নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার গল্পটা হোক পৃথিবীর সেরা গল্প ।কারন আমি হতে চাই একজন সত্যিকারের জীবন শিল্পী ।

নুরুন নাহার লিলিয়ান

নুরুন নাহার লিলিয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

চিটাগাং বিসিএসআইআর গবেষনাগারের ডিরেক্টর কে ফের প্রাননাশের চেষ্টা এবং আমার কিছু ভয়াবহ অভিজ্ঞতা।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৬


[ছেলের সাথে নেভাল একাডেমীর প্যারেন্টস ডে তে তোলা ছবি ]
গত ৩০শে মার্চ ফের বিসিএসআইআর গবেষনাগারের ডিরেক্টর মিসেস মাহমুদা খাতুনকে প্রাননাশের চেষ্টা করা হয়। সেদিন গবেষনাগারের একটি টিম রাঙামাটির সাব ষ্টেশন ভিজিট এবং খাগড়াছড়ির মাটিরাঙার রাবার বাগান ভিজিটের উদ্দেশ্যে সকাল ৭ টায় রওয়ানা হয়। সাথে ডিরেক্টর ম্যাডাম ও সংগে যান। গাছ থেকে রাবার সংগ্রহকরন এবং রাবার প্রস্তুতকরণ প্রতিষ্ঠান ভিজিট করা হয়। কারন রাবার এর উপর একটি নতুন গবেষনা করা হচেছ।গবেষনার সেই অভিনব যাত্রায় অতিথি হিসেবে আমারও যাওয়ার সুযোগ হলো। এই চেনা বাংলাদেশের যেন ভিন্ন আরেক চেহারা। খাগড়াছড়ির অজস্র পাহাড়ি আকাঁ বাকা পথ পাড়ি দিয়ে আলুটিলা রহস্যময় গুহায় প্রবেশ করি। সে এক ভয়ংকর অভিজ্ঞতা। আমাদের রাস্তাঘাট চিনিয়ে নিচ্ছিল রাঙামাটির সাব ষেটশণ এর কর্মচারি নেসার। গাড়িতে অজানা উপজাতিদের জীবন নিয়ে ভয়ংকর সব গলপ। যা জীবনে প্রথম শুনলাম।খাগড়াছড়ির সাজেক ভ্যালিতে পাংকু নামের এক জাতি আছে। যারা নিজেদের মা বাবা ছেলে মেয়ে মারা গেলে নিজেরাই খেয়ে ফেলে। কারন তারা বিশ্বাস করে মা বাবা কষট করে তাদের বড় করে। তাই মারা যাওয়ার পর মাটি দিলে কিংবা পোড়ালে মা বাবা কষট পাবে। খেয়ে ফেললে তারা নিজেদেরই পেটে থাকবে। গা শিউরে উঠা সব অভিজ্ঞতা।
খাগড়াছড়ির আলুটিলা রহস্যময় গুহায় প্রবেশ ছিল ভয়ংকর আর রোমাঞ্চকর অনুভুতির।সেখান থেকে গবেষণার জন্য রেয়ার কচু গাছের চারা সংগ্রহ করা হল। রাবার বাগান থেকেও কিছু চারা গবেষনার জন্য নেয়া হয়। সেখানে উপজাতিরা রাবার বাগানের কাজে নিয়োজিত।
সেখান থেকে রাঙামাটির সাব ষেটশন এবং রাঙামাটি ঝুলন্ত ব্রিজ ভিজিট করে চিটাগাং বিসিএসআইআর গেসট হাউজে পৌছাতে রাত প্রায় ১০ টা হয়। সে সময় মিসেস মাহমুদা খাতুনের আরেক ছেলে চিটাগাং জিইসি মোড়ে অপেক্ষা করে মায়ের সাথে দেখা করার জন্য। তিনি আর্মি অফিসার । কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে কর্মরত। তাকে নিদিষ্ট সময়ে ক্যান্টনমেন্ট ফিরে যেতে হবে।ট্রাফিকজ্যাম সমস্যার কারনে মিসেস মাহমুদা নিজে অফিসের ড্রাইভার আনিস এবং সায়েন্টিস্ট সাইদুর কে সংগে নিয়ে নতুন পাড়া গেসট হাউজ থেকে পিকআপ নিয়ে ছেলের কাছে দেখা করার জন্য রওয়ানা হন। গাড়ি ট্যাকনিক্যাল মোড়ে পৌছালে দুজন মোটর সাইকেল আরোহী সন্ত্রাসী হামলা চালায়। তারা বেচেঁ গেলেও গাড়ির পেছনের কাচঁ ভেংগে মুহুর্তে চুরমার হয়ে যায়। এদিকে অফিস এবং আবাসিক এলাকায় আতংক ছড়ায়। এ ঘটনা শেষ না হতেই পরের দিন দুপুর ১২ টার দিকে অচেনা একটি ছেলে রহস্যজনক ভাবে আমার স্বামী
ড. মোহাম্মাদ নজরুল ইসলাম ভূইয়াকে গেসট হাউজে খুজতে আসে। অফিস টাইম থাকায় তিনি তখন ল্যাবে। বুঝে ফেলার আগেই ছেলেটি আবাসিক এলাকার পিছন দিক দিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনা গুলোর জন্য বদদারহাট র‍্যাব কমান্ডার কে জানানো হয়।ডিজেএফ কে ও জানানো হয়। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলে। এ নিয়ে মিসেস মাহমুদা খাতুন ম্যাডাম দুইবার হামলার থেকে বেচেঁ গেলেন।
[ড্রাইভার আনিস ভাংগা কাঁচ পরিষ্কার করছে]

সেই ফেব্রুয়ারী থেকে একের পর এক রহস্যময় হুমকি হামলা চলছে। সব সময় একটা আতংক মনের মধ্যে কাপতেঁ থাকে। এই বুঝি কোন অনাকাংখিত ঘটনা ঘটে গেল। এই বুঝি কেউ হামলা করলো।
গভীর অরণ্যে ঘেরা চিটাগাং বিসিএসআইআরের নিরবতায় দিনের আলোতেও গা ছম ছম করে।চিটাগাং শহর থেকে বেশ দূরে বালুচরায় অবস্থিত এই গবেষনাগারটি জনমানবে ভরে উঠুক। সকল অশুভ শক্তির ছায়া থেকে মুক্তি পাক।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.