নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার গল্পটা হোক পৃথিবীর সেরা গল্প ।কারন আমি হতে চাই একজন সত্যিকারের জীবন শিল্পী ।

নুরুন নাহার লিলিয়ান

নুরুন নাহার লিলিয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

অভিজ্ঞতাঃ জাপানি পুলিশ -নুরুন নাহার লিলিয়ান

১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৫৬




#জাপানি পুলিশ
#নুরুন নাহার লিলিয়ান
জাপানি পুলিশ । শব্দ দুইটা শুনলেই বিনয় এবং বন্ধুত্ব শব্দ দুইটিও সাথে সাথে চলে আসে। ইতিহাসে জাপানিদের নিয়ে অনেক গল্প আছে । কিন্তু আধুনিক এই বিশ্ব মানচিত্রে জাপানিরা যে বিনয়ী এবং পরিশ্রমী জাতি তা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই । জাপানে থাকতে জাপানি পুলিশ যে কতোটা নীরবে অপরাধী ধরে তার কিছু অভিজ্ঞতা অর্জন করার সুযোগ হয়েছিল ।বেশ মুগ্ধ হয়েছিলাম বটে । যে অপরাধী সে তো বুঝতে পারে না যার সাথে অপরাধ করেছে সে ও মাঝে মাঝে বুঝতে পারে না ।
প্রচলিত কথা জাপানি পুলিশের মতো আদুরে পুলিশ পৃথিবীর অন্য দেশে আছে কিনা সন্দেহ আছে ।জাপানিরা ও তাদের পুলিশং ব্যবস্থা কে সম্মান করে । সহজ কথায় যাকে বলে তাদের পুলিশ ম্যানদের ভয় ও পায় ।
যাইহোক একদিন রাতে নিজের খণ্ডকালিন কাজ শেষে বরের সাথে তাঁর ল্যাবে দেখা করে বাসায় ফিরছিলাম । তখন মে মাস । চারিদিকের বরফ পাহাড় দেখা না গেলেও কিছু কিছু রাস্তায় অল্প স্বল্প বরফ বা রাস্তাটা ভেজা পাওয়া যায় ।গ্রীষ্মের বাতাস আর গাঁ ছুয়ে দেওয়া লাজুক লাজুক রোদ উঠলেও প্রায়ই খেয়ালী আকাশের বুক চিড়ে সাদা তুষার নেমে আসে ভূমিতে । সেদিন মনেহয় রাস্তাটা একটু পিচ্ছিল ছিল ।
আমার একটা অদ্ভুত অভ্যাস আছে । নামাজে দাঁড়ালে , গোসলে গেলে কিংবা একা একা কোথাও হাঁটতে গেলে দুনিয়ার নানা রকম উল্টা পাল্টা ভাবনা আমাকে কেমন করে জড়িয়ে রাখে ।এমনি কি জানি একটা ভাবতে ভাবতে রাস্তা পার হচ্ছিলাম । অনেকটাই বাসার কাছে চলে এসেছি ।
আমার বাসার কাছে "ডিনার বেল" নামের একটা চব্বিশ ঘণ্টার সুপার শপ ছিল । আমি বাসায় ঢোকার আগে সব সময় এখানে কিছুটা সময় কাটিয়ে তারপর রুমে যেতাম ।
যাইহোক সোজা রাস্তা ধরে ফিরলে ও সামনেই একটা চার রাস্তার মোড় পার হওয়ার সময় বিপরীত দিকে থেকে আসা একটা গাড়ী আমাকে দ্রুত গতিতে ক্রস করে । দ্রুত রাস্তা পার হতে গিয়ে আমি কিছুটা ভয় পেয়েই পড়ে যাই । তারপর নিজে নিজেই উঠে হাঁটতে থাকি । অল্প পায়ে ব্যথা পাই ।এরপর ডিনার বেল" থেকে একটা ভেনিলা আইস্ক্রিম নিয়ে বাসার দিকে যেতে থাকি ।
আসলে আমারও দোষ আছে । তখন রেড সিগন্যাল ছিল । আমি ভেবেছি রাতের রাস্তা ফাঁকা । পার হয়ে যাই । আর অন্যদিকে গাড়ি যে চালাচ্ছিল সে একটু গতি নিয়েই ক্রস করেছে যা সিগন্যাল পয়েন্ট গুলোতে জাপানে সচরাচর দেখা যায় না ।
আমি তো মনোযোগ দিয়ে আইস্ক্রিম খাচ্ছি আর হেটে বাসার দিকে যাচ্ছি । এমন সময় বিপরীত দিক থেকে আসা দুটো পুলিশের গাড়ি । সাথে সেই গাড়িটা যে কিনা আমাকে দ্রুত ক্রস করেছে । তারা এসে আমাকে অত্যন্ত বিনয়ের সাথেই থামাল । তিনজন পুলিশ ওজিগি(Bow ) করল । সাথের মেয়ে পুলিশটা আমাকে দেখছিল ।
সত্যি বলতে আমি একটু আচমকা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম । এমন রাতের বেলা আমার সামনে দুইটা পুলিশের গাড়ি । হাতের আইস্ক্রিম হাতেই গলে যাচ্ছিল । মুখে তুলতে ভুলে গিয়েছিলাম ।শুধু কয়েক সেকেন্ড আমার ভুল বা কোন অন্যায় করেছি কিনা তা ভাবছিলাম।
একটা পুলিশ জাপানিতে খুব সিরিয়াস ভঙ্গিতে জিজ্ঞেস করল ," সুমিমাসেন , দাইজাবু দেসুকা মানে আপনি কি ঠিক আছেন ?"
আমি কি বলব বুঝতে না পেরেই উত্তর দিলাম ," ইয়েস , আই এম ফাইন।"
পুলিশ তিনটা কথা বলার সাথে কৌতূহলী নিয়ে আমার পায়ের দিকে সিরিয়াস ভঙ্গিতে ভাল করে তাকাচ্ছিল । তারপর নিজেদের মধ্যে কি যেন একটা কিছু একটা আলোচনা করে নিল। যে পুলিশটা ইংরেজি জানে সে সুন্দর করে সব গুছিয়ে আমার কাছে জানতে চাইল যে আমি রাস্তা ক্রস করতে গিয়ে কোন আঘাত পেয়েছি কিনা ।তাদের সাথে থাকা সেই তরুন ছেলেটি যে স্পিডি গাড়ি চালাচ্ছিল সে কয়েক সেকেন্ড মাথা নিচু করে বলল ," গোমেন্নাছাই " মানে ক্ষমা করবেন। আর কি কি যেন বলেছিল এখন ভুলে গেছি ।
আমি তাদের জানালাম অল্প ব্যথা পেয়েছি তবে অনেক ভয় পেয়েছি । তারপর ইংরেজি জানা পুলিশটা আমাকে জানাল ," সিগন্যাল রেড হলে রাতের বেলা ও যেন আমি রাস্তা ক্রস না করি । সিগন্যালের জন্য অপেক্ষা করি " ওরা ভেবেছে আমি ভিনদেশী হয়তো ওদের দেশের নিয়ম কানুন জানি না । কিংবা বুঝিনি । সাথে সেই তরুন ছেলেটির মুখ ভীষণ রকম ভয়ার্ত ।
ওরা আমার রেসিডেন্সিয়াল কার্ড দেখতে চাইল । আর ও সাহায্য করতে চাইল এমন যে আমি ঠিক মতো বাসায় যেতে পারব কিনা । আমি হাত দিয়ে আমার বাসাটা ওদের দেখালাম । ওরা সৌজন্য হাসি দিল ।
সাথের মেয়ে পুলিশটা বাসার নিচের সিঁড়ি পর্যন্ত আসলো ।আবার অজিগি মানে মাথা নত করল। তারপর বাসার লক খুলতে খুলতে আড়চোখে নিচ তলার রাস্তার দিকে তাকালাম। দেখি ততোক্ষণ ওরা অজিগি মাথা নত করে আছে । আমি দরজা বন্ধ করলাম । এই হল জাপানি পুলিশ ।
কোন হাব ভাব নেই । বাতাস ও টের পাবে না ।কোন ফাঁকে ওরা লুকিয়ে থাকে । আগে আমি ভাবতাম এত রাতে ফাঁকা রাস্তা মানুষ সিগন্যাল ক্রস করে না কেন?কারন পুরো শহরটা বিশেষ প্রযুক্তিতে মনিটর করা হয়। আইন ভাঙার আগেই আইন মানতে বাধ্য । আইনের প্রতি তখনই শ্রদ্ধা বাড়বে যখন কঠিন শাস্তি থাকবে । শাস্তি অপরিহার্য। অনেকগুলো অভিজ্ঞতা আছে জাপানিজ পুলিশ এবং তাদের দেশের প্রতি শ্রদ্ধা নিয়ে। কোন সামাজিক মাধ্যম বা মিডিয়াতে খুব কম কিন্তু ওরা ঠিক ঠিক নিরবে দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। পৃথিবীতে এমন কোন দেশ নেই যে সেখানকার মানুষ অপরাধ করেনা । কিন্তু আইন এর ব্যবহার এবং প্রয়োগ যথাযথ হলে অনেকটা অপরাধ করার প্রবনতা কমে আসে।
এরপর থেকে আমি কোনদিনই সিগন্যাল ব্রেক করিনি । আমার সাথে কোন সাউথ এশিয়ান থাকলে আমার এমন জাপানিদের মতো আচরনে প্রায়ই হাসতো ।
তবে সেদিনের ঘটনা থেকেই বুঝেছিলাম জাপানি পুলিশ গুলো নিরবে কাজ করে । কোথায় কে নিয়ম ভাঙল ,কে কোথায় গাড়ি রাখল তাকে টিকেট ধরিয়ে দেওয়া । আর আমাদের মতো ভিনদেশিদের ওরা অনেকটা নজরবন্দি করেই রাখে । যাকে বলে স্পাইদের মতো ফলো করে । নিজ দেশের শান্তি শৃঙ্খলা রাখতে জাপানি পুলিশের আচরন অনেক সুন্দর । সেই ঘটনায় আমি এতোটাই তাজ্জব হয়ে গিয়েছিলাম এরপর থেকে চলাফেরায় অনেক সচেতনতা ছিল ।
আসলে যারা নিয়ম ভাঙ্গে বা নিয়ম মানতে চায় না তাদের কাছে নিয়ম মানা হাসিরই । তবে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা কোন কিছুকেই তোয়াক্কা করে না ।
কিন্তু মানুষ গুলো তা ভুলে যায় ।
আরেকটা ঘটনা । আমার একটা প্রাইভেট ছাত্রী ছিল। যে পেশায় ইঞ্জিনিয়ার । ও ছিল নিঃসন্তান । অনেক নিঃসঙ্গ ও বলা চলে । মাঝে মাঝে ওর ইয়োলো ফিভার হয় ।তাই মেয়েটার প্রতি আমার একটু আলাদা সফট কর্নার ও ছিল । আমার কাছে ইংরেজি চর্চা করত আর অনেক দুঃখের কথা শেয়ার করত । কোন নেটিভ স্পিকারের কাছে ওরা ইংরেজি শিখতে লজ্জা পেত । তাই খুজে খুঁজে আমাদের মতো মানুষের কাছে আসত । যেন ফ্রি ভাবে চর্চা করতে পারে । আমরা শিডিউল অনুযায়ী দাইমারু নামের শপিং মলের আন্ডার পাসের ক্যাফে গুলোতে বসতাম । কফি খেতাম আর পড়াশুনা করতাম ।
একদিন বিকেল বেলা । আমি তখন জাপানি পড়ি আর মাইকো কে টেনস , ছবির সাথে শব্দ মিল , ইংরেজি বাক্য রচনা , ফিল ইন দ্য ব্লাঙ্ক শেখাই । আর ওর কাছ থেকে জাপানি কবি সাহিত্যিকদের অবস্থা শুনি । যখন আমরা ভাষাগত দিক থেকে পরস্পরের কাছে জটিল হয়ে যেতাম । মাইকো তখন নিজের কাছে রাখা তার আইপ্যাডে নিজের তৈরি সফটওয়্যারের সাহায্য নিত ভাষা সহজ করনে । ওর একটা সমস্যা ছিল সব ভুলে যায় । যাইহোক আমরা পড়ছি ।
এমন সময় আমাদের দুই টেবিল পরই দুজন বৃদ্ধ বৃদ্ধা বসেছিল । বৃদ্ধা হাম বার্গার আর বৃদ্ধের প্লেটে দুটো আপেল পাই । বৃদ্ধার খাওয়া শেষ । এখন স্বামীর খাওয়া শেষের জন্য অপেক্ষা করছে । আমার চোখ বেশ কয়েকবার তাদের টেবিলে ঘুরেছে । কারন বৃদ্ধ আর বৃদ্ধার ভালোবাসা দেখে ।
এমন সময় দেখি দুজন পুলিশ এসে পাশের টেবিলে চুপচাপ বসল । তারা দুজন দু কাপ কফি ও খেল । বৃদ্ধা বৃদ্ধ কে কি যেন বলে তাঁরা কফি খেতে বসল । বৃদ্ধের খাওয়া শেষ হল । পুলিশ দুটো ও কফি খাওয়া শেষ করল । এরপর সেই বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের টেবিলে গিয়ে বসল ।তারপর হয়তো তাঁরা তাদের কথা বলতে শুরু করল । আমার কৌতূহলী চোখ সেখানে যায় বার বার ।
তারপর ফিস ফিস করে মাইকো কে জিজ্ঞেস করি ওদের কি হয়েছে ?
মাইকো কান খাড়া করে ওদের কথা শোনার চেষ্টা করে । তারপর ফিসফিস করে বলে মনেহয় জমিজমা সংক্রান্ত ঝামেলা । এমন সময় আমার বর মোবাইল করে যে উপরে সে এক গ্রোসারিতে অপেক্ষা করছে । আমাদের টুকটাক বাজার সদাই করতে হবে । আমি মাইকো কে বললাম আমাকে ফিরতে হবে । তুমি থাকতে চাইলে থাকো ।
আমি ব্যাগ গুছিয়ে উঠে পরলাম । এরপর আমরা স্বামী স্ত্রী বাজার করলাম । কিছু হাল্কা খাবার খেলাম । যখন বাইরে বের হলাম দেখি সেই বৃদ্ধ কে পুলিশ দুটো গাড়িতে তুলছে । আর বৃদ্ধা মাথা নিচু করে আছে শপিং মলের কাছে । ক্ষমা চাইলে জাপানিরা যেভাবে বো করে বা মাথা নিচু করে । ঠিক তেমন করেই রইল । পুলিশের গাড়িটা চলে গেল । আমরা তাকিয়ে রইলাম ।চারপাশের অন্য সব কিছু স্বাভাবিক ভাবেই চলছে । শুধু বৃদ্ধার মাথাটা নিচু হয়ে আছে ।
আমার চোখ বার বার সেদিকেই যাচ্ছে । বর দিল ধমক । এক ধমক দিয়ে বলল ," তোমার এতো কৌতূহল কেন ? এখন নিজে আইন মেনে রাস্তা পার হও । দেখছ না কেউ মহিলার কাছে যায়নি । কারন তারা কোন অপরাধ করেছে।"
আমি বললাম ," কিছুক্ষন বৃদ্ধটা আমাদের সাথেই খাচ্ছিল । আর এখন যাচ্ছে পুলিশের সাথে । হয়তো জেলে ও যেতে পারে । কি অদ্ভুত!"
তবে পুলিশ গুলো অপরাধী ধরে নিয়ে গেল । কোন আওয়াজই হল না । কেউ তেমন বুঝল ও না ।
আমাদের দেশে একটা অপরাধী ধরতে এলে কয়েকশ লোক আহত কিংবা রাষ্ট্রিয় সম্পদ নষ্ট হয় । কিন্তু ওদের অপরাধী ধরার স্টাইলটা মজার লেগেছে ।
জাপানের ভেন্ডার মেশিন থেকে যখন জুস বের করতাম তখন প্রায়ই ভেন্ডার মেশিন গুলোকে বলতাম ," বাবারা তোমরা কি সুন্দর রাস্তা ঘাটে দাড়িয়ে আছ । আমাদের দেশে থাকলে তোমাদের তুলে নিয়ে যেতো ।"
আর ভেন্ডার মেশিন গুলো নির্বাক মাথা নিচু করে বলত ," আমরা জাপানি । আমরা ইউনিক । আমরা নিয়ম মেনে চলা জাতি ।"
ওহ আরও একবার আমাদের বাসায় কয়েকজন অতিথির দাওয়াত ছিল । এক ভাইয়া গাড়ি তাড়াহুড়া করে সঠিক জায়গায় রাখেনি । তাকে ত্রিশ হাজার ইয়েন গুনে গুনে শাস্তি স্বরূপ দিতে হয়েছিল । জাপানি পুলিশের শাস্তি আওয়াজ হবেনা তবে ব্যথা পাবে ।
আর ও অনেক ছোট ছোট মজার মজার জাপানি পুলিশের সাথে ঘটনা আছে । হয়তো এসব লিখে শেষ করা যাবে না ।
যদি ও বাংলাদেশে সিসি ক্যামেরা আসার পর অনেক সহজ হয়েছে অপরাধী সনাক্তকরণ ।আবার সিসি ক্যামেরা ঢেকে বা ভেঙ্গে ও অপরাধ করার ঘটনা ও শোনা যায় ।
আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং আস্থা বাড়ানোর জন্য মিডিয়া এবং সামাজিক সচেতনতা অনেক দরকার । দিনে দিনে আমাদের দেশে যে পরিমানে মানুষের ভিতর অপরাধ করার প্রবনতা বেড়েই যাচ্ছে। কিছু দিন পর এই দেশ মানুষের দেশ বলতেও ভয় লাগবে। কয়েক মাসের মধ্যে যে কয়টা ঘটনা ঘটেছে যা কিছু দিন হয়তো চলবে কিন্তু আবার সময়ের চাপে ঢাকা পরে যাবে । কোন মানুষ অপরাধ করলে তার ভয়াবহতা যে কতো ভয়ংকর হতে পারে সেটাও প্রকাশ করা উচিত। বাংলাদেশে শত শত মানুষের সামনে শিশু হত্যার মতো জঘন্য ঘটে যাচ্ছে। বাংলাদেশে অপরাধ প্রবণতা অনেকটা মজা করার মতো । জ্ঞান এবং মানবিক চর্চার অভাব । আমাদের দেশে ছোট শিশু কে ছোট বেলা থেকেই খুব হিংসাত্মক পরিস্থিতি দেখতে দেখতে বড় হতে হয় । মানুষের ভিতরের সূক্ষ্ম ভালবাসার অনুভূতি মানুষের মধ্যে নেই ।
যে কারনে আমাদের দেশে সবাই সবাইকে শাসন করতে চায় । একটা দেশ তখনই সুন্দর হয় যখন সে দেশের মানুষ গুলো দেশের পথে ধুলি কনা থেকে শুকনো পাতা কে আপন ভাবতে পারে। যখন দেশের সবাই কাজ কে ভালবেসে দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে কাজ করতে ঝাঁপিয়ে পরে। আমাদের দেশ কাজ করার চেয়ে কাজের সমালোচনা করার লোক বেশি ।সব দেশেই কিছু না কিছু সমস্যা আছে। কিন্তু আমাদের দেশের সমস্যা গুলো আমরাই সমাধান করতে পারি ।প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ এই দেশে ভালোবাসার সংস্কৃতি তৈরি করি ।
কাজ কে অবহেলা না করে কাজের মধ্য দিয়ে নিজেদের পরিচয় খুঁজি । বিশ্ব মানচিত্রে নিজেদের নাম উজ্জল করি । নিজের দেশ, জাতি, মানুষ আইন, নিয়ম, অর্থনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হই । তখন দেখব পত্রিকার অপরাধ পাতা হারিয়ে যাবে । আমরা মন থেকে দেশের মানুষ, সম্পদ, প্রকৃতিকে ভালবাসতে শিখি । আমরা দেশের আইন নিয়ম কানুন মেনে চলি । আরও একটু সচেতন হই ।
আরও একটু মানবিক হই । সত্যি একদিন বাংলাদেশ সারা বিশ্ব মানচিত্রে বিউটিফুল বাংলাদেশ হিসেবে পরিচিতি পাবে।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:০৭

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:








১। কথায় আছে বাঘে ছুলে আঠারো ঘা আর পুলিশ ছুলে বত্রিশ ঘা...


২। আর পথের ধূলিকণাকে ভালবাসতে বলছেন, আমরা এখনো অনেক গুণীজনকেই সন্মান দিতে পারিনি। অন্য জাতির সাথে আমাদের এখানেই পার্থক্য!



আপনি খুব ভাল লেখেন!

১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৩৩

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ।

২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:০৯

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:



৩। বিদেশে থেকে দেশকে ভালবাসা যায়, বদলানো খুব কঠিন!


৪। বহুবচনাত্মক শব্দ এখন আর আলাদাভাবে লেখতে হয় না! শুভেচ্ছা অফুরান!!

১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৩৩

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ ।

৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:১৭

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এমন নয় যে এসব কেউ জানে না। সবাই জানে বিদেশ মানেই আইন মানতে হবে, ঠিকমত চলতে হবে। তাহলে নিজের দেশে নয় কেন? তার কারণ করাপ্টেড পুলিশ ও বিচার ব্যবস্থা। যেদিন এগুলো ঠিক হয়ে যাবে সেদিন সবাই আইনও মানবে...

১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৩৩

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ ।

৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:২১

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: উপরের মহল চাইলে আমাদের দেশের পুলিশ ঠিক হয়ে যাবে।।
ফাঁকফোকর রেখে আইন প্রণয়ন করলে দুর্নীতি কমবে না বরং বাড়বে।
আমাদের আইন প্রণেতা'রা ফাক রাখে, তাই আইন থাকলে যথাযথ প্রয়োগ বা বাস্তবায়ন সম্ভব হয় না।

জাপানিজ পুলিশ সম্পর্কে জেনে ভালো লাগছে।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৩৪

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ।

৫| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:১৩

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আপনার লেখা পড়তে পড়তে আফসোস হচ্ছে। আমরাও চাইলে এমন একটা জাতি হতে পারতাম! ২য় বিশ্বযুদ্ধের পর ওদের অবস্থা আমাদের চেয়েও খারাপ ছিল।
আর পুলিশের কথা কী বলবো! এদেশের পুলিশ নিজেকে লর্ড ক্লাইভ ভাবে।
যাক। লিখেছেন সুন্দর।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৩৪

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ।

৬| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:০৮

রাফা বলেছেন: চমৎকার স্বতিকথন ।আশেপাশের বর্ণনায় আরো বেশি ভালো লাগলো।তবে শেষের প্যারাটুকুর জন্য আপনাকে অনেক বেশি ধন্যবাদ? ওরা সন্মান করে বলে সন্মান পায়ও ।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৩৫

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ ।

৭| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৭:৫১

জাহিদ অনিক বলেছেন:

জাপানি পুলিশদের মনে হয় লজ্জাবতী লতা ধরে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়, আলতো করে ধরতেই যেন না পায় ব্যথা।
ভালো লাগলো আপনার লেখাটা পড়ে-- আমাদের দেশে হবে সেই পুলিশ কবে--------

৮| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:১৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনার স্বপ্ন সত্যি হোক।
আমাদের সিস্টেম ডেভেলপ করুক ইউনিক সেরা জাতির মতো!
অপরাধ পাতা হারিয়ে যাক
আমরা ভালবাসতে শিখি সবকিছুকে
আইন মানতে শিখি সচেতনতায়
মানবিকতায় হয়ে উঠি বিশ্ব সেরা

হোক এক সমৃদ্ধ, সুন্দর, আদর্শ, পরিশ্রমি, বিনয়ী বাংলাদেশ।

৯| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: জাপানি পুলিশদের চেয়ে ভালো পুলিশ আছে আমস্টারডামে।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৩৬

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: আর ও অনেক দেশের পুলিশিং ও অনেক ভাল আছে । ধন্যবাদ ভাই ।

১০| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:০২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর জাপানীরা সভ্য জাতী।
তাদের কাছ থেকে সভ্যতা বিষয়ে আমাদের অনেক কিছু শিখবার আছে।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৩৬

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ।

১১| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৬

গরল বলেছেন: আমি একবার পুলিশের সাথে একটু দুষ্টামি করেছিলাম, রোপ্পঙ্গীতে গিয়েছিলাম শুক্রুবার একটু ঘুরতে, রাত একটার বেশী বেজে গিয়েছিল মানে ট্রেন বন্ধ। আমার বাসা ছিলো ঔজি ষ্টেশনে, ট্যাক্সি ভারা কম হলেও ২ মান এর বেশী, কি করব, পরে একটা দুষ্টু বুদ্ধি বের হল আমার বাঙ্গালী বন্ধুর সাথে আলাপ করে। কোবান এর সামনে যে দুইজন ধস্তাধস্তির ভান করলাম। সাথে সাথে পুলিশ এসে এলিেন কার্ড দেখতে চাইল, বললাম বাসায় রেখে এসেছি ভুলে। সাথে সাথে দুই গাড়িতে দুজনকে উঠিয়ে বাসায় নিয়ে গেল। আমরা ঘরে ঢুকে ২ মিনিট হেসে হাসি চাপিয়ে দুজনের কার্ড নিয়ে আসলাম। তারা আরিগাতো আরিগাতো করতে করতে বো করে চলে গেলো আর জাপানীজ ভাষায় কি কি বলে গেল কিছুই বুঝলাম না। সেই ঘটনা জীবনেও ভূলব না, গল্প শুনে সেটা যে এভাবে কাজে লেগে যাবে জীবনেও কল্পনা করি নাই।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৩৮

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই । বেশ মজা পেলাম আপনার অভিজ্ঞতা পড়ে ।

১২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৩

টারজান০০০০৭ বলেছেন: পিশাচ টাইপের জাপানি জাতি দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে নখদন্ত হারাইয়া এখন ভেজা বেড়ালে পরিণত হইয়াছে ! তাহাদের আখলাক দেখিলে এখন সাহাবীদের কথা স্মরণ হয় ! শুধু যদি ঈমানটা থাকিত ! আহ !

তবে তাহাদের সাদা চামড়ার প্রতি আদেখলেপনা ভালো লাগে না !

১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৩৮

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ

১৩| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:০৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: নুরুন নাহার লিলিয়ান ,



একটা দীর্ঘশ্বাস বেরুলো শুধু !
"জাহিদ অনিক' এর মতোই বলতে হয় --- আমাদের দেশে হবে সেই পুলিশ কবে--------

২১ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:১৩

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: জি ভাইয়া হবে । একদিন সব কিছুই্ পাল্টায় .।। ধন্যবাদ ।

১৪| ২১ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৫৯

ঈশ্বরকণা বলেছেন: ওদের সব পুলিশ হলো জাপানি পুতুল আর আমাদেরগুলো সরকারি মাল (শিক্ষা দীক্ষা জাতীয় ভারী জিনিস পত্রের অভাবের কথা আর বললাম না) I ঈদের কিছুক্ষন আগে এই রাতে হৃদয়ে ব্যাথা দিলেন নিপ্পন কাহিনী বলে I আমাদের সকাল যে কবে হবে !

২১ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৩৮

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: কি বলব ভাই .।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.