নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুসলিম বাংলা সাহিত্যের প্রধান অগ্রদূত সাহিত্য সম্রাট মীর মশারফ হোসেনের ১০৭তম মৃত্যুৃবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫৩


মুসলিম রচিত আধুনিক বাংলা সাহিত্যের সমন্বয়ধর্মী ধারার প্রবর্তক বাংলা গদ্য সাহিত্যের বিশিষ্ট লেখক মীর মশাররফ হোসেন। সাহিত্য সম্রাট মীর মশাররফ হোসেন ছিলেন মুসলিম বাংলা সাহিত্যের অগ্রপথিক। তাঁর পূর্বে কোনো মুসলমান সাহিত্যিকই এত বিপুলভাবে সাহিত্যক্ষেত্রে অগ্রসর হননি। তিনি সাহিত্যের সকল শাখায় অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন। এদিক থেকে তিনি মুসলিম জাগরণের পথিকৃৎ। বাংলা গদ্য সাহিত্যের এই কালজয়ী লেখক ও বিশিষ্ট মনীষী মীর মোশাররফ ১৯১২ সালের ১৯ ডিসেম্বর দেলদুয়ার এস্টেটে ম্যানেজার থাকাকাল পরলোকগমন করেন। আজ তাঁর ১০৫তম মৃত্যুবার্ষিকী। বাংলা গদ্য সাহিত্যের বিশিষ্ট লেখক মীর মশাররফ হোসেন এর মুত্যুৃবার্ষিকীতে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি।

সাহিত্য সম্রাট মীর মশাররফ হোসেন ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলার লাহিনীপাড়া গ্রামের সম্ভান্ত ও ধনাঢ্য মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মীর মোয়াজ্জম হোনেন। মীর মোয়াজ্জম হোনেন ছিলেন বিপুল ভূ-সম্পত্তির অধীকারী। মীর মশাররফ হোসেনের শিক্ষা জীবন শুরু হয় স্বগৃহে মুন্সির কাছে। মুন্সির কাছে তিনি আরবী-ফারসি এবং পাঠশালায় পণ্ডিতের কাছে বাংলা। তাঁর লেখাপড়ার জীবন কাটে প্রথমে কুষ্টিয়ায়, পরে ফরিদপুরের পদমদীতে ও শেষে কৃষ্ণনগরের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে। কৃষ্ণনগরের কলেজিয়েট স্কুলে তিনি পঞ্চম শ্রেনী পর্যন্ত লেখা-পড়া করেন। এর পরে তিনি তাঁর পিতৃবন্ধু আলীপুর আদালতের আমীন নাদির হোসেনের আশ্রয়ে কলকাতায় কালীঘাট স্কুলে ভর্তি হন, কিন্তু লেখাপড়ায় বেশীদূর অগ্রসর হতে পারিননি। তিনি তাই লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে নাহিনীপাড়ায় এসে পিতৃসম্পত্তি দেখাশুনা করতে থাকেন।

মাত্র আঠার বছরে বয়সে (১৯ মে' ১৮৬৫) তাঁর পিতৃবন্ধু আলীপুর আদালতের আমিন নাদির হোসেনের সুন্দরী কন্যা লতিফুননেসার সাথে মীর মশারফ হোসেনের বিবাহ স্থির হয়। কিন্তু বিবাহ-অনুষ্ঠানে নাদির হোসেন প্রবঞ্চনাপূর্বক তার তার কুরূপা ও বুদ্ধিহীনা কন্যা আজিজুননেসাকে মীর মোশাররফ হোসেনের সাথে বিবাহ প্রদান করা হয়। এই বিবাহে মীর মোশাররফ হোসেন সুখী হতে পারেননি। তাই বিবি কুলসুম তার দ্বিতীয় স্ত্রী রূপে গ্রহণ করেন। তাঁর জীবনের অধিকাংশ সময় ব্যয় হয় ফরিদপুরের নবাব এস্টেটে চাকরি করে। ১৮৮৫ সালে দেলদুয়ার এস্টেটের ম্যানেজার হয়ে তিনি টাঙ্গাইলে আসেন। কিন্তু জমিদার পরিবারের সাথে মনোমালিন্য এবং স্থানীয় লোক ও কর্মচারীদের সাথে বিবাদের কারণে টাঙ্গাইল ছেড়ে লাহিনীপাড়ায় প্রত্যাবর্তন করেন। এর পরে ভাগ্যান্বেষণে বগুড়া, কলকাতা এবং শেষে পদমীতে যাতায়াত করেন। বাংলা সাহিত্যের বাঙালি মুসলমানদের অগ্রপুরুষ মীর মশাররফ হোসেন তাঁর বহুমুখী প্রতিভার মাধ্যমে উপন্যাস, নাটক, প্রহসন, কাব্য ও প্রবন্ধ রচনা করে আধুনিক যুগে মুসলিম রচিত বাংলা সাহিত্যে সমৃদ্ধ ধারার প্রবর্তন করেন। কাঙ্গাল হরিনাথ ছিলেন তাঁর সাহিত্য গুরু। সাহিত্যরস সমৃদ্ধ গ্রন্থ রচনায় তিনি বিশেষ কৃতিত্ব দেখান।
রত্নবতী, গোরাই-ব্রিজ অথবা গৌরী-সেতু ,বসন্তকুমারী নাটক, জমীদার দর্পণ নাটক,
এর উপায় কি? প্রহসন, বিষাদ সিন্ধু মহরম পর্ব উপন্যাস, বিষাদ সিন্ধু উদ্ধার পর্ব উপন্যাস,
বিষাদ সিন্ধু এজিদ-বধ পর্ব উপন্যাস, ঙ্গীত লহরী, ১ম খন্ড গান, গো-জীবন প্রবন্ধ,
বেহুলা গীতাভিনয় নাটক গদ্যে পদ্যে রচিত, উদাসীন পথিকের মনের কথা উপন্যাস,
তহমিনা উপন্যাস, টালা অভিনয় প্রহসন 'হাফেজ' পত্রিকার মার্চ-এপ্রিল সংখ্যায় প্রকাশিত হয়
নিয়তি কি অবনতি নাটক, গাজী মিয়াঁর বস্তানী নক্সা , ভাই ভাই এইত চাই প্রহসন, ফাস কাগজ প্রহসন ,এ কি? প্রহসন, পঞ্চনারী পদ্য কবিতা, প্রেম পারিজাত গদ্য রচনা,
রাজিয়া খাতুন গদ্য রচনা, বাঁধা খাতা প্রহসন, মৌলুদ শরীফ ধর্ম বিষয়ক গদ্যে-পদ্যে রচিত ধর্ম্মোপদেশ, মুসলমানের বাংলা শিক্ষা, ১ম ভাগ স্কুল পাঠ্য ,বিবি খোদেজার বিবাহ কাব্য,
হজরত ওমরের ধর্ম্মজীবন লাভ কাব্য, হজরত বেলালের বেলালের জীবনী কাব্য,
হজরত আমীর হামজার ধর্ম্মজীবন লাভ কাব্য, মদিনার গৌরব কাব্য, মোসলেম বীরত্ব কাব্য, এসলামের জয় গদ্য রচনা, সলমানের বাংলা শিক্ষা, ২য় ভাগ স্কুল পাঠ্য, বাজীমাৎ নক্সা কবিতায় রচিত নক্সা, আমার জীবনী, ১ম খন্ড আত্মজীবনী, হজরত ইউসোফ গল্প, আমার জীবনীর প্রথম খন্ডে যন্ত্রস্থ বলে বিজ্ঞাপিত হয়েছে। খোতবা গদ্য রচনা, কুলসুম-জীবনী, আত্মজীবনী ইত্যাদ্যি তাঁর বিস্ময়কর সৃষ্টি। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে মীর মশাররফ হোসেনের অবদান অস্বীকার করার কোনো অবকাশ নেই। তিনি ছিলেন বাংলা সাহিত্যের অমর স্রষ্টা। বাংলার মুসলমান সমাজের দীর্ঘ অর্ধ শতাব্দীর জড়তা দূর করে আধুনিক ধারায় ও রীতিতে সাহিত্য চর্চার সূত্রপাত ঘটে তাঁর শিল্পকমের মাধ্যমে। তাঁর সৃষ্টিকর্ম বাংলার মুসলমান সমাজে আধুনিক সাহিত্য ধারার সূচনা করে। তাঁর অমর সৃষ্টি ‘বিষাদ সিন্ধু’। মহররমের বিষাদময় ঐতিহাসিক কাহিনী অবলম্বনে তাঁর রচিত মহাকাব্যধর্মী উপন্যাস "বিষাদ-সিন্ধু" আমাদের ইতিহাস ও সাহিত্যের এক স্থায়ী ও অমূল্য সম্পদ।
বাংলা গদ্য সাহিত্যের এই কালজয়ী লেখক ও বিশিষ্ট মনীষী মীর মোশাররফ ১৯১২ সালের ১৯ ডিসেম্বর দেলদুয়ার এস্টেটে ম্যানেজার থাকাকাল পরলোকগমন করেন। আজ তাঁর ১০৭তম মৃত্যুবার্ষিকী। মুসলিম রচিত আধুনিক বাংলা সাহিত্যের সমন্বয়ধর্মী ধারার প্রবর্তকবাংলা গদ্য সাহিত্যের বিশিষ্ট লেখক মীর মশাররফ হোসেন এর মুত্যুৃবার্ষিকীতে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
[email protected]

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:২৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




সাহিত্য সম্রাট মীর মশাররফ হোসেনের বিষাদ সিন্ধু বইটি যারা পড়েন নি অথচ ইসলামের ঝান্ডা নিয়ে উম্মদনা করেন তাদের আর বই পড়ার দরকার নেই। মীর মশাররফ হোসেনের বই বিষাদ সিন্ধু আর পড়ার দরকার নেই। কারণ অজনা অজানাই থাকুক। সবার জন্য সব কিছু নয়।

নূর মোহাম্মদ নূরু ভাই, সহিত্য জগতের প্রবাদ পুরুষ সাহিত্য সম্রাট মীর মশাররফ হোসেন কে নিয়ে লেখার জন্য আজকে আপনি বিশেষ ধন্যবাদ প্রাপ্য। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৩৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ ঠাকুর ভাই
মন্তব্যে আপনার তিব্র প্রতিক্রিয়া
ব্যক্ত করার জন্য ধন্যবাদ।

২| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৫৬

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: ছোট বেলায় বিষাদ সিন্ধু পড়ে কেঁধেছি,
মনে হতো যেন লেখক নিজে সাক্ষী থেকে ঘটনাক্রম লিখছেন ।
................................................................................
এখন ভাবি তিনি সব কথা সত্য লিখেন নাই তবে তার লেখার গুনে
সাহিত্যর বিচারে চমৎকার লিখেছেন ।
তাঁর ১০৭তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমার শ্রদ্ধাঞ্জলি থাকল ।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:১৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ শঙ্খচিল আপনাকে
চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
বিষাদ সিন্ধু সাহিত্য হিসেবে
চমৎকার. অতুলনীয় তবে
সত্যঘটনা কতটুকু আর কতটুকু
মিশেল তার বিচারের ক্ষমতা আমার নাই।

৩| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৫৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




নূর মোহাম্মদ নূরু ভাই,
খুবই দুঃখের বিষয় - অনলাইনে ব কলম আহাম্মকের লেখা পড়ে, অনলাইনে ব কলম আহাম্মকের ভিডিও দেখে লোকজন ইসলামিক তর্ক করে। ইসলামিক স্কলারদের একটি বইও তারা জীবনে পড়েনি।

আপনাকে আবারো ধন্যবাদ।


২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:১৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকেও ধন্যবাদ মাহমুদ ভাই
এই কনকনে শীতের রাতে পুনরায়
আমাকে উৎসাহ দেবার জন্য।
অর্বাচীনদের জন্য করুনা হয়।

৪| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:


এই ধরণের লোকজন কি আসলে ছিলেন, নাকি আপনি ফিকশান রচনা করছেন?

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:১৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
এইসকল মহাজ্ঞাণীরা যখন জন্মেছিলেন তখন
আমি জন্মাই্নি, তাই বলতে পাররবোনা নিশ্চিত করে
তাঁরা ছিলেন কিনা। তবে বই পুস্তক পাঠে যতদূর
জেনেছি তাঁতের সম্পর্কে তার কিয়দাংশ পরবর্তী
প্রজন্মের জন্য রেখে গেলাম।

৫| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:১২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:





চাঁদগাজী ভাই,
মীর মোশাররফ হোসেনের বিষাদ সিন্ধু পার্সিয়ান সাহিত্য কারবালা’র অনুবাদ। এটি পড়ার পর মুসলিম সম্পর্কে যে ধারণা হবে সেখানে জঙ্গি ফঙ্গির কোনো জায়গা নেই। জঙ্গি তৈরি হয়েছে ৩০-৪০ বছর ধরে বিন লাদেন আর মোল্লা উমরের হাত ধরে।

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: ছোট বেলায় বিষাদ সিন্ধু পড়ে কেঁধেছি,
মনে হতো যেন লেখক নিজে সাক্ষী থেকে ঘটনাক্রম লিখছেন ।
................................................................................
এখন ভাবি তিনি সব কথা সত্য লিখেন নাই তবে তার লেখার গুনে
সাহিত্যর বিচারে চমৎকার লিখেছেন ।

ইসলাম সম্পর্কে কে সত্য লিখেন খ্রিষ্টান ইহুদী আর বাংলাদেশের নব্য যীশুর নামে যারা চাকরি খোজে তারা?

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:২০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে আবারো ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা
জ্ঞানগর্ভ আলোচনার জন্য।
চমৎকার বলেছেন!!!

৬| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


আসলে, নুরু সাহেবকে বিশ্বাস করতে হয়, উনি বিখ্যাত লোকদের নিয়েই আছেন; মাঝে মাঝে ছোট খাট সন্দেহ হয় আর কি!

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৪৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: সন্ধেহ্ একটা বাতিক
এ্টি একটি রোগ।
সন্ধেহ বাতিকে পুড়েছে
অনেক ঘর !!
শরৎ চন্দ্র বলেছিলেন
"ন্ত্রীকে বিশ্বাস করে ঠকাও ভালো
জিতে প্রাপ্তি দহন জ্বালা"


সুতরাং সন্ধেহ বাতিক পরিহার করুন
বিশ্বাসে থিত থাকুন।

৭| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৫৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:





মীর মশাররফ হোসেন হল - জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের অন্যতম আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট হল সংখ্যা ১৬টি, এর মধ্যে ছাত্রদের জন্য ৮টি এবং ছাত্রীদের জন্য ৮টি হল রয়েছে। তারমধ্য একটি হল বাংলা সাহিত্য সম্রাট মীর মশাররফ হোসেনের নামে।

"মীর মশাররফ হোসেন হল" ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে নির্মিত হয়েছে ১৯৭৩ সালে। ১ঌ৭৮ সালের ১৪ এপ্রিল অনষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে হলটির নাম করণ করা হয় “মীর মশাররফ হোসেন হল”৷ হলটির ছাত্র ধারন ক্ষমতা ৯০০+। প্রজাপতির প্রতিকৃতিতে নকশাকৃত এই হলটির স্থপতি ছিলেন, মাজহারুল ইসলাম। প্রভোস্টঃ অধ্যাপক ড. ওবায়দুর রহমান(২০১৯-বর্তমান)

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দৃঢ় ও শোভন, নন্দি ও মনোরম আবাসিক ভবনের নাম "মীর মশাররফ হোসেন হল।" ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে ঘন সবুজবেষ্টনীর ভেতর মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে এই শীর্ষমুখী লাল দালান। ছাত্রদের জন্যে নির্মিত হয়েছে ১৯৭৩ সালে। মীর মশাররফ হোসেন হল জাহাঙ্গীর বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম হল৷ চারতলা বিশিষ্ট হলটি মুক্ত হাওয়া ও মনোরম পরিবেশে অবস্থিত৷ এ হলটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১ঌ৭৩ সনে৷ হলের প্রথম প্রভোস্ট হিসাবে রসায়ন বিভাগের ডঃ মেসবাহউদ্দিন আহমেদ ১ঌ৭৩ সালের ৬ আগস্ট দায়িত্বভার গ্রহণ করেন৷ হলটি ১ঌ৭৩ সালের ৬ আগস্ট থেকে ১ঌ৭৮ সালের ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ২ নং হল হিসাবে পরিচিত ছিল৷ ১ঌ৭৮ সালের ১৪ এপ্রিল অনষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে “বিষাদ সিন্ধু” উপন্যাস রচয়িতা, অমর কথাশিল্পী মীর মশাররফ হোসেনের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে হলটির নাম করণ করা হয় “মীর মশাররফ হোসেন হল”৷ হলটিতে ৯০০+ জন ছাত্রের আসন রয়েছে৷ এর মধ্যে এক আসন বিশিষ্ট ২৬৪টি এবং দুআসন বিশিষ্ট ২২৬টি কক্ষ৷ হলের উত্তর পার্শ্বে পেয়েছে৷ এ ছাড়া হল সংলগ্ন ১২ জন আবাসিক শিক্ষকের বাসভবন, হলের উত্তর পার্শ্বে দ্বি-তিল হল অফিস, হল ছাত্র সংসদ অফিস এবং হলের উত্তর-পশ্চিম পার্শ্বে প্রভোস্টের দ্বি-তল বাসভবন অবস্থিত৷১ঌ৭৩ সালের ১৪ ডিসেম্বরে হলের প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হয় এবং ১ঌ৭৪ এর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ছাত্র বসবাস শুরু করে৷

বর্তমানে হল প্রশাসন পরিচালনার জন্য ১ জন প্রভোস্ট, ২ জন ওয়ার্ডেন, ৩ জন আবাসিক শিক্ষক, ৭ জন সহকারী আবাসিক শিক্ষক, ২ জন প্রশাসনিক অফিসার, ২২ জন তৃতীয় শ্রেণী এবং ৪১ জন ৪র্থ শ্রেণীরকর্মচারী ও ডাইনিং বয়সহ ২২জন অনিয়মিত ডাইনিং কর্মচারী রয়েছে৷ মীর মশাররফ হোসেন হলের ছাত্রদের ক্লাশ করার জন্য চমত্‌কার পরিবহন ব্যবস্থা রয়েছে৷ মূল ভবনটি দুটি ব্লকে বিভক্ত(ব্লক-এ এবং ব্লক-বি)। এই হলের মোট কক্ষ সংখ্যা মোট ৪৯০টির মাঝে ২৬৪টি হলো একক কক্ষ, যেগুলো পূর্ব-পশ্চিম সারিতে অবস্থিত। আর বাকি দ্বৈত কক্ষগুলো ৪৫ ডিগ্রী কোণ তৈরি করে একক কক্ষগুলোর সাথে দাড়িয়ে আছে।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:০৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

চমৎকার তথ্য সংযোজনের জন্য
অসংখ্য ধন্যবাদ। পাঠক নিশ্চয়ই
উপকৃত হবেন।

৮| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ২:০৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:










২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
চমৎকার সংযোজন।
ধন্যবাদ।

৯| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ২:০৯

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: ওনার বিষাদ সিন্ধ এখনও পড়িবি। শ্রদ্ধা।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
যত পড়বেন ততই এর মধুর স্বাদ
লভিতে পারবেন।

১০| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: বিশাদ সিন্ধু বইটা কেউ সহজ করে লিখে না কেন??

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনিই শুরু করেন না কেন?
চেষ্টায় কি না হয়!

১১| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৪৭

টারজান০০০০৭ বলেছেন: প্রতিভার বিপুল অপচয় করিয়াছেন "বিষাদ সিন্ধু" তে সাহাবী হজরত মুয়াবিয়া রা. কে জঘন্য ভাবে উপস্থাপন করিয়া। ঠাকুর মহাশয় যাহা বলিলেন, "বিষাদ সিন্ধু" যদি পার্সিয়ান সাহিত্য কারবালা’র অনুবাদ হয় তাহা হইলে শিয়াদের অপকর্ম হিসেবে মিলিয়া যায় ! উনি নিজেও শিয়া ছিলেন কিনা জানিনা ! উনার আলুর দোষও ছিল শুনিয়াছি ! সাহিত্যগুণে যতই আদরণীয় হউক,"বিষাদ সিন্ধু"তে রাসূল স. এর আত্মীয়, সম্মানিত সাহাবী আমিরুল মুমিনীন মুয়াবিয়া রা. এর নামে কুৎসা রচনা করিয়া মীর মশাররফ মহা অন্যায় করিয়াছেন।

বরং তাহার 'জমিদার দর্পন' অপেক্ষাকৃত ভালো রচনা !

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আবার পড়ুন, আবার পডুন
বারে বারে পড়ুন। দেখবেন
তখন আর খারাপ লাগবে না।

১২| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৪০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




টারজান০০০০৭ ভাই,
আপনি “বিষাদ সিন্ধু” পড়েছেন? পার্শিয়ানদের সম্পর্কে জানেন?

১৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:০১

টারজান০০০০৭ বলেছেন: প্রিয় নুরু ভাই। অনুগ্রহ করিয়া আমার পূর্বের কমেন্ট খানা মুছিয়া দিবেন !

প্রিয় ঠাকুর ছাহাব ! জি অনেক আগে একবার পড়িয়াছিলাম। আপনার প্রশ্নের পরে আবার পড়িলাম ! বিষাদ সিন্ধুর উপক্রমিকটাই খারাপ লাগিয়াছে ! ভিতরে তিনি মুয়াবিয়া রা. সম্পর্কে খারাপ কিছু লিখিয়াছেন বলিয়া পাই নাই ! বিষাদ সিন্ধু ইতিহাস নহে। কিন্তু ঐতিহাসিক ধর্মীয় চরিত্র লইয়া কোন কিছু রচনা করিতে হইলেও নির্ভরযোগ্য ইতিহাসের প্রয়োজন যাহা বিষাদ সিন্ধুতে অনুপস্থিত !
জি , পার্শিয়ানদের সম্পর্কে কিঞ্চিৎ জ্ঞান আছে ! দুয়েকজন বন্ধুবান্ধবও আছেন ! যদি সম্যক জ্ঞানের কথা বলেন তাহা অবশ্য নাই ! তবে শিয়াদের আকাম সম্পর্কে, আকিদা সম্পর্কে কিঞ্চিৎ পড়া আছে ! আর যদি প্রাচীন পার্শিয়ানদের কথা বলেন , তাহাও ইতিহাস হইতেই কিঞ্চিৎ পড়িয়াছি ! নিজেকে পন্ডিত দাবি করিতেছি না !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.