নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার গল্পটা হোক পৃথিবীর সেরা গল্প ।কারন আমি হতে চাই একজন সত্যিকারের জীবন শিল্পী ।

নুরুন নাহার লিলিয়ান

নুরুন নাহার লিলিয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

উপন্যাস "অরোরা টাউন" পর্ব ৪-নুরুন নাহার লিলিয়ান

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:৫৮




ধারাবাহিক: অরোরা টাউন
৪র্থ পর্ব
নুরুন নাহার লিলিয়ান

পৃথিবীর গভীর ভালোবাসার অনু্ভূতি গুলো সব সময়ই বড় বেশি অসহায়। নি:শব্দ ধংস গুলো একটু যত্ন করেই বয়ে বেড়াতে হয়। প্রায় প্রতিদিনই নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু না ককিছু টুকটাক কেনা কাটা করতে হয়। অরুনিমা আজকে তাই একটু আগেই ল্যাব থেকে বেড়িয়ে পড়েছে। একজন বাংলাদেশি এবং জাপানির মধ্যে জীবন এবং সংস্কৃতিতে অনেক পার্থক্য। পোষাক, খাদ্য,ভাষা কোথাও যেন কোন কিছুর মিল নেই। সাপ্পোরো স্টেশনে গেলে অস্থির মনটা কিছুটা হলেও এতটু স্থির করা যায়। এখানে অনেক মানুষ। সবাই জীবনের আয়োজনে মত্ত।আজও অরুনিমা সাপ্পোরো স্টেশনের পাতাল পথে হাটতে হাটতে অরোরা টাউনে চলে এসেছে। প্রতিটি দোকানে শীতকালীন মূল্য ছাড় চলছে তবে এই শপিং সেন্টারে অধিকাংশ বিক্রেতা এবং ক্রেতাই নারী। একটু ক্ষুধা লাগছিল। দেখে শুনে একটা কফি শপে ঢুকলো। খাঁটি চিজ মিশ্রিত ব্রেড সারিতে সারিতে রাখা ।নিজ মনোযোগে ব্রেডে চিজের ব্যবহার, উপকরন আর পরিবেশনাকে লক্ষ্য করছিল।হঠাৎ যেন চেনা কন্ঠস্বর মনোযোগ কেড়ে নিলো। তাকিয়ে দেখে তারই ল্যাবের জাপানি নারী আকিকো সান।
আকিকো বলল," হ্যালো, অরুনিমা সান।"
অরুনিমা জিজ্ঞেস করলো, " কেমন আছো আকিকো সান? "
আকিকো উত্তর দিল," আমি ভালো আছি। তুমি কেমন আছো?"
অরুনিমা বলল," আমিও ভালো। তবে বাইরের ঠান্ডায় কিছুটা ক্লান্ত। "
আকিকো হেসে দিলো। তারপর হাসতে হাসতে বলল," হোক্কাইডোর মানুষজন ঠান্ডায় জন্মগত ভাবে ক্লান্ত। "
কথাটা বলেই আবারও হাসতে লাগলো।
অরুনিমা ও মজা করে বলল," হুম। ঠিক তাই। শীতের দেশের মানুষজনের শীতই বন্ধু।"
তারপর দুজনেই একসাথে হেসে দিলো। এরপর আকিকো জানতে চাইলো, " তুমি কি কোন শীতের পোষাক কিনবে? "
অরুনিমা উত্তর দিলো,"আসলে তা নয়। সাপ্পোরো ষ্টেশন আর পাতাল পথের অরোরা টাউনের শপিং সেন্টার ছাড়া তেমন কিছু চিনি না।?"
আকিকো সিরিয়াস ভাবে বলল," সাপ্পোরোতে অনেক শপিংমল আছে। তুমি ঘুরে ঘুরে দেখতে পারো। মিনামী সাইড মানে দক্ষিনে গেলে অনেক বিদেশী ব্রান্ডের দোকান পাবে। অদূরী পার্ক ছেড়ে গেলে সুসুকিনো এবং তানকিকোজিতেও বেশ কিছু শপিংসেন্টার আছে। "
অরুনিমা বিনয়ের সাথে বলল, " অনেক ধন্যবাদ। তোমার দেওয়া তথ্য গুলো আমার কাজে লাগবে। "
আকিকো আন্তরিক ভাবে বলল," তোমাকে স্বাগতম। মানুষের উপকার করা আমার আনন্দ। তো তোমার কি ফরাসি খাবারের ব্রান্ড পছন্দ?"
অরুনিমা স্বাভাবিকভাবে বলল," ফ্রান্স আমার প্রিয় দেশ। ফরাসি সংস্কৃতি এবং জীবন পদ্ধতি আমাকে প্রভাবিত করে। শিল্প,সাহিত্য এবং সৌন্দর্যবোধে ফ্রান্স আলাদা ঐতিহ্য বহন করে।"
আকিকো খাবারের ট্রে নিয়ে অরুনিমার টেবিলে এসে বসল। অরুনিমা ওর খাবারের ট্রের দিকে আড়ঁ চোখে তাকালো। চারটা চিজ ব্রেড, লেমন ওয়াটার, ব্লাক কফি।বেশ আন্তরিক ভঙিগতে চেয়ারটা অরুনিমার কাছাকাছি টেনে নিলো। তারপর মুখে হাসি আর চোখ দুটোকে আরও একটু বেশি কৌতুহলী করে জানতে চাইলো যে," তুমি কি নিয়মিত বাইরের পৃথিবী নিয়ে পড়াশুনা কর?
অরুনিমা ফের প্রশ্ন করলো ," কেনো এমন প্রশ্ন? "
আকিকো বলল," তোমার আন্তজাতিক দুনিয়া সম্পর্কে ভালো ধারনা আছে। তোমার সাথে ভালো গল্প করা যাবে। তোমার ইংরেজি আমি বুঝি। "
অরুনিমা ও আরো আন্তরিকতা নিয়ে বলল," তুমি ভাল ইংরেজি বল।অবশ্যই তোমার সাথে গল্প করা যাবে। সারা পৃথিবী এখন নানা রকম অস্থিরতার মধ্যে আছে। তুলনামূলক চিত্র, জাতিভেদে চিন্তা চেতনা নিয়ে কিছুটা পড়াশুনাও করতে হয়। "
আকিকো খুব মনোযোগ দিয়ে শুনছিল। তারপর খুব সিরিয়াস ভাবে বলতে লাগলো" একটা সময়ে জাপানিরা ইংরেজি জানলেও বলতে চাইতো না।তারা নিজস্ব ভাষা সংস্কৃতি কে লালন করে। খুব ভালোবাসে। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে ইংরেজির বিকল্প নেই। ধীরে ধীরে দৃশ্যপট পাল্টাচ্ছে। তরুন প্রজন্ম খুব সচেতন। তারাও চায় প্রতিযোগীতামূলক পৃথিবীতে তাদের অস্তিত্ব টিকে থাকুক। "
অরুনিমা বলল," অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াই পৃথিবীর সর্বত্র।অস্থির পৃথিবীতে মানুষের মধ্যে সৌন্দর্যবোধ এবং ভালোবাসাবোধ গুলো ফুরিয়ে যাচেছ।স্বার্থপরতার সংস্কৃতি সব জায়গায়।"

আকিকো বলল," বাহ! তুমি খুব সুন্দর কথা বল।মানুষের মধ্যে সহনশীলতা আর ভালোবাসার অনুভূতি নেই।তোমাদের দেশে নারীদের কি অবস্থা? "
অরুনিমা বলল," নারী!খুবই কঠিন কিংবা সুন্দর পরিস্থিতি কে ঘিরে নারীর জীবন। বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী এবং বিরোধী দলীয় নেতা নারী। অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে নারীরা নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেছে। কিন্তু বেশির ভাগ নারীর জীবন নানা ভাবে নিগৃহীত। "
আকিকো বলল," এক সময়ে জাপানেও নারীর মূল্যায়ন ছিল না। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ উত্তর ধীরে ধীরে নারীরা নিজেদের অস্তিত্ব লড়াইয়ে সচেতন হয়। তারপর এখনও গুরুত্বপূর্ণ পদ গুলোতে নারী ভীষন অবহেলিত। "
অরুনিমা বলল," আমি জানিনা জাপানের সত্যিকারের চিত্র কেমন? তবে এই কয় মাসে যা মনে হয়েছে এখানে নারীরা স্বাধীন এবং নিরাপদ আছে। কিন্তু বাংলাদেশের গ্রাম গুলোতে নানা অশিক্ষা, কুশিক্ষা আর বঞ্চনায় ভরা নারীর জীবন। শহরের মেয়েরা নানা রকম মানবিক ঝুকি নিয়ে তাদের অস্তিত্বের লড়াই করে যাচেছ। প্রতিদিন টিভি, নিউজ পেপারে একটি করে হলেও নির্যাতিতা নারীর গল্প ভেসে উঠবেই।"
আকিকো দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে দিয়ে বলল," তুমি আর আমি সৌভাগ্য নিয়ে জন্মেছি। তাই উচ্চ শিক্ষা নেওয়ার সূযোগ পেয়েছি। প্রতিদিন সারা পৃথিবীতে বঞ্চিত নারীর আর্তনাদে কতো আকাশ ভারী হয়তো কেউ জানে না। "
কথাগুলো বলতে বলতে আকিকোর চোখ ভিজে উঠলো। টিস্যু দিয়ে চোখ মুছতে মুছতে আবার হেসে দিলো। অরুনিমা অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো। আজই প্রথম কথা হলো অনেক বিষয় নিয়ে। পৃথিবীর সকল নারীর আবেগ এক। কষ্ট পাওয়ার জায়গা গুলো ও হয়তো এক। আর্তনাদের ভাষা গুলোও এক। তাই নারীর কান্নার রঙ গুলোর ভাষা পৃথিবীর সব ভাষাতেই এক।
ততোক্ষনে অরুনিমার খাওয়া পর্ব শেষ। ট্রে ফিরিয়ে রেখে আসতে আসতে অনেক কথা মনে ঘুরপাক খেতে লাগলো। কিন্তু কোন কথাই ভাষা খুজেঁ পাচিছল না। তারপর খুব শান্তভাবে চেয়ারে বসল। অরুনিমা মনে মনে গুছিয়ে নিচিছল কি বলবে। হঠাৎ করেই বলল," আমি কিন্তু বিয়ে করতে ভয় পাই। আমার কোন বয় ফ্রেন্ড ও নেই। "
আকিকো আচমকা এমন কথা শুনে অবাক হয়। মুখে স্মিত হাসি নিয়ে কপাল কুচকালো। অদ্ভূত এক চেহারা ধারন করলো। অরুনিমার দিকে এক পলক চেয়ে নিলো। তারপর বলল," তোমার কোন বয় ফ্রন্ড নেই? আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। "
অরুনিমা সিরিয়াস ভঙিতে বলল," সত্যিই আমার কোন বয় ফ্রেন্ড নেই। তোমার আছে কি? "
আকিকো লাজুক হাসি দিয়ে জানালো, " আমি একবার বিয়ে করেছিলাম। কিন্তু সেটা বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। এক বছর যাবৎ আমার একটা বয় ফ্রেন্ড আছে। কিন্তু এই সম্পর্কটাও আমাকে মাঝ মাঝে দ্বন্দ্বে ফেলে দেয়।"
অরুনিমা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে দিয়ে বলল," সম্পর্ক আর মানুষের সেন্টিমেন্ট। পৃথিবীতে এই দুইটি জিনিস মানুষের জীবনের গল্প পাল্টে দিচ্ছে। তোমার বিয়েটা স্থায়ী হলো না কেন? "
আকিকো গভীর একটা পলক ফেলল।সমস্ত মুখায়ব বিষন্নতায় ভারী হয়ে উঠলে। তারপর কিছুক্ষন দুহাত দিয়ে কপাল চেপে ধরলো একটা অপ্রত্যাশিত দু:খময় ভাষা গোপনে বাতাসে ভাসতে লাগলো। দুজন অনেকক্ষন চুপচাপ। অরুনিমা অন্যদিকে চোখ সরাল। ধীরে ধীরেেফরাসি ক্যাফেটাও লোকজনে ব্যস্ত হয়ে উঠলো। তারপর এক সময় আকিকো শুরু করলো।
"আমাদের সময়টা ভালোই কাটছিলো। বিয়ের পর আমরা অনেক জায়গা ঘুরেছি। আমি মাত্র গ্রাজুয়েশন শেষ করে চাকুরি খুজঁছি।সে বায়োটেকনোলজিতে পিএইচডি শেষ করে একটা প্রজেক্টে কাজ করছে। সব সময় ব্যস্ত থাকতো। আমি যে ওর জীবনে আছি ভুলেই যেতো। মাঝে মাঝে মনে হতো আমার ব্যাপারে ওর কোন অনুভূতি নেই। কোন টান নেই।"
অরুনিমা বলল," তুমিও ব্যস্ত হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে। নিজের একটা পৃথিবী তৈরি করতে। "
আকিকো সাধারন ভাবেই বলল," আসলে ওর ব্যস্ত জীবনে আমি আমার মতো করে কোন কিছু ভাবতে পারছিলাম না। নিজের চিন্তায় কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলাম না। অন্যদিকে সে আমার কোন দায়িত্ব নিতে চাইতো না। কিছুটা ভয়ংকর নিরব স্বার্থপর মানুষ। "
অরুনিমা বলল," প্রতিটা মানুষই পাপ প্রবণ। স্বার্থপর সংস্কৃতিতেই মানুষের জন্ম। প্রতি মূহূর্তে মানুষকে জীবনের সাথে বোঝাপড়া করে চলতে হয়। জীবনকে মেনে নিতে হয়।"
আকিকো একটু ভেবে নিয়ে বলল," সম্পর্কটায় যখন ছিলাম মাঝে মাঝেই হঠাৎ অনুভব করতাম আসলে ও বিচ্ছিন্ন কেউ।আমি ভীষন অসহায়!আমার বেচেঁ থাকাটা ও অর্থহীন। "
অরুনিমা বলল," জীবনটা একটা। বেচেঁ থাকার পথ গুলোও মানুষ একবার দেখে। এর মধ্য দিয়েই জীবনের অর্থ খুজেঁ নিতে হয়। "
আকিকো কি যেন ভেবে অরুনিমার হাত দুটো ধরলো। তারপর খুব শান্ত কন্ঠে বলল,"আমি সরি।কিছু বিষাদময় গল্প শুনিয়ে তোমাকেও দু:খী করে দিচিছ। আমার কাছে আনন্দের অভিজ্ঞতা কম। তবে এখন আমি আমার স্বাধীন সত্তার বিকাশ ঘটাতে পারি। যা তোমাকে উৎসাহ দিতে পারে। জাপানেও আমার মতো উচ্চ শিক্ষা নিচ্ছে এমন নারী কম।"
অরুনিমা বলল," আমিও একা এসেছি এখানে উচ্চ শিক্ষা নিতে। একজন অবিবাহিতা নারীর পরিবার ছেড়ে এমন বিদেশে পড়তে আসাটা সমাজও ভাল দৃষ্টিতে দেখে না। প্রতিনিয়ত আমাকে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে জীবন অতিবাহিত করতে হয়। "
আকিকো বলল," একজন নারীর প্রতিতার সামনের মানুষ, সমাজ এবং পৃথিবীর দৃষ্টি ভঙিগ নানা প্রতিবন্ধকতায় ভরপুর। শ্রদ্ধা শীল এবং সহনশীল নয়।এক্ষেত্রে আমরা সব নারীরাই একত্রিত হয়ে সামাজিক আন্দোলন গুলোকে আরো গতিশীল করে গড়ে তুলতে পারি। "
অরুনিমা বলল," নারীর প্রতি সুন্দর দৃষ্টি ভঙিগ গুলো আমাদের পাঠ্যপুস্তকে যতোটা স্পষ্ট ঠিক বাস্তব জীবনে বিপরীত চিত্র। কখনও কখনও একজন নারীও আরেকজন নারীর অবস্থান কে মূল্যায়ন করতে চায় না।"
পরিচয়ের এই পর্বের দুজনের দীর্ঘ আলোচনা পরস্পর কে খুব কাছে এনে দিলো। পৃথিবীর দুই প্রান্তের দুই নারীর জীবন কোথায় যেন একাকার হয়ে মিশে গেছে। ভিন্ন দুই আবহে বড় হওয়া দুজন নারীর সমস্ত আবেগ যেন এক বিন্দুতে। এদিকে পৃথিবীতে নিরবতা আসতে শুরু করেছে।সবাই একটু একটু করে ঘরে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছে। হোক্কাইডোতে রাত নয়টার পর অধিকাংশ শপিংমল গুলো বন্ধ হয়ে যায়। তবে বিশেষ কিছু রেস্তরাঁ আর হোটেল রাত বাড়তে শুরু করলে ব্যস্ততা বেড়ে যায়। ট্রাডিশনাল পানশালা গুলো নিজস্ব নিয়মে জমজমাট হতে থাকে। কেউ কেউ কারাওকে উপভোগ করে নিজের মতো করে। জাপানি কারওকে হলো পান করো আর গান করো। বিশেষ সংগীত আয়োজন। আকিকো প্রতি মাসে একবার করে কারওকে যায় মানসিক অবসাদ দূর করতে। সে অরুনিমা কে কারওকে সম্পর্কে বলে। কিন্তু অরুনিমা এই সবে অভ্যস্ত নয়। তাই সে একাই যাবে সুসুকিনোর সামনের এক পানশালায়।
রাত বাড়ার সাথে সব নিষিদ্ধ জগৎগুলো দরজা জানালা খুলতে থাকে নিজেদের আয়োজনে। কিন্তু আইন এবং পুলিশ প্রশাসন খুবই সচেতন। সব জীবনের আয়োজন আছে তবে নিয়মের মধ্যে। হাজারও গল্পের মধ্য দিয়ে আকিকো আর অরুনিমা পাতাল ট্রেনে উঠলো। দুজন নিজেদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে নিজেদের গন্তব্যে ফিরে গেল।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.