নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার গল্পটা হোক পৃথিবীর সেরা গল্প ।কারন আমি হতে চাই একজন সত্যিকারের জীবন শিল্পী ।

নুরুন নাহার লিলিয়ান

নুরুন নাহার লিলিয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

উপন্যাস"অরোরা টাউন"পর্ব ৩ - নুরুন নাহার লিলিয়ান।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৪



ধারাবাহিক: অরোরা টাউন
৩য় পর্ব
নুরুন নাহার লিলিয়ান

শনিবারটা একটু আলসেমিতে কাটলেও রবিবারটা ভীষন ব্যস্ততার মধ্যে কেটে যায়। সপ্তাহে বাজার করা, কাপড় চোপড় ধোয়া, রান্না করা আর বাংলাদেশে মায়ের সাথে কথা বলা। এর মধ্যে ল্যাবের কাজ গুলো নিয়ে চিন্তা করা। বেশিরভাগ সময়ে খাবার নিজ হাতেই তৈরি করতে হয়। কেনা খাবার গুলোর মধ্যে শুকুরের চর্বি কিংবা মাংস থাকবেই। জাপানিরা শুকরকে ভুতা বলে। আর এই ভুতার মাংস তাদের খুব পছন্দ।ভাজা কিংবা সিদ্ধ যেকোন ভাবেই হোক শুকরের মাংস সব বয়সি জাপানিদের প্রিয় খাবার।
অরুনিমা একদম শুকরের গন্ধ সহ্য করতে পারে না। তাছাড়া একজন মুসলিম হিসেবে শুকর এবং এর মাংস, চর্বি হারাম। তার চেয়ে বরং বাসায় একটু সময় ব্যয় করে নিজ হাতে রান্না করে খাওয়া অনেক ভাল।এখানকার ব্রেড কিংবা বিস্কুট এই জাতিয় খাবার গুলোতেও শুকরের চর্বি থাকে। তাই দোকানে এই ধরনের খাবার গুলো কিনতে গেলে জিজ্ঞেস করে কিনতে হয়।

জাপানের বেশির ভাগ মানুষ তাদের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকে। বাসায় রান্না করার মতো সময় খুব জাপানিরই আছে। তাই হয়তো রেস্টুরেন্ট গুলো সব সময় ব্যস্ত থাকে।অথচ আদা,রসুন, জিরা, হলুদ আর মরিচের গুড়ার রঙিন সমাহারে রান্না না হলে বাংলাদেশিদের পেট পূর্ন হয় না। আজকে তেমন কিছুই খেতে ইচ্ছে হচ্ছে।
তাই অরুনিমা নিজের মতো করে সব গুছিয়ে নিলো। নিজের প্রিয় খাবার সবজি খিচুড়ির সাথে মুরগী ভূনা আর ডিম ভাজাঁ।খুব মনোযোগ সহকারে অরুনিমা খাবার তৈরির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এমন সময়ে বাংলাদেশ থেকে মায়ের মিসকল এলো। অরুনিমার মোবাইলে সরাসরি বাংলাদেশে কল দেওয়া যায় না।সরাসরি মোবাইল করলে প্রচুর বিল চলে আসে। তবে এখানে এশিয়ানদের জন্য নিজ দেশে ফোন করার জন্য ইন্টারনেট এর মাধ্যমে ফোন কার্ড ব্যবহার করে কথা বলার ব্যবস্থা আছে।
দুই হাজার ইয়েনের একটা কার্ড কিনলে প্রায় অনেক দিন কথা বলা যায়। তবে ব্যবহারকারির উপর নির্ভর করে।
তাছাড়া ফেসবুক, স্কাইপি তো আছে। এখন প্রযুক্তির উদারতার কারনে অনেকে অনেক ধরনের নতুন নতুন এ্যাপ কিংবা সফটওয়্যার ব্যবহার করে আই ফোনে কথা বলে। জাপানিরা লাইন নামের একটা এ্যাপ দিয়ে নিজেদের মধ্যে ফ্রি যোগাযোগ এবং কথা বলে।
অরুনিমার মা এসব ব্যবহারে অভ্যস্ত না। কিন্তু বাসায় ল্যাপটপে এবং মোবাইলে স্কাইপি এবং ফেসবুক খোলা থাকে। সরাসরি কল দিলে মা শুধু রিসিভ করে। সাধারন ব্যবহার সেও শিখে গিয়েছে।
আজ সকালে মায়ের মিসকলের কল ব্যাক করা হয়নি। যতদিন যাবৎ অরুনিমা হোক্কাইডোতে এসেছে ঠিক ততোদিন যেন মায়ের চোখে ঘুম নেই। সব কিছু একটু গুছিয়ে নিয়ে মা কে কল দিলো।
অরুনিমা, " আসসালামু আলাইকুম মা। কেমন আছেন ? "
মা," আছি মুটামুটি। তুমি কেমন আছো অরু ? "
অরুনিমা, " আমি ভাল আছি। তবে একটু ব্যস্ত। আপনার কোমড় ব্যথাটা কি অবস্থা? "
মা," কোমড় ব্যথাটা আগের মতোই আছে। থাইরয়েডের কারনে ওজনটা অনেক বাইরা গেছে। "
অরুনিমা, " ওষুধ খাচেছন না? "
মা, " খাই রে মা। থাইরয়েডের যন্ত্রণা যার আছে সেই বুঝতে পারে। তারমধ্যে তোমাকে নিয়ে টেনশন। রাতে ঠিক মতো ঘুম হয় না। "
অরুনিমা, " আমাকে নিয়ে টেনশন?"
কিছুক্ষন মা চুপচাপ। ফোনের ওপাশ থেকে মায়ের গরম দীর্ঘশ্বাস যেন এপাশের অরুনিমা কে হঠাৎ পুড়িয়ে দিচেছ।মায়ের বুকের ভিতরের দুকদুক শব্দ গুলো যেন অরুনিমা স্পষ্ট শুনতে পাচেছ। বেশ অনেকটা সময় দুজনেই চুপচাপ।কোন কথা নেই কোন পাশে। থেমে থেমে নিশ্বাস প্রশ্বাসের শব্দ কর্নকুহরে স্পর্শ করে যাচেছ।তারপর আরো কিছু সময় যাওয়ার পর মা বলল," মেয়ে মানুষ মানেই টেনশন। মেয়ের মা বাবা হওয়া যে কতো কষ্টের! "
অরুনিমা একটু অধৈর্য হয়ে জানতে চাইলো, " কিসের কষ্ট? কষ্ট যেন না হয় সেইজন্যই স্বাবলম্বী হওয়া চেষ্টা করছি। "
মা বলল," তুমি তো কারও কথা শোন না।স্বাবলম্বী হইবা ভাল। একা বিদেশে থাকা মেয়ে দেশে ফিরলে কে বিয়া করবো?
অরুনিমা হেসে দিয়ে বলল, " কি বলেন মা। এখনতো অনেক মেয়েই একা একা বিদেশে পড়তে যাচেছ। তাদের আরো ভাল বিয়ে হয়।স্বাবলম্বী মেয়েকে বিয়ে করতেই সবাই আগ্রহী হয়। "
মা দীর্ঘশ্বাস দিয়ে বলল," মা রে সবার কপাল এক হয় না। সবাই সৌভাগ্যবতি হয় না। তোমার বড় বোনরা শশুর বাড়ি কথা শুনতেছে। আমরা নাকি তোমার কামাই খাওয়ার জন্য বিদেশে পাঠাইছি। "
অরুনিমা সিরিয়াস ভাবে বলল," সৌভাগ্য বিষয়টা আপেক্ষিক। নিজের ও চেষ্টা থাকতে হয়। তবে সব মেয়েরই স্বাবলম্বী হওয়া উচিত। "
মা একটু চিন্তিত কন্ঠে বলল, " তোমার ছোট কাকা ফজলু বাসায় তোমাকে বিদেশে পাঠানো নিয়া ফালতু কথা বলছে। "
অরুনিমা জিজ্ঞেস করলো, " কি বলেছে? "
মা একটু অপ্রস্তুত হয়ে বলল," বিদেশে মাইয়ারে পড়তে পাঠাইছেন নাকি অন্য কামে? "
অরুনিমা কি বলবে ভেবে পেলো না। বেশ কিছুক্ষন তারা বিষন্ন সময় অতিক্রমন করলো।তারপর অরুনিমা একটু স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করলো। অনেকক্ষন নিরবতা ভেঙে অরুনিমা মা কে জিজ্ঞেস করলো, "আপনি কোন উত্তর দেননি? "
মা বলল," এমন ফালতু সব কথার উত্তর হয়না। "
অরুনিমা জিজ্ঞেস করলো, " কোন কামে বলতে কি বোঝায়? "
মা উত্তর দিল," তোমার কাকার মতো এমন ফালতো লোকে সমাজের আনাচে কানাচে।আজকাল আপন আত্মিয়রাই লোভ আর হিংসা থেকে বদনাম ছড়ায়। "
অরুনিমা বলল," তারপরও আপনার কিছু বলা দরকার ছিল। "
মা বলল," দেশে অন্য জীবন নিয়া ব্যস্ত থাকার লোকের অভাব নাই। কি আর করবো এতো বেকার লোক! তবে তোমার বিয়া নিয়া আমরা চিন্তায় আছি। "
অরুনিমা বলল, " বিয়ে নিয়ে চিন্তা করবেন না। আপনি যেহেতু ভাগ্যে বিশ্বাস করেন। তাহলে ভাগ্যের উপর আস্থা রাখেন।"
মা বলল," চারপাশের নানা দূর্ঘটনার কথা শুনে রাতে ঘুম হয় না। মেয়ের মা হওয়া আর ঠোটে বিষ নিয়া ঘুরা একই কথা। মেয়ের একটু ভুলের জন্য মায়ের বিষমরণ হয়। "
অরুনিমা জিজ্ঞেস করলো, " কেন কি দূর্ঘটনা শুনেছেন? খুলে বলেন। এতো অস্থির কেন? "
মা সিরিয়াস ভাবে উত্তর দিল," আজকাল ছেলে মেয়েরা তাড়াহুড়ো কইরা বিয়া করে আর ধপাধপ ছাড়াছাড়িও হইয়া যায়। কিছু ভাল লাগেনা। "
অরুনিমা জিজ্ঞেস করলো, " কার ছাড়াছাড়ি হয়েছে? "
মা বেশ আগ্রহের সাথে বলল," আমার চাচাতো বোন তোমার রুনু খালার কথা মনে আছে?
অরুনিমা জিজ্ঞেস করলো, "হ্যা। মনে আছে। কিন্তু কি হয়েছে?"
মা বলল," রুনুরতো একটাই বড় মেয়ে আর ছোট ছোট তিনটা ছেলে। ওর মেয়ে তো আর্মিতে মেজর হইছে।"
অরুনিমা অধৈর্যশীল হয়ে বলল," আমি জানি রুনু খালার ছেলে মেয়েদরর সম্পর্কে। "
মা এবার একটু দম ছেড়ে বলল, " রুনুর মেয়ে সিমা আর্মিতে থাকায় যোগ্য পাত্র পাইতেছিলনা। শেষে এক ব্যবসায়ীর কাছে বিয়া দিছিল। সে বড় একটা প্রতারনা কইরা ছাইড়া দিছে। "
অরুনিমা একটু আতংকিত কন্ঠে জিজ্ঞেস করলে, " কি ধরনের প্রতারনা? "
মা স্বাভাবিক ভাবে বলল, " বয়স হইয়া যাইতেছিল। যোগ্য পাত্র না পাওয়াতে ব্যবসায়ির কাছে বাধ্য হইয়া বিয়া দিছিল। সিমা দুই বার মিশন কইরা ভাল আয় করছিল।স্বামীর সাথে বনানিতে একটা ফ্লাট কিনছিল। সিমা তো চাকরি নিয়া ব্যস্ত থাকতো। স্বামী নিজের নামে নিয়া নিছে। তারপর ওর নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়া ডিভোর্স পাঠাইয়া দিছে। "
অরুনিমা চিন্তিত কন্ঠে জানতে চাইলো, " কি ধরনের অপবাদ দিয়েছে? "
মা বলল," সিমার নাকি চরিত্র ভাল না। অনেক পুরুষের সাথে সম্পর্ক। "
অরুনিমা স্বাভাবিক ভাবে বলল," ওর চাকরিটা পুরুষের সাথে। সেটা কি জেনে বিয়ে করেনি? এতো ছোট মনের মানুষের জায়গা পৃথিবীর কোথাও হবেনা। "
মা বলল," নারী নির্যাতন নিয়া কতো সভ সম্মেলন হয়। নারী নির্যাতন তো থামে না।। প্রত্যেকদিন সারা বাংলাদেশে একটা না একটা নারী নির্যাতন হইতাছে। খুনও হইতাছে। দু:শ্চিন্তা না কইরা উপায় আছে রে মা! "
অরুনিমা বলল, " মা আজকাল বিয়েটা অনেক বড় একটা ঝুকি। মানুষের মধ্যে অনেক প্রতিযোগীতা চলে। কোন মেয়ের কতো টাকা আছে। কতো বড় চাকরি আছে। কিংবা মেয়ের বাবার কি পরিমান সম্পদ আছে। আবার ব্যক্তিগত জীবনে মেয়েটিকে দমিয়ে রাখতে নানা কৌশলে মিথ্যা অপবাদ দিতেও দ্বিধা করে না।"
মা বলল," এতো কিছুর মধ্যেও বিয়েটা করতে হয়। স্বামী হইলো ছায়। সংসার হইলো মায়া। সংসার সন্তান নিয়া ছায়ায় আর মায়ায় জীবনটা পার করাই জীবন। "
অরুনিমা বলল," মা এখন চারপাশে অনেক রকমের চিন্তা ভাবনা নিয়ে মানুষ জীবন যাপন করে। জীবনের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখাই প্রধান উদ্যেশ্য। অস্থির এই সময়ে অনেকেই সঙিগর কথা ভাবে না। "
মা উত্তর দিল," তোমার কথা ঠিক আছে। কিন্তু জীবনটাও ছোট না। বাঁচতে হয় সঙিগ নিয়া। "
অরুনিমা বলল,"মা চারপাশের মানুষের কথা গুরুত্ব দিবেন নার।দেখবেন সময় মতো সব কিছু ঠিক হয়ে যাচেছ। "
মা বলল,"তুমি যোগ্য কাউকে পছন্দ করলে আমাদের কারও অমত থাকবে না। যাইহোক সাবধানে থাইকো।ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া কইরো। "
অরুনিমা জিজ্ঞেস করলো," বাবা কেমন আছে? "
মা বলল," বয়সের সাথে সাথে দু:খ গুলিও বাড়তে থাকে। শ্বাসকষ্ট নিয়া চলতাছে। তাইলে রাখি ভাল মন্দ জানাইও।"
অরুনিমা বলল," আপনারা দুজনে নিজের যত্ন নিবেন। আমার জন্য চিন্তা করবেন না। "

প্রতিদিন মায়ের সাথে কথা বলার পর মনটা কেমন হয়ে থাকে।। কিছুটা সময় চুপ করে থাকার পর নিজের দৈনন্দিন কাজ গুলো তে মনোযোগ দিলো। ছুটির দিনে নিজের হাতে ঝাল খাবার। বাংলাদেশিদের মতো হলুদ মরিচের ব্যবহার জাপানিরা জানেনা। ঝাল খাদ্য জাপানিরা পছন্দ করে না। খেতেও পারে না। হোক্কাইডো বেশ অনেক গুলো ইন্ডিয়ান রেস্তরাঁ থাকলেও সেগুলো খুব ব্যয়বহুল।
তাছাড়া শুকরের মাংসের তৈরি খাবার ইন্ডিয়ান রেস্তরাঁতেও বিক্রি হয়। তবে সব রেস্তোরাঁ তে নয়।মাল্টি কালচারের কারনে এখন এশিয়ান খাবার গুলো অনেকেই পছন্দ করে । বিশ্বায়নের এই যুগে সংস্কৃতি বিনিময় দূরের পৃথিবীকে খুব কাছে এনে দিয়েছে। অরুনিমা ও ল্যাবে বিভিন্ন পার্টিতে জয়েন করার কারনে অনেক জাপানি খাবার সম্পর্কে জেনেছে। খাবারের স্বাদ, উপকরন এবং তৈরি প্রনালি কোন দেশের সাথে কোন দেশের মিল নেই। পৃথিবীর সকল খাবারের একটাই উদ্যেশ্য মানুষের ক্ষুধা নিবারন করা। নানা রকম স্বাদে পেট পূর্ন করা। বাংলাদেশি খাদ্যের আলাদা বৈশিষ্ট্য হলো বাহারি মসলার রঙ।আর খাদ্যের মসলার সুগন্ধ চারপাশকে মোহিত করে রাখে।
দুপুরের খাবারের কিছুক্ষন পরই পাশের রুমের জাপানি মেয়ে কলিংবেল বাজাল। দরজা খুলতেই মেয়েটি কৌতূহলী হয়ে হেসে দিলো। খুব আগ্রহ নিয়ে জানতে চাইলো, " তুমি কি আজকে কোন বিশেষ খাবার তৈরি করেছো? খুব আলাদা ধরনের গন্ধ।তাই জানতে এলাম। "
অরুনিমা খুব মজা পেলো," বাংলাদেশি খাবার। আমরা র খাবারে অনেক ধরনের মসলা ব্যবহার করি। তাই খাবার খুব মজার, রঙিন আলাদা সুগন্ধ যুক্ত হয়। "
তারপর মেয়েটি কে এক বক্স দিয়ে দিল। এভাবে প্রায় ছুটির দিনে ইশিকাওয়া চলে আসে অরুনিমার কাছে। নিজেদের একান্ত গল্প গুলো নিয়ে নিজেরা পরস্পরের খুব কাছাকাছি আসতে শুরু করে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৪

প্রথমকথা বলেছেন: খুব ধৈর্য ধরে মনোযোগ দিয়ে পড়লাম। অনেকের বলা কথার সাথে মিল পেলাম। খুব ভাল লেগেছে অরুনিমার অভিব্যক্তি, মনে হয়েছে লেখকের অভিব্যক্তি। ভাললাগা জানবেন।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:৩৪

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: আপনাকে ও ধন্যবাদ। বাকি ১৭ পর্ব পড়ার আমন্ত্রণ রইলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.