নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খোন্দকার মেহেদী আকরাম এর ব্লগ

নাটশেল

লিখতে ভালো লাগে তাই লিখি। যতদিন ভালো লাগে ততদিন লিখে যাবো।

নাটশেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

সৌদি নারীরা কি এক 'স্টেরিওটাইপ মুসলিম' নাকি গোটা মুসলিম নারী জাতির পথ প্রদর্শক?

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫১





সৌদি আরবে আবির্ভূত হয়েছে ইসলাম ধর্ম। সেখানকার শাসন ব্যবস্থাও চালিত হয় ইসলামের শরিয়া আইন মোতাবেক। সুতরাং সেখানকার নারীদের উপর যে বিধি-নিষেধ অর্পিত, তা গোটা মুসলিম নারী জাতির জন্য ইসলামের বিধি-নিষেধ হিসেবেই পরিগণিত হওয়া উচিত। কিন্তু আমরা যদি সৌদি আরব সহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশের নারীদের প্রাত্যহিক কর্মকান্ড এবং তাদের মেনে চলা রীতি-রেওয়াজের দিকে তাকাই এবং তা তুলনা করি পৃথিবীর অন্যান দেশে বসবাসরত লক্ষ ধার্মিক মুসলিম নারীদের সাথে তাহলে আমরা ধাঁধার মধ্যে পরে যাই! স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন আসে, কাদের চালচলন সঠিক? সৌদি মুসলিম নারীদের নাকি সৌদি আরবের বাইরে বসবাসরত ইসলাম ধর্ম মেনে চলা নারীদের?



১. মুসলিম নারীরা কি গাড়ি চালানোর অধিকার রাখে? দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবে মহিলাদের গাড়ি চালানো নিষিদ্ধ! ২০১৩ এর অক্টোবরে প্রাক্তন সৌদি সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের প্রধান এবং উলামা কমিশনের সদস্য সেইখ সালেহ আল-লুহায়দান ফতওয়া দিলেন যে কোরান এবং হাদিস সম্পূর্ণ ভাবে মহিলাদের গাড়ি চালানো নিষিদ্ধ করেছে (Middle East Online, 29-09-2013)! তিনি মহিলাদের হুঁশিয়ার করে আরো বললেন যে বৈজ্ঞানিক ভাবে এটা প্রমানিত হয়েছে, “যে সব মহিলা গাড়ি চালায় তাদের ওভারী বা ডিম্বাশয় ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং তাদের পেলভিস উপরে দিকে উঠে যায়, যার কারণে ঐসব মহিলাদের বাচ্চা বিকলাঙ্গ হয়!” তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে সৌদি আরবের বাইরে, বিশেষ করে পাশ্চাত্যের দেশ গুলোতে যেখানে মুসলিম মহিলারা ইসলাম ধর্ম পালন করছে আবার নিয়মিত গাড়িও চালাচ্ছে তারা কি ইসলামের বিধি নিষেধ লঙ্ঘন করছে?



২. মুসলিম মহিলাদের কি ভোটাধিকার রয়েছে? এখন পর্যন্ত সৌদি মহিলাদের কোনো ভোটাধিকার নেই! তবে সম্প্রতি ২০১১ তে সৌদি বাদশা আবদুল্লাহ ঘোষণা করেছেন যে ২০১৫ থেকে মহিলারাও আঞ্চলিক নির্বাচনগুলোতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। মহিলাদের জোরদার আন্দোলনের জের হিসেবে সৌদি বাদশা বাধ্য হয়েছে এই আইন করতে (PBS News Hour, 11-09-2011)। তবে সৌদি আরব ব্যতিত অন্যান সব দেশে, এমন কি ইরানেও দীর্ঘদিন ধরে মহিলারা আঞ্চলিক এবং জাতীয় পর্যায়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে আসছে।



৩. মুসলিম মহিলারা কি একা ঘর থেকে বাইরে বের হতে পারে? হ্যা পারে। বাংলাদেশ, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা সব খানেই মুসলিম মহিলারা নিয়মিত একা একাই বাইরে যাচ্ছে কাজ করতে, শপিং করতে। কিন্তু সৌদি মহিলাদের একা ঘরের বাইরে বের হওয়া সম্পূর্ণ নিষেধ! কোনো কাজে বাইরে যেতে হলে তাকে অবশ্যই সাথে নিতে হবে তার স্বামীকে, অথবা পিতা বা ভাই কে। কাওকে না পেলে স্বামীর কাছে থেকে 'লিখিত অনুমতি' নিয়ে বাইরে বের হতে হবে। - এ এক নিদারুন পরাধীনতা। আসলে 'কাম-কাতুরে' সৌদি পুরুষেরা তাদের স্ত্রীদের বিশ্বাস করতে পারে না। ওদের ধারণা, ওদের স্ত্রীরা একা বাইরে গেলেই অন্য কোনো পর পুরুষের সাথে শুয়ে পরবে! কামাতুর সৌদি পুরুষ গোষ্ঠী অবশ্য বলে ওরা মহিলাদের জন্য এ আইন করেছে কারণ মহিলারা একা বাড়ির বের হলে অন্য পরুষ একা পেয়ে তাদের ধর্ষণ করতে পারে!



৪. চোখ সুন্দর তো তা ঢেকে রাখুন! এমনিতেই সৌদি মহিলাদের 'চোখ' এবং 'হস্ত যুকল' ছাড়া শরীরে বাকি অংশ সম্পূর্ণ ভাবে বোরকা অথবা নিকাব দিয়ে ঢেকে রাখার কঠিন বিধান রয়েছে। নারীরা এই বিধান পুন্খানুপুন্খ ভাবে মেনে চলছে কিনা তা দেখভাল করার জন্য সৌদি শাসক নিয়গ করেছে 'মুতাবিন' নামক বিশেষ পুলিশ! তবে কাম-কাতুরে সৌদি পুরুষের যৌনাকাংখা থেকে সুন্দর চোখের নারী সম্প্রদায়কে রক্ষা করার জন্য সম্প্রতি এক নতুন বিধান করা হয়েছে। তা হলো যে সব সৌদি নারীর চোখ সুন্দর বা আকর্ষনীয় তাদেরকে শরীরের সাথে সাথে চোখ ও ঢেকে রাখতে হবে, পাছে কোনো সৌদি পুরুষ তাকে ধর্ষণ করে বসে!



৫. নারীর অন্তর্বাস বিক্রি করতে হবে শুধু পুরুষকেই! এ এক আজব নিয়ম! সৌদি আরবে মহিলাদের অন্তর্বাস বা lingeries এর দোকানে কোনো মহিলা ‘সেলস ওম্যান’ হিসেবে কাজ করতে পারবে না। মহিলাদের অন্তর্বাস বিক্রির অধিকার শুধু পুরুষদেরই!



৬. কাঁটাচামচ মুসলিম নারীর জন্য নয়! সত্যি তাই। ১৯৩২ সাল থেকে সৌদি আরবে মহিলাদের জন্য কাঁটাচামচ দিয়ে খাদ্য গ্রহণ নিষিদ্ধ করা আছে! তবে পুরুষদের ক্ষেত্রে এতে কোনো বাধা নিষেধ নেই। এ বিষয়ে এক মোল্লার ফতওয়া এই রকম, "যখন একজন পুরুষ একজন মহিলাকে ওই রকম আকৃতির একটা ধাতব দন্ড তার পবিত্র মুখগহব্বরে প্রবেশ করাতে দেখে, তখন পুরুষটির মনে এক অস্বাভাবিক চিন্তার উদ্ব্রেগ হয়। আর এ কারনেই নারী-পুরুষের মধ্যে সংঘটিত যৌন সংঘর্ষ রোধে নারীদের কাঁটাচামচ ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।"



এই রকম আরও অনেক উদ্ভট বিধি-নিষেধ চালু আছে সৌদি নারীদের উপর। আমি কয়েকটি উল্লেখ করলাম মাত্র। ইসলামের দোহাই দিয়ে যৌন বিকার গ্রস্থ সৌদি পুরুষ শাসক গোষ্ঠী বিভিন্ন ভাবে দমিয়ে রেখেছে নারীদের। আজ যেখানে নারীরা যাচ্ছে মহাশুন্যে সেখানে সৌদি নারীরা আন্দোলন করছে তাদের গাড়ি চালানোর অধিকারের আদায়ের জন্য। ছোটো এই পৃথিবীতে সৌদি নারীরা কোনঠাসা হয়ে আছে এক বিচিত্র 'স্টেরিওটাইপ' মুসলিম নারী হয়ে।



খোন্দকার মেহেদী আকরাম,

শেফিল্ড,

১৮ নভেম্বর ২০১৪

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:০১

সরদার হারুন বলেছেন: ভাল কথা তাদের দেশে তারা তাদের মত করবে তাতে আমাদের কি ?
+++

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:০৬

নাটশেল বলেছেন: "তাদের দেশে তারা তাদের মত করবে তাতে আমাদের কি ?"-- এটা আমার ও কথা। আর সে কারনে ই প্রশ্ন রেখেছি " নাকি গোটা মুসলিম নারী জাতির পথ প্রদর্শক?" আসলে সৌদি মহিলাদের রীতি রেওয়াজ অনেকটাই তাদের রিজনাল ব্যাপার। ওটা গোটা মুসলিম মহলাদের জন্য সম্পূর্ণ ভাবে অনুকরণীয় নাও হতে পারে। যাই হোক পড়ার জন্য ধন্যবাদ!

২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: উদ্ভট বিধি-নিষেধ ।

ইসলামের দোহাই দিয়ে যৌন বিকার গ্রস্থ সৌদি পুরুষ শাসক গোষ্ঠী বিভিন্ন ভাবে দমিয়ে রেখেছে নারীদের।

যেখানে ইসলাম দিয়েছে নারীর প্রকৃত স্বাধীনতা। আর তারা যা সব ভন্ডামি করছে তা বলার বাইরে!!!! এ বিষয়ে সফলে সালাফীদের ফতোয়া শীর্ষক লিসানী ভাঈয়ের পোষ্ট দেখেছেন আশা করি!!!!
সত্যি অদ্ভুত উল্টা পথে চলছে তারা!

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৬

নাটশেল বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ। লিসানী ভাঈয়ের পোষ্ট টির লিংক দিলে খুশি হতাম। লেখাটি পড়া হয়নি!

৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:০২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হাস্যকর ও অমানবিক কিছু সৌদি-সালাফি-আহলে হাদীস ফতওয়া এবং প্রাসঙ্গিক আলোচনা গোলাম দস্তগীর লিসানি

পড়ে দেখুন কি উন্মাদ স্তরে বসবাস তাদের। হয় তারা সত্যি নষ্ট.. নয়তো ইহুদীদের চক্রান্তে ইসলামের মূল আবেদনকে আড়াল করতে এইসব জঘণ্য কাজ ফতোয়াবাজি করে যাচ্ছে!!!!

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩০

নাটশেল বলেছেন: ধন্যবাদ। অনেক কিছুই জানলাম, যা আগে জানতাম না!

৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৮

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: এইসব ভণ্ড তথাকথিত মুসলিম ফতোয়াবাজরা ইব্লিশের চেয়েও বড় শয়তান ।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫০

নাটশেল বলেছেন: আপনার সাথে সহমত পোষণ করছি!

৫| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২৭

তারাবেষ্ট বলেছেন: [2:151]
যেমন, আমি পাঠিয়েছি তোমাদেরই মধ্য থেকে তোমাদের জন্যে একজন রসূল, যিনি তোমাদের নিকট আমার বাণীসমুহ পাঠ করবেন এবং তোমাদের পবিত্র করবেন; আর তোমাদের শিক্ষা দেবেন কিতাব ও তাঁর তত্ত্বজ্ঞান এবং শিক্ষা দেবেন এমন বিষয় যা কখনো তোমরা জানতে না।
সুতরাং তোমরা আমাকে স্মরণ কর, আমিও তোমাদের স্মরণ রাখবো এবং আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর; অকৃতজ্ঞ হয়ো না।
হে মুমিন গন! তোমরা ধৈর্য্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চিতই আল্লাহ ধৈর্য্যশীলদের সাথে রয়েছেন।
كَمَا أَرْسَلْنَا فِيكُمْ رَسُولًا مِّنكُمْ يَتْلُو عَلَيْكُمْ آيَاتِنَا وَيُزَكِّيكُمْ وَيُعَلِّمُكُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَيُعَلِّمُكُم مَّا لَمْ تَكُونُوا تَعْلَمُونَ ﴿١٥١﴾ فَاذْكُرُونِي أَذْكُرْكُمْ وَاشْكُرُوا لِي وَلَا تَكْفُرُونِ ﴿١٥٢﴾ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اسْتَعِينُوا بِالصَّبْرِ وَالصَّلَاةِ إِنَّ اللَّـهَ مَعَ الصَّابِرِينَ﴿١٥٣﴾ وَلَا تَقُولُوا لِمَن يُقْتَلُ فِي سَبِيلِ اللَّـهِ أَمْوَاتٌ بَلْ أَحْيَاءٌ وَلَـٰكِن لَّا تَشْعُرُونَ ﴿١٥٤﴾ وَلَنَبْلُوَنَّكُم بِشَيْءٍ مِّنَ الْخَوْفِ وَالْجُوعِ وَنَقْصٍ مِّنَ الْأَمْوَالِ وَالْأَنفُسِ وَالثَّمَرَاتِ وَبَشِّرِ الصَّابِرِينَ

৬| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩৭

তারাবেষ্ট বলেছেন: আমাদের গোটা মুসলিম নারী জাতির (পুরুষেরও) পথ প্রদর্শক শুধুমাত্র নবী- রাসুলগন।
.....so much thanks for writing on Islam, try it more & more.
অবশ্যই অনেক অনেক ভালো থাকবেন।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৬

নাটশেল বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার গঠন মূলক কমেন্ট এর জন্য। ভালো থাকবেন।

৭| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:২৯

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: গাড়ি চালালে যদি বাচ্চা বিকলাঙ্গ হয় - তবে ইউরপে-আমেরিকায়-পূর্ব এশিয়াতে সব বাচ্চাই বিকলাঙ্গ হয়ে জন্ম নিত - একথা কেউ সৌদি বিজ্ঞানীদের বুঝায় না কেন?

রাসুল (সঃ) এর সময় ভোটাধিকারকে বলা হত বাইয়াত। ইসলাম গ্রহণের সময় আবু সুফিয়ানের স্ত্রী রাসুল (সঃ) এর কাছে বাইয়াত নিয়েছিলেন। ওনার স্ত্রী হযরত আয়েশা (রা) উমর (রা) এর শাহাদাতের পর উসমান (রা) এর কাছে বাইয়াত নিয়েছিলেন। কেউ আপত্তি করেনি।

রাসুল (সঃ) এর যুগে মহিলারা অবাধে বিভিন্ন প্রয়োজনে ঘরের বাইরে যেতেন। কেউ নিষেধ করতনা। তবে মহিলাদেরকে কোন সফরে একাকী যেতে নিষেধ করা হয়েছে - যা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত।

চোখ যতই সুন্দর হোক, তা ঢেকে রাখার বিধান কোরআন হাদীসে নেই। কোন পুরুষের যদি সুন্দর চোখ দেখে উত্তেজনা বেড়ে যায়, তো জরুরি হল সেই পুরুষের উত্তেজনা যাতে নিয়ন্ত্রনে থাকে - সেই ব্যবস্থা করা। বাকের ভাইয়ের ভাষায় বলা চলে, মাইরের উপর ঔষধ নাই।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:০১

নাটশেল বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার গঠন মূলক এবং মজার কমেন্ট এর জন্য। 'মাইরের উপর ঔষধ নাই'--- মজা লাগছে! ভালো থাকবেন।

৮| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৮

শাহ আজিজ বলেছেন: তেলের পয়সায় এক রাইতে হাদিস পয়দা হয় শত শত। এর পিছনে বুখারি, মুসলিম, তিরমিজি লাগায় দ্যান দেখবেন ঝাপায়া পড়েছে সবাই। মুল সমস্যা সউদি রাজপরিবারের আন্তঃ দন্ধ। স্বেচ্ছা নির্বাসিত প্রিন্স ও প্রিন্সেসরা ইন্ধন জোগায় অন্যদের। আব্দুল্লার বউ লন্ডন থেকে তালাক দিয়েও কাবিন উসুল করতে পারেনি বরং গুপ্ত ঘাতকের ভয়ে বাড়িতেই থাকে। তবে সাধারন জনগণকে গত এক দশকে এরা খুব সুখে রেখেছে।
হ্যাঁ , নারীরা এদের জন্য সমস্যা , খোদ প্রাসাদের নারীরাই গাড়ি চালানর জন্য উদগ্রীব আর তাই এখন চোখ ঢেকে চলার ফন্দি চালছে এজন্য যে চোখ বন্দ রেখে তোঁ গাড়ি চালান যায়না। তা গাড়ি চালান আইন বিরুদ্ধ। অতএব ফতোয়া লাগাও আর আন্দোলন বন্ধ করো। বাছা , আর কতদিন ? বোমা ফুটল বইলা। আর বোমা ফাটাবে সউদদের তৈরি আইসিস ।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫১

নাটশেল বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার গঠন মূলক কমেন্ট এর জন্য। বোমা আসলেই ফুটলো বইলা। ভালো থাকবেন।

৯| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৫

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: @শাহ আজিজ, আপনার জীবদ্দশায় দেখান তো তেলের পয়সায় কয় লাখ হাদীস পয়দা হয়েছে? কুরআন-সুন্নাহর ব্যাপারে কথা বলার সময়ে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত, যদি আপনি সত্যকারের ঈমানদার মুসলিম হয়ে থাকেন। বিশ্ববিখ্যাত হাদীস গ্রন্থগুলো যারা সংকলন করেছেন, তারা যে কতখানি সতর্কতা অবলম্বন করেছেন, তা যদি আপনার জানা থাকত, তবে এমন অর্বাচীন মন্তব্য করার আগে অন্তত তিনবার ভাবতেন।

১০| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: @নীল আকাশ২০১৪... নীচের ফতোয়া গুলো পড়ুন...
লিসানী ভা্য়ের মূল লেখার লিংক.. যেখানে ফতোয়ার লিংকও দেয়া আছে ..

বিন বাজ: এজিদ ছিল সত্যপন্থী আর ইমাম হুসাইন রাদ্বিআল্লাহু আনহু ছিলেন অন্যায়কারী। কারবালায় অন্যায়কারীকে পরাজিত ও হত্যা করা হয়েছে। (Click This Link)
----

আল মুনাজিদ: ইসলামিক আইন অনুসারে মিকি মাউসকে ও টম অ্যান্ড জেরির জেরিকে সর্বাবস্থায় হত্যা করতে হবে। তা বাসায় থাক আর কার্টুনে। এরা শয়তানের চামুন্ডা। (মুনাজিদ সাব হইলেন মার্কিন মুল্লুকের ওয়াশিংটন ডিসির সৌদি দূতাবাসের সাবেক কূটনীতিক।)

বিন বাজ: নারীর বুদ্ধি কম। (পল এ মার্শাল, ২০০৫)
.....

স্ত্রী থেকে দূরে থাকা অবস্থায় পায়ুসঙ্গম জিহাদের সময় বৈধ। (ইসুকারী মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রিচার, প্রয়োগ আইএস এর উপর Click This Link)

নিনেভেহ প্রদেশ মুক্ত হওয়ায় প্রত্যেক বাসার অবিবাহিত নারীদের তাদের পাঠানো উচিত তাদের ভাইদের আনন্দিত করতে। যারাই আদেশ লঙ্ঘন করবে শরিয়াহ্ আইন তাদের উপর প্রযোজ্য। (Click This Link)

......


রোজায় মাস্টারবেশনে রোজা ভাঙে না। নবীকে অপমান করলে কেউ কাফির হয় না। নারীদের জন্যও স্বর্ণ হারাম। (নাসিরুদ্দিন আলবানী, সৌদি 'মুজাদ্দিদ')

মুলতাকা আহলে হাদীস: ইমোটিকন হারাম। (হারামই যদি, তো ছবি তোলাই হারাম। সব গ্র্যান্ড মুফতি থেকে শুরু করে পাতি মুফতি পর্যন্ত টিভিতে দৌড়ায়। এমনকি ইরাক-লেভ্যান্টের তাকফিরিরাও তাদের খলিফাকে ভিডিওতে দেখাচ্ছে।)

সৌদি গ্র্যান্ড মুফতি: সত্যিকার মুসলিম টুইট করে না! (উল্লেখ্য, সৌদি প্রিন্স আলাউদ্দিন বিন তালাল ওই মুরগি যে কিনা টুইটারের মাত্র ৩.৬% শেয়ার কিনেছে ৩০০ মার্কিন ডলারে)

সিরিয়ায় জিহাদি রা পর্যায়ক্রমে সিরিয়ান ১৪ বছর বা তদুর্দ্ধ মহিলা, স্বামীহীন এবং তালাকপ্রাপ্তা- এদের সাথে কয়েক ঘন্টার ইন্টারকোর্স ম্যারেজে আবদ্ধ হতে পারে। (আল আরিফি, সৌদি মুফতি। https://www.youtube.com/watch?v=6Qvo4_hMrF4)

যুদ্ধক্ষেত্রে আপন বোনের সাথেও যৌন জিহাদ চালনা করা যাবে আর কাউকে না পেলে। (নাসের আল উমার, সউদি... এ নিয়ে ভিডিও প্রচারণাও করা হয়েছে।)

জিহাদিরা সমস্তকিছুর মালিক। সমস্ত জড় ও জীবের মালিকানা তাদের হাতে। তাদের হাতে স্বেচ্ছায় নিজের দেহ তুলে দিলে এর বিনিময়ে জান্নাত পাওয়া যাবে। আর প্রয়োজনে সমস্ত হারাম হালাল হয়ে যায়। জিহাদের প্রয়োজনে প্রস্টিটিউশন হালাল। কাফির হত্যার উদ্দেশ্যে হোমোসেক্সুয়ালিটি করা যায়। (Click This Link)..


আপনার কি মনে হয়- এইগুলা ইসলাম অনুমোদিত?

এইগুলা কিসের জোরে হইতাছে- স্রেফ তেলের পয়সায় আর ইহুদীর কাছে ক্ষমতার লোভে মাথা বেইচা দেওয়ায়!!!
এইগুলার একটাও যদি সমর্থন করেন-তবেতো আর কথা বলাই বৃথা!

যাদের মস্তিস্ক এতটাই বিকৃত তাদের বিরুদ্ধে বিনা দ্বিধার শির উচু করেই তীব্র প্রতিবাদ করতে হবে। যদি আসলাম, কোরআন, রাসূল সা: কে বিন্দুমাত্র ভালবাসেন।
কারন তারা এইসবের নামেই মিথ্যা, বিভ্যান্তি আর বিকৃত মতবাদ, ওহাবীজম, মওদুদীবাদ এইরকম শত বাদ নিয়ে মুসলিম সমাজকে বিভক্ত করে নিজেদের ক্ষমতাকেই সুসংহত করছে কেবল- ইসলামের, মুসলিমের বিন্দুমাত্র ইপকারও হচ্ছে না। বরং বদনাম করছে.......

১১| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৪৮

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: @ বিদ্রোহী ভৃগু, আপনি তো দেখি হাদীসের সাথে ফতোয়া গুলিয়ে ফেলেছেন। বর্তমান সময়ে ফেতনার যুগে যে যার ইচ্ছেমত ফতোয়া দিয়ে যাচ্ছে, যা সরাসরি হারাম এবং আবু বকর (রা) এর খিলাফতকালে খালিদ বিন ওয়ালিদের নেতৃত্বে এরকম কয়েকজন ফতোয়াবাজের বিরুদ্ধে জিহাদ পরিচালিত হয়েছিল। এরকম ফতোয়া দিতে তেলের পয়সা লাগেনা - কয়েকজন মাথামোটা অনুসারী থাকাই যথেষ্ট।

আমি প্রশ্ন করেছিলাম, আপনি জীবদ্দশায় কয়টি হাদীস তেলের পয়সায় পয়দা হতে দেখেছেন, ফতোয়া নয়। পারলে এই প্রশ্নের গঠনমূলক উত্তর দিন।

১২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: @নীল আকাশ ২০১৪ ...
হাদীস আর ফতোয়া মোটেই গুলাইনি!

বরং সময়ের বাস্তবতাকে তুলে ধরেছি!

আর আমার জীবদ্ধশায় দেখারতো প্রশ্নই উঠেনা। কারণ এখন হাদীস লেখার সময় নয়। প্রশ্নই উঠে না। যা কিছূ লেখা হয়েছে মূল সময়েরও ৪০০-৬০০ বছর পরে!

আর মূল টার্নিং পয়েন্ট ছিল কারবালা। কারবালায় ইয়াজিদের বিজয়ের পর সকল কিছু তার নিয়ন্ত্রনেই সংশোধীত হয়েছে তার স্বর্থের অনুকুলে। সেই সময়ে তার অন্যায়কে যারা মানতে পারেন নি রাসূল সা: এর মূল সত্যকে ধরে রাখতে চেয়েছে তাদের হয় নগর ত্যাগ করতে হয়েছে, অথবা সত্য গোপন করে নিরব থাকতে হয়েছে, নয়তো জীবন দিতে হয়েছে। আবু জর গিফারী রাঃ তাদের মধ্যে অন্যতম। যিনি রাসূল সা: এর প্রিয়তম সাহাবী হয়েও মরুভুমিতে কি কষ্টে, অনাহারে, দুর্দশায় শাহাদাতে মৃত্যুকে বরণ করেছিলেন! তাকি সখে!!!???
এরপরও কি আপনি ক্ষমতার জোরে (তেলের পয়সা) কত হাদীস জাল হয়েছে তা অনুভব করতে পারেন না?

আপনাকে সত্য খুজতে হলে অবশ্যই রাসূল সা: এর কাছে ফিরে যেতে হবে। ঐ সময়ের ইতিহাস ঘাটতে হবে। চলতি কিতাবের উপর অন্ধ বিশ্বাস রেখে আর যাই হোক সত্য খূজে পাবেন না।

১৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:২৬

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: @বিদ্রোহী ভৃগু, আমি শাহ আজিজের মন্তব্য আবার তুলে ধরছিঃ

"তেলের পয়সায় এক রাইতে হাদিস পয়দা হয় শত শত। এর পিছনে বুখারি, মুসলিম, তিরমিজি লাগায় দ্যান দেখবেন ঝাপায়া পড়েছে সবাই।"

বলুন উনি কি হাদীসের মরযাদাকে তুচ্ছ করেছেন, নাকি ফতোয়া নিয়ে বলেছেন? আমার জবাবটা কি ছিল? আর আপনি কি জবাব দিলেন? ঠান্ডা মাথায় ভাবুন।


আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.