নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রখ্যাত বাঙালি সাহিত্যিক শেখ ওয়াজেদ আলির ৬৬তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি

১০ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:২০


প্রখ্যাত বাঙালি সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক, গল্পলেখক ও ভ্রমণকাহিনী রচয়িতা শেখ ওয়াজেদ আলি। যিনি 'এস ওয়াজেদ আলি' নামেই অধিক পরিচিত। লেখক হিসেবে গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, রম্যরচনা ও ভ্রমণকাহিনী রচনায় তিনি খ্যাতি অর্জন করেন। শেখ ওয়াজেদ আলী ছিলেন একজন উদার ও প্রগতিশীল ব্যক্তিত্ব। মননশীল চেতনা, ইতিহাস ও নীতিজ্ঞান এবং সত্য ও সুন্দরের মহিমায় তাঁর সাহিত্যকর্ম সমৃদ্ধ। বাংলাদেশ জন্মের বহু আগেই বৃটিশ আমলে, বাংলাভাষী মানুষকে নিয়ে জাতি গঠন করার স্বপ্ন দেখেন। তাঁর স্বপ্ন ছিল বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও ভাষাভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। তার বই ‘ভবিষ্যতের বাঙালি’তে এমন স্বপ্নের প্রতিফলন দেখা যায়। তিনি বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতির সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫১ সালের আজকের দিনে তিনি ইন্তেকাল করেন। আজ তাঁর ৬৬তম মৃত্যুবার্ষিকী। প্রখ্যাত বাঙালি সাহিত্যিক শেখ ওযাজেদ আলির ৬৬তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি।

শেখ ওয়াজেদ আলি ১৮৯০ সালের ৪ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার শণ্ঠীরামপুর মহকুমার বড় তাজপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম শেখ বেলায়েত আলী। তিনি শিলং-এ স্থায়িভাবে বসবাস করতেন এবং পেশায় ছিলেন একজন ব্যবসায়ী। ১৮৯৫ সালে বড় তাজপুর গ্রামের পাঠশালায় ওয়াজেদ আলীর শিক্ষাজীবন শুরু হয়। পরে তিনি শিলং মোখার হাইস্কুলে ভর্তি হন এবং ১৯০৬ সালে স্বর্ণপদক লাভ করে এন্ট্রান্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি আলীগড় কলেজ থেকে ১৯০৮ সালে আইএ এবং এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯১০ সালে বিএ ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯১২ সালে তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য ইংল্যান্ড যান এবং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পুনরায় বিএ ডিগ্রি ও বার-অ্যাট-ল সম্পন্ন করেন। ১৯১৫ সালে কলকাতা হাইকোর্টে আইনব্যবসার মধ্য দিয়ে তাঁর কর্মজীবন শুরু হয়। ১৯২৩ সালে তিনি কলকাতা প্রেসিডেন্সির ম্যাজিস্ট্রেট নিযুক্ত হন এবং ১৯৪৫ সালে ওই পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন।

এস ওয়াজেদ আলী ১৯১৯ সালে Bulletin of the Indian Rationalistic Society নামে একটি ইংরেজি জার্নাল এবং ১৯৩২ সালে গুলিস্তাঁ নামে একটি বাংলা মাসিক সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা ও প্রকাশ করেন। ১৯২৫ সালে তাঁর ছোটোগল্প ’রাজা’ ইসলাম দর্শন এ প্রকাশিত হয়। তিনি পরপর দুবার (১৯২৫ ও ১৯২৬) বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯২৭ সালে তিনি উক্ত সমিতির সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এবং একই বছর তাঁর ছোটোগল্পগ্রন্থ গুলদস্তা প্রকাশিত হয়। ১৯২৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর তিনি কলকাতা এলবার্ট হলে কবি কাজী নজরুল ইসলামকে সংবর্ধনা প্রদান উপলক্ষে গঠিত সংবর্ধনা কমিটির সভাপতি হিসেবে অভিনন্দন পত্র পাঠ করেন। একই বছর তিনি ‘আসাম মুসলিম ছাত্র সমিতি’-র বার্ষিক সম্মেলনেও সভাপতিত্ব করেন। ১৯৩০ সালের এপ্রিলে তিনি নোয়াখালী মুসলিম ইন্সটিটিউটের সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন। ১৯৩৫ সালে তিনি সিরাজগঞ্জে অনুষ্ঠিত ‘নিখিল বঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সম্মিলনী’-তে সভাপতি হিসেবে যোগদান করেন।

এস ওয়াজেদ আলী তার নিরলস সাহিত্য সাধনার ভেতর দিয়ে মুসলিম ঐতিহ্য ও গৌরবকে সাবলীল প্রবন্ধ ও গল্পের মধ্য দিয়ে তুলে ধরেছেন। ১৯১৯ সালে এস ওয়াজেদ আলির প্রথম প্রবন্ধ ’অতীতের বোঝা’ প্রমথ চৌধুরী সম্পাদিত সবুজপত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। তার সাহিত্যে উদার ও প্রগতিশীলতা এই দুই গুণের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। সত্য ও সুন্দরের সাধনায় নীতিজ্ঞান ও প্রেমের শাশ্বত মহিমায় তার সাহিত্যকর্ম সমৃদ্ধ। তার লেখায় মার্জিত রুচি ও পরিচ্ছন্ন রসবোধের পরিচয় পাওয়া যায়। তাঁর উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্মের মধ্যে রয়েছে, প্রবন্ধঃ জীবনের শিল্প (১৯৪১), প্রাচ্য ও প্রতীচ্য (১৯৪৩), ভবিষ্যতের বাঙালী (১৯৪৩), আকবরের রাষ্ট্র সাধনা (১৯৪৯), মুসলিম সংস্কৃতির আদর্শ গল্পঃ গুলদাস্তা (১৯২৭), মাশুকের দরবার (১৯৩০), বাদশাহী গল্প (১৯৪৪), গল্পের মজলিশ (১৯৪৪), উপন্যাসঃ গ্রানাডার শেষ বীর (১৯৪০) ভ্রমণকাহিনীঃ পশ্চিম ভারত (১৯৪৮), মোটর যোগে রাঁচী সফর (১৯৪৯) প্রভৃতি। ১৯৫১ সালের ১০ জুন ইন্তেকাল করেন সাহিত্যিক শেখ ওয়াজেদ আলি। আজ তার ৬৬তম মৃত্যুবার্ষিকী। প্রাবন্ধিক, গল্পলেখক ও ভ্রমণকাহিনী রচয়িতা শেখ ওয়াজেদ আলির ৬৬তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
ফেসবুক লিংকঃ

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৩

রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: আল্লাহ্‌ উনাকে জান্নাত বাসী করুন ।
আমিন

১০ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৫৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ খান ভাই
সুন্দর প্রার্থনার জন্য।

২| ১০ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৫

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: ও!
'এস ওয়াজেদ আলি'!!!!,
প্রথম শেখ থাকায় তো বুঝত

অাজ, টাইপ করকে পপারছি না।:(+
ফ্রন্টে সমস্যা হচ্ছে ':(+

১০ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৫৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
যত্ত সব দু্ই নম্বরী চিন্তা!!
ভালো হতে পয়সা লাগেনা
কুতকুতানি ছাড়া কি মজ পান না!!

৩| ১০ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৯

মীর সাজ্জাদ বলেছেন: এমন লেখক যুগে যুগে খুব অল্প সংখ্যাকই আসে।

১০ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৫৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ সাজ্জাদ ভাই
চমৎকার মন্তব্য করে
সাহিত্যিক শেখ ওয়াজেদ আলিকে
শ্রদ্ধা জানানোর জন্য।

৪| ১০ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: তার কোনো লেখা আমি পড়িনি।

১০ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৫৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
এবার চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
বইগুলোর নাম দেওয়া আছে লেখায়।

৫| ১০ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:১৪

অচেনা হৃদি বলেছেন: আংকেল কি সাহিত্য বিষয়ে পড়ালেখা করেছিলেন ?

১০ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:২৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
শুধু সাহিত্য নিয়ে থাকলে জীবন চলবে?
সাহিত্য, অংক, রসায়ন, বিজ্ঞান
সব কিছুর আধাঁর মানুষের মস্তিস্ক!
এক টাকে বাদ দিলে অন্যটি অসর্ম্পর্ণ।
মানুষের জীবনে ভালোবাসা যেমন আছে
তেমনি রাগ, মোহ, লোভের মিশ্রন হলেই
স্বয়ংসম্পূর্ণ মানুষ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.