নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ইতিহাসের স্মরণীয় ব্যক্তিত্ব হ্যালহেডের মৃত্যুবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:০৫


বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ইতিহাসের স্মরণীয় ইংরেজ ব্যক্তিত্ব হ্যালহেড। বাঙালি সংস্কৃতির ইতিহাসে হ্যালহেডের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান তাঁর বাংলা ভাষার ব্যাকরণ। এর আগে পর্তু©র্গজ ধর্মযাজকরা তাঁদের নিজস্ব ভাষায় কিছু বাংলা ব্যাকরণ রচনা করেছিলেন বটে, কিন্তু সেগুলি ছিল সংক্ষিপ্ত ও বিক্ষিপ্ত এবং সেগুলি রচিত হয়েছিল তাঁদের ধর্মপ্রচারের কাজে ব্যবহারের জন্য। হ্যালহেডের কাজটি প্রকৃতপক্ষেই ছিল একজন নিঃস্বার্থ বুদ্ধিজীবীর কাজ। তিনি ইউরোপীয় যুক্তি ও বিজ্ঞান-মনস্কতার প্রভাবে বিশ্বাস করতেন যে, জ্ঞানের চর্চা কেবল জ্ঞানের প্রয়োজনেই করা উচিত। তাঁর ব্যাকরণেই সর্বপ্রথম বাংলা অক্ষরের প্রকাশ ঘটে। বাংলা ভাষার প্রথম মুদ্রিত ব্যাকরণ ভোকাবুলারিও পর্তুগিজ ভাষায় রচিত (লিসবন, ১৭৪৩), কিন্তু হ্যালহেডের ব্যাকরণ ইংরেজিতে রচিত এবং এতে বাংলায় প্রচুর উদাহরণ, উদ্ধৃতি ইত্যাদি দেওয়া হয়েছে। তবে হ্যালহেডের একটা দুর্বলতা ছিল এই যে, তিনি বাংলা ভাষা ভাল করে না জেনেই বাংলা ব্যাকরণ রচনা করেছিলেন। তাই তাঁর প্রচেষ্টার সুদূরপ্রসারী কোনো ফল দেখা যায়নি, যদিও তাঁর মাধ্যমেই বাংলা ব্যাকরণ আধুনিকতার দিকে এগুতে থাকে। বাংলা লিপির প্রতি হ্যালহেডের অবিস্মরনীয় অবদানের কথা স্মরণ করে হ্যালহেডের ব্যাকরণে ব্যবহৃত বাংলা লিপি অনুসরণে তৈরী ফন্ট- ”হ্যালহেড“ লিপিঘর থেকে প্রকাশিত হয়। হ্যালহেডের ব্যাকরণে ব্যবহৃত বাংলা অক্ষরের আকার-আকৃতি অধুনা প্রচলিত বাংলা লিপির সাথে পুরোপুরি মেলে না। তাই অপরিচিত অক্ষরগুলিকে যথা সম্ভব পরিচিত আকার প্রদান করার চেষ্টা করা হয়েছে। ন্যাথানিয়েল ব্র্যাসি হ্যালহেড ইংল্যান্ডের এক সম্পন্ন পরিবারের সন্তান। ভাষা এবং সাহিত্যে তাঁর খুব কম বয়স থেকেই বিশেষ আগ্রহ ছিল। তাঁর ভারতে আসাটা নেহাতই এক ব্যাক্তিগত প্রেম ঘটিত কারণে। একটি ত্রিভুজ প্রেমে জড়িয়ে পরে শেষ পর্যন্ত পিতার সঙ্গে মনোমালিন্য হয়ে যায়। তিনি সে সময় ভগ্ন হৃদয়ে হয়ত শান্তির সন্ধানেই চলে আসেন ভারতে। সেটা ১৭৭২ সাল। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী জমিয়ে ব্যবসা আরম্ভ করেছে এ দেশে। ওয়ারেন হেস্টিংস তখন গভর্নর হয়ে ভারতে ইংরেজদের ব্যবসা দেখছেন, এবং বণিকের মানদণ্ডকে রাজদণ্ডতে পরিণত করার পরিকল্পনা করছেন। হ্যালহেড এবং হেস্টিংস দুজনেরই শরীরে নীল রক্ত এবং ইংল্যান্ডের পাব্লিক স্কুলের প্রোডাক্ট হওয়ার সুবাদে দুজনে বেশ বন্ধুত্ব হয়ে গেল। দু জনেরই প্রাচ্যবিদ্যাতেও আগ্রহ ছিল। হেস্টিংস হ্যালহেডকে প্রথমে দায়িত্ব দেন একটি হিন্দু আইন শাস্ত্রের বইয়ের ইংরাজী অনুবাদ করার। তিনি তা সাফল্যের সঙ্গে করে ফেলেন। এর পরে হেস্টিংস হ্যালহেডকে অনুরোধ করেন বাংলা ভাষার ব্যাকরণ রচনা করার জন্যে। প্রচুর খাটাখাটনি করে ১৭৭৮ সালে হ্যালহেড লিখে ফেলেন A Grammar of The Bengal Language। তিনি এই বইটি যতটা বাংলা ভাষাকে ভালোবেসে লেখেন তার চেয়ে বেশি লেখেন ইংরেজদের এ দেশে পাকাপাকি ভাবে বসবাস করা সুবিধা মাথায় রেখে। তবুও এই কাজটি নিঃসন্দেহে বাঙ্গালির জন্যে অতি প্রয়োজনীয় কাজ। কারণ এর আগে বাংলা ভাষায় কোনো ব্যাকরণ ছিল না। আজ ইংরেজ প্রাচ্যবিদ ও বৈয়াকরণবিদ হ্যালহেড এর তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৮৩০ সালের আজকের দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ইতিহাসের স্মরণীয় ব্যক্তিত্ব হ্যালহেডের মৃত্যুবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।

হ্যালহেড ১৭৫১ সালের ২৫ মে লন্ডনের এক উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পুরো নাম ন্যাথানিয়েল ব্র্যাসি হ্যালহেড। তাঁর পিতা উইলিয়ম হ্যালহেড (William Halhed) ছিলেন একজন ব্যাংকার। ন্যাথানিয়েল ছিলেন পরিবারের বড় ছেলে। তিনি বিখ্যাত পাবলিক স্কুল হ্যারোতে (১৭৫৮-৬৮) পড়াশোনা করেন। সেখানে তাঁর যোগাযোগ হয় Richard Brinsley Sheridan, Samuel Parr এবং উইলিয়ম জোনস-এর (১৭৪৭-১৭৯৪) সঙ্গে। হ্যারো থেকে হ্যালহেড অক্সফোর্ডে গিয়ে Christ College-এ ১৭৬৮ থেকে ১৭৭০ সাল পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। সেখানে জোনসের সঙ্গে তাঁর পুনরায় সাক্ষাৎ ঘটে। জোনস তাঁকে আরবি শিখতে উৎসাহিত করেন। কিন্তু হ্যালহেড এ ব্যাপারে বেশিদূর অগ্রসর হতে পারেননি। এর পরিবর্তে তিনি বরং গ্রিক ও ল্যাটিন ভাষা চর্চা করেন এবং গ্রিক ভাষায় যথেষ্ট দক্ষতাও অর্জন করেন। তিনি শেরিডনের সঙ্গে যৌথ প্রচেষ্টায় The Love Epistles of Aristaenetus শীর্ষক গ্রন্থটি গ্রিক ভাষা থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করে বেশ খ্যাতি ও সুনাম অর্জন করেন। অনুবাদ এমনই অনবদ্য ও জনপ্রিয় ছিল যে, চার বছরে গ্রন্থটির তিনটি সংস্করণ প্রকাশিত হয়। হ্যালহেডের মধ্যে এ সময় সাহিত্য-সম্ভাবনা প্রকাশ পায়, কিন্তু একটি অপ্রীতিকর ঘটনার শিকার হয়ে তাঁকে দেশ ত্যাগ করতে হয়। হ্যালহেড এবং শেরিডন উভয়ই একই সময়ে Miss Linley নামে এক মহিলাকে ভালোবাসতেন। শেষাবধি এতে শেরিডনের জয় হয়। এ নিয়ে পিতার সঙ্গে হ্যালহেডের মনোমালিন্য হয়। তাই সমসাময়িক অনেকের মতো তিনিও ভগ্ন হূদয়ে সাফল্য ও শান্তির সন্ধানে বিদেশে পাড়ি জমান। এভাবে তিনি ১৭৭২ সালে কলকাতায় এসে পৌঁছান এবং ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিতে রাইটার হিসেবে প্রাথমিক পর্যায়ের চাকরি নেন। হ্যারো ও ক্রাইস্ট কলেজের ছাত্র হিসেবে এবং সাহিত্যিক গুণের অধিকারী হওয়ার কারণে হ্যালহেড অচিরেই গভর্নর Warren Hastings-এর বন্ধুতে পরিণত হন। হেস্টিংস Westminster পাবলিক স্কুলে পড়াশোনা করেছিলেন এবং প্রাচ্যবিদ্যার একজন পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। পাবলিক স্কুলে পড়াশোনা করার সুবাদে হ্যালহেডও প্রাচ্যবিদ্যা চর্চার জীবন বেছে নেন। হেস্টিংসের অনুরোধে তিনি এক বিশাল আইনগ্রন্থ রচনা করেন: A Code of Gento Laws, or Ordinations of the Pundits। গ্রন্থটি ১৭৭৬ সালে লন্ডন থেকে প্রকাশিত হয়। এটি মূলত হিন্দু আইনশাস্ত্রের একটি সারসংকলন, যা এগারোজন ব্রাহ্মণ পন্ডিত সংস্কৃত ভাষায় সংকলন করেন। পরে একজন মুন্সি এটি প্রথমে ফারসি ভাষায় অনুবাদ করেন এবং সেখান থেকে হ্যালহেড ইংরেজিতে অনুবাদ করেন। কাজেই এটি ছিল একটি ত্রি-স্তরীয় কাজ, যদিও প্রথম দুই স্তরের পন্ডিতদের নাম গ্রন্থে উল্লিখিত হয়নি। পরবর্তী দশকে এ গ্রন্থটির কয়েকটি সংস্করণ প্রকাশিত হয়। ফরাসি ও জার্মান ভাষায়ও এর অনুবাদ হয়। এর মাধ্যমেই বয়স তিরিশে পৌঁছার আগেই হ্যালহেডের খ্যাতি ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ে।

ওয়ারেন হেস্টিংসের অনুরোধে হ্যালহেড তাঁর দ্বিতীয় প্রকল্প বাংলা ভাষার ব্যাকরণ রচনায় ব্যাপৃত হন। তাঁর A Grammar of the Bengal Language গ্রন্থটি ১৭৭৮ সালে প্রকাশিত হয়। এ গ্রন্থ প্রকাশের পর হ্যালহেড লন্ডনে ফিরে যান এবং ১৭৮৪ সালে আবার কলকাতায় ফিরে আসেন। ততদিনে কলকাতার সামাজিক দৃশ্যপট অনেকটাই পাল্টে যায় এবং হেস্টিংস কোম্পানির কোর্ট অব ডিরেক্টরদের রোষাণলে পড়েন। হেস্টিংসকে এক সময় পদত্যাগ করতে বলা হয় এবং তিনি পদত্যাগও করেন। এ ঘটনায় হ্যালহেডও চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে ওই বছরই লন্ডন ফিরে যান। দেশে ফিরে হ্যালহেড বেশ কিছু অনুবাদের কাজ সম্পাদন করেন। ১৭৮৭ সালে তিনি দারাশিকোর ফারসি অনুবাদ অবলম্বনে ইংরেজিতে উপনিষদ অনুবাদ করেন। তিনি ১৭৯১ সালে পার্লামেন্টের সদস্য নির্বাচিত হন। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল বিচারে হেস্টিংসকে সহায়তা করা এবং এ কাজটি তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গেই করেছিলেন। কিন্তু অচিরেই ব্রিটিশ চিন্তাবিদরা হ্যালহেডের মতামতের নিরপেক্ষতায় সন্দেহ প্রকাশ করতে শুরু করেন, কারণ তিনি যোগ ও সুফি মতবাদে বিশ্বাস করতেন। বস্ত্ততপক্ষে হ্যালহেড তখন চিন্তাভাবনা করছিলেন কীভাবে প্রাচ্য ও প্রতীচ্যের ভাবনার মধ্যে সমন্বয় সাধন করা যায়। তিনি নিজেকে ঈশ্বরের দূত হিসেবে ঘোষণাকারী জনৈক Richard Brothers-কে সমর্থন করেন। এর ফলে প্রাচ্যবিদ হিসেবে তাঁর সামাজিক মর্যাদা অনেকাংশে ক্ষুণ্ণ হয়। ফরাসি বিপ্লবের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করার কারণে লন্ডনবাসীরা তাঁকে ঘৃণার চোখে দেখত। ফরাসি বিপ্লবের নীতির প্রতি তাঁর বিশ্বাস এতই গভীর ছিল যে, তিনি তাঁর সারা জীবনের সঞ্চিত অর্থ নিরাপত্তা ও অধিক লাভের আশায় ফ্রান্সে স্থানান্তরিত করেন। এটা তাঁর একটা নির্বুদ্ধিতার কাজ হয়েছিল, কারণ পরে তিনি তাঁর সব অর্থ হারান। অবশ্য বাংলা ভাষার প্রথম মুদ্রিত ব্যাকরণ ভোকাবুলারিও পর্তুগিজ ভাষায় রচিত ১৭৪৩ সালে। কিন্তু হ্যালহেডের ব্যাকরণ ইংরেজিতে রচিত হয়েছিল এবং এতে বাংলায় প্রচুর উদাহরণ, উদ্ধৃতি ইত্যাদি দেওয়া হয়েছিল। হ্যালহেড সম্বন্ধে একটি অভিযোগ আছে তিনি ভাল করে বাংলা ভাষা না জেনেই বাংলা ব্যাকরণ রচনা করেছিলেন। সেটা হয়তো প্রয়োজনের তাগিদে। তাই তাঁর এই প্রচেষ্টা পরবর্তী কালের বাংলা রচনাকারদের জন্যে ততটা কাজে লাগেনি। তবু এর ঐতিহাসিক মূল্য কম নয় এবং বাংলা ভাষার আদি বৈয়াকরণ হিসেবে তাঁর নাম ইতিহাসে থেকেই যাবে। ১৮৩০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারিবন্ধুবিবর্জিত ও অর্থশূন্য অবস্থায় হ্যালহেড মৃত্যুবরণ করেন। আজ ইংরেজ প্রাচ্যবিদ ও বৈয়াকরণবিদ হ্যালহেড এর তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৮৩০ সালের আজকের দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ইতিহাসের স্মরণীয় ব্যক্তিত্ব হ্যালহেডের মৃত্যুবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল ফেসবুক লিংক
[email protected]

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: দেখুন কি অবস্থা!!
হ্যালহেড কে আমি আজই চিনলাম। জানলাম।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে খান সাহেব
আপনার গুরুও মনে হয় আজই চিনবেন ।

২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



সাধারণ মানুষজনকে নিয়ে লিখেন টিখেন

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনি একজন সাধারণ মানুষ
আপনাকে নিয়ে অনেক ছড়া কবিতা
লিখেছি, আর ইচ্ছা করেনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.