নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার গল্পটা হোক পৃথিবীর সেরা গল্প ।কারন আমি হতে চাই একজন সত্যিকারের জীবন শিল্পী ।

নুরুন নাহার লিলিয়ান

নুরুন নাহার লিলিয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার লেখা তিনটি উপন্যাসের জন্মস্মৃতি এবং কিছু অপ্রাসঙিগক আলোচনা।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:০৭


( আগামী প্রকাশনী, ২০০৬ সাল)

জীবন কতো রকমের অনুভূতি আর অভিজ্ঞতার সমষটি আমরা কেউ জানি না। জীবন নামক সমদ্রে দু:খ আর সুখের স্রোতের খেলা দেখতে সেই জীবনটাও একদিন পরিসমাপ্তি টানে। জগতের অনেক নিয়ম দেখে দেখে ২০০৬ সালে এই আমি তখন ২১ বছরে পদার্পন করেছি। ছেড়ে এসেছি ষোড়শীর রঙ করা বিকেল।অষটাদর্শীর প্রেমময় আকাশ। উনিশের বিরহী নদী।আর কুড়িতে নতুন করে নতুন সকাল। প্রতিদিনের ডায়রির পাতা জুড়ে শুধু চোখের সামনে দিয়ে ছুটে চলা মানুষের জীবন যুদ্ধের দৃশ্য। হতাশা আসে। দু:খ আসে। তবুও জীবন থেকে সবপ্ন ছুটে যায় না।ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ে পদার্পন করেছি সবে মাত্র। কি নিজে বুঝিনি। যা আছে আমার ভিতর। কাছের বান্ধবীরা উৎসাহ দেয়।ততো দিনে এক পাতা দুই পাতা করে প্রায় চারশো পাতা। "ইন্দিরা রোড" নামে নিজেই নানা অভিজ্ঞতা নিয়ে নিজ অস্তিত্বের জানান দিলো। আমার লেখা প্রথম উপন্যাস। না।বই প্রকাশ এতো সহজ নয়। যে সবপ্ন উৎসাহ নিয়ে এগিয়ে যায় তা সফল হবেই। আমার ঢাকা বিশব বিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ছাত্রী সীমা শারমিন নিয়ে গেল আগামী প্রকাশনীর কর্ণধার ওসমান গনির কাছে। হাতে লেখা পান্ডুলিপি জমা দেওয়া হলো। বেশ অনেক দিন পর ফোন এলো। একজন প্রফেশনাল প্রুফ রিডার আমার পান্ডলিপি পড়ে লাইন আনুযায়ী লিখিত সমালোচনা দিয়েছেন। সেই সমালোচনা পড়ে প্রকাশক সেই একুশ বছর বয়সী তরুনী ফোনে জানালো পান্ডলিপিটি প্রকাশ যোগ্য।



( শিখা প্রকাশনী, ২০০৭ সাল)

শুধু তা নয়। খুব শিঘ্রই এই পান্ডুলিপি প্রকাশের কাজ শুরু হবে। প্রুফ রিডার এবং প্রকাশ দুজনেই বেশ উচ্ছল মানসিক সৌন্দর্য প্রকাশ করলো। তার কিছুদিন পর জানা গেলো আমার সেই উপন্যাসের প্রচ্ছদকারক দেশবরেণ্য শিল্পী ধ্রুব এষ। প্রচারনা জন্য পোষ্টার এবং পত্রিকা গুলোতে নিজের বইয়ের প্রচ্ছদ দিয়ে বিজ্ঞাপন দিলাম।
নতুন লেখক। তাও আবার নারী। টগবগে একুশ বাইশ বছর বয়সের তরুনী। আমিতো স্বপ্ন হাতে পেলাম। ধীরে সাদা কাগজে বল পয়েন্টে হাতে লেখা কথা গুলো। মানুষ গুলো। সেই মানুষগুলোর জীবনের দৃশ্যগুলো ছাপা কাগজে ভেসে বেড়াচ্ছে। সে এক অদ্ভুত অনূভুতির ছোয়াঁ। আমি কখনও একা। আবার কখনও বান্ধবীদের সাথে বই মেলা যাই। আগামী প্রকাশনীর স্টলে গিয়ে বসি। আমাকে আর আমার উপন্যাসের সাথে অনেকে মিলাতে পারেনা। ছাত্রী অবস্থায় লেখা উপন্যাসটা অনেকের কাছে একটু পরিপক্ক লেখকের তুলনায়। তাই অনেকে বুঝতে পারে না। বিশ্বাস করতে চায় না যে ঐ বইটি আমার জন্ম দেওয়া। আসলে পাঠক আর দর্শকের ভাবনা সময় কে নিয়ে ঘুরে। সময়ের সাথে সাথে তাদের চিন্তার ও পরিব্যপ্তি হয়। তাদের জ্ঞানের তৃষ্ণা অনেক। পত্রিকা এবং টিভির সাংবাদিকরা এসে নতুন নারী লেখকের সাক্ষাতকার নেয়। আমি জ্ঞানী মানুষের মতো তাদের প্রশ্নের উত্তর দেই।আমি তো প্রকাশনা জগতের নতুন অতিথি। বই প্রকাশের আনন্দেই আত্মহারা। দেখতে দেখতে বই মেলা শেষ।অনেক অভিজ্ঞতার মাঝে এই অভিজ্ঞতাও জীবনে নতুন মাত্রা যোগ দিলো।
তখন ঢাকা বিশব বিদ্যালয়ের অর্থনীতির ছাত্রী।পড়াশুনা ও কম নয়। বই লেখা আর প্রকাশ যেন শুধুই আনন্দ।কিছুদিন পরে বুঝা গেলো প্রকাশক সাহেব খুশি। অনেক গুলো সৌজন্য কপি পেলাম। সেগুলো বিক্রি করে দিলাম শাহবাগ, নীল ক্ষেত, বনানী এবং মিরপুরের কিছু দোকানে। আমার তো মনে হয় বই বিক্রি মানে নিজের চিন্তা কে ছড়িয়ে দেওয়া। বই বিক্রি থেকে প্রাপ্ত টাকা দিয়ে বান্ধবিদের নিয়ে স্টার কাবাবে খেয়ে ছিলাম।কিনে ছিলাম নিজের জন্য কিছু শৌখিন পন্য।
তারপর অনেক গুলো দিন সময়কে মুঠো করে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল।
হঠাৎ একদিন শিখা প্রকাশনীর কর্ণধার আমাকে ফোন দিলেন। জানালেন যে তিনি আমার "ইন্দিরা রোড" বইটি পড়েছে। অনেক কষটে আমার বান্ধবি সীমা সারমিনের কাছ থেকে ফোন নাম্বার নিয়ে ফোন দিয়েছে । আমি অনেকটাই অবাক হলাম। তিনি জানালেন আমার কাছে লেখা আর কোন পান্ডুলিপি আছে কি না? তিনি আমার বই প্রকাশ করতে চান। "ইন্দিরা রোড " বইটি নাকি তাকে মুগ্ধ করেছে।
এই সূযোগ তো ছাড়া যায় না। তবে আমার কাছে কিছু কবিতা ছাড়া কিছু নেই। তিনি লেখা তৈরি করতে বললেন।
এই দিকে আমার ব্যক্তি জীবন আর পরীক্ষা ঝামেলা। মন ঠিক মতো বসে না। চিন্তা ভাবনা গুলো বিক্ষিপ্ত। তবুও ক্লান্ত চিন্তার ফসল "ল্যাম্প পোষটের আলোতে " প্রকাশ হলো ২০০৭ সালে।। আমার মা তখন ভীষন অসুস্থ। হাসপাতালে আর বিএফএম হলে বসে লেখা উপন্যাস। তারই ধারাবাহিকতায় ২০০৮ সালে প্রকাশ হলো "সেকেন্ড জুন"।



( শিখা প্রকাশনী, ২০০৮ সাল)

সে এক অন্য রকম ভালোবাসা। নিজের লেখা চোখের সামনে রাখতেই ভালো লাগে। একদিন প্রকাশক জানালেস এই বইটি দেশের বাইরে গিয়েছে অনেক গুলো কপি।
আমি তাকে কিছুই জিজ্ঞেস করিনা। ডেকে নিয়ে বই প্রকাশ করেছে। তাও আবার প্রতিষঠিত প্রকাশক। শুধু বই প্রকাশই যেন আমার বড় প্রাপ্তি।
এরই সাথে অন্য একটা প্রকাশনা থেকে আমার একটি যৌথ কবিতার বই প্রকাশ হয়।
ঠিক সে বছর থেকে মা হাসপাতালে দীর্ঘদিন। আমার জীবনের একান্ত দু:খ গুলো শুধু বেড়েই চলেছে। বাইরের পৃথিবীর দিকে তাকানোর ফুরসুরাত নেই। আমি নিজেই যেন উপন্যাসে ঢুুকে গেলাম। কতো রকমের দু:খ আসতে পারে জীবনে! সব যেন অক্টোপাসের মতো আকড়ে ধরলো। মনে হতে লাগলো সামনের পথ গুলোতে কেউ এতো গভীর অন্ধকারে ঢেকে দিয়েছে যে আমি জীবনের সবপ্ন গুলো ভুলতে বসেছি। তারপর কর্পোরেট দুনিয়ায় একটি চাকরি নিয়ে ঢুকলাম।দিন রাত বৈষয়িক হিসাব নিকাশ। গল্প কবিতায় মন ভেজানোর সময় কোথায়।জীবনের নিয়মে একদিন কেউ জীবনের সঙিগ হলো।
এরপর তো প্রবাস জীবন। সেখানে জীবনটা স্পিডি ট্রেনের মতো। শুধুই ছুটে চলা। ছুটতে ছুটতে সবাই একদিন ক্লান্ত হয়। আমরাও হলাম। ফিরে এলাম। এরই মধ্যে গোটা পৃথিবীর গল্প পালটে গেছে। তথ্য প্রযুক্তি আর জীবন। চোখে দেখা সূর্যটা ও কেমন পাল্টে গেছে। এর মধ্যে দৈনিক প্রথম আলো তে দূরপরবাসে নিয়মিত লিখেছি। প্রকাশ ও হয়েছে। দৈনিক সংবাদ, কালি ও কলম, ইত্তেফাক, যুগান্তরে প্রকাশ হয়েছে ছোট গল্প।
আবার দীর্ঘদিন পর কেউ যদি বলে তোমার সেই আগের লেখা গুলো পড়তে চাই তখন মৃত সবপ্ন গুলো কেমন ঝাপিয়ে উঠে।
নিজের মনের ভিতর থেকে অন্য কেউ চিৎকার করে বলতে থাকে জেগে উঠো। আমি সত্যিই আবার সবপ্ন কে সাথে নিয়ে জেগে উঠতে চাই। লিখে যেতে চাই জীবনে যা দেখেছি। জীবনে যা ভেবেছি।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৬

দ্যা ফয়েজ ভাই বলেছেন: ভালোই তো।তলে তলে এতদূর???আমাদেরকে তো কয়েক কপি পাঠাইতে পারতেন। ;)
যাই হোক,আপনার জন্য শুভকামনা। আপনি একজন বড় লেখক হোন এটাই কামনা করি। :)

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৩

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: হা হা হা জী ভাই।।। আপনাদের পাঠাবো। পিডিএফ এ করার চিন্তা করেছি। তৈরী হলে লিংক পাঠাবো। আশাকরি এই ভদ্র মহিলার লেখা পড়বেন। অনেক ধন্যবাদ।

২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৭

ধ্রুবক আলো বলেছেন: আপনার জন্য অনেক শুভ কামনা রইল, চেষ্টা করব বই পড়ে দেখার

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৪

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: এটা কি বললেন ভাই চেষটা।।। আমার বই পড়তেই হবে। হা হা হা।।। আপনাকে ও অনেক ধন্যবাদ।

৩| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৯

ধ্রুবক আলো বলেছেন: হা হা হা, আচ্ছা ঠিক আছে পড়ব....

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:২০

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৩

তানভীরএফওয়ান বলেছেন: Congratulations. U r a brave woman, sorry writer .
waiting 4 ur pdf .

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:২২

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: Hello brave man why you sorry?
Thank you so much.Hope you will read my writing regularly..Take care ।
.

৫| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৪

প্রামানিক বলেছেন: আপনি বই প্রকাশ করেছেন জানতাম না জেনে খুশি হলাম। আপনার লেখা বই পড়ার ইচ্ছা আছে।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:২৫

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: আমি ভীষন ভাবুক পিচ্চি মেয়ে সেই ছোট বেলা থেকে।।।। দৈনিক আজকের কাগজে এবং ভোরের কাগজে ১৯৯৯ সালে প্রথম গল্প প্রকাশ হয়েছিলো।।।।। মাঝে মাঝে থেমে যায় জীবনের অনেক গল্প।।। মাঝে তাই আমিও থেমে ছিলাম। ধন্যবাদ।

৬| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:০৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পড়ে ভাল লাগলো । দোয়া করবেন আমরাও যেন কোন দিন কিছু অপ্রাসঙিগক আলোচনা করতে পারি।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:২৮

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: জেনে খুশি হলাম। আমার জন্য দোয়া করবেন।
আর আমিও চাই আপনি অদূর ভবিষ্যতে আপনারা আমার লেখা নিয়ে অপ্রাসঙিগক আলোচনা করবেন।।। ধন্যবাদ।

৭| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪৭

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: শুভ কামনা রইল, বই পড়ে দেখার চেষ্টা করব।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৩১

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: ভাই নয় কোন চেষটা
আমার বই পড়তে হবে
মনোযোগে দেখতে হবে
তা না হলে ব্যথা পাবে মনটা।

৮| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: ইন্দিরা রোড বইটি আমি অনেক আগে পড়েছি। ভালো লেগেছে।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৩৫

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: আপনার নামটাও কোথায় যেন শুনেছি।।। ২০০৬ সালে বইটি অনেক প্রচারনা হয়েছিলো। আগামী প্রকাশনী
ড .হুমায়ুন আযাদ স্যারের বই প্রকাশ করা বিখ্যাত প্রকাশনা এবং ভীষন প্রফেশনাল।অনেক জায়গায় বইটি বিপনন হয়েছে।

আপনি পড়েছেন জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ

৯| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:২৮

রুদ্র কায়সার বলেছেন: পড়ার আগ্রহ জাগলো। আশা করি সংগ্রহ করতে পারবো। মন্তব্য পড়ার পরে জানাবো :)


১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২২

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: পড়ার আগ্রহ তৈরী হয়েছে জেনে খুশি হলাম। এগুলো অনেক আগের ২০০৬-২০০৮ সালের। তবে rokomari.com অথবা পাঠক সমাবেশে পাওয়া যেতে পারে। পিডিএফ কাজ শুরু হবে অল্প কিছু দিনের মধ্যে।
ধন্যবাদ।

১০| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩৭

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: বাহ, দারুণতো, আপনিতো অনেক পুরনো লেখিকা এবং সফলতা পেয়েছিলেন দেখা যায়। চালিয়ে যান, আগামী মেলায় তাহলে বই আসছে?? :)

শুভ কামনা রইল।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৫৪

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ্‌!! প্রথম হিসেবে ভালোইা সফলতা ছিল। ইনশাআল্লাহ্‌ সামনে দুইটি বই আসবে। আশাকরি আমার বই সংগ্রহে রাখবেন। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.