নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বরিশালের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং রাজনীতিবিদ নিখিল সেনগুপ্তের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৩৮


বরিশালের খ্যাতিমান নাট্যকার ও সংস্কৃতিকর্মী নিখিল সেনগুপ্ত। তিনি ছিলেন একাধারে একজন অভিনয় শিল্পী, আবৃতিশিল্পী, ভাষা সৈনিক, মুক্তিযোদ্ধা এবং রাজনীতিবিদ। পেশাগত জীবনে তিনি একজন স্কুল শিক্ষক ছিলেন। চারণের মতো ঘুরে ঘুরে বরিশালের সর্বত্রই সংস্কৃতি ও প্রগতির আলো ছড়িয়েছিলেন নিখিল সেন। এ কাজে তিনি জীবনের প্রায় পুরোটা সময় বিলিয়েছেন। বাংলাদেশের মাটি ও মানুষ, বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির জন্য তার ছিল অনন্য ভালোবাসা ও আত্মত্যাগ। অসাম্প্রদায়িক চেতনা, মানবিকতা ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধকে জাতীয় পর্যায়েও ছড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। নিজের আলোয় উদ্ভাসিত করেছেন অসংখ্য মানুষকে। আবৃতিতে অবদানের জন্য ২০১৫ সালে শিল্পকলা পদক এবং নাটকে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ২০১৮ সালে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম পদক একুশে পদক লাভ করেন। এর আগেও ১৯৯৬ সালে শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা, ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন সম্মাননা ও ২০০৫ সালে শহীদ মুনীর চৌধুরী পুরস্কার পান। নিখিল সেনের ধ্যানজ্ঞান ছিল নাটক ও আবৃত্তি। সিরাজের স্বপ্ন নাটকে সিরাজ চরিত্রে অভিনয় করার মধ্য দিয়ে নাট্যজীবন শুরু করেন নিখিল সেন। এরপর তিনি অনেক নাটকে অভিনয় করেছেন। নিজেই নির্দেশনা দিয়েছেন ২৮টি নাটকে। বরিশালের বামপন্থী রাজনীতিতে ভূমিকা রেখেছেন নিখিল সেনগুপ্ত। এ ছাড়াও তিনি ভাষা আন্দোলনের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন নিখিল সেনগুপ্ত। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে নিখিল সেন যুদ্ধে যোগদান করেন। আজ নাটৗজন নিখিল সেনগুপ্তের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। গত বছরের আজকের দিনে তিনি বরিশালে মৃত্যুবরণ করেন। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং রাজনীতিবিদ নিখিল সেনগুপ্তের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

নিখিল সেন গুপ্ত ১৯৩১ সালের ১৬ এপ্রিল বরিশালের কলশ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পুরো নাম নিখিল সেনগুপ্ত হলেও তিনি নিখিল সেন এবং নিখিল দা নামেই পরিচিত। তার পিতার নাম যতীশ চন্দ্র সেনগুপ্ত ও মাতার নাম রোজিনী সেনগুপ্ত। এই দম্পতির দশ সন্তানের মধ্যে নিখিল চতুর্থ। তিনি মাধ্যমিক পাশ করে উচ্চ শিক্ষার জন্য কলকাতা সিটি কলেজে ভর্তি হন এবং কলকাতা থেকে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করে পুনরায় বরিশালে ফিরে আসেন। রিশালের সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সংস্কৃতিজনের অভিভাবক ছিলেন তিনি। তাঁর হাতেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বরিশাল শিল্পী সংসদ, বরিশাল থিয়েটার প্রভৃতি সাংস্কৃতিক সংগঠন। নিখিল সেনের ধ্যানজ্ঞান ছিল নাটক ও আবৃত্তি। কর্মজীবনে ১৯৪১ সাল থেকে নিখিল বরিশালের সাংস্কৃতিক কার্যক্রম বিশেষ করে থিয়েটার ও আবৃত্তিতে জরিত ছিলেন। তিনি ১৯৫১ সালে প্রতিষ্ঠিত বরিশাল শিল্পী সংসদের একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। ১৯৫২ সালে বরিশাল থিয়েটার নামে একটি সাংস্কৃতিক দল গঠন করেন। নিখিল সিরাজের স্বপ্ন নাটকে সিরাজ চরিত্রে অভিনয় করার মধ্য দিয়ে নাট্যজীবন শুরু করেন নিখিল সেন। পরবর্তীতে অসংখ্য নাটকে অভিনয় করেন। ২০০৫ সাল পর্যন্ত তিনি ২৮টি মঞ্চ নাটকে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, মনোজ মিত্রের সাজানো বাগান, মমতাজউদ্দীন আহমেদের নীলদর্পণ এবং মামুনুর রশীদের ওরা কদম আলী।

নিখিল সেন ছিলেন একজন অসাম্প্রদায়িক মানুষ। তিনি ছিলেন গণতান্ত্রিক চেতনার মানুষ। নিখিল সেন কমিউনিস্ট আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে যোগদান করেন এবং পাকিস্তানী শাসনামলে কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হিসেবে দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে তিনি যুদ্ধে যোগদান করেন। ব্যক্তিগত জীবনে নিখিল সেনগুপ্ত ১ ছেলে ও ২ কন্যার জনক। ২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বার্ধক্য জনিত কারণে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় ৮৭ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শেষকৃর্ত সম্পন্ন করার জন্য মরদেহ নেয়া হয় নগরীর মহাশ্মশানঘাটে। সেখানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা শেষে দুপুরে তার শেষকৃর্ত সম্পন্ন করা হয়।আজ নাটৗজন নিখিল সেনগুপ্তের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী।সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং রাজনীতিবিদ নিখিল সেনগুপ্তের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল :-& ফেসবুক লিংক
[email protected]

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:১৭

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই-------

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ লিটন ভাই
রাজনীতিবিদ নিখিল সেনগুপ্তের
মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য।

২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: মুরুব্বী আপানর শ্বশুর বাড়ি কি বরিশাল??

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সারা রাত রামায়ন পরে
সকালে জিজ্ঞাস করেন
সীতা কার বাপ !!!

তৃতীয় বেঞ্চের ছাত্র আপনি
তা আর একবার প্রমাণ করলেন।

অবান্তর প্রশ্ন করা আপনার আর
আপনার গুরুর সহজাত প্রবৃত্তি ।

জানি এবার জিজ্ঞাসা করবেন সহজাত প্রবৃত্তি মানে কি?

সহজাত প্রবৃত্তি হল কোন জীবের আচরণের একটি অংশ।
সহজাত প্রতিক্রিয়া বা অচেতন প্রতিক্রিয়া বা জন্মগত আচরণ
(ইংরেজি: Instinct বা innate behavior) হচ্ছে একটি
বিশেষ জটিল আচরণের প্রতি একটি জীবন্ত জীবের অন্তর্নিহিত
প্রবণতা। উত্তেজনা অর্থাৎ পরিবেশের সংস্পর্শে প্রাণীমাত্রেরই
একটা প্রতিক্রিয়া ঘটে। উত্তেজকের প্রভাবে প্রাণী তার দেহে সাড়া দেয়।
এটি জন্মগতভাবে উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত, অর্জিত নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.