নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

করোনা\'র করাল থাবায় মধ্যবিত্তের করুন হালঃ না পারে সইতে না পারে কইতে

২৫ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৫৭


জীবনভর যাঁতাকলে পিষ্ট হতে থাকা মানুষগুলোকে বলা হয় মধ্যবিত্ত। সংসারের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হয় তাদের। করোনার ভয়াল থাবায় আরো জটিল হয়েছে পরিস্থিতি। একদিকে বাড়ছে জীবনযাত্রার খরচ, অন্যদিকে কারো চাকরি যাচ্ছে, কারো কমেছে বেতন। ভো'গবাদী এই সমাজে মধ্যবিত্ত প্রায় সবসময়ই বি'পদে ছিল। তাদের টিকে থাকাই ছিল ক'ঠিন। যদিও শহরের মধ্যবিত্তদের চাহিদা খুব একটা বেশী নয়। গাড়ী বাড়ি চাইনা তাদের। শুধু বাচ্চারা একটু ভালো স্কুলে পড়ুক। চলার মতো রুটি-রুজির ব্যবস্থা হোক। এই নিয়েই তাদের দৈনন্দিন চলা। জীবনের সঙ্গে এ্ই ল'ড়াই তাদের দীর্ঘদিনের। বারবার হোঁ'চ'ট খে'য়েছেন, আবার উঠে দাঁড়িয়েছেন তবে থেমে থাকেন নি। কিন্তু কালা'ন্তক করোনা তাদের জীবনে যে বি'প'র্যয় নিয়ে এসেছে তা অভা'বনীয়। একদল ফিরে গেছেন বাড়ি। দীর্ঘকালে তিলে তিলে গড়ে তোলা সংসার মধ্যরাতে, সকালে অথবা দুপুরে তারা তু'লে দিচ্ছেন পিকআপে। ফিরে যাচ্ছেন গ্রামে। অনেকদিন আগে যে গ্রাম ছে'ড়ে এসেছিলেন। কথা হচ্ছে, সেখানেও তাদের সামনে অপেক্ষা করছে অনি'শ্চয়'তা। বাকিরা ল'ড়ছেন এখনো এই শহরে। স্রে'ফ টি'কে থাকার সংগ্রাম। জীবনযাত্রার ব্যয় যেভাবে বেড়েছে সেভাবে তাদের মানিব্যাগ বড় হয়নি। পরিবারের সদস্যদের চাওয়া পাওয়ার অনেক কিছুই পূরণ হয়নি। এখন তাদের টিকে থাকাই ক'ঠিন। চিরকালীন মধ্যবিত্তের জীবনটা সবসময়ই ক'ঠিন। আগেও এখনও। তাল গাছের আড়াই হাতের বাস্তবতা তাদের জীবন আটকে দিয়েছে। এই আড়াই হাত তারা কোনদিনই পাড়ি দিতে পারেনাই। বাংলাদেশের ১৬কোটি মানুষের চার কোটি পরিবারের মধ্যে ৬০ ভাগ নিম্ন, মধ্য ও উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবার। যার সংখ্যা আড়াই কোটি পরিবারের মতো। গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম নভেল করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। প্রথম দিনই তিনজনের শরীরে করোনার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। ১০ দিন পর ১৮ মার্চ আক্রান্ত বেড়ে ৩ থেকে দাঁড়ায় ১৪ জনে। ওইদিনই করোনায় প্রথম মৃত্যুসংবাদে কেঁপে উঠেছিল দেশ। পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে এর সপ্তাহখানের পর ২৬ মার্চ থেকে সরকার সারা দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। একে একে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত, সরকারি-বেসরকারি কর্মস্থল বন্ধ হতে শুরু করে। করোনার কারনে মার্চের শেষ সপ্তায় সাধারণ ছুটি বা লকডাউন শুরুর পর সবচেয়ে বি'পর্য'য়ে পড়ে নিম্নবিত্ত শ্রেণির মানুষ। তাদের বেশির ভাগই নিজেদের জীবিকা হা'রিয়ে ফেলেন। অনেকে শহর ছে'ড়ে চলে যান। এসব নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে দাঁড়াতে সরকারি-বেসরকারি উদ্যো'গ দেখা যায়। মধ্যবিত্তের ওপর আ'ঘা'তটা আসে আরেকটু পরে। সঞ্চয় ভে'ঙে খাওয়া শেষে তারা দেখেন হাতে কিছুই নেই। পরিবর্তিত সময়ে তারা সবচেয়ে বেশি সং'ক'টে পড়ছেন বাসা ভাড়া মে'টা'তে গিয়ে। যা বেতন পান দেখা যায় তার অর্ধেক চলে যায় বাসা ভাড়া মেটাতে। বাকি অর্ধেকে টে'নেটু'নে চলেন। কিন্তু এমন মধ্যবিত্তের অনেকেই চাকরি হা'রিয়েছেন। পোশাক খাত বাদ দিলেও অন্তত দেড় কোটি মানুষ চাকরি হা'রাতে বসেছে। এ সেক্টর ধ'রলে সংখ্যা আরো অনেক বেশি হবে। সব কারখানায় কর্মী ছাঁ'টাই শুরু হয়েছে। এভাবে চ'লতে থাকলে দেশে বেকারের সংখ্যা দিন দিন ভ'য়াব'হ আ'কা'রে বেড়ে যাবে এবং তাদের জন্য এই শহরে টে'কা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। বেতন আ'টকে গেছে অনেক প্রতিষ্ঠানে। কেউবা দু’মাসে একবার বেতন পেয়েছেন। বেতন কমে গেছে অনেকের। এমনকি কয়েকটি ব্যাংকও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন কমিয়েছে। ক'ঠিন এ সময়ে জীবিকার টা'নে পেশা পরিবর্তন করেছেন কেউ কেউ। মধ্যবিত্তরা শত কষ্টের মধ্যেও সহজে হাত পাততে পারেন না। প্রাণ খুলে বলতে পারেন না অভাব অনটনের কথা। সামাকিজ মর্যাদা ও স্টাটাস রক্ষা কথাও ভাবতে হয় অভাব মেটানোর পাশাপাশি। তাই বাধ্য হেয়ে নানা ক্ষুদ্র ব্যবসায় নিজেদের জ'ড়িয়েছেন তারা। বাস্তবতা হচ্ছে সরকারি চাকরিজীবী ছা'ড়া কেউই আসলে ভালো নেই।

করোনা পরিস্থি'তি যে এতটা ক'ঠিন হবে তা অবশ্য শুরুর দিকে আঁ'চ করা যায়নি। বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, জুলাইয়ের মাঝামাঝির পর কিংবা জুলাইয়ের শেষ দিকে শান্ত হতে পারে ভাইরাসটি তাণ্ডব। কিন্তু নিশ্চিত করে সেটাও বলা যাচ্ছে না। আর গত দুই সপ্তাহে যে হারে দেশে আক্রান্ত ও মৃত্যু বেড়েছে সেটা অব্যাহত থাকলে জুলাইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত সংখ্যাগুলো কোথায় গিয়ে ঠেকবে তা আন্দাজ করে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কপালে ভাঁজ পড়ছে। এ বাস্তবতায় সল্প আয়ের মানুষ নয়, মধ্য আয়ের মানুষসহ দেশের সব মানুষই এখন বি'পদগ্র'স্ত। একদিকে মানুষ চাকরি হা'রিয়ে গ্রামে চলে যাচ্ছে। ফলে গ্রামীণ অর্থনীতিও চা'পের মু'খে পড়েছে। যেখানে গ্রামের মানুষ জীবন মান উন্নয়নের জন্য ঢাকায় আসেন সেখানে তারা ঢাকা ছে'ড়ে চলে যাচ্ছেন। তারা কর্মসং'স্থান চায় সেখানে কর্মসং'স্থান সং'কু'চিত হয়ে আসছে। দেশে বে'কার'ত্বের সংখ্যা এমনিতেই বেশি ছিল। এ অবস্থা'য় নতুন করে হাজার হাজার মানুষ বে'কার হচ্ছেন। ফলে নানামুখি সংকট আর হতাশার আবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছে মধ্যবিত্ত শ্রেণি। এদিকে লকডাউনের ফলে যানবাহন চলাচল বন্ধের অজুহাতে দিন দিন বেড়ে চলেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর দাম। প্রতিটি দ্রব্যের দাম কয়েক দফা বেড়ে তা ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে যাচ্ছে। গত কয়েকদিনের ব্যবধানে চাল কেজি প্রতি ১৪/১৫ টাকা, মোটা ডাল কেজি প্রতি ৩৫ টাকা, খেসারি প্রতি কেজি ৩০/৩৫ টাকা, সোয়াবিন তেল ১০/১৫ টাকা, পেয়াজ কেজি প্রতি ১৭/২০ টাকা, রসুন কেজি প্রতি ৩৫/৪০ টাকা, আদা কেজি প্রতি ৫০/৬০ টাকা, ছোলা বুট কেজি প্রতি ১০/১২ টাকা, কেজি প্রতি ৮/১০ টাকা চিনিসহ প্রায় প্রতিটি দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আর দাম বৃদ্ধিতে সংসার চালাতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠেছে মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষদের। এ পরি্স্থিতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের যোগানও দিতে পারছেন না তারা। আবার তা প্রকাশ্যে বলতেও পারছেন না। প্রায় তিন মাস ধরে দেশের এই করোনা পরিস্থিতিতে স্থবির হয়ে পড়েছে জাতীয় অর্থনীতি। আমদানি-রফতানি বন্ধ বললেই চলে। পোশাক কারখানার নিম্ন আয়ের শ্রমিকদের ছাঁটাই করা হচ্ছে। শ্রমজীবী মানুষের দুবেলা ভাতের অনিশ্চয়তা আরও প্রগাঢ় হচ্ছে। ঝুঁকি নিয়েও রুটি-রুজির খোঁজে অনেকেই রাস্তায় নামছেন। কর্ম হারিয়ে হাজার হাজার মানুষের বেহাল দশা। অনেক প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কর্মচারীদের বেতনের একটা ভাগ কর্তন করা হচ্ছে। ব্যাংকগুলোতে নগদ অর্থের টানাপোড়েন। যেন চারপাশ থেকে নেতিবাচক ও হতাশাব্যঞ্জক অন্ধকার দেশটাকে ঘিরে ধরেছে। গত ৪০ বছর ধরে এই ঢাকা শহরে আমার পদচারণা থাকলেও এখন মনে হচ্ছে শহরটা আর আমার নেই। করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) কবে পৃথিবী থেকে বিদায় নেবে কেউ বলতে পারবে না। দীর্ঘস্থায়ীভাবে এ ভাইরাস পৃথিবীতে রয়ে যেতে পারে। বছরের পর বছর মানুষ করোনা ভাইরাসে প্রাণ হারাবে। মানব জাতিকে করোনা ভাইরাস দীর্ঘস্থায়ীভাবে ভোগাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হেলথ ইমারজেন্সি প্রোগ্রামের নির্বাহী পরিচালক ডা. মাইক রায়ান। তাই সারাবিশ্বের মানুষের কাছে বর্তমানে একটাই চাওয়া করোনা ভাইরাসমুক্ত পৃথিবী। করোনা ভাইরাসের কারনে উদ্ভূত দেশের এই অর্থনৈতিক এ মন্দা কাটিয়ে দেশ কবে আবার ঘুরে দাঁড়াবে সেটাও অনেকাংশে অজানা। দেশের যে কর্মসং'স্থান ছিল তা ধ'রে রাখার জন্য সরকারের কোনো পদ্ধতি নেই। সরকার এ নিয়ে অনেককিছুই করতে চাইছে। সরকারি সেফটিনেটের বাইরে থাকা নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের ঘরে খাবার পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি এ বিষয়ে তালিকা তৈরি করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছেন। কিন্তু বিভিন্ন পর্যায়ের সদিচ্ছা ও আন্তরিকতার অভাবে তা পুরোপুরি সফল হচ্ছে না। এই জায়গাতে আরও জবাবদিহিতা ও নজরদারি বাড়বে- মানুষ এমনটিই প্রত্যাশা করছে। করোনা মোকাবিলায় নতুন করে নতুন পদ্ধতিতে গোটা দেশকে জোনভিত্তিক যে বিভাজন করা হয়েছে, সেটিরও যথাযথ প্রতিফলন প্রত্যাশা করে জনগণ। করোনা নামক দানবের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষের সচেতন অংশগ্রহণও জরুরি। করোনা বিজয়ী হতে হলে সরকার, অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও আপামর জনগণের একযোগে রুখে দাঁড়ানো ছাড়া কোনও বিকল্প নেই।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল :-& ফেসবুক
[email protected]

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৫৮

বিজন রয় বলেছেন: সত্য কথা নূরু ভাই। কিন্ত উপায় নাই।

২৫ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:০৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

ধন্যবাদ দাদা
লেখাটির প্রথম মন্তব্যকারী হিসেবে্
আপনাকে জানাই শুভেচ্ছা। দেয়ালে
পিঠ ঠেকে গেছে মধ্যবিত্তের !!
এসময় পরবর্তী প্রজন্ম স্মৃতিচারণ
করবে ২০২০ সালে করোনা মহামারীতে
৬ লক্ষ মানুষ প্রাণ হরিেযেছিেলো আর না খেতে
পেয়ে ৭২ লক্ষ !! দুঃস্বপ্ন নাকি বাস্তবতা !!

২| ২৫ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৩০

বিজন রয় বলেছেন: নূরু ভাই কোন আশা দেখছি না।
অদৃষ্টের উপর সবকিছুকে কি সপেঁ দিতে হবে?

২৫ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৩৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
দাদা নিরাশও হওয়া যাবেনা।
সকলের সম্মিলিত চেষ্টা ও
সৃষ্টিকর্তার দয়ায় এ বিপদ
থেকে পরিত্রাণ পেতে পরি
আমরা। তাই সৃষ্টিকর্তার
কাছে প্রার্থনা করি সবাই।

৩| ২৫ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৮

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: কোভিড-১৯ কে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ পাত্তা না দেয়ার পেছনে অনেক যুক্তি আছেঃ

- বাংলাদেশে মানুষ এমনিতেই মৃত।শুধু জীবত থাকার অভিনয় করছে।

কিভাবে?

- কোন ছেলে অথবা মেয়ে তরুণ বয়সেই প্রেমের নামে প্রতারণা করে তাদের মেরে ফেলেছিল। এখন বেঁচে থাকার অভিনয় করছে মাত্র।

- প্রতিদিন মালিকরা শমিকদের উপর জুলুম করে আধা মরা বানিয়ে ফেলছে।

-দারিদ্রতা প্রতিদিন এদেশের মানুষকে হত্যা করছে।

- প্রতিটি সংসারে অশান্তি। সবাই যেন এক একটা জীবিত লাশ।

- বন্যা এসে প্রতিবছর মরাকে মারছে।

এরকম শত শত পদ্ধতিতে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিদিন মরে গিয়ে জিন্দা লাশের অভিনয় করছে মাত্র।

একটা গানের কথা মনে পড়ে গেলো।

"গতকাল একটি অপমৃত্যু হয়েছিল।
যা কিনা হয়নি ছাপা দৈনিক খবরের কাগজে।
আঘাতটা যায়নি দেখা অন্তরে না বুকে।
লাশটা পড়ে আছে অন্ধকার এক ঘরে। "

২৫ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

তবে কি মধ্যবিত্তরা সবাই জিন্দা লাশ !!
যত সমস্যার মধ্যেই থাকুন না কেন, ‘কেমন আছেন’
প্রশ্ন করলে মধ্যবিত্তের প্রিয় উত্তর ‘ভালো আছি’।
এই করোনাকালেও সবাই মুখে হাসি টেনে
রাখলেও সবচেয়ে বিপজ্জনক সময় পার
করছে মধ্যবিত্ত শ্রেণি। চাকরি, ব্যবসা
ৎথাকে কি থাকে না—এই অনিশ্চয়তার
মধ্যে পুরো জীবনটাই যেন আতঙ্কের
সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে মধ্যবিত্তের ।

৪| ২৫ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৭

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: মধ্যবিত্ত জীবন পার করে দেয় সপ্ন দেখতে দেখতে।কাল্পনিক জীবন যাপনের জন্য তার বেশিরভাগ সিদ্ধান্ত হয় ভুল।একটা চলমান জীবন যদিও সে পার করতে কিন্ত কিন্ত একটু এদিক সেদিক হলেই অন্ধকার দেখে।করোনা তাদের জীবনে সেই অন্ধকার নিয়ে এসেছে।মধ্যবিত্তের একটা বিরাট অংশ ছিটকে নিম্ন বিত্তে চলে যাবে।

২৫ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ নুরুল ইসলাম ভাই।
আসলে কোন সংকটকালে নিম্নবিত্তের সমস্যা হয় না। তারা যে কোনো কাজে
নিজেকে নিয়োজিত করতে পারে। ্আবার উচ্চবিত্তরা তাদের সম্পদের
কারণে যে কোনো পরিস্থিতি সামাল দিতে পারে। যত সমস্যা মধ্যবিত্তের।
কারণ তাদের গতি থাকে উচ্চবিত্তের দিকে, কিন্তু দুর্যোগে সেই গতি থেমে যায়।
তাদের নেমে যেতে হয় নিম্ন-মধ্যবিত্ত পর্যায় হয়ে নিম্নবিত্তের পর্যায়ে। দীর্ঘ সময়ে
গড়ে তোলা আর্থিক কাঠামো, মূল্যবোধকে ভেঙে দেওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
সামাজিক ও আর্থিক চাপে ভেঙে পড়ে তাদের জীবনব্যবস্থা। অর্থনীতিবিদেরা বলছেন,
এই অবস্থা চললে দুই মাসের মধ্যে অনেক মধ্যবিত্ত যোগ হবে নিম্নবিত্তের তালিকায়। ।

৫| ২৫ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪১

এম ডি মুসা বলেছেন: চরম বাস্তব কথা

২৫ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আপনাকে ধন্যবাদ মুসা ভাই
বাস্তবতার সাথে লড়াই করতে করতে
পর্যুদস্ত হচ্ছে মধ্যবিত্তরা, তাদের জ্বালা
না যায় বলা।

৬| ২৫ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: আপনাকে সত্য কথা বলি- আমি ভীষন সমস্যায় আছি। এর জন্য দায়ী করোনা।
করোনাকাল পার করতে পারবো কিনা বুঝতে পারছি না।

২৫ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
দাদা তোমার থেকে অন্যরা আরো বড় বিপদে আছে।
তোমার মাথার উপর একটা ছাদ আছে, বাড়িয়ালা
ভাড়ার জন্য তাগাদা দেয়না। না খেয়ে হয়তো
কয়েকদিন চলা যায় আধাপেটা খেয়ে কিন্ত
বাড়িওয়ালাদের তাগাদা কাহাতক সহ্য
হয়।

৭| ২৫ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৩

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সঠিক। কি নির্মম !!

২৫ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:০৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

সত্যিই বড় নির্মম!!
না পারছে তারা কারো
কাছে হাত পাততে না পারছে
ছেলে মেয়েদের শুকনো মুখ দেখতে।
অথচ কত স্বল্প চাওয়া তাদের। অথচ
বিশ্বের বর্তমান জনসংখ্যা ৭২০ কোটি
অর্ধেক ৩৬০ কোটি মানুষের সম্পদ রয়েছে
মাত্র আটজন মানুষের হাতে।

৮| ২৫ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:৪৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:

ভালো লিখেছেন প্রিয় নুরু ভাই।
ঠিকই তো আমরা অত্যন্ত বিপদের মধ্যে আছি।
অথচ কোরোনার শুরুতে এতটা আঁচ করা যায় নি।
জানিনা এর শেষ কোথায়.
শুভেচ্ছা নিয়েন।

২৫ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:৫৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
করোনার প্রথম দিকে ছুটি ভালোই লাগছিলো
গদবাধা জীবন থেকে একটু বৈচিত্র মন্দ ছিলোনা।
বাজার করো খাওদাও আর বিশ্রাম !! কিন্তু দিন
যতই যাচ্ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখা বাড়ছে।
নিকটজন আক্রান্ত হচ্ছে মানিব্যাগের স্ফিতি
কমছে আর চিন্তা বাড়ছে। জানিনা এর শেষ
কোথায় !! আপনিও ভালো থাকবেন।

৯| ২৬ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:২০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: গ্রাম অঞ্চলে মানুষ খুবই দিশাহারা হয়ে পড়ছে । চিকিৎসা এবং খাদ্যের কোন নিশ্চিতা নেই।

২৬ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:২১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
গ্রাম ও শহরে একই চিত্র ত্রাহি ত্রাহি রব
স্বজনেরা এখন ছুঁয়েও দেখেনা করোনায় মরা শব।
কবে হবে আবার সচল জীবন গাড়ির চাকা!
ভয়ে থাকি কখন মৃত্যুদুত এসে দিবে দেখা।

১০| ২৬ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:৫৫

জুন বলেছেন: নুরু ভাই আমার এত অস্বস্তি লাগছে, কেমন একটা দমচাপা ভাব, সারাক্ষণ এক আতংক নিয়ে কতদিন থাকা যায় বলেন? আমি জীবনে কখনো কাউকে গালি তো দুর একটি রূঢ় কথাও বলিনি। আজ মনে হচ্ছে গলা ছেড়ে ড্যাশ ড্যাশ বলে করোনাকে গালিগালাজ করি। আর সহ্য হচ্ছে না :((

১১| ২৬ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:০৬

মা.হাসান বলেছেন: বাস্তবতা হচ্ছে সরকারি চাকরিজীবী ছাড়া কেউই আসলে ভালো নেই

নূরু ভাই , আমার পরিচিত একাধিক সরকারি কর্মকর্তা এই করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়াছেন। সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে কেহ কেহ হয়তো বেতন জনিত অনিশ্চয়তায় নাই, কিন্তু অন্যপ্রকার অশান্তিতে সকলেই ভুগিতেছেন ।
এমনকি উচ্চবিত্তরাও ভুগিতেছেন । যাহাদের কানাডার পাসপোর্ট - ভিসা আছে তাহারাও ভুগিতেছেন।

কেহ ক্যাসিনোতে না যাইবার দুঃখে ভুগিতেছেন, কেহ পাপিয়া কুঞ্জে না যাইবার দুঃখে ভুগিতেছেন, কাহারো ঘুষ কমিয়া যাওয়ায় দুঃখে ভুগিতেছেন। এমনকি যাহারা গরতে লুকাইয়া আছেন, নিজের আত্মীয়-স্বজন দিয়া সরকারি মাল কয়েক গুণ লাভে বিক্রি করিতেছেন , তাহারাও এই দুঃখে আছেন যে সাংবাদিকরা তাঁহাদের নামে উল্টাপাল্টা কথা বলে।

তবে ইহাদের মধ্যে রাজীব নুরের-এর দুঃখ সব চাইতে বেশি বলিয়া মনে হয়- উনি আগে রাস্তায় টহলে বাহির হইলে নিয়মিতভাবে মহিলারা ওনাকে ডাকিয়া বার্গার- সিগারেট খাওয়াইতো, তিন মাস ধরিয়া সব বন্ধ।

১২| ২৬ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:৫৫

করুণাধারা বলেছেন: আপনার পোস্টে লাইক, মা. হাসানের মন্তব্যেও লাইক!!

১৩| ২৬ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:১০

রাজীব নুর বলেছেন: আমার বাড়ি ভাড়া দিতে না হলেও- অন্যান্য খরচ তো আছে। খরচের তো শেষ নাই।
এবছর মাত্র ৪৫ কেজি আম কিনেছি।
গত বছর ১০০ কেজির উপর আম কিনেছিলাম। আম আমার খুব প্রিয় ফল।

ভাড়াটিয়ারা নাকি সব গ্রামে চলে যাচ্ছে? সত্য নাকি? ভাড়া দিতে পারছে না।

১৪| ২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:৩৪

রাজীব বলেছেন: অথচ ৩টা সপ্তাহ সবাই ঘরে থাকলে আজ হয়ত আমরা মুক্ত থাকতাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.