নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রশিদ্ধ কবি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১১৫তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি

২৩ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৪


ঊনবিংশ শতাব্দীর মধুসূদনের পরবর্তী কাব্য রচয়িতাদের মধ্যে সবচেয়ে খ্যাতিমান কবি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলা মহাকাব্যের ধারায় হেমচন্দ্রের বিশেষ দান হচ্ছে স্বদেশ প্রেমের উত্তেজনা সঞ্চার। কবি হেমচন্দ্র বঙ্গদেশীয়দের কানে নব ভারত সঙ্গীত ধ্বনিত করলেন। তাঁর খ্যাতি ছিলো গগণস্পশী। বঙ্কিমচন্দ্র তার রচনার অনুরাগী ছিলেন এবং কিশোর রবীন্দ্রনাথের রচনায় পড়েছিলো তার ছায়া। হেমচন্দ্র পাঠকের সামনে খুলে দিলেন বঙ্গদর্শন গোষ্ঠী। মধুসূদনকে জাতীয় কবি হিসেবে তুলে ধরতে বঙ্গদর্শন প্রস্তুত। কবিওয়ালাদের শব্দালঙ্কার আর মিলের জগত পেছনে ফেলে অমিত্রাক্ষরে মধুসূদন নতুন ধ্বনিঝঙ্কার প্রবর্তন করলেন। আর সেই ছন্দ ও শব্দের জগতকে হেমচন্দ্র জাতীয়তাবাদের অঙ্গনে এগিয়ে নিয়ে গেলেন। ১৯০৩ সালের আজকের দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করনে। আজ তার ১১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী। ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রশিদ্ধ কবি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

কবি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ১৮৩৮ সালের ১৭ এপ্রিল পশ্চিম বঙ্গের হুগলী জেলার রাজবল্লভহাট গ্রামের গুলিটায় এক কুলীনের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস ছিল হুগলীর উত্তরপাড়া গ্রামে। তার পিতা কৈলাসচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মাতা আনন্দময়ী। চার ভাই দুই বোনের মধ্যে সবার বড় ছিলেন হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পিতা কৈলাসচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন অতিশয় দরিদ্র। কৌলীন্যের বলে কৈলাসচন্দ্র গুলিটা, রাজবল্লভহাট গ্রাম নিবাসী কলকাতা আদালতের মোক্তার রাজচন্দ্র চক্রবর্তীর একমাত্র সন্তান আনন্দময়ীকে বিবাহ করে শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। কৈলাসচন্দ্র বিশেষ কোনও কাজকর্ম করতেন না বিধায় শ্বশুরের ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল ছিলেন। হেমচন্দ্র কলকাতার খিদিরপুর বাঙ্গালা স্কুলে পাঠকালে তার নানা রাজচন্দ্র চক্রবর্তীর মৃত্যু হলে আর্থিক সংকটে পড়ে তার লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়। কলকাতা সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ প্রসন্নকুমার সর্বাধিকারী দয়াপরবশ হয়ে ১৮৫৩ সালে হেমচন্দ্রকে কলকাতার হিন্দু কলেজে সিনিয়র স্কুল বিভাগের দ্বিতীয় শ্রেণিতে ভর্তি করিয়ে দেন। এই স্কুল থেকে ১৮৫৫ সালে জুনিয়র স্কলারশিপ পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে মাসিক দশ টাকা বৃত্তি লাভ করেন। একই বছর কলকাতার ভবানীপুর নিবাসী কালীনাথ মুখোপাধ্যায়ের কন্যা কামিনী দেবীর সংগে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন। ১৮৫৭ সালে সিনিয়র স্কলারশিপ পরীক্ষায় চতুর্থ স্থান অধিকার করে দুই বছরের জন্য মাসিক পচিশ টাকা বৃত্তি লাভ করেন। ১৮৫৯ সালে চতুর্থ বার্ষিক শ্রেণিতে পাঠকালে বৃত্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে লেখাপড়া ত্যাগ করে মিলিটারি অডিট অফিসে কেরানী পদে চাকরি গ্রহণ করেন হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পরে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বি এ পাশ করে আইনজীবীর পেশা গ্রহন করেন।

বিশিষ্ট বাঙালি কবি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম কাব্য চিন্তাতরঙ্গিনী ১৮৬১ প্রকাশিত হয়। ১৮৬৪ সালে প্রকাশিত হয় বীরবাহু । এছাড়া তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনার মধ্যে আছেঃ কবিতাবলী (১৮৭০), মহা কাব্য বৃত্রসংহার (১৯৭৫), আষাকানন (১৮৭৬), ছায়াময়ী ( ১৮৮০),। তাঁর রচিত "ভারত সঙ্গীত" কবিতাটি ঊনবিংশ শতকের জনপ্রিয় কবিতার মধ্যে অন্যতম। তাঁর অনুবাদ গ্রন্থঃ রোমিও-জুলিয়েট। ঊনবিংশ শতাব্দীর এই বিশিষ্ট কবি শেষ বয়সে অন্ধ হয়ে যান। পরবর্তীতে ১৯০৩ সালের ২৪ মে কলকাতার খিদিরপুরে মুত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৬৫ বছর। আজ কবির ১১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী। ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রশিদ্ধ কবি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫২

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: ওনার কবিতা আমাদের পাঠ্যবইয়ে আছে।
খালু আপনি এখন আমার কোন লেখা পড়েন না কেন? :(

২৩ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:০৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ভাগ্নে খুবই ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি,
দুঃখিত তোমার লেখা পড়ার সময় করতে না পারার জন্য।
তবে খুব শিঘ্রই দেখা হবে।

২| ২৩ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৩

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: হিমু বাবুর ছড়া বা কবিতার কোন লাইন নাই??:(

২৩ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:১২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
এই লিংক দেখতে পারেন মন্ডল ভাই
https://kobita10.page4.me/912.html
হেমচন্দ্রের কবিতা পাঠ করুন এখানে

৩| ২৩ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৪

আমার আব্বা বলেছেন: শ্রদ্ধাঞ্জলি

২৪ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:২৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে
মন্তব্যের জন্য।

৪| ২৩ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:০৩

অনুতপ্ত হৃদয় বলেছেন: শ্রদ্ধাঞ্জলি রইল

২৪ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:২৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকেও ধন্যবাদ
লেখাটি পড়ার জন্য।

৫| ২৩ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:০৩

জোকস বলেছেন: ১১৫ তম শ্রদ্ধাঞ্জলি

২৪ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:২৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ জোকস
কবি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের
মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি
নিবেদনের জন্য।

৬| ২৩ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:২৬

পবন সরকার বলেছেন: কবি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

২৪ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:২৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ পবন ভাই
সাথে থাকার জন্য,
সাহস যোগাবার জন্য।

৭| ২৩ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৩২

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: নুরু ভাই কাজের কাজ করেছেন।
এসকল লেখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চাইলেই হাতের কাছে পাওয়া যায় না।
পড়ে লাভবান হলাম। শুভেচ্ছা রইল।

২৪ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:২৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বরকতউল্লাহ ভাই
এসবের কদর আর নাই
ডিজিটাল যুগে মানুষ
অন্য কিছু খোঁজে
বিনোদনের জন্য।

৮| ২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ১২:২৮

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: হেমচন্দ্র মহাশয়ের বৃত্রসংহার কবিতাসহ আরো কিছু কবিতা পড়ে মুগ্ধ হয়ে যায়। তার জন্মভূমি এবং জীবন সঙ্গীত কবিতা তো এক কথায় অসাধারণ। ভাবতে অবাক লাগে দেড়শ বছর পূর্বে এ মহান কবি বাংলা সাহিত্যকে কতটা সমৃদ্ধ করে গেছেন।

২৪ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:২৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ অর্থনীতিবিদ
চমৎকার মন্তব্যে কবিকে
শ্রদ্ধা জনানোর জন্য।

৯| ২৪ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: যথা সময়ে মহান ব্যাক্তিদের মহত্বের কথা আপনার মাধমে জানতে পারি।

২৪ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:২৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনার জানার আগ্রহ আছে বলেই
আমি জানিয়ে তৃপ্তি লাভ করি।

১০| ২৪ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৩১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: প্রসিদ্ধ কবির জন্য শ্রদ্ধাঞ্জলি।

২৪ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ আনোয়ার ভাই
কবিবে শ্রদ্ধা জানােনোর জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.