নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খোন্দকার মেহেদী আকরাম এর ব্লগ

নাটশেল

লিখতে ভালো লাগে তাই লিখি। যতদিন ভালো লাগে ততদিন লিখে যাবো।

নাটশেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

এলিয়েন রয়েছে ভিন্ন গ্রহে- সয়ং সৃষ্টিকর্তাই তা বলে!

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৬:১৫



মহাবিশ্ব কি একটাই, যেখানে আমরা বসবাস করছি? নাকি আরো বিশ্ব আছে? জীবনের অস্তিত্ব কি শুধু আমাদের এই পৃথিবীতেই, নাকি অন্য কোনো গ্রহে, অন্য কোনো মহাবিশ্বে জীবনের অস্তিত্ব রয়েছে? এই প্রশ্নের সূত্রপাত অনেক অনেক আগে থেকেই, এবং আশ্চর্য জনক হলেও সত্য যে আজ অবধি এর সঠিক উত্তর রয়ে গেছে অজানাই! হলফ করে বলা যায় না যে এর উত্তর আমরা খুব তারাতারই পেয়ে যাব। এই কিছুদিন আগেও আমরা জানতাম আমাদের ছায়াপথ বা Milky Way-ই একমাত্র মহাবিশ্ব, আর এন্ড্রোমিডা (Andromeda) কে আমরা ভাবতাম এক ধুলিকণাময় নেবুলা, এবং আমাদের ছায়া পথেরই এক অবিচ্ছেদ্য অংশ! টেলিস্কোপের উন্নতির সাথে সাথে বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে আমরা আবিষ্কার করলাম যে এন্ড্রোমিডা আসলে আরেকটা ভিন্ন ছায়াপথ (Galaxy) । বস্তুত: এন্ড্রোমিডা আমাদের সবচেয়ে কাছের ছায়াপথ, যেখানে রয়েছে অগনিত তারা, গ্রহ এবং উপগ্রহ। এখন পর্যন্ত প্রায় ১,০০০ কোটি (১০০ বিলিয়ন) ছোটো-বড় বিভিন্ন ধরনের ছায়াপথ বা Galaxy’র সন্ধান পাওয়া গেছে! আমাদের কাছে সংখ্যাটি অসম্ভব রকম বড় মনে হলেও- এটা ভুলে গেলে চলবে না যে এই মহাবিশ্বটাই তো অসম্ভভ রকম বড়, আর তাই এর পরিমাপের মাত্রা গুলোও সব দানবীয় (gigantic) স্কেলের !

এখানেই শেষ নয়। বর্তমানে বিজ্ঞানীরা মহাবিশ্বকে (Universe) ছাড়িয়ে গিয়ে এক ধাপ এগিয়ে মাল্টিভার্স (Multiverse) এর কথাও বলছেন (লেনার্ড সাস্কিন এর ভাষায় মেগাভার্স; আবার কেউ কেউ এটাকে প্যারালাল ইউনিভার্স ও বলে) । তারা বলছেন আমরা যে মহাবিশ্বে বা Universe এ বসবাস করছি সেটাই একমাত্র মহাবিশ্ব নয়, এ’ রকম আরো অনেক মহাবিশ্ব থাকতে পারে! এই মাল্টিভার্স এর আইডিয়াটা কিন্তু বিজ্ঞানীগণ স্বপ্নে পাননি; এর পেছনে শক্তিশালী গাণিতিক যুক্তি রয়েছে। যারা পদার্থ বিদ্যার খোজখবর রাখেন তারা হয়ত জেনে থাকবেন, এই মহাবিশ্বকে বৈজ্ঞানিক ভাবে বোঝার বা ব্যাখ্যা করার জন্য বেশ কয়েকটি থিওরি এবং মডেল রয়েছে: এদের ভিতরে আইনস্টাইন এর সাধারণ আপেক্ষিক তত্ব সাপোর্ট করে ক্লাসিকাল মডেল এবং কোয়ান্টাম মেকানিক্স তত্ব সাপোর্ট করে স্ট্যান্ডার্ড মডেলকে। কোয়ান্টাম মেকানিক্স এর সাথে আপেক্ষিক তত্বের সমন্নয় ঘটিয়ে দাড় করানো হয়েছে আলোচিত দুটো থিওরি, তথা: সুপার স্ট্রিং থিওরি এবং মেমব্রেন থিওরি (M-Theory)। অধুনা এই দুই থিওরি মহাবিশ্ব জগতকে স্ট্যান্ডার্ড মডেল মধ্য দিয়ে বেশ ভালো ভাবেই ব্যাখ্যা করতে পারে। আরেকটি এবং সবচেয়ে আলোচিত থিওরি হলো 'হলোগ্রাফিক প্রিন্সিপাল'। আমি অবশ্য আজ এখানে সুপার স্ট্রিং থিওরি অথবা হলোগ্রাফিক প্রিন্সিপাল নিয়ে কোনো কথা বলব না। আমি শুধু মেমব্রেন থিওরি এবং মাল্টিভার্স নিয়ে কিছু কথা বলব।

আধুনিক পদার্থ বিজ্ঞানের মতে অনেকগুলো মহাবিশ্ব (ইউনিভার্স) নিয়ে এই বিশ্ব ব্রম্মান্ড। আর মেমব্রেন থিওরি বা M-Theory অনুযায়ী এই বিশ্ব ব্রম্মান্ডে এক একটি মহাবিশ্ব মেমব্রেন বা চাদর এর মত বিস্তৃত, এবং একটি আরেকটির উপরে ধাপে ধাপে (Layer by layer) সাজানো যেখানে একটি মেমব্রেন (ইউনিভার্স) আরেকটি থেকে একটি সুক্ষ্য দূরত্ব বজায় রেখে পৃথক ভাবে সমান্তরালে অবস্থান করে।

আমি এতক্ষণ যা বললাম তা বিজ্ঞানের কথা; এখন আমি বলব সৃষ্টিকর্তা এই মহাবিশ্ব সমন্ধে কি বলে। তবে তার আগে আমি পাঠকগণদের বলব উপরের এত কথা থেকে শুধু মাত্র দুটো শব্দ মাথায় রাখতে: (১) মহাবিশ্ব (ইউনিভার্স) এবং (২) মেমব্রেন থিওরি।

সৃষ্টিকর্তা বলেন: “We created above you seven universes in layers, and we are never unaware of a single creature in them.” – (Verse 23:17, Al-Qur’an).

অর্থাত, সৃষ্টিকর্তা বলেন, “আমি তোমাদের উপরে স্তরে স্তরে সজ্জিত আরো সাতটি মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছি; এবং ওই সমস্ত মহাবিশ্বে বসবাস রত একটি প্রাণীর খবরও আমার কাছে অজানা (অনবহিত) নয়।" এই আয়াতে পরিস্কার ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে মহাবিশ্ব বা ইউনিভার্স একটি নয় বরং অনেকগুলো; অর্থাত মাল্টিভার্স। আর এই ইউনিভার্স গুলো মেমব্রেন এর মত একটির উপরে আরেকটি লেয়ার বাই লেয়ার সাজানো রয়েছে। সৃষ্টিকর্তা আর আধুনিক পদার্থ বিজ্ঞান কি একই কথা বলছে না?

এখন উপরের আয়াতটির শেষাংশ নিয়ে কথা বলি। তার আগে জেনে নেই 'creature' শব্দের অর্থ কি। অক্সফোর্ড ডিকশনারি অনুসারে 'creature' এর ডেফিনেশন হলো 'An animal, as distinct from a human being'. অর্থাত মানুষ থেকে ভিন্ন যেকোনো ধরনের প্রাণী বোঝাতে সাধারনত: ‘creature’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়। সোজা কোথায় বলতে গেলে বলতে হয়, সৃষ্টিকর্তা অন্যান্য মহাবিশ্বে যে জীবনের অস্তিত্বের কথা বলছেন তারা খুব সম্ভবত: মানুষ থেকে ভিন্ন অন্য কোনো ধরনের প্রাণী (যাদেরকে সচরাচর আমরা এলিয়েন বলে সম্বোধন করি)।

কোন ধরনের প্রাণী? বর্তমান যে তথ্য বিজ্ঞানীদের হাতে আছে তাতে বিজ্ঞানীরা এটাই নিশ্চিত করে বলতে পারে না যে অন্য কোনো মহাবিশ্বে অন্য কোনো গ্রহে কোনো জীবনের অস্তিত্ব আছে কি নেই; আর প্রাণী থাকলেও তাদের অবয়ব কেমন হবে তা বলাটা তো অনেক দূরের কথা। তবে বিশিষ্ট বিজ্ঞানী এবং সনামধন্য লেখক রিচার্ড ডকিন্স তার ‘The God Delusion’ বইতে লিখেছেন যে প্রবাবিলিটি’র (সম্ভাব্যতা) বিচারে অন্য কোন গ্রহে জীবনের অস্তিত্ব থাকাটাই স্বাভাবিক। গাণিতিক ভাবে এই সম্ভাবনা হলো ১০ কোটির মধ্য ১ ( 1 in 1,000,000,000)! সম্ভাবনাটি নিতান্তই ক্ষুদ্র! তবে মজার ব্যাপার হলো আমরা যদি সমগ্র মাল্টিভার্সটাকে আমাদের গাণিতিক হিসাবের আওতায় নেই তাহলে কিন্তু পাঠকগণ অবাক হবেন এই দেখে যে কম করে হলেও, আমাদের পৃথিবী বাদে, আরো প্রায় এক বিলিয়ন গ্রহে প্রানের অস্তিত্ব থাকার সম্ভবনা রয়েছে! এখন এই প্রবাবিলিটি হিসেব কষার জন্য বিজ্ঞানীদের ৬ টি মাত্রার (Condition) প্রয়োজন। বিজ্ঞানীদের হাতে এই মুহুর্তে সব কটি মাত্রা নেই, আর এ কারণেই সঠিক ভাবে প্রবাবিলিটি হিসেব করা সম্ভব হচ্ছে না। অন্য গ্রহে বা বিশ্বে জীবনের যে অস্তিত্বের কথা বিজ্ঞানীরা বলছে তা অনেকটা conjecture বা অনুমান এর মত।

বিশিষ্ট বিজ্ঞান বিষয়ক লেখক Amir Aczel তার 'God’s Equation' বইতে লিখেছেন: তিনি একবার গণিত এবং পদার্থ বিজ্ঞানে বিশিষ্ট পন্ডিত এবং সনামধন্য জোতির্বিদ স্যার রজার পেনরোজকে ফোনে জিজ্ঞাসা করেছিলেন অন্য কোনো গ্রহে প্রানের অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনা কতটুকু? রজার পেনরোজ উত্তরে বলেছিলেন তিনি প্রয়োজনীয় ৬ টি মাত্রার মধ্যে শুধু মাত্র একটি মাত্রা নিয়ে অঙ্ক কষে দেখেছেন অন্য গ্রহে এলিয়েন বা প্রানের অস্তিত্ব থাকার সম্ভবনা খুবই ক্ষীণ! এখন এই ৬ টি মাত্রার এর মধ্যে ৬ টি নিয়ে অঙ্ক কষলে তো সেই সম্ভাবনা ক্ষিণ থেকে আরো ক্ষিণ তর হবে। যাই হোক ভবিষ্যতই বলবে সৃষ্টিকর্তা যে অন্য মহাবিশ্বে প্রানের অস্তিত্বের কথা উল্লেখ করেছে তা বিজ্ঞানীরা খুঁজে পান কি না।

[পাদটিকা: এই লেখাটিতে বৈজ্ঞানিক বিষয়বস্তু সমূহ খুব সাধারণ ভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করা হয়েছে যাতে করে সাধারণ পাঠকগণ লেখাটির বিসয়বস্তু সহজেই অনুধাবন করতে পারে। প্রকৃতপক্ষে, উপরোল্লেখিত বৈজ্ঞানিক বিষয়গুলো বেশ জটিল। ]

খোন্দকার মেহেদী আকরাম
শেফিল্ড,
৫ নভেম্বর ২০১৪
[Re-post: Modified Version]

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৫৩

খেলাঘর বলেছেন:
অন্য গ্রহে সৃস্টিকর্তাও আছে।

১৭ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:০২

নাটশেল বলেছেন: কে জানে!

২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৫৫

খেলাঘর বলেছেন:

"[পাদটিকা: এই লেখাটিতে বৈজ্ঞানিক বিষয়বস্তু সমূহ খুব সাধারণ ভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করা হয়েছে যাতে করে সাধারণ পাঠকগণ লেখাটির বিসয়বস্তু সহজেই অনুধাবন করতে পারে। প্রকৃতপক্ষে, উপরোল্লেখিত বৈজ্ঞানিক বিষয়গুলো বেশ জটিল। ] "


-আপনার জন্য জটিলই, এখনো গুহায় আছেন?

৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৫৭

খেলাঘর বলেছেন:

"পেশায় আমি একজন হাতুড়ে ডাক্তার, শখের বশে রোগ-ব্যামো নিয়ে খুটি নাটি গবেষণাও করি! বর্তমানে পোস্ট-ডক্টরাল রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট হিসেবে কাজ করছি.. "

-রিচার্চ কি 'তাবিজ" এর গুণাগুণের উপর?

১৭ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:০৪

নাটশেল বলেছেন: আপনি একজন অসহিষ্ণু ব্যক্তি!

৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:০৮

কলাবাগান১ বলেছেন: কিসের সাথে কি মিলালেন...... সব কিছুই যদি ধর্মে বলা থাকত, তাহলে বিজ্ঞানীরা বলার আগেই ধর্ম ই সব বলে দিত .....বিজ্ঞানী রা কিছু আবিস্কার করার পরই আপনার মত লোকেরা বলা আরম্ভ করেন যে এটা তো ধর্মে আগেই বলা আছে......

আগের পোস্টে তো দেখলাম কিভাবে আপনি ধর্মান্ধ লোকদের ভিডিও ( গ্রাভিটির বিপক্ষে পানি গড়ানো) সুন্দর সাইন্টেফিক যুক্তি দিয়ে খন্ডন করতে

১৭ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:০৫

নাটশেল বলেছেন: আমি শুধু আমার এক চোখ খোলা রাখতে পারি না!

৫| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৩২

ফ্যাট ম্যান বলেছেন: সৃষ্টিকর্তা আর কি কি বলে সেটা আপনারা আগে থেকে বলে দিলে গবেষণার পিছে এতো কষ্ট না করলে চলত। ছাগল কোথাকার...! একদল মানুষ গবেষনা করে কত কষ্ট করে এক একটা ব্যাপার আবিষ্কার করে, আর তারপর ছাগল গুলো এসে আলতু/ফালতু জিনিস দেখায়ে বলবে, দেখছো, এটা কোরাণে আগেই বলা ছিল।

৬| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২৭

মুহাম্মদ মোহেব্বুর রহমান বলেছেন: কুরআন দীর্ঘ ২৩ বছর সময় নিয়ে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় মুহুর্ত বা প্রেক্ষাপটে নাজিল হয়েছিল। আর কুরআনের রহস্য উন্মোচিত হওয়ার জন্য দরকার কিয়ামত সংগঠিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত সময়। যে দিন সব রহস্য উন্মোচিত হয়ে যাবে, তার পরেই হয়তো কিয়ামত সংগঠিত হবে.. বিশ্ব জাহান সৃষ্টির সব রহস্য যদি কুরআনে খোলাখুলি বলে দেয়া থাকতো তাহলে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন (জগত সমূহের রব) কেন মানুষকে বার বার চিন্তা, পর্যবেক্ষণ করতে বললেন? প্রকৃত আলোয় আলোকিত হোক আমাদের হৃদয়।

৭| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১৪

নতুন বলেছেন: লেখকে বেক্তিগত আক্রমন করার কি কোন প্রয়জন আছে?????????

তিনি তার মতামত দিয়ে ব্লগ লিখেছেন... কিন্তু তাকে বেক্তিগত ভাবে আক্রমনের অধিকার আপনাদের নাই...

যুক্তি দিন তার লেখার বিপক্ষ... কিন্তু প্লিজ বেক্তিগত আক্রমন করবেন না...

এই যুক্তি ধম`গ্রন্হের সাথে নতুন তথ্যের মিল খুজে বেড়ানো দলের... তারা নতুন কিছু গবেষনে করবেনা ... কিন্তু নতুন তথ্যের সাথে ধমে`র বানীর মিল তারা খুজে বেড়াবে...

আপনার "" মদিনায় জ্বিনের উপত্যকায় জ্বিন থাকে না, থাকে নিউটন এবং তার অভিকর্ষ সূত্র!"" লেখা টি ভাল লেগেছে...

৮| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:১৫

এহসান সাবির বলেছেন: সিনেমায় যে সব এলিয়েন দেখায় ওদের মুখ লম্বা :) :)

৯| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২৭

ইমরান আশফাক বলেছেন: পোস্টটা চমৎকার কিন্তু নাস্তিক কাকারা আপনার উপর এত ক্ষেপলো কেনো? ওরা একজোট হয়ে আপনাকে এ্যাটাক করছে।

১৭ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:০৭

নাটশেল বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.