নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার গল্পটা হোক পৃথিবীর সেরা গল্প ।কারন আমি হতে চাই একজন সত্যিকারের জীবন শিল্পী ।

নুরুন নাহার লিলিয়ান

নুরুন নাহার লিলিয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

উপন্যাস “অরোরা টাউন” পর্ব ১৪ নুরুন নাহার লিলিয়ান

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:১৪




উপন্যাস “অরোরা টাউন” পর্ব ১৪
নুরুন নাহার লিলিয়ান


সকাল আটটায় ক্লক টাউয়ারের সামনে বাস অপেক্ষা করছে ।আজকের পরিবেশটা ভীষন সুন্দর। চারিদিকে গায়ের লোম ছুয়েঁ যাওয়া হালকা শীত আছে। কিন্তু হঠাৎ ভ্যাপসা গরম ভাবটা নেই। অরুনিমা আজকে জাপানিদের মতো অনেক তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠেছে। তারপর নিজের মতো সব গুছিয়ে নিয়ে ক্লক টাওয়ারের কাছে চলে এলো।

জাপানের প্রধান উৎসব হলো হানামি বা চেরি ব্লোসম। এই হানামি বা সাকুরা উৎসব সব জায়গায় মার্চ এপ্রিলের দিকেই শুরু হয়। হোক্কাইডোতে থেকে শীত যেতেই চায় না। তাই গাছে গাছে সাকুরার দেখাও মিলে দেরিতে। সব সময় মে মাসের শেষের দিকেই হানামি শুরু হয়। জাপানি হানামি মানে হলো ফুল দেখা বা ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করা।

পুরো বসন্ত কাল হোক্কাইডো আইল্যান্ড মেতে থাকে ফুলের উৎসব নিয়ে।
অরুনিমা দেখলো সোনালি,পিংকি, ছন্দা, আহিলিয়া আর শর্মিলা ভাবি সবাই এক সাথে দাড়িয়ে আছে।
প্রায় আধা ঘন্টার মধ্যে গাড়ি ছেড়ে দিবে। যারা যারা এখনও আসেনি তাদের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে।বসন্তের এই শুভ্র সকালে সবাই কে খুব সুন্দর লাগছে।
প্রতিটি পবিত্র সকালেই হয়তো পৃথিবীর সবচেয়ে কুৎসিত মানুষটাকেও সুন্দর লাগে। তবে এখানে যতো বাংলাদেশি কেউই কুৎসিত নয়। যে যার মতো করে সুন্দর। সবাই খুব ফুরফুরে মেজাজে আছে। সকালের স্নিগ্ধতা সবার চোখ মুখ ছুয়েঁ ছুয়েঁ যাচেছ। তবে বেশ কয়েকজন অচেনা বাংলাদেশিকেও দেখা যাচেছ। যাদের অরুনিমা এর আগে কখনও দেখেনি।তারা সবাই বাসে উঠার জন্য অপেক্ষায় আছে। একজন কে দেখা গেলো ওয়াহিদ ভাইয়ের সাথে। তাকে যেনো কি কি বুঝিয়ে বলছে। সে ছেলেটি কিছুক্ষন পর পর অরুনিমার দিকে আড় চোখে তাকাচ্ছিল।অরুনিমা ব্যাপারটা বুঝলেও না বুঝার ভান করলো। সে ছেলেটির বয়স ত্রিশের উপরে। গায়ের রং উজ্জ্বল শ্যামলা। কি যেনো ভীষন একটা সম্মোহন শক্তি আছে তার চেহারায়।কিংবা তার ব্যক্তিত্বে।
ব্যাপারটা মাথায় ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ সোনালি কাছে এসে জিজ্ঞেস করলো, ” আপু কি সাইকেলে নাকি সাবওয়েতে এসেছেন?”
অরুনিমা আন্তরিক ভাবে বলল,” আমি সাবওয়েতে এসেছি। তুমি? ”
সোনালি বলল,” আমিও সাবওয়েতে এসেছি। তবে দেখলাম অনেকেই সাইকেল এনেছে। ক্লক টাউয়ারের বাম দিকে সাইকেল রাখার জায়গা আছে। ”
অরুনিমা ও বলল,” তাইতো দেখছি। ”
এর মধ্যেই পিংকি কাছে এলো। একটা ছোট ব্যাগ সোনালির হাতে দিতে দিতে বলল, ” দুই একজন বাংলাদেশি কে নতুন দেখছি। ”
সোনালি বলল,” হয়তো বেড়াতে এসেছে। ”
পিংকি বলল,” ওয়াহিদ ভাইয়ের পরিচিত ছোট ভাই। হোক্কাইডোর সাকুরা উৎসব দেখতে এসেছে। ”
সোনালি দুষ্টামি করে বলল, ” শুধু কি সাকুরা নাকি সেই সাথে অন্য কিছুও দেখতে এসেছে। ”
পিংকি আর সোনালি দুজনেই প্রানচঞ্চল কথাবার্তায় মগ্ন হলো। ওদের কথা গুলো অরুনিমার কানে গেলো। কিন্তু অরুনিমা বিষয়টা নিয়ে তেমন একটা ভ্রূক্ষেপ করলো না।চুপচাপ ওদের কথা শুনে যাচিছল।
এর মধ্যে ধীরে ধীরে সবাই বাসে উঠা শুরু করেছে। কিছুক্ষনের মধ্যে বাস ছেড়ে দিবে। যে যার নির্ধারিত সিটে বসে পড়লো। অরুনিমা দেখলো যে পরিচিতদের মধ্যে প্রায় সবাই এসেছে। শুধু চন্দনা এবং স্বপ্নদ্বীপ ছাড়া।
বাস ছাড়ার কিছু সময় আগে ওয়াহিদ ভাই একটা ছোট বক্তৃতা দিলেন।
“প্রিয় বাংলাদেশি ভাই ও বোনেরা বসন্তের এই সুন্দর দিনের সকালে সবাইকে সালাম এবং শুভেচ্ছা। শুভ সকাল। বসন্তে জাপানের সব চেয়ে সুন্দর আর জনপ্রিয় উৎসব হলো হানামি। এমন একটি উৎসবে আমরা বাংলাদেশিরা শত ব্যস্ততার মধ্যেও এক হতে পেরেছি।এটা কেবল সম্ভব হয়েছে আপনাদের আন্তরিক সহযোগীতার জন্য।তাই
আজকের উৎসবকে সফল করতে সময় এবং নিয়মনীতি মেনে চলতে সবার কাছে আবারও সহযোগীতা কামনা করছি। আর সবাই খাওয়ার পর ময়লা এবং আবর্জনা যথাযথ জায়গায় রাখবেন। আমাদের সাথে আজকে দুই তিন জন বাংলাদেশি অতিথি আছে যারা টোকিও থেকে এসেছে। তাদের পেয়ে আমরা আরও বেশি আনন্দিত। এই উৎসব সবার জন্য সুন্দর বার্তা নিয়ে আসুক। সবাইকে অশেষ ধন্যবাদ। ”
কথা গুলো বলার পর ওয়াহিদ ভাই তার স্ত্রী শর্মিলা ভাবির পাশের সিটে গিয়ে বসলেন।সবাই করতালি দিয়ে তার কথায় একাত্মতা প্রকাশ করলো। তারপর শাঁই শাঁই করে বাস চলতে লাগলো। পুরো শহর জুড়ে শুধু বসন্তের আনন্দ।বাসে যে যার মতো গল্প গুজব আর গান নিয়ে মেতে থাকতে থাকতে বাস পৌছে গেলো মারুয়ামা পাহাড়ে।

এই বসন্তে সাকুরা ফুলের মুকুট পড়ে পাহাড় গুলো সেজেছে অন্যরূপে। মারুয়ামা পাহাড়ের পার্কে বাসের গন্তব্য শেষ হয়।
পার্ক জুড়ে সাকুরা উৎসবে মেতে থাকা মানুষের ঢল।বাস থেকে নামার পর খোলা জায়গায় সাকুরা গাছের নিচে সবাই জড়ো হলো ।
সেখান থেকে সবাই যে যার মতো ছবি তোলায় ব্যস্ত হয়ে উঠলো। ছেলেরা কেউ কেউ মাদুর বিছিয়ে বসে পড়লো কার্ড খেলা আর গল্প গুজবে। সত্যি চারিদিকে অনিন্দ্য সুন্দর সাকুরা ফুলের সৌন্দর্যময়তায় সবাই হারিয়ে গেছে।
ধারনা করা হয় তেরশ বছর আগে থেকে জাপানিরা এই উৎসব পালন করে আসছে। সে সময় তাদের বিশ্বাস ছিল এই গাছের মধ্যে ঈশ্বর অবস্থান করে। তাই গাছকে পূজা এবং গাছের নিচে তারা মানত করতো। সাকুরা অনেক সুন্দর ফুল। কিন্তু এই ফুলের সৌন্দর্য দুই তিন দিনের। এর পর ঝরে যায়। মানুষের জীবনটাও ক্ষনিকের। এই ছোট জীবনটা সব সময় সুন্দর রাখার জীবন দর্শন জাপানিরা গাছ থেকেই পেয়েছিল।

অরুনিমা নিজে নিজে কয়েকটা ছবি তুললো।এর মধ্যেই আহিলিয়া কাছে এসে বলল,” আপু কি শুধু গাছের সৌন্দর্য দেখলেই হবে। একটু মানুষের সৌন্দর্য ও দেখেন। ”
অরুনিমা ওর দুষ্টামিতে হেসে দিল। তারপর বলল,” গাছের সামনে দাড়াও ছবি তুলে দেই।”
হঠাৎ সোনালি, ছন্দা, পিংকি দৌড়ে কাছে এসে দাড়ালো। সোনালি একটু আন্তরিকতা নিয়েআহিলিয়ার কাছে দাড়িয়ে বলল,” এমন নৈসর্গিক প্রাকৃতিক পরিবেশে একা একা ছবি তুলতে নেই। ”
পিংকি বলল,” যৌথ নয়তো দলীয়। কোন একা একা কাজ করা যাবে না। ”
সবার মধ্যে হাসাহাসি ঠাট্টা তামাশা চলতে লাগলো। আর দলবেঁধে দুষ্টামি করা ছবি তোলা হলো।
ওদের আলোচনার মাঝে ওয়াহিদ ভাই এবং সাজিদ ভাই এলো সেই ছেলেটিকে সঙেগ করে। সবাই সালাম দিয়ে পরিচিত হলো। জানা গেলো তিনি টোকিও বিশ্ব বিদ্যালয়ে বায়োকেমিস্ট্রিতে পিএইচডি করছে। তার নাম নাদভি আহমেদ। অরুনিমা ও নিজের পরিচয় দিলো। খুব সামান্য সময় অতিবাহিত করার পর তারা চলে গেলেন ।হঠাৎ এই পরিচয় পর্বটা সবার মধ্যে নতুন কৌতূহল উদ্রেক করলো। একটা রোমান্টিক গানের সুর সাকুরা ফুল গুলোকে ছুয়েঁ ছুয়েঁ বাতাসে ভাসতে লাগলো। আচমকা সে বাতাসটা অরুনিমা কে একান্ত গোপনে স্পর্শ করে গেলো। সবাই হয়তো ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছে।
প্রসংগ পাল্টাতে সোনালি জিজ্ঞেস করলো, ” সামনের জুন মাসে হকুদাইসাই হবে। তোমরা কি সবাই অংশ গ্রহন করবে? ”
পিংকি বলল,” আমি ব্যস্ত থাকবো। হয়তো জয়েন করা হবে না। তাছাড়া সমস্যা ও আছে। ”
অরুনিমা জানতে চাইলো, হকুদাইসাই কি? ”

পিংকি বলল,” আন্তর্জাতিক ফুড ফ্যাস্টিভ্যাল।সব দেশের ছাত্র ছাত্রীরা নিজেদের দেশের খাবারের স্টল দেয়। অনেক বড় মেলা হয়। সবাই নিজেদের দেশের সংস্কৃতি তুলে ধরে।”

আহিলিয়া জিজ্ঞেস করে, ” তুমি কি এ বছরও জয়েন করছো না। এখনকার বাংলাদেশ কমিউনিটির সবাই বেশ কোঅপারেটিভ।ইচ্ছে করলেই জয়েন করতে পারো। ”
পিংকি বলল,” না। প্রথম বছরে যে আবেগটা ছিলো সেটা এখন নেই। যতোদিন
হোক্কাইডোতে আছি নিজের ক্যারিয়ার আর পড়াশুনাকে মূল্য দিতে চাই।”
সোনালি বলল, ” ভুলে যাও। প্রথম প্রথম মানুষের অনেক ধরনের ভাল মন্দ অভিজ্ঞতা হয়। নিজেদের ভুল হলো বুঝতে পেরে এখন কমিউনিটি অনেক একটিভ। ”
পিংকি বলল,”আজও মনে পড়লে কষ্টে বুকটা ভেসে যায়। সে সময় নিজেকে কেমন যে অসহায় আর নিঃসঙগ লাগছিল।আমরা সত্যিই খুব স্বার্থপর আর নিষ্ঠুর। ”
অরুনিমা জানতে চাইলো, ” বুঝতে পেরেছি খুব কষ্ট পেয়েছো।কিন্তু কি ঘটেছিলো?”
পিংকি বলল,” আমি তখন একেবারেই নতুন। দুই একটা পরিবারের সাথে পরিচয় হয়েছে। যে যার মতো দল ঠিক করে মেলায় অংশ গ্রহন করলো। অথচ পারিবারিক প্রোগ্রামগুলোতে সবার সাথেই নিয়মিত দেখা হয়েছে । কিন্তু আমাকে জানায়নি।”
অরিুনিমা বলল,”কারনটা কি ছিলো।”
পিংকি বলল,”দলবাজি আর স্বার্থ।তিনদিন মেলায় অনেক বিক্রি হয়। বাংলাদেশিরা বেশ ভালো আয় করতে পারে।যার যার সাথে ভালো সম্পর্ক তারা দলবাজি করে টেন্ট দিয়েছে।”
অরুনিমা বলল, ” আমার মনেহয় সব ছাত্রছাত্রী মেলায় অংশ গ্রহনের অধিকার রাখে।”
পিংকি বলল,” সবাই একত্রিত হয়ে দেশের সংস্কৃতি কে তুলে ধরার চেয়ে ব্যক্তিগত আয় আর দলবাজিতে মেতে ছিলো।”
আহিলিয়া বলল,” বিদেশে আসার পর বুঝা যায় কিছু কিছু বাংলাদেশিদের দেশপ্রেমের নমুনা। কতোটা ব্যক্তিপূজায় ব্যপ্ত থাকে।”
পিংকি বলল,” যতো যাই বল মুখে এক ভিতরে আরেক।স্ববিরোধী ভন্ডামিতে আমরা কতোটা এগিয়ে তা বিদেশে আসার পর অনেকটা আবিস্কার করা যায়।”
আহিলিয়া ও বলল,”অনেক আগে খাবারের স্টলে দুই ভাবি নাকি কাপড় জামা বিক্রি নিয়ে ঝগড়া লেগে গিয়েছিলো। এতো ধান্দাবাজির চিন্তা কেমন করে যে আসে । বিদেশিদের কাছে বাংলাদেশিদের মান সম্মান থাকে কিভাবে। ”
সোনালি বলল,”এগুলো আগের ঘটনা। তবে এখনকার পরিবেশ মুটামুটি ভালো।”
পিংকি বলল,” ছোট ছোট মত পার্থক্য থেকেই বড় শত্রুতার তৈরি হয়।হয়তো আগের তুলনায় ভাল।সেজন্যই কিছু কিছু প্রোগ্রামে জয়েন করি। তবে কিছু জটিলতা এখনও আছে। ”
নিজেদের মধ্যে কথা বলতে বলতে দুপুর গড়িয়ে এলো। মধ্যাহ্নভোজের সময় গড়িয়ে এলো। বাতাসের দোলায় সাকুরা ফুলের নাচন চারপাশের পরিবেশটাকে আনন্দময় করে রাখে। বাংলাদেশেও শরৎ কালে শিউলি, বর্ষায় কদম আর কৃষ্ণচূড়া ফুলের আভিজাত্য আছে। কিন্তু ফুল কে ভালোবেসে এমন কোন আয়োজন নেই। বিদেশে এই আমরাই বিদেশি ফুলের ভালোবাসায় কতো মেতে থাকি।নিজ দেশের প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের বোধটা আমাদের অনেকের নেই।

মধ্যাহ্নভোজের পর বিভিন্ন জন নানা ধরনের আনন্দ আয়োজন করলো। গান, কৌতুক, মজার অভিজ্ঞতা আর গেম শোর মধ্য দিয়ে একটা সুন্দর দিন কেটে গেলো।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৭

শাব্দিক হিমু বলেছেন: অল্প একটু পড়লাম। ভালো লাগলো। সময় নিয়ে প্রথম পর্ব থেকে পড়তে হবে।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩৮

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: অবশ্যই। পড়ার আমন্ত্রণ রইল। সবগুলো ব্লগে আছে। সামনের বই মেলা শিখা প্রকাশনিতে বই আকারে পাওয়া যাবে। ধন্যবাদ।

২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সাকুরা উৎসেব যেন ঘুরে এলাম আমরাও :)

ভাল লাগল পোষ্ট। কষ্ট লাগল বিদেশে গিয়েও যারা বদলাতে পারেনা তাদের জন্য!!! আফসোস!

+++++++

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩৯

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: উৎসাহ পেলাম। ধন্যবাদ।

৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:০০

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: পড়ে ভালো লাগা রেখে গেলাম, আপা।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪৪

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ। সামনের বই মেলায় বই আকারে আসছে। পড়ার আমন্ত্রণ রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.