নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বর্তমান বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে ক্ষমতাধর দশজনঃ যাদের নিয়ন্ত্রণে বিশ্ব

২৪ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৫২


এই বিশ্বে এখন প্রায় ৭৪০ কোটি মানুষের বাস। পৃথিবীতে ধনী,গরীব, মধ্য-বিত্ত, ক্ষমতাসীন সব ধরনের মানুষ এর বসবাস। এর মধ্যে কিছু ব্যক্তি আছেন যারা তাদের কাজ এবং ক্ষমতার মধ্য দিয়ে পৃথিবীতে ইতিহাস গড়েছেন। এত মানুষের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষমতাবান ১০ জন মানুষ। তাদেরকে পৃথিবীর মানুষ সব সময় স্মরণ করবে। এমন কিছু ব্যক্তির সম্পর্কে হয়তো আমরা অনেকেই অল্প-সল্প জানি। কিন্তু তারা কিভাবে ক্ষমতাবান হলেন তা আমরা অনেকেই হয়তো জানিনা। তাদের জীবন-সংগ্রাম, ক্ষমতাবান হবার পেছনের গল্পটা আমাদের জানা দরকার।পৃথিবীর ক্ষমতাবান ব্যক্তিগণদের দেখে বুঝা যাবেনা তারা এই ক্ষমতায় আসার আগে কতটা সংগ্রাম করে বাধা পার করে এসেছেন। তাদের জীবনে অনেক দু:খ-কষ্ট, বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়েছে। সম্প্রতি বিশ্বের সবথেকে ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় ম্যাগাজিন ফোর্বস। এই তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন রাষ্ট্রপ্রধান থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী ও প্রযুক্তিবিদ। ফোর্বস যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত একটি ম্যাগাজিন প্রকাশনা সংস্থা। ২০০৯ সাল থেকে বিশ্বের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তালিকা প্রকাশ করে আসছে ফোর্বস ম্যাগাজিন। এ তালিকার শীর্ষে আছে চীনের প্রেসিডেন্ট শী জিনপিং। দ্বিতীয় আর তৃতীয় অবস্থানে আছেন যথাক্রমে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্রাদিমির পুতিন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এছাড়াও বিশ্বের সবথেকে ক্ষমতাধর নারী হিসেবে তালিকার চতুর্থ স্থানে জায়গা পেয়েছেন জার্মানীর চ্যান্সেলর এঞ্জেলা মার্কেল।

১। শি জিনপিংঃ চীনের রাষ্ট্রপতি, চীনের রাষ্ট্রীয় কেন্দ্রীয় সামরিক পরিষদের চেয়ারম্যান, কমিউনিস্ট পার্টি অফ চায়নার মহাসচিব এবং কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় সামরিক পরিষদের চেয়ারম্যান শি জিনপিং বর্তমানে সেরা প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মধ্যে ১ নম্বর স্থানে অবস্থান করছেন। ১৫ জুন, ১৯৫৩ সালে জন্ম নেন চীনের অন্যতম এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। শি জিনপিং দীর্ঘকাল যাবৎ সক্রিয় ও প্রয়াত সিপিসি নেতা শি জোংশুনের সন্তান।সম্প্রতি চীনের সংসদ কংগ্রেস আইন পরিবর্তন করে শী জিনপিং-কে আজীবন ক্ষমতায় থাকার অনুমোদন দিয়েছেন। এছাড়াও তার ক্ষমতারও পরিধি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ফোর্বস বলছে, স্থানীয়ভাবে এমন আস্থা ও ক্ষমতাই শী’কে তালিকার শীর্ষে নিয়ে এসেছে।

২। প্রেসিডেন্ট ভ্রাদিমির পুতিনঃ তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্রাদিমির পুতিন। চলতি মাসেই ৭৭ শতাংশ ভোট পেয়ে টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্রেমলিনে জায়গা করে নিয়েছেন সাবেক এই কেজিবি এজেন্ট। পৃথিবীর সব চেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তির তালিকায় প্রথমেই চলে আসে ভ্লাদিমির পুতিন এর নাম।তার নাম আমরা কমবেশি সবাই শুনেছি।তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট এবং অন্যতম রাজনৈতিক বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। ৭ অক্টোবর, ১৯৫২ সালে জন্ম হয় ৬২ বছর বয়সী এই প্রভাবশালী এবং সফল রাজনৈতিকের। ২০০০ থেকে ২০০৮ সাল এবং সবশেষে দ্বিতীয় মেয়াদে ৭ মে, ২০১২ তারিখ হতে বর্তমান পর্যন্ত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে রয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। শুধু তাই নয় বিশ্বের সব চেয়ে ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় ও তিনি আছেন।রাশিয়ার নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া তথ্য অনুযায়ী, মিঃ পুতিনের বাৎসরিক বেতন এক লাখ ১২ হাজার ডলার। কিন্তু দুই বছর আগে মার্কিন ট্রেজারি দপ্তরের কর্মকর্তারা বিবিসিকে বলেছেন, ভ্লাদিমির পুতিন একজন দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তি, যিনি তার সম্পদ অনেক বছর ধরে লুকিয়ে রেখেছেন।২০০৭ সালের একটি সিআইএ নথিতে জানা যায়, তার ব্যক্তিগত সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার। পুতিনের বাবা একটি কারখানায় কাজ করতেন এবং তাঁর দাদা ছিলেন একজন বাবুর্চি।তিনি যেখানে বেড়ে উঠেছেন, সেখানে ছোট বয়সে তাঁর সাথে স্থানীয় ছেলেদের সংঘাত শুরু হয়ে যায়। সেজন্য পুতিন জুডো খেলা রপ্ত করেন। স্কুলের পড়াশুনা শেষ করার আগেই পুতিনের স্বপ্ন ছিল তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবিতে কাজ করার।তাঁর লড়াকু মনোভাব বিভিন্ন সময় নিজের কথাবার্তায় ফুটে উঠেছে।২০১৫ সালে পুতিন বলেছিলেন , “কোন লড়াই যদি অবশ্যম্ভাবী হয়, তাহলে প্রথম আঘাতটা আপনাকেই করতে হবে।”

৩। ডোনাল্ড ট্রাম্পঃ ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম ধনকুবের প্রেসিডেন্ট। ফোর্বস সাময়িকীতে বলা হয়েছে, তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৩৭০ কোটি ডলার। তবে ট্রাম্প নিজে এক বিবৃতিতে দাবি করেছেন, তাঁর সম্পদের পরিমাণ এক হাজার কোটি ডলারের কিছু বেশি। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য প্রতীকী বেতন হিসেবে মাত্র এক ডলার করে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। খুব একটা আশ্চর্যজনক না হলেও তালিকার তৃতীয় অবস্থানে আছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম রাষ্ট্রপতি তিনি। এছাড়াও তিনি একজন ধনাঢ্য ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী, বিশিষ্ট সামাজিক ব্যক্তিত্ব,লেখক হিসেবে আলোচিত। তিনি দ্য ট্রাম্প অর্গানাইজেশ্যানের পরিচালক এবং ট্রাম্প এন্টারটেইনম্যান্ট রিসোর্টের প্রতিষ্ঠাতা। সবসময় সবার আগে থাকতে চাওয়া ট্রাম্প এই খবরে নাখোশ হতেই পারেন। তবে ২০১৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই একের পর এক বিতর্কে জড়িয়ে পরেন ট্রাম্প। বিশেষ করে সাবেক পর্নো তারকাসহ একাধিক নারীর সাথে তার যৌন সম্পর্ক নিয়ে বিতর্ক ওঠে। এমনকি যে নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন সেই নির্বাচন নিয়েও আছে বিতর্ক। দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই এখনও নির্বাচনে ট্রাম্পের পক্ষে রুশ সংশ্লিষ্টা বিষয়ে তদন্ত করছে। ধনকুবের ট্রাম্পের মন্ত্রিসভায়ও ঠাঁই পেয়েছেন কোটিপতিরা। ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে ট্রাম্পের মনোনীত উইলবার রসেরই রয়েছে আড়াই শ কোটি ডলারের সম্পত্তি। সব মিলিয়ে ট্রাম্পের মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাওয়া ব্যক্তিদের সম্পদের পরিমাণ সাড়ে তিন হাজার কোটি ডলার হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

৪। এঞ্জেলা মার্কেলঃ তালিকার চতুর্থ স্থানে শীর্ষ নারী হিসেবে আছেন অ্যাঞ্জেলা ডোরোটেয়া মরকেল। এছাড়াও তিনি হচ্ছেন বিশ্বের প্রথম নারী প্রভাবশালী ব্যক্তি। জার্মানির বর্তমান চ্যান্সেলর ২০১৭ সালে চতুর্থ মেয়াদে দায়িত্বভার নেন এঞ্জেলা মার্কেল। তিনি ২০১০ সালের ১০ এপ্রিল জার্মানির মেকলেনবার্গ-ভোরপোমার্ন প্রদেশ থেকে জার্মান সংসদে সর্বাধিক সংখ্যক আসন জয়ের মাধ্যমে চ্যন্সেলর নির্বাচিত হন। মরকেল ক্রিসচিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান (CDU) এবং ২০০২ হতে ২০০৫ পর্যন্ত CDU-CSU (ক্রিসচিয়ান সোশ্যাল ইউনিয়ন)-এর সংসদীয় জোটের চেয়ারম্যান ছিলেন।১৯৫৪ সালের ১৭ জুলাই পশ্চিম জার্মানির হ্যামবুর্গে অ্যাঞ্জেলা মরকেল জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবে মরকেল পল্লী অঞ্চলে বড় হয়েছিলেন। তখনকার সময়ে অধিকাংশ শিশুদের মত মরকেলও জার্মানির সোশ্যালিস্ট ইউনিটি পার্টির নেতৃত্বাধীন জার্মান মুক্ত তরুণ নামক তরুণ-আন্দোলনের সদস্য ছিলেন। মরকেল এই সংগঠনের সংস্কৃতি বিষয়ক সচিব ছিলেন। টেম্পলিন শহরের একটি স্কুলে পড়ালেখা করেন। এরপর তিনি লাইপৎসিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত পদার্থবিজ্ঞান পড়েন। শিক্ষার্থী থাকাকালে মরকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে সহশিক্ষামূলক কার্যক্রম চালুর দাবিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন।পরবর্তীতে মরকেল বার্লিনে অবস্থিত জার্মান বিজ্ঞান অ্যাকাডেমিতে ভৌত রসায়ন বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষা নেন এবং এখানেই তার কর্মজীবন শুরু করেন। সেসময় তিনি রুশ ভাষা স্বতঃস্ফূর্তভাবে বলতে শিখেছিলেন। কোয়ান্টাম রসায়নের উপর গবেষণার জন্য তাকে ডক্টরেট ডিগ্রী প্রদান করা হয়। এরপর তিনি এখানে গবেষক হিসেবে কাজ করেন।

৫। জেফ বেজোসঃ রাজনৈতিক বা কোন দেশের শীর্ষ পদের বাইরে থেকে সবথেকে ক্ষমতাধর ব্যক্তির তালিকায় পঞ্চম স্থানে জায়গা হয় আমাজনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেফ বেজোস। বিশ্বের সবথেকে ধনী ব্যক্তিও তিনি। আমাজনের ১৬ শতাংশ শেয়ারের মালিক তিনি। তার প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি অ্যামাজন এক সময় ছিল অনলাইনে পুরোনো বই বিক্রির প্রতিষ্ঠান। আর এখন তা হতে যাচ্ছে পৃথিবীর প্রথম ট্রিলিয়ন-ডলার কোম্পানি - অর্থাৎ তার মূল্য হবে এক লক্ষ কোটি ডলার। অ্যামাজনে কেনা যায় না - বোধ হয় সারা দুনিয়ায় এমন কিছুই এখন নেই। আপনার পোষা বেড়ালের খাবার থেকে শুরু করে বহুমূ্ল্য ক্যাভিয়ার পর্যন্ত সব কিছুই কেনা যায় অ্যামাজনে - বিশ্বের যে কোন প্রান্ত থেকে। শুধু তাই নয় অ্যামাজনের আছে স্ট্রিমিং টিভি, এমন কি নিজস্ব এ্যারোস্পেস কোম্পানি - যাতে শিগগীরই মহাশূন্য ভ্রমণের টিকিট পাওয়া যাবে। তার গল্প শুনলে মনে হয় যেন জেফ বেজোসের হাতে একটা ক্রিস্টাল বল ছিল - যাতে তিনি তার নিজের ভবিষ্যৎ দেখতে পেতেন। মাত্র দু'দশক আগেও তিনি ছিলেন সাধারণ এক উদ্যোক্তা। কিন্তু তিনি দেখতে পেয়েছিলেন এমন এক যুগ আসছে - যখন কম্পিউটারের এক ক্লিকে যে কোন জিনিস কেনা যাবে, শপিং মলের জনপ্রিয়তা কমে যাবে, দোকানগুলো ব্যবসায় টিকে থাকার জন্য নানা রকমের 'অফার' দিতে বাধ্য হবে। বেশ কয়েক বছর আগে তার হাইস্কুলের বান্ধবী এক সাক্ষাতকারে বলেছিলেন, তার সব সময়ই মনে হতো জেফ বেজোস একদিন বিরাট ধনশালী হবেন।

৬। পোপ ফ্রান্সিসঃ তালিকার ষষ্ঠ অবস্থানে আছেন ক্যাথলিকদের ধর্মীয় গুরু পোপ ফ্রান্সিস। ক্যাথলিক গির্জার ২৬৬তম এবং বর্তমান পাদ্রি/পোপ ফ্রান্সিস বিশ্বের চতুর্থ প্রভাবশালী ব্যক্তি। এই ধর্মীয় নেতার জন্ম ১৭ ডিসেম্বর, ১৯৩৬ এবং বর্তমান বয়স ৮৪। রোমের বিশপ হিসেবে, পোপ ফ্রান্সিস বিশ্বব্যাপী ক্যাথলিক চার্চ এবং সার্বভৌম ভ্যাটিকান সিটি উভয়েরই প্রধান। রোমান ক্যাথলিক যাজকদের প্রশিক্ষণ কলেজে পড়াশোনা শুরু করার আগে তিনি কিছুদিন রাসায়নিক প্রযুক্তিবিদ ও ‘নাইট ক্লাব বাউন্সার’ হিসেবে কাজ করেন। ১৯৬৯ সালে ক্যাথলিক পুরোহিত হিসেবে তার অভিষেক হয়। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ছয় ভাগের এক ভাগ মানুষের ধর্মের গুরু তিনি।

৭। বিল গেটসঃ বিশ্বের এক নম্বর ধনী, মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা, চেয়ারম্যান, সাবেক সিইও উইলিয়াম হেনরী গেটস (বিল গেটস) প্রভাবশালীর তালিকাতে রয়েছেন ৭ নম্বরে। ১৯৫৫ সালের ২৮ অক্টোবর জন্ম গ্রহন করেন বিল গেটস। টেকনোলোজি ব্যক্তিত্ব হিসেবে তিনি সর্বোচ্চ প্রভাবশালী ব্যক্তি।অধ্যাবসায় এবং তপস্যা মানুষকে কি এনে দিতে পারে তা বিল গেটস শিখিয়েছেন আজকের তরুন প্রজন্মকে। যার দরুন আজকের শ্রেষ্ঠ ধনীর তকমাটা নিজের নামের সাথে মোটামুটি পাকাপোক্তভাবেই লাগিয়ে নিয়েছেন তিনি।বিল গেটস এর পুরো নাম উইলিয়াম হেনরি গেটস। তার স্কুল জীবন শুরু হয় ১৩ বছর বয়সে লেকসাইড স্কুল থেকে এবং তিনি সেখান থেকে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। এই সময় তিনি মোট ১৬০০ নম্বরের মধ্যে ১৫৯০ নম্বর পেয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন। এরই ফলশ্রুতিতে ১৯৭৩ সালে হার্ভার্ড কলেজে পড়ার সুযোগ পেয়ে যান। হার্ভার্ড এ পড়ার সময় গেটস এর নির্দিষ্ট কোন পরিকল্পনা ছিল না শিক্ষাগ্রহন বিষয়ে। কিন্তু তিনি বেশিরভাগ সময় কাটাতেন কলেজের কম্পিউটার ল্যাবে। তিনি পরবর্তীতে ১৯৭৪ এ হানিওওেল নামক একটি ক্লাবে যোগ দেন। সেই বছরই তিনি তার বন্ধু পল এলেন কে সাথে নিয়ে তৈরী করেন এম.আই.টি.এস ‘৪৪০০’ যা ইন্টেল ৮০৮০ সিপিইউতে ব্যবহার উপযোগী। এই আবিষ্কারের পরে গেটস সফটওয়ার কোম্পানী প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন এবং হার্ভার্ড ত্যাগ করেন। মুলত তার সাফল্যের যাত্রা এখান থেকেই শুরু হয়। পরবর্তী আই.বি.এম ১৯৮০ গেটস কে আই.বি.এম পিসি এর অপারেটিং সিস্টেম তৈরিতে কাজ করতে অনুরোধ করেন। মাইক্রোসফট সর্বপ্রথম তাদের বানিজ্যিক সম্প্রসারন শুরু করে ১৯৮৫ সালের ২০শে নভেম্বর থেকে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ এর মাধ্যমে। এই সময়ও তারা আই.বি.এম এর সাথে চুক্তিবদ্ধ ছিল এবং পরবর্তীতে ১৯৯১ এ মাইক্রোসফট কোম্পানি আই.বি.এম থেকে পৃথক হয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করতে শুরু করে। বিল গেটস মাইক্রোসফট এর সিইও ও প্রধান আর্কিটেক্ট ছিলেন। তিন সন্তানের জনক বিল গেটস বর্তমানে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধনী হিসাবে খ্যাত। বর্তমানে গেটস ৭২.৭ বিলিয়ন ইউ.এস ডলার এর মালিক। এই অর্থের একটি বিশাল অঙ্কের টাকা তিনি প্রতি বছরই বিল এন্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন এ জমা করেন পৃথিবীর দুস্থ ও অসহায় মানুষের সাহায্যার্থে।

৮। মোহাম্মদ বিন সালমানঃ আর সাম্প্রতিক সময়ে আলোচনায় আসা সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান আছেন অষ্টম স্থানে। গত বছর দূর্নীতি বিরোধী অভিযানে তিনি গ্রেফতার করেছিলেন সৌদি আরবের বেশ কিছু শীর্ষ পর্যায়ের যুবরাজ, ব্যবসায়ী ও রাজনীতিককে। এছাড়াও দেশটিতে ব্যাপক সামাজিক পরিবর্তন আনছেন তিনি। বিশেষ করে নারীদের জন্য ব্যাপক সুবিধা বৃদ্ধি করেছেন তিনি। ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড দ্য সানের খবরে বলা হয়েছে, এই যুবরাজের নিয়ন্ত্রণের বিলাসী ও দামি বস্তু একেবারে কম না। বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের এই ছেলে, তার পরিবার এক লাখ কোটি ডলারের সম্পদের মালিক হবেন। কাজেই নিজের এই বিপুল অর্থ উড়াতে তার অতৃপ্ত ক্ষুধা রয়েছে।অতীতে অসাধারণ একটি ইয়ট, একটি ফরাসি বাড়ি ও বিরল শিল্পকর্ম কিনতে লাখো ডলার খরচ করেছেন তিনি। নিজের মর্যাদা অনুসারে তার বন্ধুত্বও রয়েছে উচ্চপর্যায়ে। হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি। ট্রাম্প তাকে বন্ধু বলে সম্বোধন করেছেন। সেই ২০১৫ সালের কথা। তখন এক অজ্ঞাত ক্রেতা ২৩ কোটি ডলার খরচ করে একটি শ্যাটো বা আবাসিক বাড়ি কিনে বিশ্বকে অবাক করে দিয়েছেন। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের পশ্চিমে ওই বাড়িটির অবস্থান। তখন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রীত কোনো বাড়ি ছিল এটিই। বছর দুয়েক পর খবরে বলা হয়েছে- ৩৪ বছর বয়সী মোহাম্মদ বিন সালমানই কিনে নিয়েছিলেন ওই বাড়ি। ফ্রান্স সফরে গিয়ে ৫০ হাজার বর্গফুটের শ্যাটো লুইস এক্সআইভির প্রেমে পড়ে যান। বাড়িটিতে তিনটি শয়নকক্ষ, একটি ইনডোর ও আউটডোর পুল, একটি লাইব্রেরি ও অ্যাকুরিয়ামে ঢাকা একটি গড়খাই রয়েছে। অর্থ উড়াতে মোহাম্মদ বিন সালমানের জুড়ি নেই। একই বছর রুশ ভদকা ধনকুবের ইউরি শেলফারের কাছ থেকে একটি সুপার ইয়ট কেনে ৩৮ কোটি ডলার খরচ করে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় নৌকার একটি এই ইয়টের নাম সিরিন। যার দৈর্ঘ্য হবে ৪৩৯ ফুট ৪ ইঞ্চি। আর কড়িকাঠের প্রস্থ হবে ৬০ ফুট। যেকোনো ধনাঢ্য ব্যক্তির মতোই শিল্পকর্ম পছন্দ করেন মোহাম্মদ বিন সালমান। কিন্তু একটি শিল্পকর্ম নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। ২০১৭ সালে লিওনার্দো দা ভিঞ্চির একটি বিরল শিল্পকর্ম ৩৪ কোটি ডলার খরচ করে কিনে নেন সৌদি যুবরাজ।এশিয়দের মধ্যে শীর্ষ এবং তালিকার নবম স্থানে আছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরে তিনি বিশ্বের দ্বিতীয় নেতা যার টুইটারে ৪৩ লাখের বেশি অনুসারী আছেন।

৯। নরেন্দ্র মোদিঃ ফোর্বসের তালিকায় বিশ্বের ১০ জন ক্ষমতাশালী ব্যক্তির তালিকায় নবম স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি পেছনে ফেলেছেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকেও। মোদির জনপ্রিয়তা নিয়ে পত্রিকায় বলা হয়েছে, ‘১৩০ কোটি মানুষের কাছে আজও সমান জনপ্রিয় মোদি। ২০১৬ সালে ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিল করে দুর্নীতিমুক্ত ভারত গড়ার ডাক দিয়ে আলোড়ন ফেলেছেন তিনি।’ পত্রিকায় আরো বলা হয়েছে, বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিংপিংয়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নিজেকে বিশ্বমানের নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন তিনি। জলবায়ু সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও নজর কেড়েছেন মোদি।

১০। ল্যারি পেজঃ যুক্তরাষ্ট্রের কম্পিউটার বিজ্ঞানী এবং ইন্টারনেট উদ্যোক্তা অ্যালফাবেট-এর প্রেসিডেন্ট ল্যারি পেজ। ফোবর্সের দশ জনের তালিকার সর্বশেষ অবস্থানে আছেন বিশ্বের সর্ববৃহত সার্চ ইঞ্জিন গুগলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ। ১৯৯৮ সালে শিক্ষা কার্যক্রমের একটি প্রজেক্টে কাজ করতে গিয়ে গুগল তৈরি করা দলের সদস্য হয়ে যান এই বিলিয়নিয়ার। পেইজ হলেন গুগলের মূল প্রতিষ্ঠান আলফাবেট ইনকর্পোরেশন এর প্রধান নির্বাহী অফিসার। গুগলের সিইও হিসেবে ২০০১ সালের আগস্ট মাসে পদত্যাগ করার পর, এরিক এমারসনের পক্ষে, তিনি ২০১১ সালের এপ্রিলে আবার একই পদে আসীন হন। তিনি ২০১৫ সালের জুলাই মাসে এলফাবেটের সিইও হবার জন্য আবারও পদত্যাগের ঘোষণা দেন, যার অধীনে গুগলের সম্পদসমূহ পুনর্সজ্জিত করা হবে। পেইজের অধীনে থাকাবস্থায় এলফাবেট বিভিন্ন ধরনের ইন্ডাস্ট্রিতে বড় আকারের উন্নয়ন সাধন করতে ইচ্ছুক। অক্টোবর ২০১৭ পর্যন্ত তিনি বিশ্বের ১২তম ধনী ব্যক্তি, তার ব্যক্তিগত সম্পদ আনুমানিক ইউএস$ ৪৭ বিলিয়ন (জুলাই ২০১৭) ল্যারি পেজ হলেন পেইজ-র‍্যাংক এর উদ্ভাবক, যা গুগলের সার্চ র‍্যাংকিং এলগরিদম হিসেবে বেশি পরিচিত। তিনি ২০০৪ সালে মার্কনি পুরস্কার পান।

এছাও তালিকার পরবর্তী অবস্থানে আছেন যথাক্রমেঃ ১১ তম অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডরেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরম এইচ পওয়েল, ১২ তম ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন, ১৩ তম ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মার্ক জুকেরবার্গ, ১৪ তম অবস্থানে ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে, ১৫ তম চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং, ১৬ তম যুক্তরাষ্ট্রের শিল্পপতি বার্কশায়ার হ্যাথওয়ে’র সিইও ওয়ারেন বাফেট, ১৭ তম অবস্থানে ইরানের গ্র্যান্ড আয়াতুল্লাহ আলী হোসেইনি খামেনি, ১৮ তম অবস্থানে রয়েছেন ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট মারিও দ্রাগি, ১৯ তম যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকিং ও আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান জেপি মরগ্যান চেজ-এর সিইও জেমি ডিমন ও ২০ তম অবস্থানে রয়েছেন মেক্সিকোর শিল্পপতি গ্রুপো কার্সো-র চেয়ারম্যান কার্লোস স্লিম হেলু ।

সূত্রঃ ফোর্বস'র চোখে বিশ্বের ক্ষমতাধর ২০ ব্যক্তি

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল :-& ফেসবুক
[email protected]

মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৫৭

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: জেফ বেজোস এর ছবি দিয়ে লিখেছেন স্টিভ জবস :||

২৪ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৩৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
রাগ করছেন কেন দাদা
ছবি আর তথ্য সমন্বয়
করা হয়েছে।

২| ২৪ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:০১

জুন বলেছেন: আমাদের নেত্রী ছাড়া আপনার এই তালিকা কি ঠিক হইলো নুরু ভাই :-*

২৪ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৪১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
হতাশ হবার কিছু নাই
ফোবর্সের তালিকায় বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ১০০ নারীর তালিকায়
২৯তম অবস্থানে রয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

৩| ২৪ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:১৭

ডার্ক ম্যান বলেছেন: ৫ নম্বরে অ্যামাজনের মালিক জেফ বেজোস এর ছবি দিছেন ।
৬ নম্বরে পোপের বর্তমান বয়স ৮৪ হবে

২৪ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৪৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

কঘা সত্য ডার্কম্যান,
পোপ ফ্রান্সিসের বয়স এখন ৮৪ বছর

৪| ২৪ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৫১

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ৫ , ৬, ৭, ১০ ছাড়া আর গুলো একটাও ভালো লাগেনা।

২৪ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:০৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমাদের ভালো লাগা না লাগায় তাদের
ক্ষমতা বাড়ানো কমানো যাব্নো গোফরান ভাই।

৫| ২৪ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:১১

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আল্লাহ সর্বশক্তিমান। তিনি যাখন ইচ্ছা করবেন তখন তাদে অহংকার চুর্ণবিচুর্ণ হয়ে যাবে। অন্তত করোনার সময় জালিমরা তা বুঝছে। তাদের সব ক্ষমতা এক করে একজন মৃত্যু পথযাত্রীকে বাচাক। পারবে কী ?

২৪ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের মালিক আল্লাহর কাছে একটা মশার
মতো ক্ষমতাও এদের নাই। তার সাথে এদের তুলনা
করা নিতান্তই হাস্যকর। সারা বিশ্ব মিলেও এক অদৃশ্য
ভাইরাসের সাথে মোকাবেলা করার ক্ষমতাও নাই।

৬| ২৪ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:২২

বিজন রয় বলেছেন: নূরু ভাই এখানে আমার মন্তব্য গেল কোথায়?

সর্ব প্রথমে আমার মন্তব্য ছিল।

ছিল...... এই ব্লগে ১০ জন ক্ষমতাধর ব্লগার কে কে ?

২৪ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

বিজন দা ধন্যবাদ আপনাকে প্রথমে মন্তব্য করার জন্য
তবে কিছুটা যান্ত্রিক গোলযোগের জন্য আপনার মন্তব্যটি
ভ্যানিস হয়ে যাওয়ার কারনে দুঃখ প্রকাশ করছি।
ব্লগে ১০ ক্ষমতাধরের তিনজন হচ্ছি আমি আপনি আর সে!!
বাকী সাতজন আশেপাশেই আছে!!

৭| ২৪ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:২৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মোহাম্মাদ বিন সালমানের মত খুনি আর লম্পটের বিশ্বেকে নিয়ন্ত্রণ করার কোনও শক্তি বা যোগ্যতা নেই। আরব দেশ গুলিতেই ওনার প্রভাব নেই। ডোনালড ট্রাম্পকে তার পুলিশ প্রধান ধমক দেয়। তার ক্ষমতাও শৃঙ্খলিত অনেক ক্ষেত্রে। পরের বার আসতে পারবে কি না সন্দেহ। পোপের নাম আসলে অনেক বুদ্ধিজীবী/ দার্শনিকের ( যেমন নোয়াম চমস্কি - আরও আছে) নাম আসতে পারত। মোদী সাহেব চীনের সাথেই পারছে না সে কি করে বিশ্ব নিয়ন্ত্রণে ভুমিকা রাখবে। ভারতের সমস্যার জ্বালায় উনি বাঁচেন না আর বিশ্ব নেতৃত্ব।

আপনার নিজের কোনও মতামত দেননি। আপনার কি মনে হয় এটা ঠিক আছে?

২৪ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ফোবর্স ম্যগাজিনের রিপোর্ট আন্তর্জাতিকভাবে
গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। তাদের রিপোর্ট অস্বীকার
করেনা বিশ্ব। তাদের ঘাঘু রিপোর্টারের রিপোর্ট
আমার বিরোধীতা করার কোনই যোগ্যতা নাই।
তাই বলে আপনার মতামতকে অশ্রদ্ধা করছিনা।
সবাই তার স্বাধীন মতামত ব্যক্ত করতোই পারেন।

৮| ২৪ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: ক্ষমতাধরদের চেয়ে হৃদয়বান মানুষের বেশি দরকার এই দুনি্যাতে।

২৪ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
হৃদয়বান মানুষেরা ধীরে ধীরে
বিদায় নিচ্ছে পৃথিবী থেকে।
হিংস্র মানব রাজত্ব করছে
পৃথিবীতে যার কারনে
উত্তপ্ত হচ্ছে পৃথিবী।

৯| ২৪ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৪

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: সকলের থেক ভালো মার্কেল আর খারাপ লোক সালমান।

২৪ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ভালো মন্দ নয় এখানে ক্ষমতাকে প্রাধান্য দিয়েছে
ফোবর্স।

১০| ২৪ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: আমি একজন প্রচন্ড হৃদয়বান মানুষ। তা কি জানেন?

২৪ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
অবশ্যই জানি!!
আপনি তো জানিয়েই দিয়েছেন।
আপনি সব ছেড়ে ছুড়ে বুদ্ধ হতে
ঘর ছেড়ে অজনায় যেতে চান।

১১| ২৪ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:২২

টারজান০০০০৭ বলেছেন: নুরু ভাই , বাংলাদেশের কেহ নাই দেখিয়া দুঃখিত হইলাম ! লিস্ট টা বাতিল ! খেলমু না !

২৫ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

নাই কে বলছে !!!
দূর্নীতির লিস্টটা বের হোক
তার পর দেখবেন কে কত নম্বরে
থাকে !!

১২| ২৫ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: আমি বুদ্ধের মতো ঘর ছেড়ে যেতে চাই। অথচ স্ত্রী কন্যা, ঘর সংসার আআমাকে আকড়ে রেখেছে। কঠিন বন্ধন।

২৫ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

এক গভীর রাতে চোখ বন্ধ করে
কানে কিছু তুলো গুজে বের হয়ে
পড়ুন। দেখতেও পাবেন না শুনতেও
পাবেননা পিছু ডাক !!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.