নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার গল্পটা হোক পৃথিবীর সেরা গল্প ।কারন আমি হতে চাই একজন সত্যিকারের জীবন শিল্পী ।

নুরুন নাহার লিলিয়ান

নুরুন নাহার লিলিয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

অভিজ্ঞতা: পঞ্চাশ হাজার ইয়েনের তরমুজ এবং জাপানের বাজার নীতি।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:০৪





আমি তখন জাপানে থাকি। বেশ কয়েকমাস হয়ে গেছে। মুটামুটি নিজের জীবন নিয়ে ব্যস্ত। চারপাশে জাপানের নতুন নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করছি। তেমনই এক অভিজ্ঞতা।

প্রতিদিনের মতো সেদিনও সাপ্পরো দাইমারু সুপার শপে গিয়েছিলাম। নিজের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র কেনার জন্য। হঠাৎ গ্রিন কোর্ট নামের একটি ভেজিটেবল শপে চোখ স্থির হল। বিশাল এক তরমুজ। তরমুজটা দেখে যতোটা না অবাক হলাম তার চেয়ে বেশি অবাক হলাম এর দাম দেখে। পঞ্চাশ হাজার ইয়েন। এতো দাম দিয়ে কে এই তরমুজটা কে খাবে।
আমি অবাক হয়ে বিক্রেতা মেয়েটি কে জিজ্ঞেস করলাম। তোমার তরমুজ তো অনেক দাম। কে কিনবে? সে আত্মবিশ্বাস নিয়ে বলল,অলরেডি সোলড আউট”। আমি বোকা হয়ে গেলাম। কিভাবে সম্ভব। কে কিনলো। বার বার জিজ্ঞেস করলে হয়তো বিরক্ত হতে পারে। তাই গ্রীন কোর্টের মাছ, মাংস, সবজি ফলের কর্নার গুলো ঘুরে ফিরে দেখতে লাগলাম। জাপানটা সত্যিই কতোটা ব্যয়বহুল তা হয়তো অনেকেই বিশ্বাস করতে পারবে না। তাই চুপ করে একটা ছবি তুলে নিলাম। তারপর কৃত্রিম একটা হাসি নিয়ে বিক্রেতা মেয়েটির কাছে আবারও গেলাম।

এবার মেয়েটি আমার ব্যাপারে কৌতুহল দেখালো। আমি কোন দেশ থেকে এসেছি। সাপ্পরোতে কি করছি। কবে ফিরে যাবো। এবার তার সাথে একটা হাসি খুশি আন্তরিক সম্পরক তৈরী হলো। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম তরমুজটি কে কিনে নিয়েছে। সে জানালো একজন জাপানি ব্যবসায়ী ওল্ড হোমে তার মায়ের জন্মদিনে পাঠিয়েছে। বিষয়টা ভালো লাগলো। মেশিন যন্ত্রের দেশেও হৃদয়ের চর্চা হয়।পুরো আইডিয়াটা ভালো লাগলো।

আসলে জাপানিরা ভীষন ব্যবসায়ী মানসিকতার জাতি। এই ধরনের দ্রব্য পন্য খাদ্য গুলো রাখা হয় দোকানে ভীর বাড়ানোর জন্য। ক্রেতা আকর্ষনের জন্য। তার মধ্যে যদি দুই একজন এমন ধনী ক্রেতা পেয়ে যায় তাহলে এক সপ্তাহের আয় একদিনেই হয়ে যায়।
তবে এটা শিখলাম ক্রেতা কে আকর্ষন করতে হলে ব্যতিক্রম কিছু করতেই হবে। মানুষের কাছে চিরন্তন সত্য একঘেয়েমী জীবন সব সময় ধূসর।
শুধু তা নয় মানুষের কাছে সবজি আর ফলকে জনপ্রিয় তারা নানা রকম গবেষনা আর আইডিয়া প্রয়োগ করে থাকে। তাই তাদের দেশে উৎপাদিত পন্য এবং দ্রব্য সামগ্রীর সর্বোচ্চ ব্যবহার হয়।
দেশের অর্থনীতিকে প্রগতিশীল রাখা আর বাজার কে নিরাপদ, সুন্দর আর ক্রেতার মানসিকতা বুঝে বাজার নীতি গ্রহন করলে দেশে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অত্যাবশ্য।।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: হুম বিপনন ই মেইন এখন।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৬

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:১৯

শামছুল ইসলাম বলেছেন: জাপানী মা খুশি হবে কি না জানি না, তবে বাঙালি মা যে খুশি হতো না, তা বলাই বাহুল্য-তার কাছে তার ছেলের সাহচার্যের চেয়ে দামী কিছু নেই।

//সে জানালো একজন জাপানি ব্যবসায়ী ওল্ড হোমে তার মায়ের জন্মদিনে পাঠিয়েছে। বিষয়টা ভালো লাগলো। মেশিন যন্ত্রের দেশেও হৃদয়ের চর্চা হয়।পুরো আইডিয়াটা ভালো লাগলো। //

//দেশের অর্থনীতিকে প্রগতিশীল রাখা আর বাজার কে নিরাপদ, সুন্দর আর ক্রেতার মানসিকতা বুঝে বাজার নীতি গ্রহন করলে দেশে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অত্যাবশ্য।।// - সহমত।

অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ !!!!

ভাল থাকুন। সবসময়।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:২২

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: সহমত পোষন করায় আপনাকে ধন্যবাদ।

৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:৩৬

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: ভালো অভিজ্ঞতা। ব্যবসায়িরা নিজেদের ফায়দার জন্য কত্ত কিছু করে, আবার তাদের থেকে এত উচ্চমূল্যে কেনার ক্রেতাও আছে অনেক।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:১৩

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: এক টুকরো রসুনের দাম ২০০ ইয়েন। যদি বর্তমান মূল্য ধরি ১০০ইয়েন = ৭২ টাকা। তাহলে ১৪৪ টাকা একটা রসুনের দাম। কে বিশ্বাস করবে। বাজার ঘুরে ঘুরে এই তথ্য ছবি আমার কাছে আছে। ওরা সবাই কাজ করে। সবার কাছে পয়সাও আছে। তাই বাজার মূল্য নিয়ে ওদের চিন্তা একটু আলাদা। মার্কেট গুলো সব সময় জমজমাট।

আপনাকে ধন্যবাদ।

৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:৫৯

সৈয়দ আবুল ফারাহ্‌ বলেছেন: সুন্দর, সাবলীল লেখা। ভাল লাগল। (মায়ের প্রতি সন্তানের মায়া - ওল্ড হোমে তার মায়ের জন্মদিনে পাঠিয়েছে। )

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:২৬

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ

৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:১০

নিলয় নীল বলেছেন: অনেক বড় একটা পলসি জানলাম ধন্যবাদ আপু

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৮

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ।

৬| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৩:৩৩

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: ১৪৪ টাকা একটা রসুনের দাম কি পুরা জাপানেই নাকি শুধু নির্দিষ্ট কিছু দোকানে। আমরা এক কেজি রসুন কিনি বিডি ১০০০ টাকায়। একটা পেয়াজের দাম পড়ে বিডি ২৫ টাকা, আলুও এমন।

৭| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৬:৫৪

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন:

৮| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:৫৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:

দেশের অর্থনীতিকে প্রগতিশীল রাখা আর বাজার কে নিরাপদ, সুন্দর আর ক্রেতার মানসিকতা বুঝে বাজার নীতি গ্রহন করলে দেশে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অত্যাবশ্য।।

অভীজ্ঞতা জেনে অভীজ্ঞ হলাম :)

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:২২

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: বিদ্রোহী সাহেব জেনে খুশী হলাম।


ধন্যবাদ।

৯| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:২৫

দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: সুন্দর অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:৫৮

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.