নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার গল্পটা হোক পৃথিবীর সেরা গল্প ।কারন আমি হতে চাই একজন সত্যিকারের জীবন শিল্পী ।

নুরুন নাহার লিলিয়ান

নুরুন নাহার লিলিয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমেরিকায় হোমলেস অভাবে নয় স্বভাবে ।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৪১



যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গ রাজ্যের লস এঞ্জেলস শহরে যখন নামলাম খুব সকাল । বিশাল শরীরের কাল কাল মহিলা পুলিশদের দেখে আমি কিছুটা বিস্মিত ।সাথে তাদের প্রশিক্ষিত কুকুর । কুকুর গুলো আমেরিকান মনে হলেও মহিলা পুলিশদের মনে হয়েছে আফ্রিকান । ট্রলি নিয়ে হেঁটে যেতে যেতে বার বার খেই হারিয়ে ফেল ছিলাম । আহা হলিউড । আমার মুভি প্রেমিক মন কতো বার ছুটে গেছে চোখ ধাঁধানো শহর লস এঞ্জেলসের হলিউডে ।আনন্দ বিনোদন আভিজাত্য আর চলচিত্রের প্রান হলিউড । বাস্তবে এ আমি কি দেখছি ।
না দিনের হলিউড আর রাতের হলিউড অনেক তফাৎ । যাইহোক ট্রেনে উঠেই দেখি বিশ্রী সব মেয়ের দল । হাতের নখে নানা রকম নেইল পলিসে আঁকা থাকলেও মনে হচ্ছে গত এক মাসেও গোসল করেনি । ট্রেনে উঠার আগে বেশ কয়েকটা পথ অতিক্রম করতে হয়েছিল । সেই সাথে নিরব নিস্তব্ধ লস এঞ্জেলসের বাতাসটা যেন আজও গায়ে কাঁটা দেয় । মনে হয়েছিল সত্যি বাস্তবতা থেকে কোন হরর মুভির দৃশ্যে চলে গিয়েছিলাম । বাতাসের শব্দে যেন অন্য রকম সুর । সব কিছুই ঠিক ঠাক আমারই মনে নানা শঙ্কা । নতুন জায়গায় গেলে যা হয় । সব কিছুই নিয়ম মতো করে পথে এগিয়ে যাচ্ছিলাম । বাংলাদেশের স্কুল কলেজের সামনে চানাচুর মুড়ি ওয়ালারা যেমন চানাচুর বিক্রি করে তেমন কয়েকজন কে দেখলাম ।



তাদের আচরন আর প্রকাশ ভঙ্গি খুব একটা ভদ্র ছিল বলে মনে হয় না । খুব মনোযোগ দিয়ে দাড়িয়ে ছিলাম । হঠাৎ একটা ব্লাক ম্যান এসে বলে গিভ এ ডলার ,আই এম হোমলেস ।
আমি অবাক বিস্ময়ে তার দিকে তাকিয়ে বললাম, আই এম টুরিস্ট , হাও ক্যান আই হেল্প ইউ .।।।
সে কাঁপতে কাঁপতে খিঁচ খিঁচ করতে করতে বলল ,প্লিজ গিভ মি এ ডলার .।
আমি জায়গা সরে দাঁড়ালাম ।



ট্রেন চলছিল নিজের নিয়মে ।আমি ট্রেনে বিজ্ঞাপন গুলো দেখছিলাম । অনেক জায়গায় লেখা জব দেওয়া হবে । আবার কেউ আত্ম হত্যা করতে চাইলে তাকে মানসিক সহযোগিতা এই সব । হঠাৎ দেখলাম খুবই নোংরা গেট আপের এক দল মেয়ে । আমার সামনে বসা দুটো বৃদ্ধ চোখ দিয়ে ভাল করে তাদের দেখে নিচ্ছে । কেউ কেউ খুব মনোযোগ দিয়ে বই কিংবা ম্যাগাজিন পড়ছে । তবে বিচিত্রতা দেখতে দেখতে মনে একটা ভাল লাগাও তৈরি হচ্ছিল । পৃথিবীর পথে পথে কতো রকমের মানুষ । কতো রকমের বিচিত্রতা । জীবনের ধরন কতো আলাদা । হঠাৎ আবার সেই হোমলেসদের কবলে পড়লাম । একটা পিছন থেকে এসে বলে , ডু ইউ নিড এক্সচেঞ্জ .।।আমি বললাম , সরি ,আই ডোন্ট নিড । প্লীজ গো ..।




সারাটা পথ অনেক ভাল কিছু ও ছিল । সেই সাথে যে বিষয়টা মনে বার বার দাগ কাটছিল তা হল হোমলেসদের কথা। এর মধ্যে আমরা পৌঁছে গেছি হলিউড এলাকায় । আহা । আমার সেই স্বপ্নের হলিউড । টিনসেল টাউনের সেই হলিউড লেখা সাইন ।
কতো রকমের ভিসিটর ।চারিদিকে রমরমা পরিবেশ । সেই সাথে স্ট্রিট গুলো জুড়ে ছিল হোমলেসদের আনা গোনা । দুজন তো প্রায় পা চেপে ধরলো .। গিভ মি এ ডলার অর ইভেন সিঙ্গেল এ স্মাইল .।।।
আমি স্মাইল দিলাম । হায়রে ডলার । চাইলেই কি পাওয়া যায় । রেস্তরাঁয় বসে এক স্প্যানিশের সাথে কথা হল । আসলে হোমলেস অনেকটা ইচ্ছাকৃত । ধারনা করা হয় ৮৪০০০ বিভিন্ন ধরনের হোমলেস আছে । কেউ কেউ জুয়া আর মাদকে হারিয়েছে সব ।কাজে আর মন বসে না । আবার কেউ কেউ তরুন যারা অনেক দূর থেকে এসেছে সিনেমার তারকা হতে । কিন্তু বাড়ি ওয়ালারা সাইন বোর্ডে ঝুলিয়ে দিয়েছে .।নো ডগ .।।নো একটর .।
কুকুর সহ কেউ কিংবা অভিনেতা ভাড়া দেওয়া হয়না । কোথায় যাবে । রাস্তাই তাদের ঠিকানা । আরও যে কতো কারনে । বছর শেষে তাদের পর্যাপ্ত ভাতা আছে । কাজের ক্ষেত্র ও যে কম তা কিন্তু নয় । স্বভাব যাদের মদ ,জুয়া আর দেওলিয়া হওয়া । তাদের দিকে তাকিয়ে আমেরিকা বিচার করা যায়না ।


তবে সব কিছুর পরেও হলিউডের ম্যাক্স মিউজিয়াম , হলিউড সাইন , সমুদ্র ,পাহাড় , চার্চ ,বড় বড় ঐতিহাসিক ব্লিল্ডিং , জমজমাট বিলাস বহুল রেস্তরাঁ সবই ছুঁয়ে গেছে মন । কোন একদিন সময় হলে স্মৃতি চারন হবে হলিউডের যে স্মৃতি গুলো মনে দোলা দিয়ে গেছে তা নিয়ে ।


বিদেশে দুই ধরনের প্রবাসী বাংলাদেশিরা থাকে ।

১ । যারা সারাক্ষন বিদেশের বদনাম করতে থাকে যেন কেউ বিদেশের প্রতি আগ্রহী না হয় । গাল গল্প তারা একলাই করবে। অথচ দিব্বি সিটিজেনশীপ নিয়ে বসে আছে । মনে মনে বলে ডিসগাস্টিং বাংলাদেশিরা যেন তাদের জায়গা দখল না করে । নিজের আগামী প্রজন্মকে আমেরিকান হতেই শেখায় । তাই কেউ আর বাংলাদেশী বলে না । প্রাউড টু বি আমেরিকান বলে নিজেদের জাহির করে ।
২ । আরেক শ্রেণী আছে। কেন যে মানুষ বিদেশে যায় .।।। দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হতে । দেখা যাবে তাকে একবার সুযোগ দেওয়া হোক সে চতুর্থ শ্রেণির নাগরিক হয়ে হলেও যাবে । এক সময়ে এমন ভাব দেখাবে কেন যে গরীব বাংলাদেশে তাদের জন্ম হয়েছিল ।বাংলাদেশে মানুষ ছাড়া আর কি আছে .।।।দূর ওই দেশে ফিরে কে যায় .।।।এই হল প্রবাসী বাংলাদেশিদের মনোবৃত্তি ।
সবাই এক হয়না । এর মধ্যে অনেক ভাল ভাল বাংলাদেশী আছে । যারা নিজের দেশ কে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে । নিজেদের মেধা দিয়ে প্রমান করছে বাংলাদেশকে ।
আমেরিকায় যতোই সমস্যাই থাকুক । আমেরিকার সব দিক থেকে আজও এগিয়ে । সম্পদ কিংবা কুটবুদ্ধি সবই আছে ।
নিজের দেশের এবং নিজের ব্যক্তিগত মান উন্নয়নের জন্য সব মানুষের পৃথিবী দেখা উচিত ।
অনেক দিক থেকে আমরা যেমন ভাল নেই । আবার অনেক দিক থেকে আমরা অনেক ভাল আছি ।



মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৩৪

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আহারে যেতেতো আর পারলাম না তবে দুই একটা ছবি আর আপনার সুন্দর বর্ননায় ঘুরে এলাম হলিউড। ধন্যবাদ নিজের অভিজ্ঞতা সিয়ার করার জন্য।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:২৮

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: আপনাকে ও ধন্যবাদ ।

২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৪৭

সালমান মাহফুজ বলেছেন: " হঠাৎ একটা ব্লাক ম্যান এসে বলে গিভ এ ডলার ,আই এম হোমলেস । "---
অথচ আমরা মুভিগুলোতে সব সুখী পরিবারগুলোকেই দেখি ।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:২৯

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: মুভি আর বাস্তবতা অনেক আলাদা ।তবে অনেক কিছু আবার সত্য ও । পরিচালক যেমন করে দেখায় । ধন্যবাদ।

৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৫০

কলাবাগান১ বলেছেন: আপনার এই অতি সরলীকরন ভাবে মানুষের গায়ের রং নিয়ে কথা আমেরিকান রা পছন্দ করবে না। আপনি হয়ত আমেরিকার রেসিয়াল ইতিহাস জানেন না....

প্লিজ ডু নোট রিএ্যাক্ট স্ট্রংগলী...টেইক দ্যা 'ক্রিটিসিজম' এ্যাট ইটস ফেইস ভেল্যু...

ওপেন ব্লগে চামড়া মোটা করে থাকতে হয়। নানা জনের নানা মত।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৩১

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: হা হা হা .।খুব মজা পেলাম । আসলে আমি যা অনুভব করেছিলাম তাই বলেছি । এটা সত্যিব্লাক ম্যানরা আমার মনের কথা শুনে ফেললে আমার খবর ছিল । আপনাকে ধন্যবাদ।

৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:১৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমি এই কথাই চাঁদ্গাজীর পোষ্টে করে তার বিদ্রুপ শুনতে হয়েছিল।

বেশিরভাগ হোমলেস অভাবে না স্বভাবের কারনে।
একজন বয়ষ্ক গৃহহীন ফুড স্ট্যাম্প সহ বিভিন্ন ভাতা সহ বছরে প্রচুর ডলার পেয়ে থাকে। অনেকেই স্বভাবে কাজ খুজে না।
নিউইয়র্কে অবৈধ পলাতকরাও একটা কাজ জুটাতে সমস্যা হয়না।
এরা বর্নসিটিজেন হয়ে কাজ পায়না। বিশ্বাস হয়না।
কানাডায় গৃহহীন দেখা যায় বটে বাট সংখ্যায় অনেক কম। সরকার তাদের জন্য ফ্রি খাবার, সেলটার, ভাতা দিয়ে রেখেছে কিন্তু তারা সবকিছুর বাইরে, রাস্তায় থাকতেই পছন্দ করে।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৩৮

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: আমেরিকা মানে শুধু নিউইয়র্ক নয় ।আমেরিকা মানে শুধু লসেঞ্জেলস নয় ।আমেরিকা মানে শুধু ফ্লোরিডা নয় ।
আমেরিকা মানে আরও অনেক বড় কিছু । একেকটা অঙ্গ রাজ্য আর নিয়ম কানুন ,জীবন পদ্ধতি এক নয় । সেখানেও একটা দেশে জীবনের অনেক বিচিত্র গল্প ।

একজন বাংলাদেশি হিসেবে বলি আমরা বিদেশে যাওয়ার জন্য পাগলা হয়ে যাই ,গল্প শুনতে পাগল হয়ে যাই , সেই সব বাজে দেশের সিটিজেনশিপ পাওয়ার জন্য উন্মাদ হই ।সেসব দেশের সরকারের টাকা ভোগ করি ।আর সারাক্ষন সেসব দেশের নেগেটিভ বিষয় আলোচনা করতে ভালবাসি । মুখে এক কাজে আরেক ।
কানাডায় মাতাল গুলো মানসিক রোগী থাকে । এছাড়া অনেক শান্তির দেশ । খুব খুব সুন্দর দেশ ।

৫| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:

লেখক লিখেছেন,

" কুকুর গুলো আমেরিকান মনে হলেও মহিলা পুলিশদের মনে হয়েছে আফ্রিকান । "

-দেখেন, আপনার অবজারবেশন শুরু থেকেই উল্টা, কুকুরগুলোকে বরং জার্মান বললে কিছুটা শুদ্ধ হতো; কারণ, ওগুলো হলো "জার্মান শেপার্ড", আর পুলিশগুলো "জন্মগতভাবেই আমেরিকান"; পুলিশ হতে হলে "সিটিজেন" হতে হয়; আপনার অবজারবেশন ক্ষমতা পরিস্কার নয়।

আমেরিকায় মানুষ কি করে হোমলেস হয়, সেটা বুঝতে সময় লাগবে। তবে, আমেরিকানদের সম্পদের পরিমাণ যদি বুঝতে পারেন, তা'হলে বুঝবেন যে, আমেরিকায় "হোমলেস" থাকা অন্যায়।

আমেরিকার (ফেডারেল )বাজেট ৪ ট্রিলিয়ন ছিল গত বছর, ৪ এর পর, কয়টা শুন্য দিতে হবে? এই ধরণের ফ্যাক্টর অনেকর জন্য অনেক কিছুকে কঠিন করে ফেলে!

০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৫০

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: " কুকুর গুলো আমেরিকান মনে হলেও মহিলা পুলিশদের মনে হয়েছে আফ্রিকান । "

-দেখেন, আপনার অবজারবেশন শুরু থেকেই উল্টা, কুকুরগুলোকে বরং জার্মান বললে কিছুটা শুদ্ধ হতো; কারণ, ওগুলো হলো "জার্মান শেপার্ড", আর পুলিশগুলো "জন্মগতভাবেই আমেরিকান"; পুলিশ হতে হলে "সিটিজেন" হতে হয়; আপনার অবজারবেশন ক্ষমতা পরিস্কার নয়।.....।

আপনি যুক্তি খন্ডন দেখালেন । আর আমি বর্ণনা করেছি আমার ভাবুক মনের ভাবনা । কাদের মতো মনে হয়েছে । মত মনে হওয়া .।আর এক বিষয়ের বর্ণনা এক নয় । আর পুলিশ হতে হলে যে আমি কেন ছোট শিশু ও জানে । আপনি হয়তো আমার ভাবনা গুলো বুঝতে পারেন নি ।

কেন যে হোমলেস হয় সেটা আমি কেন আমেরিকানরাই বের করতে পারছে না ।আমার আসলেই সময় লাগবে । আমি ভাবছি বাংলাদেশিরা কেন তবুও সব জেনে সেখানেই যেতে উন্মাদ। হোমলেসদের দেশেই যাওয়ার জন্য পাগল ।সেখানকার বদনাম অথবা গল্প করতে পাগল ।
ধন্যবাদ।
তবুও কেন সেখানে থাকাটাই গর্বের মনে করে .।।।

৬| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৫২

জাহিদ হাসান বলেছেন: অনেক ভালো লিখেছেন। পড়ে ভালো লাগলো।
হোমলেসদের কথা বলতে গেলে আপনার কথাই বলব- স্বভাবেই সেখানে হোমলেস তারা!
আর প্রবাসীদের নিয়ে যা বলেছেন তা ঠিক না। তাদের পাঠানো রেমিটেন্স এ দেশ এগুচ্ছে।
সবাই তো আর সিটিজেনশীপ পায় না। আমেরিকাতেই প্রচুর বাংলাদেশী প্রবাসী আছে যারা ব্যবসা- বাণিজ্য করে দেশে বস্তা বস্তা ডলার পাঠাচ্ছে। যান না জ্যাকসন হাইটে, গেলেই দেখতে পাবেন। কত কত হোটেল-মোটেলের মালিক বাংলাদেশী । তাদের দোকান,হোটেলে বাংলাদেশী ছেলেরাই কাজ করছে। আর দেশে টাকা পাঠাচ্ছে। আপনার উল্লেখিত দুই শ্রেণী ছাড়াও ওই শ্রেণী আছে। যারা আমেরিকাতে কাজ করে দেশে রেমিটেন্স পাঠাচ্ছে!

০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:০২

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: হুম । প্রচুর বাংলাদেশি আছে । সারা পৃথিবীতে কোন দেশে বাংলাদেশি নেই সেটাই ভাবার বিষয় । আমি বলতে চেয়েছি নিজের দেশে বসে কিংবা অন্য দেশে গিয়ে তাদের বদনাম না করে তাদের কি কি ভাল সাইড আছে সেটা প্রকাশ করা ভাল নয় কি .।।
বাংলাদেশি কমিউনিটি তে যাবেন ।সেটা যে কোন দেশেই হতে পারে । দেখবেন সারাক্ষন এক ধরনের বাংলাদেশিরা বলতে থাকবে .।।আমেরিকানরা ভাল না , কানাডিয়ানরা ভাল না , ফ্রেঞ্চরা ভাল না ,জাপানিরা ভাল না .।।।অথচ ওদের দেশেই কাজ করে আমাদের দেশ রেমিটেন্স বাড়ছে । ওরা সুযোগ না দিলে আমরা কি কাজ করতে পারতাম ।তারপরও সেই সব দেশের নাগরিকতা নিয়ে .।অথবা এমনিই সারাক্ষন সেসব দেশের আর মানুষের বদনাম । কিন্তু কেন .।।।
ধন্যবাদ।

৭| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:২২

মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: আলাপচারিতার ঢঙে বর্ণনা ভালো লাগলো।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৩৮

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ ।

৮| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:২৭

আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: ভাল লাগল লেখাটা।

তবে হোমলেস হবার পেছনে স্বভাবকেই দায়ী করছেন আপনি। কিন্তু স্বভাব এরুপ স্ভাব তৈরীর পেছনে কি কোন গগ্রুপের হাত আছে ? নাকি তারা এমনিতেই ন্যাচাররের বিপরিদ চলছে? মদ গাজা খেয়ে সব কিছু হারাচ্ছে তাহলে এসবের সরবরাহকারীরা কি ভুমিকা রাখছে?

০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৪৩

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: সীমিত জ্ঞানে তাই বলে .।নিজে নিজে অনেক রিলেটেড জার্নাল পড়লাম । সব জায়গায় ঘুরে ফিরে স্বভাব কেই দেখানো হয়েছে । আসলে অনেক কারনে হোমলেস হয় ।

আমেরিকা একেকটা অঙ্গরাজ্যের একেক গল্প ,নিয়ম , জীবন পদ্ধতি এক নয় । দুই একটা বিষয় দিয়ে মুল্যায়ন করা ঠিক বলে হয়নি। ধন্যবাদ ।

৯| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ২:০৪

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন, শুনলামও। তবে কথা হচ্ছে আমার খুব যেতে ইচ্ছে হয়! থাকতে না বেড়াতে :) :) ধন্যবাদ আপুনি।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৬:৪৮

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ।

১০| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৪:৩৪

কোলড বলেছেন: Correct term should have been African American. Quite a few homeless people are on the street due to financial reason and fell through social crack. Shelter only allows stay at night. One Harvard lawyer ended up a homeless and was in court for vagrancy.
You have scratched the surface only and got a superficial idea of America.
Next to those poorly dressed girls in subway might be another future Larry Page/Brin and this is possible only in USA.

০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৬:৫০

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: Thanks.

১১| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৫:৩৫

রিফাত হোসেন বলেছেন: সুন্দর।

তবে রয়ে যায় কিছু।

যেমন ২ । আরেক শ্রেণী আছে। কেন যে মানুষ বিদেশে যায় .।।। আমার যুক্তি আছে। এই পক্ষের কথাই আমি বলি। আমি এমন দেখেছি এমন দেখছি, বাংলাদেশে ব্যবসা আছে, বাবার প্রতিপত্তি অনেক, খুব ভাল চাকরি করছে। সেক্ষেত্রে বিদেশে আসার প্রয়োজন টা কি?

কেউ যদি পড়াশুনা করতে সেটা ভিন্ন কিন্তু তাদের টার্গেট এই বিদেশে আসলেই লটারী পাওয়া যায়! দ্রুত কোটিপতি হয়ে যায়। আমি ভাল আছি, আলহামদুলিল্লাহ।

দ্রুত পয়সার জন্য বিদেশ নয়!
আমার সুযোগ থাকত, বাংলাদেশেই ব্যবসা খুলে বসতাম।
সুযোগ থাকলে, অর্থনৈতিক স্বাচছন্দ্য এর জন্য যে কোন জায়গায় যাওয়া যায়, এটা তার জন্য প্রযোজ্য যার বয়স,সুযোগ,সময় আছে এবং অর্থনৈতিক চাকা তৈরী হয়নি ঐ অবস্থায়। কিন্তু একটা চলমান চাকাকে রেখে স্ট্রাগল দুনিয়াকে সাপোর্ট করি না। এই জন্য আপনার ২ নম্বর দলের পক্ষে।

বাহিরে ব্যবসায় চাদাঁ দিতে হয় না সঠিক, কিন্তু প্রচুর পরিমানে কর দিতে হয় অনুমতি পত্রের জন্য। অগ্রিম মূল্য অনেক, ঋণ ছাড়া গতি নাই, আমার বসও ঋণ নিয়েই চাকুরি থেকে ব্যবসায় নেমেছে। চাকুরী করলেও প্রচুর ট্যাক্স দিতে হয়। যেটা বাংলাদেশে নেই বললেই চলে।

বাংলাদেশে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করেছি, কই আমার আয়ের উতসের ব্যাপারে কোন জিজ্ঞাসাই করল না! যেটা বাহিরে ভুলে যেতে হবে!

আর বাংলাদেশকে নতুন করে প্রমান করার কিচ্ছু নাই, আমাদের তারা গরীব দেশ বলেই চিনে! খারাপ লাগলেও মেনে নেই। তবে আমরা মেধাবী এবং এর মূল্য দিতে জানি না। এটা তারা ১০০% স্বীকার করে এবং করতে বাধ্য তা না হলে বাহিরে আসতে হয় না কাউকে, সবাই দেশের চাকরিকে সোনার হরিণ মনে করে এবং যারা ব্যর্থ হয় তখন তারা বাহিরে চেষ্টা করে, সেটাতে দোষের নাই।

আরেকটা কথা, পাকিস্তানী বা ভারতীয় যদি বাংলাদেশে স্থায়ী থেকে গিয়ে যদি ভারত ভারত কিংবা পাকিস্তান পাকিস্তান মনোভাব পোষন করে, নিশ্চয়ই আপনার ভাল লাগবে না! তাই না?
তাদের উচিত, তারা না পাড়ুক তাদের প্রজন্ম যেন বাংলাদেশকে আপন করে নেয়।

যা করা উচিত বিদেশেও। আমার আপনার জন্য বিদেশ কিন্তু সেখানে জন্মগ্রহনকারী সেখানে বর্ণ রাইটের আওতায় পরে, সেখানের আলো বাতাস বড় হয়।

আর এই কারনেই আমার কলিগদের একজন বলে, বিদেশী কখনই আপন দেশী হতে পারে না! তাদের জাতীয় সঙ্গীত মনে ধরে না, তাদের শপথ মনে থাকে না। যদিও সে যথেষ্ট ভদ্রলোক, সত্যবাদী, রেসিস্ট নয়।

সেটা আপনার কথাতেই ইঙ্গিত হচ্ছে। আর প্রবাসী বাংলাদেশিদের মনোবৃত্তি সম্পর্কে আপনার ধারনাও সঠিক মনে হচ্ছে না আমার।

আরেকটু চিন্তা করলে ভাল হত।

তবে আপনার ভ্রমন বিস্তারিত ভাল লেগেছে। ++ হোমলেস অভাবে নয় স্বভাবে এটাও সত্য। +++



আশা করি কিছু মনে করবেন না, মন্তব্যটা দীর্ঘ হয়ে গিয়েছে।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৬:৪৬

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ।

১২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৬:৪২

স্বপন খাঁন বলেছেন: যদিও আমেরিকানরা হোমলেস্ তারপরও তাদের গেটআপ ধনীদের মতো। আমাদের বাংলাদেশে হোমলেস মানে তার কিছুই নাই।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:২৩

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: হা হা হা।।।। মজা পেলাম। ধন্যবাদ।

১৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৩২

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: জায়গাটির প্রতি আগ্রহ সবারই আছে। আমার হয়েছিল হলিউডের ছবি দেখেই। কিন্তু বাস্তবে তো আর যাওয়া হবে না কোনদিন। আজ আপনার কাছে বিস্তারিত বর্ণনা জানতে পেরে ভালই লাগছে।

শুভকামনা রইল আপনার জন্য। আল্লাহ্ যেন আপনাকে সুস্থ রাখেন, তবেই আরো নতুন অজানা সম্পর্কে জানতে পারবো এভাবে।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩১

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: আল্লাহ্ যেন আপনাকে সুস্থ রাখেন, তবেই আরো নতুন অজানা সম্পর্কে জানতে পারবো এভাবে।......
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। সুস্থতা মানুষের জীবনে রহমত স্বরূপ । দোয়া করবেন।

১৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:০২

টারজান০০০০৭ বলেছেন: যুবক বয়সে হোমলেস থাকা এডভেঞ্চার হইতে পারে, হিপিরা ঘরে থাকে না , বৃদ্ধ বয়সে আসলেই কষ্টের।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৪২

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: কথা ঠিক। ধন্যবাদ।

১৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:২৫

সামিয়া বলেছেন: বর্ণনা বেশ হয়েছে। এটা কবের ছিল খুব রিসেন্ট ট্রিপ কিনা??

০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:০৯

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৬| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: অনেক দিক থেকে আমরা যেমন ভাল নেই । আবার অনেক দিক থেকে আমরা অনেক ভাল আছি ।


এটাই হলো শেষ কথা। আমেরিকার হোমলেসদের সম্পর্কে জেনে নিজেকে ভাগ্যবানই মনে হচ্ছে। মাথার ওপর একটা ছাদ আছে। মদ জুয়ার ধারে কাছে যাইনি কোনদিন। কারো কাছে হাতও পাততে হয়নি কোনদিন। আল্লাহকে ধন্যবাদ।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:০০

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: আপনাকে ও ধন্যবাদ।

১৭| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৪৮

ভবঘুরের ঠিকানা বলেছেন: আমেরিকার হোমলেসদের সম্বন্ধে আরও একটু ধারনা পেলাম । আপনাকে ধন্যবাদ।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৫৬

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: এই বিষয়ে অনেক জার্নাল ,ব্লগ, বই ও আছে । জানার ইচ্ছে থাকলে দেখতে পারেন অন লাইনে । অনেক ধন্যবাদ।

১৮| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:১৯

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:৩৮

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৯| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৭

বাকরখানি বলেছেন: আংশিক সঠিক চিন্তা। আমেরিকায় কেন গেছেন? বেড়াইতে?

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:২৪

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ।

২০| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৩৮

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: ভ্রমণ পোস্ট এমন হওয়া চাই। প্রচুর ছবিই যে ভ্রমণ পোস্ট নয়, আজকের দিনে ব্লগারেরা ভুলেই যায়।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৫৮

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.