নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

কমিউনিস্ট আন্দোলনের পথিকৃৎ বিপ্লবী কমরেড মুজফফর আহমদের ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:১৮


ভারতীয় উপমহাদেশে সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম অগ্রদূত কমরেড মুজফ্‌ফর আহমদ। তিনিই বাংলাদেশে সামাজতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা। শুদ্ধ রাজনীতির ধারায় সফল মানুষ ইতিহাসে খুব বেশি পাওয়া যায় না। বিশ শতকের গোড়ার দিকে এই শূন্যস্থান পূরণ করে ভবিষ্যৎ রাজনীতির জন্য একজন আদর্শ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির গঠন পর্বের নায়ক কমরেড মুজফ্ফর আহমদ। ১৯১৭ সালে রাশিয়ায় জার শাসনের অবসান ঘটে এবং লেনিন-স্টালিনের নেতৃত্বে সমাজতান্ত্রিক অভ্যুত্থান সফলতা লাভ করে। রাশিয়াতে পৃথিবীর প্রথম সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠিত হয়। এর ঢেউ খুব দ্রুত অন্য সব দেশে ছড়িয়ে পড়ে। তৎকালীন ভারতেও ব্যতিক্রম হয়নি। ১৯২০ সালের ১৭ অক্টোবর তারিখে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের অঙ্গরাজ্য উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দে ভারতের সর্বপ্রথম সমাজতান্ত্রিক দল গঠিত হয়। গঠন করেছিলেন বাঙালি নেতা মানবেন্দ্র নাথ রায়। এর মাত্র একমাসের মধ্যে বঙ্গদেশেও সমাজতান্ত্রিক দল গঠিত হয়। এই সংগঠনের পুরোধা ছিলেন মুজফ্‌ফর আহমদ। অর্থাৎ বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন তার হাত ধরেই যাত্রা শুরু করে। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির অন্যতম এই প্রতিষ্ঠাতা শুদ্ধাচারী বিপ্লবী ব্রিটিশ ও কংগ্রেস সরকারের আমলে প্রায় ২০ বছর জেল খেটেছেন। কিন্তু নিজের আদর্শকে সমুন্নত রাখতে কোনো আপস করেননি। বিরুদ্ধ অবস্থায় প্রকাশ্যে রাজনীতি করা যখন কঠিন ছিল, তখন আন্ডারগ্রাউন্ড রাজনীতির পথ বেছে নিতে হয়েছিল। এই দীক্ষা তিনি যথার্থভাবেই তাঁর অনুসারীদের দিতে পেরেছিলেন। তার নেতৃত্বে ১৯৩৮ থেকে ১৯৪০ সালের মধ্যে অবিভক্ত বাংলার ২৮টি জেলায়ই কমিউনিস্ট পার্টির শাখা ছড়িয়ে পড়ে। আজীবন পার্টির নেতৃত্ব দেওয়া এই সফল রাজনীতিক ১৯৭৩ সালের সালের আজকের দিনে মৃত্যুবরণ করেন। আজ তার ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী। কমিউনিস্ট আন্দোলনের পথিকৃৎ বিপ্লবী কমরেড মুজফফর আহমদের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি

মুজফ্‌ফর আহমদ ১৮৮৯ সালের ৫ই আগস্ট বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপের মুসাপুর গ্রামে এক দরিদ্র কিন্তু অভিজাত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মনসুর আলি এবং মা'র নাম চুনাবিবি। চুনাবিবি তার বাবার দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন। মনসুর আলি সন্দ্বীপের এক স্বল্প আয়ের মোক্তার ছিলেন। তার দাদা আর নানার নাম ছিল যথাক্রমে মুহম্মদ কায়েম ও রেশাদ আলী ঠাকুর। পারিবারের আর্থিক অবস্থা ভাল না থাকায় কৈশোরে মুজফফর আহমদকে চাষাবাদের কাজেও সাহায্য করতে হয়েছিল। এই দারিদ্র্য তাঁর মধ্যে সাম্যবাদী চিন্তার জন্ম দিয়েছিল। এ সময় থেকেই শুরু হয় তাঁর সংগ্রামী জীবন। মুজফফর আহমদ তার শিক্ষা জীবন শুরু করেন বাংলা ভাষা শিক্ষার দ্বারা। ১৮৯৭ সালে তিনি গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৮৯৯ সালে তিনি হরিশপুর মিডল ইংলিশ স্কুলে (পরে কাগিল হাইস্কুল) ভর্তি হন। পিতার মোক্তারি ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর স্কুল থেকে তার নাম কেটে দেওয়া হয়। সে সময় মাদ্রাসা শিক্ষা অবৈতনিক হওয়ায় তিনি মাদ্রাসায় লেখাপড়া শুরু করেন। ১৯০৫ সালে পিতার মৃত্যুর সময় তিনি নোয়াখালীর বামনী মাদ্রাসায় পড়ছিলেন। পিতার মৃত্যুর পর মুজফ্‌ফর আহমদ কিছুকাল বরিশালে গৃহশিক্ষকতা করেন। ১৯০৬ সাল থেকে ১৯০৮ সালের অধিকাংশ সময় তিনি কোন না কোন লোকের বাড়িতে গৃহ শিক্ষকতা করে থাকা-খাওয়া অথবা অর্থ রোজগার করতেন। এরপর তিনি আবার নিজ গ্রামে ফিরে স্কুলে ভর্তি হন। বহির্মুখি মুজফ্‌রর আহমদকে গৃহমুখী করার উদ্দেশ্যে পারিবারিক চাপ প্রয়োগে ১৯০৭ সালে তাকে বিয়ে দেওয়া হয়। তার স্ত্রীর নাম হাফেজা খাতুন। নিয়মিত সাংসারিক জীবন তিনি পালন করেননি। ১৯১০ সালে তিনি কাগিল হাইস্কুল ছেড়ে নোয়াখালী জেলা স্কুলে চলে যান। ১৯১৩ সালে সেখান থেকে মেট্রিকুলেশন পাশ করেন। ১৯১৩ সালে তিনি পশ্চিম বঙ্গের হুগলি কলেজে ভর্তি হন, কিন্তু সেখানে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় তিনি সে বৎসরই চলে যান বঙ্গবাসী কলেজে। এ কলেজ থেকে আই এ পরীক্ষা দিয়ে অকৃতকার্য হন এবং সেখানেই তার লেখাপড়ার ইতি ঘটে। সন্দীপের কাগিল হাইস্কুলে পড়ার সময়ই মুজফ্‌ফর আহমদের সাংবাদিকতায় হাতে খড়ি হয়। মাওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামবাদী সম্পাদিত 'সাপ্তাহিক সুলতান' পত্রিকায় সন্দীপের স্থানীয় খবর পাঠাতেন। কমরেড মুজফ্ফর আহমদের লেখা থেকেই বোঝা যায়, বঙ্গভঙ্গ এবং এর প্রতিক্রিয়ায় হিন্দু-মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে যে রাজনৈতিক আলোড়ন তৈরি হয় তা বিশেষভাবে আলোড়িত করেছিল তাঁকে। সক্রিয় রাজনীতিতে যোগদানের পূর্বে মুজফ্‌ফর আহমদ কিছুদিন চাকুরীতে নিয়োজিত ছিলেন। বাংলা সরকারের ছাপাখানায় মাসিক ত্রিশটাকা বেতনে তিনি চাকুরী করেছিলেন। বাংলা সরকারের অনুবাদ বিভাগেও তিনি মাসিক পঞ্চাশ টাকা বেতনে একমাস উর্দু থেকে বাংলায় অনুবাদ করার কাজে চাকুরী করেন। একমাস তিনি প্রেসিডেন্সী বিভাগের স্কুলসমূহের ইনস্পেক্টর হিসেবেও কাজ করেন। কলেজে পড়ার সময় খিদিরপুর জুনিয়র মাদ্রাসায় তিনি শিক্ষকতা করেন আর একমাস ছুটিতে তিনি কলকাতা সিটি কর্পোরেশনে কাজ করেন।

মুজফ্ফর আহমদ আবেগ নয়, যুক্তি দিয়ে তাঁর রাজনৈতিক ধারণাকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাই ব্রিটিশবিরোধী চেতনা থাকায় তিনি খেলাফত আন্দোলনকে সমর্থন করেছিলেন। মুজফ্ফর আহমদ ১৯১১ সালে বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতির সভ্য হয়েছিলেন। এই সংগঠনের ত্রৈমাসিক মুখপত্র ‘বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকা’র সঙ্গেও তিনি যুক্ত ছিলেন। নামে ‘মুসলমান’ থাকলেও এই সংগঠন ও পত্রিকা সাম্প্রদায়িক মনোভাব প্রকাশ করেনি। ১৯১৮ সালে সমিতির উদ্যোগে বের হয় ‘বঙ্গীয় মুসলিম সাহিত্য পত্রিকা’। ১৯১৮ সালে সমিতির সব সময়ের কর্মী হিসেবে তিনি এর অফিসেই থাকা শুরু করেন। তিনি ছিলেন সমিতির সহকারী সম্পাদক। পত্রিকার কাজ পরিচালনার সময় চিঠিপত্রের মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের। ১৯২০ সালের শুরুর দিকে ৪৯ নম্বর বেঙ্গল রেজিমেন্ট ভেঙে দেওয়া হলে নজরুলের সৈনিক জীবনের অবসান ঘটে। এর ফলে কলকাতায় নজরুল সাহিত্য সমিতির অফিসে থাকতে শুরু করেন মুজফ্ফর আহমদের সঙ্গে।সক্রিয় রাজনীতিতে যোগদানের আগে মুজাফফর আহমদ চাকরি করেছেন কিছু দিন। বাংলা সরকারের ছাপাখানায় মাসিক ৩০ টাকা বেতনে চাকরি করেন তিনি। বাংলা সরকারের অনুবাদ বিভাগেও তিনি চাকরি করেছেন। মাসিক ৫০ টাকা বেতনে এক মাস উর্দু থেকে বাংলায় অনুবাদ করার কাজ করেন। এ ছাড়া এক মাস তিনি প্রেসিডেন্সি বিভাগের স্কুলগুলোর ইনস্পেক্টর হিসেবেও কাজ করেন। কলেজে পড়ার সময় খিদিরপুর জুনিয়র মাদ্রাসায় তিনি শিক্ষকতা করেন আর এক মাস ছুটিতে তিনি কাজ করেন কলকাতা সিটি করপোরেশনে। ১৯২৩ সালের ১৭ মে তিনি গ্রেফতার হন। এর অব্যবহিত পরেই কানপুর বলশেভিক ষড়যন্ত্র মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে ১৯২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁকে ৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়। অবশ্য কিছুকাল পর তিনি যক্ষ্মা রোগে অসুস্থতার কারণে মুক্তি পান। ১৯২৯ সালের ২০ মার্চ মুজাফ্ফর আহমেদ কলকাতাতে মিরাট ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত হয়ে পুনরায় গ্রেফতার হন। তাঁকে সব মিলিয়ে প্রায় ২০ বছর ব্রিটিশ ও কংগ্রেস সরকারের জেলে অতিবাহিত করতে হয়। জেলে থাকাকালীন তিনি রাজনৈতিক বন্দিদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার দাবিতে দু’দুবার অনশন ধর্মঘট করেন।মুজাফ্ফর আহমেদ আন্ডারগ্রাউন্ডে থেকে কর্মপরিচালনার বিভিন্ন পদ্ধতি রপ্ত করেন এবং অন্যান্য নেতাদের এ ব্যাপারে প্রশিক্ষণ দেন। ৮ বছরের মধ্যে তিনি প্রায় ৫ বার পার্টি সংগঠন ও আন্দোলনের জন্য আত্মগোপন করেন। ১৯৩৩ সালের ডিসেম্বর মাসে কলকাতায় অনুষ্ঠিত সর্বভারতীয় প্রতিনিধি সম্মেলনে তিনি জেলে থাকা অবস্থাতেই কেন্দ্রীয় কমিটিতে নির্বাচিত হন। ১৯৩৮ সাল থেকে ১৯৪০ সালের মধ্যে কমিউনিস্ট পার্টি অবিভক্ত বাংলার ২৮টি জেলাতেই ছড়িয়ে পড়ে। হাজার হাজার সদস্য এতে যোগ দিতে শুরু করে। ট্রেড ইউনিয়ন ও কিষাণ সভা গড়ে উঠতে থাকে সর্বত্র। ১৯৫০-এর দশকের পুরোটাই ব্যয় হয় পার্টি পুনর্গঠনের কাজে। বিধান সভার ভিতরে ও বাইরে পার্টি একটি জাতীয় রাজনৈতিক দলে পরিণত হতে শুরু করে এবং কমরেড মুজাফ্ফর আহমেদ ছিলেন এই সমস্ত কিছুরই কেন্দ্রবিন্দুতে। ১৯৪০ সাল থেকে ১৯৪৩ সাল পর্যন্ত সময়কালে তিনি ছিলেন পার্টির বঙ্গীয় প্রাদেশিক কমিটির সম্পাদক। ১৯৪৮ সালে পার্টির দ্বিতীয় কংগ্রেস ব্যতীত পার্টির সব কংগ্রেসেই কেন্দ্রীয় কমিটিতে তিনি নির্বাচিত হন।

মুজফ্ফর আহমেদের ৬০ বছরের রাজনৈতিক কর্মজীবনে ৫২ বছরই তিনি পার্টির একজন একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে কাজ করে গেছেন। তাঁর কিছু কিছু চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সবারই দৃষ্টি আকর্ষণ করে। কর্মজীবী শ্রেণির আন্তর্জাতিকতার প্রতি তাঁর গভীর অনুরাগ, গণতন্ত্রের প্রতি দৃঢ় প্রত্যয়, নারীর সম-অধিকারের প্রতি তীব্র আগ্রহ সব মিলিয়ে তাঁকে একজন মহান বিপ্লবীতে পরিণত করে।তিনি বিশ্বাস করতেন যে, মানসিক উদারতার জন্য সংবাদপত্র ও বাকস্বাধীনতা এবং নব ধ্যান-ধারণায় উৎসাহ প্রদানে আইডিয়ার আদান-প্রদান অত্যন্ত জরুরি। তিনি প্রেস, সংবাদপত্র ও গ্রন্থের বিষয়ে ছিলেন অত্যন্ত সাবধানী এবং এতে ছিল তাঁর অগাধ ভালবাসা। ন্যাশনাল বুক এজেন্সি এবং গণশক্তি প্রেস তাঁরই সৃষ্টি। তাঁর বিভিন্ন বিষয়ের উপর লেখা অসংখ্য প্রবন্ধ বিভিন্ন জার্নাল ও ম্যাগাজিনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। কৃষকদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে তাঁর লেখা এবং তাঁর গ্রন্থ 'Communist Party of India: Years of Formation 1921-1933' এবং 'Myself and the Communist Party of India' সমসাময়িক রাজনীতি সম্বন্ধে আলোকপাত করে। একটি শোষণমুক্ত বিশ্ব দেখতে চেয়েছিলেন কমরেড মুজফ্‌ফর। তার সে স্বপ্ন পূরণের আগেই ১৯৭৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর মৃত্যু বরণ করেন কমরেড মুজফ্ফর আহমেদ। আজ তার ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী। কমিউনিস্ট আন্দোলনের পথিকৃৎ বিপ্লবী কমরেড মুজফফর আহমদের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
[email protected]

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: শ্রদ্ধা জানাই।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:২২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ
রাজীব নূর ভাই
কমরেড মুজফফর
আহমদের মৃত্যুবার্ষিকীতে
শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের জন্য।

২| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


দু:খের সাথে বলতে হয় যে, উনাদের ভুলের জন্য পাক-ভারতের মানুষ সোস্যালিজম বিরোধী হয়ে গেছে

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ জনাব চাঁদগাজী আপনার মূল্যবান্ মন্তব্যের জন্য।
তবে মোজাফফর আহমদ কখনও স্বার্থ আর গদীর জন্য রাজনীতি করেননি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম আওয়ামী লীগের একক নেতৃত্বে হলেও
মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল বহুদলীয় মতের ভিত্তিতে।
সে যুদ্ধে অংশ নিয়ে আত্মাহুতি দিয়েছেন অনেক দলের নেতা কর্মী।
ন্যাপ ও সোভিয়েত ইউনিয়ন ঘেঁষা কমিউনিস্ট পার্টি ছিলো তাদের অন্যতম।
তিনি ও তাঁর দল শেষদিন পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের মূলধারার প্রতি অনুগত ছিলো।
ছিলো বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
প্রলোভনে মন্ত্রী হবার খায়েশ ছিলো না বলেই চলে গিয়েছিলেন লোকজনের চোখের আড়ালে।
মন্ত্রী তিনি বঙ্গবন্ধু আমলেও হতে পারতেন। সে প্রস্তাব বিনয়ের সঙ্গে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।
স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু তাঁর বাল্যবন্ধু মোজাফফর আহমদকে আমন্ত্রণ জানালেন
মন্ত্রীসভায় যোগ দিতে। যদিও বা রাজনৈতিক আদর্শ ভিন্ন ছিল, তথাপি তাদের
বন্ধুত্ব ছিল খুবই ঘনিষ্ঠ। অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেন।
কারন তখন বঙ্গবন্ধুর আশেপাশে এমন কিছু সুবিধাবাদীর দাপট, তিনি
(মোজাফফর আহমদ) সেখানে গেলেও কোনো কাজ করার সুযোগ পেতেন না।’
বমরেড মোজাফফর আহমদ আদর্শবান। সে কারণেই জাসদ, বাসদ কিংবা চৈনিক
বামদের মতো কোনো সেনানায়ক, খালেদা জিয়া কিংবা আওয়ামী লীগের '
হাতে পায়ে ধরে বা আঁতাত করে মন্ত্রীহননি। মন্ত্রী হওয়া এখন যে আর কোনো
গৌরবের ব্যাপার না সেটা তিনি ঠিকই বুঝতে পেরেছিলেন।

৩| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৯

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: একজন পরম শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব।
আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের অভিভাবক ছিলেন তিনি।
শ্রদ্ধা জানাই তাঁকে।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:০৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কমরেড মুজফফর আহমদ বয়সে কাজী নজরুল ইসলামের দশ বছর বড় ছিলেন।
তাহার লেখা 'কাজী নজরুল ইসলাম :স্মৃতিকথা' দুইটি বড় মূল্যবান বই। এই বই দুইটি
পড়িলে কবির কলিকাতা জীবনের গোড়ার কথা অনেক পরিষ্কার জানা যায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.