নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নূর মোহাম্মদ নূরু (পেশাঃ সংবাদ কর্মী), জন্ম ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশালের উজিরপুর উপজেলাধীন সাপলা ফুলের স্বর্গ সাতলা গ্রামে

নূর মোহাম্মদ নূরু

দেখি শুনি স্মৃতিতে জমা রাখি আগামী প্রজন্মের জন্য, বিশ্বাস রাখি শুকনো ডালের ঘর্ষণে আগুন জ্বলবেই। ভবিষ্যৎকে জানার জন্য আমাদের অতীত জানা উচিতঃ জন ল্যাক হনঃ ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে সামুর পাঠকদের জন্য আমার নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। জন্ম-মৃত্যু, বিশেষ দিন, সাথে বিশ্ব সেরা গুণীজন, এ্ই নিয়ে আমার ক্ষুদ্র আয়োজন

নূর মোহাম্মদ নূরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুরের জাদুকর সঙ্গীত পরিচালক এবং গায়ক রাহুল দেব বর্মণের জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা

২৭ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:৪১


পঞ্চাশের দশকে বলিউড মিউজিকের পুরোধা রাহুল দেব বর্মন। আর ডি বর্মনের আর একটি নাম পঞ্চমদা। হিন্দি চলচ্চিত্র জগৎ তাঁকে এই নামেও ডাকত। তবে নামটি দিয়েছিলেন অভিনেতা অশোক কুমার। সুরের সম্রাট শচীন দেব বর্মন এবং মীরা দেব বর্মনের হাত ধরেই সঙ্গীতের শিক্ষা শুরু আর ডির। সেদিন একবারের জন্যও কেউ ভাবেননি, একদিন নিজের বাবার সঙ্গে গানের দুনিয়ায় টক্কর লাগবে তাঁর। একমাত্র জানতেন সবার মাথার ওপরে বসে থাকা ওপরওয়ালা। সাতের দশকের শেষের দিকে আস্তে আস্তে যখন পড়ন্ত সূর্য বর্মন দাদা তখনই প্রাচ্য-পাশাত্যের সুরে গান বানিয়ে আসর মাত করেছিলেন শচীন কর্তার ছেলে পঞ্চম। যিনি জন্ম থেকেই নাকি পা বা সরগমের পঞ্চম সুর একবারে গলায় তুলেছিলেন বলে ডাক নাম হয়েছিল পঞ্চম। উস্তাদ আলি আকরব খাঁ ও আশিষ খানের যোগ্য শিষ্য ছিলেন তিনি। অসংখ্য জনপ্রিয় হিন্দি, বাংলা আধুনিক ও চলচ্চিত্রের গানের সুরকার ও সংগীত পরিচালক আরডি বর্মন। তিনি প্রথম কাজ করেন অভিনেতা মাহমুদ প্রযোজিত ‘ছোটে নবাব’ ছবিতে ১৯৬১ সালে। মিউজ়িক শিক্ষা পেয়েছিলেন প্রখ্যাত সারদ বাদক ওস্তাদ আলি আকবর খান এবং তবলা বাদক শামতা প্রসাদের কাছে। মাউথ অরগান বাজাতে পারতেন পঞ্চম। ভারতে তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি ইলেকট্রনিক অর্গানের সঙ্গে ভারতীয় চলচ্চিত্রের শ্রোতা ও দর্শককে পরিচয় করিয়েছিলেন। গানটি ছিল ও মেরে সোনা রে ।৩৩১টি ছবিতে মিউজ়িক কম্পোজ় করেছিলেন আর ডি বর্মন। এর মধ্যে ২৯২টি হিন্দি, ৩১টি বাংলা, ৩টি তেলেগু, ২টি তামিল, ২টি ওড়িয়া ও ১টি মারাঠি। সংগীত জীবনে আরডি বর্মনের জনপ্রিয় ছবি, ইয়াদো কি বারাত, গোলমাল, খুবসুরত, সনম তেরি কাসাম, ১৯৪২: আ লাভ স্টোরি, রকি, শোলে। শেষ কাজ করা সিনেমাটি হল ‘১৯৪২ আ লাভ স্টোরি’। আজ কিংবদন্তি শিল্পী আর ডি বর্মনের ৮১তম জন্মবার্ষিকী ৷ ১৯৩৯ সালের আজকের দিনে তিনি ভারতের কলতায় জন্মগ্রহণ করেন। কিংবদন্তি সঙ্গীত পরিচালক এবং গায়ক রাহুল দেব বর্মণের জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা।

১৯৩৯ সালের ২৭ জুন ভারতের কলতায় জন্মগ্রহণ করেন রাহুল দেব বর্মণ। তার বাবা শচীন দেব বর্মণ একজন খ্যাতিমান সঙ্গীতজ্ঞ ছিলেন এবং মা মীরা দাসগুপ্ত ছিলেন গীতিকার। প্রাথমিকভাবে রাহুলের ডাকনাম টুবলু রাখা হয়েছিলো, এটা তার নানা রেখেছিলেন, পরে তার ডাকনাম পঞ্চম হয়ে ওঠে। কেউ কেউ বলে থাকেন সা রে গা মা পা এর 'পা' ধ্বনি দ্বারা রাহুল একদম ছোটোবেলায় ক্রন্দন করতেন তাই তার নাম সা রে গা মা পা এর পঞ্চম ধ্বনি অনুযায়ী পঞ্চম হয় বা 'প' অক্ষর থেকে পঞ্চম রাখা হয়। কেউ কেউ আবার এও বলেন যে অভিনেতা অশোক কুমার (১৯১১-২০০১) রাহুলের ডাকনাম পঞ্চম রেখেছিলেন। ছোট বেলা থেকে বাবা-মা শচীন দেব বর্মন ও মীরা দেব বর্মনের সুরের আশ্রয়ে বেড়ে ওঠা পঞ্চমের। ভালো তবলা বাজাতে পারতেন। মাত্র ন বছর বয়সে একটা সুর দিয়েছিলেন পঞ্চম। ছোট্ট পঞ্চমের দেওয়া সেই সুর ১৯৫৬ সালের ‘ফান্টুস’ ছবিতে ব্যবহার করেছিলেন শচীন দেববর্মন | সেই গান টি হল ‘আয়ি মেরি টোপি পালট কে আ’। আরেকটি গান সার জো তেরা চাক্রায়েও রাহুলের সুর করা ছিলো এবং এটিও শচীন ১৯৫৭ সালের চলচ্চিত্র পিয়াসাতে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। তিনি প্রথম কাজ করেন অভিনেতা মাহমুদ প্রযোজিত ‘ছোটে নবাব’ ছবিতে ১৯৬১ সালে। মিউজক শিক্ষা পেয়েছিলেন প্রখ্যাত সারদ বাদক ওস্তাদ আলি আকবর খান এবং তবলা বাদক শামতা প্রসাদের কাছে। খুব ভালো মাউথ অরগান বাজাতে পারতেন পঞ্চম। বাবার সহকারী হয়ে কাজ শিখেছেন, কাজ করেছেন দীর্ঘদিন। সঙ্গীতকার সলিল চৌধুরীর কাছে রাহুল সঙ্গীতের ব্যাপারে অনেক কিছু শিখেছিলেন। রাহুল তার বাবা শচীনের সহকারী হিসেবে কাজ করতেন এবং মাঝেমধ্যে শচীনের কোনো কোনো সঙ্গীতানুষ্ঠানে হারমোনিয়াম বাজাতেন তিনি। ১৯৬৬ সালের চলচ্চিত্র তিসরি মঞ্জিল ছিলো রাহুলের জীবনের প্রথম হিট চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটির গানগুলো তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো। ১৯৬৮ সালের চলচ্চিত্র 'পড়োশন' এ তিনি কিশোর কুমারকে নিয়ে সঙ্গীত পরিচালনা করেছিলেন। ৩৩১টি ছবিতে মিউজ়িক কম্পোজ় করেছিলেন আর ডি বর্মন। এর মধ্যে ২৯২টি হিন্দি, ৩১টি বাংলা, ৩টি তেলেগু, ২টি তামিল, ২টি ওড়িয়া ও ১টি মারাঠি। সংগীত জীবনে আরডি বর্মনের জনপ্রিয় ছবি, ‘তিসরি মঞ্জিল ‘ ,ইয়াদো কি বারাত, ‘কাটি পতঙ্গ’, ‘গোলমাল’, ‘খুবসুরত’,’কুদরত’ ‘শোলে’, ‘শান’, ‘সাগর’, ‘পরিন্দা’, সনম তেরি কাসাম’, ‘১৯৪২- আ লাভ স্টোরি’,। তার শেষ কাজ করা সিনেমাটি হল ‘১৯৪২ আ লাভ স্টোরি’।

ব্যক্তিগত জীবনে রাহুলের প্রথম স্ত্রী ছিলেন রিটা। রিটা প্যাটেল নাম্নী এই তরুণীর সঙ্গে রাহুলের দার্জিলিংএ পরিচয় হয়েছিলো। রিটা তার বান্ধবীদেরকে বাজী লাগিয়েছিলেন যে তিনি রাহুলের সঙ্গে ডেটিং এ যাবেন, হয়েওছিলো তাই, রাহুল রিটাকে ১৯৬৬ সালে বিয়ে করেন। মাত্র ৫ বছর স্থায়ী হয়েছিল সেই দাম্পত্য। রাহুলের সঙ্গে রিটার ১৯৭১ সালে বিচ্ছেদ হয়ে যায় এবং রাহুল শোকে মুষড়ে পড়েছিলেন। রাহুল 'মুসাফির হুঁ ইয়ারো' গানটির সুর রিটার সঙ্গে বিচ্ছেদের পরেই করেন, কিশোর কুমারকে দিয়ে গাওয়ানো গানটি দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে গিয়েছিলো, গানটি ১৯৭২ সালের চলচ্চিত্র 'পরিচয়' এর জন্য ছিলো। এরপর দীর্ঘ ৯ বছর পর ১৯৮০ সালে গায়িকা আশা ভোঁসলেকে বিয়ে করেন রাহুলদেব। ১৯৬০ সালে গণপত রাওয়ার সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর আশা নিজের কেরিয়ারে মনোনিবেশ করতে থাকেন। দুজনের পরিচয় দীর্ঘদিনের। গানের মধ্যে দিয়েই তৈরি হয়ে যায় পারস্পরিক নির্ভরশীলতা। আর ডি বর্মনের প্রেমের প্রস্তাবে আশা ভোসলে প্রথমে সেভাবে না এগোলেও, পরের দিকে প্রেমে পড়ে বিয়েও করেন দুজনে। পরবর্তীকালে তাঁদের বিয়ে হলেও তাঁদের সাংসারিক জীবন খুব একটা সুখের হয়নি বলে জানা যায়। স্বামীর প্রতি অনুযোগ ছিল আশার। পঞ্ছম সব সব ভাল ভাল প্রেমের গান দিয়ে দেন দিদি লতাকে, আর আশার জন্য থাকত ক্যাবারে, জ্যাজ প্রধান সব গান। এই নিয়ে বাকবিতণ্ডাও কম হয়নি দুজনের। পরবর্তীকালে আশা নিজেই জানিয়েছেন একাধিক সাক্ষাত্‍কারে| তবে আশা ভোসলে-রাহুল দেববর্মণ জুটি আমাদের উপহার দিয়েছেন কালজয়ী সব গান। আশা রাহুলের চেয়ে ছয় বছরের বড় ছিলেন।তিনি আজীবন রাহুলকে মূলত বন্ধু মানতেন। ১৪ বছর সুর নিয়ে, গান নিয়ে একসঙ্গে ঘর করার পর ১৯৯৪-এর ৪ জানুয়ারি সুরলোকের পাকাপাকি বাসিন্দা হলেন পঞ্চম। আশাকে ছাড়াই। রাহুল মারা গেলে আশা কিছুটা শোক প্রকাশ করেন। আর ডি বর্মন বৈষয়িক দিকে সম্পূর্ণ উদাসীন। তিনি ছিলেন দিলদার। নিজের মিউজিশিয়নদের অসম্ভব ভালো বাসতেন আর সন্মান করতেন। তাঁর সুরে গান কিশোর কুমার থেকে অমিত কুমার, মান্না দে, মহম্মদ রফি, ভুপিন্দর সিং, শৈলেন্দ্র সিং প্রমুখ। কিশোর কুমার এর গলায় সব থেকে বেশি গান রয়েছে তাঁর সুর করা। কিশোর কুমারকে অসম্ভব শ্রদ্ধা করতেন আর ডি। আর ডি বর্মন এমন একটি নাম, যাকে নিয়ে লিখতে বসলে পাতার পর পাতা লিখলেও শেষ করা যায় না। ১৯৯৪ সালের ৪ জানুয়ারি ভারতের মুম্বাবইতে মৃত্যুবরণ করেন আরডি বর্মণ। মৃত্যুর পর রাহুল দেব বর্মণের জনপ্রিয়তা তো কমেইনি, বরং বেড়েছে তার প্রাসঙ্গিকতা। আজ কিংবদন্তি শিল্পী আর ডি বর্মনের ৮১তম জন্মবার্ষিকী। কিংবদন্তি সঙ্গীত পরিচালক এবং গায়ক রাহুল দেব বর্মণের জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
নিউজ চ্যানেল :-& ফেসবুক
[email protected]

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:৪৫

বিজন রয় বলেছেন: ইনিও একজন বিস্ময়কর প্রতিভা!!

সুরের জাদুকর সঙ্গীত পরিচালক এবং গায়ক রাহুল দেব বর্মণের জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা!

ধন্যবাদ নূরু ভাই।

২| ২৭ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:১৬

পারভীন শীলা বলেছেন: এত দরদ দিয়ে যারা গাইতে পারে তারা ছাড়ছাড়ির মতো কঠিন কাজ কিভাবে করে ! ভেবেই খারাপ লাগে । জন্মদিনের শুভেচ্ছা সহ অনেকটা কষ্ট রেখে গেলাম।

৩| ২৭ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:২৩

ইসিয়াক বলেছেন:


আমার প্রিয় গায়কও সুরকার। শুভেচ্ছা রইলো।

৪| ২৭ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:২৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: গান বাজনা হারাম।

৫| ২৭ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:৪৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: উনি ও ওনার পিতা সচীন দেভ বর্মণ (ওনার চেয়েও বড় সঙ্গীতজ্ঞ) ত্রিপুরার রাজপরিবারের সদস্য ছিলেন। ওনার পিতার জন্ম হয় কুমিল্লার চরথায়। সেখানে ওনাদের ৬০ একর জায়গার উপর একটি প্রাসাদ নির্মাণ করে দেন ত্রিপুরা রাজ্যের মহারাজা বীরচন্দ্র মানিক বাহাদুর। ১৯২৫ সালে ওনার পিতা কলকাতায় চলে আসেন। তার অনেক বাংলা গানের এ্যালবামও রয়েছে যেগুলো তিনি পুজার সময় বের করতেন এবং গৌরিপ্রসন্ন মজুমদার গীতিকার হিসেবে থাকতেন। উনি বিশিষ্ট গীতিকার ও সুরকার সলীল চৌধুরীকে গুরু মানতেন।

৬| ২৭ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: তার সংঙ্গীত অনেক শ্রুতিমধুর।

৭| ২৭ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:৫৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এর আগে মীনা কুমারীর পোস্ট পড়ে খুব মন খারাপ হয়েছিল। আর ডি বর্মণের জীবন সাফল্যে ভরপুর। তারপরও, রিটার ছেড়ে যাওয়া এবং সেজন্য আরডি'র মুষড়ে পড়ায় আহত হলাম। তার অকালবিয়োগও কষ্টদায়ক।

আরডি'র সুর করা গান এটা




এটাও আরডি'র সুর করা এবং মূল শিল্পী আশা ভোঁসলে



৮| ২৭ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:২৪

মিরোরডডল বলেছেন: দ্বীপ জ্বলা সন্ধ্যায়, হৃদয়ের জানালায়
কান্নার খাঁচা শুধু রেখেছি

ও পাখি সেতো আসেনি
তুমি ভালোবাসনি
স্বপ্নের জাল বৃথা বুনেছি

মনে পড়ে রুবি রায়, কবিতায় তোমাকে
একদিন কত করে ডেকেছি!
আজ হায় রুবি রায় ডেকে বল আমাকে

তোমাকে কোথায় যেন দেখেছি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.