নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

মার্কিন অভিনেতা গ্রেগরি পেক এর ৭২তম জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা

০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:০১


হলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা এলড্রেড গ্রেগরি পেক। যিনি গ্রেগরি পেক নামেই চলচ্চিত্র প্রেমীদের কাছে পরিচিত। হলিউড এ পর্যন্ত যত শিল্পী উপহার দিয়েছে, তার মধ্যে গ্রেগরি পেকের নাম রয়েছে শীর্ষ তালিকায়। আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউটের করা ধ্রুপদী হলিউড চলচ্চিত্র শিল্পের সেরা পুরুষ তারকা তালিকায় তার অবস্থান ১২তম। তিনি ১৯৪০ থেকে ১৯৬০-এর দশকে হলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় তারকা ছিলেন এবং ১৯৮০-এর দশক পর্যন্ত অভিনয় চালিয়ে যান। তিনি ১৯৬২ সালে টু কিল আ মকিংবার্ড চলচ্চিত্রে অ্যাটিকাস ফিঞ্চ চরিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। পুলিৎজারজয়ী লেখক মারজোরি কিনান রলিংসের কালজয়ী উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত ‘দ্য ইয়ারলিং’ ছবিতে কৃষক চরিত্রে অভিনয়ের জন্য গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার পান পেক। এর আগেও আরও চারবার দ্য কিজ অব দ্য কিংডম (১৯৪৫), দ্য ইয়ারলিং (১৯৪৬), জেন্টলম্যানস অ্যাগ্রিমেন্ট (১৯৪৭) আর টুয়েল্ভ ও ক্লক (১৯৪৯) ছবিগুলোর জন্য পেয়েছিলেন মনোনয়ন। কিন্তু সেগুলোর জন্য তিনি কোন পুরস্কার পাননি । বাংলাদেশের দর্শক তাঁর গানস অব নাভারন, স্পেলবাউন্ড, মবিডিক ছবিগুলোর কথা মনে রাখবে। আর বিশেষভাবে মনে রাখবে রোমান হলিডে ছবির কথা। সেই ছবিতে অড্রে হেপবার্ন অভিনয় করেছিলেন রাজকুমারী চরিত্রে, সাংবাদিক ছিলেন গ্রেগরি পেক। অড্রে হেপবার্নকে খুব পছন্দ করতেন পেক। ১৯৯৩ সালের ২০ জানুয়ারি যখন অড্রে হেপবার্ন মারা যান, তখন তাঁর শেষকৃত্যানুষ্ঠানে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পেক একটি কবিতা আবৃত্তি করেন, ‘আই সিম টু হ্যাভ লাভড ইউ ইন নাম্বারলেস ফর্মস, নাম্বারলেস টাইমস.../ইন লাইফ আফটার লাইফ, ইন এজ আফটার এজ, ফরএভার।’ কবিতাটির রচয়িতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ‘অনন্তপ্রেম’ নামের এই কবিতার প্রথম পঙ্ক্তি ‘তোমারেই যেন ভালোবাসিয়াছি শতরূপে শতবার, জনমে জনমে যুগে যুগে অনিবার।’ চলচ্চিত্র প্রেমীরা গ্রেগরি পেককেও সে রকম ভালোবাসেন। আজ মার্কিন অভিনেতা গ্রেগরি পেক এর ৭২তম জন্মবার্ষিকী। হলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা গ্রেগরি পেক এর জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা।

গ্রেগরি পেকের জন্ম ১৯১৬ সালের ৫ এপ্রিল ক্যালিফোর্নিয়ার স্যান ডিয়েগোতে। পুরো নাম এলড্রেড গ্রেগরি পেক। বাবা গ্রেগরি পার্ল পেক ছিলেন কেমিস্ট ও ফার্মাসিস্ট। মায়ের নাম ছিল বার্নিস মেরি। তার পিতা পিতার দিক থেকে ইংরেজ বংশোদ্ভূত এবং মাতার দিক থেকে আইরিশ বংশোদ্ভূত অন্যদিকে তার মাতা ইংরেজ ও স্কটিশ বংশোদ্ভূত ছিলেন। বার্নিস যখন গ্রেগরি পার্লকে বিয়ে করেন, তখন তিনি তার স্বামীর ধর্ম রোমান ক্যাথলিকবাদে দীক্ষিত হন; ফলে পেক ক্যাথলিক ধর্ম পালন করে বেড়ে ওঠেন। রোমান ক্যাথলিক হলেও পরিবারে ধর্মীয় গোঁড়ামি তেমন ছিল না। পেকের বয়স যখন ছ’বছর তখন তার বাবা মায়ের বিবাহ-বিচ্ছেদ হয়। নানীর কাছে কাটে তার শৈশব। সেন্ট জনস মিলিটারি একাডেমি নামে একটি ক্যাথলিক মিলিটারি স্কুলে দশ বছর বয়সে ভর্তি হন তিনি। সে সময় নানীর মৃত্যু হলে বাবা তার দেখাশোনার ভার নেন। ১৪ বছর বয়সে পেক ভর্তি হন স্যান ডিয়েগো হাই স্কুলে। এখান থেকে পাস করার পর স্যান ডিয়েগো স্টেট ইউনিভার্সিটিতে কিছুদিন লেখাপড়া করেন এবং পরে বার্কলে ইউনিভার্সিটিতে পড়েন। এই সময়ই তার অভিনয়ের হাতেখড়ি। থিয়েটার কোর্স করেন তিনি সেসময়। এরপর একটি তেল কোম্পানিতে ট্রাক ড্রাইভার হিসেবে কাজ করেন। বার্কলেতে পড়ার পাশাপাশি কাজ করতে হতো তাকে। টিউশন ফি এবং নিজের জীবনযাত্রার খরচ চালানোর জন্য বেশ পরিশ্রম করতেন। বার্কলের অভিনয় প্রশিক্ষকের নজরে পড়েন তিনি। তার মধ্যে প্রতিভার পরিচয় পেয়ে প্রশিক্ষক তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যদলে নেন। সে সময় তিনি পাঁচটি নাটকে অভিনয় করে দর্শকের প্রশংসা পান এবং অভিনয়শিল্পী হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে শুরু করেন। ইংরেজিতে স্নাতক হওয়ার পর তিনি পাড়ি জমান নিউ ইয়র্কে। কারণ মঞ্চনাটকের কেন্দ্রভূমি হল নিউইয়র্ক। সেখানে পেক অভিনয়ের তালিম নেন বিখ্যাত নাট্যশিক্ষক স্যানফোর্ড মেইসনারের কাছে। সে দিনগুলোতে তরুণ পেককে অর্থকষ্ট ভোগ করতে হয়েছে ভীষণ। কখনও কখনও তাকে খাবারের বিনিময়ে কাজ করতে হতো। কখনও মাথার উপর ছাদটুকুও থাকতো না। নিউইয়র্কের সেন্ট্রাল পার্কে রাতে ঘুমিয়েছেন অনেক দিন। তবে কষ্টের পর সাফল্যের মুখ দেখতে খুব বেশি দেরি হয়নি। মঞ্চনাটকে তিনি সুযোগ পান এবং তার অভিনয় প্রশংসিত হয়।

এদিকে ইউরোপে তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামা বেজেছে। ১৯৪১ সালে পার্ল হারবারে বোমা ফেলে জাপান। আমেরিকা জড়িয়ে পড়ে বিশ্বযুদ্ধে। যুদ্ধের এই ডামাডোলের মধ্যেও পেক অভিনয়ে জনপ্রিয়তা পান বিশেষ করে যুদ্ধাহত সৈনিকদের মধ্যে। ব্রডওয়েতে তার সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৬২ সালে মুক্তি পায় ‘টু কিল এ মকিং বার্ড’। হারপার লির বিখ্যাত উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি এই সিনেমাটি শুধু পেকের ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা ছবিই নয়, এটি হলিউডেরও অন্যতম সেরা নির্মাণ। ষাটের দশকে যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণবাদের স্বরূপ তুলে ধরে এর কাহিনি। শ্বেতাঙ্গ মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত এক কৃষ্ণাঙ্গের পক্ষে নিবেদিত আইনজীবীর চরিত্রে অভিনয় করেন পেক। অ্যাটিকাস ফিঞ্চ জনমতের বিরুদ্ধে গিয়ে দাঁড়ান ন্যায় প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে। এই লড়াইতে ঝুঁকির মুখে পড়ে তার মাতৃহীন দুই শিশু সন্তানের নিরাপত্তা। অ্যাটিকাস ফিঞ্চের চরিত্রে পেক যে অসামান্য অভিনয় করেন তা আজও বিশ্বচলচ্চিত্রের সম্পদ। এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেতার অস্কার জিতে নেন পেক। ২০০৩ সালে আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউট আ্যাটিকাস ফিঞ্চ চরিত্রকে শত বছরের সেরা চলচ্চিত্র নায়ক বলে অভিহিত করে। অনেক পরে এক টিভি সাক্ষাৎকারে পেক বলেছিলেন ফিঞ্চ তার প্রিয় চরিত্র। কারণ এর মধ্য দিয়ে তার নিজস্ব মানবতাবাদী দর্শন প্রতিফলিত হয়েছিল। এই চরিত্রের মধ্যে তিনি নিজের মিল খুঁজে পেয়েছিলেন। তার অভিনীত ‘টু কিল এ মকিং বার্ড’, ‘স্পেল বাউন্ড’, ‘ডুয়েল ইন দ্য সান’, ‘মবি ডিক’, ‘দ্য গানস অফ নাভারন’, ‘দ্য ইয়ারলিং’-এর মতো অসংখ্য জনপ্রিয় সিনেমায় তার অভিনয় বিশ্ব চলচ্চিত্রের সম্পদ। তাঁর অভিনীত অন্যান্য সফল চলচ্চিত্রের মধ্যেএছাড়া তিনি দ্য কিজ অব দ্য কিংডম (১৯৪৪), দ্য ইয়ার্লিং (১৯৪৬), জেন্টলম্যান্‌স অ্যাগ্রিমেন্ট (১৯৪৭) ও টুয়েলভ ওক্লক হাই (১৯৪৯) চলচ্চিত্রের জন্য আরও চারটি একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। তার অভিনীত অন্যান্য সফল চলচ্চিত্রের মধ্যে স্পেলবাউন্ড (১৯৪৫), দ্য গানফাইটার (১৯৫০), রোমান হলিডে (১৯৫৩), মবি ডিক (১৯৫৬), দ্য বিগ কান্ট্রি (১৯৫৮), দ্য ব্রেভাডস (১৯৫৮), পর্ক চপ হিল (১৯৫৯), দ্য গানস্‌ অব নাভারোন (১৯৬১), কেপ ফেয়ার (১৯৬২, ও এর ১৯৯১-এর পুনর্নির্মাণ), হাউ দ্য ওয়েস্ট ওয়াজ ওন (১৯৬২), দ্য ওমেন (১৯৭৬) ও দ্য বয়েজ ফ্রম ব্রাজিল (১৯৭৮), ম্যাকেনা'স গোল্ড অন্যতম। শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন গ্রেগরি পেক, পেয়েছেন অনেক সম্মাননা ও পুরস্কার। অভিনয়ের পাশাপাশি সমাজসেবামূলক কাজের জন্য প্রসিদ্ধ ছিলেন তিনি। আইরিশ বংশোদ্ভুত পেক আয়ারল্যান্ডেও অনেক সমাজসেবামূলক কাজে অর্থ দান করেছেন। ভিয়েতনাম যুদ্ধ বিরোধী পেক অনেক মানবতাবাদী সংগঠনের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তিনি আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির প্রেসিডেন্টের দায়িত্বও পালন করেন। অ্যাকাডেমির প্রেসিডেন্টের দায়িত্বও পালন করেন তিনি। ডেমোক্রেটিক দলের সমর্থক পেক রাজনীতিতে যোগ দেননি অনেক অনুরোধেও। তিনি ফরাসি প্রেসিডেন্ট জ্যাক শিরাকের বিশেষ বন্ধু ছিলেন। ১৯৬৮ সালে তিনি অ্যাকাডেমির ‘জিন হারশল্ট হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাওয়ার্ড’ পান। ১৯৬৯ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিন্ডেন জনসন তাকে ‘প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম’ সম্মাননায় ভূষিত করেন।১৯৯৬ সালে তিনি বিশ্ব চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য ক্রিস্টাল গ্লোব পুরস্কার পান। টিভি সিরিজ ‘দ্য স্কারলেট অ্যান্ড দ্য ব্ল্যাক’ এ ভ্যাটিকানের এক ধর্মযাজকের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য পান গোল্ডেন গ্লোব।.মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি লিন্ডন জনসন পেককে তার আজীবন মানবহিতৌষী কর্মের জন্য ১৯৬৯ সালে প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডমে ভূষিত করেন।

(স্ত্রী ভেরোনিকের সাথে অভিনেতা গ্রেগরি পেক)
ব্যক্তিগত জীবনে ১৯৫২ সালে প্যারিসে ভেরোনি প্যাসানি নামে এক সাংবাদিকের সঙ্গে পরিচয় হয় গ্রেগরি পেকের। রোমান হলিডে’র কাহিনি কল্পনাপ্রসূত হলেও বিশ্বের সর্বকালের সেরা অভিনেতাদের মধ্যে একজন গ্রেগরি পেকের জীবনে ঘটেছিল অনেকটা এমন ঘটনাই। তখন তিনি নায়ক হিসেবে বেশ খ্যাতিমান। সাক্ষাৎকার দেওয়ার সূত্রে পরিচয়, সেই পরিচয় প্রণয়ে রূপ নেয়। ১৯৫৫ সালে বিয়ে করেন তারা। এবং গ্রেগরি পেক তার জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ভেরোনিকের সঙ্গেই ছিলেন। পৌরুষদীপ্ত অবয়ব, গভীর কণ্ঠস্বর এবং শক্তিশালী অভিনয় তাকে হলিউডের সর্বকালের সেরা নায়কদের অন্যতম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। তার শারিরীক শক্তিও ছিল প্রচণ্ড। অ্যাকশন দৃশ্যে তিনি কোনো স্টান্ট ব্যবহার করতেন না। তার সহঅভিনেতা ও ঘনিষ্ট বন্ধু রবার্ট মিচাম এক স্মৃতিচারণে বলেছিলেন ‘কেপ অফ ফিয়ার’ ছবিতে অভিনয়ের সময় মারদাঙ্গা দৃশ্যে পেক ভুলবশত তাকে একবার আঘাত করেছিলেন, সেই আঘাতের ফলে তাকে অনেকদিন কাঁধের ব্যথায় ভুগতে হয়েছিল। অবশেষে ২০০৩ সালের ১২ জুন ৮৭ বছর বয়সে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার লসঅ্যাঞ্জেলসে মৃত্যুবরণ করেন গ্রেগরি পেক। আজ মার্কিন অভিনেতা গ্রেগরি পেক এর ৭২তম জন্মবার্ষিকী। হলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা গ্রেগরি পেক এর জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল :-& ফেসবুক লিংক
[email protected]

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৪৬

জুন বলেছেন: নুরু ভাই আমার সর্বকালের সর্বসেরা প্রিয় অভিনেতা গ্রেগরি পেকের জন্মদিনে শুভেচ্ছা। আপনি তার অভিনীত যে ছবিগুলোর নাম উল্লেখ করেছেন সেগুলো ছাড়াও তার বিখ্যাত ছবি হেমিংওয়ের লেখা গল্প নিয়ে নির্মিত অসাধারণ ছবি" দ্যা স্নোজ অফ কিলিমাঞ্জেরো"ও আমার অনেক অনেক ভালো লাগার ম্যুভি।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৩৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জুন আপু (!)
চমৎকার মন্তব্য প্রদানে বিখ্যাতদের নিয়ে
লেখার অনুপ্রেরণা দেবার জন্য।
১৯৫২ সালে দ্য স্নোস অব কিলিমাঞ্জারো চলচ্চিত্রে গৃহীত হয়।
হেনরি কিং পরিচালিত চলচ্চিত্রটিতে হ্যারি চরিত্রে গ্রেগরি পেক,
হেলেন চরিত্রে সুজান হেওয়ার্ড, ও সিনথিয়া গ্রিন চরিত্রে
আভা গার্ডনার অভিনয় করেন। তবে চলচ্চিত্রটির সমাপ্তিতে
আর্নেস্ট হেমিংওয়ের গল্পের সমাপ্তির সাথে মিল ছিল না।

২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৩

শের শায়রী বলেছেন: যদি আমাকে হলিউডের শ্রেষ্ঠ নায়কের কথা বলতে বলেন নিঃসন্দেহে আমি বলব গ্রেগরী পেক। ধন্যবাদ নূরু ভাই।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৪৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ শের শায়রী ভাই, হলিউড এ পর্যন্ত যত শিল্পী উপহার দিয়েছে,
তার মধ্যে গ্রেগরি পেকের নাম রয়েছে শীর্ষ তালিকায়। আমেরিকান
ফিল্ম ইনস্টিটিউটের করা ধ্রুপদী হলিউড চলচ্চিত্র শিল্পের সেরা
পুরুষ তারকা তালিকায় তার অবস্থান ১২তম।

৩| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:২৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমার অন্যতম প্রিয় অভিনেতা গ্রেগরি পেকের জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা।


ধন্যবাদ নূর মোহাম্মদ ভাই।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৫৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আশরাফ ভাই
কেমন আছেন? মাঝে মাঝে চিন্তায় থাকি
আপনকে দেখতে না পেয়ে। সাবধানে
থাকবেন, নিরাপদে থাকবেন।

৪| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: জানলাম।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:০৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আগে কেন জানেন নি?

আজ কি রান্না হয়েছে
খাদক সাহেবের জন্য!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.