নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার গল্পটা হোক পৃথিবীর সেরা গল্প ।কারন আমি হতে চাই একজন সত্যিকারের জীবন শিল্পী ।

নুরুন নাহার লিলিয়ান

নুরুন নাহার লিলিয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

উপন্যাস"অরোরা টাউন"পর্ব ২-নুরুন নাহার লিলিয়ান।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:১৯



ধারাবাহিক: অরোরা টাউন
২য় পর্ব
নুরুন নাহার লিলিয়ান

সকাল থেকেই অরুনিমা ভীষন ব্যস্ত। ল্যাবে অনেক কাজ জমে যাচেছ। আজকে প্রফেসরের সাথে মিটিং আছে। সামনের মাসেই প্রথম আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে জয়েন করতে যাচেছ। রিসার্চ মেথোডলজি নিয়ে প্রফেসরের সাথে বেশ কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। জাপানিরা সময়ের ব্যাপারে খুব সচেতন। প্রচন্ড নিয়মের মধ্যে তাদের প্রাত্যহিক জীবন চলে।

জাপানিদের সময় এবং নিয়মের প্রতি শ্রদ্ধা দেখলে যেকোন মানুষের চিন্তার জগত পাল্টে যাবে। সামগ্রিক কর্মজজ্ঞ নিয়ে তাদের জীবনের আয়োজন। বাংলাদেশি খামখেয়ালি আর হেয়ালি ছেড়ে দিয়ে সকাল সাড়ে আটটার মধ্যে নিজের সব গুলো কাজ গুছিয়ে নেয়। ঠিক সকাল দশটা বাজতে পাঁচ মিনিট আগে সে প্রফেসরের রুমে যাওয়ার প্রস্তুতি নিল। এর মধ্যেই রুমে ডাক এলো। অরুনিমা একটু সিরিয়াস মুডেই রুমে ঢুকলো। প্রফেসরের সামনে আকিকো নামের জাপানি মহিলা বসা। সে পিএইচডি করছে। বাম পাশের চেয়ারটাতে প্রফেসর ইশারা করে বসতে বলল।

বেশির ভাগ জাপানি প্রফেসররা খাঁটো হয়। কিন্তু প্রফেসর মাকোতো নিশিবে বেশ লম্বা, ফর্সা এবং সুস্বাস্থ্যের অধিকারী। তবে দাঁত গুলো লালচে। এখন শীতকাল চলছে। তবুও নাকের উপর জমে থাকা ঘাম গুলো চিকচিক করছে। এই প্রথম অরুনিমা বসে বসে প্রফেসরকে লক্ষ্য করলো।
তিনি ল্যাপটাপে কি যেন করছে। খুব সম্ভবত পাশে বসা আকিকোর কোন কাজ। হাসি মুখে পাশে বসা আকিকো একবার অরুনিমার দিকে তাকিয়ে নিলো। তারপর উঠে গিয়ে রুমে রাখা গ্রীন টির কাপে গরম পানি এবং কিছু চা পাতার গুড়া ছেড়ে দিলো। স্মিত হাসি মুখে নিয়ে অরুনিমা কে চায়ের কাপ এগিয়ে দিলো। সে মনে মনে খুব খুশি হলো।
অরুনিমা চায়ের কাপে চুমুক দিতে যাওয়ার আগে অপ্রস্তুত ভাবে বলল," থ্যাংকস "
আকিকো স্বাভাবিক ভাবে মৃদু কন্ঠে বলল," ইউ আর মোস্ট ওয়েলকাম।"
এদিকে প্রফেসরও ল্যাপটপে কাজ করতে করতে দুজনকে লক্ষ্য করছিল। প্রায় পাঁচ মিনিট খুব মনোযোগে অরুনিমা গরম গ্রীন টি পান করলো। সেই সাথে মনটাকেও গরম চায়ে ভিজিয়ে চাঙা করে নিলো।
তারপর দুইটি কাগজের পৃষ্ঠা আকিকো কে দিতে দিতে প্রফেসর অরুনিমার দিকে তাকিয়ে নিলেন। ততোক্ষনে অরুনিমার চা পান করা শেষ।

আকিকো কাগজের পৃষ্ঠা দুইটা হাতে নিয়ে অরুনিমার দিকে তাকিয়ে সৌজন্য হাসি দিলো।
তারপর সামনের চেয়ারটা ছেড়ে পেছনে যেতে যেতে দুইবার মাথা নত করে প্রফেসরকে ধন্যবাদ জানালো।
এইদিকে অরুনিমা যা বলবে মনে মনে প্রস্তুতি নিয়ে নিলো। জাপানিরা কাজের সময়ে ব্যক্তিগত কথা বলা পছন্দ করে না। কিন্তু কেন জানি আজকে প্রফেসর মাকোতো নিশিবে বেশ আন্তরিক ভাবেই অরুনিমার পরিবার এবং দেশ সম্পর্কে জানতে চাইলো।
"অরুনিমা সান হাউ ম্যানি মেম্বারস ইন ইউর ফ্যামিলি "
সেনসে উই আর ফোর ব্রাদার্স এন্ড থ্রি সিস্টার্স। "

জাপানে প্রফেসরকে সেনসে বলে। যেকোন নামের শেষে সান ব্যবহার করে। যেমন অরুনিমা সান। বাংলাদেশে থাকতে কিছু জাপানি ভাষা শিখে আসাতে অরুনিমা জাপানিদের সাথে সহজেই মিশে যেতে পারে।তারপরও কিছু কিছু বিষয় বুঝতে সমস্যা হতো। অনেক লোকাল জাপানি ভাষা আছে যেগুলো শুনে সে বোকা হয়ে যেতো।
কতো কথাই না মনে পড়ে। এর মধ্যই নিজের চিন্তাটা ঘুরিয়ে নিয়ে সেনসের প্রশ্নের দিকে মনযোগ দিলো।
মাকোতো নিশিবে হাসি মুখে আন্তরিকভাবে বলল," সো ইউ হ্যাভ এ্যা বিগ ফ্যামিলি। "
অরুনিমা উত্তর দিল," ইয়েস। উই আর হ্যাপি উইথ আওয়ার বিগ ফ্যামিলি। "
মাকোতো নিশিবে ফের প্রশ্ন করলো, " সাম টাইম ইজ ইট প্রবলেম ইন ইউর কানট্রি? "
অরুনিমা দ্বিধা ছাড়াই বলল," পপুলেশন ইজ প্রবলেম। বাট নাও এ্যা ডেজ পিপল আর কনসার্ন এ্যাবাউট ফ্যামিলি প্লানিং। "

এমন টুকটাক বাংলাদেশ এবং ব্যক্তিগত অনেক কথাই হয় মাকোতো নিশিবের সাথে। সেই সাথে রিসার্চ মেথোডলজি নিয়েও বেশ কিছু পরামর্শ আর আলোচনার মধ্য দিয়ে শেষ হল মাকোতো নিশিবের সাথে মিটিং।
বাংলাদেশ এমন একটা জটিল ইতিহাসের মানচিত্র বুকে ধারন করেছে যে পৃথিবীর মানুষ ও এই ইতিহাসের সংস্পর্শে এলে অবাক হয়ে যায়।মানুষের হৃদয়ের একটু সাধারন ভালোবাসা যেমন পৃথিবীর ইতিহাসে ভালবাসাকে সমৃদ্ধ করে। ঠিক তেমনি মানুষের মনের কোথাও থেকে আসা অনাকাংখিত অনুভূতি মানুষের মনে পার্থক্য তৈরি করে মানুষে মানুষে,সমাজে সমাজে, রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে।ছোট একটা ধারনা ভেঙে তৈরি হয় বড় চিন্তার। তারপর সেই চিন্তা গুলো একত্রিত হয়ে তৈরি হয় বৃহৎ মতবাদ। সেই মতবাদে কারও সমর্থন থাকে।আবার কারও থাকে না।

একদিন বৃহৎ ভারতবর্ষ ধর্ম কে কেন্দ্র করে ভাগ হয়ে গেলো। ভারত আর পাকিস্তান। একটি হিন্দু রাষ্ট্র। আর একটি মুসলিম রাষ্ট্র। তবুও মানুষে মানুষে বিভেদ ঠেকানো যায় নি।তারপরও আবার ইতিহাস ভেঙে তৈরি হলো নতুন ইতিহাস।পাকিস্তান ভেঙে গঠন করা হলো পূর্ব পাকিস্তান এবং পশ্চিম পাকিস্তান। তবুও যেন মানুষের মনের ভিতরে যে বিভেদ তা ঠেকানো যায় না।বরাবর মানুষ নিষ্পেষিত আর নিগৃহীত হচেছ। আজ পৃথিবীর পথে পথে কোটি মানুষের জীবনের আয়োজন। কিন্তু হৃদয়ে ভালোবাসা নেই। মানুষের মাঝে মানবিকতা নেই। সহস্র মানুষের মাঝেও প্রতিটি মানুষের একা।

প্রতিদিন পৃথিবীর মানচিত্রে শুধু রক্তক্ষরনের খবর হেটে বেড়ায়। কাশ্মীর জটিলতা,সিরিয়া যুদ্ধ, উত্তর কোরিয়া এবং দক্ষিন কোরিয়া জটিলতা,চীন এবং জাপানের আজীবন জটিলতা,আর আমেরিকা, রাশিয়া,জার্মান, চীন, জাপানের আছে নিয়মিত ক্ষমতার দ্বন্দ্ব। প্রতিনিয়ত স্নায়ু যুদ্ধ ।পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই শুধু যুদ্ধ আর জটিলতা।
একজন বাংলাদেশি হিসেবে বিদেশের মাটিতে মেধা আর জীবনের যুদ্ধ কে একত্রিত করেই সব পরিস্থিতি মেনে নিয়ে এগিয়ে যেতে হয়। বাংলাদেশের গর্বের জায়গা গুলো আন্তর্জাতিক ভাবে বিকশিত হতে পারছে না। বাংলাদেশের ইতিহাস সঠিকভাবে সংরক্ষিত নেই।
রাজনৈতিক প্রতিহিংসা আর পালাবদলে ইতিহাসের উপরও যেন এর কুৎসিত প্রভাব পড়ে।
এই সূযোগে ফায়দা লুটে নেয় আন্তর্জাতিক চক্রও।

তাই প্রতিনিয়ত একজন বাংলাদেশিকে যথেষ্ট মেধা যোগ্যতা থাকার পরও অবহেলার দৃষ্টিতে দেখা হয়।

একজন বাংলাদেশিকে বিদেশে নিজের কাজ এবং ক্ষমতার স্বীকৃতি পেতে অনেক বেশি কষ্টের সম্মুখীন হতে হয়।
কেমন যেন একটা মানসিক জটিলতা নিয়ে অরুনিমা প্রফেসরের রুম থেকেই মাথায় গিজগিজ করছিল। নিজের রুমে বেশ কিছু পেপার রেডি করা আর পরবর্তী কাজের তালিকা দেখে নিয়ে ল্যাব থেকে বেড়িয়ে এলো।
পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক দেশটি আর কবে আরো স্পষ্ট হয়ে উঠবে! নিজের ভেতরকার গভীর একাকিনী মানুষটা আর অনিশ্চয়তা কে কেমন যেন সব এলোমেলো করে দেয়। কোন কিছুই ভাল লাগছিল না।

ল্যাব থেকে বেড়িয়ে ধীর পায়ে সাপ্পোরো ষ্টেশনের দিকে হাটতে লাগল। সাপ্পোরো ষ্টেশনটা বেশ বড়। অনেক গুলো শপিংমল বেষ্টিত ষ্টেশনটা আলাদা সৌন্দর্য বহন করে।ষ্টেশনের মাটির নিচে দিয়ে গেছে আরেকটা পৃথিবী।নিচের পথে সাবওয়ে বা পাতাল ট্রেন, পাবলিক টয়লেট, রেস্তরাঁ, স্টেশনারি আবার কোথাও লাইব্রেরি ও আছে। আর উপর দিয়ে জাপান রেলওয়ে। সংক্ষেপে সবাই জে আর বলে। দূরের পথ গুলোতে সবাই জে আর ব্যবহার করে অভ্যস্ত। চারিদিকে শুধুই মানুষ এবং তাদের ছুটে চলা। শুধুই বেচেঁ থাকা। বেচেঁ থাকার লড়াইয়ে মানুষকে ছুটতে হয়।নিচের পথ গুলোতে ও প্রচন্ড ভীড়।
টিকিট কেটে মানুষ যেমন একদিকে ভিতরে ঢুকছে। ঠিক তেমনি টিকেট মেশিনে ফেরত দিয়ে ষ্টেশন ত্যাগ করছে। অজস্র মানুষ ফিরে যাচেছ তাদের নিজ নিজ গন্তব্যে।

কি সুন্দর নিয়ম অনুসরন করে মানুষ গুলো তাদের নিজেদের কাজ করে যাচেছ।
পাতাল পথের এই দিকে টিকেট কাউন্টার।সেখান থেকে ডান দিকে হেটে গেলে সুন্দর একটা জায়গাট। মাটির নিচের পথ গুলো এতো সুন্দর করে সাজানো আর গুছানো যেকোন মানুষের মন ভাল হয়ে যাবে।
ফাকাঁ জায়গা গুলোতে মেলা হচেছ। সেখানে মেলায় অংশ গ্রহনকারি অধিকাংশ বিক্রেতাই বৃদ্ধা মহিলা।। জাপানি ঐতিহ্য বাহি মেয়েদের পোষাক কিমোনো, ইউকাতা, হাতে তৈরি বিভিন্ন গৃহস্থালি সরঞ্জামাদি । আরো আছে জাপানিদের পুরনো চা তৈরি এবং পরিবেশনের জিনিস পত্র। বিভিন্ন দেশ থেকে সংগ্রহ করা নানা রকম তৈজসপত্র এবং পোষাক।

অত্যন্ত সাবলীল এবং প্রানবন্ত ভাবে বৃদ্ধা মহিলারা কাস্টমারের কাছে তাদের জিনিস পত্র গুলো তুলে ধরছে।সাপ্পর সিটিটা খুবই সুপরিকল্পিত। স্থানীয় এবং বিদেশিদের জন্য রাখা হয়েছে নানা আয়োজন। এই শহরে যে প্রবেশ করলে কারও একঘেয়েমি লাগার সৃূযোগ নেই। যতোই দিন যাচেছ ততোই সাপ্পর সিটিটা প্রতি পৃথিবীর মানুষের ভালোবাসা বেড়ে যাচেছ। গভীর একাকিত্ত আর নিঃসঙগতা যখন জীবনকে অসহনীয় করে তোলে। হোক্কাইডো আইল্যান্ডেরর নিভৃত সৌন্দর্য তখন মুগ্ধতা ছড়িয়ে দেয় মানুষের চোখে আর মনে।
কখন যে ভাবতে ভাবতে অরোরা টাউনে চলে এসেছে মনে নেই।
জাপান ব্যয়বহুল দেশ। প্রতিটা জিনিস ক্রয় করতে গেলে সরকারকে ট্যাক্সি দিতেই হবে। তবে এই দেশের জনগনের হাতে পয়সা আছে। সব সময় শপিংমল এবং রেস্তরাঁ গুলো জমজমাট থাকে।
অরোরা টাউন মূলত একটি শপিংসেন্টার। ব্যতিক্রম হলো মাটির নিচের এই শপিংমল কে কেন্দ্র করে বছর জুড়েই আছে নানা আয়োজন। তাছাড়া অরোরা টাউনে তুলনামূলক কম মূল্যে জিনিস পত্র পাওয়া যায়।
হোক্কাইডোতে আসার পর থেকেই নানা রকম চিন্তা মনোজগৎটাকে আরো বেশি ভারি করে তুলেছে। মূহূর্তেই কতো চিন্তা মাথায় ঘুরে। বসার মতো কোন জায়গা খুজেঁ পাওয়া যাচিছলো না।

নিঃসঙগ মূহূর্ত গুলোতে ভাবনারা ও সঙিগ হয়ে যায়। খুব আন্তরিকতার সাথে মস্তিস্কের চিন্তারা মনকে ব্যস্ত রাখে। অরোরা টাউনের দোকান গুলোতে একটা ব্যাপার খুব চোখে পড়ল। বেশির ভাগ দোকান গুলোতে বিক্রেতা নারী।তরুন আর বৃদ্ধ বয়সের নারীরা হাসি মুখে কঠোর পরিশ্রম কে হাতে নিয়ে জীবনের জয়গান করছে।দোকান গুলোর সামনে দিয়ে গেলে দোকানি মেয়ে গুলো খুব আন্তরিকতার সাথে হাসি দেয়। এই দোকানটা হরেক রকমের চায়ের। জাপান সহ বিভিন্ন দেশের হারবাল চা বিক্রি করছে। জাপানে এক ধরনের গ্রীন টি পাওয়া যায়। সবাই এই চা কে "ও" চা বলে।।
এখানে"ও" চা পানির মতো পান করা হয়।
মেয়েটি ছোট কাপে অরুনিমা কে চা দিল। দেওয়ার সময় ইংরেজিতে বলল, " ইউ ডোন্ট নিড টু পে। "
অরুনিমা খুব মজা পেলো, "রিয়েলি!"
দোকানি মেয়েটি বলল," ইট ইজ জাপানিজ হসপিটালিটি।বিকজ ইউ আর এ্যা ফরেনার।"
অরুনিমার ভালো লাগলো, " ইউর টি ইজ নাইস।গুড টেস্ট।ইউ আর গুড এ্যাট ইংলিশ। "
মেয়েটি লজ্জা পেল। তারপর লাজুক স্বভাবে জাপানি ভাষায় ধন্যবাদ জানালো, " আরিগাতো গোজাইমাস। "

হোক্কাইডো আইল্যান্ডের পাহাড়ি জীবনের পথে অচেনা মানুষগুলোর আন্তরিকতা আর ভালোবাসা মনের কোথাও একটা বিশ্বাস রেখে। নিজের চারপাশের পরিবেশটার প্রতি আস্থা তৈরি হয়। ভালো লাগার এমন অনেক অনু্ভূতি নিয়ে অরুনিমা সামনের দিকে এগিয়ে যায়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.