নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার গল্পটা হোক পৃথিবীর সেরা গল্প ।কারন আমি হতে চাই একজন সত্যিকারের জীবন শিল্পী ।

নুরুন নাহার লিলিয়ান

নুরুন নাহার লিলিয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

উপন্যাস"অরোরা টাউন"পর্ব ৭-নুরুন নাহার লিলিয়ান।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৫৪



ধারাবাহিক: অরোরা টাউন
৭ম পর্ব
নুরুন নাহার লিলিয়ান

ল্যাব থেকে লাঞ্চ টাইমে তেমন একটা বের হওয়া হয় না। আজ কেনো জানি কিছু ভাল লাগছিলো না। বাসা থেকে আনা খাবার খেতে ইচ্ছে করলো না। অন্য কোন খাবার খেতে ইচ্ছে করছে। তাই একাই বের হলো।
ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির কাছেই একটা ক্যান্টিন আছে।
এখানে তুলনামূলক কম খরচে ভালো আইটেম পাওয়া যায়। কেউ কেউ অবসর সময়টুকুতে এই কেন্টিনে পার্ট টাইম কাজ করে। দুপুর বারোটা থেকে এখানে দুপুরের খাবার দাবার শুরু হয়।
জাপানি ছাত্র ছাত্রীরা খুবই সময় সচেতন। সাড়ে এগারোটা থেকেই কেন্টিনে ভিড় শুরু হয়।
কেন্টিনে ঢোকার পর বসার মতো জায়গা খুজেঁ পাওয়া যাচিছলো না। হঠাৎ একটি তরুন বয়সের হাসি মুখের ছেলে বাম দিকের কোনার টেবিল দেখিয়ে দিলো। তারপর ছেলেটি বলল," আমি মাসাহিকো। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির মাস্টার্সের ছাত্র। এই ক্যান্টিনে অবসরে পার্ট টাইম কাজ করি
তোমাকে আমি চিনি।
অরুনিমা বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞেস, " তুমি আমাকে চেনো? কিন্তু কিভাবে? "
মাসাহিকো উত্তর দিলো, "তুমি প্রায়ই সাইকেল দিয়ে মেডিক্যাল কলেজের সামনে দিয়ে বাড়ি। আমি তোমার পথেই বাড়ি ফিরতাম। বিশ্ব বিদ্যালয়ের বাসেও তোমাকে দেখেছি। "
অরুনিমা অবাক হয়ে আবার জিজ্ঞেস করলো, " তুমি আমাকে মনে রেখোছো? "
মাসাহিকো অত্যন্ত বিনয়ের সাথে বলল," তুমি মনে রাখার মতো মানুষ! "
অরুনিমা চঞ্চল হয়ে উঠলো, " মাই গড! কিন্তু আমি এই প্রথম তোমাকে দেখলাম।"
মাসাহিকো অপ্রস্তুত হলো। একবার পিছনে তাকালো। কিচেনে হতে কেউ হয়তো ডাকছে। সে হাত নেড়ে পরে কথা হবে প্রকাশ করলো।তারপর খুব দ্রুত ভিতরে চলে গেলো।
অরুনিমা মনের অজান্তে অনন্ত চোখ দিয়ে মাসাহিকোর চলে যাওয়া দেখলো। অবাক বিস্ময় ভরা চোখ নিয়ে তাকিয়ে রইলো। হঠাৎ মনের ভিতর কি ঘটে গেলো ঠিক যেনো বুঝে উঠতে পারলো না। চেয়ারে বেশ কিছুক্ষন চুপচাপ বসে রইলো। ছেলেটিকে এর আগে কোথায় দেখেছে চিন্তা করতে লাগলো। যদিও মাসাহিকো কাজের পোষাক পরিহিতো ছিলো। এপ্রোন আর ঐ পোষাকে যেকোন মানুষের অবয়ব পাল্টে যাবে। তবুও এক জোড়া ছোট চোখ। গোল চেহারাটার মাঝখানের বোঁচা নাক। তার নিচে এক জোড়া বিনীত ঠোঁট।উচ্চতাটা সাধারন জাপানিদের তুলনায় একটু বেশি।

ধীরে ধীরে একটা পরিচিত মুখ স্মৃতিতে স্পষ্ট হয়ে উঠলো।
একটা ছেলে প্রায়ই বাসে বাম পাশের সিটে বসতো। চলন্ত বাসে উঠার পর ছেলেটি জায়গা ছেড়ে দিয়ে অরুনিমা কে বসার সূযোগ করে দিতো। চেহারাটা বড় বেশি রহস্যময় আর ধোয়াটে।
তাকে মনেহচ্ছে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেখেছে। শীতের দেশে পোষাক পরিচ্ছেদ পরিবর্তনে চেহারা অবয়ব ও নানা রকম রূপ নেয়। এই কেন্টিনে নির্দিষ্ট
সময়ের মধ্যে খাবার খেতে হবে। এখানে সময়ের নিয়মকানুন একটু বেশি কঠিন। অরুনিমা তারপর খাবারের মেন্যু দেখলো।
আজকের খাবারে আছে বুড়ি মাছ ফ্রাই, চিকেন ফ্রাই, পর্ক ফ্রাই, চিংড়ি ফ্রাই,চাইনিজ হোয়াইট রাইস, নানা রকমের সালাদ যেগুলো শয়া সস দিয়ে খেতে হয়, অনেক রকমের ডিজাইনের অনিগিরি, তফু আর পিয়াজের সংমিশ্রনে তৈরি খাবার। তবে এখানে তফুই সবজি জাতিয় খাবার আর সবচেয়ে বেশি সস্তা । এটাই খাওয়ার উপযোগী। বাকি সব খাবার গুলো পর্ক বা শুকরের মাংসের সংমিশ্রন আছে। আলাদা বাটিতে মেপে সাধারন সাদা ভাত ও আছে। কিছুটা সময় চিন্তা ভাবনা করে তফু,সাদা ভাত আর ফিস ফ্রাই দিয়ে দুপুরের পর্ব শেষ করলো। ক্ষুধার সময় পৃথিবীর সকল খাবারই অমৃত। ক্ষুধার পেটে এক ফোটা জলও মধুর। প্রথমদিকে জাপানি খাবার গুলোতে একটা আলাদা গন্ধ নাকে লেগে থাকতো। ধীরে ধীরে সেই গন্ধ ভাবটা হালকা হয়ে এসেছে। মানুষ প্রয়োজন এবং বাস্তবতার কাছে সব মেনে নিতে বাধ্য হয়।সব মানুষের মধ্যেই খুব অদ্ভূতভাবে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা আছে। আর ক্ষমতা টা কখনও কখনও মানুষ নিজেও জানে না। সব কিছু মেনে নেওয়া আর মানিয়ে নেওয়ার মধ্য দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে নিয়মমাফিক দিন গুলো কেটে যাচেছ । অরুনিমা ল্যাব থেকে বাসায় ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিছুক্ষন আগেই ইশিকাওয়ার মোবাইল এলো।
ইশিকাওয়া, " হ্যালো। কি করছো? আমি তোমার ল্যাবের কাছে দিয়ে যাচিছ। "
অরুনিমা, " এখন তুমি কোথায় যাচেছা?"
ইশিকাওয়া, " সুসুকিনো। জাপানি রেস্টুরেন্টে আমার পার্টটাইম কাজ আছে। কিছুটা সময় আগে যাচিছ। তুমি ইচ্ছে করলে আমার সাথে যেতে পারো। "
অরুনিমা, " সুসুকিনো! এটা
তো খারাপ জায়গা।"
ইশিকাওয়া, " খারাপ জায়গা কিনা জানি না। কেউ কেউ খারাপ বলতেই পারে। এটা সংস্কৃতি এবং দৃষ্টিভঙ্গির উপর নির্ভর করে। সাপ্পোরো শহরের বৃহৎ বিনোদন জায়গা। "
অরুনিমা, "আমার ল্যাবের কাজ প্রায় শেষ। আমি এখনই বের হতে পারবো। একটু অপেক্ষা করো প্লিজ।"
ল্যাব থেকে বেড়িয়ে দেখে হাসোজ্জল মুখে দাড়িয়ে আছে চটপটে তরুনি ইশিকাওয়া।
পৃথিবীতে কিছু মানুষ আছে অনেক দু:খ কষ্ট চেপে মুখে হাসি যত্নে ধরে রাখতে পারে। সেই সাধারন হালকা হাসিটার এতো বেশি ক্ষমতা থাকে যে ভিতরের ভারী দু:খটা সব সময় পরাজিত হয়।
অনেক কথাই মনের ভেতর ঘুরপাক করতে লাগলো।
বাক্যহীন শব্দ গুচ্ছ যেন ভীষন দিশেহারা। মূহূর্তে মনে কতো কিছুই আসে আর যায়। প্রানবন্ত ইশিকাওয়াকে দেখে মনের বিচ্ছিন্ন ভাবনা গুলো থেমে গেলো।
আর্টস ফ্যাকাল্টি দিয়ে সোজা মেইন গেট পর্যন্ত দুজনে পাশাপাশি হেটে এলো। একদম নিশ্চুপ ছায়ার মতো। রাস্তা পার হওয়ার সময় ইশিকাওয়াই জানতে চাইলো, " মার্কেটের ভিতর দিয়ে যাবে নাকি আন্ডারপাস দিয়ে যাবে?"
অরুনিমা বলল,"আন্ডারপাস দিয়ে যাই। পিছলা রাস্তা আর বরফ ভয় লাগে। "
ইশিকাওয়া হেসে দিলো। তারপর বলল," চলো। আচ্ছা তোমার কি পার্ট টাইম কাজের পারমিশান আছে? "
অরুনিমা বলল," না। ওয়ার্ড অফিস থেকে পারমিশান নিতে হবে। "
ইশিকাওয়া জিজ্ঞেস করলো," তোমার ব্যাংক একাউন্ট আছে?"
অরুনিমা উত্তর দিলো, "আমার জাপান ব্যাংকে একাউন্ট আছে।তবে বেতনের
জন্য ব্যবহার করা যাবে কিনা জানি না। শুনেছি প্রতিষ্ঠান নাকি নির্দিষ্ট ব্যাংকের কথা বলে দেয়। আর ছয় মাস না হলে একজন বিদেশির ব্যাংক একাউন্ট খোলা যায় না।"
ইশিকাওয়া জিজ্ঞেস করলো, " তুমি ল্যাব করে সময় দিতে পারবে তো? "
অরুনিমা উত্তর দিলো, " ছুটির দিন ছাড়া সন্ধ্যার পর করতে হবে। "
ইশিকাওয়া বলল," জাপানি ভাষা না জানলে পার্ট টাইম চাকরি পাওয়া একটু কঠিন। তবে ইংরেজির সাথে যেকোন একটি ভাষা যেমন জাপানিজ, চাইনিজ,কোরিয়ান কিংবা ফরাসি ভাষা জানলে ভাল বেতনের চাকরি সম্ভব। "
অরুনিমা বলল," তাহলে মনেহয় আমার কপালে চাকরি জুটবে না। হা হা হা। "
ইশিকাওয়া একটু সিরিয়াস হয়ে বলল," তুমি শারিরীক পরিশ্রম বেশি এমন কাজ পাবে। যেখানে ভাষার তেমন প্রয়োজন হয়না। যেহেতু তোমার সাধারন দক্ষতা আছে তুমি চাকরি পাবে।। "
অরুনিমা বলল," একটা কাজ পেলেই হলো। এতো ব্যয়বহুল জীবনে একটা পার্টটাইম চাকরি ছাড়া জীবন ভয়বহ।কাজে গেলে আমার ভাষার দক্ষতা আরো বাড়বে। '
ইশিকাওয়া বলল," একদম ঠিক। জাপানিদের সাথে কথা বললে তোমার দক্ষতা বাড়বে। আমার সাথেও ইংরেজি ব্যবহার না করে জাপানিজ ভাষায় বলবে। "
দুজনে এমন অনেক কথা বলতে বলতে সুসুকিনো এরিয়াতে পৌছে গেলো। পুরো এরিয়া ব্যাপক জমজমাট প্রচন্ড। সব জায়গায় প্রচন্ড ভীড়। দোকান পাটগুলো লোকে লোকারন্য।রেস্তরা গুলোর সামনে লম্বা লাইন। তাদের দেখে মনে হচেছ পচ্ছন্দের রেস্তোরাঁয় খাওয়ার জন্য অনেক অপেক্ষা ও আনন্দের। রাস্তায় রাস্তায় খোলা স্টেজে কনসার্ট হচ্ছে। টাল মাতাল মদ্যপ তরুন তরুনিদের চিৎকার আর চেঁচামেচিতে ও যেন আলাদা পরিবেশের সৃষ্টি করেছে। চারপাশের বিভিন্ন রেস্তরাঁ থেকে ভেসে আসা খাবারের গন্ধ নাক ছুয়েঁ যাচেছ। একেক রেস্তরাঁর একেক ধরনের খাবারের গন্ধ। সব খাবার মিলিয়ে অদ্ভূত একটা গন্ধ চারপাশে উড়ে বেড়াচ্ছে।

জায়গায় জায়গায় নাচ, গান, নানা রকম খেলা প্রদর্শনী আর খাবারের আয়োজন।দেখে মনেহয় সময়ের যেনো ক্লান্তি নেই।

হঠাৎ অরুনিমা জিজ্ঞেস করলো, "আমি শুনেছি এই সুসুকিনোতে লাভ হোটেল এবং ক্যাপসুল হোটেল আছে। ব্যাপারটা কি?"
ইশিকাওয়া খুব সুন্দর ভাবে বলল," আসলে সুসুকিনো রেজিস্ট্রি করা বৃহৎ বিনোদন কেন্দ্র। সারা পৃথিবী থেকে অনেক পর্যটক এবং দর্শনার্থী আসে। খরচ কমাতে অনেকেই ক্যাপসুল হোটেলে থাকে। শুধু রাত যাপন করার জন্য স্বল্প মূল্যের হোটেল। "

অরুনিমা বলল," ওহ!সেটাই বলো। তাহলে লাভ হোটেল এটা কী?"
ইশিকাওয়া বলল," অনেক মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত জাপানি দম্পতিরা ছেলে মেয়ে নিয়ে ছোট ঘরে একত্রে বসবাস করে। অনেকেই একান্ত ব্যক্তিগত সম্পর্কটা উপভোগ করতে পারে না। তাই স্বামী স্ত্রীরা স্বল্প মূল্যে লাভ হোটেলে ব্যক্তিগত সময় উপভোগ করতে যায় যায়। আবার কখনও প্রেমিক প্রেমিকারাও যায়।"
অরুনিমা, " তোমাকে ধন্যবাদ। এই বিষয়টা আমার জানা ছিলো না। অনেকেই এই গুলোর ব্যাখ্যা একটু অন্য রকম ভাবে উপস্থাপন করে। "
ইশিকাওয়া বলল," ভাল মন্দ সব জায়গায় আছে। কে কতোটুকু গ্রহন করবে কিংবা বর্জন করবে তা ঐ ব্যক্তির ব্যক্তিত্বের উপর নির্ভর করে। "
অরুনিমা বলল," আমি লাভ হোটেল এবং ক্যাপসুল হোটেল সম্পর্কে ভিন্ন ধারনা পেয়েছিলাম। "
ইশিকাওয়া বলল," আসলে ব্যক্তিগত কিংবা গোপন অধ্যায় কে অস্বীকার করে আমাদের যাপিত জীন চলতে পারে না। তাই বিষয় গুলোর প্রতি মানুষের রহস্য আর জিজ্ঞাসা বেশি কাজ করে। মানুষের মুখে মুখে ধারনা গুলো পাল্টে গিয়ে ভিন্ন অর্থ বহন করে। "
অরুনিমা বলল," যদিও আমরা মানুষগুলো সব কিছুর পিছনেই নেগেটিভ অর্থ খুজতেঁ ভালোবাসি। "
ইশিকাওয়া বলল," পৃথিবীর সকল জাতির মধ্যেই কিছু সমালোচক মানুষ আছে। যারা কখনও কোন কিছুরই ভালো দিক দেখে না। "

অরুনিমা তাকিয়ে দেখে চারিদিকে নানা আয়োজন। অনেক রকম গান আর বাদ্য যন্ত্রের আওয়াজ ভিন্ন সুরের মূর্চছনা সৃষ্টি করেছে। যতোটা পথ হেটে যাচেছ শুধু মানুষের পদচারনা।

প্রেমিক প্রমিকা যুগল আজ ভালোবাসায় উন্মাতাল। কোথাও ক্লান্ত শরীর নিয়ে বসে কথা বলার জায়গা নেই। কোন কোন জায়গায় মধ্য বয়সী যুগলরাও নেশায় বুদ হয়ে আছে। কোথাও আবার প্রাপ্ত বয়স্ক তরুনীর সাথে কোন ষাট বছর বয়সের বৃদ্ধ। অনেক কাছাকাছি বসে জীবনের উচ্ছাসে মেতেছে। ঠিক উল্টো দৃশ্য ও অরুনিমা চোখে এড়িয়ে যায় না।
চোখ জ্বালা করা টকটকে লাল উত্তেজক মিনি স্কার্ট পড়া পঞ্চাশ ষাট বছর বয়সী রমনী । অরুনিমার চোখ কিছুটা কোথাও আটকে গেলো।
লাল নেই পলিশ আর ঠোঁটে লাল লিপস্টিক নিজ বয়সের বাস্তবতা ঢাকতে কতোই না বৃথা চেষ্টা! সেই প্রায় বৃদ্ধা মহিলার সাথেও আছে বিশ বাইশ বছর বয়সের কোন তরুন।কতো গোপন গল্পই না রচনা করে যাচেছ তারা দুজন। পৃথিবীর প্রান্তে প্রান্তে ছড়িয়ে আছে কতো রকমের জীবনের গল্প। নিষিদ্ধ জীবন নিয়ে মানুষের কতো গোপন আয়োজন! হাঁটতে হাঁটতে মনে কতে রকমের ভাবনা দোল দিয়ে যায়। চোখ বিস্মিত হয়।মন চিন্তিত হয়। এর মধ্য দিয়েই জীবনের পথ খুজেঁ নিতে হবে। গভীর ভাবনা নিয়ে অরুনিমা পাশাপাশি হাঁটছে। ব্যাপারটা ইশিকাওয়া লক্ষ্য করলো।হঠাৎ ইশিকাওয়া একবার চুপচাপ তাকিয়ে নিলো।

তারপর বলল," তুমি কি অস্বস্তিবোধ করছো? "
অরুনিমা বাঁকা হাসি দিয়ে বলল,"আরে না!সংস্কৃতিতে পার্থক্যতো থাকবেই। আমার এই মূহূর্তে একটা পার্ট টাইম চাকরি দরকার। "
ইশিকাওয়া একটু সিরিয়াস ভাবে বলল," কাজ করতে চাইলে তুমি কাজ পাবে। সেটা যে কোন জায়গায় হতে পারে।তবে এই জায়গাতে যে তুমি এসেছো তোমার নিজের দেশের বন্ধুদের চিন্তা করে বলো। সবাই তোমাকে ভালোভাবে গ্রহন নাও করতে পারে। "
অরুনিমা বলল," ব্যাপারটা কি এই রকম যে আমি নিষিদ্ধ কিছুতে জড়িয়ে গিয়েছি?"
ইশিকাওয়া উত্তর দিলো," হুম।একদম সত্যি বিষয়টা বুঝতে পেরেছো। মানুষের চিন্তার কোন মাত্রা নেই। কখনও কখনও চিন্তার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। যা ভালো মানুষকে ও কলংকিত করে। "
এর মধ্যেই দুজন ইশিকাওয়ার রেস্তঁরার কাছে চলে এসেছে। অরুনিমা রেস্তরাঁটাকে ভালো করে তাকিয়ে দেখলো। বেশ গুছানো রেস্তরাতে অরুনিমা কাজ করে। অরুনিমা বাইরে দাড়ালো। ভিতরে ভীষন একটা ভয় কাজ করছে। প্রায় দশ পনেরো মিনিট। এরপর ইশিকাওয়া বাইরে এসে জানিয়ে গেলো ম্যানেজার বাইরে অন্য কাজে ব্যস্ত। ফিরতে দেরি হবে। অপেক্ষা না করে বরং বাসায় ফিরে যাওয়া ভালো। প্রচন্ড মন খারাপ হলো। তবুও ফিরে যেতে হবে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৬:০৫

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
আপু লেখাটা আর কতগুলো পর্বের হবে?

০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৭

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: হবে আরো অনেক গুলো পর্ব। আগামি বই মেলায় কিনতে ভুলবেন না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.