্য
উৎসর্গ করা হলো আপনার মিষ্টি !!

৬| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:০৬

আবু আফিয়া বলেছেন: ইমরান আশফাক সাহেবের মন্তব্যের সাথে আমিও একমত। কেননা যার যার ধর্ম সে পালন করবে। এইসব অনুষ্ঠানে কাউকে জোর করে আনা হচ্ছে না। সবাই নিজ ইচ্ছায় যায়। যার ইচ্ছে হয় উৎসব পালন করবে যার ইচ্ছে হয় করবে না। আসুন! আমাদের শান্তিময় দেশটাকে উগ্র ধর্মান্ধদের হাতে ঠেলে না দেই।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৩০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ আফিয়া
আমরা উৎসব পালনের বিপক্ষে নয়
আমরা এই উৎসবের উপসর্গ ইলিশের
নিধনের বিপক্ষে !

৭| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:০৭

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: সহমতসহমত

আমার মতে, ইলিশ না খেয়ে অন্য মাছ খাওয়া যায়।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৩০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
মন্ডল ভাই
নববর্ষের শুভেচ্ছা ।
সহমত প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ।

৮| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:২৯

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: শুভ বৈশাখ

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৩১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
শুভ নববর্ষ তারেক ভাই,
বৈশাখ কল্যাণ বয়ে আনুক্ আপনার জীবনে।

৯| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৪

তার ছিড়া আমি বলেছেন: পান্তা একটি অসাস্থ্যকর খাদ্য। অবশ্য ছোটবেলায় অনেক খেয়েছি, অভাবে। আজ সকালে খিচুড়ী আর ডিম ভাজি দিয়ে নাস্তা সেরেছি।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:৩৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
পান্তাকে স্বাস্থ্যকর ভাবেও গ্রহণ করা যায়।
যা হোক পান্তা যেন বিলাশিতা না হয়
সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

১০| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৩১

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: নামকরণ যথার্থ B-)

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:২৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
নামকরণ নাকি শিরোনাম (?)
দ্বিধায় আছি।

১১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৪৮

ইনাম আহমদ বলেছেন: "বর্ষার মাঝামাঝি।
পদ্মায় ইলিশ মাছ ধরার মরশুম চলিয়াছে। দিবারাত্রি কোনো সময়েই মাছ ধরিবার কামাই নাই। সন্ধ্যার সময় জাহাজঘাটে দাঁড়াইলে দেখা যায় নদীর বুকে শত শত আলো অনির্বাণ জোনাকির মতো ঘুরিয়া বেড়াইতেছে। জেলে–নৌকার আলো ওগুলি। সমস্ত রাত্রি আলোগুলি এমনিভাবে নদীবক্ষের রহস্যময় ম্লান অন্ধকারে দুর্বোধ্য সংকেতের মতো সঞ্চালিত হয়। এক সময় মাঝরাত্রি পার হইয়া যায়। শহরে, গ্রামে, রেলস্টেশনে ও জাহাজঘাটে শ্রান্ত মানুষ চোখ বুজিয়া ঘুমাইয়া পড়ে। শেষরাত্রে ভাঙা ভাঙা মেঘে ঢাকা আকাশে ক্ষীণ চাঁদটি উঠে। জেলে নৌকার আলোগুলি তখনো নেভে না। নৌকার খোল ভরিয়া জমিতে থাকে মৃত সাদা ইলিশ মাছ। লণ্ঠনের আলোয় মাছের আঁশ চকচক করে, মাছের নিষ্পলক চোখগুলিকে স্বচ্ছ নীলাভ মণির মতো দেখায়।"
(পদ্মা নদীর মাঝি - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়)
পোস্টের লেখক বয়সে অনেক প্রবীণ, তাঁর মনে রাখা উচিৎ ছিলো কয়েক দশক আগে মানুষ পয়লা বৈশাখে চাইলেও ইলিশ খেতে পারতো না, কারণ কোল্ড স্টোরেজে ইলিশ রাখার ভালো ব্যবস্থা ছিলোনা, ঘরেঘরে এতো ফ্রিজও ছিলোনা। এখন পারে কারণ ইলিশের মৌসুমে ধরা ইলিশ সারাবছর সংরক্ষণ করে রাখা যায়।
ইলিশ নদীর মাছ নয় আসলে, সামুদ্রিক মাছ। ডিম পাড়ার মৌসুমে এগুলো দল বেঁধে নদীর ভেতরে প্রবেশ করে। বর্ষা থেকে শীতের মাঝামাঝি একটা সময়ে এগুলোকে নদীতে পাওয়া যায়। বাদবাকি মৌসুমে যেসব ইলিশ ধরা পড়ে সেগুলো নদীর মোহনা অঞ্চল ও সমুদ্র থেকে ধরা হয়।
আমাদের বাবা-চাচারা গল্প করেন, ইলিশের মৌসুমে আগে এতো ইলিশ পাওয়া যেত যে সেগুলো খেয়ে মানুষ পেটের রোগে ভূগতো। পরিবহন ব্যবস্থা এতোটা ভালো ছিলোনা, সংরক্ষণও করা যেত না বেশীদিন। আর ইলিশ মাছটা আসলে বেশীদিন রাখাও যায়না, খুবই নরম মাছ। আমরা যারা কোল্ড-স্টোরেজ যুগের বাচ্চা, জন্ম থেকেই ইলিশ সারাবছর দেখে আসছি।
পয়লা বৈশাখ ইলিশের সংকটের কারণ নয়, ডিমপাড়ার সময়ে ইলিশ ধরা ও জাটকা ধরার কারণে ইলিশের দুর্দশা ছিলো মাঝখানে কিছুদিন। সরকারকে ধন্যবাদ, সেটা এখন অনেকটা বন্ধ করা গেছে। আত্মীয় কেউ মৎস্য অধিদপ্তরে থাকলে জিজ্ঞেস করে দেখতে পারেন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ থাকার সময়টা কখন।
তবুও দেশে ইলিশের কখনো কখনো সংকট হয় কারণ, কলকাতার দাদারা মাছটা খুব পছন্দ করেন বলে দেশের বাজারে না দিয়ে ওগুলো চোরাচালানে স্বদেশী হিন্দুদের মতো ইন্ডিয়া পাঠিয়ে দেয়া হয়। কোস্টগার্ডরা আজকাল অনেক সচেতন হওয়াতে সেটাও কমে গেছে।
বৈশাখে যে ইলিশ পাওয়া যায় সেটার সিংহভাগই আগের বছরের স্টক। ফ্রীজে ঠান্ডা করা মাছগুলো এখন বিক্রি না হলে কিছুদিন পরেই যে নতুন মৌসুম আসবে সেই মাছগুলো রাখবে কই? হয় ফেলে দিতে হবে, নাইলে ডাম্পিং করতে হবে। আর ডাম্পিংয়ের চেয়ে দেশের বাজারে দেয়াটাই কি ভালো নয়?
দাম বেশী কেন? এটার জন্য মুদ্রাস্ফীতি, সরবরাহ-মূল্যের সম্পর্ক, চাহিদা ও মূল্যের সম্পর্ক বিষয়গুলো আগে বুঝতে হবে। হুজুগে বাঙালী হলেও, বিগত কয়েক দশক ধরে যে বৈশাখে পানতা-ইলিশ খাওয়াটা আমাদের ঐতিহ্যের অংশ হয়ে গেছে সেটাকে অস্বীকার করা অর্থহীন।
আর অবশ্য আমরা দুর্ভাগা জাতি। সেদিন আমার এক বন্ধু প্রশ্ন করছিলেন, "আমি বাঙালি হিসেবে বাংলা বছরের প্রথম দিন কীভাবে উদযাপন করবো সেটা ঠিক করে দেবার অধিকার অন্যদের কে দিয়েছে?" আজ সকালে একটা লেখা পড়ছিলাম। আমরা এখনো দ্বিধায় আছি স্বাধীনতার ঘোষণা কে দিয়েছিলেন। আমরা জানিনা আমাদের নীতি কি ইসলামপন্থী না ধর্মনিরপেক্ষতা। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের যৌক্তিকতা নিয়েও বহু প্রশ্ন ওঠে। জাতি হিসেবে আমরা কি বাঙালী না বাংলাদেশী সেটাও ঠিক একমত হতে পারিনা আমরা। অসাম্প্রদায়িকতা না মৌলবাদ ঠিক কোনটা আমাদের জন্য সঠিক সেটাও আমরা জানিনা। আর রইলো পয়লা বৈশাখ, একুশে ফেব্রুয়ারী।
নববর্ষের শুভেচ্ছা সকলকে। শুভ নববর্ষ ১৪২৫ বঙ্গাব্দ।

১২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৫

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: শিরোনাম :D

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.