নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফারাক্কা বাঁধ এখন শুধু বাংলাদেশের নয় ভারতের জন্যও মরণ ফাঁদ !!

১৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:১০


আজ মে মাসের ১৬ তারিখ ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা লংমার্চের ৪২তম বার্ষিকী। ফারাক্কায় বাঁধ দিয়ে ভারত কর্তৃক একতরফা গঙ্গার জল অপসারণের মাধ্যমে পদ্মা নদীকে জলশূন্য করে ফেলার বিরূদ্ধে ১৯৭৬ সালের ১৬ মার্চ ফারাক্কা লং মার্চ সংগঠিত ও পরিচালিত হয়েছিল। বাংলাদেশের প্রবীণ রাজনৈতিক নেতা মাওলানা ভাসানী ১৯৭৬ সালের এই তারিখে ফারাক্কা অভিমুখে প্রাণঘাতী ব্যারাজ ধ্বংস করে দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্তের দুই পাশের মানুষ, পশুপাখি, জীব-অণুজীব--অর্থাৎ দৃশ্যগ্রাহ্য বা দৃশ্যের বাইরে থাকা সকল প্রাণের রক্ষা এবং তাদের হেফাজত নিশ্চিত করবার জন্য এক অভূতপূর্ব মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ভারতের পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মওলানা ভাসানী সেদিন ফারাক্কা বাঁধের বিরূপ প্রভাব ও এর বিভিন্ন ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে যে প্রতিবাদ করেছিলেন, তার সেই সাহসী উচ্চারণ বাংলাদেশের মানুষের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে আছে আজো। তখন তিনি অসুস্থ। হাঁটতে তাঁর কষ্ট হচ্ছিল। বাংলাদেশের তৎকালীন সরকার এই লঙ মার্চ আয়োজনে সহায়তা দিয়েছিল। ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দের ২১শে এপ্রিল এই বাঁধ চালু করার কয়েক মাসের মধ্যে এর ভয়াবহ প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়। বাংলাদেশের পরিবেশে ফারাক্কার সুদূরপ্রসারী প্রভাব বিবেচনায় নিয়ে মাওলানা ভাসানী এর বিরূদ্ধে প্রতিবাদের জন্য জাতির প্রতি আহবান জানান। এইরই প্রেক্ষাপটে ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দের ১৬ই মে পদ্মা নদীর তীরবর্তী বিভাগীয় শহর রাজশাহী থেকে ফারাক্কা বাঁধ অভিমুখী এই অভিযাত্রা শুরু করা হয়। যদিও মাওলানা ভাসানী সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের অভ্যন্তরে ফারাক্কা পর্যন্ত পদযাত্রার ঘোষণা দিয়েছিলেন তবু সরকারের পরামর্শে এই পদযাত্রা ১৭ই মে অপরাহ্নে ভারতীয় সীমান্তের কাছে কানসাটে গিয়ে শেষ করা হয়। ভারতীয় পানি আগ্রাসনের প্রতিবাদে ওই দিন বাংলার সর্বস্তরের মানুষের বজ্রকণ্ঠ দিল্লির মসনদ পর্যন্ত কাঁপিয়ে দেয়। শতাব্দির বার্ধক্য ও জরা উপেক্ষা করে মরণপণ মার্চারদের পয়লা কাতারে দাঁড়িয়ে মওলানা ভাসানী প্রমাণ করেছেন, বাংলাদেশের মানুষ অজেয়-অকুতোভয়

প্রসঙ্গতঃ ভারত সরকার ১৯৫১ সালে ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করে। ১৯৬১ সালে নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং ১৯৭৪ সালে এসে এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। ১৯৭৪ সালে ফারাক্কা বাঁধ পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়। ফারাক্কা বাঁধের কারণে গঙ্গার স্বাভাবিক পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রিত হয়ে যায়। ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দের ২১শে এপ্রিল ফারাক্কা বাঁধ চালুর পর থেকেই এই বাঁধের উজান এবং ভাটিতে অবস্থিত অঞ্চলে পরিবেশ গত বিপর্যয় শুরু হয়। এই বাঁধের উজানে বিস্তীর্ণ এলাকায় পলি জমার কারণে প্রতি বছর বন্যা হয় আর ভাটির অঞ্চলে পানির অভাবে খরা হয়। পশ্চিম বঙ্গের মালদহ এবং মুর্শিদাবাদ জেলায় ব্যাপক নদীভাঙন হয় এবং বিশাল জনগোষ্ঠী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিহার প্রদেশে প্রতি বছরই ব্যাপক বন্যা হয়। বছরের পর বছর ধরেই এ অবস্থা চলে আসছে। আর ভাটিতে অবস্থিত বাংলাদেশের রাজশাহীসহ উত্তরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে পানির অভাবে পরিবেশ গত বিপর্যয় সৃষ্টি হয়। শুস্ক মৌসুমে ফারাক্কা বাঁধের মাধ্যমে ভারত পানি নিয়ন্ত্রণ করার কারণে পদ্মা নদীর বুকে চর আর চর জেগে ওঠে। অপরদিকে বর্ষা মৌসুমে পানি ছেড়ে দেবার কারণে সেই পানিতে বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বন্যা হয়। ১৯৯৬ সালে গঙ্গার পানি বণ্টন নিয়ে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়ার সাথে বাংলাদেশের তৎকালীন ও আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও, ভারত কখনোই চুক্তি অনুযায়ী শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশকে পানি দেয়নি। ফলে ফারাক্কা বাঁধ বাংলাদেশের জন্য আজ মহা এক অভিশাপ হয়ে দেখা দিয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশ পর্যাপ্ত পানি না পাবার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্রকৃতি, পরিবেশ, নদী প্রবাহ, নৌ-যোগাযোগ, কৃষি, মৎস্য, অর্থনীতি এবং মানব বসতি। হাজার হাজার হেক্টর জমিতে ফসল হচ্ছে না। ফলে কৃষকেরা সর্বশান্ত। বৃহত্তর রাজশাহী অঞ্চলজুড়ে মরুপ্রক্রিয়া চলছে। এদিকে নদীতে পানি শুকিয়ে যাবার ফলে নদী তীরবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকায় ভূগর্ভস্ত পানির স্তর ক্রমেই নিচে নেমে যায়। ফলে নলকূপে পানি ওঠে না। পানির অভাবে রাজশাহীর বরেন্দ্র সেচ প্রকল্প আজ ধ্বংসের মুখোমুখি। এ পর্যন্ত শুধুমাত্র ফসল উৎপাদন ব্যাহত হবার ফলে অর্থনীতিতে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা।
ফারাক্কা বাঁধের কারণে এতদাঞ্চল এতদিন কেবল ক্ষতিগ্রস্তই হয়েছে। এই বাঁধের কারণে বাংলাদেশ যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ঠিক তেমনি ভারতও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর দীর্ঘদিন যাবত যারা ফারাক্কা বাঁধের বিরোধিতা করেছিল আজ তাদের দাবির সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে। একইভাবে ফারাক্কা বাঁধের বিরোধিতাকে যারা ভারত বিরোধিতা বলে অভিহিত করেছিল, তাদের সেই অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। আজ ফারাক্কা বাঁধের বিরোধিতা করার জন্য আর বাংলাদেশের জনগণের প্রয়োজন নেই। আর ফারাক্কা বাঁধের পক্ষে কথা বলার মতো কোন যুক্তিও এর স্বপক্ষের লোকদের নেই। সুতরাং এখন উচিত ভারত বাংলাদেশের যৌথ কল্যাণের স্বার্থে ফারাক্কা বাঁধকে স্থায়ীভাবে ভেঙে ফেলা। এটাই বাস্তবতা এবং এতেই উভয় দেশের কল্যাণ নিহিত রয়েছে। মানুষ যদি অজ্ঞতা এবং অহঙ্কার বশত কোন নদীর গতিপথের স্বাভাবিক প্রবাহে বাঁধ নির্মাণ করে এবং সেই বাঁধের মাধ্যমে পানিকে নিয়ন্ত্রণ করে, তাহলে তা মানুষের জীবনে কল্যাণের পরিবর্তে অকল্যাণই বয়ে আনে। আজ ফারাক্কা লংমার্চের ৪২তম বার্ষিকীতে আমাদের দাবী জাতিসঙ্ঘের পানিপ্রবাহ আইন ১৯৯৭-এর বিধান অনুযায়ী এবং জাতিসঙ্ঘের মাধ্যমেই বিষয়টির সুরাহা করতে হবে। ফারাক্কা বাঁধের কারণে বাংলাদেশের যে ক্ষতি হয়েছে, সেই ক্ষতিপূরণ ভারতের কাছ থেকে আদায়ে বাংলাদেশ সরকারকে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। এজন্য সরকারকে কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করতে হবে। — মাও সে-তুং বলেছেনঃ ‘‘রাজনীতি হচ্ছে রক্তপাতহীন যুদ্ধ আর যুদ্ধ হচ্ছে রক্তপাতময় রাজনীতি। রাজনীতি যখন স্বাভাবিক গতিতে চলতে পারে না যুদ্ধই তখন তার সমাধান দেয়।’’

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:১৫

জাতির বোঝা বলেছেন: ফারাক্কা বাঁধ পৃথিবীর অন্যতম অসভ্য কাজগুলোর একটি। মাওলানা ভাসানীকে সালাম। তিনি বাধ দেয়ার আগেও প্রতিবাদ করতে পারতেন। সেটা আরো ভালো দেখাতে পারতো।

১৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জাতির বোঝা,
আগে হোক পরে হোক তিনিই এমন প্রতিবাদ
করেছিলেন। আমরা তার অবদানকে ছোট করে
দেখতে চাইনা। ভালো থাকবেন।

২| ১৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:২০

রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে বহু নদী হারিয়ে যাওয়ার মূল কারণ বৃহত্তম নদী গঙ্গা ও পদ্মার উজানে প্রায় ১শ'টি বাঁধ দিয়ে ভারত পানি প্রত্যাহার করার কারণে।

১৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ রাজীব ভাই
ফারাক্কা বাঁধের কুফল
পেতে শুরু করেছে ভারত।
প্রতিবাদ ও দাবী তোলা হচ্ছে
বাঁধ ভেঙ্গে দেবার। প্রকৃতির সাথে
যুদ্ধ করা যায়না। প্রকৃতির সাথে
যুদ্ধে নামলে চরম মূল্য দিতে হয়।

৩| ১৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:২৬

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: জননেতা মওলানা ভাসানী বাংলার প্রতিটি আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। জাতি উনাকে ভুলতে বসেছে।
বিনম্র শ্রদ্ধা...

১৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সবাই নয় কেউ কেউ ভুলেছে
আমরা ভুলবোনা এই প্রতিজ্ঞা
আজ নতুন করে।

৪| ১৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:২৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অসাধারন গুরুত্বপূর্ন পোষ্ট!

ফারাক্কা দিবস মনে করিয়ে দেয়ায় কৃতজ্ঞতা।

মাওলানা ভাসানী চিরদিনই মানুষের হৃদয়ে জাগরুক থাকবেন।

আপনার দাবীর সাথে পূর্ণ সহমত।

++++++

১৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবা ভৃগু'দা
চমৎকার উৎসাহব্যঞ্জক
মন্তব্যের জন্য।
ভালো থাকবেন।

৫| ১৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৭

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ভারত তো বন্ধু সেজে সারাজীবন আমাদের দেশকে বাঁশ দিয়ে যাচ্ছে।আশা করি সরকার এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক ভাবে পদক্ষেপ নিবে।

১৬ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
এখন ভারতও এই বাধের জন্য বাঁশ খাচ্ছে!
গঙ্গার নাব্যতা বজায় রেখে কলকাতা বন্দর চালু রাখার উদ্দেশ্যে নির্মিত এই বাঁধের কারণে গঙ্গার ভাঁটি এলাকা বাংলাদেশে যেমন পানি কমেছে, একই সঙ্গে বাঁধের বিভিন্ন ফটকে পলি জমে প্রতি বছর বন্যার সম্মুখীন হচ্ছে ভারতের বিহার রাজ্যও।
ফারাক্কা বাঁধ বিহারবাসীর কাছে ‘অভিশাপ’ হয়ে দেখা দিয়েছে বলে মনে করছেন দেশটির বিশেষজ্ঞরা। ভারতের ম্যাগসাইসাই পুরস্কার বিজয়ী রাজেন্দ্র সিং, যাকে দেশের ‘ওয়াটারম্যান’ বলে অভিহিত করা হয়, তিনি ফারাক্কা বাঁধ হঠানোর প্রস্তাব দিয়েছেন।
বিলম্বে হলেও ফারাক্কা বাঁধ তুলে দিতে ভারতের ভেতর থেকেই দাবি উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে।

৬| ১৬ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ভারত বাংলাদেশে আভ্যন্তরীন রাজনীতিতে এত নোংরা প্রতিযোগীতা, প্রতিশোধ কাজ করে যে দুই দেশ মিলে ফারাক্কা সহ অন্যান্য জনগুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধান করার ফুরসত পায়না...

১৬ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে
চমৎকার মন্তব্যে আমার লেখাটিকে
সমৃদ্ধ করার জন্য। শুভেচ্ছা রইলো।

৭| ১৬ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নূর ভাই আজ কিছু বলবো না।

শুভ কামনা রইল প্রিয় ভাইকে।

১৬ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
শরীর খারাপ ?
বিষাদ কিংবা বিষন্নতা !
সুস্থ্যতা কামনা করছি।
শুভকামনা রইলো।

৮| ১৬ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:১৮

সোহানী বলেছেন: ছোটবেলায় দেশে বন্যা নিয়ে রচনা লিখার সময় বাবা প্রথম ফারাক্কা বাধঁ নিয়ে ডিটেইলস বলেছিল। তারপর অনেক লিখাই পড়েছি। কিন্তু কোনভাবেই আমরা কিছুই করছি না কারন আমাদের নতজানু পররাস্ত্র নীতি। দিন দিন আমরা তাদের দাস এ পরিনত হচ্ছি। যাহোক সে অন্য কথা........ এক মওলানা ভাসানী যা করেছেন তা আমরা কয়েক যুগেও পারিনি। আদৈা পারবো কিনা সন্দেহ।

ধন্যবাদ নুরু ভাই বিষয়টি নিয়ে লিখার জন্য।

১৭ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সোহানী আপু,
আমারা গুণীজনদের পদাংক অনুসরণ করিনা
বলেই আমারা মাথা উচু করে চলার ক্ষমতা
হারিয়ে ফেলেছি। নতি স্বীকার করি নষ্টদের কাছে।
উত্তরণের জন্য এমন ভাসানী চাই।

৯| ১৬ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:২৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: নূর মোহাম্মদ নূরু ,




ভালো একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন । প্রকৃতি তার উপর প্রতিটি অত্যাচারের প্রতিশোধ নিয়ে থাকে নিষ্ঠুর ভাবে , ধীরে ধীরে ।
প্রকৃতিকে ঢিল ছুঁড়লে কি ভাবে পাটকেল খেতে হয় তার নমুনা পাবেন এখানে -----
ইট ছুঁড়লে পাটকেল ......

১৭ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সত্যি বলেছেন জী এস ভাই
প্রকৃতির প্রতিশোধ বড়ই নির্মম!
আমরা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেইনা
বলেই আমাদের ভোগ করতে হয়
নির্মম পরিনতি।

১০| ১৭ ই মে, ২০১৮ ভোর ৬:১৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: নূরু ভাই চমৎকার লেখেছেন।
@ আহমেদ জী এস সাহেবের কথার প্রতিধ্বনী করে বলবো,

"প্রকৃতি তার উপর প্রতিটি অত্যাচারের প্রতিশোধ নিয়ে থাকে নিষ্ঠুর ভাবে , ধীরে ধীরে".......

১৭ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ কাওসার ভাই
সুন্দর মন্তব্য প্রদানের জন্য।

১১| ১৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৩৭

টারজান০০০০৭ বলেছেন: অন্যের ইয়ে মারিতে যাইয়া নিজের ইয়ে ফালাফালা !! কথায় বলে, অন্যের জন্য গর্ত খুঁড়িলে নিজেরই একদিন পড়িতে হয়।

ব্রিজ অন দি রিভার কাওয়াই এর মতন ফারাক্কা ভাঙার জন্য যদি একখানা কমান্ডো টীম পাঠানো যাইতো !!!!!!!!

বাংলাদেশের চতুর্দিকে ভারত, বার্মার মতন বৈরী প্রতিবেশী থাকায় সামরিকায়নের বিকল্প নাই !

পাগলা কুত্তা একমাত্র লাঠি দেখিলেই ভয় পাইয়া থাকে, ভদ্রতা নহে !

১৭ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কিন্তু !! বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাধিবে কে !!

১২| ১৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৪১

চোরাবালি- বলেছেন: তারাতো তাও পানির ব্যাবহার করছে। যে পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে তার থেকে বেশী লাভবান হচ্ছে পানি ব্যবহার করে। বাংলাদেশর মধ্যে আসলে তো পানি চলে যেত সাগরে।

১৭ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:৪২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: আপনার ধরনা ঠিক নয়ঃ
গঙ্গা থেকে অপসারিত ৪০,০০০ কিউসেক পানি ফিডার খাল কিম্বা হুগলী-ভাগরথী ধারণ করতে পারবে না।
গঙ্গা এবং ভাগরথীর প্রবাহ রেখার উচ্চতার তারতম্যের কারণে পানি সঞ্চালন কষ্টকর হবে। ফলে গঙ্গা নদী তার স্বাভাবিক প্রবাহের জন্য অন্য পথ খুঁজবে।
প্রথমোক্ত কারণের জন্য মুর্শিদাবাদ এবং মালদা জেলা জুড়ে দেখা দিবে জলাবদ্ধতা।
ব্রক্ষপুত্রের তুলনায় গঙ্গা কম গতি শক্তি সম্পন্ন নদী। এ ধরণের নদীর গতিপথ হয় আঁকা-বাঁকা (meandering)। এক বাঁক থেকে আরেক বাঁকের দূরত্বকে বলে মিয়ান্ডার দৈর্ঘ্য এবং একটি নির্দিষ্ট দূরত্বের মধ্যে কয়টা বাঁক রয়েছে তাকে বলে মিয়ান্ডার ফ্রিকোয়েন্সি। হঠাৎ করে মৃতপ্রায় হুগলী-ভাগরথীর মধ্য দিয়ে কৃত্রিমভাবে বিপুল পরিমাণে পানি প্রবাহিত করলে হুগলী-ভাগরথী ও উজানে বিহার অবধি সব নদীর মিয়ান্ডার ফ্রিকোয়েন্সির উপর বিরুপ প্রভাব পড়বে। ফলে ঐ সমস্ত নদীতে জলাবদ্ধতা, নদী ভাঙ্গন এবং চর সৃষ্টি তরান্বিত হবে।
ভাটি অঞ্চলের সকল নদীর নাব্যতা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হবে।
শুষ্ক মওসুমে পানি প্রবাহ কম হওয়ার কারণে জলবায়ুর পরিবর্তন দেখা দিবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.