নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার গল্পটা হোক পৃথিবীর সেরা গল্প ।কারন আমি হতে চাই একজন সত্যিকারের জীবন শিল্পী ।

নুরুন নাহার লিলিয়ান

নুরুন নাহার লিলিয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

উপন্যাস"অরোরা টাউন"পর্ব৬-নুরুন নাহার লিলিয়ান

২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:৩৯



ধারাবাহিক উপন্যাস "অরোরা টাউন"
পর্ব ৬ষ্ঠ
নুরুন নাহার লিলিয়ান

সময়ের সাথে সাথে জীবনের অনেক নতুনত্ব আবিস্কার হয়। বিভিন্ন পরিস্থিতি জীবনের নতুন নতুন পরিচয় নিয়ে আসে। মানুষকে ভিন্ন ভিন্ন উপলব্ধি দিয়ে যায়। সহস্র মানব জনপদে যেমন মানুষ একাকিতব কে অস্বীকার করতে পারে না তেমনি গভীর একাকী জীবনেও নানা আয়োজন মানুষকে উজ্জীবিত করে। উৎসাহ আর প্রেরণায় জীবনকে স্বপ্নময় করে তোলে।

আজকে তেমন তুষাড়পাত নেই। সোনাঝোরা ঝলমল রোদ। রাস্তার দুপাশে দাড়িয়ে থাকা বরফ স্তুপে রোদের আলো। কি অদ্ভূত দৃশ্য! সূর্যের শরীর ভেদ করে বেড়িয়ে আসা টুকরো টুকরো আলো কেমন রহস্যময় মিতালি তৈরি করেছে বরফের সাথে। ঝরঝরে আনন্দময় আকাশটা মনের ভিতরটা আনন্দে ভরিয়ে দেয়। আকাশের বিশালতা আর অনেক রঙ মন ছুয়েঁ দিয়ে যায়।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম,জীবনানন্দ দাস, শামসুর রহমান সৈয়দ শামসুল হক, হেলাল হাফিজ আর বাংলাদেশের প্রকৃতি মানুষের সুখ দু:খ মনকে আলোড়িত করে। কখনও প্রেমময় করে তোলে। হাতে কফি নিয়ে জাপানের আকাশে বাংলার রূপ খুজঁতে খুজঁতে বারান্দায় দাড়ায়। কবি জীবনানন্দ দাসের "অনেক আকাশ" কবিতার সৌন্দর্যে মন দুলতে থাকে -

গানের সুরের মতো বিকালের দিকের বাতাসে
পৃথিবীর পথ ছেড়ে - সন্ধ্যার মেঘের রঙ খুজেঁ
হৃদয় ভাসিয়া যায় - সেখানে সে কারে ভালোবাসে!
পাখির মতন কেঁপে - ডানা মেলে - হিম চোখ বুজে
অধীর পাতার মতো পৃথিবীর মাঠের সবুজে
উড়ে উড়ে ঘর ছেড়ে কত দিকে গিয়েছে সে ভেসে
নীড়ের মতন বুকে একবার তার মুখ গুঁজে
ঘুমাতে চেয়েছে, তবুও -ব্যথা পেয়ে গেছে ফেসে

গরম কফির ছোঁয়ায় আর জীবনানন্দ দাসের কবিতায় নিজের অনু্ভূতির কথোপকথন চলতে থাকে। উড়ে উড়ে ঘর ছেড়ে অরুনিমা চলে এসেছে জাপান। জানে না কতোদূর যেতে পারবে সে জানে না। নিজের সাথে কথার কোন গভীরে সে চলে যায়।

হঠাৎ মনেহলো পাশে কেউ।তাকিয়ে দেখে পাশের রুমের জাপানি মেয়ে ইশিকাওয়া। খুব শান্ত লাজুক ভঙিগতে পাশে দাড়িয়ে অরুনিমার কবিতা আবৃত্তি শুনছিলো। তার মুখের আর চোখের ভাষায় যেনো বাংলা কবিতার অভিজ্ঞতা ষপষ্ট হয়ে ফুটে উঠেছে। ইশিকাওয়া কিছুক্ষন অরুনিমার দিকে তাকিয়ে রইলো। ওর সাদা শুভ্র হাতে অরুনিমার গালে জমে থাকা কান্নার জ্বল মুছে দেয়।

তারপর কাছাকাছি দাড়িয়ে জিজ্ঞেস করে, " তিনি বাংলাদেশের কবি? তুমি বাংলা কবিতা গভীর ভাবে আবৃত্তি করছিলে? "
অরুনিমা বলল," হ্যাঁ।বাংলাদেশের কবি। প্রেম এবং প্রকৃতির কবি। "
ইশিকাওয়া বলল," প্রেম এবং প্রকৃতির কবিদের নির্দিষট দেশ থাকতে নেই। "
অরুনিমা মজা করে বলল," সত্যি তাই!"
ইশিকাওয়া বলল," প্রেম ও প্রকৃতির কবিরা সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে সমান গ্রহনযোগ্য। কোন দেশ, কাল,পাত্র তাদের কোন নির্দিষট ঠিকানা নেই।"
অরুনিমা বলল," একদম সত্যি।প্রেম ও প্রকৃতির কবিরা যুগে মানুষের মধ্যে ভালোবাসা সৃষ্টি করে।নিজেদের অস্তিত্বের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ তৈরি করে। পৃথিবী আর মানুষের যে সৌন্দর্যবোধ আছে তা আবিস্কার করে।"
ইশিকাওয়া বলল," বাহ!পৃথিবীর সব ভালোবাসা তোমায় ঘিরে থাকে। "
অরুনিমা বলল," ধন্যবাদ। তোমার ইংরেজি বলার স্টাইল সুন্দর। তোমার সঙ্গ উপভোগ্য। "
ইশিকাওয়া বলল," যেখানে ভালোবাসা থাকে সেখানে সব কিছু প্রকৃতির সহজ ও সুন্দর হয়ে যায়। ভালোবাসার আলাদা সৌন্দর্য এবং শক্তি আছে। "
অরুনিমা বলল," তুমি মনেহয় অনেক কবিতা পড়ো? তোমার কোন ধরনের কবিতা পছন্দ? "
ইশিকাওয়া উত্তর দিলো," সাধারনত জাপানি কবিদের ভালো লাগে। সেই সাথে আমেরিকান, ব্রিটিশ অথবা যেকোন দেশের প্রেমিক কবির কবিতা আমার বেশি ভালো লাগে।
ভালোবাসা সম্পর্কিত যেকোন কবিতা আমাকে টানে।
কথাটা বলেই সে W.B.Yeats এর The Pity of Love কবিতাটা শুরু করলো -

A pity beyond all telling
Is hid in the heart of love
The folk who are buying and selling
The clouds on their journey above
The cold wet winds ever blowing
And the shadowy hazel grove
Where mouse grey waters are flowing
Threaten the head that I love
অরুনিমা খুব মুগ্ধ হয়ে ইশিকাওয়ার আবৃত্তি শুনলো।
প্রতিটি মানুষের মধ্যেই নিভৃত ভালোবাসা লুকিয়ে থাকে। সে ভালোবাসাটা কেউ কেউ অনুভব করতে পারে। কেউ কেউ হয়তো পারে না।
কবিতা, ফুল আর শিশুর প্রতি যাদের ভালোবাসা নেই মানুষের গুনাবলী তার মধ্যে অনুপস্থিত।
অরুনিমা জিজ্ঞেস করলো, " তুমি আইরিশ কবি William Butter Yeats এর খুব ভক্ত?
ইশিকাওয়া উত্তর দিলো, " খুব! জীবনের হতাশা দূর করতে আর সৌন্দর্যবোধ চর্চায় পৃথিবীতে অনেক কবি সাহিত্যিকরা অনেক অবদান রেখেছেন। তাদের চিন্তা ভাবনা ধারন করা আমাদের দায়িত্ব। "
অরুনিমা আবার জিজ্ঞেস করলো, " তুমি হতাশার দিন গুলোতে কি করো?"
ইশিকাওয়া একটু নিশ্বাস নিয়ে বলল," জীবনের অনিবার্য অংশ হলো হতাশা। কোন মানুষই হতাশাকে এড়িয়ে থাকতে পারে না। তাই প্রতিটি মানুষের উচিত হতাশাকে স্বাভাবিক ভাবে গ্রহন করা। আমি সাধারন দিন গুলোর মতোই হতাশাকে সঙ্গী ভাবার চেষ্টা করি।"
অরুনিমা বলল,"আমি হতাশা নিয়ে বেশিক্ষণ সময় অতিবাহিত করতে পারি না। খুব কষ্ট হয় আমার!"
ইশিকাওয়া বলল," কষ্ট! মাঝে মাঝে আমিও হতাশ হই।আমার বয়ফ্রেন্ড একজন ফরাসি। হোক্কাইডো বিশ্ব বিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট। অনেক কিছুতেই আমাদের মধ্যে পার্থক্য। একসাথে আছি যতোদিন ভালো লাগে। আমাদের বিয়ে কিংবা বাচ্চা নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেই।"
অরুনিমা বলল," অদ্ভূত! সে তোমাকে ভালোবাসে না?বিয়ে করতে চায় না?"
ইশিকাওয়া উত্তর দিলো," হয়তো ভালোবাসা আছে বলেই এক সাথে আছি। বিয়ে নিয়ে কোন ভাবনা নেই।"
অরুনিমার উৎকন্ঠা বেড়ে গেলো। সে অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো, " যদি ভালোবাসা ফুরিয়ে যায়? যদি সে আর তোমাকে অনুভব না করে?"
ইশিকাওয়া উত্তর দিলো," সম্পর্কের টানাপোড়েন দেখতে দেখতে আমি বড় হয়েছি। বাবা মদ পান করতো আর মা কে মারতো। প্রতিদিনই একই দৃশ্য।"

কিছুক্ষন ইশিকাওয়া আনমনা হয়ে যায়। দূরের আকাশের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস দেয়।কোন কথা আর বলতে পারে না। অরুনিমা স্বাভাবিক করার জন্য জিজ্ঞেস করে," তারপর কি হলো? "
ইশিকাওয়া বলল,"
তারপর একদিন মায়ের জীবনে প্রেম এলো। মা আমাকে নিয়ে ফুকুশিমা ছেড়ে হোক্কাইডো চলে এলো। বাবার চেহারা অতীত হয়ে গেলো। মা আমাকে নিয়ে নতুন বাবার সাথে সংসার শুরু করলো। "
অরুনিমা বলল," খুব দু:খজনক। তোমার নতুন বাবা নিশ্চয়ই ভালো ছিলো?"
ইশিকাওয়া তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বলল," নিয়তি যদি জীবনকে তুচ্ছ করে চেষ্টা আর কতোটুকুই প্রাপ্তি যোগ করতে পারে। আমার মা খুবই দূর্ভাগা মহিলা!"
অরুনিমা জানতে চাইলো, " তোমার মা কি জীবিত আছেন? তাকে ছেড়ে কেনো তুমি এখানে বসবাস করছো?"
ইশিকাওয়া সাধারন ভাবে বলল," আমার পার্ট টাইম চাকরির জন্য আমি সাপ্পোরো সিটিতে এসেছিলাম। আমার নতুন বাবা আমাকে সহ্য করতে পারতেন না। মা আমাকে হোস্টেলে পাঠিয়ে দিলেন।"
অরুনিমা ও যেনো ভীষনভাবে কষ্ট পাচ্ছিলো।কতোটা যুদ্ধ করেই না বেচেঁ থাকার পথ খুজঁতে হয়।নিজের মনের ভিতরের কষ্ট গুলো গুছিয়ে নিয়ে জিজ্ঞেস করে, " তারপর কি হলো? "
ইশিকাওয়া বলল," এখানে আমার সাথে আমার বয় ফ্রেন্ড পার্ট টাইম কাজ করতো। আমরা অনেক কিছু শেয়ার করতাম। ভালো বন্ধুত্ব থেকে এক সাথে বসবাস। আমার মা জীবিত আছেন। তিনি অন্য শহরে একা থাকেন। "
অরুনিমা বলল," তোমর বয়ফ্রেন্ড যদি তোমাকে ছেড়ে যায়? "
ইশিকাওয়া বলল," হয়তো পড়াশুনা শেষে নিজের দেশেই ফিরে যাবে। যদি ততোদিন হৃদয়ে ভালোবাসা থাকে তবে হয়তো আমিও থাকবো ওর জীবনে।"
অরুনিমা বলল," জীবন সব সময় অচেনা পথে অদৃশ্য খেলা নিয়ে চলে।"
ইশিকাওয়া বলল," একদম সত্যি!অচেনা পথে চলতে চলতেই জীবন একটি অর্থ খুজেঁ নেয়।"
এভাবেই পরস্পরের ব্যক্তিগত
দু:খ সুখ বিনিময়ে অনেকটা সময় কেটে যায়। বিকেলটা হঠাৎ ব্যস্ত হয়ে উঠেছে। বারান্দা থেকে দুজনে দেখলো
প্রচুর ছেলে মেয়ে বাইরে বেড়িয়ে এসেছে। খানিকক্ষণ তুষাড়পাত বন্ধ হলেই মানুষজন বাইরের প্রকৃতির সঙ্গ পেতে বেড়িয়ে পড়ে। এতক্ষণে দুজনের কফি পান শেষ হয়।

ইশিকাওয়া বিকেল উপভোগের প্রস্তাব দিলো। প্রশান্ত মনে স্বাধীন চিত্তে সাপ্পোরো শহরটা দেখা। অরুনিমা এক বাক্যে রাজি হয়ে গেলো।
আজকের সকালের তুষাড়পাতে সানিসাইড হাউজের সিড়ি গুলো ভীষন পিচ্ছিল হয়ে আছে। হোক্কাইডোতে প্রচলিত কথা আছে তুষাড়পাতের পর বরফ নাকি আঠারো রকমের রূপ নেয়। কিছু বরফ নরম তুলার মতো, কিছু শিলার মতো শক্ত আর কিছু আছে কাঁদার মতো ক্যাতক্যাতে। এমন তুষাড়াচ্ছন্ন পিচ্ছিল রাস্তা ঘাট জেনেও ইশিকাওয়া আড়াই ইঞ্চি উচ্চতার হিল পড়ে বেড়িয়েছে।
চোখের উপর হালকা গোলাপি আর সোনালি শ্যাডো। তার নিচে চোখের কৃত্রিম বড় পিসি ব্যবহার করেছে। এটা মনেহয় জাপানি মেয়েদের ফ্যাশন।
চোখ ছোট এবং পাতলা পিসি থাকায় অনেকে কৃত্রিম চোখের পিসি ফ্যাশন হিসেবে ব্যবহার করে।
ফর্সা গাল দুটো কেমন দুই স্তর মেকআপ করা। কালো রঙের লং জ্যাকেটে ইশিকাওয়াকে অন্য রকম সুন্দর লাগছে।
অরুনিমা খুব মনোযোগ দিয়ে তার সাজসজ্জা লক্ষ্য করলো। তখন ছেড়ে ছেড়ে হালকা তুষাড় পরিশ্রান্ত আকাশের গা বেয়ে টুপ টুপ করে পৃথিবীতে নেমে আসছে।তবে শীতের প্রকোপ তেমন নেই।
ইশিকাওয়া ও একটু আড় চোখে অরুনিমার পোষাকের দিকে তাকিয়ে নিয়ে জিজ্ঞেস করলো, " এটা কি জাপান নাকি বাংলাদেশের পোষাক?"
অরুনিমা একটু গর্ব করেই বলল," বাংলাদেশ। আমাদের দেশের গার্মেন্টস অনেক উন্নত। পৃথিবীর অনেক দেশেই বাংলাদেশি তৈরি পোষাক রপ্তানি হয়। "
ইশিকাওয়া একটু চঞ্চল হয়ে বলল, " গ্রেট! বাংলাদেশ তাহলে অনেক সমৃদ্ধ?"
অরুনিমা বলল,"সমৃদ্ধির পথে। আয়তনের তুলনায় অনেক জনসংখ্যা। তাই কিছু সমস্যাও আছে। "
ইশিকাওয়া একটু কৌতুহলী হয়ে বলল," তোমার সঙ্গে কথা বললে আমি কল্পনায় বাংলাদেশে চলে যাই। "
অরুনিমা হেসে দিয়ে বলল," বাংলাদেশে তোমাকে স্বাগতম।"
ইশিকাওয়া একটু মাথা ঝুকে সামনের দিকে তাকিয়ে বলল," ধন্যবাদ। তোমার চোখের পাতার পিসি গুলো কি সত্যিকারের নাকি কৃত্রিম?"
কথাটা বলতে গিয়ে বরফ পিচ্ছিল রাস্তায় পিছলে পড়ার উপক্রম হয়।

এই সময় অরুনিমা ওর হাতটা টেনে ধরে বলল," সাবধান! পিচ্ছিল রাস্তা পড়ে যাবে।"
তারপর দুজনে শান্ত হয়ে দাড়ালো।কিছুদূর যাওয়ার পর ইশিকাওয়া জিজ্ঞেস করলো, " আমি কি তোমার চোখের পিসি গুলো ছুয়েঁ দেখতে পারি? "
অরুনিমা আন্তরিক ভাবে হেসে দিয়ে বলল," অবশ্যই পারো। "
ইশিকাওয়া খুব কাছে এসে চোখের পিসি গুলো দেখলো।তারপর ভালো করে আরো একবার ছুয়েঁ দেখলো।
তারপর পিচ্ছিল বরফাচ্ছন্ন রাস্তায় দুজনে পা টিপে টিপে হাটতে লাগলো। দুইজনেরই গন্তব্য জানা নেই। কিছু কিছু রাস্তার বরফ ভীষন স্বচ্ছ কাঁচের মতো। এই রাস্তার এক টুকরো বরফ হাতে নিয়ে টান দিলে কেটে যাবে।
ইশিকাওয়ার সঙ্গ ভীষন উষ্ণ এবং আন্তরিক। ভালো লাগা অনেকক্ষন স্থায়ী হয়।
হঠাৎ অনেকটা পথ হেটে যাওয়ার পর মনে হল চারপাশে অন্ধকার নেমে এসেছে।
সেই অন্ধকারের বরফের সাথে খেলতে খেলতে দুজন এগিয়ে গেলো।
সত্যিই আজকের সন্ধ্যার হোক্কাইডোর আকাশে যেন ভিন্ন পৃথিবী।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:০৪

মুঃ গোলাম মোর্শেদ (উজ্জ্বল) বলেছেন: পড়ে ফেললাম....দারুন লেখার হাত আপনার ...পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম.......শুভকামনা....।

২| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:০৫

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: এখন নিয়মিতভাবে বিশটি পর্ব প্রকাশ হবে। এই উপন্যাসটি সামনের বই মেলায় গ্রন্থ আকারে আসছে।
আপনাকে ধন্যবাদ।

৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: মলাটবন্দী "অরোরা টাউন"এর সাফল্য কামনা করছি ।।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:০১

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.